× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

তবুও সক্রিয় কিশোর গ্যাং

তবুও-সক্রিয়-কিশোর-গ্যাং-
বরগুনার পাথরঘাটায় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর অস্ত্র হাতে তোলা সেলফি ফেসবুকে পোস্টের ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করে। ছবি: ফেসবুক থেকে
সম্প্রতি বরগুনার পাথরঘাটায় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর অস্ত্র হাতে তোলা সেলফি ফেসবুকে পোস্টের ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এমডি রিমন সরদার নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিগুলো আপলোড করা হয়।

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড। রিফাত হত্যার পর নয়ন গ্রেফতার ও ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত হলেও তার চালু করা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ ‘বন্ড ০০৭’ এর নানা অপতৎপরতা সামনে আসে।

এ গ্রুপের সদস্যরা পরে ‘টিম ৬১‘ গ্রুপে সংঘবদ্ধ হতে শুরু করে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গ্রুপটি।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, বরগুনায় এখনও তিন-চারটি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তাদের নানা অপরাধের কারণে আতঙ্কে থাকেন এলাকার লোকজন। মাঝেমধ্যে এই কিশোরদের বাইকে চেপে শহরে চক্কর দিতে দেখা যায়।

২০১৯ সালের ২৬ জুন খুন হন বরগুনা শহরের তরুণ রিফাত শরীফ। এ হত্যা মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে রায় হয়।

রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও রিফাত ফরাজীসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। খালাস পান অপর চারজন। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৪ কিশোরের বিচার চলছে বরগুনার শিশু আদালতে।

তবুও সক্রিয় কিশোর গ্যাং

রায়ের পর বরগুনার কিশোর গ্যাংয়ের নানা অপকর্ম ও মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে।

এ বিষয়ে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি, বরগুনার সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘রিফাত হত্যা মামলার আশানুরূপ রায় পেয়েছি আমরা। কিন্ত হত্যার সঙ্গে জড়িয়ে যে কিশোর অপরাধ ও মাদক, এর কোনোটাই কমেনি।’

তিনি বলেন, ‘কিশোর গ্যাং যে অনিয়ন্ত্রিত এর প্রমাণ ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে চরকলোনি এলাকার হৃদয় নামের এক স্কুলছাত্রকে গুলবুনিয়া এলাকায় পায়রা নদীর তীরে পিটিয়ে হত্যা। কিছুদিন এই গ্যাং কালচার ও মাদক স্থিমিত ছিল। এখন আবার এর বিস্তার ঘটছে।’

কামাল মনে করেন, অভিভাবকদের অসচতেনতা ও উদাসীনতা, হাত বাড়ালেই মাদক ও সংস্কৃতি চর্চার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় এ অবস্থা অব্যাহত আছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের একার পক্ষে কিশোর গ্যাং ও মাদক দমন সম্ভব নয়।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন কামাল।

গত বছরের ৮ অক্টোবর মাদ্রাসাপড়ুয়া বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শহরের মাছবাজার সেতুর উপরে হিরু নামের এক মাদক ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে ওই ছাত্রীর ভাই মিঠুকে (২১) রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বলে অভিযোগ ওঠে।

স্থানীয়দের বক্তব্য, হিরু লাকুরতলা এলাকার মোকসেদ চৌকিদারের ছেলে। এলাকায় তার নেতৃত্বে একটি কিশোর-তরুণ গ্যাং রয়েছে।

এর ঠিক একদিন আগে লাকুরতলা এলাকায় পূজার অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নৃত্যশীল্পিদের উত্ত্যক্ত করে হিরু বাহিনীর কয়েকজন। এর প্রতিবাদ করায় নাচের প্রশিক্ষক আসাদকে মারধর করে তারা।

এ ঘটনায় তিনি বরগুনা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু হিরু ও তার বাহিনীর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

২৫ মে বিকেলে বরগুনা সদর উপজেলার গোলবুনিয়া পর্যটন এলাকায় পায়রা নদীর তীরে ঘুরতে গিয়ে কিশোরদের পিটুনিতে নিহত হয় হৃদয় নামের আরেক কিশোর।

হৃদয় পৌর শহরের চরকলোনী চাঁদশী সড়কের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। বরগুনা টেক্সটাইল ও ভোকেশনাল স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত সে।

পরে জানা যায়, হৃদয় নিজেও চরকলোনি এলাকার একটি কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য ছিল। ঘুরতে গিয়ে ওই এলাকার কিশোরদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে প্রথমে হৃদয় তার বাহিনীকে খবর দিয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয়দের পাল্টা হামলার শিকার হয়ে নিহত হয় সে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিম বরগুনার দুলালের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বচসা হয় আইনজীবীর সহকারী জাকিরের। ক্রোক পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আচমকা জাকিরের ওপর হামলা করে দুলালের ছেলে শুভ। উপর্যুপরি লাঠির আঘাতে জাকিরের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।

