স্যুপের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে তৈরি করা হেলদি এগ ড্রপ হোয়াইট স্যুপ অনেকেরই পছন্দের। এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনই এতে মিলবে ডিম আর চিকেনের পুষ্টি।
উপকরণ
১. ছোট ছোট করে কুচিয়ে নেয়া চিকেন হাফ কাপ
২. দুটি ডিমের সাদা অংশ
৩. দুই টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
৪. ৩ কাপ পানি
৫. বাটার ১ টেবিল চামচ
৬. স্বাদ অনুযায়ী লবণ
৭. এক চা চামচ সয়া সস
৮. দুটি কাঁচামরিচ
৯. আধা চা চামচ সাদা গোলমরিচ গুঁড়া
১০. আধা চা চামচ চিনি (বাধ্যতামূলক নয়)
১১. আধা চা চামচ রসুন মিহি কুচি
রন্ধন প্রণালি
রন্ধনশিল্পী রোকসানা আক্তার সুমি জানিয়েছেন হেলদি এগ ড্রপ হোয়াইট স্যুপ তৈরির পদ্ধতি, যেটি তার ভাষায় নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।
একটি প্যান গরম করতে হবে। তাতে বাটার দিয়ে রসুন কুচি দিয়ে হালকা ভেজে চিকেন কুচি ও সয়া সস দিয়ে ভাজতে হবে।
দুই মিনিট ভাজার পর স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও পানি দিয়ে দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আস্ত কাঁচামরিচ ও গোল মরিচের গুঁড়া দিতে হবে।
তিন মিনিট রান্নার পর কর্ন ফ্লাওয়ার দুই টেবিল চামচ পানি দিয়ে গুলে আস্তে আস্তে স্যুপে দিতে হবে ও নাড়তে হবে। এ সময় চুলা মিডিয়াম লো ফ্লেমে রাখতে হবে।
পরে ডিমের সাদা অংশ উঁচু থেকে অল্প অল্প করে দিতে হবে ও অনবরত নাড়তে হবে। যেন জমাট বেঁধে না যায়। লবণ চেক করে চিনি দিয়ে পছন্দমতো ঘনত্ব রেখে নামিয়ে গরম গরম সার্ভ করতে পারেন হেলদি এগ ড্রপ হোয়াইট স্যুপ।
স্বাস্থ্যগত কারণে চাইলে চিনি স্কিপ করা যাবে। এটা শুধু স্বাদ বাড়ানোর জন্য।
আরও পড়ুন:রোজাসহ বিভিন্ন উপলক্ষে আমরা জিলাপি খেয়ে থাকি। কেউ কেউ নিয়মিতই খাবারটি খান।
এ জিলাপি দোকান থেকে কিনতে গেলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে সেটি বানানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তবে বাসায় খাবারটি বানানো গেলে এমন শঙ্কা আর থাকে না।
ঘরে বসে কীভাবে জিলাপি বানানো যায়, তা জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজমা আক্তার।
উপকরণ
ডো তৈরির জন্য এক কাপ ময়দা, তিন থেকে চার কাপ পানি, এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ টক দই, এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ বেকিং সোডা।
সিরা তৈরির জন্য দুই কাপ চিনি, এক কাপ পানি, এক টেবিল চামচ ঘি, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও সামান্য অরেঞ্জ ফুড কালার। এর সঙ্গে ভাজার জন্য লাগবে দেড় কাপ তেল।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে পানির সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে ভালো করে ফেটে নিতে হবে। এরপর টক দই দিয়ে খুব ভালো করে পাঁচ মিনিট ফেটে নিতে হবে। তারপর এক ঘণ্টা এভাবে রেখে দিতে হবে।
পরে সিরা করে নিতে হবে। পাত্রে পানি, চিনি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে তার মধ্যে ঘি, লেবুর রস, সামান্য ফুড কালার দিয়ে সিরা করে ঠান্ডা করতে হবে।
এক ঘণ্টা পরে মেখে রাখা ডোর মধ্যে বেকিং সোডা মিশিয়ে আবার দুই মিনিট ফেটে নিতে হবে। পরে কড়াইয়ে তেল গরম করে হালকা আঁচে মুচমুচে করে জিলাপি ভাজতে হবে। চিনির সিরায় এক মিনিটের মতো রেখে তা উঠিয়ে নিতে হবে।
জিলাপি ভাজার জন্য সসের বোতল, ছোট পানির বোতল বা পাইপিং ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন:আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস। দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন মজাদার আম পান্নার শরবত। ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল কুক উইথ পারুলের আম পান্নার রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১.কাঁচা আম- ৪টি
২.চিনি/মিশ্রি- স্বাদমতো
৩. ভাজা জিরার গুঁড়া- আধা চা চামচ
৪. গোলমরিচ গুঁড়া- আধা চা চামচ
৫. বিট লবণ- ১ চা চামচ
৬. লবণ- স্বাদমতো
৭. কাঁচা মরিচ- ২টি (কুচি)
৮. এলাচ গুঁড়া- সামান্য
৯. পুদিনা পাতা-সামান্য
১০. লেবুর রস- ১ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে আমের খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে কেটে নিন। এবার গরম পানিতে আম সেদ্ধ করে নিন। এরপর একটি ব্লেন্ডারে সেদ্ধ আম, চিনি, কাঁচা মরিচ কুচি, বিট লবণ, গোল মরিচের গুঁড়া, লবণ, ভাজা জিরা গুঁড়া, এলাচ গুঁড়া, লেবুর রস ও পুদিনাপাতাসহ সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার আম পান্না। এটিকে আরও লোভনীয় দেখাতে আপনি সামান্য সবুজ খাবারের রং দিতে পারেন।
আরও পড়ুন:যাত্রীসেবার মান্নোয়নের অংশ হিসেবে অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু করেছে জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিমানের যে সকল সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ অনলাইন (বিমান ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ)-এর মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করবেন, তারা অনলাইনেই ভ্রমণ তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।
‘সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ টিকেট ক্রয়ের সময়ে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট কার্ডটি অথবা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে বিমানের ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com অথবা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন। বিমানের ওয়েবসাইটে বুক ফ্লাইট (Book Flight) অপশনের মধ্যে ম্যানেজ মাই ট্রিপ (Manage My Trip) অপশনে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহজেই ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে।’
আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস। রোজায় ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ইফতারে মজার মজার খাবারের পাশাপাশি রোজাদারদের জন্য দরকার হয়ে পড়ে পুষ্টিকর খাবারেরও। এসব বিষয় চিন্তা করে ইফতারে রাখতে পারেন শির খুরমা।
রন্ধন শিল্পি রোকসানা আক্তার সুমি রেসিপি শির খুরমার রেসিপি তুলে ধরেছেন নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ:
১. সেমাই ১কাপ
২. দুধ এক লিটার
৩. গুঁড়া দুধ ১কাপ
৪. কনডেন্স মিল্ক এক কাপ
৫. ঘি ৩ টেবিল চামচ
৬. ৩টি এলাচ গুঁড়ো
৭. নুন এক চিমটি
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমেই কাজু,কিসমিস, পেস্তা, খোরমা সব ১ টেবিল চামচ করে কুচি করে নিতে হবে। এক লিটার দুধ ৫ মিনিট ভালো করে জ্বাল দিতে হবে। গুঁড়া দুধ ও কনডেন্স মিল্ক দিয়ে আরও তিন মিনিট জ্বাল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে ড্রাই ফ্রুটস গুলো হালকা ফ্লেমে ভেজে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে সেমাই ভাজতে হবে। সুগন্ধ বের হলে দুধে ঢেলে দিতে হবে। কিছু ড্রাই ফ্রুটস দিতে হবে। এক চিমটি নুন দিতে হবে। ৫ থেকে ৭ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে পছন্দমতো ড্রাই ফ্রুটস ও কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন:পদব্রজে ভারতের ২৭টি রাজ্য ভ্রমণ শেষে ১৬ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা রোহান আগারওয়াল এখন ঝালকাঠিতে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৪৯টি জেলাও তিনি হেঁটে ভ্রমণ করেছেন।
ভারতের ২১ বছর বয়সী এই তরুণ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠিতে পৌঁছেন। প্লাস্টিকের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে নিরন্তর হেঁটে চলেছেন তিনি।
২০২০ সালের ২৪ আগস্ট ভারতের উত্তরপ্রদেশে বারাণসীর গঙ্গার তীর থেকে হাঁটা শুরু করেছিলেন রোহান। প্লাস্টিকের ব্যবহার বেশি এমন ১৫ দেশ হেঁটে ভ্রমণের পরিকল্পনা তার। সব শেষে তিনি যাবেন সাইবেরিয়ায়।
রোহান এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৪৯টি জেলায় গেছেন। যেখানেই যাচ্ছেন সেখানকার স্কুল-কলেজে গিয়ে হাজির হচ্ছেন। শিক্ষার্থী ছাড়াও প্লাস্টিকের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে।
রোহানের বক্তব্য- এই পৃথিবী শুধু মানুষের বসবাসের জন্য নয়। পৃথিবীতে আরও অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে। পরিবেশ-প্রকৃতির দূষণ কেবল মানুষ নয়, তাদেরও অস্তিত্বের জন্য হুমকি। আর দূষণ যেহেতু মানবসৃষ্ট তাই মানুষকেই পরিবেশের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে। এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।
রোহান আগারওয়ালের আগমনের বিষয়ে ঝালকাঠির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুরন্ত ফাউন্ডেশনের পরিচালক তাসিন অনিক বলেন, ‘গত ডিসেম্বর মাসে আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি যে, রোহান বাংলাদেশে আসবেন। পরিবেশ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছেন এই তরুণ। তার উদ্দেশ্য খুবই ভালো এবং সময়োপযোগী। তাই ঝালকাঠিতে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
বিডি ক্লিন ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাকিল হাওলাদার রনি বলেন, ‘রোহানের উদ্দেশ্য অসাধারণ। আমাদের দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এতে পরিবেশের দূষণ বাড়ছে। এই দূষণের বিরুদ্ধে কাজ করায় আমরা তাকে সাধুবাদ জানিয়েছি।’
নিউজবাংলাকে রোহান বলেন, ‘আমার এই যাত্রা শুরুর মূল উদ্দেশ্য হল প্লাস্টিক ও এর বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা এবং বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দেয়া। আমার লক্ষ্য পরবর্তী প্রজন্ম যেন দূষণমুক্ত একটি পৃথিবী পায়, বিশুদ্ধ পরিবেশ পায়। আমি এই যাত্রায় মোট ৯৪০ দিন ধরে আছি। বাংলাদেশে আজ (বুধবার) আমার ১৪০তম দিন। পরিবেশ সম্পর্কে আমার বার্তা দেয়ার জন্য অনেক স্কুল ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি।’
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে ‘সুলতান’স ডাইন’ নামের রেস্তোরাঁর কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসি ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর মাংস ব্যবহারের প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সুলতান’স ডাইনকে নিয়ে অভিযোগের তদন্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে এ কথা জানায় অধিদপ্তর, যেটি প্রকাশ হয় সোমবার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের আলোক জানানো যাচ্ছে যে, ৯ মার্চ ২০২৩ বিকাল আনুমানিক ৩.৪৫ থেকে ৪.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান ডাইন’স, গুলশান-২ শাখা সরেজমিনে তদন্ত করা হয় এবং অদ্য ১৩ মার্চ ২০২৩ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জিএম, এজিএম এবং উক্ত শাখার ম্যানেজার শুনানিতে উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। সরেজমিনে তদন্ত এবং অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনান্তে নিম্নরূপ তথ্য পাওয়া যায়।
‘অভিযুক্ত মা-বাবার দোয়া গোশত বিতান, কাপ্তান বাজার নামক ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির গোশত সংগ্রহ করে থাকেন। কাপ্তান বাজারে খাসি জবাই করার সময় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকেন। ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে মাংস অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে পৌঁছায়।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘৯ মার্চ ২০২৩ তারিখ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা জানান, কিন্তু ভেন্ডর ১২৫ কেজি সরবরাহের কথা জানান। সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে অভিযুক্ত জানান যে, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তারা ব্যবহার করেন এবং আকারে ছোট হওয়ায় এ সকল খাসির হাড় চিকন হয়।’
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘যে মোবাইল নম্বর (০১৭২৩৩০৯৯০২) থেকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল, তা বন্ধ পাওয়া যায়। খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহার নিঃসন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া যেতে পারে।’
আলোচনার শুরু যেখান থেকে
গত ৮ মার্চ, বুধবার বিকেলের পর থেকেই সুলতান’স ডাইনের খাবার নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করতে থাকেন অনেকে। কনক রহমান খান নামের একজনের বরাতে একটি পেজে দেয়া হয় এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
ওই পোস্টে প্লেট ও প্যাকেটে বিরিয়ানি রাখা দুটি ছবি দিয়ে লেখা হয়, ‘বৃহস্পতিবার সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি আনা হয়েছিল ৭টা। খাবার সময় মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হলো যে, এটা তো মাটন না অবশ্যই। মাটনের হাড় এমন চিকন হয় না। তখন সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২-এর নম্বরে কল দেই; জিগ্যেস করি এটা কী মাংস ছিল?
‘উনারা দুজনসহ আবার খাবার পাঠায়। সাথে উনাদের এজিএম আশরাফসহ আসে। নতুন খাবারের সাথে আগের প্যাকের খাবারের হাড়ের সাথে এবাবের মাংসের তুলনা করতে বলি। এজিএম আশরাফ মানতেই নারাজ, জেনেশুনে এমন মাংস দেয় না। তারা বলে, তাদেরকে যে ভেন্ডর মাংস দেয়, তারা আসলে কোনো কিছু করতে পারে।’
ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘৯৯৯-এ কল দেই। ৯৯৯ বলে বিএসটিআইয়ের নম্বরে অভিযোগ করতে। ৯৯৯ থেকে গুলশানের ডিএমডি পুলিশের নম্বর দেয়া হয়, অভিযোগ জানাতে। এটাও করি। কাল এক সাংবাদিক ফোন করে আমায় থ্রেট করে। আসলে দেশে কি টাকা দিয়ে কুকুর বিড়াল খাওয়ালেই তারাই জিতে? মানবাধিকার কোথায়, খাদ্য নিরাপত্তা কোথায়?’
এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর নিরব হোটেলে গরুর মাংসের নামে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যক্তি। ফেসবুকে তার পোস্ট ভাইরাল হলে তখন ৪৮ বছরের নাজিম উদ্দিন রোডের ঐতিহ্যবাহী হোটেলটির খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে নিরব হোটেলের পক্ষে চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয় তখন।
সাভারের আশুলিয়ায় ২০২২ সালের মে মাসে কুকুরের মাংস দিয়ে বিরিয়ানি বিক্রির অভিযোগ ওঠে ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ’ নামের এক খাবারের দোকানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দোকানটির একজনকে আটকও করে পুলিশ।
পরে অবশ্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট দেন, ওই দোকানের বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংস ছিল না।
নিউজবাংলাকে কী বলেছিল সুলতান’স ডাইন
কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংসের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয় বলে নিউজবাংলার কাছে দাবি করেছিল রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ক্রেতার অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর ৮ মার্চ রাতে নিউজবাংলার কাছে এমন দাবি করেন রেস্তোরাঁটির গুলশান-২ শাখার মার্কেটিং কমিউনিকেশন অফিসার ববি রানি দাস।
তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটা অনেক বড় ব্র্যান্ড। এক ক্রেতা বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানির যে অভিযোগ করেছেন, তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
ববি রানি বলেন, ‘ওই ক্রেতা ফোনে অর্ডার দিয়ে চার-পাঁচ দিন আগে দুপুরে খাবার নিয়ে গেছেন। তারপর অভিযোগ করেছেন। আমাদের ম্যানেজার আশরাফ স্যার সেখানে অভিযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘যে অভিযাগ উঠেছে, তা করা হয়েছে আমাদের দুর্নামের জন্য। অভিযোগ পেয়ে যাওয়ার পর আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে এই অভিযোগের কোনো মানে হয় না।’
যে ক্রেতার পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে তাকে নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি ববি রানি।
তিনি বলেন, ‘‘ওই ক্রেতার পরিচয় আমরা জানি না। উনি খাবার নেয়ার ঘণ্টা দুয়েক পর আমাদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘এগুলো কিসের মাংস দিয়েছেন, বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানি।’ আমরা বলেছি, এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য