× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

কুকুর নিয়ে আলোচনা কলকাতাতেও

কুকুর-নিয়ে-আলোচনা-কলকাতাতেও-

পথকুকুরদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের পথ বাতলে দিয়েছেন খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রেডিওতে তাঁর 'মন কী বাত' অনুষ্ঠানে মোদি দেশবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশি কুকুর পালন করার। আত্মনির্ভর ভারত গড়তে বিদেশি কুকুরের বদলে দেশি কুকুর পালনে প্রধানমন্ত্রীর এ পরামর্শ আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে।

তবে কলকাতা শহরে পথকুকুরদের নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। টলিউডের তারকা থেকে শুরু করে বিশিষ্টদের বড় একটি অংশ নিয়মিত ব্যস্ত থাকেন পথকুকুর পরিচর্যায়। আবার উল্টো ছবিরও দেখা মেলে। কলকাতা করপোরেশনে কান পাতলেই শোনা যায় কুকুর নিয়ে হাজারো অভিযোগ নাগরিকদের মধ্যে।

কলকাতা পৌর এলাকায় অন্তত দেড় লাখ পথকুকুর আছে। সংখ্যাটি বেড়েই চলেছে। কলকাতা করপোরেশনের সাবেক মেয়র তথা বর্তমান প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে তারা বন্ধ্যাকরণ অভিযান চালাচ্ছেন নিয়মিত। তবে সেটা যে প্রয়োজনের তূলনায় অনেকটাই কম, মেনে নিচ্ছেন ফিরহাদ। করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ এজন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করছে বলেও জানান তিনি।
কুকুর নিয়ে আলোচনা কলকাতাতেও

কলকাতা পৌরসভার সাবেক ডেপুটি মেয়র তথা বর্তমান পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষের হাতেই কলকাতার স্বাস্থ্য বিভাগের ভার। আর পথকুকুরদের বড় ধরনের আস্তানা সরকারি হাসপাতাল।

গত বছর কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিষ খাইয়ে ১৬টি কুকুর ছানাকে হত্যা করার ঘটনায় গোটা শহর জুড়ে তোলপাড় ওঠে। তদন্তে উঠে আসে, হাসপাতালের নার্সিং স্টুডেন্টরাই হত্যা করেছে কুকুর ছানাগুলিকে। এতে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। তারকা ব্যক্তিত্বরা পথে নামেন কুকুর হত্যার প্রতিবাদে।

তবে হাসপাতালগুলিতে পথকুকুরের বিচরণ বন্ধ হয়নি। এমনকি, সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ডেও দিব্যি রাজত্ব করছে কুকুরেরা। বেড়েই চলেছে তাদের সংখ্যা। পৌরসভার বন্ধ্যাকরণের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ জানান, 'বন্ধ্যাকরণের কাজ চলছে। হাসপাতালগুলির ওপর রয়েছে বিশেষ নজরদারি। পুরসভার পশু চিকিৎসকেরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন পথ কুকুরদের ওপর।'

কলকাতাবাসীদের একপক্ষ পথকুকুরের চরম বিরোধী। প্রায়ই তাঁরা অভিযোগ জানায়, কুকুর নিয়ে সমস্যার কথা বলে। সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, পথকুকুর রাস্তাঘাটে মলত্যাগ করে বলে বহু মানুষ তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। তাই তিনি পৌরসভাকে পরামর্শ দিয়েছেন, কুকুরদের মলত্যাগের জন্য শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কিছু পার্ক নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক। তাতে সমস্যা অনেকটা মিটবে।

রাজ্য রাজনীতিতে শোভনের বিপরীত মেরুর সিপিএম নেতা মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীরও একই অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কুকুরের সমস্যা শুনতে শুনতে কান একেবারে ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির পোষা কুকুরকেও রাস্তা এবং খেলার মাঠে লোকে মলত্যাগ করায়। তার জন্য পাড়ার ফুটবল মাঠে আমাদের পোস্টারও মারতে হয়েছে।’

ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান দেবজয় ঘোষের দাবি, পথকুকুরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতেই সমস্যা বাড়ছে। আরও ভালোভাবে কুকুরের জন্মনিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এছাড়াও পথকুকুরদের ডাকে নাকি অনেকের ঘুম ভেঙে যায়।

আবার কেউ কেউ মনে করেন, রাতের আঁধারে বা ভোরের নরম সূর্যালোকে হাঁটাচলা করতে অসুবিধায় ফেলছে কুকুরের দল। তবে উল্টো ছবিটাও রয়েছে। বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায় বহুদিন ধরেই কুকুরদের নিয়ে কাজ করছেন।

বিশেষ করে পথকুকুরদের নিয়ে। লকডাউনের সময় আরও অনেক তারকা এগিয়ে এসেছেন কুকুরের সেবায়। শ্রীলেখা মিত্রকেও দেখা যাচ্ছে ইদানিং পথকুকুরদের খাওয়াতে। নিয়মিত তারা পথকুকুরদের খাবার দিয়ে থাকেন। রয়েছে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। তারাও নিয়মিত পরিচর্যা করেন কুকুরদের। বহু পাড়ায় এখন রান্না করা খাবার পরিবেশন করছে কুকুরপ্রেমীরা।
কুকুর নিয়ে আলোচনা কলকাতাতেও

তরুণ আইনজীবী দেবলীনা বিশ্বাস সম্প্রতি সামাজিক গণমাধ্যম থেকে জানতে পারেন একটি কুকুর গাড়ি দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে। খবর পেয়ে তিনি ছুটে যান শহর থেকে অন্তত ৭৫ কি.মি. দূরে নদিয়ার চাকদায়। সেখানে আহত কুকুরটির চিকিৎসা করানোর যাবতীয় ব্যবস্থা করেন তিনি। আবার মাঝরাতে কলকাতার পাশেই হাওড়া শহরে এক মদ্যপ গাড়ি চাপা দিয়ে পিষে মারে একটি কুকুরকে। স্থানীয় মানুষ সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদে নামেন। পুলিশ বাধ্য হয় মদ্যপকে গ্রেফতার করতে।

ভারতের মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডের মানুষদের কাছে কুকুরের মাংস জনপ্রিয়। এদের যারা কলকাতায় থাকেন, তারা চোরাগোপ্তা কুকুর শিকার করেন বলে অভিযোগ বহুদিনের। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ থেকে কুকুর চোরাপথে পাচার হয় এই দুই রাজ্যে। সম্প্রতি দুটি রাজ্যেই কুকুরের মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দু-একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ শুরু হয়েছে দুই রাজ্যেই।

নাগারা মনে করেন, কুকুরের মাংস খাওয়া তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। তবু দুই রাজ্যের সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে রাজি নয়।

কলকাতায় পথকুকুরদের নিয়ে কাজ করছে ‘ফাউন্ডেশন ফর এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট স্টাডিজ’। সংস্থার এমডি রজত চক্রবর্তী জানান, কলকাতার কুকুর আসলে করপোশনের সম্পত্তি। এখন পথকুকুরদের পরিচর্যার কাজে পৌরসভার পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এগিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রয়োজনের তূলনায় সেটা অনেক কম।

রজতের মতে, পথ কুকুরদের বন্ধ্যাকরণ অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সেটা নিয়ম মেনে করাতে হবে। না হলে উল্টো ফল হতে পারে। তাঁদের ফাউন্ডেশন নিয়মিত কুকুরের পরিচর্যা করে। এছাড়াও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলকাতার ইস্টার্ন বাইপাসের ধারে কুকুরদের জন্য চিকিৎসালয়ও গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, 'পথকুকুর বা দেশি কুকুরদের নিয়ে কলকাতার মানুষদের দয়া-মায়া কম। ফ্ল্যাট কালচারের মানুষেরা পছন্দ করেন না পথকুকুরদের। তবে ইদানিং ছবিটা বদলাচ্ছে। তবে মফঃস্বলের মানুষ চিরকালই দেশি কুকুরের ভক্ত।'

