চারদিকে সবুজ পাহাড় আর পাহাড়। উঁচু-নিচু টিলার সমাহার। সবুজের নান্দনিকতা, বিস্তীর্ণ পাহাড় ও বনাঞ্চল পরিবেষ্টিত নদী, ঝর্ণা ও দুটি পাতা একটি কুঁড়ির প্রাচুর্যে ভরপুর মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ। কমলগঞ্জে নতুনভাবে যুক্ত হওয়া দৃষ্টিনন্দন বামবুতল লেকটি ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।
কমলগঞ্জের অপরূপা এই লেকটি এখন বিনোদনের স্থান। বছরের যেকোনো সময়ে আনন্দ ভ্রমণ, পিকনিক বা বেড়ানোর জন্য বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজনদের নিয়ে যে কেউ আসতে পারেন বামবুতল লেকে।
এখনও দেশের অনেকের কাছেই অচেনা-অজানা এ বামবুতল লেকটি। পাহাড়ের বুকের ভেতর নিজের অস্তিত্ব নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রকৃতির সৌন্দর্য বিলিয়ে যাচ্ছে এটি। এখানে এলে দেখতে পাবেন সবুজের সমারোহ। পলকেই আপনার মনকে চাঙ্গা করে তুলবে এই প্রকৃতি। আপনি বিমোহিত হয়ে মিলিয়ে যাবেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে। লেকের পানি, সুনীল আকাশ আর শ্যামল সবুজ পাহাড়, ছবির মতো চা বাগানের এই মনোরম দৃশ্য আপনাকে নিয়ে যাবে স্বপ্নের জগতে। চারদিকে পাহাড়-টিলার মাঝখানে অবস্থিত লেকটি সত্যি অপূর্ব। প্রতিদিনই ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা আসছেন বামবুতল লেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খান বলেন, ‘আসলেই সৌন্দর্যের ভাণ্ডার নিয়ে যেন দাঁড়িয়ে আছে এই লেকটি। চারিদিকে সবুজের সমারোহ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম কেউ এখানে আসলে আর পরে আসতে না করবে না। এটি আসলেই দৃষ্টিনন্দন একটা লেক, পর্যটনের অপার সম্ভাবনা এই বামবুতল লেকটি। শুধু বৈদেশিক আয়ই নয়, কমলগঞ্জকে তুলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিরতিংগা চা বাগানের স্টাফ (টিলা বাবু) বলেন, ‘দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াচ্ছে কমলগঞ্জের বিভিন্ন লেক। তার সঙ্গে কমলগঞ্জের মনোরম পরিবেশে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য নিয়ে বামবুতল লেক একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।’
রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ধনা বাউরী বলেন, ‘চা বাগান দেখতে বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ কমলগঞ্জে আসছেন। তার মধ্যে চা বাগানের ভেতরে বামবুতল লেকটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। পর্যটনের অপার সম্ভাবনা এই লেকটি। কমলগঞ্জকে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ পর্যটনের জায়গাটির দিকে নজর দিচ্ছে না। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে লেকটিকে আকর্ষণীয়ভাবে সংস্কার করা ও পর্যটকদের জন্য আরও উপযোগী করে গড়ে তোলা সম্ভব।’
কীভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাস, ট্রেনে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ভানুগাছ ও শমসেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে এসে সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কমলগঞ্জ উপজেলার পাশেই রহিমপুর ইউনিয়নের মিরতিংগা চা বাগানের বামবুতল লেকে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন:বৃষ্টিতে খিচুড়ি পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুব কমই আছেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার হতে পারে নিরামিষ সবজি খিচুড়ি।
কীভাবে পরিবারের সবার সঙ্গে বৃষ্টির সময় নিরামিষ সবজি খিচুড়ি উপভোগ করবেন তা জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজমা আক্তার।
উপকরণ
পোলাও চালের সঙ্গে দুই কাপ মুগ ডাল, এক কাপ আলু কিউব, হাফ কাপ গাজর কিউব, হাফ কাপ ফুলকপি কিউব, হাফ কাপ হলুদ গুড়া, এক চা চামচ লবণ। এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক চা চামচ আস্ত জিরা, এক চা চামচ দারচিনি, দুটি এলাচ, ৪টি লবঙ্গ, ৩/৪টা গোটা শুকনো মরিচ, ৩টি তেজপাতা, তেল পরিমাণ মতো, হাফ কাপ ঘি, ৩ টেবিল চামচ ভাজা জিরা গুড়া, এক চা চামচ কাঁচা মরিচ, সামান্য চিনি, গরম পানি।
প্রস্তুত প্রণালি
হাঁড়িতে তেল ও দুই টেবিল চামচ ঘি গরম করে তাতে গোটা গরম মসলা, গোটা জিরে, শুকনো মরিচ, তেজপাতা ফোরন দিয়ে কেটে রাখা সবজি দিয়ে নেড়ে আদা বাটা, হলুদ গুড়া, লবণ, সামান্য চিনি দিয়ে নেড়ে একটু ভেজে আগে থেকে ধুয়ে রাখা পানি ঝড়ানো চাল-ডাল দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে হালকা পানি থাকতে বাকি ঘি ছড়িয়ে তারপর ভাজা জিরা গুড়া, আস্ত কাঁচা মরিচ কয়েকটা দিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখতে হবে। তাহলেই হয়ে যাবে দারুণ মজার নিরামিষ সবজি খিচুড়ি। কেউ চাইলে মটরশুঁটি দিতে পারেন।’
আরও পড়ুন:সীমিত বেতনের চাকরিজীবী রাজীব। অফিসে আসা-যাওয়ার জন্য গণপরিবহনই তার ভরসা, তবে পরিবার নিয়ে যাতায়াতের সময় ভিড়ে ঠাসা গণপরিবহনে উঠতে স্বস্তি বোধ করেন না তিনি।
ঢাকার রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাওয়াও সবসময় সহজ নয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পাওয়া গেলেও চালকরা যে ভাড়া হাঁকান, তা অনেক সময় যাত্রীর সাধ্যের বাইরে চলে যায়। এমন বাস্তবতায় স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ার জন্য সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক সমাধান খুঁজছেন রাজীব।
এ চাকরিজীবীর মতো অনেকেই এমনটি খুঁজছেন। তাদের জন্য সমাধান হতে পারে উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিস।
উবারের ভাষ্য, তাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশা সার্ভিস অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী। ঘরে বসেই যেকোনো সময় রাইড বুক করা যায় বলে এ সেবা গ্রহণ সুবিধাজনক।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসটি জানায়, অটোরিকশা সার্ভিসের মাধ্যমে পরিবারের দুই-তিনজন সদস্য বা বন্ধুকে নিয়ে কম খরচে, আরামদায়কভাবে চলাফেরা করা যায়। আবার রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের ইন-অ্যাপ সব সুবিধাও পাওয়া যায়।
নিরাপত্তাকে রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে উল্লেখ করে উবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব সার্ভিস ব্যবহার করলে নিজের ও প্রিয়জনের নিরাপত্তা নিয়ে থাকা যায় নিশ্চিন্ত। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক জিপিএস ট্র্যাকিং, লাইভ লোকেশন শেয়ারিং, চালকের নাম, ছবি, রেটিং ইত্যাদি জানানো, সেফটি টুলকিট, হটলাইন, ইন্স্যুরেন্স পলিসিসহ নানা ধরনের নিরাপত্তার ফিচার এখানে রয়েছে।
আরও পড়ুন:চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারে ভরা মৌসুমেও দেখা নেই পর্যটকদের। গত মাসের মধ্যবর্তী সময়েও জেলার যেসব পর্যটন কেন্দ্র সকাল-সন্ধ্যা লোকারণ্য ছিল, সেগুলোতে এখন সুনসান নীরবতা। অলস সময় পার করছেন দেড় শতাধিক হোটেল, গেস্ট হাউস, মোটেল, রিসোর্টের কর্মীরা। এতে মৌসুমের শুরুতেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
টানা অবরোধ, হরতাল ও দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় এমন পর্যটক খরা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটক না আসায় দৈনিক প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী সেলিম আহমেদ।
সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার জেলার বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগে নেই পর্যটক। দর্শনীয় স্থানগুলোতে নেই দেশি কিংবা বিদেশি পর্যটক।
জেলার অন্যতম পর্যটন গন্তব্য কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর স্মৃতিসৌধ, মণিপুরী পাড়া, হামহাম জলপ্রপাত, ছয়সিঁড়ি দীঘি, ক্যামেলিয়া লেক, পাত্রখোলা লেক, পদ্মছড়া লেক, বামবুতল লেক, হরিনারায়ণ দীঘি, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের সবুজে আচ্ছাদিত চা বাগান, রাবার বাগান, বধ্যভূমি একাত্তর চত্বর, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, মুন ব্যারেজ।