দুলালের দশম শ্রেণি পড়ুয়া এই ছেলের সঙ্গে রিফাত হত্যায় জড়িত কিশোরদের কয়েকজনের সখ্য ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি বরগুনার পাথরঘাটায় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর অস্ত্র হাতে তোলা সেলফি ফেসবুকে পোস্টের ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এমডি রিমন সরদার নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিগুলো আপলোড করা হয়।

অ্যাকাউন্টটি সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিমন সরদারের বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

বিস্তার ঘটছে মাদকের

কিশোর অপরাধীদের নেপথ্যে ক্ষমতার উৎস হিসেবে রয়েছেন কিছু মাদক ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি করা এসব মাদক ব্যবসায়ী কিশোরদের মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে ফেলছে। শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বিস্তৃতি ঘটেছে ইয়াবার।

ইয়াবার সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করছে কিশোরদের একাংশ-এমনটাই মনে করছেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠনের আহ্বায়ক ও সচেতন নাগরিকদের একজন মারুফ মৃধা।

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি করে বেড়ানো কথিত ‘বড় ভাই’ এই কিশোরদের সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষক।কিশোরদের মাদক সেবন করিয়ে একপর্যায়ে তাদের ব্যবহার করে মাদক ছড়িয়ে দেয়া হয়। বরগুনার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও এভাবে ছাত্র ও যুব রাজনীতির নামে লেজুড়বৃত্তি করে মাদক ব্যবসা ছড়িয়েছে।”

১ সেপ্টেম্বর সদরের নলটোনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহকে ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। পরে দল থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি।

এর ঠিক দুই মাস আগে একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সিকদারকেও ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ।

৮ সেপ্টেম্বর একই ইউনিয়নের গোড়াপদ্মা গ্রাম থেকে ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মিরাজ ও তার সহযোগী কাশেমকে গাঁজাসহ আটক করে বাবুগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।

জেলা পুলিশের হিসাব থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে জেলায় মাদকের মামলা হয়েছে ১২৯টি। পরের বছর ২৭২টি। ২০১৬ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৫৫৩টি।

২০১৭ সালে তা আরও বেড়ে হয়েছে ৭০৩টি। ২০১৮ সালে কিছুটা কমে হয়েছে ৬৯৪টি। ২০১৯ সালে তা আরও কমে হয় ৪৭৯টি। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত মামলা ৭৯টি।

পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের জুনে রিফাত শরীফ হত্যার পর পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় মাদক ব্যবসা স্থিমিত হয়ে আসে।

পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে।

তবে বরগুনায় নাগরিকদের সংগঠন পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক হাসান ঝন্টু মনে করেন, করোনাকালে মাদকবিরোধী অভিযানের দিকে পুলিশের মনোযোগ ছিল কম। এ কারণে মাদক কম উদ্ধার হয়েছে; মামলাও কম।

কিশোর গ্যাং ও মাদক প্রসঙ্গে হাসান ঝন্টু বলেন, রাজনৈতিক পদ-পদবির বদৌলতে প্রভাব বিস্তার করে মাদকের ব্যবসায় জড়িয়েছে কিছু লোক। এরা মাদকের বিস্তৃতি ঘটানোর জন্য কিশোরদের ব্যবহার করে ও গ্যাং কালচার সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, মাদকের বিস্তার রোধ না করা গেলে গ্যাং কালচার থেকেও বের হওয়া অসম্ভব।

আরও পড়ুন

জাতীয়
Meeting of the President of International Human Rights Organization FIDH with the Chief Adviser

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এফআইডিএইচের সভাপতির বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এফআইডিএইচের সভাপতির বৈঠক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ) এর সভাপতি অ্যালিস মগওয়ে বৈঠক করেন। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ)ু এর সভাপতি অ্যালিস মগওয়ে বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস মগওয়ের সফরের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সম্পৃক্ততা অত্যন্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আমি বহু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমি তাঁদের সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি বাংলাদেশে আসতে, কারণ দেশটি এখন এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করছে।’

প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, ‘প্রতিটি সফর অবহেলিত বিষয়গুলো সামনে আনে এবং আমাদের সেগুলো নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।’

বৈঠকে তিনি তাঁর প্রয়াত বন্ধু আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর স্মৃতিচারণ এবং ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার প্রতি তাঁদের যৌথ অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন।

