রঙিন সবজিগুলোর মধ্যে গাজর দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এটি দিয়ে তৈরি করা যায় মজাদার সব খাবার। তেমনি একটি রেসিপি হলো গাজরের পুডিং। আর এটি এত সুন্দর রঙের হয় যে কোনো ফুড কালার ব্যবহারের দরকার হয় না। চলুন জেনে নেয়া খুব সহজ পদ্ধতিতে কীভাবে তৈরি করবেন গাজরের পুডিং। আর ইফতারেও এটি হতে পারে স্বাস্থ্যকর আইটেম।
উপকরণ
গাজর- ২টি
তরল দুধ- দেড় কাপ
চিনি- আধা কাপ
গুঁড়া দুধ- আধা কাপ
আগার আগার পাউডার- দেড় চা চামচ
ঘি- ১ টে. চামচ।
প্রণালি
প্রথমে গাজর ধুয়ে পাতলা করে স্লাইস করে ননে। এরপর চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তাতে তরল দুধ ও গাজর দিন। গাজর সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন।
এবার গাজরের মিশ্রণটি ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড হয়ে গেলে আবারও চুলায় বসান। এরপর একে একে এতে গুঁড়া দুধ ও চিনি মেশান। ভালোভাবে মেশানো হলে দুই টে. চামচ তরল দুধের সঙ্গে আগার আগার পাউডার মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি তরে নিন।।
এবার এটি অল্প অল্প করে দুধ ও গাজরের মিশ্রণটিতে ঢালুন। আগার আগার পাউডার পুডিং জমাট বাঁধতে ভুমিকা রাখে। এরপর এতে এক চা চামচ ঘি দিয়ে দিন।
মৃদু আঁচে রেখে অনবরত নাড়তে থাকুন। খেয়াল রাখতে হবে যেন নিচে লেগে না যায়। একটু ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। গরম থাকতেই একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন। দুই ঘণ্টা পর পুডিং এর চারপাশ কেটে সমান্তরাল পাত্রে ঢালুন। দেখবেন খুব সুন্দরভাবে পুডিং জমাট বেধে গেছে। এরপর কেটে পরিবেশন করুন।
পানিতে দ্রবণীয়, অর্থ্যাৎ পানির সঙ্গে মিশে যায় এমনই একটি পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ‘সি’। ফলে এ ভিটামিনটি বেশি বেশি খেলেও শরীরের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অংশ শরীরে সংরক্ষিত হয় না। বেরিয়ে যায় প্রস্রাবের সঙ্গে। আবার সচেতনতার অভাবে রান্না বা প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় এ ভিটামিনটি।
আজকে চলুন জেনে নেই ভিটামিন ‘সি’-এর প্রয়েজনীয়তা; সেইসঙ্গে কোন পদ্ধতিতে ‘সি’-যুক্ত ফল ও সবজি প্রক্রিয়াজাত করলে তাতে এই ভিটামিন সংরক্ষিত থাকবে।
ভিটামিন ‘সি’ নষ্ট হয় যেভাবে
প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে যে, ভিটামিন ‘সি’ পানিতে দ্রবণীয়। তাই এই ভিটামিনযুক্ত ফল ও সবজি পানিতে ভিজিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে বা সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিলে পানির সঙ্গে ভিটামিন ‘সি’ও বেরিয়ে যায়।
আবার বেশি তাপে ‘সি’-যুক্ত সবজি রান্না করলেও এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া তামার পাত্রে ভিটামিন ‘সি’-যুক্ত ফল বা সবজি রান্না করলেও নষ্ট হয়ে যায় এর গুণাগুণ।
এই ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল ও সবজি রান্নার ক্ষেত্রে সোডিয়াম-বাই-কার্বনেট ব্যবহারে সতর্কত হোন। কারণ এতে ফল বা সবজির স্বাদ ঠিকই পাবেন, তবে ভিটামিন ‘সি’ আর তাতে রইবে না।
ভিটামিন ‘সি’ সংরক্ষণের উপায়
এ ভিটামিনযুক্ত সবজি রান্নার আগে বড় বড় টুকরো করে কাটতে হবে। তাছাড়া ঢেকে রান্না করলে তাতে ভিটামিন ‘সি’ অটুট থাকে।
ভিটামিন ‘সি’-যুক্ত ফল বা সবজি ফ্রিজে রাখলেও তাতে বিদ্যমান এ ভিটামিন কম নষ্ট হয়।
ফল ও সবজিতে ভিটামিন ‘সি’ ধরে রাখার আরেকটি চমৎকার উপায় হচ্ছে এগুলোতে চিনি মেশানো। এতে খাবারের স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনি ভিটামিন ‘সি’ও নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।
