× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Blue zone and the secret to a disease free long life
google_news print-icon

ব্লু জোন ও রোগমুক্ত দীর্ঘ জীবনের রহস্য

ব্লু-জোন-ও-রোগমুক্ত-দীর্ঘ-জীবনের-রহস্য-
প্রতীকী ছবি
ব্লু জোন ধারণাটির সূত্রপাত হয়েছে মূলত ২০০৪ সালে প্রকাশিত জিয়ান্নি পেস এবং মিশেল পউলেইনের জনসংখ্যা সংক্রান্ত গবেষণা থেকে। তারা ইতালির সার্ডিনিয়ার নুরো প্রদেশকে শতবর্ষী পুরুষদের অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করে তার নাম দিয়েছিলেন ‘ব্লু জোন’। পরবর্তীতে এই গবেষণালব্ধ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আমেরিকান লেখক ড্যান বুয়েটনার খুঁজে বের করেন আরও ৪টি অঞ্চল।

সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন সঠিক খাবার ও ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ। কিন্তু যখন দীর্ঘায়ুর কথা আসে, তখন তালিকায় যুক্ত হয় সুষ্ঠু জীবনধারণ পদ্ধতি। খাদ্যাভাসের ওপর নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সার্বিকভাবে বদলে দিতে পারে মানুষের জীবনযাত্রাকে। আর তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে ব্লু জোন।

ব্লু জোনের মানুষগুলো কেবল দীর্ঘজীবীই নয়, জীবদ্দশার সময়গুলোতে তারা নিজেদের সুস্থতাকেও ধরে রাখে। কীভাবে ব্লু জোন নিবাসীরা রোগহীনভাবে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন, এ তথ্য ছাড়াও ইউএনবি এই ব্লু জোন নিয়ে দিয়েছে বিস্তারিত তথ্য।

ব্লু জোন কী

ব্লু জোন ধারণাটির সূত্রপাত হয়েছে মূলত ২০০৪ সালে প্রকাশিত জিয়ান্নি পেস এবং মিশেল পউলেইনের জনসংখ্যা সংক্রান্ত গবেষণা থেকে। তারা ইতালির সার্ডিনিয়ার নুরো প্রদেশকে শতবর্ষী পুরুষদের অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করে তার নাম দিয়েছিলেন ‘ব্লু জোন’। পরবর্তীতে এই গবেষণালব্ধ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আমেরিকান লেখক ড্যান বুয়েটনার খুঁজে বের করেন আরও ৪টি অঞ্চল।

প্রকৃতপক্ষে ব্লু জোন হলো বিশ্বের সেই অঞ্চলগুলো, যেখানকার অধিবাসীদের আয়ু পৃথিবীর মানুষের সাধারণ গড় আয়ুর তুলনায় বেশি।

বিশ্বের ৫টি ব্লু জোন

নুরো প্রদেশ, সার্ডিনিয়া, ইতালি

এটি ইতালির সার্ডিনিয়ার স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ অঞ্চলের একটি প্রদেশ। সার্ডিনিয়া হলো ইতালির মূল ভূখণ্ডের অদূরে বনে ঘেরা এক রুক্ষ দ্বীপ, যার সম্মুখে রয়েছে সুন্দর বালুকাময় সমুদ্র সৈকত।

এখানে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় মাথাপিছু শতবর্ষজীবী মানুষের সংখ্যা প্রায় দশগুণ বেশি। এমনকি নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে এই আয়ুর অনুপাত সমান।
নুরো নিবাসীদের প্রধান খাবার সেখানকার ঐতিহ্যগত ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য। এই তালিকার বেশিরভাগই শস্যজাত, শাক-সবজি, দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং একদম স্বল্প পরিমাণ মাংস।