গাজার চলমান মানবিক সংকটও আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।

অ্যালিস মগওয়ে জানান, গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে এফআইডিএইচ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি গাজা ইস্যুতে প্রফেসর ইউনূসের অবিচল সংহতির প্রশংসা করেন।

মগওয়ে বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আপনি এবং আপনার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন।’

এফআইডিএইচ সভাপতি গত ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের সময় গুম ও বিরোধী মত দমনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন । একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখেন।

মগওয়ে বলেন, ‘তরুণরা পরিবর্তনের এক প্রবল তৃষ্ণা দেখাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় আমার চিন্তায় থাকে। আমি প্রতিদিন সকালবেলার প্রার্থনায় দেশটিকে স্মরণ করি।’

বৈঠকে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারু-এর সিনিয়র গবেষক তাসকিন ফাহমিনা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

জাতীয়
The Dengue Exam Request of Fever If the Department of Health

জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

জ্বর হওয়ার সাথে সাথে সবাইকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘সকল জ্বরের রোগীকে জ্বর হওয়ার সাথে সাথে নিকটস্থ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো এবং ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

মঈনুল আহসান বলেন, এক দিনে ডেঙ্গু রোগে ৯ জনের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। পর্যালোচনায় দেখা যায় ৯ জনের মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তির দিনই মৃত্যুবরণ করেছেন।

মূলত হাসপাতালে আসতে দেরি করার কারণে ডেঙ্গু রোগ জটিল আকার ধারণ করেছিল বিধায় তাদের চিকিৎসা দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ছিল না। বাকি ২ জনের ১ জনও ভর্তির পরদিনই মৃত্যুবরণ করেছেন। দেরিতে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে উপস্থিত হওয়ার কারণে জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়ছে।

ডেঙ্গু চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ অত্যন্ত সতর্ক ও তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট, স্যালাইন এবং ওষুধ মজুত আছে।

তবে মৃত্যু কমানোর জন্য একইসাথে দ্রুত ডেঙ্গু শনাক্তকরণ, গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসাদান এবং মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

জাতীয়
The secretariat begins with the prohibition of plastic once used Environment Advisor

সচিবালয়কে দিয়েই একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধের যাত্রা শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা

সচিবালয়কে দিয়েই একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধের যাত্রা শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারি অফিসগুলোকে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক থেকে সরিয়ে আনতে সচিবালয়কে দিয়েই যাত্রা শুরু করা হয়েছে।

নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সচিবালয় সম্পূর্ণরূপে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক মুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পানির বোতলসহ একবার ব্যবহার্য অন্যান্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ডিসেম্বরের মধ্যে বন্ধ করা হবে। দেশে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক আইনত নিষিদ্ধ না হলেও, সরকার এটিকে নিরুৎসাহিত করছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দূতাবাস ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসকে প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করেছে।

এর আগে, সকালে সচিবালয়ের ২ ও ৫ নম্বর প্রবেশপথে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বাস্তবায়ন কার্যক্রম মনিটরিং করেন।

এ সময় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ ও ফাইল সংগ্রহ করে তাদের কাপড়ের বিকল্পে ব্যাগ সরবরাহ করা হয়।

সচিবালয়ের ভেতরে সচেতনতামূলক পোস্টার, বোর্ড ও স্ট্যান্ডি পরিদর্শনের পাশাপাশি পর্যটন করপোরেশনের ক্যাফেটেরিয়া ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্যান্টিনও ঘুরে দেখেন।

এছাড়া সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বহন রোধে তল্লাশি চালান।

মন্তব্য

জাতীয়
Buddhist religious leaders exchanged greetings with the main adviser on the occasion of Prabarna Purnima

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ সাক্ষাত করেন। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধিদল।

আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা প্রবারণা পূর্ণিমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করে প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বিহার পরিদর্শনেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

এসময় রাজধানীর উত্তরায় বৌদ্ধদের শেষকৃত্যের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।

বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিষয়টি অবহিত করার পর ১০ দিনের মধ্যে শ্মশানের জন্য স্থান বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে। এটা ইতিহাসে অনন্য।

ঢাকায় বৌদ্ধধর্মের কেউ মারা গেলে শেষকৃত্যের জন্য বহু পথ পারি দিয়ে চট্টগ্রামে যেতে হতো। এখন মৃত্যুর পরে একটা জায়গা হলো।’

বৈঠকে এ বছর কঠিন চীবর দান উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।