যেসব খাবারে পাবেন পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’
ভিটামিন ‘সি’ মূলত মানবদেহে তিনভাবে কাজ করে। শরীরে কোলাজেন টিস্যু তৈরিতে সহায়তা, অ্যান্টি-অক্সিডেন হিসেবে কাজ করা এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।
শরীর বৃত্তীয় এ কাজগুলো করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে এই ভিটামিনটি আমাদের শরীরে থাকা প্রয়োজনীয়। গবেষণা থেকে জানা যায়, একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ৯০ মিলিগ্রাম ও নারীর ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’-র প্রয়োজন।
তাই ওষুধ না খেয়ে কোন কোন খাবার খেলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ঢুকবে, চলুন দেখে নেই।
ভিটামিন ‘সি’-যুক্ত ফল: সাইট্রাস-সমৃদ্ধ ফল, যেমন: লেবু, কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা ইত্যাদি; পাকা পেঁপে, আম, আমলকি, ডালিম, পেয়ারা প্রভৃতি।
ভিটামিন ‘সি’-যুক্ত সবজি: টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, সাদা আলু, শাক, বিভিন্ন অঙ্কুরিত ডাল ইত্যাদি।
যে কারণে খাবেন ভিটামিন ‘সি’
বিভিন্ন সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষত নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ ভিটামিনটি। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে কোলাজেন তৈরিতে আবশ্যক।
এ ছাড়া মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতে ব্যবহৃত বিভিন্ন হরমোন এবং রাসায়নিক সিগন্যাল পাঠাতে সহায়তা করে এই ভিটামিন।
বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, ভিটামিন ‘সি’ শরীরে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনর্গঠণে সাহায্য করে। এছাড়া শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন ‘সি’।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ‘সি’-এর ঘটতি রয়েছে
ভিটামিন ‘সি’-র অভাবে শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে, চলুন দেখে নেই এক নজরে।
যেসব কারণে শরীরে ভিটামিন ‘সি’-এর অভাব হতে পারে
এক মাস বা তার বেশি সময় ধরে প্রতিদিন ১০ মিলিগ্রামের কম ভিটামিন ‘সি’ গ্রহণ করলে শরীরে এর অভাব দেখা দিতে পারে। তবে সাধারণত শরীরে এই ভিটামিনটির অভাব হয় না বললেই চলে।
তবে অলস ও খাদ্য বিমূখ মানুষের ক্ষেত্রে হতে পারে উল্টো ঘটনা। খাবার খেতে যাদের আলস্য কাজ করে তাদের নৈমিত্তিক খাবারের পরিমাণের পাশাপাশি দৈনন্দিন পুষ্টি গ্রহণের মাত্রাও কম হয়। এতে স্বাভাবিকভাবে ভিটামিন ‘সি’-ও শরীরে কম প্রবেশের সুযোগ পায়।
এ ছাড়া এই ভিটামিনের অভাবের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিগুলির মধ্যে রয়েছে ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপানের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব, অধিক মাত্রায় মাদক ও অ্যালকোহল গ্রহণ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:সন্ধ্যায় চা-কফি পান করতে করতে চিন্তা করলেন, আজ রাতে দেরি না করে আগেই ঘুমিয়ে পড়বেন। সেই চিন্তা থেকে রাত ১১টার মধ্যেই বিছানা করে শুয়েও পড়লেন। এর পর হাতে মোবাইলটা নিয়ে ভাবলেন ১০ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে নেই। এরপর কখন রাত দুইটা বেজে গেল খেয়ালই নেই।
রাত দুইটা-তিনটার সময় ঘুমিয়ে পরের দিন সকাল সকাল উঠে ঠিকই কাজে ছুটতে হচ্ছে অনেককেই। এতে করে ঘুম পরিপূর্ণ হচ্ছে না; সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থেকে যাচ্ছে। থাকছে না কাজে মনোযোগ; বিরক্ত লাগছে সবকিছু।
এর পর দেখা যায়, ক্লান্তিভাব নিয়ে বাসায় ফিরে বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় ঘুম দিচ্ছেন অনেকেই। ঘুম থেকে উঠে আবার সেই চা-কফির অভ্যাস। আবারও ঘুমাতে দেরি হয়ে গেল আজ।
ঘুম না আসার এ ‘অনিদ্রা চক্রে’ আটকে আছি আমরা অনেকেই, যা দিন দিন ক্ষতি করছে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে।
সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
কীভাবে এ অনিদ্রা চক্র থেকে বের হওয়া যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. সাফিকা আফরোজ।
তিনি লিখেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই মন খারাপ থাকা, কাজকর্মে অনীহা ও মনোযোগ না থাকার অন্যতম কারণ হলো অনিদ্রা।’
অনিদ্রা কাটানোর কিছু সহজ উপায়
এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রাত জেগে না করে দিনের বেলা করার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে ভালো ঘুমের সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন:মক্কায় ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য পোশাক-সম্পর্কিত নিয়ম ঘোষণা করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, নারী ওমরাহ পালনকারীরা ওমরাহ পালনের সময় তাদের পছন্দমতো পোশাক পরতে পারবেন। তবে কিছু নীতি মেনে চলতে হবে।
এক্স পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও জানায়, নারীর পরণের পোশাকটি হতে হবে ঢিলেঢালা এবং নিশ্চিত করতে হবে এটি যেন পুরো দেহকে ঢেকে ফেলে। ওমরাহ পালনকালে কোনো ধরনের অলংকার পরা যাবে না।
সৌদি আরবে চলমান ওমরাহর মৌসুমকে কেন্দ্র করে এ নিয়মগুলো ঘোষণা করা হলো।
এক প্রতিবেদনে গালফ নিউজ জানিয়েছে, দুই মাস আগে শুরু হওয়া এ বছরের মৌসুমে প্রায় এক কোটি মুসলিম ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় ভ্রমণ করবেন বলে আশা করছে সৌদি সরকার। হজের ঠিক পরপরই ওমরাহ মৌসুম শুরু হয়। করোনা মহামারির কারণে তিন বছর হজ পালনে বিধিনিষেধ থাকার পর এ বছর প্রায় ১৮ লাখ মুসল্লী হজে অংশ নেন।
তিন বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে হজ ও ওমরাহ, উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিনিষেধ এ বছর তুলে নেয়া হয়। গত কয়েক মাসে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক বিদেশি মুসলিমদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা চালু করেছে সৌদি আরব।
যারা শারীরিক ও আর্থিকভাবে হজ পালনে সক্ষম নন, সাধারণত তারাই সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে যান।
এবার ওমরাহ যাত্রীদের ভিসা সহজ করেছে সৌদি আরব। ব্যক্তিগত, ভিজিট ও ট্যুরিস্ট ভিসাধারী ব্যক্তিরা এখন চাইলেই ওমরাহ পালন ও আল রাওদা আল শরিফা (রিয়াজুল জান্নাহ) পরিদর্শন করতে পারবেন। ওখানেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কবর রয়েছে। রিয়াজুল জান্নাহ পরিদর্শনের জন্য এখন অনলাইনে ই-অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারছেন ওমরাহ পালনকারীরা।
এ ছাড়া ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ওমরাহ ভিসাধারীরা এখন চাইলে স্থল, আকাশ বা সমুদ্র- যেকোনো পথেই সৌদি আরব ভ্রমণ করতে পারবেন এবং যেকোনো বিমানবন্দর থেকে ফিরে যেতে পারবেন।
সম্প্রতি নারীদের ওমরাহ বা হজের জন্য পুরুষ সঙ্গী বা ‘মাহরাম’ সঙ্গে নিয়ে আসার বাধ্যবাধকতাও প্রত্যাহার করেছে দেশটি।
আরও পড়ুন:কবি নির্মলেন্দু গুণের সেই লাইনগুলো মনে আছে? দু এক লাইন কবিতা পড়েছেন, এমন কারোও মনে থাকার কথা অবশ্য। ‘আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা খুলে দিক। কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক। কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে জিজ্ঞেস করুক: তোমার চোখ এত লাল কেন?’
