আমাদের গরম লাগলেই আমরা ঠান্ডা কিছু খাওয়ার কথা ভাবি। যেন শরীরটা সতেজ থাকে। আর গরমে ডাব খেতে সবাই ভালবাসে। বিশেষ করে গরমে ডাবের চাহিদা বেড়ে যায়। এই গরমে ডাবের শরবত দিতে পারে আমাদের তৃপ্তি। তাই গরমে পান করতে পারেন ডাবের মজাদার শরবত। এনডিটিভি ফুডের ডাবের মজাদার শরবতের রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ১টি ডাব
২. ১-১.৫ টেবিল চামচ লেবুর রস
৩. স্বাদমতো চিনি
৪. এক চিমটি লবণ
৫. বরফের কিউব
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে ডাব ভেঙে একটি গ্লাসে ডাবের পানি ঢালুন। ডাবের ভেতরের শাঁস বের করে নিন। এরপর ডাবের শাঁস ভালো করে কুচি কুচি করে কেটে নিন। এবার ডাবের পানিতে চিনি, লবণ, শাঁস ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এরপর একটি গ্লাসে ডাবের শরবত ঢেলে তার ওপর কয়েকটা বরফ কিউব দিয়ে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:স্বাভাবিকভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেই সিলেটে ঢল নামে পর্যটকের। বাড়তি ছুটি পেলে তো কথাই নেই। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে থাকে ভিড়ে ভিড়াক্কার চিত্র। তিনদিনের টানা ছুটি মিলে যাওয়ায় ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবির (সা.) ছুটি বৃহস্পতিবার। আর পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে টানা তিনদিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। আর এই ছুটিতে সিলেটে ঢল নামতে যাচ্ছে পর্যটকের। ইতোমধ্যে সিলেটের হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোর ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত জনপদ সিলেট। এখানকার হাওর, পাহাড়, ঝর্ণা, নদী দেখতে সারাবছরই ভিড় করেন পর্যটকরা। আর কোনো উৎসব বা দীর্ঘ ছুটিতে রীতিমতো পর্যটকের ঢল নামে। হোটেল-রিসোর্টগুলোতে কক্ষ খালি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। জাফলং, বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, লালাখাল, সাদপাথর এলাকা পর্যটকের পদভারে হয়ে ওঠে মুখর।
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিনের ছুটির কারণে সিলেটে লাখো পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা।
সিলেটের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী ও পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ দিন ধরেই বিভিন্ন মাধ্যমে সিলেটের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো বুকিং দিয়ে রাখছেন পর্যটকরা। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশই বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষত বড় হোটেল ও রিসোর্টগুলোর কোনো কক্ষ ফাঁকা নেই। কক্ষ ফাঁকা না থাকায় মঙ্গলবার অনেক পর্যটক ফোন করলেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের দুটি রিসোর্টের সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট বিভাগে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই পর্যটকনির্ভর। এখানকার প্রধানতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। জাফলংকে বলা হয় প্রকৃতি-কন্যা। ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়, ঝর্ণা ও পাহাড় থেকে নেমে আসা নদী, খাসিয়া পল্লী দেখতে সারা বছর ভিড় করেন পর্যটকরা।
জাফলংয়ের গুচ্ছগ্রাম এলাকার গ্রিন ভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী বাবুল আহমদ বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার আমাদের রিসোর্ট খালি থাকে না। এবার একদিন বাড়তি ছুটি থাকায় সপ্তাহখানেক আগেই সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। ফলে এখন অনেকে ফোন করলেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।’
নগরের জিন্দাবাজার এলাকার হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মিষ্ঠু দত্ত বলেন, সারাবছরই আমরা এরকম বাড়তি ছুটি এবং উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকি। এরকম সুযোগে পর্যটকরা বেশি আসেন। তাছাড়া এখন সিলেটের আবাহাওয়াও অনুকুলে আছে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই এখন সিলেট ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময়। আগামী তিনদিন সিলেটে প্রচুর পর্যটক থাকবেন বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে আমাদের হোটেলের বেশিরভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
তিনদিনের ছুটিতে সিলেটে লাখখানেক পর্যটক সমাগমের আশা প্রকাশ করেন সিলেটের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমাত নুরী জুয়েল। তিনি বলেন, ‘পর্যটকের ভিড় বাড়লে সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হন। গাড়িচালক, নৌকার মাঝি, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মুদি দোকানি সবাই। ফলে আমাদের সবাইকে পর্যটকদের সমাদর করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘আগামী তিনদিন সিলেটের হোটেল-মোটেলে ভালো ব্যবসা হলেও এবার পর্যটনের ভরা মৌসুমে পর্যটক সমাগমের আশা কম। কারণ নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে নির্বাচনী ডামাডোল ও রাজনৈতিক সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই হয়তো বেড়াতে বের হতে উৎসাহিত হবেন না।’
পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কথা হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট রিজিওনের এসপি মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘সাপ্তাহিক ও বিভিন্ন ছুটির সময় সিলেটে পর্যটকের ভিড় থাকে। এসব দিনে পর্যটকদের নিরাপত্তায় এখানে বিশেষভাবে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আগামী তিন দিনও এর ব্যতিক্রম হবে না।
