× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Drink Daburs delicious sherbet in summer
google_news print-icon

গরমে পান করুন ডাবের মজাদার শরবত

গরমে-পান-করুন-ডাবের-মজাদার-শরবত
ডাবের মজাদার শরবত। ছবি: সংগৃহীত
প্রথমে ডাব ভেঙে একটি গ্লাসে ডাবের পানি ঢালুন। ডাবের ভেতরের শাঁস বের করে নিন। এরপর ডাবের শাঁস ভালো করে কুচি কুচি করে কেটে নিন। এবার ডাবের পানিতে চিনি, লবণ, শাঁস ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এরপর একটি গ্লাসে ডাবের শরবত ঢেলে তার ওপর কয়েকটা বরফ কিউব দিয়ে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।  

আমাদের গরম লাগলেই আমরা ঠান্ডা কিছু খাওয়ার কথা ভাবি। যেন শরীরটা সতেজ থাকে। আর গরমে ডাব খেতে সবাই ভালবাসে। বিশেষ করে গরমে ডাবের চাহিদা বেড়ে যায়। এই গরমে ডাবের শরবত দিতে পারে আমাদের তৃপ্তি। তাই গরমে পান করতে পারেন ডাবের মজাদার শরবত। এনডিটিভি ফুডের ডাবের মজাদার শরবতের রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

উপকরণ

১. ১টি ডাব

২. ১-১.৫ টেবিল চামচ লেবুর রস

৩. স্বাদমতো চিনি

৪. এক চিমটি লবণ

৫. বরফের কিউব

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে ডাব ভেঙে একটি গ্লাসে ডাবের পানি ঢালুন। ডাবের ভেতরের শাঁস বের করে নিন। এরপর ডাবের শাঁস ভালো করে কুচি কুচি করে কেটে নিন। এবার ডাবের পানিতে চিনি, লবণ, শাঁস ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এরপর একটি গ্লাসে ডাবের শরবত ঢেলে তার ওপর কয়েকটা বরফ কিউব দিয়ে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুন:
মাত্র ২ মিনিটে মজাদার চকলেট মগ কেক
গরমে পান করুন গোলাপের মজাদার লাচ্ছি  
মাত্র ৩টি উপকরণে মজাদার পিনাট প্রোটিন বল
ইফতারে রাখতে পারেন স্ট্রবেরি চিয়ার মজাদার পুডিং
ইফতারে পান করুন বাদাম পালংশাকের মজাদার স্মুদি  

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
More than five hundred tourists were trapped in Sajeke shells

সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন পাঁচ শতাধিক পর্যটক

সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন পাঁচ শতাধিক পর্যটক
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিগত কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমা জেএসএস ও প্রসীত দলের ইপিডিএফ দফায় দফায় গোলাগুলিতে জড়িয়েছে। এতে একজনের প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠানে আসা না আসা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দুটি দলের মধ্যে কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধ চলছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে সাজেকে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়দা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিগত কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমা জেএসএস ও প্রসীত দলের ইপিডিএফ দফায় দফায় গোলাগুলিতে জড়িয়েছে। তবে আঞ্চলিক এই দু’দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় একজনের প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

সাজেকে আটকা পড়া গাড়িচালকরা বলেন, সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৭টি গাড়ি সাজেকে গেছে। এই গাড়িগুলোতে করে আসা চার শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছেন।

দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই গোলাগুলির ঘটনা বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকেলে পর্যটকবাহী কোনো গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়িতে আসেনি।

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেক ও মাচালং সড়কের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। জায়গাটি পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এই গোলাগুলির ঘটনার কারণে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। রাতে পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছেন।

রাঙ্গামটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণকে নিরুসাহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যারা আছেন তাদেরকে নিরাপদে আজ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
পানছড়িতে দু’পক্ষে গোলাগুলি, ইউপিডিএফ সংগঠক নিহত
রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার 
সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটককে উদ্ধার
অবরোধে সাজেকে আটকা পড়েছেন ১৪শ’ পর্যটক

