সহজলভ্য প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিমের জুড়ি নেই। পুষ্টিতে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক খাবার এটি। প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউজ হিসেবে পরিচিত এ খাবারটি অত্যন্ত উপাদেয়। বলা হয়ে থাকে, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাওয়া উচিত।
তবে বর্তমান বাজারে ডিমের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে দৈনন্দিন প্রোটিনের এ সহজলভ্য উৎস কেনার সামর্থ্য নাগালের বাইরে চলে গেছে অনেকেরই।
শরীর গঠন ও শরীরের ক্ষয়পূরণের জন্য প্রোটিনের কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও শরীরের টিস্যু পুনর্গঠন করে প্রোটিন। তাই আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান হচ্ছে প্রোটিন।
মাছ, মাংস, ডিমের মতো আমিষ জাতীয় খাবারকে প্রোটিনের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হলেও নিরামিষ খাবারে যে প্রোটিন নেই, তা কিন্তু নয়।
অনেকেই নিরামিষাসী জীবনযাপন করে থাকেন। তাদের কিন্তু প্রোটিনের অভাব দেখা দেয় না। এর মূল কারণ, নিরামিষ খাবারেও পাওয়া যায় পর্যাপ্ত প্রোটিন। শুধু বেছে নিতে হবে কোন কোন নিরামিষ খাবারগুলো খাবেন আপনি।
চলুন আজকে এমন পাঁচটি নিরামিষ খাবার সম্পর্কে জেনে নেই যাতে ডিমের চেয়েও বেশি প্রোটিন পাবেন বিনা চিন্তায়। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এ পাঁচটি নিরামিষ খাবার যোগ করলে আপনাকে আপনার ডিম কেনার চিন্তাও কমবে।
সবুজ শাক-সবজি
যদিও বর্তমানে বাজারে শাকসবজির দামও বেশি। তবে তা এখনও ডিমের দামকে টেক্কা দিতে পারেনি। তাই রোজকার প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে বেছে নিতে পারেন প্রোটিনসমৃদ্ধ শাকসবজি।
বিভিন্ন সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন। মটরশুঁটি, কড়াইশুঁটি, ব্রকলি, শিম, পালং শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো আরও অনেক সবুজ শাক-সবজি আছে যাতে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় প্রোটিন।
এসব সবুজ শাক-সবজি রোজ খেলে শুধু আপনার প্রোটিনের চাহিদা মিটবে তা-ই নয়, বরং এতে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন ও ফাইবারের চাহিদাও মিটবে।
বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার
বাদাম খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ বোধহয় নেই বললেই চলে। তবে পছন্দের এ খাবারটি শুধু যে খেতে মজার তা কিন্তু নয়, এতে রয়েছে খাদ্যের মৌলিক উপাদান প্রোটিন।
বাদামের সঙ্গে এ তালিকায় যুক্ত হবে বিভিন্ন বীজ জাতীয় খাবার। এগুলো প্রোটিনের ভালো উৎস হিসেবেও কাজ করে। তবে এ ধরণের খাবার খাওয়ায় সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, মুটিয়ে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিদিনই অল্প পরিমাণে কিছু বাদাম খান। তা হতে পারে চিনা বাদাম, কাঠ বাদাম, আখরোট ইত্যাদি। আবার বিভিন্ন বীজ জাতীয় খাবার, যেমন-কুমড়ার বীজ, বিভিন্ন ডালের অঙ্কুর, শিমের বীজ, তিল ইত্যাদিতেও পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন।
ডাল
এক কাপ ডালে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ১৬ থেকে ১৮ গ্রাম। বিভিন্ন ডালের পাশাপাশি ছোলায়ও পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণের প্রোটিন।
তাই রোজকার প্রোটিনের প্রয়োজন মেটাতে খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন বিভিন্ন ডাল বা শস্যদানা।
সম্প্রতি কিনোয়াও জনপ্রিয় একটি খাবার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, যা প্রোটিনের একটি বড় উৎস। পাশাপাশি এতে পাওয়া যায় প্রায় ১৮ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড।
তবে খেয়াল রাখবেন, বিভিন্ন গবেষণা বলে, ডাল বা শস্যদানা হজমে কিছুটা সময় লাগে। তবে সব ধরনের ডালই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন পুষ্টিবিদরা।
পনির
যারা নিরামিষাসী বা ভেগান তাদের কাছে প্রোটিনের উৎস হিসেবে পনির অত্যন্ত উপাদেয় ও জনপ্রিয় একটি খাবার।
এক কাপ পনিরে প্রায় ১২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে খাবার তালিকায় যুক্ত হতে পারে পনির।
চাইলে পনিরের বিভিন্ন রেসিপি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আবার এমনিতেই খেতে পারেন হালকা নোনতা নরম তুলতুলে এ খাবারটি।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
সুষম খাবার হিসেবে বেশ নামডাক রয়েছে যার, তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং দুগ্ধ মহারাজ। ক্যালসিয়াম থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের পুষ্টির বড় উৎস এ তরল। আর দুধ থেকে যেসব খাবার তৈরি করা হয়, সেগুলোও যথেষ্ট পুষ্টিসমৃদ্ধ।
এত গুণের পাশাপাশি প্রোটিনের উৎস হিসেবেও দুধের নামডাক রয়েছে। এক কাপ গরুর দুধে প্রায় ৩.৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
তাই যদি নিয়ম করে প্রোটিন খেতে যান, দিনে বা রাতে পান করতে পারেন এক কাপ দুধ। এতে সহজেই আপনার প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হবে।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬২৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শুক্রবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৩ হাজার ৩৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী।
এতে আরও বলা, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৩৫৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৭ হাজার ৯৭৪ জন ও ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৪ হাজার ৩৮৫ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬২২ জন। এর মধ্যে বাসিন্দা ঢাকার ৯৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৮৫ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ১৪৪ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে ৭৩৩ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৪৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ৮৩৬। ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৪ হাজার ৫৫ জন।
সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৫ হাজার ৯৯১ ও ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৭৯৯ জন।
গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশু স্নায়ুরোগের সেবায় ইএমজি সেবা ও নিউরো-মাসকুলার ডিজঅর্ডার ক্লিনিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজী বিভাগে প্রধান অতিথি হিসেবে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এর উদ্বোধন করেন।
এসব চালু করার মাধ্যমে শিশু স্নায়ু রোগীদের চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য নতুন একটু দ্বার উন্মোচিত হলো। নার্ভ কনডাকশন স্টাডি (এনসিএস) ও ইলেকেট্রোমায়োগ্রাম (ইএমজি) পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুদের স্নায়ুরোগ ও মাংসপেশির রোগ সনাক্ত করনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক বলেন, ‘আজ ইনিস্টিটিউট-অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজি বিভাগের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ইপনায় সেবা নিতে আসা বিশেষ শিশুরা বেশ সংবেদনশীল। তাদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকরা যেমন বিশেষ শিশুদের যত্ন দেবেন, তার চেয়ে বেশী সেবা পরিজনদের মাধ্যমে দিতে হবে। এতে বিশেষ শিশুরা দেশের সম্পদে পরিণত হবে। বিশেষ শিশুদের মেধার বিকাশে কাজ করছে ইপনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশু স্নায়ুরোগীসহ সকল বিভাগে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রদানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন বেশ মনোযোগী। শিশুদের ¯স্নায়ুরোগীদের সেবার জন্য বিশ্বে যে ধরনের সেবা দেয়া হয় সেটিও এখানে দেয়া হচ্ছে। সামনে আরও উন্নতমানের সেবা দেবার লক্ষে আমরা কাজ করছি।’
এ সময় ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আক্তার, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক ডা. সাঈদা তাবাস্সুম আলম, সহকারী অধ্যাপক ডা. বিকাশ চন্দ্র পাল, সহকারী অধ্যাপক ডা. সানজিদা আহমেদ, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমখসহ বিভাগের সকল ফ্যাকালটি ও চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬১৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৬৮ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৩ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৭৫ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩ হাজার ৫৮৭ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৭৪ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ৬১৩ জন রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার (২৯ নভেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৩ লাখ ১১ হাজার ১৪ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরেছেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৮১২ জন।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬১০ জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৫৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ২০১ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে ৭৫৮ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৫৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
এতে আরও বলা, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯ জন ও ঢাকার বাইরে ২ লাখ ২ হাজার ৫৪৭ জন।
সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ লাখ ৪ হাজার ৮৬৯ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৫ হাজার ৫৬৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩০১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
রাজধানীর ডেমরার আমিনবাগ গেট বাঁশেরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ। ২৫ বছর বয়সী এ যুবক একজন স্বেচ্ছাসেবী এবং সংগঠক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফোরাম এসডিএ, উইন্টার প্রোজেক্ট, হিমু পরিবহন, আশার আলো সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।
যে বয়সে হোসাইনের পরিবারের হাল ধরার কথা, সেই বয়সে তিনি আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অন্তত ১২ লাখ টাকা, কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
হোসাইন গত ১২ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় তার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিউরোসায়েন্স থেকে ফিরে বর্তমানে বাসায় রয়েছেন হোসাইন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যায় নিউজবাংলা। গিয়ে দেখা যায়, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। এ সময় বাঁতে আকূল হোসাইনের চোখের দুধার বেড়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রু। চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
হোসাইনকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন নিচের মাধ্যমগুলোতে
প্রাইম ব্যাংক শেরপুর, বগুড়া শাখা
ইসলামী ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা
বিকাশ/নগদ (মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট)
বিকাশ/নগদ (হোসাইনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট)
যেকোনো প্রয়োজনে রায়হান (০১৯৫৩৬১৯৪১৯), আশিক (০১৬১০২১৭০৬৪) ও তপুর (০১৫৬৮১০৯৯৫৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
সারা দেশে রোববার সকাল আটটা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৬০৬ জনে দাঁড়াল।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২০ জন। নতুন এসব শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৯ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৩ হাজার ৪৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ১১ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ৪৮২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯ হাজার ৮৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৭ হাজার ২৯৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ৭৮৯ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৮৮ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৭ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
মন্তব্য