× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
The wayfarers who forget the path of Monirul Islam are like the cultivation of love in the soil of hatred
google_news print-icon

মনিরুল ইসলামের ‘পথ ভোলা পথিকেরা’ যেন ঘৃণার জমিনে ভালোবাসার চাষাবাদ

মনিরুল-ইসলামের-পথ-ভোলা-পথিকেরা-যেন-ঘৃণার-জমিনে-ভালোবাসার-চাষাবাদ
‘পথ ভোলা পথিকেরা’ বইয়ে শেষে লেখক মনিরুল ইসলামের বৃত্তান্ত। ছবি: সংগৃহীত
দেশি-বিদেশি দোসরদের মদদে ঘৃণা আর জিঘাংসার আগুনে ঝলসে যাওয়া ইসলামি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে কি মোকাবেলা করতে পারবেন আহমেদ শাহরিয়ার? বইয়ের শুরুতেই এই রোমাঞ্চ পাঠকের মনে সঞ্চারিত হয় যা তাকে টেনে নিয়ে যাবে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা অবধি।

মনিরুল ইসলামের ‘পথভোলা পথিকেরা’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আহমেদ শাহরিয়ার একজন পুলিশ কর্মকর্তা। প্রথম পরিচ্ছেদেই দেখা মেলে নেকড়ের মতো হিংস্র, নিরোর মতো নিষ্ঠুর আবু মোস্তাকিমের মুখোমুখি দৃঢ় ব্যক্তিত্বের পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদ শাহরিয়ার।

উপন্যাসের গল্প এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে আবু দুজানার সাথে আবু মোস্তাকিমের ব্যক্তিত্বের সংঘাত; হাফেজ আবু দুজানার চারিত্রিক দৃঢ়তার বিপরীতে আবু মোস্তাকিমের চরিত্রের নীতিবর্জিত কঙ্কাল। আবু মোস্তাকিমের সমকামিতাও আবু দুজানার নজর এড়ায় না।

উপন্যাসের কাহিনী বর্ণনার সঙ্গে সঙ্গে কাগজের ক্যানভাসে শব্দের রংতুলিতে লেখক নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বিভিন্ন চরিত্রের মনোজগতের নানা টানাপোড়েন। তিনি কেবল ঘটনার ধারা বর্ণনা করে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখেননি; বরং প্রতিটি চরিত্রের পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থার সাথে ব্যক্তিমনের সংঘাত ও অভিযোজনের চিরকালীন দ্বন্দ্বের দিকটিও তুলে ধরেছেন।

উপন্যাসে বর্ণিত ‘পিওর হার্ট বেকারি’ রেস্তোঁরায় চূড়ান্ত হামলায় অংশ নেয়া পাঁচ তরুণের ব্যক্তি-জীবনের হতাশা, বেদনাও চোখ এড়িয়ে যায় না।

শহীদি মৃত্যুর স্বপ্নে বিভোর কৈশোর উত্তীর্ণ পাঁচ তরুণকে সঙ্গে নিয়ে নেকড়ের পালের মত পায়ে পায়ে রাজধানী ঢাকার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে তাদের দীক্ষাগুরু। লক্ষ্য, বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় করা ঘটনা ঘটিয়ে দেশে এক নতুন জিহাদের সূচনা করা। তাদের এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা রুখে দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রস্তুতি নেন আহমেদ শাহরিয়ার ও তার সহকর্মীরা।

দেশি-বিদেশি দোসরদের মদদে ঘৃণা আর জিঘাংসার আগুনে ঝলসে যাওয়া ইসলামি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে কি মোকাবেলা করতে পারবেন আহমেদ শাহরিয়ার? বইয়ের শুরুতেই এই রোমাঞ্চ পাঠকের মনে সঞ্চারিত হয় যা তাকে টেনে নিয়ে যাবে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা অবধি।

