× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Drink this delicious tender coconut milkshake in summer
google_news print-icon

গরমে পান করুন টেন্ডার কোকোনাটের মজাদার মিল্কশেক

গরমে-পান-করুন-টেন্ডার-কোকোনাটের-মজাদার-মিল্কশেক
টেন্ডার কোকোনাটের মজাদার মিল্কশেক। ছবি: সংগৃহীত
সব উপকরণ একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

আমাদের গরম লাগলেই আমরা ঠান্ডা কিছু খাওয়ার কথা ভাবি। যেন শরীরটা সতেজ থাকে। তাই গরমে পান করতে পারেন টেন্ডার কোকোনাটের মজাদার মিল্কশেক। এনডিটিভি ফুডের টেন্ডার কোকোনাটের মজাদার মিল্কশেকের রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

উপকরণ

১. ১ কাপ কচি নারকেলের পাল্প

২. হাফ কাপ কচি নারকেলের পানি

৩. ১ কাপ ঠান্ডা দুধ

৪. ১ চা চামচ চিনি

৫. বরফ কুচি (অপশনাল)

৬. ৬-৭ কাজুবাদাম বা বাদাম (অপশনাল)

৭. এক চিমটি এলাচ গুঁড়া (অপশনাল)

প্রস্তুত প্রণালি

সব উপকরণ একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুন:
গরমে পান করুন মজাদার টার্কিশ আয়রান
ঈদে খেতে পারেন সেমাইয়ের মজাদার ক্ষীর
মজাদার ও স্বাস্থ্যকর গাজরের পুডিং
ইফতারে রাখতে পারেন ডিম-আলুর মজাদার সালাদ
ইফতারে পান করুন খেজুরের মজাদার মিল্কশেক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
You can make Honey Noodles with Fried Rice very easily

খুব সহজেই বানাতে পারেন হানি নুডলস উইথ ফ্রাইড রাইস

খুব সহজেই বানাতে পারেন হানি নুডলস উইথ ফ্রাইড রাইস হানি নুডলস উইথ ফ্রাইড রাইস। ছবি: সংগৃহীত
ফ্রাইপ্যানে তেল গরম হলে কিমা, সবজি ও লবণ দিয়ে একটু ভেজে নিন। এরপর ভাত ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ভেজে নুডলস, মসলা, মরিচ, সয়াসস ও মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলা থেকে নামানোর আগে লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

মধু এক প্রকারের মিষ্টি, ঘন তরল, যা একাধারে খাদ্য ও ওষুধ। মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলের নির্যাস থেকে মধু তৈরি করে মৌচাকে সংরক্ষণ করে। বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতিতে এর ব্যবহার চিনির চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যকর। ইউএনবি বাংলার হানি নুডলস উইথ ফ্রাইড রাইস এর রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

উপকরণ

১ কাপ ভাত, ১ কাপ সিদ্ধ নুডলস, আধা কাপ চিকেন কিমা সিদ্ধ, সিদ্ধ আলু ছোট টুকরো আধা কাপ, আধা কাপ গাজর ছোট টুকরো, আধা কাপ টুকরো টমেটো, আধা কাপ টুকরো ক্যাপসিকাম, আধা কাপ মটরশুঁটি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল সিকি কাপ, মধু ২ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা চামচ, নুডলস মসলা ২ প্যাকেট, ১ টেবিল সয়াসস, ১ চামচ লেবুর রস, আধা চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ ফালি ৪টি।

প্রস্তুত প্রণালি

ফ্রাইপ্যানে তেল গরম হলে কিমা, সবজি ও লবণ দিয়ে একটু ভেজে নিন। এরপর ভাত ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ভেজে নুডলস, মসলা, মরিচ, সয়াসস ও মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলা থেকে নামানোর আগে লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুন:
গরমে পান করুন ওটস ম্যাঙ্গোর মজাদার স্মুদি  
ঘরে বসে মজাদার শাহী জর্দা বানাবেন যেভাবে  
সরিষার তেলে পুরান ঢাকার বিফ তেহারি
গরমে পান করুন আইস আপেলের মজাদার শরবত
খুব সহজেই বানাতে পারেন মজাদার ম্যাঙ্গো স্যান্ডউইচ

মন্তব্য

জীবনযাপন
Five foods for depression

মন খারাপের পাঁচটি খাবার

মন খারাপের পাঁচটি খাবার প্রতীকী ছবি।
খাবার খেলে মন ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু খাবার খেলে মন খারাপ বা মন ভার হয়! মন খারাপ থাকলে যেমন আমরা অনেকেই খেতে পছন্দ করি, তেমনই কিছু খাবার আছে যেসব খেলে মন হয় খারাপ। চলুন দেখে নেই সেগুলো কী কী।

কাজের চাপ, খরচের চিন্তা, পরিবারের দায়িত্ব সব মিলিয়ে জীবন গতিময় হলেও অনেক সময় ভেতরে ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয় প্রত্যেকেরই।

মন ভালো করতে নিজের পছন্দের কাজ করার বিকল্প নেই। হতে পারে তা গান শোনা, কবিতা পড়া, গল্প লেখা, সিনেমা দেখা বা প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো। আবার অনেকে এসবই বাদ দিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী খেতে ও ঘুরতে পছন্দ করেন।

খাবার খেলে মন ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে জানেন কি, কিছু খাবার খেলে মন খারাপ বা মন ভার হয়! মন খারাপ থাকলে যেমন আমরা অনেকেই খেতে পছন্দ করি, তেমনই কিছু খাবার আছে যেসব খেলে মন হয় খারাপ।

এসব খাবার রোজ রোজ খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বেড়ে যায় বিনা নোটিশে।

চলুন চট করে চোখ বুলিয়ে নেই এমন কিছু খাবারের তালিকায়, যা আপনার মন খারাপের কারণ হতে পারে।

ভাজাপোড়া

ভাজাপোড়া খাবারে থাকে অধিক মাত্রার ট্রান্স ফ্যাট, যা আপনার উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যদি আপনার উদ্বেগ বা মন খারাপের সমস্যা থেকে থাকে তবে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।

এতে যে শুধু মানসিক চাপ কমবে তা নয়, বরং এতে আপনার শারীরিক উপকারও হবে।

নোনতা জাতীয় খাবার

খাবারের সঙ্গে কাঁচা লবণ বা নোনতা জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন?

এতে শরীরের পাশাপাশি মনের ক্ষতি করছেন। নোনতা জাতীয় খাবারে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। আর এতে আপনার শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। ফলে স্ট্রেস হরমোন প্রভাবিত হয়। আর এর ফলস্বরূপ খারাপ থাকতে পারে আপনার মন।

মিষ্টি জাতীয় খাবার

মন খারাপ হলেই যাদের আবার মিষ্টি খেতে মন চায়, তাদের জন্য দুঃসংবাদ।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, কেক, পেস্ট্রি বা এ ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে যারা পছন্দ করেন তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

শর্করার মাত্রা ওঠা-নামা করায় উদ্বেগও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে, যাদের উদ্বেগজনিত সমস্যা আছে, তাদের এ ধরনের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।

ক্যাফেইন

যাদের চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে, তাদের জন্য বিভিন্ন গবেষণা দিচ্ছে খারাপ খবর। চা বা কফির ক্যাফেইন আপনাকে সাময়িকভাবে চাঙ্গা করে তুললেও এই ক্যাফেইন আপনার স্নায়ুর কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

পাশাপাশি এটি আপনার রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।

বিভিন্ন গবেষণা বলছে, দৈনিক ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন খেলে শরীরে এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে এর বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করলেই দেখা দিতে পারে সমস্যা।
তাই মন ভালো রাখতে চেষ্টা করুন নিজের ক্যাফেইন গ্রহণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

দুধজাতীয় খাবার

অনেকেই দুধের ল্যাকটোজ হজম করতে পারেন না। এতে করে বেড়ে যায় নানা শারীরিক সমস্যা। আবার অনেকে সহজেই খেতে পারেন দুধ বা দুধজাতীয় খাবার।

তবে, ঘটনা যেটাই হোক এতে শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক চাপ তৈরি হতে পারে।

তাই এমন খাবার খাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করাই ভালো।

মন্তব্য

জীবনযাপন
The flowers of autumn are spreading fascination in the life of nature

প্রাণ-প্রকৃতিতে কাশফুলের মুগ্ধতা

প্রাণ-প্রকৃতিতে কাশফুলের মুগ্ধতা শ্রীমঙ্গল শহরের অদূরে ভানুগাছ সড়কের পাশে বালুচরে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কাশফুল। ছবি: নিউজবাংলা
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা কেন্দ্রের মোড় পেরিয়ে খানিকটা এগুলেই পথের ধারে মিলবে কাশবনের সমারোহ। সে যেন গাঢ় সবুজের মাঝে শুভ্র কাশফুলের চাদরে ঢাকা রূপসী বাংলার একখণ্ড ছবি। আঁকাবাঁকা পথের দুধারে সারি সারি চা বাগান কিংবা সন্ধ্যায় ঝলমলে আলোর মাঝে পর্যটকরা মনভরে উপভোগ করেন কাশফুলের অপার সৌন্দর্য।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘শরৎ’ কবিতায় লিখেছিলেন- ‘আজি কি তোমার মধুর মূরতি হেরিনু শারদ প্রভাতে!’

