‘পুরো হাউজিং (মোহাম্মদপুরের চান মিয়া হাউজিং) এর রাস্তায় চিল্লাইয়া চিল্লাইয়া ডাকতেছিলাম। কারণ, আমি জানি আমার ডাক কানে গেলে ও আশেপাশে থাকলেও আসবে। দেখলাম একদম চিপা অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসতেছে। ওরে দেখে কান্না করে দিছি। মাথায় হাত দেয়ার সাথে সাথে হেসে দিছে।’
চান মিয়া হাউজিং এ থাকেন ফারিহা আজাদ বৃষ্টি। পথের ধারের এক কুকুরকে আপন করে নিয়েছেন তিনি। আদর করে নাম দিয়েছেন লাল্লু। তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না বলে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তবে কিছুক্ষণ পর ফিরে স্বস্তি।
‘ভাবছিলাম হয়তো সিটি করপোরেশনের লোকেরা অন্য কুকুরদের পাশাপাশি ওরেও নিয়ে গেছে। ওরে খাইয়ে দিয়ে, পাশের এক দারোয়ানকে রিকোয়েস্ট করে আসছি। কেউ ধরতে আসলে যেন বলে, তারা লাল্লুকে পালেন। ও খুবই শান্ত বাচ্চা, কারো ক্ষতি করে না।‘
‘জানি না কতদিন বা কতক্ষণ ওরে এমন নজরে নজরে রাখতে পারব‘-লাল্লুদের জন্য ভীষণ দুশ্চিন্তায় বৃষ্টি।
রাজধানীতে পথ কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেছে – এই যুক্তিতে সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৩০ হাজার কুকুর সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পরিচ্ছন্নকর্মীরা কুকুর ধরা শুরুও করে। তবে এখন দৃশ্যমান তৎপরতা বন্ধ।
পশুপ্রেমীরা এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না। তারা একে অমানবিক ও অযৌক্তিক বলছেন। পরিচিত কুকুরগুলোর খোঁজ নিচ্ছেন তারা হন্যে হয়ে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুকুর নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর জনস্বার্থে কুকুর অপসরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।‘
প্রশ্ন হচ্ছে, ঢাকায় কুকুরের সংখ্যা কি আসলেই অনেক বেড়ে গেছে? সংখ্যাটি কত হওয়া বাঞ্ছনীয়?
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কমিউনিকেবল ডিজিজেস কন্ট্রোল ইউনিটের (সিডিসি) একটি হিসাব বলছে, সারা দেশে জনসংখ্যার বিপরীতে কুকুরের যে গড় অনুপাত, তার তুলনায় রাজধানীতে কুকুরের সংখ্যা কম।
জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধে সিডিসি বেওয়ারিশ কুকুরকে টিকা দিয়ে থাকে। ফলে কুকুরের সংখ্যার হিসাব তাদের করতে হয়। এই কর্মসূচির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সারাদেশে প্রতি ১০০ জনের বিপরীতে একটি করে কুকুর আছে। এই অনুপাত বহাল থাকলে দেড় কোটি জনসংখ্যার ঢাকা শহরে কুকুর থাকার কথা দেড় লাখ।
অথচ সিডিসির জলাতঙ্ক নির্মুল কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী ঢাকায় কুকুরের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫১২টি; এর মধ্যে উত্তরে ২২ হাজার ২৫৩ এবং দক্ষিণে ২৬ হাজার ২৫৯টি। অর্থাৎ ঢাকায় প্রতি ১০০ জনে কুকুরের সংখ্যা ০.৩ এর কম।
২০১৩ সালে অক্সেফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত ‘ফ্রি রেঞ্জিং ডগস অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন’ বইতে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে কুকুরের সংখ্যা ৯০ কোটি। এর মধ্যে মালিকহীন কুকুরের সংখ্যা ৪৩ কোটির মতো। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনের বিপরীতে পথ কুকুর আছে পাঁচটির বেশি।
মিডিয়াইন্ডিয়া নামে একটি সংস্থা জানাচ্ছে, ভারতে পথ কুকুরের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনে প্রায় তিনটি কুকুর রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ফারিহা আজাদ বৃষ্টি মোহম্মদপুরে তার বাড়ির আশেপাশের কুকুরগুলোর নিয়মমিত যত্ন নেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হিসাবে কলকাতায় মালিকহীন কুকুরের সংখ্যা দেড় লাখের মতো।
সরকারি হিসাব ধরলে সারা বিশ্ব, এমনকি সারা দেশের অনুপাতের চেয়ে ঢাকায় কুকুরের সংখ্যা কম হওয়ার বিষয়টি জানা আছে কি না- এমন প্রশ্ন উপেক্ষা করে যান ঢাকা দক্ষিণের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের।
