পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
২৯ জুন সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ওইদিন সকাল ৭টায় শুরু হবে ঈদ জামাত।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত পাঁচটি ঈদ জামাতে যারা ইমাম ও মুকাব্বির-এর দায়িত্ব পালন করবেন তারা হলেন- প্রথম জামাত: সকাল ৭টায়-ইমাম: হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক, পেশ ইমাম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ। মুকাব্বির: আব্দুল হাদী, খাদেম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ।
দ্বিতীয় জামাত: সকাল ৮টা-ইমাম: মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম, পেশ ইমাম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ। মুকাব্বির: হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান, মুয়াজ্জিন (অব.), বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ।
তৃতীয় জামাত: সকাল ৯টা-ইমাম: ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী, মুফাসসির, ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মুকাব্বির: মো. শহিদ উল্লাহ, চিফ খাদেম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ।
চতুর্থ জামাত: সকাল ১০টা-ইমাম: মাওলানা মো. আনিসুজ্জামান সিকদার, পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মুকাব্বির: হাফেজ ম. রুহুল আমিন, খাদেম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত: সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট-ইমাম: মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুফতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মুকাব্বির: হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম, খাদেম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ।
পাঁচটি জামাতে যদি কোনো ইমাম উপস্থিত না থাকেন তবে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাওলানা জাকির হোসেন, উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এ ছাড়া জাতীয় ঈদগাহের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে জাতীয় ঈদগাহের ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টার থেকে পরিবর্তিত হয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
হিজরি ১৪৪৬ সালের সাদাকাতুল ফিতরের হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি আবদুল মালেক।
এতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরিয়াহ মতে, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের মতো পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা প্রদান করা যাবে।
গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১১০ টাকা প্রদান করতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৫৩০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ২ হাজার ৮০৫ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।
উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও সাদাকাতুল ফিতরা আদায় হবে।
আরও পড়ুন:পবিত্র রমজান উপলক্ষে জীবনের সর্বস্তরে সংযমের বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রমজানকে সামনে রেখে শনিবার সন্ধ্যায় দেওয়া বাণীতে এ বার্তা দেন।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে বাণীতে তিনি বলেন, ‘সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস মাহে রমজান আজ আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে। সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্য লাভ ও ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়।
‘সিয়াম ধনী-গরিব সবার মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।’
তিনি বলেন, ‘আসুন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছৃঙ্খলতা ও সংঘাত পরিহার করি এবং জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ, ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি। সিয়াম পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে ক্ষমা ও হেফাজত করুন, আমিন।’
আরও পড়ুন:দেশে রমজান মাস এলে বাজারে হু হু করে বেড়ে যায় খাদ্যপণ্যের দাম। এমন বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্র সামনে এনেছেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মুদি দোকানি শাহ আলম।
রমজান উপলক্ষে ইফতারসামগ্রীর দাম কমিয়ে দিয়েছেন শাহ আলম। লাভ ছাড়াই পণ্য বিক্রি করছেন তিনি।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মধ্য চরকুমিরা গ্রামে শাহ আলমের এ মুদি দোকান। পাশেই নিজ বাড়ি।
তিনি জানান, গেল দুই বছর রমজানে কেজিতে এক টাকা লাভে ইফতারসামগ্রী বিক্রয় করেন। অবশ্য এবারও কেজিতে এক টাকা লাভে উপজেলার ভাটিয়ালপুর এলাকায় তার নিজের অন্য একটি দোকানে ইফতারের ৮ রকমের পণ্যসামগ্রী বিক্রি করছেন তিনি। সেটা তার ভাই ও বোন দেখাশোনা করছেন। তবে আরেক দোকানে লাভ ছাড়াই বিক্রি করছেন পণ্য।
শাহ আলম বলেন, ‘নিজ বাড়ির পাশে কোনো লাভ ছাড়াই কেনা দামেই পবিত্র মাহে রমজানের আটটি ইফতারসামগ্রী বিক্রি করছি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে মুড়ি, ছোলা, খেসারির ডাল, বেসন, চিড়া, চিনি, খেজুর ও সয়াবিন তেল।’
শাহ আলমের দোকানে মূল্য তালিকা সাঁটানো রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও তার দোকান পরিদর্শন করেছেন।
এ দোকানি ইউএনবিকে বলেন, ‘বছরের ১১ মাসই তো ব্যবসা করি। এই মাসে কোনো ব্যবসা (লাভ) করব না। পাশে আমার আরেকটি মুদির দোকান রয়েছে। গরিব, মেহনতি মানুষের জন্য কিছু একটা করার জন্য এ বছর রমজানে ক্রয়মূল্যেই রোজাদারের জন্য আটটি খাদ্যপণ্যসামগ্রী বিক্রয় করার সিদ্বান্ত নিয়েছি। এখন থেকেই শুরু করছি এসব পণ্য বিক্রি।’