‘পথ ভোলা পথিকেরা’ উপন্যাসে দানবের বিরুদ্ধে মানবের চিরন্তন সেই লড়াইয়ের গল্পই লেখক বলেছেন সুনিপুণ মুন্সিয়ানায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশের সহজিয়া সমাজের নকশায় কলঙ্কের আচড় দেয়া নৃশংস উগ্রপন্থি হামলার ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালের ১ জুলাই, রাজধানী ঢাকার অভিজাত গুলশান এলাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে। দেশি-বিদেশি ২২ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া সেই হামলার ঘটনাকে প্লট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যক্তি জীবনে পুলিশ কর্মকর্তা, স্পেশাল ব্রাঞ্চের বর্তমান এডিশনাল আইজিপি, কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান মনিরুল ইসলাম।
ইসলামী উগ্রপন্থিদের আতুঁড়ঘরের ত্তত্ত্ব তালাশ তিনি করেছেন পেশাগত দায়বদ্ধতা থেকে। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ মনিরুল ইসলাম এই উপন্যাসে সেই অভিজ্ঞতার বয়ান করেন কেন্দ্রীয় চরিত্র আহমেদ শাহরিয়ারের জবানিতে। উপন্যাসের উৎসর্গপত্রে নজর করলেই চোখে পড়ে,
“উৎসর্গ
সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্য
সন্ত্রাসবাদের শিকার সকল দেশি-বিদেশী নিরীহ মানুষ।”
গাইবান্ধার সাঘাটার আবহাওয়ার বর্ণনা দিয়ে “পথ ভোলা পথিকেরা” উপন্যাসের সূচনা। উপন্যাসের বিভিন্ন পর্বে নানা ঘটন-অঘটনের বর্ণনায় এই আবহাওয়ার বর্ণনা প্রতীকী গুরুত্ব নিয়ে হাজির হয়।
পুলিশ অফিসার আহমেদ শাহরিয়ারের চরিত্র চিত্রায়নে লেখকের সংযম ও প্রজ্ঞা বিশেষভাবে নজর কাড়ে। আহমেদ শাহরিয়ার এক চিন্তাশীল গবেষক; ধ্যানী ঋষি; পেশাদারত্বের উৎকর্ষ দিয়েই মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নেন উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের।
সেই পেশাদারত্বের জায়গা থেকেই তিনি এ দেশের জঙ্গিবাদের সলুক সন্ধান করতে খুঁজে ফেরেন দার্শনিক ভীত। বিস্তৃত পঠন-পাঠনের মধ্য দিয়ে আহমেদ শাহরিয়ার পাঠকের কাছে উপস্থাপন করেন ইসলামী উগ্রপন্থিদের বহুল চর্চিত ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ সম্পর্কিত পাঁচটি হাদিস।
‘জঙ্গি’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের দার্শনিক বৈধতা দিতে নারাজ। প্রাসঙ্গিকভাবে উঠে এসেছে ইসলামী উগ্রপন্থিদের উৎস থেকে বিকাশের নানা পর্যায়। ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন মদদে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বিরোধী তালেবান গঠন থেকে শুরু করে ২০১০ সালের আরব বসন্ত, আইএসআইয়ের প্রতিষ্ঠা, আবু বকর আল বাগদাদীর তথাকথিত খেলাফাত প্রতিষ্ঠার আদ্যোপান্ত।
উপন্যাসের বিভিন্ন পর্বে দেখা মেলে আহমেদ শাহরিয়ারের স্ত্রী সামিরা, আবু মুরসালিনের স্ত্রী সালেহা, আব্দুল করিমের স্ত্রী ফাতিমার, তবে এসব চরিত্রের কোনোটিই লেখকের কাছে কোনো স্পেস পায়নি; বরং লেখক অনেকটা নির্দয় হয়েই যেন সামিরা চরিত্রকে বিকশিত হতে দেননি বলে প্রতিতি জম্মে।
‘পথ ভোলা পথিকেরা’ এ দেশের ইতিহাসে অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু ইসলামী উগ্রবাদী তৎপরতার বৃত্তান্ত নিয়ে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস। ঘটনার ধারা বর্ণনায়, চরিত্র চিত্রনে লেখক পরিমিতির স্বাক্ষর রেখেছেন।
ভয়ংকর ঘটনার বর্ণনাতেও তিনি সীমিতসংখ্যক বাক্য দিয়ে নৃশংসতা চিত্রিত করেন। পাঠককে গল্পের ভেতর ধরে রাখতে তিনি বর্ণনায় বাহুল্যর পরিবর্তে বেছে নেন ইঙ্গিতপূর্ণ বাক্য। সরল গদ্যে পাঠকের সাথে লেখকের আনায়াস যোগাযোগ বইটিকে করেছে সুখ পাঠ্য।
শিল্পী ধ্রব এষের নান্দনিক প্রচ্ছদে কবি প্রকাশনী থেকে প্রথম প্রকাশিত ‘পথ ভোলা পথিকেরা’ এদেশে উগ্রপন্থি সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ে আগ্রহী গবেষকদের জন্য এক প্রামান্য গ্রন্থ। ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় প্রকাশিত উপন্যাস অভিবাকদের জন্য ও এক আকর গ্রন্থ বলেই প্রতীয়মান হয়।
ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পিতা-মাতার অলক্ষে আমাদের সন্তানেরা যেন পথ ভুলে না যায়, উপন্যাসের পরতে পরতে সেই আবেদনও স্পষ্ট।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Nutritionist Tamanna Chowdhurys book Kidney Friendly Diet

পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর বই ‘কিডনিবান্ধব পথ্য’

পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর বই ‘কিডনিবান্ধব পথ্য’ তামান্না চৌধুরীর বই ‘কিডনিবান্ধব পথ্য’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শুক্রবার হয়। ছবি: নিউজবাংলা
এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী জানান, অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি কিডনি রোগীদের সঠিক পথ্য সংক্রান্ত দিক-নির্দেশনাগুলো দিয়ে সাজিয়েছেন বইটি।

পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর লেখা ‘কিডনিবান্ধব পথ্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বইটির প্রকাশনা উৎসব হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য শবনম জাহান, এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিসিন সার্ভিস) আরিফ মাহমুদ ও আক্তারুজ্জামান চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে চিকিৎসক, শিক্ষক, পুষ্টিবিদ, রন্ধনশিল্পী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী জানান, তার দুই দশকের কর্মজীবনে খুব কাছ থেকে হাজারো কিডনি রোগীর জীবন সংগ্রাম দেখেছেন। এ অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি কিডনি রোগীদের সঠিক পথ্য সংক্রান্ত দিক-নির্দেশনাগুলো দিয়ে সাজিয়েছেন বইটি।

এটি কিডনি রোগীদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকা তৈরিতে সাহায্য করবে।

পেশাদার দায়িত্বের বাইরেও মানবিক সেবার ব্রত নিয়ে তার লেখা বই কিডনির সঠিক যত্ন ও পরিচর্যায় অনবদ্য অবদান রাখবে বলে তিনি আশা করেন।

বইটি প্রকাশ করেছে ক্রিয়েটিভ ঢাকা পাবলিকেশনস।

আরও পড়ুন:
১০ টাকায় বই
বইমেলায় প্রয়াত সাব্বিরের ‘টিপবতীর নীল টিপ’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
দুই মন্ত্রীর বইমেলায় যাওয়া আকস্মিক স্থগিত
হামলার হুমকি, বইমেলার সব প্রবেশপথে নিরাপত্তা জোরদার
পাঠকের পদচারণায় প্রাণবন্ত নরসিংদী বইমেলা

মন্তব্য

জীবনযাপন
Samaresh left early Sanjeev Chatterjee

সমরেশ তাড়াতাড়িই চলে গেল: সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