কবিতার পংক্তিমালা মন ছুয়ে যায়! দিশেহারা হয়ে ছুটে যায় মন- কোথায় আছে এমন ধবল সাদা কাশবন?

ঋতু পরিবর্তনের নিয়মে এসেছে শরৎ। তাই তো কাশফুল ফুটে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতিতে।

নদীর ধার, পুকুর পাড় কিংবা বিস্তীর্ণ বালুচরে বড্ড অবহেলায় ফোটে কাশফুল। লাগে না কোনো যত্ন-আত্তি।

প্রকৃতির এই দান দূর থেকে দেখে মনে হয়, শরতের আকাশের সাদা মেঘ যেন নেমে এসেছে ধরণীর বুকে। মৃদুমন্দ বাতাসে ওরা একে অপরের গায়ে লুটোপুটি খায়, নাচতে থাকে আপন ছন্দে। মুগ্ধ না হয়ে কি উপায় আছে!

কাশফুলের ছন্দ অগোচরেই যেন দোলা দিয়ে যায় সব বয়সীদের হৃদয়ে। ইট-পাথরের যান্ত্রিক কোলাহল ছেড়ে ক্ষণিক প্রশান্তির খোঁজে মানুষ ছুটে আসে কাশফুলের সংস্পর্শ পেতে।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা কেন্দ্রের মোড় পেরিয়ে খানিকটা এগুলেই পথের ধারে মিলবে কাশবনের সমারোহ। সে যেন গাঢ় সবুজের মাঝে শুভ্র কাশফুলের চাদরে ঢাকা রূপসী বাংলার একখণ্ড ছবি। আঁকাবাঁকা পথের দুধারে সারি সারি চা বাগান কিংবা সন্ধ্যায় ঝলমলে আলোর মাঝে পর্যটকরা মনভরে উপভোগ করেন কাশফুলের অপার সৌন্দর্য।

প্রাণ-প্রকৃতিতে কাশফুলের মুগ্ধতা
শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা কেন্দ্রের মোড় পেরিয়ে খানিকটা এগুলেই পথের ধারে কাশবনের সমারোহ। ছবি: নিউজবাংলা

শুভ্র কাশবনে ছেয়ে আছে পাহাড়ি ছড়া, ঘন চা বাগান এলাকা। এঁকেবেঁকে বয়ে চলা পাহাড়ি ছড়ার দুই পাশ দিয়ে উঁচু-নিচু টিলা। ঋতুভেদে চা বাগানগুলোতেও প্রকৃতির রঙ বদলায়।

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে ভানুগাছ সড়কের পাশে বেলতলী সংলগ্ন ভুড়ভড়িয়া ছড়ার পাশে কাশফুলের বালুচরের অবস্থান।

ভানুগাছে যাওয়ার রাস্তা ধরে সামনে এগুলেই চা বাগানের ছড়ার পাশে দেখা মিলবে কাশফুলের বালুচর।

প্রতিবছর আগস্টের শেষের দিক থেকে অক্টোবরের প্রথম পর্যন্ত এই শুভ্র ফুল ফোটে। তাই বছরের দুই মাস এখানে পর্যটক ও স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে। শীতে কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে বাগানগুলো। চা বাগানসহ শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা জুড়েই দিনে কিংবা রাতে পর্যটকরা মনভরে উপভোগ করেন কাশফুলের এই সৌন্দর্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সী লোকজন এসেছেন এখানে। কাউকে আবার দেখা যায় কাশফুলের মাঝে দাঁড়িয়ে বা বসে ছবি তুলতে। অনেকে আবার মুক্ত বাতাসে পুরো বালুচর ঘুরে বেড়িয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর আগস্টের শুরু কিংবা শেষের দিকে কাশফুল ফুটতে শুরু করে। সেপ্টেম্বর মাসে এসে সাদা কাশফুলে ছেয়ে যায় পুরো দুই কিলোমিটার এলাকা। সেপ্টেম্বরের শেষে কিংবা অক্টোবরের প্রথম দিকে ফুলগুলো ঝরে যায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ কাশবনে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।

