× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
The name is fun to eat strangely
google_news print-icon

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা

অদ্ভুত-তার-নাম-খেতে-ভারি-মজা
জিভে জল আনা পুরান ঢাকার খেতাপুরি। ছবি: নিউজবাংলা
খেতাপুরির নাম নিয়ে কারিগর আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার বাবায় বলছে, আগে যারা বিক্রি করত তখন ছিল সাদা; চাইলের আটা দিয়া বানানো। ওইটা খোলায় সেঁক দিয়া ভাজত, ত্যাল ছাড়া। ওইডা একটু মোটা থাকত। দ্যাখতে খেতার (কাঁথা) মতো বইল্যা মুরব্বিরা নাম রাখছেন খেতাপুরি। ওই ঐতিহ্যই চলতাছে এখন।’

নাম তার অদ্ভুত। খেতে ভারি মজা। দেখতে ডালপুরি, আলুপুরির মতো হলেও মুখরোচক খাবারটির নাম খেতাপুরি।

পুরান ঢাকার অন্যতম জনপ্রিয় খাবার এই পুরি। এর স্বাদ নিতে যেতে হবে লালবাগ, নাজিরাবাজার, শাঁখারীবাজার, বংশালসহ বেশ কিছু এলাকায়।

প্রস্তুত প্রণালির ভিন্নতার কারণেই খেতাপুরি নামকরণ করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী খাবারটির।

অন্য পুরিতে আটা ব্যবহার করা হলেও ময়দা দিয়ে বানানো হয় খেতাপুরি। ময়দার খামিরে পুরো করে ডাল ভরে পুরি বানানো হয়। সাধারণ ডালপুরির চেয়ে খেতাপুরিতে ডালের পুর অনেক মোটা হয়।

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা

খেতাপুরির খামির। ছবি: নিউজবাংলা

বুট, খেসারি বা মসুর ডালের সঙ্গে পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, কাঁচামরিচ কুচি, আদা, পেঁয়াজ, রসুনবাটা ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে মিশ্রণ বানানো হয়, যা মূলত খেতাপুরির পুর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই পুর যত ভালো হবে, খেতাপুরি তত মজা হবে। এরপর হালকা তেলে তাওয়ায় ভেজে তৈরি করা হয় খেতাপুরি।

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা
অল্প আঁচে ধীরে ধীরে ভাজা হয় খেতাপুরি। ছবি: নিউজবাংলা

খেতাপুরি নামকরণ যেভাবে

লালবাগ কেল্লার ২ নম্বর গেটের পাশে ১৫ বছর ধরে খেতাপুরির দোকান চালাচ্ছেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পুরি বিক্রি করেন তিনি।

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা

লালবাগ কেল্লার দেয়ালঘেঁষা মোহাম্মদ ইব্রাহীমের খেতাপুরির দোকান। ছবি: নিউজবাংলা

ইব্রাহিম জানান, প্রথমে ময়দার সঙ্গে তেল ও পানি মিলিয়ে খামির প্রস্তুত করা হয়। এরপর রুটির সঙ্গে বাসা থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বানিয়ে আনা ডাল ব্যবহার করা হয়।

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা
খেতাপুরির অনন্য উপকরণ ডাল। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘ডাইলে মসলা আছে, লেবু আছে। কাঁচামরিচ, পুদিনা, ধৈন্যা (ধনে পাতা), দারচিনি, এলাচের গুঁড়া আছে; জয়ফল আছে, তারপর হলুদ আছে। এগলা মিলায় ডাইল বানায়া খামিরের মধ্যে ভরি আরকি। তারপর ত্যালে ছাড়ি।’

পুরির নাম খেতাপুরি কেন, এমন প্রশ্ন করলে ইব্রাহিম বলেন, ‘খেতাপুরি বানায় রাখলে নরম হইয়া যায়। ভাইজা রাখলে একটু পর পোতায় যাইবগা। পোতায় যায় দেইখেই এইডার নাম দিসে খেতাপুরি। আগের মুরব্বিরা এই নাম রাইখা গেছে। আমরাও তাই এইডারে খেতাপুরি কই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডাইলপুরি ভাজলে শক্ত হইয়া যায়। আর এইডা (খেতাপুরি) থাহে নরম। ওইডার (ডালপুরি) মদ্যে ডাইল কম দেয়, এইডার মদ্যে ডাইল বেশি। এইডাই পার্থক্য। আর কিছু নাই।’

অভিজ্ঞ এ কারিগর জানান, খেতাপুরি নরম রাখতে অল্প তাপে, কম তেলে ধীরে ধীরে ভাজতে হয়। এ জন্য কেরোসিনের চুলা ব্যবহার করা হয়। গ্যাসের চুলায় এভাবে পুরি ভাজা যায় না।

মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছোট ভাই কারিগর আবদুল জব্বার বলেন, ‘দাদারা-চাচারা যে করত, হেরা কইত্তে এই নাম পাইল, এইডা আর আমরা জানি না। এই পুরি আমরার চাচারা বানাইত; চাচাগোর থেইকা আমরা শিখছি। আসল হইল খামির। খামিরে ৫-৬ কেজি ময়দার ভিতরে ৩ পোয়া ত্যাল দিবেন আর লবণ দিবেন। বাস্।’

