নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল।
তিনি বলেন, দগ্ধ হয়ে ৩৭ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়। বাকি ১৩ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। দগ্ধদের মধ্যে বেশিরভাগেরই শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অনেকের শরীর কম পুড়লেও শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাই কেউই শঙ্কামুক্ত নন।
চিকিৎসাধীন ১৩ জনের মধ্যে ছয়জন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিউ) রয়েছেন। এ ছাড়া ছয় জন পোস্ট অপারেটিভ ইউনিট ও একজন জেনারেল ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
এদিকে মসজিদে বিস্ফোরণে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এতে সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে আসামি করা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার দুই দিনের মাথায় রবিবার সকালে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, অবহেলাজনিত কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২২ জনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনকে নারায়ণগঞ্জে ও বাকিদের নিজ জেলায় গ্রামের বাড়িতে সমাহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত প্রতিটি পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
রবিবার ফতুল্লায় মসজিদ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি তোলেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা।