× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
The wayfarers who forget the path of Monirul Islam are like the cultivation of love in the soil of hatred
google_news print-icon

মনিরুল ইসলামের ‘পথ ভোলা পথিকেরা’ যেন ঘৃণার জমিনে ভালোবাসার চাষাবাদ

মনিরুল-ইসলামের-পথ-ভোলা-পথিকেরা-যেন-ঘৃণার-জমিনে-ভালোবাসার-চাষাবাদ
‘পথ ভোলা পথিকেরা’ বইয়ে শেষে লেখক মনিরুল ইসলামের বৃত্তান্ত। ছবি: সংগৃহীত
দেশি-বিদেশি দোসরদের মদদে ঘৃণা আর জিঘাংসার আগুনে ঝলসে যাওয়া ইসলামি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে কি মোকাবেলা করতে পারবেন আহমেদ শাহরিয়ার? বইয়ের শুরুতেই এই রোমাঞ্চ পাঠকের মনে সঞ্চারিত হয় যা তাকে টেনে নিয়ে যাবে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা অবধি।

মনিরুল ইসলামের ‘পথভোলা পথিকেরা’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আহমেদ শাহরিয়ার একজন পুলিশ কর্মকর্তা। প্রথম পরিচ্ছেদেই দেখা মেলে নেকড়ের মতো হিংস্র, নিরোর মতো নিষ্ঠুর আবু মোস্তাকিমের মুখোমুখি দৃঢ় ব্যক্তিত্বের পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদ শাহরিয়ার।

উপন্যাসের গল্প এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে আবু দুজানার সাথে আবু মোস্তাকিমের ব্যক্তিত্বের সংঘাত; হাফেজ আবু দুজানার চারিত্রিক দৃঢ়তার বিপরীতে আবু মোস্তাকিমের চরিত্রের নীতিবর্জিত কঙ্কাল। আবু মোস্তাকিমের সমকামিতাও আবু দুজানার নজর এড়ায় না।

উপন্যাসের কাহিনী বর্ণনার সঙ্গে সঙ্গে কাগজের ক্যানভাসে শব্দের রংতুলিতে লেখক নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বিভিন্ন চরিত্রের মনোজগতের নানা টানাপোড়েন। তিনি কেবল ঘটনার ধারা বর্ণনা করে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখেননি; বরং প্রতিটি চরিত্রের পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থার সাথে ব্যক্তিমনের সংঘাত ও অভিযোজনের চিরকালীন দ্বন্দ্বের দিকটিও তুলে ধরেছেন।

উপন্যাসে বর্ণিত ‘পিওর হার্ট বেকারি’ রেস্তোঁরায় চূড়ান্ত হামলায় অংশ নেয়া পাঁচ তরুণের ব্যক্তি-জীবনের হতাশা, বেদনাও চোখ এড়িয়ে যায় না।

শহীদি মৃত্যুর স্বপ্নে বিভোর কৈশোর উত্তীর্ণ পাঁচ তরুণকে সঙ্গে নিয়ে নেকড়ের পালের মত পায়ে পায়ে রাজধানী ঢাকার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে তাদের দীক্ষাগুরু। লক্ষ্য, বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় করা ঘটনা ঘটিয়ে দেশে এক নতুন জিহাদের সূচনা করা। তাদের এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা রুখে দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রস্তুতি নেন আহমেদ শাহরিয়ার ও তার সহকর্মীরা।

দেশি-বিদেশি দোসরদের মদদে ঘৃণা আর জিঘাংসার আগুনে ঝলসে যাওয়া ইসলামি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে কি মোকাবেলা করতে পারবেন আহমেদ শাহরিয়ার? বইয়ের শুরুতেই এই রোমাঞ্চ পাঠকের মনে সঞ্চারিত হয় যা তাকে টেনে নিয়ে যাবে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা অবধি।

‘পথ ভোলা পথিকেরা’ উপন্যাসে দানবের বিরুদ্ধে মানবের চিরন্তন সেই লড়াইয়ের গল্পই লেখক বলেছেন সুনিপুণ মুন্সিয়ানায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশের সহজিয়া সমাজের নকশায় কলঙ্কের আচড় দেয়া নৃশংস উগ্রপন্থি হামলার ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালের ১ জুলাই, রাজধানী ঢাকার অভিজাত গুলশান এলাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে। দেশি-বিদেশি ২২ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া সেই হামলার ঘটনাকে প্লট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যক্তি জীবনে পুলিশ কর্মকর্তা, স্পেশাল ব্রাঞ্চের বর্তমান এডিশনাল আইজিপি, কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান মনিরুল ইসলাম।
ইসলামী উগ্রপন্থিদের আতুঁড়ঘরের ত্তত্ত্ব তালাশ তিনি করেছেন পেশাগত দায়বদ্ধতা থেকে। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ মনিরুল ইসলাম এই উপন্যাসে সেই অভিজ্ঞতার বয়ান করেন কেন্দ্রীয় চরিত্র আহমেদ শাহরিয়ারের জবানিতে। উপন্যাসের উৎসর্গপত্রে নজর করলেই চোখে পড়ে,
“উৎসর্গ
সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্য
সন্ত্রাসবাদের শিকার সকল দেশি-বিদেশী নিরীহ মানুষ।”
গাইবান্ধার সাঘাটার আবহাওয়ার বর্ণনা দিয়ে “পথ ভোলা পথিকেরা” উপন্যাসের সূচনা। উপন্যাসের বিভিন্ন পর্বে নানা ঘটন-অঘটনের বর্ণনায় এই আবহাওয়ার বর্ণনা প্রতীকী গুরুত্ব নিয়ে হাজির হয়।
পুলিশ অফিসার আহমেদ শাহরিয়ারের চরিত্র চিত্রায়নে লেখকের সংযম ও প্রজ্ঞা বিশেষভাবে নজর কাড়ে। আহমেদ শাহরিয়ার এক চিন্তাশীল গবেষক; ধ্যানী ঋষি; পেশাদারত্বের উৎকর্ষ দিয়েই মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নেন উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের।
সেই পেশাদারত্বের জায়গা থেকেই তিনি এ দেশের জঙ্গিবাদের সলুক সন্ধান করতে খুঁজে ফেরেন দার্শনিক ভীত। বিস্তৃত পঠন-পাঠনের মধ্য দিয়ে আহমেদ শাহরিয়ার পাঠকের কাছে উপস্থাপন করেন ইসলামী উগ্রপন্থিদের বহুল চর্চিত ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ সম্পর্কিত পাঁচটি হাদিস।
‘জঙ্গি’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের দার্শনিক বৈধতা দিতে নারাজ। প্রাসঙ্গিকভাবে উঠে এসেছে ইসলামী উগ্রপন্থিদের উৎস থেকে বিকাশের নানা পর্যায়। ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন মদদে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বিরোধী তালেবান গঠন থেকে শুরু করে ২০১০ সালের আরব বসন্ত, আইএসআইয়ের প্রতিষ্ঠা, আবু বকর আল বাগদাদীর তথাকথিত খেলাফাত প্রতিষ্ঠার আদ্যোপান্ত।
উপন্যাসের বিভিন্ন পর্বে দেখা মেলে আহমেদ শাহরিয়ারের স্ত্রী সামিরা, আবু মুরসালিনের স্ত্রী সালেহা, আব্দুল করিমের স্ত্রী ফাতিমার, তবে এসব চরিত্রের কোনোটিই লেখকের কাছে কোনো স্পেস পায়নি; বরং লেখক অনেকটা নির্দয় হয়েই যেন সামিরা চরিত্রকে বিকশিত হতে দেননি বলে প্রতিতি জম্মে।
‘পথ ভোলা পথিকেরা’ এ দেশের ইতিহাসে অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু ইসলামী উগ্রবাদী তৎপরতার বৃত্তান্ত নিয়ে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস। ঘটনার ধারা বর্ণনায়, চরিত্র চিত্রনে লেখক পরিমিতির স্বাক্ষর রেখেছেন।
ভয়ংকর ঘটনার বর্ণনাতেও তিনি সীমিতসংখ্যক বাক্য দিয়ে নৃশংসতা চিত্রিত করেন। পাঠককে গল্পের ভেতর ধরে রাখতে তিনি বর্ণনায় বাহুল্যর পরিবর্তে বেছে নেন ইঙ্গিতপূর্ণ বাক্য। সরল গদ্যে পাঠকের সাথে লেখকের আনায়াস যোগাযোগ বইটিকে করেছে সুখ পাঠ্য।
শিল্পী ধ্রব এষের নান্দনিক প্রচ্ছদে কবি প্রকাশনী থেকে প্রথম প্রকাশিত ‘পথ ভোলা পথিকেরা’ এদেশে উগ্রপন্থি সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ে আগ্রহী গবেষকদের জন্য এক প্রামান্য গ্রন্থ। ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় প্রকাশিত উপন্যাস অভিবাকদের জন্য ও এক আকর গ্রন্থ বলেই প্রতীয়মান হয়।
ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পিতা-মাতার অলক্ষে আমাদের সন্তানেরা যেন পথ ভুলে না যায়, উপন্যাসের পরতে পরতে সেই আবেদনও স্পষ্ট।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
The committee to investigate the incident of Sabyasachi Stall at the Amar Ekushey Book Fair

অমর একুশে বইমেলায় ‘সব্যসাচী’ স্টলের ঘটনা তদন্তে কমিটি

অমর একুশে বইমেলায় ‘সব্যসাচী’ স্টলের ঘটনা তদন্তে কমিটি বাংলা একাডেমির লোগো। ছবি: বাসস
আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে এ বিষয়ে একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

অমর একুশে বইমেলায় ‘সব্যসাচী’ স্টলে সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মোহাম্মদ হারুন রশিদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে এ বিষয়ে একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বাংলা একাডেমি মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ‌‘বাংলা একাডেমি আয়োজিত চলমান অমর একুশে বইমেলা-২০২৫-এর দশম দিনে (১০ ফেব্রুয়ারি) সোমবার সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১২৮ নম্বর সব্যসাচী স্টলে সংঘটিত অনভিপ্রেত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

বাংলা একাডেমি প্রেসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলমকে সদস্য সচিব করা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ রোমেল, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধি মো. আবুল বাশার ফিরোজ শেখ এবং শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ খালিদ মনসুর।

আরও পড়ুন:
বইমেলার স্টলে হট্টগোল: দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
এবারের ব‌ইমেলায় অংশ নিচ্ছে ৭০৮ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান
বইমেলা শুরু পহেলা ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
সরকারি চাকুরেদের মহার্ঘ ভাতা পর্যালোচনায় কমিটি গঠন
নির্বাচন কমিশনে নতুন চার কমিটি গঠন

মন্তব্য

জীবনযাপন
Book Fair Stalls Huttogol The Chief Advisor to bring the culprits under trial

বইমেলার স্টলে হট্টগোল: দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

বইমেলার স্টলে হট্টগোল: দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: ইউএনবি
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ এবং বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে।’

অমর একুশে বইমেলার একটি বুক স্টলে বাগবিতণ্ডা ও হট্টগোলের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ ধরনের বিশৃঙ্খল আচরণ নাগরিকের অধিকার এবং দেশের আইন উভয়ের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘একুশে বইমেলা হলো দেশের লেখক ও পাঠকদের প্রাণের মেলা। এটি বাংলাদেশের সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, চিন্তক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মিলনস্থল। এই মেলায় এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা শুধু বাংলাদেশের উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চাকে ক্ষুণ্ণ করে না, বরং ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদদের মর্যাদার প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ এবং বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মেলায় নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং এই তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে দেশে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ঘটনাটি তদন্ত করে দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।’

আরও পড়ুন:
এবারের ব‌ইমেলায় অংশ নিচ্ছে ৭০৮ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান
বইমেলা শুরু পহেলা ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই একুশে বইমেলা: উপদেষ্টা 
ডিসি পদায়ন ইস্যুতে হট্টগোল: শাস্তি পাচ্ছেন ১৭ উপসচিব
৬০ লাখ দর্শনার্থীর মেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি

মন্তব্য

জীবনযাপন
Oxford Fluency Essentials of Shahriar Eamon with daily used words

দৈনন্দিন ব্যবহৃত শব্দ নিয়ে শাহরিয়ার ইমনের বই ‘অক্সফোর্ড ফ্লুয়েন্সি এসেনশিয়ালস ৩০০০’

দৈনন্দিন ব্যবহৃত শব্দ নিয়ে শাহরিয়ার ইমনের বই ‘অক্সফোর্ড ফ্লুয়েন্সি এসেনশিয়ালস ৩০০০’ ‘অক্সফোর্ড ফ্লুয়েন্সি এসেনশিয়ালস ৩০০০’ (Oxford Fluency Essentials 3000) বইয়ের পোস্টার ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে লেখক শাহরিয়ার ইমন। কোলাজ: নিউজবাংলা
শাহরিয়ার ইমন মনে করেন, বইটি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় আরও আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে এবং তাদের ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দৈনন্দিন ব্যবহৃত অত্যাবশ্যকীয় তিন হাজার ইংরেজি শব্দ ও উচ্চারণ নিয়ে ‘অক্সফোর্ড ফ্লুয়েন্সি এসেনশিয়ালস ৩০০০’ (Oxford Fluency Essentials 3000) শিরোনামে বই প্রকাশ করেছেন ফ্লুয়েন্ট স্পিকিং শেখানোর প্রতিষ্ঠান এলটিডেজের প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার ইমন।

সম্প্রতি প্রকাশিত বইটি নিয়ে লেখক জানান, এতে শব্দগুলো এমনভাবে বাছাই করা হয়েছে, যা মূলত ইংরেজি ভাষা ব্যবহারকারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয়।

তার ভাষ্য, বইটির মূল উদ্দেশ্য ইংরেজি ভাষা ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের সাবলীলতা বাড়ানো। এখানে প্রতিটি শব্দ সংক্ষেপে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের দ্রুত বুঝতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে প্রতিটি শব্দের ব্যবহার উদাহরণসহ উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তব পরিস্থিতিতে শব্দগুলোর প্রয়োগ করতে পারে।

লেখকের মতে, ‘অক্সফোর্ড ফ্লুয়েন্সি এসেনশিয়ালস ৩০০০’ বইটি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং যারা তাদের ইংরেজি শব্দভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে চান, তাদের জন্যও এটি মূল্যবান সম্পদ। বইটির সহজ ভাষা ও স্পষ্ট উপস্থাপনা এটিকে সব শ্রেণির পাঠকের জন্য উপযোগী করে তুলেছে।

শাহরিয়ার ইমন মনে করেন, বইটি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় আরও আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে এবং তাদের ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

লেখক জানান, বেইসিক ও ইন্টারমিডিয়েট শব্দ সংবলিত বইতে প্রতিটি শব্দের আইপিএ ‍উচ্চারণ রয়েছে। এতে ৯ হাজার বাক্যের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, যা ইংরেজি ব্যাকরণ বুঝতেও সহায়ক হবে। এ ছাড়া ৫০টি করে শব্দ নিয়ে মোট ৬০ লেসনে ভাগ করা হয়েছে বইটি, যাতে এটি পড়তে গেলে একঘেয়েমি না আসে।

বর্তমানে বইটির পিডিএফ পাওয়া যাচ্ছে ২৯৯ টাকায়। হার্ডকপি পাওয়া যাবে ৭৯৯ টাকায়।

আরও পড়ুন:
দুই যুগ পূর্তিতে ১০ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব’ উদ্বোধন
টোকিও বৈশাখী মেলায় সাড়া ফেলেছে বঙ্গবন্ধুর ওপর লেখা মাঙ্গা বই
৬০ লাখ দর্শনার্থীর মেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি
একুশে বইমেলা শেষ হচ্ছে আজ
একুশে বইমেলা শেষ হচ্ছে শনিবার

মন্তব্য

জীবনযাপন
This years Beimella is participating in the publishing company

এবারের ব‌ইমেলায় অংশ নিচ্ছে ৭০৮ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান

এবারের ব‌ইমেলায় অংশ নিচ্ছে ৭০৮ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বইমেলার একটি স্টল। ফাইল ছবি
এবারের ব‌ইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি। মোট ইউনিট ১ হাজার ৮৪টি।

অমর একুশে বইমেলায় ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৬৪২টি। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় অংশগ্রহণ বেড়েছে ৬৬টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।

অমর একুশে বইমেলার পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব সেলিম রেজা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।

এতে জানানো হয়, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকেল তিনটায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, এবারের ব‌ইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি। মোট ইউনিট ১ হাজার ৮৪টি।

এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি। গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৭টি।

লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুচত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি এবং ইউনিট ১২০টি।

এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। তবে কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহির-পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট চারটি প্রবেশ ও বাহির-পথ থাকবে।

খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা-ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। খাবারের স্টলগুলোকে এবার বিশেষভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।

শিশুচত্বর মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে।

বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে।

প্রতিদিন বিকেল চারটায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন:
বইমেলা শুরু পহেলা ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই একুশে বইমেলা: উপদেষ্টা 
৬০ লাখ দর্শনার্থীর মেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি
একুশে বইমেলা শেষ হচ্ছে আজ
একুশে বইমেলা শেষ হচ্ছে শনিবার

মন্তব্য

জীবনযাপন
The book fair will be inaugurated on February 1st

বইমেলা শুরু পহেলা ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

বইমেলা শুরু পহেলা ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। ছবি: নিউজবাংলা
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল তিন ঘটিকায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জ্ঞানভিত্তিক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বই এবং বইমেলা সহায়ক। আমরা আশা করি সকল সম্ভাবনায় আলোকিত হবে এবারের মেলা; আমাদের প্রাণের বইমেলা।’

আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৫।

ভাষাশহীদ, ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ, আহত ও অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‌‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম ও সচিব ড. মো. সেলিম রেজা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল তিন ঘটিকায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জ্ঞানভিত্তিক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বই এবং বইমেলা সহায়ক। আমরা আশা করি সকল সম্ভাবনায় আলোকিত হবে এবারের মেলা; আমাদের প্রাণের বইমেলা।’

তিনি বলেন, ‘এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে, তবে কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহির পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে।

‘এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট ৪টি প্রবেশ ও বাহির-পথ থাকবে।’

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ‘খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা-ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য খাবারের স্টলগুলোকে এবার বিশেষভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, “শিশুচত্বর মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

“বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন এবং শিশু-কিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য একটি স্টল থাকবে। ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাংকন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।”

এবারের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২৪ সালের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেয়া হবে।

২০২৪ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে।

এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ৪৩টি ও পুনর্মুদ্রিত ৪১টি বই।

বইমেলার সময়সূচি

পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত)। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

পলিথিনমুক্ত হবে এবারের বইমেলা

এবারের অমর একুশে বইমেলার আয়োজনকে জিরো ওয়েস্ট বইমেলায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আয়োজনস্থল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্থাপিতব্য সব স্টল, দোকান, মঞ্চ, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, ফাস্ট ফুড, কফি শপ, খাবার দোকান ইত্যাদি প্রস্তুতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার শতভাগ পরিহার করে পুনঃব্যবহারযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ, যেমন পাট, কাপড়, কাগজ ইত্যাদির ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।

স্টল সংক্রান্ত তথ্য

এবারের বইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১ হাজার ৯১৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি। মোট ইউনিট ১ হাজার ৮৪টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি এবং ইউনিট ছিল ৯৪৬টি)।

এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি (গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৭টি)।

লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

শিশুচত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি এবং ইউনিট ১২০টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৮টি এবং ইউনিট ১০৯টি)।

