× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Yoga for health
google_news print-icon

সুস্থ থাকতে ইয়োগা

সুস্থ-থাকতে-ইয়োগা
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে জরুরী ইয়োগা। ছবি: সংগৃহীত
রুমা চৌধুরি বলেন, ‘ইয়োগা হলো একটা জীবনদর্শন। সামগ্রিকভাবে মানুষের শারীরিক দেহ যেমন আছে, তেমনি মানসিক দেহ, এনার্জি দেহ আছে, আধ্যাত্মিক দেহ আছে। এগুলোর প্রত্যেকটিকে সংযুক্ত করা বা ব্যালেন্স করার নামই হচ্ছে ইয়োগা।’

প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের মুনি ঋষিরা তাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা এবং দীর্ঘজীবনের জন্য বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করতেন। এর মধ্যে ইয়োগা বা যোগ ব্যায়াম ছিলো অন্যতম। সেগুলোই পরবর্তীতে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইয়োগা কেন জরুরি সেসব নিয়ে কথা বলেছেন প্রাচীণা ইয়োগার প্রতিষ্ঠাতা এবং ঈশা ক্ল্যাসিকাল হঠ যোগ শিক্ষক রুমা চৌধুরি।

যোগব্যায়াম কেন জরুরী:

রুমা চৌধুরি বলেন, ‘ইয়োগা হলো একটা জীবনদর্শন। সামগ্রিকভাবে মানুষের শারীরিক দেহ যেমন আছে, তেমনি মানসিক দেহ, এনার্জি দেহ আছে, আধ্যাত্মিক দেহ আছে। এগুলোর প্রত্যেকটিকে সংযুক্ত করা বা ব্যালেন্স করার নামই হচ্ছে ইয়োগা। আর যখনই আমরা প্রতিটি ব্যাপারকে ব্যালেন্স করতে পারবো তখন শরীরের ভিতরের বা বাইরের যেকোনো পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে সমন্বয় কিংবা মোকাবেলা করতে পারবো।

‘এসব কারণে ইয়োগা বিশেষভাবে জরুরি। ইয়োগা এমন একটি সমাধান যার মাধ্যমে আমরা অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিষয়গুলোর রিয়াকশনকে ব্যালেন্স করতে পারি। আমাদের শরীর ও মন একে অপরের সাথে অন্তরঙ্গভাবে জড়িত। তাই একটি যেভাবে রেসপন্স করবে অন্যটিও সেভাবে রেসপন্স করবে। শরীরের অভ্যন্তরীণ ব্যপারগুলোর সাথে বাহ্যিক ব্যাপারগুলোকে সংযুক্ত রাখতেই ইয়োগা অত্যন্ত জরুরি।’

বয়সভেদে ইয়োগা:

সাধারণত সব বয়সের মানুষই ইয়োগা করতে পারে। তবে কিছু নির্দিষ্ট প্র‍্যাকটিস আছে যেগুলো বারো বছর বয়সের পর করতে পারবেন। এর মধ্যে তার শারীরিক কোনো রোগ আছে কিনা বা অতীতের কোনো জটিল রোগের হিস্ট্রি আছে কিনা এগুলো জেনে নিতে হয়। তবে মূলত বারো বছরের পর থেকেই সব ধরণের যোগ ব্যায়াম আপনি করতে পারবেন। আর এর নিচের বয়সের ক্ষেত্রে তানায়ম শেখানো হয় অর্থাৎ শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম। এটা সাধারণত তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত শেখানো হয়।

ক্যালরি গ্রহণে সচেতনতা:

যেকোনো শারীরিক ব্যায়ামে কিছু না কিছু ক্যালরি ক্ষয় হয়। তবে ইয়োগা এমন একটি প্র‍্যাকটিস যেটা করলে অতিরিক্ত ক্যালরি ক্ষয় হয়না বলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের দরকার পরে না। বরং এটা এমন একটা প্রসেস যেটা করার পর চাইলেও অতিরিক্ত খাবার খেতে পারবেন না। শরীরের জন্য স্বাভাবিক নিয়মেই আমাদের সঠিক খাবার গ্রহণ করা জরুরি। তবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে শরীরে নমনীয়তা বাড়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

আরও পড়ুন:
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন যাচ্ছে মেডিক্যালে, ঝুঁকিতে রোগীরা
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার শুরু
সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু ৩০ মার্চ
প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জেলা পর্যায়েও দগ্ধদের চিকিৎসা সেবা দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Drink delicious ice apple sorbet in summer

গরমে পান করুন আইস আপেলের মজাদার শরবত

গরমে পান করুন আইস আপেলের মজাদার শরবত আইস আপেলের মজাদার শরবত। ছবি: সংগৃহীত
প্রথমে কচি তালের শাঁসের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে টুকরো করে রাখা তালের শাঁস, পানি, লবণ, চিনি, লেবুর রস, পুদিনা পাতা ও বরফ কুচি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর গ্লাসে ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন আইস আপেলের মজাদার শরবত।

আমাদের গরম লাগলেই আমরা ঠান্ডা কিছু খাওয়ার কথা ভাবি। যেন শরীরটা সতেজ থাকে। তাই গরমে পান করতে পারেন আইস আপেলের মজাদার শরবত। এনডিটিভি ফুডের আইস আপেলের মজাদার শরবতের রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

উপকরণ

১. ৪টি আইস আপেল (তালের শাঁস)

২. ২-৩ গ্লাস পানি

৩. লবণ ও চিনি স্বাদমতো

৪. ২ চা চামচ লেবুর রস

৫. বরফ কুচি

৬. পুদিনা পাতা

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে কচি তালের শাঁসের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে টুকরো করে রাখা তালের শাঁস, পানি, লবণ, চিনি, লেবুর রস, পুদিনা পাতা ও বরফ কুচি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর গ্লাসে ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন আইস আপেলের মজাদার শরবত।

আরও পড়ুন:
গরমে পান করুন আম-দইয়ের মজাদার স্মুদি
খুব সহজেই বানাতে পারেন কোরিয়ান মজাদার এগ রোল
ঝটপট বানিয়ে ফেলুন সুজির মজাদার চিজ বল
খুব সহজেই বানাতে পারেন মধ্যপ্রাচ্যের মজাদার জল্লাব
গরমে পান করুন মজাদার টার্কিশ আয়রান

মন্তব্য

জীবনযাপন
You can easily make delicious mango sandwiches

খুব সহজেই বানাতে পারেন মজাদার ম্যাঙ্গো স্যান্ডউইচ

খুব সহজেই বানাতে পারেন মজাদার ম্যাঙ্গো স্যান্ডউইচ মজাদার ম্যাঙ্গো স্যান্ডউইচ। ছবি: সংগৃহীত
একটি পাত্রে ক্রিম বা দই, এলাচের গুঁড়া, চিনি এবং আমের পিউরি নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এরপর পাউরুটি নিয়ে এর বাদামি সাইডগুলো কেটে আলাদা করে নিন। পাউরুটির স্লাইসে ঠান্ডা ক্রিমের মিশ্রণটি পরিমাণমতো ছড়িয়ে দিন। প্রতিটি পাউরুটির স্লাইসে ৪-৫টি আমের টুকরো দিন এবং এর ওপর আরেকটি পাউরুটি দিয়ে চেপে দিন। তারপর মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

বাজারে পাওয়া যাচ্ছে পাকা আম। আর পাকা আম দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায় মজাদার ম্যাঙ্গো স্যান্ডউইচ। এনডিটিভি ফুডের ম্যাঙ্গো স্যান্ডউইচের রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

উপকরণ

১. ৮-১০টি আমের স্লাইস

২. ১ বাটি ক্রিম/ দই

৩. ১ টেবিল চামচ চিনি

৪. ১ টেবিল চামচ আমের পিউরি

৫. হাফ চা চামচ এলাচ গুঁড়া

প্রস্তুত প্রণালি

একটি পাত্রে ক্রিম বা দই, এলাচের গুঁড়া, চিনি এবং আমের পিউরি নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এরপর পাউরুটি নিয়ে এর বাদামি সাইডগুলো কেটে আলাদা করে নিন। পাউরুটির স্লাইসে ঠান্ডা ক্রিমের মিশ্রণটি পরিমাণমতো ছড়িয়ে দিন। প্রতিটি পাউরুটির স্লাইসে ৪-৫টি আমের টুকরো দিন এবং এর ওপর আরেকটি পাউরুটি দিয়ে চেপে দিন। তারপর মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুন:
খুব সহজেই বানাতে পারেন মজাদার ম্যাঙ্গো সালসা
গরমে পান করুন জাফরান, আমের মজাদার লাচ্ছি
গরমে পান করুন টেন্ডার কোকোনাটের মজাদার মিল্কশেক
গরমে পান করুন বিটরুটের মজাদার স্মুদি
গরমে পান করুন আম-দইয়ের মজাদার স্মুদি

মন্তব্য

জীবনযাপন
Flight miss 140 pilgrims will have to pay an additional 56 thousand dollars

ফ্লাইট মিস ১৪০ হজযাত্রীর, গুনতে হবে বাড়তি ৬০ লাখ টাকা

ফ্লাইট মিস ১৪০ হজযাত্রীর, গুনতে হবে বাড়তি ৬০ লাখ টাকা
হজক্যাম্পের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হজযাত্রীরা ইতোমধ্যে সব খরচ পরিশোধ করেছেন। সময়মতো ভিসা দিতে না পারায় ওইসব যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছেন। সেক্ষেত্রে এই সমস্যার দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির। ফলে অতিরিক্ত যে ডলার বিমানকে দিতে হবে তা এজেন্সিকেই বহন করতে হবে।’

সময়মতো ভিসা না হওয়ায় রোববার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ধরতে পারেননি ১৪০ জন হজযাত্রী। ভিসা জটিলতা সমাধানের পর তাদেরকে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে সোমবারের মধ্যে সৌদি আরবে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হজ ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ।

বিমান বাংলাদেশ জানিয়েছে, এই ফ্লাইট মিস করার কারণে প্রত্যেক যাত্রীকে ৪০০ ডলার করে অতিরিক্ত দিতে হবে। সে হিসাবে ১৪০ জন হজযাত্রীকে বাড়তি ৫৬ হাজার ডলার গুনতে হবে, টাকার অংকে যা ৬০ লাখের বেশি।

প্রশ্ন উঠেছে, এই অতিরিক্ত অর্থ সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের দিতে হবে, নাকি সময়মতো ভিসা দিতে না পারা এজেন্সিকে তা বহন করতে হবে।

হজক্যাম্পের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হজযাত্রীরা ইতোমধ্যে সব খরচ পরিশোধ করেছেন। সময়মতো ভিসা দিতে না পারলে এই সমস্যার দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির। ফলে অতিরিক্ত যে ডলার বিমানকে দিতে হবে তা এজেন্সিকেই বহন করতে হবে।’

রোববার সন্ধ্যায় হজক্যাম্পের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সাইফুল ইসলাম জানান, ভিসা না হওয়া ১৪০ জনের মধ্যে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ১৩৬ জনের ভিসা হয়ে গেছে। বাকিদেরও ভিসা হয়ে যাবে।

ফ্লাইট মিস করা প্রতি যাত্রীর জন্য ৪০০ ডলার করে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘রোববার ১৪০টি আসন ফাঁকা রেখে বিমানের নির্ধারিত ফ্লাইটটি সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে গেছে। এখন যেসব যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছেন তাদের সবাইকে একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠানো সম্ভব নয়।

‘বিমানের সিডিউল ফ্লাইটে মদিনা পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ আছে। তবে সবাইকে একসঙ্গে পাঠানো যাবে না। এজন্য যাত্রীপ্রতি অতিরিক্ত চারশ’ ডলার করে খরচ দিতে হবে।’

রোববার বিকেলে রাজধানীর আশকোনায় হজ ক্যাম্প ঘুরে দেখা গেছে, বেলা ২টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওই ১৪০ হজযাত্রীর সৌদি আরবের জেদ্দা যাওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে এসে তারা জানতে পারেন, তাদের ভিসা হয়নি। এ অবস্থায় তাদের না নিয়েই বিমানের নির্ধারিত ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

ফ্লাইট মিস হওয়া হজযাত্রীদের একজন গাজিউর রহমান বলেন, ‘হজ এজেন্সি জান্নাত ট্রাভেলসের মাধ্যমে তাদের সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল। এজেন্সির পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে সময়মতো ভিসা হয়নি।’

এ বিষয়ে হজ এজেন্সি জান্নাত ট্রাভেলসের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
হজযাত্রীদের উটের কাছে যেতে মানা
হজযাত্রীদের করোনা টিকা নেয়ার সময়সীমা জানাল সৌদি
সাড়ে ৩ হাজার কোটা খালি, হজযাত্রার প্রথম ফ্লাইট ২১ মে
মাকে কাঁধে নিয়ে ওমরাহ পালন
হজ নিবন্ধন: কোটা পূরণ না হওয়ায় রোববার পর্যন্ত সুযোগ

মন্তব্য

জীবনযাপন
Counting of the month of Zilkad begins on Monday

জিলকদ মাস গণনা শুরু সোমবার

জিলকদ মাস গণনা শুরু সোমবার প্রতীকী ছবি।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভার সিদ্ধান্তে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে শনিবার জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সে হিসাবে রোববার শাওয়াল মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আর পরদিন শুরু হবে জিলকদ মাস।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও শনিবার ১৪৪৪ হিজরি সনের জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সে হিসাবে রোববার শাওয়াল মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আর পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে পরদিন সোমবার থেকে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের সভাকক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আ. কাদের শেখ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ঢাকা) ইরতিজা হাসান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল হক ভূঞা, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ এবং চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শনিবার
চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসছে সন্ধ্যায়

মন্তব্য

জীবনযাপন
The wayfarers who forget the path of Monirul Islam are like the cultivation of love in the soil of hatred

মনিরুল ইসলামের ‘পথ ভোলা পথিকেরা’ যেন ঘৃণার জমিনে ভালোবাসার চাষাবাদ

মনিরুল ইসলামের ‘পথ ভোলা পথিকেরা’ যেন ঘৃণার জমিনে ভালোবাসার চাষাবাদ ‘পথ ভোলা পথিকেরা’ বইয়ে শেষে লেখক মনিরুল ইসলামের বৃত্তান্ত। ছবি: সংগৃহীত
দেশি-বিদেশি দোসরদের মদদে ঘৃণা আর জিঘাংসার আগুনে ঝলসে যাওয়া ইসলামি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে কি মোকাবেলা করতে পারবেন আহমেদ শাহরিয়ার? বইয়ের শুরুতেই এই রোমাঞ্চ পাঠকের মনে সঞ্চারিত হয় যা তাকে টেনে নিয়ে যাবে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা অবধি।

মনিরুল ইসলামের ‘পথভোলা পথিকেরা’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আহমেদ শাহরিয়ার একজন পুলিশ কর্মকর্তা। প্রথম পরিচ্ছেদেই দেখা মেলে নেকড়ের মতো হিংস্র, নিরোর মতো নিষ্ঠুর আবু মোস্তাকিমের মুখোমুখি দৃঢ় ব্যক্তিত্বের পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদ শাহরিয়ার।

উপন্যাসের গল্প এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে আবু দুজানার সাথে আবু মোস্তাকিমের ব্যক্তিত্বের সংঘাত; হাফেজ আবু দুজানার চারিত্রিক দৃঢ়তার বিপরীতে আবু মোস্তাকিমের চরিত্রের নীতিবর্জিত কঙ্কাল। আবু মোস্তাকিমের সমকামিতাও আবু দুজানার নজর এড়ায় না।

উপন্যাসের কাহিনী বর্ণনার সঙ্গে সঙ্গে কাগজের ক্যানভাসে শব্দের রংতুলিতে লেখক নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বিভিন্ন চরিত্রের মনোজগতের নানা টানাপোড়েন। তিনি কেবল ঘটনার ধারা বর্ণনা করে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখেননি; বরং প্রতিটি চরিত্রের পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থার সাথে ব্যক্তিমনের সংঘাত ও অভিযোজনের চিরকালীন দ্বন্দ্বের দিকটিও তুলে ধরেছেন।

উপন্যাসে বর্ণিত ‘পিওর হার্ট বেকারি’ রেস্তোঁরায় চূড়ান্ত হামলায় অংশ নেয়া পাঁচ তরুণের ব্যক্তি-জীবনের হতাশা, বেদনাও চোখ এড়িয়ে যায় না।

শহীদি মৃত্যুর স্বপ্নে বিভোর কৈশোর উত্তীর্ণ পাঁচ তরুণকে সঙ্গে নিয়ে নেকড়ের পালের মত পায়ে পায়ে রাজধানী ঢাকার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে তাদের দীক্ষাগুরু। লক্ষ্য, বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় করা ঘটনা ঘটিয়ে দেশে এক নতুন জিহাদের সূচনা করা। তাদের এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা রুখে দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রস্তুতি নেন আহমেদ শাহরিয়ার ও তার সহকর্মীরা।

দেশি-বিদেশি দোসরদের মদদে ঘৃণা আর জিঘাংসার আগুনে ঝলসে যাওয়া ইসলামি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে কি মোকাবেলা করতে পারবেন আহমেদ শাহরিয়ার? বইয়ের শুরুতেই এই রোমাঞ্চ পাঠকের মনে সঞ্চারিত হয় যা তাকে টেনে নিয়ে যাবে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা অবধি।

‘পথ ভোলা পথিকেরা’ উপন্যাসে দানবের বিরুদ্ধে মানবের চিরন্তন সেই লড়াইয়ের গল্পই লেখক বলেছেন সুনিপুণ মুন্সিয়ানায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশের সহজিয়া সমাজের নকশায় কলঙ্কের আচড় দেয়া নৃশংস উগ্রপন্থি হামলার ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালের ১ জুলাই, রাজধানী ঢাকার অভিজাত গুলশান এলাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে। দেশি-বিদেশি ২২ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া সেই হামলার ঘটনাকে প্লট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যক্তি জীবনে পুলিশ কর্মকর্তা, স্পেশাল ব্রাঞ্চের বর্তমান এডিশনাল আইজিপি, কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান মনিরুল ইসলাম।
ইসলামী উগ্রপন্থিদের আতুঁড়ঘরের ত্তত্ত্ব তালাশ তিনি করেছেন পেশাগত দায়বদ্ধতা থেকে। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ মনিরুল ইসলাম এই উপন্যাসে সেই অভিজ্ঞতার বয়ান করেন কেন্দ্রীয় চরিত্র আহমেদ শাহরিয়ারের জবানিতে। উপন্যাসের উৎসর্গপত্রে নজর করলেই চোখে পড়ে,
“উৎসর্গ
সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্য
সন্ত্রাসবাদের শিকার সকল দেশি-বিদেশী নিরীহ মানুষ।”
গাইবান্ধার সাঘাটার আবহাওয়ার বর্ণনা দিয়ে “পথ ভোলা পথিকেরা” উপন্যাসের সূচনা। উপন্যাসের বিভিন্ন পর্বে নানা ঘটন-অঘটনের বর্ণনায় এই আবহাওয়ার বর্ণনা প্রতীকী গুরুত্ব নিয়ে হাজির হয়।
পুলিশ অফিসার আহমেদ শাহরিয়ারের চরিত্র চিত্রায়নে লেখকের সংযম ও প্রজ্ঞা বিশেষভাবে নজর কাড়ে। আহমেদ শাহরিয়ার এক চিন্তাশীল গবেষক; ধ্যানী ঋষি; পেশাদারত্বের উৎকর্ষ দিয়েই মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নেন উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের।
সেই পেশাদারত্বের জায়গা থেকেই তিনি এ দেশের জঙ্গিবাদের সলুক সন্ধান করতে খুঁজে ফেরেন দার্শনিক ভীত। বিস্তৃত পঠন-পাঠনের মধ্য দিয়ে আহমেদ শাহরিয়ার পাঠকের কাছে উপস্থাপন করেন ইসলামী উগ্রপন্থিদের বহুল চর্চিত ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ সম্পর্কিত পাঁচটি হাদিস।
‘জঙ্গি’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের দার্শনিক বৈধতা দিতে নারাজ। প্রাসঙ্গিকভাবে উঠে এসেছে ইসলামী উগ্রপন্থিদের উৎস থেকে বিকাশের নানা পর্যায়। ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন মদদে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বিরোধী তালেবান গঠন থেকে শুরু করে ২০১০ সালের আরব বসন্ত, আইএসআইয়ের প্রতিষ্ঠা, আবু বকর আল বাগদাদীর তথাকথিত খেলাফাত প্রতিষ্ঠার আদ্যোপান্ত।
উপন্যাসের বিভিন্ন পর্বে দেখা মেলে আহমেদ শাহরিয়ারের স্ত্রী সামিরা, আবু মুরসালিনের স্ত্রী সালেহা, আব্দুল করিমের স্ত্রী ফাতিমার, তবে এসব চরিত্রের কোনোটিই লেখকের কাছে কোনো স্পেস পায়নি; বরং লেখক অনেকটা নির্দয় হয়েই যেন সামিরা চরিত্রকে বিকশিত হতে দেননি বলে প্রতিতি জম্মে।
‘পথ ভোলা পথিকেরা’ এ দেশের ইতিহাসে অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু ইসলামী উগ্রবাদী তৎপরতার বৃত্তান্ত নিয়ে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস। ঘটনার ধারা বর্ণনায়, চরিত্র চিত্রনে লেখক পরিমিতির স্বাক্ষর রেখেছেন।
ভয়ংকর ঘটনার বর্ণনাতেও তিনি সীমিতসংখ্যক বাক্য দিয়ে নৃশংসতা চিত্রিত করেন। পাঠককে গল্পের ভেতর ধরে রাখতে তিনি বর্ণনায় বাহুল্যর পরিবর্তে বেছে নেন ইঙ্গিতপূর্ণ বাক্য। সরল গদ্যে পাঠকের সাথে লেখকের আনায়াস যোগাযোগ বইটিকে করেছে সুখ পাঠ্য।
শিল্পী ধ্রব এষের নান্দনিক প্রচ্ছদে কবি প্রকাশনী থেকে প্রথম প্রকাশিত ‘পথ ভোলা পথিকেরা’ এদেশে উগ্রপন্থি সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ে আগ্রহী গবেষকদের জন্য এক প্রামান্য গ্রন্থ। ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় প্রকাশিত উপন্যাস অভিবাকদের জন্য ও এক আকর গ্রন্থ বলেই প্রতীয়মান হয়।
ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পিতা-মাতার অলক্ষে আমাদের সন্তানেরা যেন পথ ভুলে না যায়, উপন্যাসের পরতে পরতে সেই আবেদনও স্পষ্ট।

মন্তব্য

জীবনযাপন
47 varieties of mangoes are grown in Fruits Valley

ফ্রুটস ভ্যালিতে ৪৭ জাতের আমের চাষ

ফ্রুটস ভ্যালিতে ৪৭ জাতের আমের চাষ ফ্রুটস ভ্যালিতে আমের পরিচর্যায় ব্যস্ত উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন। ছিব: নিউজবাংলা
চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত ইটভাটায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’ নামে একটি খামার। উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন জানালেন, এখানে টমি অ্যাটকিনস, উতাউল্ফ, বেইলি মার্বেল, আলফনসো, গ্লেন, হেডেন, মায়া, সূর্যডিমসহ ৪৭ জাতের আমের গাছ রয়েছে।

চাঁদপুরে রাসায়নিক ও বিষমুক্ত বিদেশি নানা ফল চাষ করে নজির গড়েছেন হেলাল উদ্দিন। মাত্র তিন বছরের মাথায় চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত ইটভাটায় বালু ভরাট করে সেখানে ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’ নামে একটি খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। ইতোমধ্যে এই খামারে বিশ্বখ্যাত ৪৭ জাতের বিদেশি আম চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই উদ্যোক্তা।

ফ্রুটস ভ্যালিতে ৪৭ জাতের আমের চাষ

চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী গ্রামে পরিত্যক্ত ইটভাটায় ২০২০ সালে ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’ গড়ে তোলেন হেলাল উদ্দিন। এখানে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক প্রজাতির বিদেশি উচ্চ মূল্যের ফলের আবাদ করেছেন।

শুরুর পর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে একের পর এক বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষ করে সফল হয়েছেন এই উদ্যোক্তা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন অনেকে এই প্রকল্প দেখতে আসছেন।

ফ্রুটস ভ্যালিতে ৪৭ জাতের আমের চাষ

উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এখানে অধিকাংশ জাতই বিদেশে উচ্চ মূল্যের ফল হিসেবে খ্যাত। আর এগুলো এদেশের মাটি ও আবহাওয়ায় সম্পূর্ণ নতুন জাত। আমি কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ না নিয়েই শখের বশে প্রথমে বিদেশি রসালো ফল রকমেলন ও মাস্কমেলন চাষ করে সফল হই।

‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পে টমি অ্যাটকিনস, উতাউল্ফ, বেইলি মার্বেল, আলফনসো, গ্লেন, হেডেন, মায়া, সূর্যডিমসহ ৪৭ জাতের আমের গাছ রয়েছে। আমের পাশাপাশি স্ট্রবেরি, চেরি টমেটো, আপেল, সিডলেস আংগুর, ত্বীন ফল, ব্ল্যাকবেরি, মাল্টা, হলুদ ড্রাগনসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির বিদেশি ফলের চাষ করা হচ্ছে এখানে।’

ফ্রুটস ভ্যালিতে ৪৭ জাতের আমের চাষ

ফ্রুটস ভ্যালি ঘুরে দেখতে আসা শরীফ আহমেদ ও মোরশেদ খান বললেন, ‘এখানে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ফল চাষ করেন হেলাল উদ্দিন। এসব ফলের আবাদ দেখে সত্যিই আমরা মুগ্ধ। এবার আমাদের মন কেড়েছে দুর্লভ বিভিন্ন জাতের আমের ফলন দেখে। এভাবে ফলের বাগান করার বিষয়টি আমরাও গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি।’

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি এখানে আসার পর থেকে শুনেছি হেলাল উদ্দিন বিভিন্ন ফলের চাষ করে সফল হয়েছেন। বর্তমানে কৃষক ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকেই বিদেশি ফলের আবাদ শুরু করেছেন।

ফ্রুটস ভ্যালিতে ৪৭ জাতের আমের চাষ

‘এ ধরনের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে অন্যান্য নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়। সে জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে উদ্যোক্তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদানসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।’

আরও পড়ুন:
মোখার শঙ্কায় অপরিপক্ব আম পেড়ে ক্ষতির মুখে চাষিরা
নাটোরে আম ১৫ ও লিচু ৯ মে সংগ্রহ শুরু
নওগাঁয় আম পাড়া শুরু ২২ মে
বাঘার গুটি আমের ইতালিযাত্রা বৃহস্পতিবার
রাজশাহীর আম বাজারে আসছে বৃহস্পতিবার

মন্তব্য

p
উপরে