অন্যান্য বছর রমজানে মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা বিক্রয় হলেও এবার রমজান মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল বিক্রয় করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ী শাহ আলম।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার রমজানের মালপত্র বিক্রির অর্ডার পেয়েছি এ এলাকার লোকজন ও প্রবাসী ভাইদের কাছ থেকে।’
তার দোকান পরিদর্শন করে দেখা যায়, শাহ আলম, তার ভাতিজা সাকিবসহ (১৯) এসব পণ্য সামগ্রী প্যাক করছেন। দোকানে মালামালে পূর্ণ।
রমজানে দূরের বাজারে না গিয়ে বাড়ির পাশে শাহ আলমের মুদি দোকান থেকে ক্রয়মূল্যে ইফতারসামগ্রী কিনতে পেরে আশপাশের ক্রেতারা খুশি বলে জানান অটোচালক আরজু মিয়া (৪০), আইয়ুব আলী বেপারি (৫০), অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী আবদুল খালেক (৭৭), বেলায়েত হোসেন (৫০), ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সাকিব বেপারি (১৮) ও আবুল বেপারি (৬০)।
তারা বলছেন, শাহ আলমের দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করলে সুবিধা। দূরের বাজারে গিয়ে বিভিন্ন দোকানে দাম যাচাই-বাছাই করতে ঘুরতে হয় না।
শাহ আলম এসব পণ্য প্যাক করে মালামাল রিক্সা-ভ্যানে করে বাড়িতে বাড়িতে বাড়িতেও পাঠিয়ে দেন বলে জানান একজন গৃহিণী ও তার বাবা।
গেল দুই বছর ১ টাকা লাভে রমজানের পণ্য বিক্রয় করে ব্যাপক সাড়া পান শাহ আলম। গত বছর সরকার তাকে পুরস্কৃতও করে।
পাশের মুদি দোকানদার বেলায়েত হোসেন বেপারিসহ কয়েকজন শাহ আলমের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
এদিকে রমজান উপলক্ষে বিনা লাভে ক্রয়মূল্যে ইফতারসামগ্রী বিক্রয় করায় শাহ আলমকে অভিনন্দন জানিয়েছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সম্প্রতি তার দোকানে গিয়ে যেকোনো ব্যপারে শাহ আলমকে সহযোগিতার হাত বাড়ানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলার সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল ইমরান।
আরও পড়ুন:পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সাধারণ মানুষের কেনাকাটার জন্য ঝালকাঠিতে ‘প্রশান্তি’ নামের সস্তার বাজার চালু করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার ও পৌর প্রশাসককে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সকালে ফিতা কেটে বিনা লাভের বাজারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আশরাফুর রহমান।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার আয়োজনে ক্যাব ও বণিক সমিতির পরিচালনায় রমজান মাসজুড়ে চালু থাকবে বাজারটি। শহরের বাহের রোড (শিতলাখোলা) শাহী স্কুল এলাকায় বসানো হয়েছে এ বাজার।
রমজানে এ বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল, ২৪ টাকা কেজি দরে আটা, সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা লিটার, চিনি প্রতি কেজি ১১৬ টাকা, মসুর ডাল ১০০ টাকা, মটর ডাল ৫৮ টাকা, চিড়া ৫৮ টাকা এবং গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে।
এ ছাড়া গরুর দুধ ৮০ টাকা লিটারসহ রমজান মাসের প্রয়োজনীয় ১৮টি পণ্য সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হবে বাজারটিতে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ক্রেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান, পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পৌর প্রশাসক মো. কাওছার হোসেন।
ডিসি আশরাফুর রহমান বলেন, ‘নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এ ধরনের বাজার স্থাপনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ছে, যাতে তারা সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারেন।
‘এ ধরনের কার্যক্রম সমাজে সহানুভূতি ও সমবেত প্রয়াসের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
আরও পড়ুন:হিজরি ১৪৪৬ সালের রমজান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে শনিবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সন্ধ্যা ছয়টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে এ সভা হবে।
এতে সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে, তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
টেলিফোন নম্বরগুলো হলো ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭।
ফ্যাক্স নম্বরগুলো হলো ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।
যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় শুক্রবার রাতে দেশজুড়ে পালন করা হবে পবিত্র শবে বরাত।
হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ গভীর রাতটি মুসলমানরা শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। রাতটি লাইলাতুল বরাত হিসেবেও পরিচিত।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে শনিবার সরকারি ছুুটি থাকবে।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘এ সৌভাগ্যময় রজনী মানব জাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদান ও প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।’
পবিত্র এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষণ হয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ মহিমাময় রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি; অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, বরকত, নাজাত ও মাগফিরাত।’
পবিত্র শবে বরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’
এ রাতে বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে সোমবার সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে দুই উপদেষ্টা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময় তারা পূজার সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পূজা উদ্যাপন কমিটির সদস্যরা।
এবার জগন্নাথ হলের মূল পূজামণ্ডপের বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আরও ৭২টি পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়।
মন্তব্য