আরও পড়ুন:
বইমেলায় ‍দৃষ্টিহীনদের বাতিঘর স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা
জমে উঠেছে শেষ সময়ের বইমেলা
বইমেলা ২ দিন বাড়ল
ক্যাটালগ দেখে ‘পছন্দের’ বই সংগ্রহে বইপ্রেমীরা
প্রাণের বইমেলায় বিদায়ের সুর

মন্তব্য

জীবনযাপন
The new list of Bangla Academy Literature Awards is excluded

তিনজনকে বাদ দিয়ে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের নতুন তালিকা

তিনজনকে বাদ দিয়ে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের নতুন তালিকা বাংলা একাডেমির প্রধান কার্যালয়। ফাইল ছবি
আগের তালিকা থেকে বাদ পড়া তিনজন হলেন সেলিম মোরশেদ (কথাসাহিত্য), ফারুক নওয়াজ (শিশুসাহিত্য) ও মোহাম্মদ হাননান (মুক্তিযুদ্ধ)।

পূর্বঘোষিত তালিকা থেকে তিনজনের নাম বাদ দিয়ে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি।

প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৩ জানুয়ারি ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৫ জানুয়ারি তালিকাটি স্থগিত করা হয়।

সে সময় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‌‘তালিকায় নাম থাকা কারও কারও বিষয়ে কিছু অভিযোগ আসায় সেটি স্থগিত করা হলো।’

বাংলা একাডেমি ওই দিন তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর পুরস্কারের তালিকাটি পুনঃপ্রকাশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।’

আগের তালিকা থেকে বাদ পড়া তিনজন হলেন সেলিম মোরশেদ (কথাসাহিত্য), ফারুক নওয়াজ (শিশুসাহিত্য) ও মোহাম্মদ হাননান (মুক্তিযুদ্ধ)।

চূড়ান্ত ঘোষণা অনুযায়ী, কবিতায় মাসুদ খান, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে রেজাউর রহমান ও ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদকে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

এদিকে সাহিত্য পুরস্কারে লেখকদের তালিকায় কোনো নারী লেখক না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে এটিকে ‘বিস্ময়কর’ বলে মন্তব্য করে গত শুক্রবার ফেসবুকে পোস্ট দেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এ পুরস্কারের জন্য ‘মনোনয়ন প্রক্রিয়া সংস্কারের সময় এসেছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার নীতিমালার চতুর্থ অধ্যায়ের নবম ধারা অনুযায়ী, নির্বাহী পরিষদ নতুন কাউকে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করতে পারবে না এবং দশম ধারা অনুযায়ী, সুপারিশকৃত কোনো নাম বিবেচনা না করার ক্ষমতা ‘বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদ’ সংরক্ষণ করে।

আরও পড়ুন:
পরিবেশ সুরক্ষার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু অ্যাক্ট বাংলাদেশের
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বাংলাদেশের
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধারণা পুলিশের
লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত

মন্তব্য

জীবনযাপন
Poet Nazrul Institutes name changed

কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন

কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের আগের নামের সাইনবোর্ড। ছবি: নূরে আলম সিদ্দিকী শান্ত
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী মঙ্গলবার ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে ‌‌‌‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট’ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী মঙ্গলবার ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

বেলা ১টা ৩৯ মিনিটে দেওয়া ওই পোস্টে বলা হয়, “আলহামদুলিল্লাহ, আজ থেকে ‘কবি নজরুল ইনস্টিটিউট’- এর নাম বদলে গেল। নতুন নাম ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট।’”

আরও পড়ুন:
ভারতের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট, অগ্রহণযোগ্য: নজরুল ইসলাম
সংখ্যালঘু নিয়ে ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয়, আপত্তিকর: আইন উপদেষ্টা
প্রবাসী শ্রমিকদের শোষণ বন্ধে কাজ চলছে: আসিফ নজরুল
তুরাগে ছিনতাইকারীর এসিডে দগ্ধ মা-মেয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে
বিদেশে আসিফ নজরুলকে অসম্মান দেশের মর্যাদায় আঘাত: তারেক রহমান

মন্তব্য

p
উপরে