পাশাপাশি, তীর্থযাত্রার জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনা, বৌদ্ধ পন্ডিত, ধর্মগুরু ও দার্শনিক অতীশ দীপঙ্করের নামে সরকারিভাবে একটি জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের ভিক্ষু কল্যাণ জ্যোতি, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব জয় দত্ত বড়ুয়া এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, মং হলা চিং, সুশীল চন্দ্র বড়ুয়া, অধ্যাপক ববি বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া ও রাজীব কান্তি বড়ুয়া।

পাশাপাশি ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

মন্তব্য

জাতীয়
The fascist allies are behind the plot to destroy communal harmony Home Advisor

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্ট দোসরদের মদদ রয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্ট দোসরদের মদদ রয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। ছবি : বাসস

ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করা এবং শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্ট দোসরদের মদদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও সহিংসতা সৃষ্টির পায়তারা করেছিল। এ ঘটনায় কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীদেরও ইন্ধন ছিল।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী একটি দেশে দূর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির সময় আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে যেভাবে উপস্থাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে, অসুরের মুখের দাড়ি লাগিয়ে দেওয়ার কাজটির মধ্যে তারই যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা, গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের কড়া নজরদারি এবং দূর্গাপূজা উদযাপনের জন্য গঠিত পূজমণ্ডপ কমিটির সহযোগিতাসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। গতবারের ন্যায় এবারও সারাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজায় সারাদেশে ৭৯৩টি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানো হয়েছে। এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে এত তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে, মেডিকেল রিপোর্টে সে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ পাহাড়ের সাধারণ জনগণের সহযোগিতায় এ ঘটনা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে মোকাবিলা করা সক্ষম হয়েছে। ইতোমধ্যে পার্বত্য এলাকায় অবরোধ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও আইজিপি বাহারুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

মন্তব্য

জাতীয়
Directions of the National Board of Revenue to strengthen intelligence activities at the field level

মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা

মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা

ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে অধিকতর গতিময় করে কর ফাঁকি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মাঠ পর্যায়ের কর অঞ্চলসমূহের Intelligence & Investigation Cell (IIC) এর কার্যক্রম জোরদার করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর অডিট, ইন্টেলিগেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন) এর দপ্তর হতে জারীকৃত উক্ত নির্দেশনায় প্রতিটি কর অঞ্চল কর্তৃক Intelligence & Investigation টিম গঠন, টিমসমূহের কার্য পদ্ধতি, টিমের সুপারিশ প্রণয়নের ভিত্তি এবং ফাঁকি দেয়া কর পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কমিটির অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।

বিভিন্ন প্রকারের গোয়েন্দা তথ্য, কর ফাঁকির অভিযোগ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য, আয়কর নথি ও বিভিন্ন রেজিস্টারে ঘষা-মাজা বা কাটা-ছেঁড়া, অস্বাভাবিক পরিমান করমুক্ত আয় প্রদর্শন, করযোগ্য আয় এবং পরিশোধিত করের তুলনায় সম্পদ বিবরণীতে অস্বাভাবিক পরিমান নীট সম্পদ প্রদর্শন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট টিম অনুসন্ধান ও তথ্য বিশ্লেষণ কার্যক্রম শুরু করবে।

অনুসন্ধান পর্যায়ে কর ফাঁকির সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট টিম রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে Intelligence & Investigation কমিটির অনুমোদনের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করবে। রাজস্ব ফাঁকির সুস্পষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকলে সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলের Intelligence & Investigation কমিটি রাজস্ব পুনরুদ্ধারের আইনি কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুমোদন প্রদান করবে।

প্রতিটি কর অঞ্চলকে মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত ছকে তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ করে Intelligence & Investigation কার্যক্রম হতে সৃষ্ট অতিরিক্ত দাবি এবং অতিরিক্ত দাবী হতে কর আদায়ের বিস্তারিত তথ্য পরবর্তি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

Intelligence & Investigation Cell এর কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে, কর ফাঁকি দেয়ার প্রবনতা হ্রাস পাবে এবং সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ কর সংস্কৃতির বিকাশ লাভ করবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