পাহাড়ি দ্বীপ সার্ডিনিয়ার মানুষেরা গাড়ির বদলে পায়ে হেটেই বেশি পাহাড়ি পথসহ অন্যান্য রাস্তাগুলো অতিক্রম করে। এখনও সেখানকার অধিকাংশ অধিবাসীদের মেষ চড়াতে দেখা যায়। অফিস থেকে লোকেরা সরাসরি বাড়িতে এসে পরিবারের সঙ্গে দুপুরের খাবার খায়।
সার্ডিনিয়ানরা পরিমিত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করে। স্থানীয় এই ওয়াইন ক্যানোনৌ বা গ্রেনেচ নামে পরিচিত।

ওকিনাওয়া, জাপান

এটি জাপানের দক্ষিণে একটি উপক্রান্তীয় দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ। এখানকার লোকেরা কয়েক প্রজন্ম ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী মানুষ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছে।

১৯৮০ সালে ওকিনাওয়ার পুরুষদের আয়ু ছিল কমপক্ষে ৮৪ এবং নারীদের সর্বোচ্চ আয়ু ছিল ৯০ বছর।

সকাল হতে না হতেই ঘুম ভেঙে বাইরে পড়তে দেখা যায় বয়স্ক ওকিনাওয়ানদের। তাদের নিত্যদিনের খাদ্যাভাসে রয়েছে উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য যেমন ভাজা সবজি, মিষ্টি আলু, তোফু। তারা শুকরের মাংসও খায় তবে বেশ অল্প পরিমাণে। প্রায় সব ওকিনাওয়ান শতবর্ষীদের সাধারণ কাজ হলো বাগান করা।

নিকোয়া, কোস্টারিকা

এটি কোস্টারিকার একটি উপদ্বীপ, যেখানকার বাসিন্দাদের গড় আয়ু ৮৫ বছর। এদের প্রাত্যহিক খাবার হচ্ছে স্কোয়াশ, ভুট্টা, কলা, এবং প্রচুর পরিমাণে মটরশুটি। এখানে মাংসের পরিমাণ থাকে অনেক কম।

সকালে ভাত, মটরশুটি এবং কফির নাস্তা শেষে নিকোয়ান পুরুষরা ঘোড়ায় চড়ে পাহাড় আরোহন করেন। এরা প্রতিদিনি দ্বীপের যত্রতত্র ঘুরে বেড়ান, এবং বাগান করার মত বিভিন্ন কায়িক পরিশ্রমে নিজেদের ব্যস্ত রাখেন।

নিকোয়া নিবাসীরা অতিরিক্ত সময় জীবিকা নির্বাহে ব্যয় করার চেয়ে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বেশি সময় কাটান।

ইকারিয়া, গ্রিস

গ্রিসের সামোস থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল (১৯ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পশ্চিমে এজিয়ান সাগরের বুকে জেগে একটি দ্বীপ এই ইকারিয়া। ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় গড়ে দশ বছর বেশি বাঁচে এখানকার অধিবাসীরা। প্রতি তিনজন ইকারিয়ানের মধ্যে একজনের বয়স ৯০-এর কোঠায়।
এদের খাদ্যতালিকায় আছে জলপাই তেল, শাক-সবজি, রসুন, সার্ডিন, স্যামন, হেরিং, ট্রাউট, বাদাম, আখরোট, গোটা শস্যের রুটি, পাস্তা এবং ভাতের মত ভূমধ্যসাগরীয় খাবার।

পার্বত্য এলাকা হলেও ইকারিয়ানরা প্রতিদিন হেঁটেই এখানকার এলাকাগুলোতে বিচরণ করে। সীমিত সময় কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের মাঝে এদের রয়েছে দুপুরে সংক্ষিপ্ত ঘুমের অভ্যাস। এছাড়াও তাদের মধ্যে আছে শক্তিশালী পারিবারিক এবং সামাজিক বন্ধন। স্থানীয় অপূর্ব সৈকত এলাকার মতই মানুষগুলোও বেশ প্রফুল্ল ও দুশ্চিন্তামুক্ত।

লোমা লিন্ডা, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র

এটি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে প্রায় এক ঘন্টা দূরত্বে পূর্বে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ছোট্ট সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। এখানকার অধিবাসীদের বয়স জাতীয় গড় আয়ু থেকে ১০ বছর বেশি; এমনকি জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ বেঁচে আছে ১০০ বছর ধরে।

