× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Vitamin C is not stored in the body even if you eat more
google_news print-icon

বেশি খেলেও শরীরে থাকে না ভিটামিন ‘সি’, সংরক্ষণ যেভাবে

বেশি-খেলেও-শরীরে-থাকে-না-ভিটামিন-সি-সংরক্ষণ-যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত
এ ভিটামিনটি বেশি বেশি খেলেও শরীরের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অংশ শরীরে সংরক্ষিত হয় না। বেরিয়ে যায় প্রস্রাবের সঙ্গে। আবার সচেতনতার অভাবে রান্না বা প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় এ ভিটামিনটি।

পানিতে দ্রবণীয়, অর্থ্যাৎ পানির সঙ্গে মিশে যায় এমনই একটি পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ‘সি’। ফলে এ ভিটামিনটি বেশি বেশি খেলেও শরীরের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অংশ শরীরে সংরক্ষিত হয় না। বেরিয়ে যায় প্রস্রাবের সঙ্গে। আবার সচেতনতার অভাবে রান্না বা প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় এ ভিটামিনটি।

আজকে চলুন জেনে নেই ভিটামিন ‘সি’-এর প্রয়েজনীয়তা; সেইসঙ্গে কোন পদ্ধতিতে ‘সি’-যুক্ত ফল ও সবজি প্রক্রিয়াজাত করলে তাতে এই ভিটামিন সংরক্ষিত থাকবে।

ভিটামিন ‘সি’ নষ্ট হয় যেভাবে

প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে যে, ভিটামিন ‘সি’ পানিতে দ্রবণীয়। তাই এই ভিটামিনযুক্ত ফল ও সবজি পানিতে ভিজিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে বা সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিলে পানির সঙ্গে ভিটামিন ‘সি’ও বেরিয়ে যায়।

আবার বেশি তাপে ‘সি’-যুক্ত সবজি রান্না করলেও এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া তামার পাত্রে ভিটামিন ‘সি’-যুক্ত ফল বা সবজি রান্না করলেও নষ্ট হয়ে যায় এর গুণাগুণ।

এই ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল ও সবজি রান্নার ক্ষেত্রে সোডিয়াম-বাই-কার্বনেট ব্যবহারে সতর্কত হোন। কারণ এতে ফল বা সবজির স্বাদ ঠিকই পাবেন, তবে ভিটামিন ‘সি’ আর তাতে রইবে না।

ভিটামিন ‘সি’ সংরক্ষণের উপায়

এ ভিটামিনযুক্ত সবজি রান্নার আগে বড় বড় টুকরো করে কাটতে হবে। তাছাড়া ঢেকে রান্না করলে তাতে ভিটামিন ‘সি’ অটুট থাকে।

ভিটামিন ‘সি’-যুক্ত ফল বা সবজি ফ্রিজে রাখলেও তাতে বিদ্যমান এ ভিটামিন কম নষ্ট হয়।

ফল ও সবজিতে ভিটামিন ‘সি’ ধরে রাখার আরেকটি চমৎকার উপায় হচ্ছে এগুলোতে চিনি মেশানো। এতে খাবারের স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনি ভিটামিন ‘সি’ও নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

যেসব খাবারে পাবেন পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’

ভিটামিন ‘সি’ মূলত মানবদেহে তিনভাবে কাজ করে। শরীরে কোলাজেন টিস্যু তৈরিতে সহায়তা, অ্যান্টি-অক্সিডেন হিসেবে কাজ করা এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।

শরীর বৃত্তীয় এ কাজগুলো করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে এই ভিটামিনটি আমাদের শরীরে থাকা প্রয়োজনীয়। গবেষণা থেকে জানা যায়, একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ৯০ মিলিগ্রাম ও নারীর ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’-র প্রয়োজন।

তাই ওষুধ না খেয়ে কোন কোন খাবার খেলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ঢুকবে, চলুন দেখে নেই।

ভিটামিন ‘সি’-যুক্ত ফল: সাইট্রাস-সমৃদ্ধ ফল, যেমন: লেবু, কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা ইত্যাদি; পাকা পেঁপে, আম, আমলকি, ডালিম, পেয়ারা প্রভৃতি।

ভিটামিন ‘সি’-যুক্ত সবজি: টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, সাদা আলু, শাক, বিভিন্ন অঙ্কুরিত ডাল ইত্যাদি।

যে কারণে খাবেন ভিটামিন ‘সি’

বিভিন্ন সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষত নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ ভিটামিনটি। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে কোলাজেন তৈরিতে আবশ্যক।

এ ছাড়া মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতে ব্যবহৃত বিভিন্ন হরমোন এবং রাসায়নিক সিগন্যাল পাঠাতে সহায়তা করে এই ভিটামিন।

বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, ভিটামিন ‘সি’ শরীরে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনর্গঠণে সাহায্য করে। এছাড়া শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন ‘সি’।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ‘সি’-এর ঘটতি রয়েছে