প্রাণী সংগঠন অভয়ারণ্য-এর প্রতিষ্ঠাতা রুবাইয়া আহমেদ বলেন, ‘ঢাকায় কুকুরের সংখ্যা কমে গেছে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে লোকসমাবেশে কুকুর বেশি চোখে পড়ছে। তার মূল কারণ, পশুর প্রতি মানুষের প্রেম। মানুষ তাদের কাছে ডাকছে, খাওয়াচ্ছে, আদর করছে। কুকুররাও তাই মানুষের কাছাকাছি চলে আসছে।‘
কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কুকুরগুলোকে
এই প্রশ্ন নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। নগরভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাণীগুলোকে মাতুয়াইলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, যদিও এর সত্যতার প্রমাণ মেলেনি।
মাতু্য়াইলবাসী বলছে, গত ১৫ থেকে ২০ দিনে তারা নতুন কোনো কুকুর এলাকায় দেখতে পায়নি।
মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে (ময়লা ফেলার ভাগাড়) বোতল কুড়াচ্ছিল রুহুল আমিন। সেও জানায়, নতুন কোনো কুকুর তার চোখে পড়েনি।
‘এই এলাকার সব কুত্তা আমি পালি, তাদের খাওয়াই। রাজ্জাক, টম, কিটু এরা সব আমার কুত্তা। এহানে আমি কোনো নতুন কুত্তা দেহি নাই। থাকলে আমি সবার আগে জানতাম।‘
স্থানীয় এক মুদি দোকানি শরিফ মিয়া বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের গাড়ি থেইকা কুকুর নামাই গেছে এমন কিছু দেহি নাই। কারো থেইকা শুনিও নাই।‘
মাতুয়াইলের ল্যান্ডফিল্ডের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হারুনও বলেছেন, ঢাকা থেকে অপসরণ করা কুকুর মাতুয়াইল নিয়ে আসার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
মাতুয়াইলে না নিলে কুকুরগুলো কোথায় নেওয়া হচ্ছে? ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছেরের জবাব নেই। বলেন, ‘অফিশিয়ালি-আন অফিশিয়ালি আমাকে যতটুকু বলার অনুমতি দেয়া আছে আমি তা জানিয়েছি। এর বাইরে আমি কিছু বলতে পারব না।’
অসুস্থ পথ কুকুরের খোঁজ পেলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন মোহাম্মদপুর এনিমেল রেসকিউ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সাবিরা কিয়াফাত।
অপসারণ বা নিধনই কি সমাধান
কুকুর শহরের বাইরে ফেলে দিয়ে আসলে এর প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটা নিয়েও ভাবছেন পশুপ্রেমীরা। নতুন পরিবেশে খাদ্য সংকটে প্রাণীগুলো বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে কি না, সেটা নিয়েও আছে দুশ্চিন্তা।
অবশ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘মালিকানাহীন কুকুরদের স্থানান্তর করতে আমরা একটি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। আমরা সেগুলোকে অন্য জেলাগুলোতে পাঠিয়ে দেব। এমন এলাকায় পাঠাব যেখান থেকে তারা খাবার সংগ্রহ করতে পারে।’
কুকুর অপসারণের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করা সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’ এর প্রতিষ্ঠাতা রুবাইয়া আহমেদ বলেন, ‘কুকু্রের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার মূল উপায় হলো বন্ধ্যাত্বকরণ। আমরা যখন এই প্রস্তাব দেই তখন উত্তর সিটি সাড়া দিলেও, দক্ষিণ সিটি আগ্রহ দেখায়নি।
‘সেটা না করে এভাবে অপসরণ করে হিতে বিপরীত হবে। অপসরণকৃত কুকুরগুলো ট্রমাটাইজ হয়ে থাকবে। সেক্ষেত্রে মানুষের ক্ষতি বরঞ্চ বেশিই হবে।’
রিট করা আরেক সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল বলেন, ‘অপসরণ কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। তাছাড়া কুকুরদের তার পূর্ব অবস্থানে ফিরে আসার চান্স থাকে। নতুন পরিবেশে অনেক সময় স্থানীয় কুকুরেরা অভিযোজন করতে পারে না। তাই অপসরণকৃত কুকুরগুলো আক্রমণাত্মক আচরণ করবে।’
শহরে কুকুরের সঙ্গে সহাবস্থানের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার প্রচারণা চালানো যেতে পারে বলেও মনে করেন এমিল। বলেন, ‘মানুষ এখনও ভাবে, কুকুর কামড়ালে পেটে বাচ্চা হয়, নাভিতে ১৫-২০টা ইনজেশকন দেয়। এই ধারণাগুলো যে ভুল, সে তথ্য সঠিকভাবে জানালে অর্ধেক মানুষের কুকুরভীতি চলে যাবে।'
মোহাম্মদপুর এনিমেল রেসকিউ গ্রুপের সভাপতি সাবিরা কেয়াফাত বলেন, ‘মাথা ব্যথা হলেই মাথা কেটে ফেলেন আপনারা? তাহলে, কুকুর নিধনকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে কেন দেখছেন?