সমরেশ তাড়াতাড়িই চলে গেল: সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
সমরেশ মজুমদারের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের। ‘লোটাকম্বল’-এর লেখক বলেছেন, ‘আমার কাছে এই খবরটা যেন একটা বজ্রাঘাত! কারণ সমরেশের সঙ্গে আমার লেখক জীবনের শুরু থেকেই অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল।’

বাংলা ভাষার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণ মেনে নিতে পারছে না বাংলার সাহিত্য জগৎ। লেখকের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত এবং তার সৃষ্টির কথাই বার বার মনে পড়ছে সাহিত্যপথের সহযাত্রীদের।

সোমবার বিকেলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে সমরেশের মৃত্যুর পর আনন্দবাজার পত্রিকার কাছে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, শংকর ও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

সমরেশ মজুমদারের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের। ‘লোটাকম্বল’-এর লেখক বলেছেন, ‘আমার কাছে এই খবরটা যেন একটা বজ্রাঘাত! কারণ সমরেশের সঙ্গে আমার লেখক জীবনের শুরু থেকেই অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল।’

এই প্রসঙ্গেই প্রয়াত বন্ধুর স্মৃতিচারণ করলেন সঞ্জীব। বললেন, একমাত্র ও আমাকে ‘সঞ্জু’ বলে ডাকত। ওর ওই সঞ্জু ডাকটি বড়ই মধুর ছিল। ভাবতেই পারছি না, ওর মতো এর স্বাস্থ্যবান একজন যুবক কী করে এত তাড়াতাড়ি চলে গেল।

সত্যসন্ধানী ‘অর্জুন’-এর স্রষ্টার প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না সাহিত্যিক শংকর। তিনি বললেন, ‘লেখক হিসেবে ও জনপ্রিয় হওয়ার আগে থেকেই আমি ওকে চিনতাম। কারণ, স্কটিশ চার্চ কলেজে আমার ভাইয়ের সহপাঠী ছিল সমরেশ।’

এ প্রসঙ্গেই তিনি আরও বললেন, ‘নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আমাদের। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখাও হতো। একটাই কথা বলতে চাই, ওর মতো ছেলে আমি খুব কমই দেখেছি। ওর চলে যাওয়াটা আমার কাছে ব্যক্তিগত শোক।’

সমরেশ মজুদারের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তার প্রশ্ন, ‘সমরেশ চলে যাওয়ার মানে এখন বাংলা সাহিত্যে আর কে রইল?’ এই প্রসঙ্গেই বর্ষীয়ান সাহিত্যিক বললেন, ‘লেখক হওয়ার আগে থেকেই আমি সমরেশকে চিনতাম।’

উত্তর কলকাতার বোর্ডিং হাউজ়ে থাকার সময় লেখকের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন সমরেশ মজুদার। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং সমরেশ মজুমদার দু’জনেই উত্তরবঙ্গের মানুষ।

শীর্ষেন্দু বলেন, ‘তাই ওর প্রতি আমার একটা বিশেষ আকর্ষণ ছিল।’

সমরেশ মজুমদারকে ‘বাবলু’ নামে ডাকতেন শীর্ষেন্দু। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রবীণ সাহিত্যিক বলেন, ‘এক সঙ্গে আমরা দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছি। ইদানিং ও আমাকে বলত যে, বাবলু বলে ওকে ডাকার আর কেউ নেই।’

আরও পড়ুন:
চলে গেলেন সমরেশ মজুমদার

মন্তব্য

জীবনযাপন
Samaresh Majumdar is no more

চলে গেলেন সমরেশ মজুমদার

চলে গেলেন সমরেশ মজুমদার বাংলা ভাষার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত
গত ২৫ এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল সমরেশ মজুমদারকে । এরপর শ্বাসনালীর সমস্যা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও (স্লিপ অ্যাপনিয়া) বাড়তে থাকে।

বাংলা ভাষার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার মারা গেছেন।

সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ভারতের কলকাতায় একটি হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত ২৫ এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল সমরেশ মজুমদারকে । এরপর শ্বাসনালীর সমস্যা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও (স্লিপ অ্যাপনিয়া) বাড়তে থাকে।

উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষের মতো একের পর এক কালজয়ী উপন্যাস উপহার দিয়েছেন তিনি।

১৯৪২ সালে পশ্চিমবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম গ্রহণ করেন সমরেশ। প্রাথমিক শিক্ষা জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে। ষাটের দশকের শুরুতে তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে। এর পর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Unveiling of Leadership with Soul in Dhaka

ঢাকায় ‘লিডারশিপ উইথ সোল’-এর মোড়ক উন্মোচন

ঢাকায় ‘লিডারশিপ উইথ সোল’-এর মোড়ক উন্মোচন সম্প্রতি ঢাকা এক হোটেলে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন লেখক আন্দ্রে লাক্রইরেক্স। ছবি: সংগৃহীত
বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে এবং প্রাণবন্ত গল্প বলার মধ্য দিয়ে লেখক আন্দ্রে লাক্রইরেক্স তার বইটিতে সফল নেতৃত্বের ১০টি মূল নীতি তুলে ধরেছেন। তিনি সব সময় কর্মীদের বিশ্বাস ও ক্ষমতায়নকে শক্তিশালী করার জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সততা, স্বচ্ছতা, সহানুভূতিশীল ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি। এই গুণাবলী গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শেয়ারহোল্ডারসহ সামগ্রিকভাবে কর্মক্ষেত্রের টেকসই উন্নয়ন ও সঠিক মূল্যায়নে কাজ করে।

প্রচলিত নেতৃত্বের চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করে লেখা ‘লিডারশিপ উইথ সোল’-এ ইন্টারটেক গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আন্দ্রে লাক্রইরেক্স এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।

আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং, পেপসিকো, বার্গার কিং, ইউরো ডিজনি, ইঞ্চকেপ, রেকিট বেনকিজার ও ইন্টারটেকের মতো বিশ্ব-নেতৃস্থানীয় সংস্থার সঙ্গে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিজ্ঞতার আলোকে লিডারশিপ উইথ সোল বইটিতে ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য একটি মডেল প্রকাশ করেছেন আন্দ্রে।

সম্প্রতি ঢাকার একটি হোটেলে আন্দ্রের লেখা প্রথম এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে এবং প্রাণবন্ত গল্প বলার মধ্য দিয়ে আন্দ্রে তার বইটিতে সফল নেতৃত্বের ১০টি মূল নীতি তুলে ধরেছেন। তিনি সব সময় কর্মীদের বিশ্বাস ও ক্ষমতায়নকে শক্তিশালী করার জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

https://www.leadershipwithsoul.com/ ঠিকানায় ভিজিট করে বইটি সম্পর্কে বিষদ জানার সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন:
এখনও তিন বই পায়নি সিলেটের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা
মেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি
ফারাহ জাবিন শাম্মীর ‘করোনাপঞ্জি’ বইমেলায়
ভাষাসৈনিক সৈয়দ আব্দুল হান্নান স্মৃতি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
১০ টাকায় বই

মন্তব্য

জীবনযাপন
World poet Rabindranath Tagores 162nd birth anniversary today

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী আজ  

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী আজ   কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হচ্ছে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত নওগাঁর পতিসরে। 

বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী আজ।

১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অনেক কবিতা ও গান ছিল সীমাহীন প্রেরণার উৎস।

রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়। খবর বাসসের।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধেই শুধু নয়, আমাদের প্রতিটি সংগ্রামে চিরকালই কবির রচনাসমূহ প্রাণের সঞ্চার করে।

সোমবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করছে তার অগণিত ভক্ত। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষীরা কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করছে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও পরম শ্রদ্ধায়। এবার জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সমাজ সংস্কার ও রবীন্দ্রনাথ।’

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হচ্ছে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত নওগাঁর পতিসরে।

এ ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির চিত্রশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমিও আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

‘আজি হতে শতর্বষ পরে/ কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি/শত কৌতূহল ভরে/ . . . . আজি হতে শতর্বষ পরে/এখন করিছো গান সে কোন নুতন কবি/তোমাদের ঘরে!’

জন্মের দেড় শতাধিক বছর পেরিয়ে এবং মৃত্যুর অনেক বছর পরেও রবীন্দ্রনাথ এখনও কেন প্রাসঙ্গিক-এ ব্যাপারে রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ এবং প্রয়াত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘বাঙালির এই কবি এমন এক সময় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যখন রাষ্ট্র ছিল পরাধীন, চিন্তা ছিল প্রথাগত ও অনগ্রসর, বাংলাভাষা ছিল অপরিণত।

‘রবীন্দ্রনাথ একাধারে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বমানে উন্নীত করার পাশাপাশি জাতির চিন্তা জগতে আধুনিকতার উন্মেষ ঘটিয়েছেন। বাঙালির মানস গঠনে পালন করেছেন অগ্রদূতের ভূমিকা। সত্য, সুন্দর, ন্যায় ও কল্যাণের পথে অভিসারি হয়ে ওঠার প্রেরণা যোগানোর মধ্য দিয়ে বাঙালি মননকে বিশ্বমানে উন্নীত করে জাতিকে আবদ্ধ করে গেছেন চির কৃতজ্ঞতায়। দেড়শত বছর পেরিয়েও কবি আমাদের মাঝে তাই চিরজাগরূক হয়ে আছেন।’

আরও পড়ুন:
বর্ণাঢ্য আয়োজনে দুই কাচারিবাড়িতে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন
রবীন্দ্রনাথ: জীবনের পরতে পরতে
রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী: কুঠিবাড়িতে ৩ দিনের আয়োজন
বিশ্বকবির ১৬১তম জন্মবার্ষিকী
রবীন্দ্রনাথের কাচারিবাড়িতে বর্ণিল সজ্জা

মন্তব্য

জীবনযাপন
Mahbub Morsheds book signing at the lighthouse

মাহবুব মোর্শেদের বুক সাইনিং বাতিঘরে

মাহবুব মোর্শেদের বুক সাইনিং বাতিঘরে কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদের বুক সাইনিং ইভেন্টের পোস্টার। ছবি: লেখক
বই প্রকাশ উপলক্ষে পয়লা ও দোসরা বৈশাখ (১৪ ও ১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুটি বুক সাইনিং ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলা নববর্ষে নামী প্রকাশনা ও বিক্রয় সংস্থা বাতিঘর প্রকাশ করেছে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদের নতুন উপন্যাস ‘বুনো ওল’।

বইটি প্রকাশ উপলক্ষে পয়লা ও দোসরা বৈশাখ (১৪ ও ১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুটি বুক সাইনিং ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।

রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে বাতিঘরের বিক্রয় কেন্দ্রে পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে প্রকাশনা সংস্থাটি।

অনুষ্ঠানে লেখকের অটোগ্রাফসহ বইটি সংগ্রহ করা যাবে বিশেষ কমিশনে। একই সঙ্গে থাকবে আড্ডা ও কথোপকথনের আসর।

‘বুনো ওল’ মাহবুব মোর্শেদের পঞ্চম উপন্যাস। সমকালীন জীবনের বিচিত্র জটিলতা নিয়ে ঘনীভূত হয় এ উপন্যাসের গল্প।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদর্শ থেকে প্রকাশ হয়েছে মাহবুব মোর্শেদের থ্রিলার উপন্যাস ‘মিনোল্টা ম্যাক্সাম ৭০০০’।

মন্তব্য

p
উপরে