আরও পড়ুন

জাতীয়
Bhor paper announced to stop publication

ভোরের কাগজ প্রকাশনা বন্ধ ঘোষণা

ভোরের কাগজ প্রকাশনা বন্ধ ঘোষণা ভোরের কাগজের লোগো। ছবি: ভোরের কাগজ
পত্রিকাটির মালিকপক্ষ সোমবার একটি নোটিশের মাধ্যমে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধের ঘোষণা দেয়।

দৈনিক ভোরের কাগজ প্রকাশনা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পত্রিকাটির মালিকপক্ষ সোমবার একটি নোটিশের মাধ্যমে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধের ঘোষণা দেয়।

নোটিশে বলা হয়, শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র জানায়, গত কয়েক দিন ধরেই ভোরের কাগজে কিছু সংবাদকর্মী অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন দাবি এবং তাদের নিয়োগের তারিখ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য আন্দোলন করছিলেন। সংবাদকর্মীদের একটি অংশ রোববার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এবং বহিরাগতদের নিয়ে ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ ভোরের কাগজের মালিকপক্ষ বন্ধের নোটিশ জারি করে।

সংবাদপত্রটির বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে মালিকপক্ষ বন্ধের নোটিশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন:
‌‌‘মিথ্যা সাক্ষী দেয়নি বলেই কি বাবা জেলে?’
সব কোচিং সেন্টার ২২ দিন বন্ধের নির্দেশ, না মানলে কঠোর ব্যবস্থা
নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
হজযাত্রী নিবন্ধনে শেষবারের মতো সময় বৃদ্ধি
রাজধানীর যেসব এলাকায় টানা ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকছে না

মন্তব্য

জাতীয়
BGB got permission to launch sound grenades and tear shells

সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ছোড়ার অনুমোদন পেল বিজিবি

সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ছোড়ার অনুমোদন পেল বিজিবি বিজিবির লোগো। ছবি: বিজিবি
বৈঠকে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, অনুপ্রবেশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা মোকাবিলায় বিজিবির কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। এ জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ব্যবহার করার মতো সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছে। বিজিবির ব্যবহারের জন্য এসব সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন দ্রুত কার্যকর করা হবে।

সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছোড়ার অনুমোদন পেয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দ্রুত কিনতে পারবে বিজিবি।

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‌‘দেশের সীমান্তে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিজিবির সক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। তাই বিজিবিকে অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করা হচ্ছে।’

বৈঠকে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, অনুপ্রবেশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা মোকাবিলায় বিজিবির কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। এ জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ব্যবহার করার মতো সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছে। বিজিবির ব্যবহারের জন্য এসব সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন দ্রুত কার্যকর করা হবে।

আরও পড়ুন:
সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
মিয়ানমার সীমান্তে শীতবস্ত্র বিতরণ কোস্ট গার্ডের
বিজিবি’কে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে হবে
শার্শা সীমান্তে নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
সীমান্তে অনুপ্রবেশ বরদাশত নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

মন্তব্য

জাতীয়
Designation of new uniforms for police RAB and Ansar

পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের জন্য নতুন পোশাক নির্ধারণ

পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের জন্য নতুন পোশাক নির্ধারণ পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের জন্য নির্ধারিত নতুন পোশাক। ছবি: ইউএনবি
নতুনভাবে পুলিশের জন্য আয়রন রঙের পোশাক, র‌্যাবের জন্য গ্রিন অলিভ এবং আনসারদের জন্য গোল্ডেন হোয়াইট রঙের পোশাক নির্বাচন করা হয়েছে।

পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের জন্য নতুন পোশাক নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুনভাবে পুলিশের জন্য আয়রন রঙের পোশাক, র‌্যাবের জন্য গ্রিন অলিভ এবং আনসারদের জন্য গোল্ডেন হোয়াইট রঙের পোশাক নির্বাচন করা হয়েছে।