সম্প্রতি এসব জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটক প্রায় শূন্য। অথচ মাসখানেক আগে চিত্র ছিল উল্টো।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মৌলভীবাজারের দেড় শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে থাকত শতভাগ অগ্রিম বুকিং। চলতি বছরও অগ্রিম বুকিং হয়েছিল, তবে অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। দ্রুত এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না হলে পর্যটন শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
শ্রীমঙ্গলের হোটেল প্যারাডাইজের স্বত্বাধিকারী হাজী আবুজার বাবলা বলেন, ‘হরতাল ও অবরোধের কারণে ট্যুরিস্ট মৌসুমের তুলনায় ১০ ভাগও নাই। অথচ এখন নভেম্বর মাস পর্যটনের ভরা মৌসুম। প্রতি বছর এ সময়ে পর্যটন স্পটগুলোতে থাকত উপচেপড়া ভিড়।
‘এখন ক্ষতির মুখে আমরা। এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে উঠব, বুঝতে পারছি না। কর্মচারী ও বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংকের লোন, বাসা বাড়া—সবকিছু দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমার মনে হয় না এভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারব। এভাবে যদি চলে তাহলে হোটেল রিসোর্ট গুটিয়ে নিতে হবে। আমরা দ্রুত দেশের এমন সংকটের সামাধান চাই।’
কমলগঞ্জ অরণ্য বিলাস ইকো রিসোর্টের মালিক এহসান কবির সবুজ বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসার ধকল গেছে। করোনাভাইরাস, বন্যাসহ নানা কারণে পর্যটন শিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার আশায় ছিলাম অতীতের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারব, কিন্তু দেশের যে পরিস্থিতি, এ অবস্থায় পর্যটক বলতেই নাই।
‘ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারব কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে কর্মচারী ছাঁটাই করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।’
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাউয়াছড়ায় ডাব বিক্রি করে সংসার চলে। এক মাস ধরে এ উদ্যানে কোনো ট্যুরিস্ট নাই। বেচাবিক্রি নাই। দুরাবস্থায় আছি। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।’
কসমেটিক ও চা পাতা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘খুব খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। হরতাল ও অবরোধের কারণে পর্যটক নাই। সারা বছর আমরা অপেক্ষায় থাকি এই সময়ে পর্যটকের আনাগোনা বেশি থাকে, কিন্তু পর্যটকশূন্য থাকায় সংসার ও পরিবারের খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।’
এ বিষয়ে পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতায় পুরো জেলার পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে। জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। সবগুলোই এখন ফাঁকা। প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে।
‘এ অবস্থা চলমান থাকলে কর্মী ছাঁটাই করতে হবে। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই শুরু করেছে। অনেকের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই সমস্যা থাকে, তাহলে ধ্বংসের মুখে পড়বে হোটেল রিসোর্ট।’
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক শাহিন আহমেদ বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এই সময়ে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ দেশি-বিদেশি ট্যুরিস্ট আসতেন। তখন টিকিট বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব আয় হতো ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
‘এখন গড়ে ৮০ থেকে ১২০ জন পর্যটক আসছেন। সরকারের রাজস্ব আসছে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা।’
লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই মৌসুমে হাজার হাজার পর্যটক দেখা যেত। বর্তমানে হরতাল ও অবরোধের কারণে দেখা নাই।
‘মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে না, যানবাহন চলে না। তাই ভ্রমণে আসে না। প্রতি বছর যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতো, তা এখন হচ্ছে না।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোনের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রবাণ সিনহা বলেন, ‘নানা কারণে তুলনামূলকভাবে এবার পর্যটক অনেক কম, তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে সোচ্চার। পর্যটকরা যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সে লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবতী বলেন, ‘আমার থানা এলাকায় অনেক পর্যটন স্পট। আমরা সবসময় ট্যুরিস্টদের সেবা প্রদান করে থাকি। কারও কোনো সমস্যা কখনও যেন না হয়, সে খেয়াল আমাদের সবসময় থাকে। বর্তমানে বিএনপি-জামায়াতের দেয়া হরতাল-অবরোধের কারণে দেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
‘সেই ক্ষতির অংশ পড়েছে পর্যটন শিল্পের ওপর। এই সময়ে হাজার হাজার পর্যটক দেখা যেত এখানে। বর্তমানে নাই বললেই চলে। আমরা চাই এসব বন্ধ হোক; পর্যটন শিল্প রক্ষা হোক।’
আরও পড়ুন:পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির একটি অংশ। বেশিরভাগ পিঠাই মৌসুমী। বিশেষ করে শীতের মৌসুমেই ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি করা হয়। ইউএনবির শীতের মজাদার ভাপা পুলি পিঠা তৈরির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. চালের গুঁড়া আধা কেজি
২. ময়দা ৩ টেবিল চামচ পানি পরিমাণমতো
৩. লবণ সামান্য
৪. নারকেল কোড়ানো দেড় কাপ
৫. খেঁজুরের গুঁড় বা চিনি দেড় কাপ
৬. সাদা তিল ভেজে গুঁড়া করা আধা কাপ
৭. ঘি ২ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালি
নারকেল গুঁড় ও তিল এক সঙ্গে জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করে নিন। পুর ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার চুলায় পরিমাণমতো পানি ও লবণ দিন। ফুটে উঠলে ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে চালের গুঁড়া ও ময়দা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন অল্প আঁচে। সেদ্ধ হলে নামিয়ে ভালো করে মথে নিন। এবার কাই থেকে লুচির মতো বেলে ভেতর পুর দিয়ে কোনাগুলো ভালো করে চেপে মুড়ে দিন। চাইলে সুন্দর নকশাও করে দিতে পারেন। এবার হাঁড়িতে পানি দিয়ে ফুটে উঠলে বাঁশের চালনি বসিয়ে দিন। এই চালনিতে পিঠা দিয়ে ঢেকে ভাপ দিয়ে নিন। স্টিমারেও স্টিম দিতে পারেন। স্টিম করতে পারেন রাইস কুকারেও। পিঠা সেদ্ধ হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ টুর অপারেটর আকাশ বাড়ি হলিডেজে চলছে অফারের ছড়াছড়ি। প্রতিষ্ঠনটি ১০ এবং ১১ নভেম্বর একটি মেলা করছে তাতে অভুতপূব সাড়া পেয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এসেছিল মেলায়। সেখানেই অফার প্যাকেজগুলো সবার সামনে আনে আকাশ বাড়ি হলিডেজ।
অফারের অংশ হিসেবে দুবাইয়ে সর্বনিম্ন ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা, ভারতে সর্বনিম্ন ১৫ হাজার ৯০০ টাকা, নেপালে সর্বনিম্ন ৩৭ হাজার ৯০০, শ্রীলঙ্কায় সর্বনিম্ন ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা, ব্যাংককে সর্বনিম্ন ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা, মালয়েশিয়ায় সর্বনিম্ন ৫৫ হাজার ৯০০ টাকা, সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন ৬৯ হাজার ৯০০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ায় সর্বনিম্ন ৭৫ হাজার ৯০০ টাকা, ওমরাহ সর্বনিম্ন ১ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ টাকা, ইউরোপে সর্বনিম্ন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা, আমেরিকায় সর্বনিম্ন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা সহ বর্তমানে এরুপ ১০০টি প্যাকেজ চলমান আছে।
জানা গেছে, আস্থার কারণে মানুষ বেছে নিয়েছে আকাশ বাড়ি হলিডেজ। ১২ বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটি আস্থা অর্জন করেছে। জনসাধারণের বিদেশ ভ্রমণকে সহজ করেছে মাত্র আকাশ বাড়ি হলিডেজ। বিদেশেও যে অল্প প্রাইজে ঘুরা যায় সে রাস্তা দেখিয়েছে আকাশ বাড়ি।
আকাশ বাড়ি হলিডেজের ব্যবস্হাপনা পরিচালক ও সিইও তৌহিদুল আলম মিলকি তার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অন্যতম সেরা, স্বনামধন্য, প্রতিষ্ঠিত, কথায় কাজে এক একটি ট্রাভেল এজেন্সি। মানুষের ভ্রমণকে নিশ্চিত করে, ভ্রমণের যে সকল আনুষঙ্গিক ব্যাপার রয়েছে সেগুলোকে আমরা নিশ্চিত করি। ট্রাভেল-টুরিজম নিয়ে আমাদের কাজ। সাধারণত যারা বিদেশে ঘুরতে চায় বা দেশের ভিতরে যারা ঘুরতে চায় তাদের সমস্ত কিছু আমরা ম্যানেজ করি। এটাই আমাদের মূল কাজ।এছাড়া যারা বিদেশে পড়তে চায় তাদেরকে আমরা স্টুডেন্ট কন্সালটেশন করি ও সাহায্য করি, তাদের ফাইল প্রসেস করি, তাদের খুটিনাটি যাবতীয় কাজ আমরাই প্রসেসিং করি। আমাদের প্রতিষ্ঠান কথা, কাজ ও কোয়ালিটিতে আপোষহীন। আমরা স্বল্প মূল্য সারা পৃথিবীতে টুর অপারেট করি, আপনারা শুধু আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন ও পেমেন্ট করবেন, বাকি সকল আয়োজন নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করার দ্বায়িত্ব আমাদের।
আকাশ বাড়ির এমডি বলেন, আস্থার যায়গাটা আমাদের এখনও আছে। এমনকি এখনও হাজার হাজার লোক আমাদের কাছে আসে। পর্যটন শিল্প নিয়ে, পর্যটন নিয়ে,আকাশ বাড়ি নিয়ে- বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে কিভাবে প্রসারিত করা যায় তা নিয়ে আমরা আরও কাজ করতে চাই, পর্যটন শিল্পটাকে কিভাবে বিকাশিত করা যায় এবং আকাশ বাড়িকে নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা অনেক কিছু আমাদের। আমাদের হোটেল-রিসোর্ট'স আসছে। আমরা চেইন অফ হোটেল করবো বাংলাদেশে। এমনকি আরও বেশি বেশি মানুষকে আমরা বিদেশ নেয়ার ব্যবস্থা করব। মানুষ যত বিদেশ যাবে বাংলাদেশের বিদেশীরা তত বাংলাদেশকে চিনবে। ফরেন রেমিট্যান্স আনতে আমরা ব্যপকভাবে কাজ করছি। আশা করছি ভবিষ্যতে অনেক বিদেশী পর্যটক আমরা দেশে আনতে পারব।
আকাশ বাড়ি সম্পর্কে জানতে ও যোগাযোগ করতে:
• আকাশবাড়ি মিলকি মেনশন-বনানী: ০১৭০১২৯৪৩৩৮ -৩৯ • বনানী ব্রাঞ্চ: ০১৭০১২৯৪৪৭৯ • ধানমণ্ডি ব্রাঞ্চ: ০১৭০১২৯৪৪৬২।
ওয়েবসাইট: https://www.akashbariholidays.com/
এক সময় মানুষ স্বপ্ন দেখত- ট্রেনে করে কক্সবাজার যাবে, ঘুরবে, আনন্দ করবে। সেই স্বপ্ন আর স্বপ্ন রইল না; বাস্তবে রূপ নিল। সত্যি সত্যি দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ হয়ে গেল; ট্রেনও চলল।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রেলপথের উদ্বোধন করবেন। এতে করে খুলবে পর্যটনের নতুন দ্বার। পাশাপাশি অর্থনীতি হাতছানি দেবে; কমবে দুরত্ব।
জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কপথের দূরত্ব দেড় শ’ কিলোমিটার। সড়কপথে বাসে যেতে সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টা। আর এ মহাসড়কে যানজটে পড়লে ছয়-সাত ঘণ্টাও লেগে যায়। এ রেলপথ চালু হলে ছয়-সাত ঘণ্টার এ দূরত্ব নেমে আসবে অর্ধেকে; কমবে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকিও। আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসার পাশাপাশি সুযোগ সৃষ্টি হবে বহুমাত্রিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের।
দেশের পর্যটনের খাতকে অনেক এগিয়ে নেবে এ রেলপথ। আগে দূরত্ব, যানজট ও দুর্ঘটনার ভয়ে অনেকে কক্সবাজার যেতে চাইতেন না। ট্রেন চালু হলে এখন তারাও ঘুরে আসবেন কক্সবাজার থেকে। সকালে গিয়ে রাতে বা পরদিন ফিরে আসবেন অনেক পর্যটক। তাতে খরচও হবে কম।
পর্যটনের পাশাপাশি রেলের সুফল পাবে কক্সবাজারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের আরও কয়েকটি খাতে। সেসব খাতের মধ্যে রয়েছে- লবণ, কৃষিপণ্য, মৎস্য ও শুঁটকি। এসব পণ্য কম খরচে আনা-নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে। কৃষিপণ্য সহজে আনা-নেয়ার সুবিধা থাকলে কৃষকেরও দাম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও কিছুটা গতি আনতে পারে নতুন এ রেলপথ।
এ ছাড়া বিনিয়োগ বাড়বে পর্যটন, কৃষি ও চিংড়ি শিল্পে। ফলে গতি পাবে এ অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা।
এসব কারণে আনন্দে উচ্ছ্বসিত কক্সবাজারের মানুষ। সৈকত পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারিত হওয়ায় জেলায় উৎপাদিত পণ্য কম মূল্যে যেমন পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হবে, তেমনি পর্যটক আগমনও বেড়ে যাবে কয়েক গুণ।
তবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
কক্সবাজারে নির্মিত আইকনিক রেল স্টেশনটি দেখতেও যাবেন অনেকে। ব্যতিক্রমী, অসাধারণ সৌন্দর্যমণ্ডিত এ স্টেশনটি। কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে আইকনিক রেলস্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি দৃষ্টিনন্দন এ স্টেশন ভবনটির আয়তন ১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা ভবনটির কাজ প্রায় শেষ। ঝিনুকের আদলে তৈরি স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারা দিন সমুদ্র সৈকতে বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এ স্টেশন দিয়ে দিনে ৪৬ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবে।
প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, ‘এ স্টেশনটি অত্যাধুনিক একটি স্টেশন। পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এতে রয়েছে পর্যটকের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা। থাকছে আধুনিক ট্রাফিক সুবিধা। স্টেশনের নিচতলায় থাকছে টিকিট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র। দ্বিতীয় তলায় শপিংমল ও রেস্তোরাঁ। তৃতীয় তলায় থাকবে তারকা মানের হোটেল। থাকছে মসজিদ, শিশু যত্ন কেন্দ্র, এটিএম বুথ, পোস্ট অফিস, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথসহ নানা সেবাকেন্দ্র।’
মোট ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ৯টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট এবং ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট।
আরও পড়ুন:যমুনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৬৩ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ। ‘মহাবিপন্ন’ প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত মাছটি বিক্রি হয়েছে ৭৫ হাজার ৬০০ টাকায়।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে রোববার রাতে ধরা পড়া মাছটি সোমবার দুপুরে বিক্রির জন্য উপজেলার সরদারপাড়া বাজারে নিয়ে আসেন জেলে বাদশা মিয়া।
বিশাল আকৃতির বাঘাইড় মাছটি একনজর দেখতে ভিড় জমান উৎসুক মানুষ। কিন্তু এতো বড় মাছের একক কোনো ক্রেতা না পাওয়ায় পরে কেটে কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
জেলে বাদশা মিয়া বলেন, ‘রোববার রাতে যমুনা নদীতে ৬৩ কেজি ওজনের এই বাঘাইড় মাছটি আমার জালে ধরা পড়ে। মাছটি অনেক বড় হওয়ায় একক ক্রেতা পাইনি। পরে কেটে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই। প্রতি কেজি ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। মাছটি বিক্রি করে মোট ৭৫ হাজার ৬০০ টাকা পেয়েছি।’
মাছ কিনতে আসা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সরদারপাড়া বাজারে এতো বড় মাছ উঠেছে। এমন বড় মাছ সবসময় বাজারে দেখা যায় না।
‘অনেক বড় হওয়ায় মাছটি এককভাবে কেউ কেনার আগ্রহ দেখাননি। পরে কেটে কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। আমিও ১২০০ টাকা দিয়ে এক কেজি কিনেছি। নদীর মাছ, তার ওপর এতো বড় বাঘাইড়! খেতে অনেক সুস্বাদু হয় বলেই কিনেছি।’
প্রসঙ্গত, মহাবিপন্ন প্রজাতির তালিকাভুক্ত হওয়ায় বাঘাইড় মাছ শিকার, বিপণন ও পরিবহন নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটি বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ২ নং তফসিলভুক্ত একটি সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী। এই আইন অনুযায়ী- বাঘাইড় মাছ শিকার, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন কিংবা দখলে রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট ‘আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ’ (আইইউসিএন)-এর লাল তালিকায় রয়েছে ‘মহাবিপন্ন’ বাঘাইড়।
তারপরও যমুনা, পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারাসহ দেশের বিভিন্ন নদীতে মাঝেমধ্যেই বাঘাইড় মাছ শিকার এবং রীতিমতো মাইকিং করে বিকিকিনি চলে। আর ক্রেতাদেরর ব্যাপক আগ্রহের কারণে তা বিক্রিও হয় বেশ চড়া দামে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য