শহরে অ্যালকোহল বিক্রি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ। গির্জার মালিকানাধীন মুদির দোকানে মাংস বিক্রি হয় না।
দীর্ঘজীবীদের মধ্যে প্রায় ৯ হাজার লোক সেভেন্থ-ডে অ্যাডভেন্টিস্ট-এ বিশ্বাসী। এই প্রোটেস্টেন্ট খ্রিস্টানদের খাদ্যের বিশাল অংশ দখল করে আছে উদ্ভিজ্জ খাবার। কালো মটরশুটি, বাদাম এবং অ্যাভোকাডো তাদের খাদ্যের কেন্দ্রীয় উপাদান। স্বল্প কিছু সেভেন্থ-ডে অ্যাডভেন্টিস্ট শেলফিশ এবং লাল মাংস (বিশেষ করে শূকরের মাংস) গ্রহণ করেন।

মাংসের পরিবর্তে স্থানীয় লোমা লিন্ডা মার্কেট ভরা থাকে শিম এবং শস্য বীজ দিয়ে। সেভেন্থ-ডে অ্যাডভেন্টিস্টরা অ্যালকোহল পান করেন না। সাধারণ ধর্মাবলম্বীরা নিকোটিন এবং ক্যাফেইনও এড়িয়ে চলেন।

লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটনেস সেন্টার এর সকল বাসিন্দাদের জন্য উন্মুক্ত। পরিবারের সঙ্গে প্রকৃতি ভ্রমণ সেভেন্থ-ডে অ্যাডভেন্টিস্টদের জন্য বেশ সাধারণ একটি ব্যাপার।

যেসব কারণে ব্লু জোনের মানুষ দীর্ঘদিন রোগমুক্তভাবে বেঁচে থাকে

সম্পূর্ণ উদ্ভিদজাত খাদ্য গ্রহণ

ফল, শাক-সবজি, মটরশুটি, লেবু, গোটা শস্য, বাদাম এবং বীজ ব্লু জোনের মানুষের ক্যালোরির সিংহভাগ সরবরাহ করে। এই জাতীয় খাবারগুলোতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ এবং জৈবিক যৌগগুলোর মতো পুষ্টি থাকে। এই পুষ্টি কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তে শর্করার মাত্রা উন্নত করতে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

মাংস ও অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ

ব্লু জোনের বাসিন্দারা একেবারেই যে মাংস খান না তা নয়। মাংসের পাশাপাশি তারা মাছ, দুধ ও ডিমও খান, তবে অবশ্যই প্রতিদিন নয়। ফলে, তাদের শরীরে প্রাণীজ পণ্যগুলোতে থাকা দ্রুত বয়স বৃদ্ধির হরমোনের মতো বিপজ্জনক কৃত্রিম রাসায়নিকের পরিমাণ কম থাকে।
ব্লু জোনের লোকেরা দিনে ১ থেকে ২ গ্লাস ওয়াইন পান করেন। এই অভ্যাস তাদেরকে বিভিন্ন রোগসহ বয়স-সম্পর্কিত জ্ঞানীয় পতন থেকে দূরে রাখে। এছাড়া এই নিয়ন্ত্রণ তাদেরকে হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং এমনকি ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো থেকেও মুক্ত রাখে।

কাজের মাধ্যমে শরীরচর্চা ও পর্যাপ্ত ঘুম

বাগান করা, হাঁটা এবং পর্বত আরোহণ ব্লু জোনের লোকেদের জন্য নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। তাদের জিম করতে হয় না বা ভোরে উঠে স্বাস্থ্য গঠনের উদ্দেশে আলাদা করে ব্যায়ামের প্রয়োজন হয় না। তাদের জীবনধারণ পদ্ধতিই তাদের ৯০-এর বছর বয়সের সময় তাদেরকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখে।

দৈনিক কায়িক শ্রম সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ুত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, কারণ এটি টক্সিন ভাঙ্গন বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হাড় ও পেশীকে মজবুত রাখে।

তারা ঘুমের সময়রেখাটা বেশ ভালোভাবেই মেনে চলেন। তাদের প্রায় সকলেই সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই জেগে ওঠেন। অন্যদিকে সূর্যাস্তের পরে বেশি তারা ঘুমানোর জন্য বেশি রাত করেন না। কেউ কেউ কাজের মাঝে নিজেকে সতেজ রাখার জন্য দিনের বেলাতেও হাল্কা ঘুম দিয়ে নেন।
এই চর্চা শুধু শরীরকেই নয়; তাদের মনকেও সুস্থ রাখে।

দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা

শরীর ভালো থাকাটা মনকে অনেকটাই দুশ্চিন্তা মুক্ত করে দেয়। এরপরেও ব্লু জোনের জনগণ প্রতিদিন প্রার্থনা বা ধ্যান করে এবং পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটায়। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে তারা অতিরিক্ত কাজ করার দিকে ধাবিত হন না। এছাড়া পরস্পরের সঙ্গে তারা সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখেন। পিতামাতা এবং দাদা-দাদীসহ যৌথ পরিবারে তারা একত্রে বসবাস করেন। শুধুমাত্র কুশল বিনিময় ছাড়াও প্রতিবেশীদের সঙ্গে তারা নিয়মিত দেখা করেন। ফলে দীর্ঘস্থায়ী চাপ থেকে সৃষ্ট প্রদাহ এবং বিষণ্নতার মতো ব্যাধির ঝুঁকি থেকে তারা দূরে থাকেন।

জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী

ব্লু জোন নিবাসীরা জীবন নিয়ে হতাশাগ্রস্ত নন। তারা নিজেদের কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ খুশী। তারা জানেন যে, তারা কোথায় যাচ্ছেন এবং কেন যাচ্ছেন। আর এর জন্য তাদের মধ্যে কোনও রকম তাড়াহুড়ো নেই।

এই আত্মবিঃশ্বাস তাদের ব্যক্তিগত বৃদ্ধি এবং বিকাশের ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। গবেষণা দেখা গেছে যে, এ ধরনের অনুভূতি সুখ এবং আত্মসম্মানকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং এমনকি ব্যক্তির আয়ু আরও ৭ বছর বাড়িয়ে দিতে পারে।

ব্লু জোন-এর এই রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায় গোটা পৃথিবীর বিস্ময়। সেই সঙ্গে এক অনুসরণীয় দৃষ্টান্তও বটে বাকি বিশ্ববাসীর জন্য। জীবনধারণকে কিছুটা আলাদা বলতে যাবতীয় মিষ্টতা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা নয়। বরং এই উদ্ভিজ্জ খাবার, নিয়মিত ও পরিমিত পরিশ্রম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং বন্ধুত্ব ও আত্মীয়তার বজায় রাখার মত কর্মকাণ্ডেই নিহিত আছে প্রকৃত সুখ।

নিয়ন্ত্রণের নিয়ম-কানুনগুলো যখন নিত্য-নৈমিত্তিক অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন সেই নিয়মানুবর্তিতা আর চাপের সৃষ্টি করে না। বরং এর প্রতি নিবেদিত হওয়া সীমিত জীবনে যুক্ত করতে পারে আরও কয়েকটি বছর।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Khaleda Zia should go abroad according to the law Law Minister

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে মতামত আজই: আইনমন্ত্রী

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে মতামত আজই: আইনমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদূর জেনেছি, এই আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসার পরে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কাছে ফাইলটা আছে। আমি অফিসে গিয়ে ফাইলটা দেখে আজকের মধ্যে মতামত দিয়ে শেষ করব।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা দিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনের বিষয়ে রোববারই আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রোববার কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদূর জেনেছি, এই আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসার পরে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কাছে ফাইলটা আছে। আমি অফিসে গিয়ে ফাইলটা দেখে আজকের মধ্যে মতামত দিয়ে শেষ করব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই। এই ক্ষেত্রে ভিন্নমত দেয়ার সুযোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন, সেটা আইনের অবস্থান। আমি মনে করি সেটাই সঠিক।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে শর্তযুক্তভাবে তার সাজা স্থগিত করেছেন, তাকে মুক্তি দিয়েছেন। এটা ওপেন করার কোনো উপায় নাই আইনগতভাবে। সেটা তিনি পরিষ্কারই বলেছেন।’