সচিবালয়ে সোমবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারদের জন্য তিনটি পোশাক নির্ধারণ করেছি। এসব পোশাক পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করা হবে। যেসব পোশাক রয়েছে, সেসব আস্তে আস্তে বদলে ফেলা হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পোশাক পরিবর্তনে বড় ধরনের অর্থ সংকুলানের সমস্যা হবে না।’

আরও পড়ুন:
পুলিশে ১৫ বছরে ৯০ হাজার নিয়োগ রাজনৈতিক পরিচয়ে
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি
বলপ্রয়োগ: পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি ৭১.৫% মানুষের
নওগাঁয় ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৭৬ জন
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ করবে কমিশন

মন্তব্য

জাতীয়
Police RAB and Ansar uniforms are changing

পরিবর্তন হচ্ছে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক

পরিবর্তন হচ্ছে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তিন বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কথা জানান। ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ, র‍্যাব, আনসার; তিন বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মন-মানসিকতারও পরিবর্তন হবে বলে আশা করি।’

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী তিন বাহিনী পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় সোমবার তিনি এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ, র‍্যাব, আনসার; তিন বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মন-মানসিকতারও পরিবর্তন হবে বলে আশা করি।’

পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘কমিশনের প্রতিবেদন এখনও আমাদের কাছে আসেনি। তারা যে সুপারিশ করেছে, তা ভালো। কিন্তু এগুলো বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। এর আগে তাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’

সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবির কাছে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল না থাকায় তা ব্যবহার করা হয়নি। তাদের কাছে আছে মারণাস্ত্র। এখন সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কারণ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে তা আছে।’

অবৈধ বিদেশিদের সংখ্যা দেশে কমে আসছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘দেশে অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছে। সংখ্যাটা আগে ছিল ৪৯ হাজার ২২৬ জন। তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জনে।

‘৩১ জানুয়ারির মধ্যে তাদের দেশত্যাগ করতে হবে। না গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে, তাদের বিষয়েও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের ইউনিফর্ম, লোগো সব পরিবর্তন করা হবে। অনেকের মন ভেঙে গেছে। এই ইউনিফর্ম পরে পুলিশ আর কাজ করতে চাইছে না।

‘খুব দ্রুতই তা পরিবর্তন করা হবে। এসব বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি
বলপ্রয়োগ: পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি ৭১.৫% মানুষের
নওগাঁয় ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৭৬ জন
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ করবে কমিশন
২৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি

মন্তব্য

জাতীয়
The government is struggling to control the market due to the false information of the Awami League government Press Secretary

আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা তথ্যের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সরকার: প্রেস সচিব

আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা তথ্যের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সরকার: প্রেস সচিব ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রেস সচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এতদিন দেশবাসীকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে; বলেছে, উৎপাদন বেড়েছে।কিন্তু ঘটনা উল্টো, যার ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে।’

বাজার নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দুষেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেছেন, পূর্ববর্তী সরকারের মিথ্যা তথ্যের কারণেই বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে বর্তমান সরকার।

সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, আলুর উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। যদিও বিগত সরকার আলুর বাম্পার ফলন দেখিয়েছে।

কৃষি সাংবাদিকতাবিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন শেষে রবিবার সকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এতদিন দেশবাসীকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে; বলেছে, উৎপাদন বেড়েছে।কিন্তু ঘটনা উল্টো, যার ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের জুট চুক্তি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল। এর ফলাফল ১৯৭৪ সালে ১০ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গেছে।’

নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে প্রেস সচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হবে। সেই সঙ্গে কী পরিমাণ সংস্কার চায়, তার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হবে।’

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যাদের হাতে রক্ত আছে, তাদের সবার বিচার হবে। দলটির নেতাদের মধ্যে এখনও কোনো অনুশোচনা নাই।

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা এই সরকারের নেই। তাদের নিষিদ্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো।’

২০২৫ সালের বাজেট জনবান্ধব হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যৌক্তিকতা বিবেচনা করেই সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