কাশফুল দেখতে আশা দর্শনার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঋতু পরিক্রমায় বাংলার প্রকৃতিতে এখন শরৎকাল। রাশি রাশি কাশফুল ছড়াচ্ছে শ্বেত শুভ্র নৈসর্গিকতা। আর তা মুগ্ধ করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।’

কাশফুল ও চায়ের রাজ্য দেখতে আসা সিলেট মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনাজিলা ধোহা বলেন, ‘কলেজ বন্ধ থাকায় একটু সময় বের করে বের হয়েছি। তাই বলে একা নই, পরিবারের সদস্যরাও এসেছেন। জায়গাটি অনেক সুন্দর। কাশফুলের মুগ্ধতা থেকেই এখানে আসা। কাশফুলের সঙ্গে ছবি তুললে ছবিগুলোও অনেক সুন্দর হয়। তাই এখানে আসা।’

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এস কে দাশ সুমন বলেন, ‘চায়ের রাজধানী হিসেবে শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি দেশ-বিদেশে। এখানে চা-বাগানের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা অনেক জায়গা আছে। চার-পাচঁ বছর ধরে কাশফুলের বালুচরটি সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। শ্রীমঙ্গলে আসা পর্যটকরাও এখানে চলে আসেন প্রকৃতি দেখতে। কাশবন ও কাশফুলের সৌন্দর্য তাদেরকে বাড়তি বিনোদন দেয় নিঃসন্দেহে।’

আরও পড়ুন:
সৈকতে পর্যটন মেলা, বিচ কার্নিভাল শুরু
পর্যটন দিবস: ৬ বলে ৩৬ রান চান প্রতিমন্ত্রী
শীতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কুয়াকাটা
ফাঁকা সৈকতে খুশি পর্যটকরা, হতাশ ব্যবসায়ীরা
নাপিত্ত্যাছড়ায় তলিয়ে যাওয়া আরেক ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

জীবনযাপন
Sundarbans On the first day there are many complaints of tourist crowd

সুন্দরবন: প্রথম দিনই পর্যটকের ভিড়, আছে নানা অভিযোগ

সুন্দরবন: প্রথম দিনই পর্যটকের ভিড়, আছে নানা অভিযোগ খুলে দেয়ার প্রথম দিনেই সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে উপচে পড়া ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সুন্দরবনে নির্মাণ করা হয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, তথ্যকেন্দ্রসহ নান্দনিক সব স্থাপনা। তবে ভালো মানের হোটেল-মোটেল না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।

সুন্দরবন খুলে দেয়ার প্রথম দিনই পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ছোট ছোট লাইটার বোট, ট্রলার ও লঞ্চে করে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় করছেন করমজলে।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের কাছে সুন্দরবনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে করমজল পর্যটনকেন্দ্রে নির্মাণ করা হয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, তথ্যকেন্দ্র, ফুট ট্রেইলার, ওয়াচ টাওয়ার ও প্রশস্ত রাস্তাসহ নান্দনিক সব স্থাপনা। এছাড়া সুন্দরবনের আলিবান্দা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিকে তৈরি করা হয়েছে নতুন দুটি পর্যটন স্পট। ঢেলে সাজানো হয়েছে সুন্দরবনের অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলোও।

সুন্দরবন: প্রথম দিনই পর্যটকের ভিড়, আছে নানা অভিযোগ

তবে ভালো মানের হোটেল-মোটেল না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকরা। পর্যটক ও ট্যুর অপারেটররাও সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প বিকাশে হোটেল-মোটেলসহ উন্নতমানের নৌযানের দাবি জানিয়েছেন।

সুন্দরবন: প্রথম দিনই পর্যটকের ভিড়, আছে নানা অভিযোগ

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা সালমা বেগম নামের এক পর্যটক বলেন, ‘এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছি। খুবেই ভালো লাগছে। বিশেষ করে ঝুলন্ত ব্রিজ ও চলাচলের জন্য নতুন নতুন ফুট ট্রেইলার নির্মাণ খুবই ভালো হয়েছে। এগুলো আগে ছিলো না। এখানে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, ভালো মানের কোনো খাবারের হোটেল ও থাকার জন্য মোটেল নেই। যে কারণে ইচ্ছা থাকলেও রাতে থাকা যায় না। খুব ইচ্ছা ছিলো আরও দুই-একদিন থেকে সুন্দরবনের অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখা।’

সুন্দরবন: প্রথম দিনই পর্যটকের ভিড়, আছে নানা অভিযোগ

বোটচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘সুন্দরবন দেখতে প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটকরা আসেন। কিন্তু ভালো মানের কোনো খাবার হোটেল বা থাকার জন্য উন্নত মানের আবাসিক হোটেলের স্বল্পতা রয়েছে। এ কারণে ইচ্ছা থাকলেও পর্যটকরা এখানে এক দিনের বেশি থাকতে পারেন না। পর্যটকরা যদি একটু বেশি সময় নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমন করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আমাদের আয়-রোজগারও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া উন্নতমানের নৌযান কম থাকায় সুন্দরবনের অনেক খাল ও নদীতে পর্যটকরা যেতে পারেন না। এর ফলে সুন্দরবনের অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য থেকে পর্যটকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।’

সুন্দরবন: প্রথম দিনই পর্যটকের ভিড়, আছে নানা অভিযোগ

সুন্দরবন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘সুন্দরবনকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আরও বেশি আকৃষ্ট করতে করমজলে এক কিলোমিটার নতুন ফুট ট্রেইলার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া একটি ঝুলন্ত ব্রিজ ও একটি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পর্যটকরা বনের সব তথ্য জানার জন্য করমজলে নির্মাণ করা হয়েছে ইনফরমেশন সেন্টার।’

সুন্দরবন: প্রথম দিনই পর্যটকের ভিড়, আছে নানা অভিযোগ

তিনি বলেন, ‘তিন মাস বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়ার প্রথম দিনই করমজলে পর্যটকের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আমরা বনরক্ষীরা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এছাড়া গত অর্থবছরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে পর্যাটক আগমনের সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৩৭ হাজার। আর রাজস্ব আদায় হয়েছিলো ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ বছর পর্যাটকদের সংখ্যা ও রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ হবে বলে আশা করছি।’

আরও পড়ুন:
৩ মাস পর খোলা হলো সুন্দরবন, প্লাস্টিক বন্ধে কড়াকড়ি

মন্তব্য

জীবনযাপন
Rasgolla of Gopalganj is going to get recognition as a GI product

গোপালগঞ্জের রসগোল্লাকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতির আবেদন

গোপালগঞ্জের রসগোল্লাকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতির আবেদন গোপালগঞ্জের দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডারের রসগোল্লা। ছবি: নিউজবাংলা
গোপালগঞ্জের ডিসি কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দত্তের রসগোল্লা গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ও গোপালগঞ্জ জেলার ব্র্যান্ড। এই রসগোল্লাকে গোপালগঞ্জের জিআই পণ্যে রূপ দিতে আমরা আবেদন করেছি। গোপালগঞ্জের রসগোল্লা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলে এই অঞ্চলের রসগোল্লার সুনাম আরও ছড়িয়ে যাবে সর্বত্র।’

গোপালগঞ্জে সরকারি কিংবা বেসরকারি আয়োজনের অন্যতম অনুষঙ্গ দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডারের রসগোল্লা। শুধু গোপালগঞ্জ নয়, দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিচিত এ মিষ্টান্ন।

নামী এ মিষ্টান্নের আঞ্চলিক স্বীকৃতি পেতে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

দত্তের মিষ্টির পাশাপাশি গোপালগঞ্জ জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ছোট-বড় অনেক মিষ্টির দোকান রয়েছে। দত্তের মিষ্টির পাশাপাশি এসব মিষ্টিকেও জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের রসগোল্লাকে জিআই পণ্যে রূপ দিতে গত ২১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা হয়।

জিআই পণ্যের স্বীকৃতির বিষয়ে কথা হয় দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সবুজ দত্তের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দোকানের বয়স ৮৫ বছর। বাপ, ঠাকুরদাদার আমল থেকে সুনামের সঙ্গে চলে আসছে আমাদের মিষ্টি। আমাদের মিষ্টি দেশের বাইরেও যায়। গোপালগঞ্জে রাষ্ট্রীয় যত অনুষ্ঠান হয়, সেখানে আমাদের মিষ্টি নেয়া হয়।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু বলেন, ‘দত্তের দোকানের মিষ্টি প্রসিদ্ধ। এই দোকানে ভালো মানের মিষ্টি তৈরি হয়। এই দোকানের মিষ্টি শুধু দেশের মধ্যে নয়, বাইরেও গিয়ে থাকে।’

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দত্তের রসগোল্লা গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ও গোপালগঞ্জ জেলার ব্র্যান্ড। এই রসগোল্লাকে গোপালগঞ্জের জিআই পণ্যে রূপ দিতে আমরা আবেদন করেছি।

‘গোপালগঞ্জের রসগোল্লা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলে এই অঞ্চলের রসগোল্লার সুনাম আরও ছড়িয়ে যাবে সর্বত্র।’

আরও পড়ুন:
অ্যাম্বুলেন্সে এক্সকেভেটরবাহী ট্রাকের ধাক্কা, চারজন নিহত
১ ডিসেম্বর আ. লীগের সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি

মন্তব্য

জীবনযাপন
The doors of Sundarbans are being opened today

সুন্দরবনের দুয়ার খুলছে শুক্রবার

সুন্দরবনের দুয়ার খুলছে শুক্রবার সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য বাগেরহাটে প্রস্তুত হয়ে আছে ট্যুর অপারেটরদেন নৌযান। ছবি: নিউজবাংলা
সুন্দরবন লাইভ ট্যুর অপারেটরের মালিক গোলাম রহমান বিটু বলেন, ‘তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার আবারও সুন্দরবন উন্মুক্ত হওয়ার খবরটি আমাদের জন্য আনন্দের। পর্যটকবাহী লঞ্চ ও বিলাসবহুল ক্রুজারের কেবিন এক সপ্তাহ আগেই বুক হয়ে গেছে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি‌ও আমরা পর্যটকদের জানিয়ে দিচ্ছি।’

টানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার আবারও দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবন। তবে পানির বোতল, চিপসের প্যাকেটের মতো সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও ২৯১ প্রজাতির মৎস্য সম্পদের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ।

নিষেধাজ্ঞার সময়ে পর্যটকসহ বনজীবীদের কোলাহলমুক্ত থাকায় সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণের পাশাপাশি নির্বিঘ্ন প্রজননের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

সুন্দরবনের দুয়ার খুলছে শুক্রবার

নিষেধাজ্ঞার তিন মাসে ম্যানগ্রোভ এই বনের বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদসহ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞার শেষ মুহূর্তে বন বিভাগের কাছ থেকে পাস-পারমিট নিয়ে সুন্দনবনে প্রবেশে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন ট্যুর অপারেটরসহ সব শ্রেণীর বনজীবীরা।

জীববেচিত্র্যে ভরপুর সুন্দরবনে বর্তমানে ১১৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দুই লাখ হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী, সুন্দরীসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড ও ৩০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে।

এই ম্যানগ্রোভ বনের তিনটি এলাকা ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড ঘোষণা করে। সুন্দরবনের মধ্যে ১৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার জলভাগে কুমির, ৬ প্রজাতির ডলফিনসহ ২৯১ প্রজাতির মাছ রয়েছে। অক্সিজেনের অফুরন্ত ভাণ্ডার এই বনে বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটর। সুন্দরবনের এই বিশাল অংশ বিশ্বের বৃহৎ জলাভূমি রামসার এলাকা হিসেবেও স্বীকৃত।

সুন্দরবন লাইভ ট্যুর অপারেটরের মালিক গোলম রহমান বিটু বলেন, ‘টানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে আবারও সুন্দরবন উন্মুক্ত হওয়ার খবরটি ট্যুর অপারেটরদের জন্য আনন্দের। ট্যুর অপারেটর হিসেবে আমরা সব সময় সুন্দরবনে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেষ্ট থাকি।

‘সুন্দরবনে পানির বোতল, চিপসের প্যাকেটের মতো সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারে বন বিভাগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমরা পর্যটকদের অবহিত করেছি। সুন্দরবন উন্মুক্ত হওয়ার খবরে দেশি- বিদেশি পর্যটকের চাপ বেড়েছে।

সুন্দরবনের দুয়ার খুলছে শুক্রবার

‘প্রায় সব ট্যুর অপারেটরের পর্যটকবাহী লঞ্চ ও বিলাসবহুল ক্রুজারের কেবিন এক সপ্তাহ আগেই বুক হয়ে গেছে। পর্যটকের চাপ এভাবে শীত মৌসুমের আগ পর্যন্ত থাকলে তিন মাস বন্ধের ক্ষতি আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।’

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, প্রতি বছরই বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুমে তিন মাস দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীদের প্রবেশে বন্ধ ও মৎস্য সম্পদ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে থাকে।

কোলাহল না থাকায় সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী ও মৎস্য প্রজাতি অবাধ বিচরণের পাশাপাশি নির্বিঘ্নে প্রজনন করতে পেরেছে। প্রকৃত চিত্র হচ্ছে- নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য প্রাণ ফিরে পায়। ফলে ম্যাগগ্রোভ এই বনের বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদসহ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হয়েছে।

শুক্রবার থেকে পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে চাইলে পানির বোতল, চিপসের প্যাকেটের মতো সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সঙ্গে নিতে পারবে না। বন বিভাগ থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি নেয়ার সময় পর্যটক, ট্যুর অপারেটর ও বনজীবীদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।

সুন্দরবনের দুয়ার খুলছে শুক্রবার

পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনে নতুন করে চারটি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র ও নতুন কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। সুন্দরবনে এই প্রথম করমজল ট্যুরিজম কেন্দ্রে একটি ঝুলন্ত সেতু, তথ্য কেন্দ্র নির্মাণসহ ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় গোটা সুন্দরবনে পর্যটকদের অবাধ যাতায়াত নিরুৎসাহিত করে সব ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রমুখী করতে বন বিভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
অস্ত্রসহ সুন্দরবন থেকে চার বনদস্যু আটক
পথ ভুলে সুন্দরবনের গহীনে, পাঁচ ঘণ্টা পর উদ্ধার
‘বাঘের বাড়ি’তে পর্যটনকেন্দ্র
সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরি
গল্প শুনেই উচ্ছ্বসিত, নতুন সিনেমার ঘোষণা পরীমনির

মন্তব্য

জীবনযাপন
The march of death does not stop in the tourist center of Sylhet

মৃত্যুর মিছিল থামছে না সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে

মৃত্যুর মিছিল থামছে না সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র সাদা পাথরে পর্যটকের ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবার আগ্রহের শীর্ষে থাকে জাফলং, সাদাপাথর, বিছানাকান্দি ও লালাখাল। এসব স্পটে বেড়াতে এসে প্রায়শ পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছেন পর্যটকরা। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি ও স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যায়। আর এ সময়টাতে ভিড় বাড়ে পর্যটকেরও। একইসঙ্গে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি।

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। এখানকার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা পর্যটকদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। আর তাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হচ্ছে পানিতে সাঁতার কাটতে নেমে।

সবশেষ সোমবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ‘সাদাপাথর’ থেকে জয় নামে এক পর্যটকের মরদেগ উদ্ধার করা হয়। এর দুই আগে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে রমিজ উদ্দিন নামে আরেক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সবশেষ দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার মগবাজার থেকে সোমবার দুপুরে ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে বেড়াতে আসেন চার বন্ধু। তাদের মধ্যে জয় গাইন (২৫) নামে একজন পানিতে ডুবে মারা যান।

মৃত্যুর মিছিল থামছে না সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে
জাফলংয়ে বন্যা-বৃষ্টির মৌসুমে নদীতে স্রোতের তীব্রতা বাড়ে, যা পর্যটকের জন্য অনেক সময় বিপদসংকুল হয়ে দাঁড়ায়। ছবি: নিউজবাংলা

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, জয় সাদাপাথরে গোসল করতে নেমেছিলেন। এ সময় পানির তীব্র স্রোতে তিনি আর স্থির থাকতে পারেননি। মুহূর্তেই পানিতে তলিয়ে যান। প্রায় ১৫ মিনিট পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। এরপর তাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জাফলংয়ের নদী থেকে রমিজ উদ্দিন নামে ওই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন দুপুরে তিনি জাফলংয়ের ডাউকি নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় গোসল করতে নেমেছিলেন। কিন্তু স্রোতের টানে তলিয়ে যান। প্রায় ৪ ঘণ্টা সন্ধান চালিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বরাবরই পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ। সেগুলোর মধ্যে আগ্রহের শীর্ষে থাকে জাফলং, সাদাপাথর, বিছানাকান্দি ও লালাখাল। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রই পানিকেন্দ্রিক। আর এসব স্পটে বেড়াতে এসে প্রায়শ পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছেন পর্যটকরা। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি ও স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যায়। আর এ সময়টাতে ভিড় বাড়ে পর্যটকেরও। একইসঙ্গে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি।

জাফলংয়ের পিয়াইন নদে ৬ জুলাই বাবার সঙ্গে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র আল ওয়াজ আরশ। ৮ জুলাই সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী স্থানে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।

এর আগে ১ জুলাই কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে আবদুস সালাম নামে এক তরুণ গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন। তার মরদেহ ভেসে ওঠে নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর।

মৃত্যুর মিছিল থামছে না সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে
সাদা পাথরে পানিতে পর্যটকের মাতামাতি থাকলেও কর্তৃপক্ষের নজরদারি ততোটা জোরদার নয়। ছবি: নিউজবাংলা

বার বার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য সংশ্লিষ্টরা পর্যটকদের সচেতনতার অভাবকে দায়ী করেছেন। অপরদিকে পর্যটকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায়ই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বাড়ছে।

পর্যটন পুলিশ, থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। মেঘালয় পাঁহাড়ঘেষা জাফলংয়ের নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে অনেক স্থান মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত দুই দশকে জাফলংয়ে বেড়াতে এসে মারা গেছেন ৬০ জন পর্যটক।

অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তঘেঁষা ধলাই নদের সাদা পাথর পর্যটকদের কাছে পরিচিতিই পেয়েছে ৫-৬ বছর আগে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এখন প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসেন সাদা পাথরে। তবে এই ৫/৬ বছরেই এখানে মারা গেছেন ১২ পর্যটক।

এ ছাড়া গোয়াইঘাট এলাকার পাথুরে নদীর আরেক পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দিতে এই সময়ে মারা গেছেন চারজন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষায় নদীর তীব্র স্রোত, চোরাবালি, নৌকাডুবি ও সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছেন পর্যটকরা।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় গাইডলাইন না থাকা এবং তাদের সচেতনতায় তেমন কোনো উদ্যোগ না থাকায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সিলেট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, ‘কয়েকটি সাইনবোর্ড টানানো ছাড়া সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় আর কোনো উদ্যোগ নেই। পর্যটন কেন্দ্রে টুরিস্ট পুলিশ বা স্বেচ্ছাসেবক নেই। ফলে পর্যটকরা ইচ্ছেমতো ঘোরাফেরা করেন। কেউ তাদের বাধা দেন না। তারাও বিপদের আশঙ্কার বিষয়টি সম্পর্কে আগেভাগে জানতে পারেন না।’

মৃত্যুর মিছিল থামছে না সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে
সিলেটের সবচেয়ে পুরনো পর্যটন স্পট জাফলংয়ের নদীতে পর্যটকের বৃষ্টি বিলাস। ছবি: নিউজবাংলা

জানা গেছে, সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো নিয়ন্ত্রণে একক কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নসহ নানা দিক দেখাশোনা করে। তাদের পক্ষে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করছে পর্যটন উন্নয়ন কমিটি। এর সভাপতি জেলা প্রশাসক। এই কমিটিতে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে কিছু স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটককের নিরপত্তার দিকটি মূলত পর্যটন পুলিশ দেখভাল করে। তবে তাদেরও রয়েছে লোকবল সংকট।

জাফলংয়ের ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি রতন শেখ বলেন, ‘ছুটির সময়ে এখানে পর্যটকের এতো ভিড় হয় যে ট্যুরিস্ট পুলিশের অল্প লোকবল দিয়ে তা সামলানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তবু আমরা তাদের সচেতন করার চেষ্টা করি।

‘ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সাইনবোর্ড টানানো আছে। মাইকিং করেও সতর্ক করা হয়। তবে অনেকে তা শুনতে চান না। পর্যটকদের অসচেতনতা ও নির্দেশনা না মানার কারণেই প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটছে।’

জাফলং ও বিছানাকান্দি পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান গোয়াইনঘাট উপজেলায়। এই দুই স্থানে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার পর্যটন কেন্দ্রে সতর্কতামূলক বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। তবে বন্যার পানিতে সেগুলো ভেসে গেছে।’

তিনি বলেন, মৌখিকভাবেও পর্যটকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু ভ্রমণে আসা মানুষের মধ্যে এসব নিষেধাজ্ঞা শোনার প্রবণতা কম থাকে।’

প্রবল স্রোতের পানিতে না নামা এবং পানিতে নামলে লাইফ জ্যাকেট পরার দিকে নজর রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

সাদা পাথরে পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও লুসিকান্ত হাজং বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে হ্যান্ডমাইক নিয়ে দুজন স্বেচ্ছাসেবী সার্বক্ষণিক পর্যটন কেন্দ্রে থাকেন। তারা পর্যটকদের স্রোতের পানিতে না নামার আহ্বান জানান। নৌকার ঘাটে সাইনবোর্ড দিয়ে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পানিতে না নামতে নির্দেশনা দেয়া আছে। এরপরও পর্যটকরা এগুলো শুনতে চান না।’

পর্যটকদের সতর্ক করার জন্য ঘাটে মাইক লাগানো এবং নৌকার টিকিটের পেছনে আরও কিছু নির্দেশনা দিয়ে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে