পবিত্র হজের পর বিশ্ব মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলিগ জামাতের এই বার্ষিক আয়োজন গত কয়েক বছরের মতো এবারও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথম পর্বের ইজতেমায় আলমী শুরাপন্থী মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা অংশ নেবেন। তিন দিনব্যাপী প্রথম পর্বটি ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।
আর ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই পর্ব। দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন ভারতের মাওলানা সাদের অনুসারীরা।
রাজধানী ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ১৯৬৭ সাল থেকে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস।
সোমবার সকাল ১০টায় ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে জুলুস শুরু হয়।
এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দরবারে আলীয়া কাদেরিয়া ছিরিকোট শরীফের সাজ্জাদানশীন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ।
জুলুস বিবিরহাট হয়ে মুরাদপুর, মুরাদপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে ডান দিকে মোড় নিয়ে ষোলশহর ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড়, লর্ডস ইন হোটেল থেকে ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর বামে মোড় নিয়ে বিবির হাট থেকে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ ফিরে আসবে। এ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
এছাড়া নগরের বিবিরহাট, মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, হামজারবাগ, শুলকবহর, মির্জারপুল রোডের মুখ, বায়েজিদ বোস্তামী রোডের মুখ (শেরশাহ মোড়), বেবি সুপার মার্কেট, প্রবর্তক মোড়ের মুখ, জাকির হোসেন রোডের মুখ, গোলপাহাড় রোডের মুখ ও পুনাক মোড়ে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ডাইভারশন করা হয়েছে।
এর আগে ফজরের নামাজের পর বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বাস, ট্রাক, জিপে করে আলমগীর খানকাহতে আসতে শুরু করেন ভক্তরা। অনেকেই দীর্ঘপথ হেঁটে জুলুসে অংশ নিতে ছুটে এসেছেন। সমস্বরে ‘ইয়া নবী সালাম আলাইকা’ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুসে অংশ নিয়েছেন শিশু থেকে বৃদ্ধরাও। সকাল সাড়ে ৯টার দিকেই সুন্নিয়া মাদরাসা, বিবিরহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট এলাকা হয়ে পড়ে লোকে লোকারণ্য।
এদিকে জুলুস উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে চট্টগ্রাম। নগরীর মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে তোরণ। সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। সড়কের দুপাশে বিশেষ পতাকাও রয়েছে। বসেছে খাবারসহ বিভিন্ন সামগ্রীর অস্থায়ী দোকান।
বিভিন্ন মোড়ে স্বেচ্ছাসেবীরা বিতরণ করছেন শরবত। জুলুসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।
জশনে জুলুস মিডিয়া কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান, আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) তিনশ’ প্রশিক্ষিত সদস্য এবার জুলুসের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে গাউসিয়া কমিটির কর্মী ও জামেয়ার হাজার হাজার ছাত্র স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।
জশনে জুলুসের আয়োজক প্রতিষ্ঠান আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে শুরু হওয়া এই জশনে জুলুস চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবীর জুলুসে এত বিশাল জমায়েত আর কোথাও হয় না।
আরও পড়ুন:পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ সোমবার, ১২ রবিউল আউয়াল। ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন।
মহান আল্লাহতায়ালা মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে এই পৃথিবীতে প্রেরিত মহানবীর জন্মদিনটি সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দিনটিতে নানা কর্মসূচি ও ইবাদত-বন্দেগিতে দিনটি অতিবাহিত করে থাকেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সরকারি ছুটি।
বিশেষ এই দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে তারা নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা। মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত।
আরবের ওই সময়কাল বলা হয়ে থাকে আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতায়ালা হযরত মুহাম্মদকে (সা.) প্রেরণ করেন এই পৃথিবীতে।
মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিবি খাদিজা নামের এক ধনাঢ্য মহিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন। আল্লাহতাআলার নৈকট্য লাভ করেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে থাকে।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ বাদ মাগরিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব গেটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না’ত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইসলামী বইমেলা, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ।
এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৪টি ইসলামিক মিশন ও আটটি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জাতির জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শ। বিশ্বনবীর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রোববার গণমাধ্যমে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণীতে তারেক রহমান মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি সেজন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন এবং পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
একইসঙ্গে তিনি আখেরি নবী সাইয়্যেদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সরকার এবার স্বাচ্ছন্দ্যে পূজা উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছর আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারিভাবে চার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। বিগত সরকারের সময় বরাদ্দ ছিল মাত্র দুই কোটি টাকা। পাশাপাশি পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে একটি চক্র ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে, যাতে সত্য বিন্দুমাত্র ছিল না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কোনো কোনো জায়গায় কিছু ঘটনা ঘটেছে; তবে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’
বুধবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রদের এক বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টারা চেয়ার দখল করে বসে থাকার জন্য ক্ষমতায় আসিনি। রাষ্ট্র, নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে সংস্কারপূর্বক মেরামত করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসার পর সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে আমরা সরে যাব। এ জন্য সব রাজনৈতিক দলসহ দেশের প্রতিটি মহলকে সহযোগিতা করা দরকার।’
হেফাজত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে তার তালিকাসহ দায়িত্বশীলদের কাছে জানালে এসব মামলা থেকে বা তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হবে।’
হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আল্লামা শেখ আহমদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা খলিল আহমেদ কুরাইশ কাসেমী।
উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান, মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আল্লামা মুফতি জসিম উদ্দিন, আল্লামা দিদার কাসেম, আল্লামা সোয়েব জমিরী, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ, নাজিরহাট মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমী ও হাটহাজারী মডেল থানার ওসি হাবিবুর রহমান।
এদিকে হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন শ্রী শ্রী শীতাকালি মন্দির পরিদর্শন করেন ধর্ম উপদেষ্ঠা। এসময় উপস্থিত মন্দির পরিচালনা কমিটি ও ভক্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মুন্সি বিজয় কুমার বণিক। মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উদয় সেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। মন্দির পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষক শিমুল কান্তি মহাজন, চবি শিক্ষক শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এরপর উপদেষ্টা হাটহাজারী পৌরসভার একটি মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ থেকে জেদ্দা ও মদিনা রুটে টিকিটের দাম কমিয়েছে।
পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য আগে দু’টি নির্দিষ্ট ফেয়ার ক্লাস বা রিজার্ভেশন বুকিং ডেজিগনেটর (আরবিডি) ব্যবহার করা হতো। এবার ওমরাহ যাত্রীদের টিকিট পাওয়া সহজ করতে চলমান দুটি বুকিং ক্লাসের পরিবর্তে সব বুকিং ক্লাস বা আরবিডি উন্মুক্ত করা হয়েছে। তা সব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে উন্মুক্ত রয়েছে।
বিমান কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের সুবাদে এখন ওমরাহ যাত্রীরা সাধারণ যাত্রীদের মতো যে কোনো আরবিডিতে ওমরাহ টিকিট কিনতে পারবেন। আর যেসব ওমরাহ যাত্রী আগে টিকিট কিনবেন তারা সর্বনিম্ন ভাড়ার সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও যেসব যাত্রী ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে মদিনায় যাবেন তাদের জন্য আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দেয়া হচ্ছে।
পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে। কারণ বুধবার বাংলাদেশের আকাশে আরবি ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার।
বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। তাতে দেখা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে।
এ অবস্থায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলাকারীদের পশু আখ্যা দিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বিব্রত করার জন্য এক শ্রেণির মতলবি মানুষ মাঠে নেমেছে। এদের প্রতিহত করতে হবে।
‘উপাসনালয়ে যারা হামলা করে, এরা মানুষ নয়; এরা পশু। এদের প্রচলিত আইনে কঠোর শাস্তির বিধান করা হবে।’
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গণে শুক্রবার বিকেলে জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আবহমানকাল থেকেই এ দেশে অসাম্প্রদায়িক আবহ বিরাজমান। এটাকে কোনোক্রমেই নষ্ট করতে দেয়া যাবে না। আমাদের দেশের নানা ধর্মের বৈচিত্র্য রয়েছে। এটা আমাদের ঐতিহ্য।
‘এই ঐতিহ্যকে আমরা লালন করতে চাই, ধারণ করতে চাই এবং বিশ্ববাসীকে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই।’
ড. খালিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে স্পষ্ট দলিল আছে, এমন কোনো দেবোত্তর সম্পত্তি যদি কেউ দখল করে থাকে, তাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় উচ্ছেদ করা হবে। এ ছাড়া কোনো দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা থাকলে সেটাও দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হবে।’
তিনি মন্দিরের নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করার পরামর্শ দেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সুন্দর কথা বলা সহজ, কিন্তু সুন্দর কাজ করা কঠিন। সুন্দর কথাকে অবশ্যই কাজে পরিণত করতে হবে। আমরা সুন্দর কথা যেমন বলব, তেমনই সুন্দর কাজও করে যাব।
‘আমরা সুন্দর, শান্তিময়, সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য