‘কুকুরের ক্ষতি করতে না চাইলে তারা কখনো কাউকে আক্রমণ করে না। তারা নিজেরাই অসহায়।‘
অবশ্য কুকুর অপসারণের দাবিতেও সোচ্চার বেশ কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন। ঢাকায় বছরে ৭০ হাজারের বেশি মানুষকে কুকুর কামড়াচ্ছে- এই যুক্তি তুলে বেওয়ারিশ কুকুর অপরারণের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন হয়েছে।
কুকুর নিধনের পক্ষে দফায় দফায় মানববন্ধন করছেন ‘আমরা সচেতন ঢাকাবাসী’ নামে একটি সংগঠন। দ্রুত কুকুর নিধনের ব্যবস্থা না নিলে জানুয়ারিতে বৃহত্তর আন্দোলনে করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
একটি মানববন্ধনে রাকিব হাসান নামে একজন বলেন, ‘অনেকেই এই বেওয়ারিশ কুকুরের জন্য মায়া কান্না কাঁদছেন। এগুলো লোক-দেখানো। কারণ কুকুর তাদের উত্যক্ত করে না। তারা জার্মান শেফার্ড নিয়ে গাড়িতে ঘোরেন। আমরা যারা জনসাধারণ, কুকুরের যন্ত্রণায় বাসা থেকে বের হতে পারি না, বাচ্চাদের খেলতে পাঠাতে পারি না, আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।’
রিটের পর কুকুর ধরা বন্ধ
কুকুর অপসারণ বন্ধের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং দুই প্রাণী কল্যাণ সংগঠন ‘অভয়ারণ্য‘ ও ’পিপল ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার’ যৌথভাবে আবেদনটি করেছে।
আবেদনের ওপর শুনানি শুরু না হলেও এরপর থেকে কুকুর ধরা বন্ধ আছে।
আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী সাকিব মাহবুব বলেন, প্রাণীকল্যাণ আইন-২০১৯ এর ধারা ৭ অনুযায়ী, বেওয়ারিশ কুকুরসহ কোনো প্রাণীকে অপসারণ, স্থানান্তর ও ফেলে দেওয়া যাবে না।
ঈদুল ফিতরকেন্দ্রিক যাত্রায় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও এক হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
যাত্রীদের স্বার্থ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
ঈদযাত্রায় অন্যান্য পথে দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছে। নৌপথে দুটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, পাঁচজন আহত হয়েছে।
‘সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে।’
যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মোজাম্মেল বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানীর বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবত পর্যবেক্ষণ করে আসছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে।
‘দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেছে। সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল।
‘বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।’
আরও পড়ুন:সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে ও সেই সঙ্গে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অস্থান নিয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
শনিবারের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
তাপপ্রবাহ নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশালের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে যা অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য স্থানে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:কদিন ধরেই তীব্র গরম। দেশের কোথাও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গরম অবশ্য কমছে না। আবহাওয়া আপাতত এমনই থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে বলা হয়, একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী পাঁচ দিনের পূর্বভাসে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ প্রায় একই রকম থাকতে পারে। আবহাওয়ায় তেমন পরিবতর্তন আসবে না।
দেশে চলমান দাবদাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ কথা জানায়।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
‘জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’
৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।
অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’
‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’
আরও পড়ুন:সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবকিছু করছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি: স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি
সেনাপ্রধান বলেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।’
বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির বাণী ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে আমরা সবকিছু করছি।’
জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশ-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, আমরা সুযোগ গ্রহণ করি এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করি।’
সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়। কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’
মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।
‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’
জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন দেশেই তৈরি হচ্ছে যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে। আগে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো। তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনও ভুলে যায় না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
‘উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না। আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু না-ও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য