প্রয়োজনের তাগিদে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব কাজই আইনের মাধ্যমে করতে হয়। আইনের বাইরে গিয়ে করলে সেটা একটা খারাপ নজির হিসেবে সৃষ্টি হয়। বিদেশে গেলেও আইনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সেই নির্বাহী আদেশ হতে হবে।’

শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। পরে মতামত দেয়ার জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে শনিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার ইচ্ছা করলে প্রশাসনিক আদেশেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার যে আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করেছে, সেখানে দুটি শর্ত জুড়ে দেয়া আছে। তার একটি শর্ত হলো বিদেশে যাওয়া যাবে না। এই শর্তটি তুলে দিলেই খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করে আবার দেশে আসতে পারবেন।’

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে। এরপর কয়েক দফায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

আরও পড়ুন:
মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইল বাংলাদেশ জাসদ
ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণ নিয়ে অনেক সন্দেহ: খসরু
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
হাসপাতালে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ খালেদা জিয়া

মন্তব্য

জীবনযাপন
Dengue has killed thousands

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি হাজার ছুঁইছুঁই

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি হাজার ছুঁইছুঁই ফাইল ছবি
এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪২৫ ডেঙ্গু রোগী। এদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৫১ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৭৪ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯৮৯ জনের প্রাণ গেল।

এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪২৫ ডেঙ্গু রোগী। এদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৫১ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৭৪ জন।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৯৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৩৭৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩ হাজার ৪০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৩ হাজার ২২২ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৪ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৮ জন। ঢাকায় ৭৯ হাজার ২০৪ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৫৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

আরও পড়ুন:
‘দেশে ডেঙ্গুর সবচেয়ে কার্যকর টিকা আবিষ্কার হয়েছে’

মন্তব্য

জীবনযাপন
The most effective dengue vaccine has been discovered in the country

‘দেশে ডেঙ্গুর সবচেয়ে কার্যকর টিকা আবিষ্কার হয়েছে’

‘দেশে ডেঙ্গুর সবচেয়ে কার্যকর টিকা আবিষ্কার হয়েছে’ প্রতীকী ছবি
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সর্দি জ্বর হলেও ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ দেরিতে ডেঙ্গু ধরা পড়লে তখন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর একটি বড় কারণ দেরিতে ডেঙ্গু শনাক্ত ও চিকিৎসা দেয়া।’

বিশ্বে চার ধরনের ডেঙ্গু রোগেরই টিকা আবিষ্কারের লক্ষ্যে গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘ডেঙ্গুর টিকা নিয়ে বিশ্বজোড়া গবেষণা চলছে। অলরেডি দুটি টিকা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ওই টিকাগুলো এখনও ব্যবহারের অনুমোদন পায়নি।’

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে দেশে ফিরে শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর কোনো মহামারি দেখা দিলে তা কীভাবে ঠেকাতে হবে, জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্যসেবায় গরিব রাষ্ট্রগুলো যাতে প্রয়োজনীয় ফান্ডিং পায়- এসব বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আবিষ্কৃত টিকা দুটি (ডেঙ্গুর) হয়ত ডেঙ্গু কিছুটা দমন করতে পারে, কিন্তু সব ধরনের ডেঙ্গুর দমন এতে হবে না। আবার টিকাগুলোতে কিছু সমস্যাও রয়েছে। ইতোমধ্যে যারা একবার ডেঙ্গুর টিকা নিয়েছে, তারা যদি অন্য ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তাহলে তাদের অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে পড়ে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে ওই টিকা ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়েছে।’