মন্তব্য

জাতীয়
Bangladesh has strengthened anti human trafficking action US TIP Report

বাংলাদেশ মানবপাচার-বিরোধী পদক্ষেপ জোরদার করেছে : মার্কিন টিআইপি রিপোর্ট

বাংলাদেশ মানবপাচার-বিরোধী পদক্ষেপ জোরদার করেছে : মার্কিন টিআইপি রিপোর্ট

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৫ সালের মানবপাচার (টিআইপি) বিষয়ক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্তরে স্থান দেওয়া হয়েছে। দেশের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন এবং বিশ্বব্যাপী অভিবাসনের চাপ সংশ্লিষ্ট চলমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মানবপাচার মোকাবিলায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য এবং টেকসই অগ্রগতির স্বীকৃতি এটি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার মানবপাচার নির্মূলের সর্বনিম্ন মান সম্পূর্ণরূপে পূরণ না করলেও আগের তুলনায় এখন উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চলছে। বর্তমান সরকার পূর্ববর্তী প্রতিবেদনের সময়ের তুলনায় সামগ্রিকভাবে ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা প্রদর্শন করেছে। সে কারণে বাংলাদেশের অবস্থান এই তালিকায় দ্বিতীয় স্তরে।

প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ মানবপাচার রোধে ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তঃসংস্থা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে।

ভুক্তভোগী শনাক্তকরণ এবং সুরক্ষা পরিষেবা বৃদ্ধি, সম্মুখ সারির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ‘ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম’ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সরকার ১ হাজার ৪৬২ জন পাচারের শিকারকে শনাক্ত করেছে। শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে ১৪৪ জন যৌনকর্মী হিসেবে পাচারের শিকার হয়েছে এবং ২৮৫ জনকে জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৩৩ জন অন্যান্য ধরনের পাচারের শিকার হয়েছে। পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে একই সময়ে ১ হাজার ২১০ জন ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের শনাক্ত করার পর সরকার তাদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক, সমাজকল্যাণ, প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় পরিচালিত কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে এসব ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সহায়তা ও আশ্রয়ের সুযোগও প্রদান করা হচ্ছে।

সরকার সুশীল সমাজের সঙ্গে সমন্বয় করে ভুক্তভোগীদের সেবার ব্যাপারে পুলিশ, অভিবাসন কর্মকর্তা ও শ্রম পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক মানবপাচার-বিরোধী মানদণ্ডের সঙ্গে জাতীয় চর্চাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার মূল পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।


আন্তর্জাতিক মানবপাচার নেটওয়ার্ক তদন্তে ইন্টারপোল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বৈশ্বিক অংশীজনদের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান সহযোগিতার কথাও স্বীকার করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

পাচারবিরোধী পক্ষগুলোকে শক্তিশালী করার এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)-এর মধ্যে সমন্বয় সুদৃঢ় করার জন্য সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরা হয়েছে এতে।

সরকার জাতীয় মানবপাচার বিরোধী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শক্তভাবে পাচার প্রতিরোধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাচার প্রতিরোধ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের জন্য এ বছর ৬২১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২৫ বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে। আগের বছরের তুলনায় এবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের পাচার-বিরোধী কমিটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মুদ্রিত পত্রিকা, রেডিও এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।

এভাবে প্রচারের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন, শ্রম অধিকার এবং প্রতারণামূলক নিয়োগের ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ১০৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে এবং বিদেশগামী কর্মীদের জন্য প্রস্থান-পূর্ব প্রশিক্ষণ সেশন চালু করেছে। এর মধ্যে নারী গৃহকর্মীদের জন্য ৩০ দিনের একটি বিশেষায়িত কোর্সও রয়েছে।

বিদেশে আমাদের দেশ থেকে যাওয়া শ্রমিকদের শোষণের ঝুঁকি কমানোই এসব পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য।

সরকার মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো প্রধান গন্তব্যস্থলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শ্রম চুক্তি জোরদার করেছে। এছাড়া, অভিবাসী শ্রমিকদের অতিরিক্ত ফি থেকে বাঁচানোর জন্য নিয়োগকর্তা প্রদত্ত নিয়োগ মডেল প্রতিষ্ঠা করেছে।

অভিবাসীদের ভবিষ্যত বিবেচনায় জাতীয় একটি নীতিও চালু করা হয়েছে। প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য গৃহীত একটি সমন্বিত পরিকল্পনা এটি। পাচার থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরাও এর অন্তর্ভুক্ত, যেন প্রত্যাবর্তনের পর তারা জীবিকার সুযোগ পায়।

ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যাবাসন এবং আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা সহজ করার জন্য ২০১৫ সালে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কাজ অব্যাহত রেখেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে পাচারবিরোধী সমন্বয় জোরদার করার জন্য ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছে।

প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, দেশের চলমান সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা সব ধরনের মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্তরে স্থান পাওয়ার বিষয়টি আইনের শাসন জোরদার, অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা এবং পাচারের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রতি দেশটির ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতিকে নির্দেশ করে। সরকার মানবপাচার রোধে কাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। সূত্র : বাসস

মন্তব্য

p
উপরে