আরও পড়ুন:
আমরা বেঁচে থাকতে সীমান্তে কেউ আসতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪ আগস্টের পর ৪০ মাজারে ৪৪ বার হামলা: প্রেস উইং
চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিএ প্রেস উইং
আবার সচিবালয়ের সামনে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইরা
রাজনৈতিক কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটলে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

জাতীয়
No one can come to the border while we are alive Home Advisor

আমরা বেঁচে থাকতে সীমান্তে কেউ আসতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা বেঁচে থাকতে সীমান্তে কেউ আসতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
উপদেষ্টা বলেন, ‘আগের সরকার কিছুটা ছাড় দিত। এখন অধিকার আদায়ে ছাড় দিচ্ছি না। তাই কিছু বিষয়ে ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ডিজি লেভেলের বৈঠক হবে। সেখানে সমাধান হবে বলে আশা করছি।’

সীমান্ত সবসময় সুরক্ষিত বলে রবিবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমরা বেঁচে থাকতে আমাদের সীমান্তে কেউ আসতে পারবে না।’

বিসিএস ক্যাডারভুক্ত (প্রশাসন, পুলিশ, বন ও রেলওয়ে) এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের ১৩৭তম সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্স-২০২৪-২৫-এর সনদপত্র বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আগের সরকার কিছুটা ছাড় দিত। এখন অধিকার আদায়ে ছাড় দিচ্ছি না। তাই কিছু বিষয়ে ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে ডিজি লেভেলের বৈঠক হবে। সেখানে সমাধান হবে বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ধান ও গাছ কাটা নিয়ে যে বিরোধ চলছে, সেটা দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে।’

সিভিল সার্ভিসের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘চাকরি হারানোর ভয় না থাকায় সিভিল সার্ভিস কর্মীদের ক্ষেত্রে সেবায় অনীহা কাজ করে এবং শৃঙ্খলা থাকলে ক্যাডারদের মধ্যে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি থাকত না।’

দুর্নীতিকে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুর্নীতি না কমলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার আত্মীয়স্বজন বেড়ে গেছে। আমাদের পরিচয় দিয়ে কেউ সুবিধা নিতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি করলে সেটারও সঠিক তথ্য প্রকাশ করুন।’

ওই সময় জুলাই আন্দোলনে আহতদের কর্মসংস্থানের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

আরও পড়ুন:
ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর ও ভাতের হোটেল থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না ডিবি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থেকে কাজ করছে: প্রধান উপদেষ্টা
মিয়ানমারে সংঘাত: মাছ ধরার নৌকায় অনুপ্রবেশ ৩৬ রোহিঙ্গার
সব পাঠ্যবই কবে দেয়া যাবে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব না: শিক্ষা উপদেষ্টা

মন্তব্য

জাতীয়
The review hearing on the caretaker government ruling is on February 9

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংক্রান্ত রায়ের রিভিউ শুনানি ৯ ফেব্রুয়ারি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংক্রান্ত রায়ের রিভিউ শুনানি ৯ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। ছবি: বাসস
বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেন। এরপর জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রিভিউ শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানির দিন আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।

বিষয়টি রবিবার কার্যতালিকার ১৩ নম্বর ক্রমিকে ছিল।

বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেন। এরপর জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রিভিউ শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

গত ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রিভিউটি ১৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেন।

আদালতে সেদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ অক্টোবর রিভিউর (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে এ বিষয়ে রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এ ছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন। এসব রিভিউ আবেদনের একসঙ্গে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে উত্থাপিত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়।

এরপর ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

এদিকে গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

আরও পড়ুন:
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রায় রিভিউ আবেদন
‘খলিশাপুরের কুকুরগুলো ও রকিবের থিসিস’ একটি নতুন ভাবনা
তত্ত্বাবধায়ক ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন না আইনমন্ত্রী
বিএনপি না এলে একতরফা নির্বাচনের ইঙ্গিত
তত্ত্বাবধায়কে ফেরা কি আসলে সম্ভব?

মন্তব্য

p
উপরে