‘দেশে ডেঙ্গুর সবচেয়ে কার্যকর টিকা আবিষ্কার হয়েছে’
মানিকগঞ্জে নিজ বাসভবনে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ছবি: নিউজবাংলা

তবে আমাদের দেশে আইসিডিডিআর,বি-তে একটি টিকা তৈরি হয়েছে, যেটি বেশ কার্যকর বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেটা পরীক্ষামূলক অবস্থায় আছে। টিকা আবিষ্কারকরা বলছেন, টিকাটি বেশ কার্যকর। টিকাটি নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে এবং পরীক্ষা শেষে ডব্লিউএইচওর অনুমোদন পেলে দেশে তা ব্যবহার করতে পারব। তবে এই মহূর্তে পৃথিবীর কোথাও ডেঙ্গুর কার্যকর টিকা নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যক্ষ্মা রোগের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সব দেশ থেকে যক্ষ্মা যক্ষা নির্মূল করতে কাজ করছে। বাংলাদেশ যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করছে।

‘আগের তুলনায় যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমে গেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা যাতে আমরা এসডিজি গোল্ড অর্জন করতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘টেকনোলজির মাধ্যমে কীভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে। টেকনোলজি যাতে মনোপলি বা একচেটিয়া না হয়ে দেশের সবার কল্যাণে কাজে লাগে সে চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সময় ভ্যাকসিন ও ওষুধ নিয়ে বিশ্বে চরম মনোপলি দেখেছি। অনেক গরিব দেশ ওষুধ ও টিকা পায়নি। অথচ বাজারে তা দেদারসে বিক্রি হয়েছে।

‘স্বাস্থ্য খাতে যাতে জনগণের সেবাপ্রাপ্তিতে কোনো ঘাটতি না থাকে, যন্ত্রপাতির ঘাটতি না থাকে, প্রয়োজেনে যাতে হাসপাতাল তৈরি করা হয়, সেই বিষয়টিতে আমরা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সর্দি জ্বর হলেও ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ দেরিতে ডেঙ্গু ধরা পড়লে তখন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর একটি বড় কারণ দেরিতে ডেঙ্গু শনাক্ত ও চিকিৎসা দেয়া। এজন্য তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন:
ভারত থেকে এলো ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন

মন্তব্য

জীবনযাপন
With 9 more people the total death due to dengue stood at 967

আরও ৯ জনসহ ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ৯৬৭

আরও ৯ জনসহ ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ৯৬৭ ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা। ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৩৫৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৬৭১ ও ঢাকা মহানগরীর বাইরে ১ হাজার ৬৮৬ জন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। এরপর থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রকোপটা রাজধানী ঢাকায় শুরু হলেও ক্রমে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত সারা দেশে আরও নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মারা গেছেন তিনজন। বাকি ৬জন মহানগরীর বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৬৭ জন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৯জনের মৃত্যু ছাড়াও নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৩৫৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৬৭১ ও ঢাকা মহানগরীর বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৬৮৬ জন ভর্তি হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৯ হাজার ৭৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ৪৫৭ এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগে ৬ হাজার ৩৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৮৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮১ হাজার ৮৮৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০১ জন।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪২৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭৭ হাজার ৮০৩ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানের ১ লাখ ১০ হাজার ৬২১ জন।

গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৫১৮ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৪৯ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৬৯ জন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, আক্রান্ত ২১৫৩
ডেঙ্গুতে আরও ৮ প্রাণহানি, হাসপাতালে ২৮৮৯
ভারত থেকে এলো ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন
ডেঙ্গুতে আরও ২১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে তিন সহস্রাধিক
এফেরেসিস: ডেঙ্গু মহামারিতে জীবন রক্ষায় বড় সহায়

মন্তব্য

জীবনযাপন
Family letter to Khaleda Zia for treatment abroad

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসায় ফের পরিবারের চিঠি




খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসায় ফের পরিবারের চিঠি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন করেন। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা এক আবেদনেও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার বিষয়টি উল্লেখ ছিল।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনুমতি চেয়ে আবারও আবেদন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন করেছেন।

সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে এই আবেদন করা হয়েছে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা এক আবেদনেও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার বিষয়টি উল্লেখ ছিল।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিএনপি। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে যান। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এর পর বিভিন্ন সময় তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হয়।

আরও পড়ুন:
মেডিক্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক
মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইল বাংলাদেশ জাসদ
ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণ নিয়ে অনেক সন্দেহ: খসরু
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

মন্তব্য

জীবনযাপন
Oversleeping on holidays makes mood worse

ছুটির দিনে বেশি ঘুমালে খারাপ হয় মেজাজ

ছুটির দিনে বেশি ঘুমালে খারাপ হয় মেজাজ প্রতীকী ছবি
শুধু হৃদরোগই নয়, এই অনিয়মিত ঘুমে বাড়ে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনাও। খারাপ হয় মেজাজ। ছুটির দিনে অতিরিক্ত ঘুমের কারণে স্মৃতির সমস্যা, মনঃসংযোগের অভাব, অবসাদ, হাইপারটেনশনের মতো সমস্যাগুলোও বাড়তে থাকে।

ছুটির দিনে স্বাভাবিকভাবেই কর্মজীবীদের ঘুম ভাঙতে একটু দেরি হয়। অফিসে যাওয়ার তাড়া নেই, নেই তেমন কোনো জরুরি কাজও। অন্য দিনের মতো মোবাইল ফোন বা ঘড়িতে বেজে ওঠে না অ্যালার্ম।

এই ঘুমে একটু স্বস্তি পেলেও বিষয়টি কিন্তু মোটেই শরীরের জন্য উপকারী নয়। এমন অনিয়ন্ত্রিত ঘুমে হতে পারে হৃদরোগসহ নানা জটিলতা।

ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনার গবেষণায় উঠে এসেছে বিপদবার্তা। অন্য দিনের তুলনায় ছুটির দিনে প্রতি ঘণ্টা অতিরিক্ত ঘুমে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে ১১ শতাংশ।

গবেষকরা বলছেন, শুধু হৃদরোগই নয়, এই অনিয়মিত ঘুমে বাড়ে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনাও। খারাপ হয় মেজাজ। ছুটির দিনে অতিরিক্ত ঘুমের কারণে স্মৃতির সমস্যা, মনঃসংযোগের অভাব, অবসাদ, হাইপারটেনশনের মতো সমস্যাগুলোও বাড়তে থাকে।

গবেষকদের মত, বেশি ঘুমে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি। শরীর নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এটা ধূমপান ও মদ্যপানের মতোই ক্ষতিকর।

ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির সিডনি স্কুল অফ পাবলিক হেলথের গবেষকরা আরও মারাত্মক বিপদবার্তা দিয়েছেন। তাদের মতে, চরম অলসতা ও ঘুমানোর সঙ্গে আয়ু কমে আসার বিষয়টি জড়িত।

যারা নড়াচড়া না করে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন এবং বেশি ঘুমান, তাদের শারীরিক অবস্থা অন্যদের থেকে বেশি খারাপ থাকে। তাই সুস্থ থাকতে ঘুমেরও রুটিন দরকার। ছুটির দিন এলেই যে বেশি ঘুমাতে হবে, সেটি মোটেও ঠিক নয়।

মন্তব্য

জীবনযাপন
15 more deaths in dengue hospital 2950

ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৯৫০

ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৯৫০ ফাইল ছবি।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ জন। আর এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ জন।

বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৫০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭২৬ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ২২৪ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯ হাজার ৯৬৭ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৫৩৮ জন ঢাকায় এবং ৬ হাজার ৪২৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯০৬ জন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গু: প্রাণহানি কমলেও বেড়েছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা
ডেঙ্গুতে একদিনে ১৯ প্রাণহানি, হাসপাতালে তিন সহস্রাধিক
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯০০ ছাড়িয়ে গেল, হাসপাতালে আরও ৩০০৮
ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৮৬৫
ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, আক্রান্ত ২১৫৩

মন্তব্য

p
উপরে