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা

বংশপরম্পরায় খেতাপুরির দোকান চালাচ্ছেন দুই ভাই ইব্রাহিম ও জব্বার। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি আরও বলেন, ‘হোটলের ভিতরে যেইডা ভাজে (ডালপুরি), সেইডায় এইরাম খাস্তা (পুর) দিব না। এর (খেতাপুরি) খামিরডা নরম, খাস্তা বেশি। সুন্দর কইরা ভাজুম, ডাইল বেশি। এইডার খায়ই ডাইল। ডাইলডা বেশির কারণেই এইডা নরম হইয়া যায়। এইডায় মজা বেশি। খাইলে বুজতে পারবেন, ট্যাশ আছে।’

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খেতাপুরি। ছবি: নিউজবাংলা

‘এটার টেস্ট অন্যরকম’

গাজীপুরের টঙ্গী থেকে খেতাপুরির স্বাদ নিতে এসেছেন সজল ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে খাইতাছি আমি। এইদিকে আসলেই আসা পরে (পুরির দোকানে)। এমনকি যখন মনে চায়, তখনই চলে আসি এই পুরির টানে।’

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা
গাজীপুরের টঙ্গী থেকে খেতাপুরির স্বাদ নিতে এসেছেন সজল ভূঁইয়া। ছবি: নিউজবাংলা

পুরি খেতে খেতে তিনি বলেন, ‘অতুলনীয় স্বাদ ভাই! এত অন্তরঙ্গ মনে হয় যে, মানে আত্মা থেকে টানে এইডা আমার খাইতে। দুই-চারটা খাই, আট-দশটা নিয়া যাই পার্সেল।’

খেতাপুরি কিনতে আসা লালবাগের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘অন্য পুরির চাইতে এইডা ভালা। খাইতে স্বাদ লাগে। এমনে খাইতেই মজা। টক দইয়ের আচার দিয়া খাইলে আরও মজা লাগে।’

ঢাকার জুরাইন-পোস্তগোলা থেকে বাবার সঙ্গে পুরি খেতে এসেছে আট বছরের শুভ। সে বলে, ‘এটার টেস্ট অন্যরকম। অন্য পুরিতে এতকিছু (পুর) দেয়া থাকে না।’

কাজের ফাঁকে দোকানের পাশে রিকশা থামিয়ে খেতাপুরি খাচ্ছিলেন চালক শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘২০-২৫ বছর ধইরা এই পুরি খাই। রিকশার খ্যাপ লইয়া আইলেই এহোনও ভালো লাগে; আয়া খাই। আগে আরও উন্নত (ভালো স্বাদ) ছিল, অহন কেমন জানি। আগে আরও ছুডুবেলায় যহন খাইতাম, তহন আরও ভালো লাগত।’

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা

২০ বছর ধরে খেতাপুরি খেতে আসেন রিকশাচালক শেখ মুজিবুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা

মিরপুর ১২ নম্বর থেকে আসা ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমি প্রায়ই এদিকে আসলে এটা (খেতাপুরি) খাই। আর, এটা প্রায় বেশ অনেক দিন ধরেই খাচ্ছি এখানে। ভেতরে একটু পুদিনা পাতা, ধনিয়া পাতার ফ্লেভার থাকে।’

‘আর হচ্ছে ডাল-টাল বেশি থাকে, আলু থাকে। এইটার ফ্লেভারটা টোটালি আলাদা। ফার্স্ট যখন খাইছি, তখন ২ টাকা করে খাইছি। ১ টাকাও খাইছি। এইটা এখন হইছে ১০ টাকারও বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাসার সবাই খেতাপুরি পছন্দ করে। আমি প্রায়ই নিয়ে যাই। এখন নিজে খেলাম আর দুইটা বেস্ট ফ্রেন্ডের জন্যও কিছু নিয়ে যাচ্ছি।’

লালবাগ কেল্লার পাশে চা-সিগারেটের দোকান চালান স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী আদিল। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটোত থেকেই দেইখে আসতেছি এইখানে দোকানদারি (খেতাপুরির) চলে। উনারা (ইব্রাহিম ও জব্বার) যে বেচাকেনা করে, অনেক ভিড়ভাট্টা হয়। ভালো লোকসমাগম হয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসে এখানে।’

আদিল আরও বলেন, ‘নরমাল পুরি বেশি ত্যালে ভাজা, এইডায় হালকা ত্যাল, যে কারণে সবাই খাইতে পারে। আমরা পরিবারসহ এই দোকানে খাই, বাসায় নিয়া যাই। এইটার যে আলাদা স্বাদ, না খাওয়া পর্যন্ত বুঝতে পারবেন না।’

‘সাগরিদের সাগরিদরা এখন ব্যবসা করে’

লালবাগ কেল্লার দেয়ালঘেঁষা মোহাম্মদ ইব্রাহীমের অস্থায়ী দোকানটিতে সন্ধ্যার পর ভিড় জমে রসনাবিলাসীদের। বসার জায়গা না থাকলেও ভোক্তার অভাব নেই। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পুরি খেতেই যেন স্বাচ্ছন্দ্য।

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা

লালবাগ কেল্লার দেয়ালঘেঁষা দোকানে রসনাবিলাসীদের ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা

ওই দোকানটি ছাড়াও লালবাগ এলাকায় বেশ কয়েকটি খেতাপুরির দোকান রয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগ বেশ পুরোনো।

ঠিক কবে থেকে খেতাপুরির প্রচলন, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি কেউ। লালবাগের স্থানীয় বাসিন্দা জাকির আহমেদ বলেন, ‘ছোটকালেত থেইকে শুনে আসছি, স্বাধীন পিরোডের আগে (স্বাধীনতার পূর্বে) লালবাগ এলাকার কেল্লার গেটের অপজিটে একটি দোকান ছিল। সেই দোকানে এই খেতাপুরিটা বানাত। উনিই (নাম জানা নেই) সর্বপ্রথম এই লালবাগে এবং এই পুরানো ঢাকায়, উনিই ইতিহাস করছে এই খেতাপুরির।’

‘খেতাপুরির যে স্বাদ, এইডা উনিই একমাত্র এই পুরান ঢাকায় দেখাইছে। উনার আগে কেউ তৈরি করেনি। সেই দোকান এখন আর নেই। যে এটা বানিয়েছেন প্রথম, উনি এখন বেঁচে নেই। উনার ছেলেরাও কেউ ব্যবসার হাল ধরে নাই। কেল্লার ২ নম্বর গেটের সামনের দোকানে উনার সাগরিদের সাগরিদরা (শিষ্য) এখন ব্যবসা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই পুরান ঢাকার খেতাপুরির স্বাদ কেউ নিতে পারে নাই। অন্যান্য এলাকায় খেতাপুরির নাম শুনে খেতাপুরি বানাইছে, কিন্তু নামে বানাইছে, কাজে কখনও কেউ বানাইতে পারে নাই। খেতাপুরি বানাইতে ব্যতিক্রম মসল্লা (পুর) লাগে, যে মসল্লাডা অনেকে জানেও না। এই মসল্লাডা কীভাবে মিক্স করতে হয়, যারা জানে, একমাত্র তারাই করতে পারবে। এ ছাড়া অন্য কেউ করতে পারবে না।’

হাতেগোনা কারিগর

লালবাগের গোরে শহীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দোকান বসিয়েছেন খেতাপুরির কারিগর পঞ্চাশোর্ধ্ব মো. আবুল কাশেম। বাবার কাছ থেকে খেতাপুরি বানানো শিখেছেন।

কাশেম বলেন, ‘আট আনা থেইকে আমার বাবা এই পুরি বেচা শুরু করছে। এখন বেচি ৫ টাকা। আল্লায় (বাবাকে) এহনও জীবিত রাখছে, সে এহনও বিক্রি করে। তার কাছ থেইকেই আমার শিখা।’

কাশেমের দোকানে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০টি খেতাপুরি বিক্রি হয়। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।

তিনি বলেন, ‘মসল্লা মজার কারণে দূরদূরান্ত থেইকে লোকজন আহে, নিয়া যায়। অনেক গরব (গর্ব) লাগে। এতদূর থিইক্যা পুরি নিতে আমার কাছে আসে, আনন্দ লাগে।’

আবুল কাশেমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুরান ঢাকায় হাতেগোনা কয়েকজন খেতাপুরি বানান। এর মধ্যে লালবাগ চৌরাস্তার আশপাশে বসেন তিন থেকে চারজন। এ ছাড়া নাজিরাবাজার, বংশাল এবং নবাবগঞ্জেও এই পুরি পাওয়া যায়।

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা
পুরান ঢাকায় খেতাপুরির দোকান। ছবি: নিউজবাংলা

খেতাপুরির নাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বাবায় বলছে, আগে যারা বিক্রি করত, তখন ছিল সাদা; চাইলের আটা দিয়া বানানো। ওইটা খোলায় সেঁক দিয়া ভাজত, ত্যাল ছাড়া। ওইডা একটু মোটা থাকত। দ্যাখতে খেতার (কাঁথা) মতো বইল্লা মুরব্বিরা নাম রাখছেন খেতাপুরি। ওই ঐতিহ্যই চলতাছে এখন।’

প্রস্তুত প্রণালি একই, নাম ডালরুটি

কাশেমের কথার সূত্র ধরে খেতাপুরির আদি সংস্করণের সন্ধান করেছে নিউজবাংলা। পুরান ঢাকার বংশালের এক পিঠার দোকানে দেখা মেলে তার, তবে নাম আলাদা। খেতাপুরি নয়, এটি এখন ডালরুটি নামে পরিচিত। পুর প্রস্তুত প্রণালি একই; পার্থক্য খামির আর রন্ধন কৌশলে। চালের আটায় বানানো ডালরুটি তাওয়ায় স্যাঁকা হয়। অল্প আঁচে, ধীরে ধীরে কাঁচা পুরির সাদা রং বাদামি হয়ে গেলে ভাজার প্রক্রিয়া শেষ হয়।

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা

তেল ছাড়াই তাওয়ায় সেঁকে তৈরি হয় ডালরুটি। ছবি: নিউজবাংলা

একই এলাকার পাশের এক গলিতে দেখা মেলে আরেকটি দোকানের। ফুটপাতে বসা দোকানটির কারিগর মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘খেতাপুরি ত্যালে ভাজে। এইডা (ডালরুটি) ত্যাল ছাড়া ভাজা হয়। শুধু তাওয়ায় ছ্যাঁক দিয়াই ভাজি।’

এই দোকানে ডালরুটি কিনতে আসা রুবেল হোসেন বলেন, ‘একই জিনিস, তেলে ভাজলে খেতাপুরি, তাওয়ায় সেঁকলে ডালরুটি। দুইটাই খেতে মজা। তয় খেতাপুরির চল একটু বেশি।’

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা

তেল ছাড়া ভাজা হয় ডালরুটি। ছবি: নিউজবাংলা

বাড্ডা থেকে পুরান ঢাকায় ঘুরতে এসেছেন সাইক্লিস্ট মশিউর রহমান। শখের বসে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে মুখরোচক খাবার খাওয়াই তার উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, ‘খেতাপুরি আর ডালরুটি দুটোই আমি খেয়েছি, তবে কেল্লার গেটের খেতাপুরির স্বাদ অনন্য। ডালরুটিতে তাওয়ার ছেঁক দেয় বলে আমার কাছে একটু কাঁচা কাঁচা লেগেছে। এ ছাড়া সবই ভালো।’

অদ্ভুত তার নাম, খেতে ভারি মজা

খেতাপুরির আদি সংস্করণ ডালরুটি। ছবি: নিউজবাংলা

খেতাপুরি, ডালরুটির মতো এমন অনেক মুখরোচক খাবার পাওয়া যায় পুরান ঢাকার অলিতে-গলিতে। বাহারি এসব খাবারের ভিড়ে ঐতিহ্যবাহী খেতাপুরির স্বাদ আস্বাদনে যেতে পারেন যেকোনো দিন। দোকানগুলোতে সন্ধ্যার পর বেশ ভিড় থাকে। তাই অপেক্ষাকৃত আরামে খেতে যেতে পারেন বিকেলে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Hotel resorts in Ruma and Thanchi are empty due to lack of tourists

পর্যটক-শূন্যতায় রুমা ও থানচির হোটেল রিসোর্ট ফাঁকা

পর্যটক-শূন্যতায় রুমা ও থানচির হোটেল রিসোর্ট ফাঁকা বান্দরবানের থানচি উপজেলার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট তমা তুঙ্গী। ফাইল ছবি
বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর পার্বত্য জেলা বান্দরবানে পর্যটন খাতে কালো ছায়া পড়েছে। ভয়ে-আতঙ্কে পর্যটকরা বুকিং বাতিল করছেন। ফলে ভরা মৌসুমেও লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসা-সংশ্লিষ্টরা।

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে প্রতি বছর ঈদ, পহেলা বৈশাখ ও সাংগ্রাই উৎসব ঘিরে ব্যাপক পর্যটকের সমাগম হয়। বছর ঘুরে এসব উৎসব এলেও এবারের পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। বিশেষত জেলার রুমা ও থানচিতে পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে। হোটেল-রিসোট পড়ে থাকছে ফাঁকা। দেখা মিলছে না দেশি-বিদেশি পর্যটকের।

সম্প্রতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর পর্যটন খাতে কালো ছায়া পড়েছে। ভয়ে ও আতঙ্কে পর্যটকরা আগে থেকে করে রাখা বুকিং বাতিল করছেন। ফলে ভরা মৌসুমেও লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসা-সংশ্লিষ্টরা।

পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থানকারী জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম বান্দরবান। জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচির অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ। ইতোমধ্যে এসব স্পটের খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে থানচির অবস্থান। আর রোয়াংছড়ি ২০ কিলোমিটার ও রুমার দূরত্ব ৬৯ কিলোমিটার।

বান্দরবান-থানচি সড়কের মাঝামাঝি জীবননগর নামক স্থানে রয়েছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট নীলগিরি। নীল দিগন্ত বিস্তৃত এলাকাটি ম্রো অধ্যুষিত।

থানচি-আলিকদম সংযোগ সড়কে থানচি সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ক্রাউডং (মারমা) ডিম পাহাড় (বাংলা)। নৌপথে সাংগু নদী বেয়ে তিন্দু ইউনিয়নে রয়েছে রাজা পাথর (বাংলা)।

এরপর রয়েছে রেমাক্রী খাল। জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের রোয়াংছড়ি উপজেলার শীলবাঁধা পাড়ায় দেবতাখুমের অবস্থান। এছাড়াও রয়েছে অনেক পর্যটন স্পট।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত প্রাকৃতিক হ্রদ হলো বগা লেক। রুমা উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে তিন হাজার সাতশ’ ফুট উচুঁতে এর অবস্থান। লেকটি পাহাড় চূড়ায় ১৫ হাজার একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত।

বগা লেক নিয়ে নানা কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হল বিজয় (তাজিং ডং)। সমতল থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ৫শ’ ফুট। রুমা উপজেলার রেমাক্রী পাংশা ইউনিয়নে এর অবস্থান।

রুমা উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। শীত মৌসুমে এই পর্বত দেখতে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে।

এছাড়াও রয়েছে কেওকারাডং, জলপ্রপাতের পানি ঝিরসহ অনেক পর্যটন স্পট। আবার জেলার থানচিতে পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে নাফাখুম ঝরনা, আমিয়াখুং ঝরনা, ভেলাখুং ঝরনা, সাত ভাই খুং ঝরনা, লাংলুক ঝরনা, লৈক্ষ্যং ঝরনা, চিংড়িৎ ঝরনা।

প্রকৃতি এতোসব সম্ভার সাজিয়ে বসে আছে। কিন্তু তা দেখার জন্য পর্যটকের আগমন ঘটছে না। সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ভয় আর আতঙ্কে তারা পার্বত্য এসব পর্যটন স্পট এড়িয়ে চলছেন।

পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা জানান, বান্দরবান জেলায় পর্যটকদের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানগুলো হচ্ছে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায়। বিরাজমান পরিস্থিতিতে এই তিন উপজেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। ফলে এসব দর্শনীয় স্থানে যাতায়াত করাটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন পর্যটকরা। অধিকাংশ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ। যানবাহন চলাচলও সীমিত। সন্ধ্যার আগেই লোকজন ঘরবন্দি হয়ে পড়ছে।

রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচির হোটেল-রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখ চলে গেল। এসব উৎসবের ছুটিতে এখানে হোটেল-মোটেলের শতভাগ রুম বুকিং হওয়ার কথা। কিন্তু এবার সেসবের কিছুই হয়নি।

হঠাৎ করে ২ এপ্রিল রাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে। পরদিন দুপুরে থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে অস্থির হয়ে পড়েছে বান্দরবান।

কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শুরু হয় যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান। আর এই খবর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে ভয়-আতঙ্কে মুখ ফিরিয়ে নেয় পর্যটকরা। অথচ এই সময়টাতে থানচি রেমাক্রীতে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম হওয়ার কথা ছিল।

পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটক না আসার কারণে এই ঈদ মৌসুমে তাদেরকে লাখ লাখ টাকার লোকসান গুনতে হবে।

নৌকার এক মাঝি জানান, থানচিতে পর্যটকের ছুটে চলার একমাত্র মাধ্যম হলো নৌকা। এখানে নৌকার সংখ্যা রয়েছে পাঁচ শতাধিক। আর এসব নৌকা চালানোর জন্য সমসংখ্যক মাঝি রয়েছেন। তাদের প্রধান আয়ের উৎস পর্যটক। নৌকা চালাতে পারলে সংসারের চাকা ঘুরবে, অন্যথায় উপোস থাকতে হবে। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তারা দিনশেষে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন বলেন, ‘সরকারিভাবে পর্যটকদের এই এলাকা ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। তবে এমন পরিস্থিতি শোনার পর আর কেউ এখানে ঘুরতে আসবে বলে মনেও হয় না। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিটরা অনেক কষ্ট ও লোকসানে পড়বে বোঝা যাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ-এর শতাধিক অস্ত্রধারী ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমা উপজেলার ইউএনও অফিস সংলগ্ন মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে। তারা সোনালী ব্যাংকের টাকাসহ ডিউটিরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেও অপহরণ করে। পরদিন থানচি উপজেলা শহরের সোনালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি হয়।

যৌথ অভিযান চালিয়ে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে র‌্যাব ও সেনাবাহিনী। এরপর কেএনএফের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা দেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এসব ঘটনায় আটটি মামলা করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই জড়িতদের ধরতে এবং সন্ত্রাসীদের নির্মূলে ৬ এপ্রিল যৌথ বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। দুদিনের অভিযানে ১৮ নারীসহ ৫৬ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী। বাকি সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন:
রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুট: গ্রেপ্তার আরও চার আসামি
রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুই কেএনএফ সদস্য আটক
বান্দরবানে ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, দুটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কম্বিং অপারেশন চলবে: সেনাপ্রধান
বান্দরবানের ঘটনার প্রভাব পড়বে না পর্যটনে: টুরিস্ট পুলিশ

মন্তব্য

জীবনযাপন
Changa Sylhets tourism sector on the occasion of Eid

ঈদ উপলক্ষে চাঙা সিলেটের পর্যটন খাত

ঈদ উপলক্ষে চাঙা সিলেটের পর্যটন খাত
সিলেটে আগামী কয়েক দিন পর্যটনে চাঙাভাব অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। ছবি: নিউজবাংলা
জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে জাফলংয়ে অনেক পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও ভালো হয়েছে। এখানকার কোনো হোটেল-রিসোর্টেই এখন কক্ষ খালি নেই। আগামী কয়েক দিন পর্যটক সমাগম বেশি থাকবে বলে আশা করছি।’

কিছুদিন মন্দাবস্থার পর ঈদ উপলক্ষে চাঙা হয়ে উঠেছে সিলেটের পর্যটন খাত। ঈদের ছুটিতে ব্যাপকসংখ্যক পর্যটক এসেছেন সিলেটে। এতে খুশি পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা।

আগামী কয়েক দিন এই চাঙাভাব অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দুটি গন্তব্য গোয়াইনঘাটের জাফলং ও কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর। এ দুই জায়গাতেই ঈদের দিন থেকে পর্যটকদের ঢল নেমেছে, তবে ঈদের দিনের চেয়ে তার পরের দিন পর্যটক সমাগম আরও বাড়ে।

জাফলংয়ের পর্যটন খাতের উদ্যেক্তারা জানান, ঈদ মৌসুমে জাফলংয়ে আট থেকে ১০ লাখ পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন তারা।

জাফলং, সাদাপাথর ছাড়াও বিছনাকান্দি, রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট, পানতুমাই ঝরনা, লালাখাল ও সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানে বৃহস্পতিবার থেকেই পর্যটকদের ঢল নামে। সিলেটের বেশির ভাগ হোটেল-রিসোর্ট এখন অতিথিতে পূর্ণ।

সিলেট শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে সাদাপাথর। সাদা পাথুরে নদীর শীতল জল আর পাশেই দিগন্ত বিস্তৃত মেঘালয় পাহাড়। প্রকৃতির এ অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। ঈদ মৌসুমে পর্যটক সমাগম আরও বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

ঈদুল ফিতরের পরের দিন শুক্রবার সাদাপাথরে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের কারণে নদীতে পা ফেলার অবস্থা নেই। ভিড়ের কারণে অনেকে নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ছিলেন; নামতে পারছিলেন না পানিতে।

সাদাপাথর ঘুরতে আসা কুমিল্লার শিউলি বেগম বলেন, ‘এই পরিবেশ অপরূপ। যে কেউ আসলে মন ভালো হয়ে যাবে।’

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে আসা রাজেল মিয়া বলেন,‘দুপুরে সাদাপাথরে এসেছি। সাদাপাথরের ধলাই নদীর শীতল স্পর্শ মনকে চাঙা করে দিয়েছে।

‘সত্যিই অসাধারণ জায়গা। অবসর পেলেই চলে আসি।’

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট রিজিয়নের পরিদর্শক আখতার হোসেন বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সাদাপাথরে এই ঈদে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক ঘুরতে আসছেন।

‘আমাদের কয়েকটি টিম সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে। পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন।’

ঈদ উপলক্ষে চাঙা সিলেটের পর্যটন খাত

সিলেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য জাফলং। শনিবার জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে মেঘ-পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা।

জাফলংয়ে সকাল থেকেই দলবেঁধে পর্যটকেরা ঘুরতে আসেন। নদীতে নেমে কেউ কেউ গোসল করতে ব্যস্ত। আর নৌকা পার হয়ে অনেকের গন্তব্য মায়াবী ঝরনা, খাসিয়া পল্লি ও চা বাগানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।

পর্যটক সুজন আহমেদ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যরা মিলে ঘুরতে এসেছি। জাফলং ভীষণ ভালো লেগেছে।

‘পাহাড় আর পাথরের সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছে, তবে বৃষ্টিতে একটু ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।’

এদিকে পর্যটকদের চাপে সিলেটের হোটেল-মোটেলগুলোতে কক্ষ খালি ছিল না। ব্যস্ততা দেখা গেছে রেস্তোরাঁগুলোতেও। পর্যটকের সমাগমে খুশি এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।

জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে জাফলংয়ে অনেক পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও ভালো হয়েছে।

‘এখানকার কোনো হোটেল-রিসোর্টেই এখন কক্ষ খালি নেই। আগামী কয়েক দিন পর্যটক সমাগম বেশি থাকবে বলে আশা করছি।’

পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে টুরিস্ট পুলিশ, থানা-পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ রতন শেখ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে সকাল থেকেই পর্যটকে মুখরিত ছিল জাফলং। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়াও পর্যটকরা বেড়াতে এসে যাতে কোনোভাবেই ভোগান্তিতে না পড়েন, সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
তীব্র লোডশেডিং, পানির সংকটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী
সিলেটে গ্রামের চেয়ে বেশি লোডশেডিং শহরে
সিলেট টেস্টে শোচনীয় হার বাংলাদেশের
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬
উদ্ভাবনী পদমর্যাদায় ‘ইনফেকশাস-ডিজিজ’ বিষয়ে প্রথম স্থান সিকৃবির

মন্তব্য

জীবনযাপন
You can have peanut butter smoothie for iftar

ইফতারে রাখতে পারেন পিনাট বাটার স্মুদি

ইফতারে রাখতে পারেন পিনাট বাটার স্মুদি পিনাট বাটার স্মুদি। ছবি: সংগৃহীত
টুকরো করে রাখা কলা, দুধ, পিনাট বাটার একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে স্মুদি ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

দিনভর রোজা রেখে ইফতারে দরকার হয় পুষ্টিকর কিছু। পিনাট বাটার স্মুদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। তাই ইফতারে রাখতে পারেন পিনাট বাটারের মজাদার স্মুদি। এনডিটিভি ফুডের পিনাট বাটার স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

উপকরণ (এক কাপ পরিমাণ)

১. ১টি কলা

২. ১ কাপ দুধ

৩. ২থেকে ৩ টেবিল চামচ পিনাট বাটার

পিনাট বাটার যদি চিনি ছাড়া হয়,সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত চিনি বা মধু দিতে হবে স্বাদমতো।

ইফতারে রাখতে পারেন পিনাট বাটার স্মুদি
ছবি: সংগৃহীত

প্রস্তুত প্রণালি

টুকরো করে রাখা কলা, দুধ, পিনাট বাটার একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে স্মুদি ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চাইলে বাড়িতেও পিনাট বাটার বানিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন হবে তিন থেকে চারটি উপকরণ। চিনা বাদাম, বাটার অথবা অভিল অয়েল ও মধু ও সামান্য লবণ।

পিনাট বাটার যেভাবে বানাবেন

বাদাম দুই থেকে তিন মিনিট ওভেনে বেক করে নিন অথবা চুলায় হালকা ভেজে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।

আরও পড়ুন:
ঝটপট মজাদার ইরাকি কোফতা কাবাব
ইফতারে হয়ে যাক মজাদার সুইচ রোল
ইফতারে অল্প সময়ে পুষ্টিকর চিড়ার পোলাও
ইফতারের দোয়া

মন্তব্য

জীবনযাপন
7 hotels and restaurants fined in Coxs Bazar for fault in fire fighting system

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি, কক্সবাজারে ৭ হোটেল-রেস্তোরাঁকে জরিমানা

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি, কক্সবাজারে ৭ হোটেল-রেস্তোরাঁকে জরিমানা কক্সবাজারের অভিজাত হোটেল লংবিচসহ বেশকিছু হোটেল-রেস্তোরাঁয় মঙ্গলবার অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: নিউজবাংলা
অভিজাত হোটেল লং বিচকে এক লাখ, হোটেল সী প্যালেসকে ৫০ হাজার, হোটেল কল্লোলকে ৫০ হাজার, হোটেল মিডিয়াকে ১০ হাজার, কাচ্চি ডাইন রেস্তোরাঁকে ২০ হাজার এবং হোটেল মিডিয়ার রেস্তোরাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি এবং ভোক্তা অধিকার আইন অমান্য করার দায়ে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনে অভিযান চালিয়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হোটেল লং-বিচ ও হোটেল সী-প্যালেসের মতো অভিজাত হোটেলও রয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনে এসব অভিযান চালানো হয় বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন।

তিনি জানান, পর্যটন শহর কক্সবাজারকে অগ্নি-দুর্ঘটনা থেকে এবং পর্যটকদের নিরাপদ রাখতে জেলা প্রশাসনের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দুটি দল মঙ্গলবার দুপুর থেকে হোটেল-মোটেল জোনে অভিযান চালায়। এ সময় আবাসিক হোটেলগুলোতে অগ্নি-নির্বাপন ব্যবস্থা যথাযথভাবে অনুসরণ না করা এবং রেস্তোরাঁয় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ নিরাপদ খাদ্য পরিবেশনে ব্যত্যয়ের দায়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি, কক্সবাজারে ৭ হোটেল-রেস্তোরাঁকে জরিমানা
কক্সবাজারে হোটেল-রেস্তোরাঁয় মঙ্গলবার অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: নিউজবাংলা

এডিএম বলেন, ‘জরিমানা আদায় করা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অগ্নি-প্রতিরোধক দরজার বিপরীতে কাঠের দরজা, অকেজো স্মোক ডিটেক্টর, অপর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইশার, হোটেলের আয়তন অনুপাতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চূড়ান্ত সনদ না থাকা এবং রেস্তোরাঁগুলোতে খাবারের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য পরিবেশনে ত্রুটির প্রমাণ মিলেছে।

‘এসব কারণে অভিজাত হোটেল লং বিচকে এক লাখ টাকা, হোটেল সী প্যালেসকে ৫০ হাজার, হোটেল কল্লোলকে ৫০ হাজার, হোটেল মিডিয়াকে ১০ হাজার, কাচ্চি ডাইন রেস্তোরাঁকে ২০ হাজার এবং হোটেল মিডিয়ার রেস্তোরাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া হোটেল মিডিয়ার পাশে অনুমোদনহীন একটি ক্ষুদ্র দোকানকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ইয়ামিন হোসেন আরও জানান, দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ত্রুটিগুলো দ্রুত কাটিয়ে উঠতে নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে। প্রশাসনের এই অভিযান আরও কয়েকদিন চলবে।

আরও পড়ুন:
রেস্তোরাঁ খাত করপোরেটের দখলে নিতে ষড়যন্ত্র চলছে
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় টাঙ্গাইলে চার রেস্তোরাঁকে জরিমানা

মন্তব্য

জীবনযাপন
34 Diplomats at Rangkut Buddhist Monastery

রাংকুট বৌদ্ধ বিহারে ৩৪ কূটনীতিক

রাংকুট বৌদ্ধ বিহারে ৩৪ কূটনীতিক বুধবার রামুর ঐতিহাসিক রাংকুট বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনে ৩৪ কূটনীতিক। ছবি: নিউজবাংলা
বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনকালে কক্সবাজার অঞ্চলের বৌদ্ধ ইতিহাস, স্থাপনা এবং সমুদ্র সৈকত- সব মিলিয়ে অপার পর্যটন সম্ভাবনাকে তোলে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার আশ্বাস দেন কূটনীতিকরা।

কক্সবাজারের রামুর ঐতিহাসিক রাংকুট বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার সফরে আসা ৩৪ কূটনীতিক।

বুধবার সকালে রাংকুট বৌদ্ধ বিহারে এসে পৌঁছালে কূটনীতিকদের স্বাগত জানান বিহারাধক্ষ্য জ্যোতিসেন মহাথেরো।

তিনি জানান, এ সময় দুই হাজার ৩০০ বছরের পুরোনো মহামতি বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থান দেখে মুগ্ধ হন অতিথিরা। সেইসঙ্গে সম্রাট অশোক, চীনা পর্যটক হিউয়েন সাংয়ের আবক্ষ মূর্তিসহ বৌদ্ধ পুরাকীর্তি দেখে অভিভূত হন। অতিথিরা বিহারের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন।

পরিদর্শনকালে কক্সবাজার অঞ্চলের বৌদ্ধ ইতিহাস, স্থাপনা এবং সমুদ্র সৈকত- সব মিলিয়ে অপার পর্যটন সম্ভাবনাকে তোলে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার আশ্বাস দেন কূটনীতিকরা।

কূটনীতিকদের আগমনে বিহারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হয়।

রাংকুট বৌদ্ধ বিহারে ৩৪ কূটনীতিক

পরে তারা সমুদ্র সৈকতের লাবনীর ট্যুরিস্ট মার্কেটে যান। সেখানে ঝিনুকের দোকানসহ অন্যান্য হস্তশিল্প পণ্যের দোকান পরিদর্শন করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে ২৪ দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনীতিক রেলে চড়ে কক্সবাজার যান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘অ্যাম্বাসেডরস আউট রিচ’ প্রোগ্রামের আওতায় যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসোভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্সের মিশন প্রধানসহ এফএও, আইইউটি ও একেডিএন-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনীতিকরা দুদিনের সফরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার যান।

মন্তব্য

জীবনযাপন
The names of two points of Coxs Bazar beach are changing

বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের দুই পয়েন্টের নাম

বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের দুই পয়েন্টের নাম সুগন্ধা পয়েন্টে সূর্যাস্তের দৃশ্য। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
সুগন্ধা পয়েন্টকে ‘বঙ্গবন্ধু বীচ’ এবং সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের মাঝখানের খালি জায়গাটি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বীচ’ নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টকে ‘বঙ্গবন্ধু বীচ’ এবং সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের মাঝখানের খালি জায়গাটি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বীচ’ নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সোমবার বিকেলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. সাহেব উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘মুক্তিযুদ্ধা সংসদ কমান্ডের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বীচকে ‘বঙ্গবন্ধু বীচ’ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সুগন্ধা বীচ ও কলাতলী বিচের মাঝখানের খালি জায়গা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বীচ’ নামকরণ করা হলো। একইসঙ্গে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেয়া হলো।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এখানে জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের এটি বাস্তবায়নে আদেশ দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
কক্সবাজারগামী পর্যটকদের জন্য ‘বিশেষ ট্রেন’
সৈকতে ছিনতাই স্পটের ৫ ঝুপড়ি উচ্ছেদ
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে মাঠে র‍্যাব

মন্তব্য

জীবনযাপন
Travel ban on Saint Martin from Saturday

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে শনিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে শনিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। ফাইল ছবি
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে সেন্টমার্টিনে নৌ-রুটে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।’

মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনার কারণে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে নৌ-রুটে ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ করা যাবে না।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে সেন্টমার্টিনে নৌ-রুটে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।’

এর আগে সকালে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শনকালে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুল জামান সিদ্দিকী ওই রুটে ভ্রমণ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন:
হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে আরও এক বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে
রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের সুযোগ আর নয়: কাদের
সীমান্তে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত বিজিবি: মহাপরিচালক
মিয়ানমার সীমান্তে যাচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক
তুমব্রু সীমান্তে আরও এক বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ

মন্তব্য

p
উপরে