ভিটামিন ‘সি’-র অভাবে শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে, চলুন দেখে নেই এক নজরে।

  • স্কার্ভি রোগ
  • সবসময় ক্লান্তি অনুভব করা
  • অস্বস্তি অনুভব করা
  • আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা
  • ত্বকের রোগ
  • মাড়ি থেকে রক্তপাত
  • হাইপার থাইরয়েডিজম

যেসব কারণে শরীরে ভিটামিন ‘সি’-এর অভাব হতে পারে

এক মাস বা তার বেশি সময় ধরে প্রতিদিন ১০ মিলিগ্রামের কম ভিটামিন ‘সি’ গ্রহণ করলে শরীরে এর অভাব দেখা দিতে পারে। তবে সাধারণত শরীরে এই ভিটামিনটির অভাব হয় না বললেই চলে।

তবে অলস ও খাদ্য বিমূখ মানুষের ক্ষেত্রে হতে পারে উল্টো ঘটনা। খাবার খেতে যাদের আলস্য কাজ করে তাদের নৈমিত্তিক খাবারের পরিমাণের পাশাপাশি দৈনন্দিন পুষ্টি গ্রহণের মাত্রাও কম হয়। এতে স্বাভাবিকভাবে ভিটামিন ‘সি’-ও শরীরে কম প্রবেশের সুযোগ পায়।

এ ছাড়া এই ভিটামিনের অভাবের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিগুলির মধ্যে রয়েছে ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপানের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব, অধিক মাত্রায় মাদক ও অ্যালকোহল গ্রহণ ইত্যাদি।

আরও পড়ুন:
ভিটামিন ‘এ’: কেন খাবেন, কীসে পাবেন, বেশি খেলে যে সমস্যা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Death of the only HMPV infected patient in the country

দেশে একমাত্র এইচএমপিভি রোগীর মৃত্যু

দেশে একমাত্র এইচএমপিভি রোগীর মৃত্যু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোগো। ফাইল ছবি
মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত নারী সানজিদা আক্তার মারা গেছেন।

মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র বৃহস্পতিবার এমন তথ্য নিশ্চিত করে।

তারা বলেন, ‘এইচএমপিভির একটা কেসই আমরা এ বছর পেয়েছি। এ রোগী গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মারা যান। শুধু এইচএমপিভির কারণে মারা গেছেন, তা মনে হচ্ছে না।

‘এর সঙ্গে আরও একটি অর্গানিজম পেয়েছি। এ ছাড়া তার অনেকগুলো জটিলতা ছিল। শুধু এইচএমপিভি ভাইরাসের কারণে তিনি মারা গেছেন এমনটি বলা যাবে না। এইচএমপিভি ভাইরাসে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

এ বিষয়ে দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ব্রিফ করবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) রোববার জানায়, ভাইরাসটিতে একজন নারী আক্রান্ত হন, যার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতি বছরই দু-চারজন রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন।’

চীনের উত্তরাঞ্চলে রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে এতে আরেকটি মহামারির ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (সিডিসি)।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিয়াং বলেন, শীত মৌসুমে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগটির সংক্রমণ বেশি ঘটে। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কমই ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:
চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা
কাকরাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কনস্টেবলের মৃত্যু ঢামেকে
জামালপুরে পানিতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু
ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে ডুবে গেছে তিন কিশোর
গয়েশ্বর রায়ের স্ত্রী মারা গেছেন

মন্তব্য

জীবনযাপন
Directorate of Health Guidelines for Control of HMPV

এইচএমপিভি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা

এইচএমপিভি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোগো। ছবি: ইউএনবি
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোববার জানান, বাংলাদেশের এক নারী এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এইচএমপিভি না, নিউমোনিয়ার কারণে তার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন।

দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এক বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানায়, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটি উদ্বেগজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে এ সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সেই সাথে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন: হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী নারী ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।’

পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা গেছে। কিন্তু রোগটি যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনা

১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে

২. হাঁচি-কাশির সময় বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন

৩. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন

৪. আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন

৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুইতে হবে(অন্তত ২০ সেকেন্ড)

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না

৭. আপনি জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজনে কাছের হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোববার জানান, বাংলাদেশের এক নারী এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এইচএমপিভি না, নিউমোনিয়ার কারণে তার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন।

চীনের উত্তরাঞ্চলে রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে এতে আরেকটি মহামারির ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় নাগরিকদের পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (সিডিসি)।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিয়াং জানান, শীত মৌসুমে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগটির সংক্রমণ বেশি ঘটে। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কমই ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:
দেশে পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত
কুড়িয়ে পাওয়া বরই খেয়ে দুই বোনের মৃত্যু, নিপাহ’র সন্দেহ
নিপাহ ভাইরাসে মানিকগঞ্জে ১২ দিনে দুই মৃত্যু
‘নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যু হার করোনার তুলনায় বেশি’
কেরালায় ‘বাংলাদেশি নিপাহ’, বলছে ভারত

মন্তব্য

জীবনযাপন
Khaleda Zias health condition is stable Doctors

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক যুক্তরাজ্যে পুত্রবধূ জুবাইদা রহমানের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: ইউএনবি
এ জেড এম জাহিদ হোসেন রোববার বলেন, ‘তার স্বাস্থ্যের রুটিন পরীক্ষা প্রতিদিনই চলছে। তবে সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখেছেন বিখ্যাত হেপাটোলজিস্ট অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি। এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছে।’

যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন রোববার এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘তার স্বাস্থ্যের রুটিন পরীক্ষা প্রতিদিনই চলছে। তবে সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখেছেন বিখ্যাত হেপাটোলজিস্ট অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি। এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছে।

‘হাসপাতালে ভর্তির পরই খালেদা জিয়ার ফিজিওথেরাপি করানো হয়েছে। এতে তার শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। ওই দিনই হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা এরই করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে তার চিকিৎসা চলছে।

লিভার সিরোসিস, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।

আরও পড়ুন:
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
ট্রাইব্যুনালে ক্রসফায়ার ও গুমের অভিযোগ বিএনপির
লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার রাতে
নওগাঁয় বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার

মন্তব্য

জীবনযাপন
Reovirus in the body of five people in the country

দেশে পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত

দেশে পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত রিওভাইরাস। গ্রাফিক্স: ইউএনবি
পাঁচজনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হলেও কারও অবস্থাই গুরুতর ছিল না। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, রিওভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।

দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত করেছে ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)।

পাঁচজনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হলেও কারও অবস্থাই গুরুতর ছিল না।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, রিওভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।

এ ছাড়া ২০২৪ সালে নিপা ভাইরাস লক্ষ্মণ নিয়ে আসা রোগীদের পরীক্ষা করে পাঁচজনের শরীরে এটি পাওয়া যায়।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন ইউএনবিকে বলেন, ‘এটা আমরা ২০২৪ সালে পেয়েছি। আক্রান্তদের মধ্যে কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি। চিকিৎসার পর সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।’

শীতে খেজুরের কাঁচা রস পান করার পর প্রতি বছর অনেকেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসেন। যে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস পাওয়া গেছে, তারা সবাই নিপা ভাইরাস নেগেটিভ ছিল।

তাদের শনাক্ত করা হয় ২০২৪ সালে। সে সময় রোগটি তেমন বিস্তার লাভ করেনি। দেশে ওই পাঁচজনই প্রথম।

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় আইইডিসিআরের নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
করোনা: ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত আরও ১৪
করোনায় ১ মৃত্যু, শনাক্ত ৩২
করোনায় ১ মৃত্যু, শনাক্ত ১১
মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ২১২
প্রাণ হারানো ফায়ার সার্ভিসের আরও একজনের পরিচয় শনাক্ত

মন্তব্য

জীবনযাপন
Inauguration of health card distribution program for mass uprising fighters

গণঅভ্যুত্থান-যোদ্ধাদের জন্য হেলথ কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

গণঅভ্যুত্থান-যোদ্ধাদের জন্য হেলথ কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার সন্ধ্যায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অভ্যুত্থানে আহত দুজন শিক্ষার্থীর হাতে হেলথ কার্ড তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। গণঅভ্যুত্থানের এই দুই যোদ্ধা হলেন- নরসিংদী ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী ইফাত হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইমু।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের সারাদেশে সব সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার সন্ধ্যায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অভ্যুত্থানে আহত দুজন শিক্ষার্থীর হাতে হেলথ কার্ড তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। গণঅভ্যুত্থানের এই দুই যোদ্ধা হলেন- নরসিংদী ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী ইফাত হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইমু।

গত বছরের ১৯ জুলাই আন্দোলনের সময় নরসিংদীতে পুলিশের গুলিতে দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান ইফাত। তিনি এখনও এক চোখে দেখতে পান না। পরদিকে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত ইসরাত বর্তমানে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন। তাদের দুজনের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসাসেবা ও অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নেন প্রধান উপদেষ্টা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট জেলায় হেলথ কার্ড বিতরণ করা হবে।

এ সময় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টাকে চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে এক হাজার ৭৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৯ জনের দু’চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া প্রায় ৪৫০ জনের এক চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

খায়ের আহমেদ চৌধুরী জানান, চোখের ইনজুরির জন্য প্রায় ৬৫০ অপারেশন করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে তিনশর বেশি রেটিনা সার্জারি হয়। চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বাইরে দুটো হাসপাতালে ৬০ জন রোগীর অপারেশন হয়েছে। কোনো কোনো রোগীর তৃতীয় ধাপেও অপারেশন প্রয়োজন পড়ছে।