‘স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়েও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সচেষ্ট থাকব। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়া হবে।’
সিলেটের সবচেয়ে বেশি পর্যটন কেন্দ্র গোয়াইনঘাট উপজেলায়। জাফলং ছাড়াও দেশের দুর্লভ জলার বন রাতারগুল, পাথরের বিছানা বিছানো বিছনাকান্দি, স্বচ্ছ জলের লালাখাল, পাহাড়ি ঝর্ণার পাংথুমাইয়ের অবস্থান এই উপজেলায়ই। অবশ্য এখানকার খরস্রোতা নদীগুলোতে দুর্ঘটনায় পর্যটকের প্রাণহানি ঘটনাও ঘটে সবচেয়ে বেশি।
তবে পর্যটকদের সতর্ক করতে প্রশাসন তৎপর থাকবে জানিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাঁতার না জানা কেউ যাতে পানিতে না নামেন এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবীরা প্রচার চালাবে।’
কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ দীর্ঘ ৬ মাস ধরে। অবশেষে বিশ্ব পর্যটন দিবসে সেই স্থবিরতা কাটছে। বুধবার রুটটিতে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস সামনে রেখে মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমদের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষণ দল ‘বার আউলিয়া’ নামের একটি জাহাজে করে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়।
পর্যবেক্ষণ দলের নেতৃত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে ৭ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
‘আজ (মঙ্গলবার) জেলা প্রশাসনের একটি দল পর্যবেক্ষণ করার জন্য সেন্টমার্টিনে যাত্রা করেছি। আমরা উভয়পাড়ের জেটিঘাট, নাফ নদের নাব্যতাসহ নানা বিষয়ের উপযোগিতা খতিয়ে দেখছি।’
চলতি বছরের ২০ মার্চের পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে চলতি মাসের ২৭ সেপ্টেম্বর জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।
পর্যবেক্ষণ দলে থাকা কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘নাফ নদের নাব্য-সংকট ও নদীতে একাধিক বালুচর জেগে ওঠার উল্লেখ করে গত বছর পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এ বছর যথাসময়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় শুকরিয়া। পাশাপাশি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
পর্যবেক্ষণ দলে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন আহমেদ, পর্যটন উদ্যোক্তা তৌহিদুল ইসলাম তোহা, ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, সহ-সভাপতি মিল্কি, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
মধু এক প্রকারের মিষ্টি, ঘন তরল, যা একাধারে খাদ্য ও ওষুধ। মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলের নির্যাস থেকে মধু তৈরি করে মৌচাকে সংরক্ষণ করে। বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতিতে এর ব্যবহার চিনির চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যকর। ইউএনবি বাংলার হানি নুডলস উইথ ফ্রাইড রাইস এর রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১ কাপ ভাত, ১ কাপ সিদ্ধ নুডলস, আধা কাপ চিকেন কিমা সিদ্ধ, সিদ্ধ আলু ছোট টুকরো আধা কাপ, আধা কাপ গাজর ছোট টুকরো, আধা কাপ টুকরো টমেটো, আধা কাপ টুকরো ক্যাপসিকাম, আধা কাপ মটরশুঁটি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল সিকি কাপ, মধু ২ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা চামচ, নুডলস মসলা ২ প্যাকেট, ১ টেবিল সয়াসস, ১ চামচ লেবুর রস, আধা চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ ফালি ৪টি।
প্রস্তুত প্রণালি
ফ্রাইপ্যানে তেল গরম হলে কিমা, সবজি ও লবণ দিয়ে একটু ভেজে নিন। এরপর ভাত ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ভেজে নুডলস, মসলা, মরিচ, সয়াসস ও মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলা থেকে নামানোর আগে লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
কাজের চাপ, খরচের চিন্তা, পরিবারের দায়িত্ব সব মিলিয়ে জীবন গতিময় হলেও অনেক সময় ভেতরে ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয় প্রত্যেকেরই।
মন ভালো করতে নিজের পছন্দের কাজ করার বিকল্প নেই। হতে পারে তা গান শোনা, কবিতা পড়া, গল্প লেখা, সিনেমা দেখা বা প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো। আবার অনেকে এসবই বাদ দিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী খেতে ও ঘুরতে পছন্দ করেন।
খাবার খেলে মন ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে জানেন কি, কিছু খাবার খেলে মন খারাপ বা মন ভার হয়! মন খারাপ থাকলে যেমন আমরা অনেকেই খেতে পছন্দ করি, তেমনই কিছু খাবার আছে যেসব খেলে মন হয় খারাপ।
এসব খাবার রোজ রোজ খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বেড়ে যায় বিনা নোটিশে।
চলুন চট করে চোখ বুলিয়ে নেই এমন কিছু খাবারের তালিকায়, যা আপনার মন খারাপের কারণ হতে পারে।
ভাজাপোড়া খাবারে থাকে অধিক মাত্রার ট্রান্স ফ্যাট, যা আপনার উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যদি আপনার উদ্বেগ বা মন খারাপের সমস্যা থেকে থাকে তবে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
এতে যে শুধু মানসিক চাপ কমবে তা নয়, বরং এতে আপনার শারীরিক উপকারও হবে।
খাবারের সঙ্গে কাঁচা লবণ বা নোনতা জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন?
এতে শরীরের পাশাপাশি মনের ক্ষতি করছেন। নোনতা জাতীয় খাবারে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। আর এতে আপনার শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। ফলে স্ট্রেস হরমোন প্রভাবিত হয়। আর এর ফলস্বরূপ খারাপ থাকতে পারে আপনার মন।
মন খারাপ হলেই যাদের আবার মিষ্টি খেতে মন চায়, তাদের জন্য দুঃসংবাদ।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, কেক, পেস্ট্রি বা এ ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে যারা পছন্দ করেন তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
শর্করার মাত্রা ওঠা-নামা করায় উদ্বেগও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে, যাদের উদ্বেগজনিত সমস্যা আছে, তাদের এ ধরনের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
যাদের চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে, তাদের জন্য বিভিন্ন গবেষণা দিচ্ছে খারাপ খবর। চা বা কফির ক্যাফেইন আপনাকে সাময়িকভাবে চাঙ্গা করে তুললেও এই ক্যাফেইন আপনার স্নায়ুর কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
পাশাপাশি এটি আপনার রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।
বিভিন্ন গবেষণা বলছে, দৈনিক ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন খেলে শরীরে এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে এর বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করলেই দেখা দিতে পারে সমস্যা।
তাই মন ভালো রাখতে চেষ্টা করুন নিজের ক্যাফেইন গ্রহণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
অনেকেই দুধের ল্যাকটোজ হজম করতে পারেন না। এতে করে বেড়ে যায় নানা শারীরিক সমস্যা। আবার অনেকে সহজেই খেতে পারেন দুধ বা দুধজাতীয় খাবার।
তবে, ঘটনা যেটাই হোক এতে শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক চাপ তৈরি হতে পারে।
তাই এমন খাবার খাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করাই ভালো।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘শরৎ’ কবিতায় লিখেছিলেন- ‘আজি কি তোমার মধুর মূরতি হেরিনু শারদ প্রভাতে!’
কবিতার পংক্তিমালা মন ছুয়ে যায়! দিশেহারা হয়ে ছুটে যায় মন- কোথায় আছে এমন ধবল সাদা কাশবন?
ঋতু পরিবর্তনের নিয়মে এসেছে শরৎ। তাই তো কাশফুল ফুটে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতিতে।
নদীর ধার, পুকুর পাড় কিংবা বিস্তীর্ণ বালুচরে বড্ড অবহেলায় ফোটে কাশফুল। লাগে না কোনো যত্ন-আত্তি।
প্রকৃতির এই দান দূর থেকে দেখে মনে হয়, শরতের আকাশের সাদা মেঘ যেন নেমে এসেছে ধরণীর বুকে। মৃদুমন্দ বাতাসে ওরা একে অপরের গায়ে লুটোপুটি খায়, নাচতে থাকে আপন ছন্দে। মুগ্ধ না হয়ে কি উপায় আছে!
কাশফুলের ছন্দ অগোচরেই যেন দোলা দিয়ে যায় সব বয়সীদের হৃদয়ে। ইট-পাথরের যান্ত্রিক কোলাহল ছেড়ে ক্ষণিক প্রশান্তির খোঁজে মানুষ ছুটে আসে কাশফুলের সংস্পর্শ পেতে।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা কেন্দ্রের মোড় পেরিয়ে খানিকটা এগুলেই পথের ধারে মিলবে কাশবনের সমারোহ। সে যেন গাঢ় সবুজের মাঝে শুভ্র কাশফুলের চাদরে ঢাকা রূপসী বাংলার একখণ্ড ছবি। আঁকাবাঁকা পথের দুধারে সারি সারি চা বাগান কিংবা সন্ধ্যায় ঝলমলে আলোর মাঝে পর্যটকরা মনভরে উপভোগ করেন কাশফুলের অপার সৌন্দর্য।
শুভ্র কাশবনে ছেয়ে আছে পাহাড়ি ছড়া, ঘন চা বাগান এলাকা। এঁকেবেঁকে বয়ে চলা পাহাড়ি ছড়ার দুই পাশ দিয়ে উঁচু-নিচু টিলা। ঋতুভেদে চা বাগানগুলোতেও প্রকৃতির রঙ বদলায়।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে ভানুগাছ সড়কের পাশে বেলতলী সংলগ্ন ভুড়ভড়িয়া ছড়ার পাশে কাশফুলের বালুচরের অবস্থান।
ভানুগাছে যাওয়ার রাস্তা ধরে সামনে এগুলেই চা বাগানের ছড়ার পাশে দেখা মিলবে কাশফুলের বালুচর।
প্রতিবছর আগস্টের শেষের দিক থেকে অক্টোবরের প্রথম পর্যন্ত এই শুভ্র ফুল ফোটে। তাই বছরের দুই মাস এখানে পর্যটক ও স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে। শীতে কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে বাগানগুলো। চা বাগানসহ শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা জুড়েই দিনে কিংবা রাতে পর্যটকরা মনভরে উপভোগ করেন কাশফুলের এই সৌন্দর্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সী লোকজন এসেছেন এখানে। কাউকে আবার দেখা যায় কাশফুলের মাঝে দাঁড়িয়ে বা বসে ছবি তুলতে। অনেকে আবার মুক্ত বাতাসে পুরো বালুচর ঘুরে বেড়িয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর আগস্টের শুরু কিংবা শেষের দিকে কাশফুল ফুটতে শুরু করে। সেপ্টেম্বর মাসে এসে সাদা কাশফুলে ছেয়ে যায় পুরো দুই কিলোমিটার এলাকা। সেপ্টেম্বরের শেষে কিংবা অক্টোবরের প্রথম দিকে ফুলগুলো ঝরে যায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ কাশবনে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।
কাশফুল দেখতে আশা দর্শনার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঋতু পরিক্রমায় বাংলার প্রকৃতিতে এখন শরৎকাল। রাশি রাশি কাশফুল ছড়াচ্ছে শ্বেত শুভ্র নৈসর্গিকতা। আর তা মুগ্ধ করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।’
কাশফুল ও চায়ের রাজ্য দেখতে আসা সিলেট মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনাজিলা ধোহা বলেন, ‘কলেজ বন্ধ থাকায় একটু সময় বের করে বের হয়েছি। তাই বলে একা নই, পরিবারের সদস্যরাও এসেছেন। জায়গাটি অনেক সুন্দর। কাশফুলের মুগ্ধতা থেকেই এখানে আসা। কাশফুলের সঙ্গে ছবি তুললে ছবিগুলোও অনেক সুন্দর হয়। তাই এখানে আসা।’
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এস কে দাশ সুমন বলেন, ‘চায়ের রাজধানী হিসেবে শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি দেশ-বিদেশে। এখানে চা-বাগানের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা অনেক জায়গা আছে। চার-পাচঁ বছর ধরে কাশফুলের বালুচরটি সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। শ্রীমঙ্গলে আসা পর্যটকরাও এখানে চলে আসেন প্রকৃতি দেখতে। কাশবন ও কাশফুলের সৌন্দর্য তাদেরকে বাড়তি বিনোদন দেয় নিঃসন্দেহে।’
আরও পড়ুন:সুন্দরবন খুলে দেয়ার প্রথম দিনই পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ছোট ছোট লাইটার বোট, ট্রলার ও লঞ্চে করে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় করছেন করমজলে।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের কাছে সুন্দরবনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে করমজল পর্যটনকেন্দ্রে নির্মাণ করা হয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, তথ্যকেন্দ্র, ফুট ট্রেইলার, ওয়াচ টাওয়ার ও প্রশস্ত রাস্তাসহ নান্দনিক সব স্থাপনা। এছাড়া সুন্দরবনের আলিবান্দা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিকে তৈরি করা হয়েছে নতুন দুটি পর্যটন স্পট। ঢেলে সাজানো হয়েছে সুন্দরবনের অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলোও।
তবে ভালো মানের হোটেল-মোটেল না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকরা। পর্যটক ও ট্যুর অপারেটররাও সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প বিকাশে হোটেল-মোটেলসহ উন্নতমানের নৌযানের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা সালমা বেগম নামের এক পর্যটক বলেন, ‘এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছি। খুবেই ভালো লাগছে। বিশেষ করে ঝুলন্ত ব্রিজ ও চলাচলের জন্য নতুন নতুন ফুট ট্রেইলার নির্মাণ খুবই ভালো হয়েছে। এগুলো আগে ছিলো না। এখানে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, ভালো মানের কোনো খাবারের হোটেল ও থাকার জন্য মোটেল নেই। যে কারণে ইচ্ছা থাকলেও রাতে থাকা যায় না। খুব ইচ্ছা ছিলো আরও দুই-একদিন থেকে সুন্দরবনের অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখা।’
বোটচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘সুন্দরবন দেখতে প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটকরা আসেন। কিন্তু ভালো মানের কোনো খাবার হোটেল বা থাকার জন্য উন্নত মানের আবাসিক হোটেলের স্বল্পতা রয়েছে। এ কারণে ইচ্ছা থাকলেও পর্যটকরা এখানে এক দিনের বেশি থাকতে পারেন না। পর্যটকরা যদি একটু বেশি সময় নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমন করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আমাদের আয়-রোজগারও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া উন্নতমানের নৌযান কম থাকায় সুন্দরবনের অনেক খাল ও নদীতে পর্যটকরা যেতে পারেন না। এর ফলে সুন্দরবনের অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য থেকে পর্যটকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।’
সুন্দরবন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘সুন্দরবনকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আরও বেশি আকৃষ্ট করতে করমজলে এক কিলোমিটার নতুন ফুট ট্রেইলার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া একটি ঝুলন্ত ব্রিজ ও একটি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পর্যটকরা বনের সব তথ্য জানার জন্য করমজলে নির্মাণ করা হয়েছে ইনফরমেশন সেন্টার।’
তিনি বলেন, ‘তিন মাস বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়ার প্রথম দিনই করমজলে পর্যটকের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আমরা বনরক্ষীরা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এছাড়া গত অর্থবছরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে পর্যাটক আগমনের সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৩৭ হাজার। আর রাজস্ব আদায় হয়েছিলো ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ বছর পর্যাটকদের সংখ্যা ও রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ হবে বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন:গোপালগঞ্জে সরকারি কিংবা বেসরকারি আয়োজনের অন্যতম অনুষঙ্গ দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডারের রসগোল্লা। শুধু গোপালগঞ্জ নয়, দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিচিত এ মিষ্টান্ন।
নামী এ মিষ্টান্নের আঞ্চলিক স্বীকৃতি পেতে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
দত্তের মিষ্টির পাশাপাশি গোপালগঞ্জ জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ছোট-বড় অনেক মিষ্টির দোকান রয়েছে। দত্তের মিষ্টির পাশাপাশি এসব মিষ্টিকেও জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের রসগোল্লাকে জিআই পণ্যে রূপ দিতে গত ২১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা হয়।
জিআই পণ্যের স্বীকৃতির বিষয়ে কথা হয় দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সবুজ দত্তের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দোকানের বয়স ৮৫ বছর। বাপ, ঠাকুরদাদার আমল থেকে সুনামের সঙ্গে চলে আসছে আমাদের মিষ্টি। আমাদের মিষ্টি দেশের বাইরেও যায়। গোপালগঞ্জে রাষ্ট্রীয় যত অনুষ্ঠান হয়, সেখানে আমাদের মিষ্টি নেয়া হয়।’
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু বলেন, ‘দত্তের দোকানের মিষ্টি প্রসিদ্ধ। এই দোকানে ভালো মানের মিষ্টি তৈরি হয়। এই দোকানের মিষ্টি শুধু দেশের মধ্যে নয়, বাইরেও গিয়ে থাকে।’
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দত্তের রসগোল্লা গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ও গোপালগঞ্জ জেলার ব্র্যান্ড। এই রসগোল্লাকে গোপালগঞ্জের জিআই পণ্যে রূপ দিতে আমরা আবেদন করেছি।
‘গোপালগঞ্জের রসগোল্লা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলে এই অঞ্চলের রসগোল্লার সুনাম আরও ছড়িয়ে যাবে সর্বত্র।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য