মন্তব্য

জীবনযাপন
No ships went to St Martin due to tourist crisis

পর্যটক সংকটে সেন্টমার্টিনে কোনো জাহাজ যায়নি

পর্যটক সংকটে সেন্টমার্টিনে কোনো জাহাজ যায়নি
চলাচলের অনুমতি পাওয়া জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে রাতযাপনে নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই তখন দ্বীপে পর্যটকের সংকট থাকবে না। এ কারণে ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকেই সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে আজ বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের কথা থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে কক্সবাজার থেকে কোনো জাহাজ ছাড়েনি।

চলতি মৌসুমে প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া জাহাজ কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করবে।

চলাচলের অনুমতি পাওয়া জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়ায় বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট দিয়ে জাহাজ ছাড়ার অনুমতি ছিল। কিন্তু যাত্রী সংকটের কারণে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়া সম্ভব হয়নি।

কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৩৫০ জন। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেন্টমার্টিন যেতে ইচ্ছুক যাত্রীর টিকিট বুকিং শতজনেও গড়ায়নি। এতে যাত্রী সংকটের কারণে আজ বৃহস্পতিবার জাহাজটি না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মূলত নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে রাতযাপনে নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রবাল দ্বীপটি ভ্রমণে পর্যটকদের মধ্যে এক ধরনের অনীহা কাজ করছে বলে মনে করেন নুর মোহাম্মদ।

তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে রাতযাপনে নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই তখন দ্বীপে পর্যটকের সংকট থাকবে না। এ কারণে ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকেই সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দাবিতে কক্সবাজারে সেন্টমার্টিনবাসীর সড়ক অবরোধ
সেন্ট মার্টিনে সীমিত হলো পর্যটক

মন্তব্য

জীবনযাপন
St Martins people blocked the road after coming to Coxs Bazar city

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দাবিতে কক্সবাজারে সেন্টমার্টিনবাসীর সড়ক অবরোধ

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দাবিতে কক্সবাজারে সেন্টমার্টিনবাসীর সড়ক অবরোধ কক্সবাজার শহরের কলাতলী পয়েন্টে সড়কে অবস্থান নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসীর প্রতিবাদ। ছবি: নিউজবাংলা
সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ ও রাতযাপন নিষিদ্ধসহ সব বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবিতে দ্বীপটির বাসিন্দারা কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।

কক্সবাজার শহরে এসে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা। দেশের সর্বদক্ষিণে একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিতে পর্যটক সীমিতকরণ ও রাতযাপন নিষিদ্ধসহ সব বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে পড়েন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখ কলাতলীর ডলফিন মোড়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঘটনাস্থলে আসেন কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরীসহ প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দাবিতে কক্সবাজারে সেন্টমার্টিনবাসীর সড়ক অবরোধ
অবরোধের কারণে কক্সবাজার শহরে যানজট দেখা দেয়। ছবি: নিউজবাংলা

টানা আলোচনার পর দাবি পূরণে প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ঘণ্টা পর বিকেল ৪টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

কলাতলী মোড় কক্সবাজার শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম এলাকা এবং প্রবেশমুখ। এই পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচির কারণে চারদিকে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেখা দেয় তীব্র যানজট। শত শত যানবাহন আটকা পড়ায় পর্যটক ও স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়েন।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ী মাওলানা আব্দুর রহমান খান, মোহাম্মদ আলম, সরওয়ার কামাল, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অফ কক্সবাজার (টুয়াক) একাংশের সভাপতি রেজাউল করিমসহ অনেকে।

কর্মসূচিতে দ্বীপবাসীর পাশাপাশি হোটেল-মোটেল, রেঁস্তোরা ও ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনসহ পর্যটন-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

টুয়াক একাংশের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ সম্পর্কে তারা সম্যক অবগত। পরিবেশ রক্ষা করতে দ্বীপবাসীকে সঙ্গে নিয়েই পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু সরকার পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে পর্যটক গমনাগমনে বিধি-নিষেধ আরোপ করে পর্যটন শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। এতে দ্বীপবাসীর জীবন-জীবিকাসহ পর্যটনের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার কর্মীর কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে দ্বীপের মানুষের মাঝে অভাব-অনটনের পাশাপাশি অনেকে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন।

পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেন, নভেম্বর মাসে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। সরকারি বিধি-নিষেধের কারণে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জটিলতায় এখনও সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি। এতে চলতি মৌসুমে দ্বীপটিতে পর্যটক যাতায়াত নিয়ে অনিশ্চিয়তা কাটেনি। সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে জীবন-জীবিকা নিয়ে চরম হুমকির মুখে দ্বীপবাসীসহ পর্যটন-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সাড়ে তিন লক্ষাধিক মানুষ।

পরিবেশ রক্ষা করেই পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সব মহলের সমন্বয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।

পর্যটন ব্যবসায়ী মাওলানা আব্দুর রহমান খান জানান, প্রশাসনের পক্ষে দ্বীপ নিয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলের সঙ্গে আলোচনার কথা বলা হয়েছে। বুধবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত না জানালে আবারও আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ৪টার পর আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদরের ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী জানান, দ্বীপের বিষয় নিয়ে ঢাকায় বৈঠক চলছে। আন্দোলনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত দ্বীপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানানোর পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বিকেল ৪টার পর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

আরও পড়ুন:
রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার 
সেন্ট মার্টিনে সীমিত হলো পর্যটক
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে রোহিঙ্গা যুবক গুলিবিদ্ধ

মন্তব্য

জীবনযাপন
Sylhet Indiscriminate looting of stones faded nature

নির্বিচারে পাথর লুট, বিবর্ণ প্রকৃতির লীলাভূমি

নির্বিচারে পাথর লুট, বিবর্ণ প্রকৃতির লীলাভূমি সাদা পাথরে সমৃদ্ধ স্থান বলেই নামকরণ হয়েছে সাদাপাথর। অথচ সিলেটের অন্যতম আকর্ষণীয় এই পর্যটন স্পটে সেই পাথরই লুট হয়ে গেছে। ছবি: নিউজবাংলা
সিলেটের জাফলং ও সাদাপাথর এলাকা থেকে ৫ আগস্টের পর দুশ’ কোটি টাকার পাথর লুট হয়ে গেছে। পাথর উত্তোলনের ওপর প্রশাসনের দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ফের আন্দোলনে নেমেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে প্রকৃতি রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আপত্তি জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা।

দেশের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণীয় এলাকা সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিখ্যাত জাফলংয়ে সারাবছরই থাকে পর্যটকের ভিড়। তবে নির্বিচারে পাথর উত্তোলনের ফলে দিন দিন সৌন্দর্য হারিয়ে মলিন হয়ে পড়ে জাফলং।

কেবল জাফলং নয়, পাথর কোয়ারি হিসেবে পরিচিত সিলেটের পর্যটন আকষর্ণীয় আরও পাঁচটি এলাকারও একই অবস্থা।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এসব এলাকায় চলছে নির্বিচারে পাথর লুট। কেবল জাফলং আর সাদাপাথর থেকেই লুট হয়েছে দুশ’ কোটি টাকার পাথর। প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও পাথর লুট থামানো যাচ্ছে না।

নির্বিচারে পাথর লুট, বিবর্ণ প্রকৃতির লীলাভূমি
সিগনাল পয়েন্টের চিত্র। ছবি: নিউজবাংলা

পরিবেশের সুরক্ষা এবং পর্যটকদের আকর্ষণ ধরে রাখতে ২০১৬ সালে পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা জারি করে খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। তারও আগে ২০১২ সালে জাফলংয়ের পিয়াইন নদীসহ ১৫ কিলোমিটার পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

এ-সংক্রান্ত গেজেটে বলা হয়, ‘অপরিকল্পিতভাবে যেখানে সেখানে পাথর উত্তোলন ও নানাবিধ কার্যকলাপের ফলে সিলেটের জাফলং-ডাউকি নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা সংকটাপন্ন। ভবিষ্যতে এই সংকট আরও ঘণীভূত হবে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ইসিএভুক্ত এলাকায় যান্ত্রিক বা ম্যানুয়াল কিংবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে পাথরসহ অন্য যেকোনো খনিজ সম্পদ উত্তোলন নিষিদ্ধ।’

জানা যায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম কিছুদিন প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে কেবল গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও সাদাপাথর পর্যটন এলাকা থেকেই প্রায় দুশ’ কোটি টাকার পাথর নিয়ে গেছে লুটপাটকারীরা। এই লুটপাটে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে লুটপাটের এই মচ্ছবের পরও থেমে না থেকে জাফলং-সাদাপাথরসহ সব কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আন্দোলনে নেমেছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। এ জন্য নতুন সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে চলেছেন তারা।

অপরদিকে, পরিবেশকর্মীদের পক্ষ থেকে পাথর লুটপাট বন্ধ ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিবেশ ও পর্যটন সুরক্ষার দাবি উঠেছে। ফলে সরকার পরিবর্তনের পর আবারও প্রশ্ন উঠেছে- পাথর উত্তোলন নাকি পরিবেশ ও পর্যটনের সুরক্ষার পথে হাঁটবে সরকার!

নির্বিচারে পাথর লুট, বিবর্ণ প্রকৃতির লীলাভূমি

মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত কয়েক বছর বন্ধ ছিলো পাথর উত্তোলন। ফলে জাফলংয়ের পিয়াইন ও কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদীর উৎসমুখে (সাদাপাথর) বিপুল পরিমাণ পাথর মজুদ হয়েছে। স্রোতের তোড়ে উজান থেকে আসা পাথর স্তরে স্তরে মজুদ হয় দুই নদীর উৎসমুখে। এসব পাথরের কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে জাফলং ও সাদাপাথরে পর্যটক সমাগম বাড়ছিলো।

তবে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার সময়টাকে মোক্ষম সুযোগ হিসেবে নিয়ে এই দুই জায়গা থেকে নির্বিচারে পাথর লুটপাট চালানো হয়। ৫ আগস্ট-পরবর্তী তিন দিনে দুই কোয়ারি থেকে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় লুট হয়েছে প্রায় ২শ’ কোটি টাকার পাথর।

এই সময়টাতেহাজার হাজার শ্রমিক লাগিয়ে প্রভাবশালীরা রাত-দিন পাথর উত্তোলন করেন। লুটের কারণে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছে এই দুই পর্যটন কেন্দ্র। পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পদ হারিয়েছেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ এক নেতা। এছাড়া বিএনপির দুই নেতাসহ ১৪৪ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর দুটি মামলা করেছে।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সরকার পতনের পর প্রথম তিনদিন পুলিশসহ অনান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিলো। এই সুযোগে জাফলং থেকে প্রায় ১২০ কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে।

আর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানার ভাষ্যমতে, সাদাপাথর থেকে লুট হয়েছে ২০ কোটি টাকার পাথর। যদিও স্থানীয়দের দাবি, দুই কোয়ারি থেকে ১৪০ কোটি নয়, দু’শ কোটি টাকার উপরে পাথর লুট হয়েছে। কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু লুটের ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় তিনটি ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হলেও হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই কোয়ারিতে বালু ও পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীদের বেশিরভাগ বিএনপির রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট। জাফলংয়ের পিয়াইন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের প্রমাণ পেয়ে দলীয় পদ হারান জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহপরাণ।

এছাড়া পাথর লুটের সঙ্গে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপন, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্সের নাম জড়িয়েছে।

জাফলংয়ে পাথর লুটের ঘটনায় বিএনপির এই তিন নেতাসহ ১১৪ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট থানায় একটি ও পরিবেশ আদালতে অপর মামলা হয়েছে। এছাড়াও জাফলং, সাদাপাথর, লোভছড়া, ভোলাগঞ্জ ও শাহ আরেফিন টিলায় প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে পাথর জব্দ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান, মামলা আর অভিযুক্ত বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ- কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না পাথর লুট।

নির্বিচারে পাথর লুট, বিবর্ণ প্রকৃতির লীলাভূমি
জাফলংয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: নিউজবাংলা

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে গত ৬ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনেও এমন অভিযোগ করা হয়। মো. ইসমাইল হোসেন নামে জাফলংয়ের এক ব্যক্তি ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের মদদে চলছে পাথর লুট।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই পাথর উত্তোলন চালুর দাবিতে আন্দোলনে নামেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। তবে তৎকালীন সরকার এমন দাবি আমলে নেয়ৱনি। নতুন সরকার আসার পর আবার একই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। এই দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর জাফলংয়ে বিশাল মানববন্ধন করা হয়। এতে বিভিন্ন পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সমিতি অংশ নেয়।

পাথর উত্তোলনের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে জাফলং ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সামাজিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন খান আনু বলেন, ‘জাফলংসহ সব পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন, সংগ্রহ ও সরবরাহ করে দেশের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এই পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। বেকার হয়ে পড়েছেন পাথর-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই ঢলের সঙ্গে প্রচুর পাথর ভারত থেকে এই এলাকায় এসে জমা হয়। এসব পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় নদীর উৎসমুখ বন্ধ হয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে ঘন ঘন বন্যা দেখা দিচ্ছে। তাই পরিবেশের স্বার্থেই পাথর উত্তোলন করা প্রয়োজন।’

জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত বলেন, ‘পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় প্রতিবছরই ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণ পাথর আমদানি করতে হচ্ছে। এতে দেশে ডলার সংকট আরও বাড়ছে।’

তবে ব্যবসায়ীদের এসব দাবির সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়ে সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ, জাফলংয়ে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও পাথর ভাঙার মেশিন নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সিলেটের পরিবেশ কর্মীরা।

২৩ অক্টোবর এসব দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেয় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

নির্বিচারে পাথর লুট, বিবর্ণ প্রকৃতির লীলাভূমি
বেলা-র পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার দাবি। ছবি: নিউজবাংলা

এ প্রসঙ্গে বেলা’র সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে লুটপাট করে জাফলং ও সাদপাথরকে পাথরশূন্য করে ফেলা হয়েছে। এখন আবার পাথর উত্তোলনের দাবিতে মাঠে নেমেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের এই দাবি মানা হলে এসব পর্যটন এলাকা আবার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে।’

পরিবেশবাদী সংগঠন ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশারুল কবির বলেন, ‘দেশে চাহিদার খুব স্বল্পসংখ্যক পাথর সিলেটের কোয়ারিগুলোতে পাওয়া যায়। ফলে বড় অংশই ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। তাই পাথর কোয়ারি খুলে দিলে আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে এমন দাবি সত্য নয়। কোয়ারি সচল হলে কিছু মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। কিন্তু দেশের পরিবেশ-প্রতিবেশের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।’

এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহমুদ মুরাদ জানিয়েছেন, পাথর কোয়ারি সচল করা হবে কী না এটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে এখন পর্যন্ত সরকার থেকে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ফলে যারা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে এখন নিয়মিতই অভিযান চালানো হচ্ছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জাফলং দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একটি। এখানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে পর্যটনকেন্দ্রটির সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশও হুমকির মুখে। ইসিএ ঘোষিত জাফলং থেকে সব ধরনের বালু ও পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একটি গোষ্ঠী বালু-পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে জাফলংয়ে পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
টানা ২৩ দিন পর সিলেট দিয়ে পাথর আমদানি শুরু

মন্তব্য

জীবনযাপন
Japan Visa Application Center opened in Dhaka

ঢাকায় জাপান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার চালু

ঢাকায় জাপান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার চালু
ভিএফএস গ্লোবাল এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে আমাদের জাপান ভিসা সেবা এখন বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে। আবেদনকারীরা ভিসা আবেদন কেন্দ্রে গিয়ে তাদের যাত্রা নির্বিঘ্নে শুরু করতে পারবেন।’

ঢাকায় জাপান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের (ভ্যাক) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার এই কার্যক্রম চালু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভিএফএস গ্লোবাল।

আবেদনকারীদের ‘কার্যকর ও সুবিন্যস্ত’ আবেদন জমা দেয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে এই কেন্দ্র।

ভিএফএস গ্লোবাল এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে আমাদের জাপান ভিসা সেবা এখন বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে। আবেদনকারীরা ঢাকায় অবস্থিত আমাদের অত্যাধুনিক ভিসা আবেদন কেন্দ্রে গিয়ে তাদের যাত্রা নির্বিঘ্নে শুরু করতে পারবেন।’