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত চীন, ফ্রান্স, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিকিৎসকরা চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেছেন এবং যে প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাতে চিকিৎসকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এখন পর্যন্ত চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ৬৫ জন রোগীর চোখ ভালো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক ড. মুহাম্মদ আবুল কেনান প্রধান উপদেষ্টাকে তার হাসপাতালের চিকিৎসার অগ্রগতি জানিয়ে বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের হাসপাতালে ২১ জন রোগীর হাত অথবা পা কেটে ফেলতে হয়েছে। কয়েকজন রোগীকে বিদেশে নেয়ার জন্য বাছাই করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অধিকাংশ রোগীই ধীরে ধীরে সুস্থ হবে এবং তাদের কেউ মৃত্যু-ঝুঁকিতে নেই।

হেলথ কার্ডের উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই হেলথ কার্ড থাকার অর্থ হলো এক বছর পরে হোক, দু’বছর পরে হোক যেকোনো সময় দেশের যেকোনো সরকারি হাসপাতালে কার্ডধারীরা চিকিৎসা পাবেন। এই কার্ড সবসময়ই থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ে আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেটা আমরা করব। অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তাদের আর্থিক নিরাপত্তা সরকার নিশ্চিত করবে।

‘তবে এর পাশাপাশি জুলাইয়ে আহত যোদ্ধাদের মানসিকভাবে, সামাজিকভাবে পুনর্বাসন করার বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। মানুষগুলো যেন আনন্দে তাদের জীবনযাপন করতে পারে, সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সে বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।’

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ও সম্পাদক সারজিস আলমসহ আরও অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Strict action will be taken if all coaching centers do not comply with the 22 day closure order

সব কোচিং সেন্টার ২২ দিন বন্ধের নির্দেশ, না মানলে কঠোর ব্যবস্থা

সব কোচিং সেন্টার ২২ দিন বন্ধের নির্দেশ, না মানলে কঠোর ব্যবস্থা ফাইল ছবি।
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আজ বুধবার থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত সব মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং সেন্টারের অফলাইন ও অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আজ বুধবার থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং সেন্টারের অফলাইন ও অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিজিএমই) মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য দেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারণী মহল সজাগ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এবং সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, সতর্কতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার নির্দেশনার আলোকে ১ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সব পর্যায়ে ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত মেডিক্যাল কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি সব মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আর ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি।

মন্তব্য

জীবনযাপন
The trainee doctors did not accept the proposal to increase the allowance to 35 thousand rupees from July

জুলাই থেকে ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব মানেননি ট্রেইনি চিকিৎসকরা

জুলাই থেকে ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব মানেননি ট্রেইনি চিকিৎসকরা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ট্রেইনি চিকিৎসকদের অবরোধ। ছবি: নিউজবাংলা
আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা বলেন, জানুয়ারি মাস থেকেই ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করলে তারা অবরোধ ছেড়ে দেবেন। যতক্ষণ এটি করা না হবে ততক্ষণ অবরোধ না ছাড়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনরতরা।

বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএসের অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা পঞ্চাশ হাজার টাকা করার দাবিতে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন চিকিৎসকরা।

বর্তমানে অর্থাৎ জানুয়ারি মাস থেকে ট্রেইনি চিকিৎসকদের ৩০ হাজার টাকা করে ভাতা পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে সোমবার সরকারের তরফ থেকে জুলাই মাস থেকে ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা মানেননি আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

ভাতা ৫০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে শাহবাগ অবরোধ করার আগে বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডক্টর মুভমেন্ট ফর জাস্টিস-এর সভাপতি ডাক্তার জাবির হোসেন। সেই বৈঠকে প্রস্তাব করা হয় আপাতত ৩০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা করার যে সিদ্ধান্ত সেটি মেনে নিতে। জুলাই মাস থেকে তাদের এই ভাতা ৩৫ হাজার করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

প্রতিনিধিরা আন্দোলনস্থলে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান।

এরপর বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ মোড়ে এসে আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিধি দল। এ সময় সবাই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। চিকিৎসকরা বলেন, জানুয়ারি মাস থেকেই ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করলে তারা অবরোধ ছেড়ে দেবেন। যতক্ষণ এটি করা না হবে ততক্ষণ অবরোধ না ছাড়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনরতরা।

ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ সিলেটের পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তার আশানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এই দাবি শুনে সরকারের পক্ষ থেকে এখন‌ও কিছু জানানো হয়নি। তবে আমাদের বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আমাদের আন্দোলনস্থলে আসছেন। আমরা ওনার জন্য অপেক্ষা করে আছি।’

আরও পড়ুন:
ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ট্রেইনি চিকিৎসকদের শাহবাগ অবরোধ

মন্তব্য

p
উপরে