ভালোবাসাবাসির ব্যাপার তো বটেই ঘর সামলে রাখার দায়িত্বে থাকা এক মহিয়সী নারী হলেন স্ত্রী। কখনো কখনো আবার ঘর-বাইরে দুই-ই সামলাতে হয় তাকে। এত দায়িত্ব, এতকিছু করছেন যিনি, এ জগত সংসারে তাকে প্রতিদিনই প্রশংসা করা উচিত।
তবু একটা দিন নির্ধারিত হয়েছে ‘বিশেষ’। সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার এই বিশেষ দিন। সারা বিশ্বে আজকের এদিন উদযাপন হয় ‘স্ত্রীর প্রশংসা করা দিবস’। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৬ সালে প্রথম দিবসটি উদযাপিত হয়। এখন অনেক দেশে উদযাপন করা হয় এ দিবস।
কীভাবে এসেছে এ দিবস, এ নিয়ে বিস্তারিত না জানা গেলেও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, একজন স্ত্রী তার স্বামীর জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে স্ত্রীরা তাদের জীবনকে আরও ভালো করে তোলেন তা বোঝানোর জন্য এই দিবস উদযাপন করা হয়।
ডেইজ অফ দ্য ইয়ার বলছে, কত বছর বিয়ে করেছেন, কতদিনের সংসার-এসব কোনো বিষয় না। স্ত্রী যে আপনার জন্য কিছু করছেন, এর প্রশংসা করা দরকার। কেউ কেউ হয়তো প্রশংসা এমনিতেই করেন, তবে যারা এতে অভ্যস্ত নন তারা আজকের দিনটি বেছে নিতে পারেন।
প্রশংসার পাশাপাশি এদিন স্ত্রীকে বাসার কাজ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারেন। ফুল-চকলেট দিতে পারেন তাকে। খাবার খেতে তাকে নিয়ে যেতে পারেন কোনো ভালো রেস্টুরেন্টে। বইও উপহার দিতে পারেন স্ত্রী। সবমিলিয়ে স্ত্রীর প্রশংসা করা দিবসের দিনে তাকে একটু হলেও বোঝান তিনি আপনার জীবনের কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
যার সঙ্গে ‘পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি’ তার জন্য রাখুন একটি দিন। ‘নিয়তি আমাদের যা দান করে তার মধ্যে সবচেয়ে আশ্চর্য দান হলো স্ত্রী’- এ কথা মাথায় রেখে আজ উদযাপান করুন ‘স্ত্রীর প্রশংসা করা দিবস’।
আরও পড়ুন:আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ আবদুল হামিদ জমাদ্দার। খবর বাসসের
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে শুক্রবার কোথাও ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার পবিত্র সফর মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
প্রাণ আছে এমন সবকিছুর স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধির জন্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান হলো ভিটামিন। ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেহকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
১৯২১ সালে বিজ্ঞানী ক্যাশিমির ফ্র্যাঙ্ক ভিটামিন আবিষ্কার করেন।
ভিটামিন কত প্রকার ও কী কী, তা আমরা ছোটবেলাতেই জেনেছি। আজ ভিটামিন ‘এ’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ভিটামিন ‘এ’
ভিটামিন ‘এ’ মূলত চর্বিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন। নির্দিষ্ট কিছু খাবারে প্রাকৃতিকভাবে এ ভিটামিনটি পাওয়া যায়। তাই একে স্নেহদ্রাব্য ভিটামিনও বলা হয়ে থাকে।
শরীরে ভিটামিন ‘এ’র অভাবে দৃষ্টিস্বল্পতা বা রাতকানা রোগ দেখা দেয়। অর্থাৎ, আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ভিটামিন ‘এ’ অপরিহার্য। চোখের রেটিনা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারণে এই ভিটামিনটি ‘রেটিনাল’ নামেও পরিচিত।
ভিটামিন ‘এ’ মূলত একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এটি ত্বকের স্বাস্থ্য, টিস্যু গঠন, শ্লেষ্মা ঝিল্লি, বিভিন্ন কোষের কাজ, হাড় ও দাঁতের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রয়োজনীয়তা
গবেষণায় দেখা যায়, একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর দৈনিক ৭০০ মাইক্রোগ্রাম এবং পুরুষের ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘এ’ গ্রহণ করা উচিত।
চলেন জেনে নিই, কী কী কারণে আমাদের ভিটামিন ‘এ’ গ্রহণ করা দরকার-
অভাবজনিত সমস্যা
গুরুত্বপূর্ণ এ ভিটামিনটির অভাবে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মাঝে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো-
উপকারিতা
ভিটামিন ‘এ’র উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। চলুন দেখে নিই, শরীরে এই ভিটামিনটির বিশেষ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
সতর্কতা
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও অতিরিক্ত ভিটামিন ‘এ’ সেবনে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন এ খেলে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া ও ত্বক থেকে চামড়া ওঠার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গবেষণা বলছে, শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ জমা থাকলে যকৃতের (লিভার) গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা ও অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকিও বাড়ে।
ভিটামিন ‘এ’র আধিক্যের ফলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ইত্যাদিও দেখা দিতে পারে।
মেয়েদের পিরিয়ডের সমস্যা, বিশেষ করে পিরিয়ড নিয়মিত না হওয়া, এমনকি বন্ধ হয়ে যেতে পারে শরীরে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ জমা থাকলে।
শরীরে মাংসপেশী শিথিল হয়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
যেসব খাবারে পাওয়া যাবে ভিটামিন ‘এ’
ভিটামিন ‘এ’র অভাব বা আধিক্য- দুটোই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই এর ভারসাম্য বজিয়ে রেখে এটি গ্রহণ করাই উত্তম।
মূলত আমাদের দৈনন্দিন খাবারের মধ্য থেকেই আমরা ভিটামিন ‘এ’ পেয়ে থাকি। আর তার বাইরে প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে মেটাতে পারি এর প্রয়োজনীয়তা।
তবে যেহেতু রোজকার খাবার থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে এ ভিটামিন পাওয়া যায়, তাই চলুন জেনে নেই কোন কোন খাবার প্রাত্যহিক খাবারের তালিকায় যুক্ত করলে সহজেই এর চাহিদা মেটাতে পারবেন।
ভিটামিন ‘এ’ মূলত পাওয়া যায় দুই ধরনের উৎস থেকে। উদ্ভিদজাত উৎস ও প্রাণীজ উৎস।
উদ্ভিদজাত উৎসের মধ্যে হলুদ ও সবুজ শাকসবজির পাশাপাশি রঙিন ফলমূল থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন ‘এ’। সাধারণত যে শাকসবজি বা ফলের রঙ যত গাঢ় হয়, তাতে ভিটামিন ‘এ’ বেশি পরিমাণে থাকে।
গাজর, মিষ্টি কুমড়ো, পাকা পেঁপে, মাখন, ব্রোকলি, কমলা লেবু, বাদাম, অ্যাভোকাডো, চিজ ইত্যাদিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকে।
এছাড়া, প্রাণীজ উৎস হিসেবে রয়েছে মাংসাশী প্রাণী, মাছের তেল বা তেলযুক্ত মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা ইত্যাদি খাবার থেকে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়।
শিশুর শরীরে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব দূর করতে মায়ের বুকের দুধ, ৬ মাস পূর্ণ হলে সবুজ-হলুদ শাকসবজি, ফলমূল, ডিম- খাওয়ালে এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিবে না বলে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে।
গবেষকদের মতে যে পাঁচটি খাবার খেলে ভিটামিন ‘এ’র অভাব দেখা দিবে না-
উল্লিখত পাঁচটি খাবারই সহজলভ্য ও আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার খুব পরিচিত কয়েকটি নাম। তাই শরীরের প্রাত্যহিক ভিটামিন ‘এ’র প্রয়োজনীয়তা মেটাতে উপরোক্ত খাবারগুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন:ইংরেজিতে এমএ পাস করা মেধাবী তরুণ জীবনানন্দ দাশকে একটা যুতসই চাকরির জন্য ঘুরতে হয়েছে বহুদিন। ‘হাজার বছর ধরে’ পৃথিবীর পথে পথ হাঁটা এই কবি তাই হয়তো ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থে ‘সৃষ্টির তীরে’ কবিতায় লিখেছিলেন ‘মানুষেরই হাতে তবু মানুষ হতেছে নাজেহাল; পৃথিবীতে নেই কোনো বিশুদ্ধ চাকরি।’
কবিজীবন যাপন করা কেউ তো বটেই, যারা কবি নন তারাও বোধহয় এই বাক্যের অর্থ বোঝেন ঠিকঠাক। চাকরি! আহা! সে এক দীর্ঘশ্বাস! তবু জীবনকে টিকিয়ে রাখতে অর্থ জোগাড়ের যে পথ, সেই পথের নাম চাকরি। এ জন্যই ঘুম থেকে উঠে সকাল সকাল মানুষ ছুটতে শুরু করে অবিরত।
ঘরের বাইরে একজন কর্মজীবী সবচেয়ে বেশি সময় যেখানে কাটান সেটা হলো তার অফিস। কাজের উন্নয়নের জন্য অফিসের বস, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হওয়াটা বেশ দরকার স্বাভাবিকভাবেই।
সহকর্মীরা যেমন সবসময় আশপাশে থাকেন, হয়তো বস সবসময় তেমন সামনে থাকেন না। তবু কার্যত সব সিদ্ধান্ত নির্ভর করে তার ওপরই। অফিসের বসকে কারো পছন্দ হতে পারে, কারো বা না-ও হতে পারে। তবু শেষ পর্যন্ত কিন্তু তার সঙ্গে আলোচনাতেই আসে চূড়ান্ত ফল।
বসের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচিয়ে এক মুর্হূর্তের জন্য হলেও ‘সামনাসামনি দাঁড়ানোার’ একটা দিবস উদযাপন হয় পৃথিবীতে। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর সেই দিন, ‘অফিসের বসকে জড়িয়ে ধরা দিবস’।
কাজের পরিবেশ উন্নয়নে ২০০৮ সালে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম টিপটপডটকম চালু করে এই দিবস। দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া ব্যক্তিদের বিশ্বাস, আপনি যদি আপনার বসকে আলিঙ্গন করে খুশি হন তবে আপনি আপনার কাজকে আরও কিছুটা উপভোগ করতে পারবেন। এটি কাজের গতি, মনোবল এবং অবশ্যই সার্বিক কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রেরণা দেবে।
ওই প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য হলো, বস হলেন অফিসের সার্বিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি এবং কোম্পানির কেন্দ্র, তাই তাদের সঙ্গে সহকর্মীদের একটি দৃঢ় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠানকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে।
বসদের সঙ্গে কর্মীদের সম্পর্ক এবং কর্মক্ষেত্রে এর ফলে যে কতটা ভালো প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। ফলাফলগুলো বেশ গভীর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, অফিস বা সহকর্মী সবার উন্নয়নেই কাজ করে থাকেন বস।
‘বসকে জড়িয়ে ধরা দিবস’ অফিসের উন্নয়নে আপনাকেও অংশীদার করে প্রকৃতপক্ষে। এই প্রশংসাটুকু আপনার বসের দিনকেও উজ্জ্বল করার উপায় খুঁজে বের করে।
প্রতিবেদন বলছে, বস অফিসে যে গুরুদায়িত্ব সামলে এগিয়ে যান, এর জন্য হলেও অন্তত বছরের এই দিনে তাকে আলিঙ্গন করাই যায়। এর সঙ্গে কিছুটা প্রশংসা তো তাকে করতেই পারেন।
‘অফিসের বসকে জড়িয়ে ধরা দিবস’ পালন করুন আর না করুন, চাকরি থাকা পর্যন্ত একটা কথা মনে রাখা কিন্তু খুব জরুরি, ‘বস ইজ অলওয়েজ রাইট’। অবশ্য জীবনানন্দের ‘হাজার বছর ধরে পথ হাঁটার পথ’ তো রয়েই যায় বিকল্প হয়ে।
মন্তব্য