মন্তব্য

জীবনযাপন
Decision to limit tourists to St Martin

সেন্ট মার্টিনে সীমিত হলো পর্যটক

সেন্ট মার্টিনে সীমিত হলো পর্যটক বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন, যা পর্যটকদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ফাইল ছবি
পর্যটকরা নভেম্বর মাসে সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন। তবে রাত যাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন দু’হাজারের বেশি পর্যটক যেতে পারবেন না। আর ফেব্রুয়ারিতে দ্বীপটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজে পর্যটক যাওয়া বন্ধ রাখা হবে।

পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সরকার সেন্ট মার্টিনে পর্যটক সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, নভেম্বর মাসে পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যেতে পারবেন। কিন্তু রাত যাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন দু’হাজারের বেশি পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন না। আর ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজে পর্যটক যাওয়া বন্ধ রাখা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, বছরের অন্যান্য মাসের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মূলত এ সময়ে পর্যটকের চাপ অনেক বেশি থাকে। সেজন্য এই চার মাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সহকারী প্রেস সচিব নাইম আলী ও সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।

সেন্ট মার্টিন বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত দ্বীপটি দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।

পর্যটকের ভিড় লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।

দ্বীপটিতে প্রতিদিন অনিয়ন্ত্রিত পর্যটকের যাতায়াত, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, পরিবেশ দূষণ, পর্যটকদের অসচেতনতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে সেখানকার ইকো-সিস্টেম অর্থাৎ প্রতিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছিল। কিন্তু দ্বীপটিকে বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বীপটির পরিবেশ ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলেও মনে করে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন।

দ্বীপটির প্রবাল, শৈবাল, সামুদ্রিক কাছিম, লাল কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুকসহ নানা জলজ প্রাণী এবং জীব-বৈচিত্র্য বিলুপ্ত হওয়ার পথে। সেন্ট মার্টিনে যেকোনো ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলার ব্যাপারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেগুলো উপেক্ষা করেই সেখানে একের পর এক রিসোর্ট, হোটেল, মোটেল গড়ে উঠছে।

জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে সরকার পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা- ইসিএ ঘোষণা করে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বিরল জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারসহ দ্বীপটিকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ১৪টি বিধিনিষেধ আরোপ করে।

এসব বিধিনিষেধের মধ্যে ছিল- দ্বীপের সৈকত, সমুদ্র বা নাফ নদীতে সব ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা, পশ্চিম পাশের সৈকতে কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ দিকে এবং পূর্ব পাশের সৈকতে গলাচিপার পর দক্ষিণ দিকে পরিভ্রমণ, দ্বীপে যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন চালানো, দ্বীপের চারপাশে নৌ ভ্রমণ, রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা, সৈকতে মাইক বাজানো, হৈ-চৈ বা উচ্চস্বরে গান বাজনা করা, বার-বি-কিউ পার্টি করা ইত্যাদি।

পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আট বর্গকিলোমিটার জুড়ে থাকা এই দ্বীপটির স্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। এছাড়া পর্যটক মিলে প্রতিদিন দ্বিগুণসংখ্যক মানুষের চাপ নিয়ে এক প্রকার মৃতপ্রায় অবস্থা সেন্ট মার্টিনের।

অতিদ্রুত পর্যটকের স্রোত ঠেকানো না গেলে এই দ্বীপের পরিবেশে ভারসাম্য ফেরানো রীতিমতো অসম্ভব হবে বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা। সেন্ট মার্টিনের জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে দ্বীপটি যে কোনো সময়ে সমুদ্রে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।

আরও পড়ুন:
সুন্দরবনে পথ হারিয়ে ৯৯৯-এ ফোন, ৩১ পর্যটক উদ্ধার
পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করে লুট করতেন তারা
ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয়ের পাশেই ছিনতাইকারীর কবলে ৫ পর্যটক
‘হামুনের’ মধ্যেও স্বেচ্ছায় সেন্টমার্টিনে দেড় শতাধিক পর্যটক
সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি জাহাজে টেকনাফের পথে পর্যটকরা

মন্তব্য

জীবনযাপন
Bloody meat at Dhaka Cutchi Dine then

‘ঢাকা কাচ্চি ডাইন’-এ রক্তমাখা মাংস, অতঃপর

‘ঢাকা কাচ্চি ডাইন’-এ রক্তমাখা মাংস, অতঃপর পরিবেশন করা মুরগির বিরিয়ানির মাঝে তাজা রক্তমাখা মাংস। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিরিয়ানি ও ঢাকা কাচ্চি ডাইনের মালিক জালাল উদ্দীন বলেন, ‘এগুলো রক্ত নয়, হাড়ের ভিতরের রস। অনেক সময় রান্নায় পরিপূর্ণ আঁচ না পাওয়ার কারণে হাড়ের ভিতরের রস জ্বাল হয় না। সেটাই বের হয়েছে। এতে খাবার নষ্ট হওয়ার কিছু ঘটেনি।’

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ‘ঢাকা কাচ্চি ডাইন’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিরানীতে রক্তমাখা কাঁচা মাংস থাকায় এই পরিস্থিতি হয়েছে বলে দাবি শিশুটির অভিভাবকের।

শিশুটির পিতা সোহাগ হোসেন বলেন, ‘বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ৩টায় শহরের পাঁচমাথা মোড় এলাকায় ঢাকা কাচ্চি ডাইনে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে লাঞ্চ করার জন্য যাই। আমার জন্য খাসির বিরিয়ানি, মেয়ের জন্য মুরগির বিরিয়ানি আর স্ত্রীর জন্য হাঁসের বিরিয়ানি অর্ডার করি।

‘খাওয়া পর্বের মাঝামাঝি সময়ে দেখতে পাই মেয়ের প্লেটের বিরিয়ানির মাঝে মুরগির মাংস টাটকা রক্তমাখা। ভালোভাবে নেড়ে দেখি মাংসের ভেতরে আরও তাজা রক্ত। বিষয়টি তাৎক্ষণিক দায়িত্বরত ম্যানেজার সজিবকে দেখাই।’

সোহাগ হোসেন বলেন, “ম্যানেজার সজিব এসব দেখে বলেন- ওগুলো মাংসের নয়, হাড়ের ভিতরের। সমস্যা নাই পাল্টে দিচ্ছি।’ কিন্তু এ অবস্থায় মেয়ের খাওয়ার অরুচি হওয়ায় সে আর খায়নি। আমরাও কোনরকমে খাওয়া শেষ করি।

“এ সময় রক্তমাখা কাঁচা মাংসের ছবি মোবাইলে নেয়ায় সজিব ক্ষেপে যান এবং বিল-ভাউচার দিতে গড়িমসি করেন।”

শিশুটির বাবা আরও বলেন, ‘এরপর বাসায় এসে মেয়ে কয়েকবার বমি করেছে এবং রাতেও কিছু খেতে পারেনি। এ ব্যাপারে পরদিন সাংবাদিকদেরসহ গিয়ে রেস্টুরেন্টের মালিককে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু তিনি দোষ স্বীকার না করে উল্টো এমন কিছু ঘটেনি বলে দাবি করেন। বাধ্য হয়ে ভোক্তা অধিকারে অনলাইনে অভিযোগ করেছি।’

ঢাকা বিরিয়ানি ও ঢাকা কাচ্চি ডাইনের মালিক জালাল উদ্দীন বলেন, ‘এগুলো রক্ত নয়, হাড়ের ভিতরের রস। অনেক সময় রান্নায় পরিপূর্ণ আঁচ না পাওয়ার কারণে হাড়ের ভিতরের রস জ্বাল হয় না। সেটাই বের হয়েছে। এতে খাবার নষ্ট হওয়ার কিছু ঘটেনি।

‘তবে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে যে এই খাবার খেয়ে শিশু অসুস্থ হয়েছে, তাই তার চিকিৎসা খরচ বাবদ তিন হাজার টাকা দিতে চাই। কিন্তু সেই টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানান ভুক্তভোগী শিশুটির পিতা।’

নীলফামারী জেলা ভোক্তা অধিকারের উপ-পরিচালক সামসুল আলম বলেন, ‘উল্লিখিত ঘটনা জেনেছি এবং একটি অভিযোগও পেয়েছি। এর আলোকে অভিযান চালিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’

মন্তব্য

p
উপরে