× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Bechi dai kini book and then Ekushey Padak
google_news print-icon

বেচি দই কিনি বই, অতঃপর একুশে পদক

বেচি-দই-কিনি-বই-অতঃপর-একুশে-পদক
একুশে পদকের জন্য মনোনীত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের জিয়াউল হকের রুটি-রুজির মাধ্যম দই বিক্রি। ছবি: নিউজবাংলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভুজা বটতলা গ্রামের সাদাসিধে মানুষটি শিক্ষার আলো ছড়াতে গড়ে তুলেছেন একটি পাঠাগার। শুধু পাঠাগার নয়, নানা প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আসছেন। সামাজিক কাজে তিন কোটি টাকার বেশি খরচ করেছেন এই সাদা মনের মানুষ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভুজা বটতলা গ্রামের জিয়াউল হক এবার একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। অতিসাধারণ মানুষটি সমাজ সেবায় অনন্য অবদানের জন্য পর্যাদাপূর্ণ এই পদক হাতে নিতে যাচ্ছেন।

গ্রামের এই সাদাসিধে মানুষটি শিক্ষার আলো ছড়াতে গড়ে তুলেছেন একটি পাঠাগার। ১৯৬৯ সালে নিজ বাড়িতেই গড়ে তোলেন জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার। শুধু পাঠাগারই নয়, নানা প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকছেন। সামাজিক কাজে তিন কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছেন এই সাদা মনের মানুষ।

জিয়াউল হক বলেন, ‘ভালো কিছু করলে যে ভালো কিছু পাওয়া যায় তার প্রমাণ পেলাম। আমাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যে সম্মান জানানো হবে এটা জানার পর থেকে মন থেকে আনন্দিত হয়েছি। এ বয়সে একুশে পদকের মতো এতো বড় সন্মান পেয়ে আমি সত্যিই খুশি হয়েছি।’

বেচি দই কিনি বই, অতঃপর একুশে পদক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভুজা বটতলা গ্রামে নিজ বাড়িতে পাঠাগারে সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক। ছবি: নিউজবাংলা

বেচি দই কিনি বই

সাদাসিধে মানুষটি পেশায় দই বিক্রেতা। এক সময় সাইকেলে ঝুড়ি মাথায় নিয়ে পথে-ঘাটে ঘুরে ঘুরে দই বিক্রি করতেন। ৯১ বছর বয়সে এসেও তার রুটি-রুজির অবলম্বন দই বিক্রি।

জিয়াউল হকের দইয়ের খ্যাতি জেলা জুড়েই। খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে দই বানানো। সেই সততার কারণেই ভোক্তাদের মনে জায়গা করে নেয় জিয়াউল হকের দই। অনেকেই তার দই কেনার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত ছুটে যান।

দই বিক্রি করে সামান্য আয় থেকেই এলাকার হতদরিদ্র তরুণদের মূলত পাঠ্যবই কিনে দিতেন জিয়াউল হক। নিজে অভারের কারণে পড়ালেখা করতে না পারার আক্ষেপ তার বরাবরের। গ্রামের কারও পড়ালেখা যাতে অর্থের অভাবে বন্ধ না হয়ে যা, সেই ভাবনা থেকেই পাঠ্যবই কিনে দেয়া শুরু করেন জিয়াউল হক।

বইয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকলে পাঠাগার গড়ে তোলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভূজা এলাকার বটতলা গ্রামে নিজ বাড়ির একটি কক্ষে গড়ে ওঠে তার পাঠাগার। ‘জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার’ নামে সেই পাঠাগার দিন যত গড়িয়েছি ততই আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এ পাঠাগারে ২০ হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছে।

জিয়াউল হকের দেয়া বই পড়ে আজ তারা শিক্ষক

জিয়াউল হকের কাছ থেকে বই নিয়ে পড়ে শিক্ষক হয়েছেন ভোলাহাট উপজেলার পীরগাছি দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার মজিবুর রহমান (৫৯) ও মুসরীভূজা ইউসুফ আলী হাইস্কুল এন্ড কলেজের আজিজুল হক (৪৫)।

তারা জানান, জিয়াউল হকের কাছ থেকে পাঠ্যবইসহ সার্বিক সহযোগিতা না পেলে তারা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতেন না। এ জন্য তাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। জিয়াউল হক একুশে পদকের জন্য মনোনীত হওয়ার খবরে তারা খুবই আনন্দিত।

শুধু এ দুজনই নন, আরও অনেকেই পড়ালেখা করেছেন জিয়াউল হকের পাঠাগারের বই নিয়ে।

জিয়াউল হক বলেন, ‘১৯৬০ সালে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণের কাজ শুরু করি। এখনও তা চলমান।’

মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন সাড়ে তিন কোটি টাকা

পেশায় দই বিক্রেতা, সাদাসিধে জিয়াউল হক সামাজিক নানা কল্যাণ কাজে এ পর্যন্ত খরচ করেছেন সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অসহায় মানুষের ঘর নির্মাণ, টিউবওয়েল স্থাপন, মসজিদ, কবরস্থানের উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণসহ নানা খাতে তিনি ব্যায় করেছেন এই টাকা। জিয়াউল হকের সততার কারণে অনেকেই তার কাছে অনুদান পাঠিয়েছেন। সেসব সহযোগিতা গ্রহণ করে তিনি জনকল্যাণকর কাজে ব্যয় করেছেন।

জিয়াউল হক বলেন, ‘স্কুল-কলেজে বই বিতরণ, অসহায় মানুষের ঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে যে সহযইগতা করেছি তার মধ্যে দেড় কোটি টাকাই দিয়েছেন আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা। বাকিটা দই বিক্রি করেই করা।’

পদকের অর্থে বানাবেন পাঠাগারের ঘর

জিয়াউল হকের নিজ বাড়ির একটি ঘরেই কার্যক্রম পরিচালিত হয় তার পাঠাগারের। বিকেল বেলা অনেক শিক্ষার্থী বই পড়ার জন্য আসেন। কিন্তু তাদের বসার স্থান সংকুলান হয় না। পাঠাগারের পরিসর বাড়ানোর পরিকল্পনা অনেক দিন থেকেই করছেন তিনি। কিন্তু পেরে উঠছিলেন না। তাই পদক থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই পাঠাগারের পরিসর বাড়ানোর চিন্তা গুণী এই মানুষটির।

পদকের অর্থ দিয়ে কী করবেন- এমন প্রশ্নে তাই জানালেন, ‘পাঠাগারে জায়গার সংকুলান হয় না। আরও একটি ঘর করতে পারলে ভালো হয়। এ অর্থ দিয়ে পাঠাগারের আরও একটি ঘর বানাব।’

ব্যক্তি-জীবন

মরহুম তৈয়ব আলী ও শরীফুন নেসা দম্পতির ছেলে জিয়াউল হকের জন্ম ১৯৩৮ সালে। ব্যক্তিগত জীবনে তার স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রথম স্ত্রী সারাবান তহুরার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রী ফরিদা হককে নিয়ে বটতলা গ্রামে বসবাস করছেন।

আনন্দের বন্যা চাঁপাইনবাবগঞ্জে

একুশের পদকের জন্য সাদামনের মানুষ মনোনীত হওয়ায় আনন্দের বন্য বয়ে যাচ্ছে উপজেলা ভোলাহাটসহ গোটা চাঁপাইনবাবগঞ্জে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই তার ছবি পোস্ট দিয়ে জানাচ্ছেন অভিনন্দন। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই ফুল দিয়ে যাচ্ছেন জিয়াউল হকের বাড়িতে।

বুধবার তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্কাউটস। জেলা স্কাউট সম্পাদক গোলাম রশিদের অভিব্যক্তি, সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন পাওয়ায় জেলাবাসী গর্বিত ও আনন্দিত। তার এ সম্মানপ্রাপ্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নামটাও উজ্জ্বল হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনের সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘যোগ্য একজন মানুষকেই একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তিনি দই বেচে বই কিনে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করে এবং গরিব ছাত্রদের মাঝে বই বিলি করে সাদা মনের মানুষ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। সমাজসেবায়ও অনন্য অবদান রেখেছেন এই গুণী। তার এই প্রাপ্তিতে জেলাবাসী গর্বিত।’

আরও পড়ুন:
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহসহ একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ জন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Fakhrul unveiled the mural on the completion of three years of ESDO

ইএসডিও’র তিনযুগ পূর্তিতে ম্যুরাল উন্মোচন করলেন ফখরুল

ইএসডিও’র তিনযুগ পূর্তিতে ম্যুরাল উন্মোচন করলেন ফখরুল
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ইএসডিও’র তিন যুগ পূর্তি উৎসবে দেশের আলোকিত মানুষদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশের সঙ্গে আমি পূর্ণ-একাত্মতা প্রকাশ করছি।’

ঠাকুরগাঁওয়ের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ইকো-সোশাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-ইএসডিও’র তিনযুগ পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়েছে শুক্রবার।

‘তৃণমূল মানুষের সাথে: তৃণমূল মানুষের পাশে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইএসডিও’র তিন যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির প্রথম দিনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিন যুগের ম্যুরাল উন্মোচন করেন বিএনপি মহাসচিব ও ‘ইকো-সোশাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় ও ইএসডিও’র নিজস্ব পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইদুর রহমান।

এরপর সংস্থার কর্মী সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ শহীদ উজ জামান।

কর্মী সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সরাসরি উপস্থিত হতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইএসডিও’র তিন যুগ পূর্তি উৎসবে দেশের আলোকিত মানুষদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশের সঙ্গে আমি পূর্ণ-একাত্মতা প্রকাশ করছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম সরকারের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালকসহ সব উন্নয়ন কর্মীকে শুভেচ্ছা জানান।

উল্লেখ্য, বিএনপি মহাসচিবের হয়ে ম্যুরালের পর্দা উন্মোচন করেন জেলার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মির্জা ফয়সাল আমীন।

এরপর ‘অনুভবে ঠাকুরগাঁও’ শীর্ষক তরুণ শিল্পীদের চিত্র প্রদর্শনী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

সন্ধ্যায় ইএসডিও’র তিন যুগ পূর্তিতে ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিএআরসি’র চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, সরকারের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক মো: ইউনুছ আলীসহ দেশবরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা-রাতে রংপুরের বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশনায় ‘ঐতিহ্যবাহী ভাওয়াইয়া উৎসব’র মধ্যদিয়ে শেষ হবে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন:
সিএমএইচ থেকে বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
সরকার শিগগিরই নির্বাচন আয়োজন করবে, আশা বিএনপির
রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য প্রত্যাহারে উপদেষ্টা নাহিদকে ফখরুলের আহ্বান
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান
বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের পথিকৃৎ: ফখরুল

মন্তব্য

জীবনযাপন
BNPs new cultural platform is Bangladesh first

বিএনপির নতুন সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ‘সবার আগে বাংলাদেশ’

বিএনপির নতুন সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ‘সবার আগে বাংলাদেশ’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “এবার বিজয় দিবসে আমরা নতুন প্রত্যাশা নিয়ে নতুনভাবে বাংলাদেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে হাজির হব। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর আয়োজনে হবে কনসার্ট।”

দেশীয় সংস্কৃতির প্রচারের লক্ষ্যে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সূচনা করেছে বিএনপি।

রাজধানীর গুলশান-১ এ উদয় টাওয়ারে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এই প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দিয়েছেন।

‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক এ্যানী বলেন, এই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে দেশের মানুষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর নতুন পরিবেশে নতুনভাবে বিজয়ের মাস উদযাপনের সুযোগ পাবে।

তিনি বলেন, “গত ১৬-১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমরা নিজেদের মতো করে বিজয় দিবস পালন ও উদযাপন করতে পারিনি। এবার বিজয় দিবসে আমরা নতুন প্রত্যাশা নিয়ে, নতুনভাবে বাংলাদেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে হাজির হব। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

“বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ১৬ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে ব্যাপক কর্মসূচি ও কার্যক্রম প্রণয়ন করেছে।”

এই কনসার্টে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও ব্যান্ডদলের মধ্যে- সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশীদ আলম, বেবী নাজনীন, মনির খান, কনক চাঁপা, দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান মাহমুদুল, প্রীতম, জেফার, মৌসুমী, নগর বাউল (জেমস), ডিফারেন্ট টাচ, অর্ক, সোলস, শিরোনামহীন, আর্টসেল, এভয়েডরাফা এবং সোনার বাংলা সার্কাস অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ সংগঠনটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানি ও যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।

মন্তব্য

জীবনযাপন
As Sunnah Foundation will provide housing facilities to 700 students of Zabir

জবির ৭০০ শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দেবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

জবির ৭০০ শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দেবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও দেশের অন্যতম গ্রহণযোগ্য ফিলানথ্রপিক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও মানসম্মত আবাসনের সুযোগ পাবেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও দেশের অন্যতম গ্রহণযোগ্য ফিলানথ্রপিক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও মানসম্মত আবাসনের সুযোগ পাবেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষে জেনারেল সেক্রেটারি মো. সাব্বির আহম্মদ মঙ্গলবার এই স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা অনুযায়ী, কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রজেক্ট এলাকায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করবে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা পাঁচ হাজারে উন্নীত করা হবে। ছেলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্যও আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

প্রকল্পটি ২০২৫ সালের এপ্রিলে চালু হবে বলে জানানো হয়েছে।

আবাসন সুবিধার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নৈতিকতার বিকাশে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হবে। এই প্রকল্পের আওতায় একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, যেখানে ১০০টি কম্পিউটার থাকবে। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে আইইএলটিএস প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণ। প্রথম বছর প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ব্র্যান্ড স্কোর ৭ অর্জনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়াও থাকবে সফট স্কিল, নেতৃত্বগুণ এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

আরও পড়ুন:
জবি শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা
শিক্ষককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ
জবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর
কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাস হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
জবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের

মন্তব্য

জীবনযাপন
Rikta Bangladesh in BBCs list of 100 influential women

বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা

বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা রিক্তা আক্তার বানু। ছবি: সংগৃহীত
পেশায় নার্স রিক্তা আক্তার বানু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রতিবন্ধীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখায় প্রশংসিত হয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির ২০২৪ সালের বিশ্বের ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র নারী রিক্তা আক্তার বানু। পেশায় নার্স হলেও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রতিবন্ধীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখায় প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার বিশ্বের ১০০ অনুপ্রেরণা জাগানো ও প্রভাবশালী নারীর তালিকা প্রকাশ করে বিবিসি।

পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ১০০ নারীকে বেছে নেয়া হয়েছে। বিভাগগুলো হলো- জলবায়ুকর্মী, সংস্কৃতি ও শিক্ষা, বিনোদন ও ক্রীড়া, রাজনীতি ও অ্যাডভোকেসি এবং বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি। এর মধ্যে বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন রিক্তা আক্তার বানু।

বিবিসি বলেছে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করেন নার্স রিক্তা আক্তার বানু। সেখানে অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশুকে অভিশাপ হিসেবে দেখা হয়।

অটিস্টিক এবং সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত কন্যা সন্তানকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে না পেরে নিজের জমি বিক্রি করে তিনি একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলের নাম ‘রিক্তা আক্তার বানু লার্নিং ডিজেবিলিটি স্কুল’।

বর্তমানে ৩০০ শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছে সেখানে। এটি প্রতিবন্ধিতার প্রতি সমাজের মনোভাব পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্কুলটি প্রাথমিকভাবে অটিস্টিক বা শেখার প্রতিবন্ধকতা থাকা শিশুদের জন্য নির্মিত হলেও এখন এটি বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক প্রতিবন্ধিতা থাকা শিশুদের জন্যও সেবা দিয়ে থাকে।

বিবিসির এ বছরের ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর মধ্যে রয়েছেন- নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস, ধর্ষণ থেকে বেঁচে যাওয়া গিসেল পেলিকট, অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন, অলিম্পিক ক্রীড়াবিদ রেবেকা আন্দ্রাদে ও অ্যালিসন ফেলিক্স, গায়িকা রে, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নাদিয়া মুরাদ, ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট ট্রেসি এমিন, জলবায়ু প্রচারক আদেনিকে ওলাদোসু এবং লেখক ক্রিস্টিনা রিভেরা গারজা।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা, লেবানন, ইউক্রেন ও সুদানের প্রাণঘাতী সংঘাত এবং মানবিক সংকট থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী রেকর্ডসংখ্যক নির্বাচন-পরবর্তী সামাজিক বিভাজনের সাক্ষী হওয়া পর্যন্ত নিত্যনতুন উপায়ে দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হয়েছে নারীদের।

বিবিসির এই ১০০ নারী এ বছর নারীদের ওপর যে চাপ পড়েছে তা স্বীকার করেছেন। তারা তাদের দৃঢ়তার মাধ্যমে পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছেন। কারণ বিশ্ব পরিবর্তিত হচ্ছে।

এই নারীদের অনেকেই জলবায়ুর জরুরি অবস্থার প্রভাব নিয়েও সচেতন। তাই এখানে জলবায়ুর অগ্রদূতদের তুলে ধরা হয়েছে যারা তাদের সম্প্রদায়কে এর প্রভাব মোকাবিলা করতে সহায়তা করছেন।

আরও পড়ুন:
বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় ড. ইউনূস
টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম
টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় জাহিদ মালেক

মন্তব্য

জীবনযাপন
Inauguration of Pope Francis Yunus Three Zero Club in Rome

রোমে ‘পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস থ্রি-জিরো ক্লাব’ উদ্বোধন

রোমে ‘পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস থ্রি-জিরো ক্লাব’ উদ্বোধন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এই অসাধারণ উদ্যোগটি মহামান্য পোপ ফ্রান্সিসের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং একটি রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য আমার নিজের আকাঙ্ক্ষা মূর্ত করে।’

ক্যাথলিক চার্চের আধ্যাত্মিক নেতা পোপ ফ্রান্সিস ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোমে যৌথভাবে ‘পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস থ্রি-জিরো ক্লাব’ উদ্বোধন করেছেন।

মানবতার জন্য একটি রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ার সূচনা প্রয়াস হিসেবে এই ক্লাব উদ্বোধন করা হয়েছে।

উন্নত উদ্ভাবনী ধারণার বিকাশ এবং বাস্তব ও টেকসই সমাধানের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ‘ত্রি-জিরো ক্লাব’ রোমের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুবকদের জন্য আশার আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।

রোমের ভিকার জেনারেলের (পোপের পর সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা) কার্ডিনাল বাল্ডো রেইনা’র কাছে এক চিঠিতে অধ্যাপক ইউনুস বলেছেন, তিনি এই উদ্যোগে ‘গভীরভাবে সম্মানিত’ হয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শনিবার জানায়, ড. ইউনূস এ উপলক্ষে কার্ডিনাল রেইনাকে তার ‘আন্তরিক অভিনন্দন’ জানিয়েছেন।

২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ড. ইউনূস শনিবার বলেছেন, ‘এই অসাধারণ উদ্যোগটি মহামান্য পোপ ফ্রান্সিসের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং একটি রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য আমার নিজের আকাঙ্ক্ষা মূর্ত করে।’

‘এই উদ্যোগটি কেবল শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্য অর্জনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়; বরং সহমর্মিতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্থায়িত্বের ভিত্তিতে একটি নতুন সভ্যতার উত্থানকে উৎসাহিত করার আকাঙ্ক্ষাও লালন করে।’

তিনি বলেন, “একটি সভ্যতা যেখানে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না, বরং যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি তার ভাগ্যের নায়কও হতে পারবে, একই মানব পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হতে পেরে গর্বিত বোধ করবে, যেমনটি মহামান্য পোপ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জোর দিয়েছেন।

“পোপ তার এনসাইক্লিক্যাল ‘ফ্রাতেল্লি তুত্তি’তে লিখেছেন- আসুন, আমরা স্বপ্ন দেখি। তাহলে একটি একক মানব পরিবার হিসেবে, একই রক্ত-মাংসের মানুষ ও পরিব্রাজক হিসেবে, আমাদের সবার অভিন্ন আবাস একই ধরিত্রীর অপত্য হিসেবে, প্রত্যেকেই যার যার প্রতীতি ও প্রত্যয়ের উৎকর্ষ নিয়ে আমরা প্রত্যেক ভ্রাত্রা ও ভগ্নি নিজ নিজ কণ্ঠস্বর উচ্চকিত করতে পারব।”

অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ‘সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের অবিচল অঙ্গীকার এবং সামাজিক ব্যবসার শক্তিতে আমার বিশ্বাসের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ত্রি-জিরো ক্লাব তরুণ মনকে এমন সব প্রকল্প কল্পনা করতে এবং বাস্তবায়ন করতে উৎসাহিত করে যা অর্থবহ পরিবর্তন আনবে।

‘এই তরুণ নেতাদের সৃজনশীলতা ও উদ্যমী মনোভাব সযত্নে বিকশিত করে তাদের অধিকতর ন্যায়পরায়ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণের স্থপতি হওয়ার জন্য আমরা ক্ষমতায়ন করছি।’

পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি ‘গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা’ জ্ঞাপন করে অধ্যাপক ইউনূস সবাইকে একযোগে এই রূপান্তরকামী অভিযাত্রা শুরুর আহ্বান জানান এবং আগামী প্রজন্মকে এমন একটি সভ্যতা গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করেন যা প্রতিটি ব্যক্তির মর্যাদা সমুন্নত করবে এবং এবং আমাদের গ্রহের পবিত্রতা অক্ষুণ্ন রাখবে।

সবশেষ হিসাব অনুযায়ী সারা বিশ্বে বর্তমানে নতুন সভ্যতার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা অনুপ্রাণিত কমপক্ষে চার হাজার ছয়শ’ থ্রি-জিরো ক্লাব রয়েছে। এর অধিকাংশই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আরও পড়ুন:
ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কেমন চান, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা 
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন উপস্থাপন
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
মানব সভ্যতা রক্ষায় কপ সম্মেলনে ‘থ্রি জিরো’ ধারণা উপস্থাপন প্রধান উপদেষ্টার 
ঋণ সুবিধা মানুষের অধিকার: প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

জীবনযাপন
BMMDPs two agricultural schemes to increase climate resilience

জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে বিএমএমডিপির দুই কৃষিবীমা

জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে বিএমএমডিপির দুই কৃষিবীমা
প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র বীমা খাতে চালু করা উদয় তহবিলটি জলবায়ু-সচেতন মাইক্রোইন্স্যুরেন্স পণ্যে উদ্ভাবনের জন্য আর্থিক সহায়তা দেবে। আর অভয় তহবিলটি পুনঃবীমাকারীদের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

দেশের প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্রবীমা খাতে নতুন দুটি কৃষিবীমা চালু করেছে বাংলাদেশ মাইক্রোইন্স্যুরেন্স মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (বিএমএমডিপি)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের অর্থায়নে এবং সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ-এর বাস্তবায়নে প্রকল্পটি ক্লাইমেট মাইক্রোইন্স্যুরেন্স ইনোভেশন ফান্ড-উদয় এবং ক্লাইমেট রিস্ক রেজিলিয়েন্স ফান্ড-অভয় নামে দুটি রূপান্তরমূলক উদ্যোগ চালু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উদয় তহবিলটি জলবায়ু-সচেতন মাইক্রোইন্স্যুরেন্স পণ্যে উদ্ভাবনের জন্য আর্থিক সহায়তা দেবে। আর অভয় তহবিলটি পুনঃবীমাকারীদের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বিএমএমডিপির টিম লিডার পারভেজ মোহাম্মদ আশেক বলেন, ‘এই তহবিলগুলো জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় আর্থিক সহনশীলতা বাড়াতে প্রয়োজন। এর মাধ্যমে কৃষক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জলবায়ু ঝুঁকির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য নিরসনে ভূমিকা রাখবে।’

ঢাকায় সুইস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন কোরিনি হেঙ্কোজ পিগনানি বলেন, ‘জলবায়ু ঝুঁকি, স্বাস্থ্য সংকট এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে ক্ষুদ্রঋণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু-সহনশীল কৃষি মাইক্রোইন্স্যুরেন্সের উদ্ভাবনী সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুইস দূতাবাস, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ব্লু মার্বেল মাইক্রোইন্স্যুরেন্স ইনকরপোরেশন, এমপাওয়ার সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড এবং কেএম দাস্তুর অ্যান্ড কোং লিমিটেডের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

আলোচনায় বিশেষজ্ঞ বক্তারা জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও অংশীদারত্বের গুরুত্ব আরোপ করেন।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Two committees to withdraw political harassment cases

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে দুই কমিটি

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে দুই কমিটি
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য কারণে সারা দেশে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারে সুপারিশ করার লক্ষ্যে জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য কারণে সারা দেশে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারে সুপারিশ করার লক্ষ্যে জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র জারির মাধ্যমে রোববার এ দুটি কমিটি গঠন করা হয়।

জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। কমিটির সদস্য পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) এবং সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে- রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফায়েড কপি দাখিল করতে হবে। আবেদনপ্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটরের (ক্ষেত্রবিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) কাছে মতামতের জন্য পাঠাবেন। আবেদনপ্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্রবিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) তার মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠাবেন।

পাবলিক প্রসিকিউটরের মতামত সংগ্রহপূর্বক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন। জেলা কমিটির কাছে যদি প্রতীয়মাণ হয় যে মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য দায়ের করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওই সুপারিশ মামলার এজাহার ও চার্জশিটসহ আবেদনপ্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট ‘ছক’ অনুযায়ী তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভাপতি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা) ও যুগ্ম সচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের নিচে নয়)। কমিটির সদস্য সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব।

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে- জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশপ্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে ও মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর আওতাধীন মামলাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্য ক্রিমিনাল ল’ এমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৮-এর ১০ (৪) ধারার বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরনের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। এ ধরনের মামলার বিষয়ে করণীয় পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে