শকুনকে বলা হয় প্রকৃতির ঝাড়ুদার। আবর্জনা ও মৃত প্রাণিদেহ খেয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখে শকুন। তবে বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে শকুন বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এগুলো সাধারণত ভারতের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে। সেখানে খাদ্যের অভাব দেখা দিলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় চলে আসে ওরা।
বাংলাদেশে এসে অসুস্থ হয়ে পড়া শকুনগুলোর চিকিৎসার জন্য দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া জাতীয় উদ্যান বা শাল বনে গড়ে তোলা হয়েছে ‘শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র’।
দেশের একমাত্র এই শকুন পরিচর্যা কেন্দ্র থেকে বুধবার দুটি শকুন চিকিৎসা শেষে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে।
গত এক বছরে বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ১০টি শকুন উদ্ধার করে এই কেন্দ্রে আনা হয়। চিকিৎসা শেষে দুটিকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
বুধবার শকুন অবমুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ, দিনাজপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বসির-আল মামুন, শকুন চিকিৎসা ও পরিচর্যা কেন্দ্রের মুখ্য গবেষক সারওয়ার আলম দিপু এবং গ্লোবাল থ্রেটনেন্ট স্পাইসেস অফিসার ক্রিস বাউডেন।
জানা গেছে, কিছু শকুন শীত মৌসুমে বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশে আসে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার কারণে কোনো কোনোটি অসুস্থ হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নামে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব শকুনের পরিণতি হয় মৃত্যু।
তবে আহত অবস্থায় যেগুলো উদ্ধার করা হয় সেগুলোকে নিয়ে আসা বীরগঞ্জের সিংড়া ফরেস্টে। সিংড়া ফরেস্টে শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপনের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সিংড়া ফরেস্ট থেকে প্রতি বছর উদ্ধারকৃত ২০ থেকে ২৫টি শকুন সুস্থ করার পর অবমুক্ত করা হয়।
বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘অন্যান্য বছর অবমুক্ত করার সময় শকুনের গায়ে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো হলেও চলতি বছর শকুনের গায়ে স্যাটেলাইট ট্র্যাকার লাগানো হয়েছে। এতে করে শকুন কোন কোন অঞ্চলে বিচরণ করছে এবং ওরা আবারও বাংলাদেশে ফেরত আসছে কি না তা আমরা জানতে পারব।’
শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রের মুখ্য গবেষক সারওয়ার আলম দিপু জানান, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ ও আইইউসিএন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে কেন্দ্রটি চালু করা হয়। এরপর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২৪৯টি শকুন সুস্থ করে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে।
চলতি বছরে প্রায় ৪০টি শকুন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চল থেকে এক বছরে ২৫টি শকুন উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ১৫টি শকুন অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:রঁদেভু৯৬৯৮ ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'আনন্দ পসরা' শীর্ষক একটি উদ্যোক্তা মেলা চলছে মহাখালীর রাওয়া হলে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ খান (ডেপুটি সেক্রেটারি, ইন্টারপ্রেনারশিপ ইকো সিস্টেম প্রোগরাম স্পেশালিস্ট, ইউএনডিপি বাংলাদেশ)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেছেন মোহসিনা ইয়াসমিন (গ্রেড-১, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথরিটি)। অনুষ্ঠানে আরেও অতিথি হিসেবে ছিলেন আফসানা বিন্দু (অভিনেত্রী ও ডিজাইনার), শাকুর আমিন (ডিজাইনার, আলমিরা), মো. আব্দুস সালাম সরদার (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, এসএমই ফাউন্ডেশন)।
রঁদেভু৯৬৯৮ ফাউন্ডেশন- একটি অলাভজনক অনলাইন প্লাটফর্ম, যেটি তৈরি হয়েছে 'এসএসসি ৯৬ ও এইচএইসসি ৯৮' ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে। এই ফেসবুক গ্রুপে বর্তমানে ২২ হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছে। রঁদেভু৯৬৯৮ ফাউন্ডেশন- শিক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলা, স্বাস্থ্য, শিশু ও নারী উন্নয়ন ইত্যাদি সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে। ফাউন্ডেশনে রয়েছে বিভিন্ন উইং। এর মধ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট, চিল্ড্রেন অ্যান্ড উইমেন উইং অন্যতম। উইমেন উইং প্লাটফর্মটি প্রতি বছর 'প্রজাপতির আড্ডা' নামে নারীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এখান থেকে বিভিন্ন সেক্টরের সফল নারীদের সম্মাননা দেয়া হয়।
এসব সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় ফাউন্ডেশনের ওমেন উইং থেকে এবার বড় পরিসরে উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় সংগঠন ও সংগঠনের বাইরে থেকে প্রায় ৩০ জনের মতো উদ্যোক্তা অংশ নেয়। গ্রুপের নতুন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বর্তমানের সফল উদ্যোক্তাদের সামাজিক যোগাযোগ তৈরি করা এবং ব্যবসায়িক অনুপ্রেরণার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
মেলা সাজানো হয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের তৈরি পোশাক, জুয়েলারি, হোম ডেকর, অরগানিক ফুড, মেহেদি আর্ট, কাথা স্টিচ, মসলিন, পেইন্টের পন্য, অরগানিক বিউটি পন্য, স্কেচ আর্ট ইত্যাদি দিয়ে। মেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
ছোটদের নোবেল প্রাইজখ্যাত ‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ান। এবার বিশ্বের লাখ লাখ শিশু ‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’ বিজয়ী নির্বাচনের জন্য বৈশ্বিক ভোটাভুটিতে অংশ নেবে।
সারা বিশ্বের শিশুদের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী ইতোমধ্যে নৌকাস্কুলের উদ্ভাবক রেজোয়ানসহ শিশুদের কল্যাণে নিবেদিত আরও দুই কীর্তিমান ব্যক্তিকে ‘শিশু অধিকার নায়ক’ নির্বাচন করেছে। তারা হলেন- কানাডার সিন্ডি ব্ল্যাকস্টক ও ভিয়েতনামের থিচ নু মিন তু।
এবার লাখ লাখ শিশুর বৈশ্বিক ভোটাভুটির মাধ্যমে এই তিনজনের একজনকে সেরা নির্বাচনের পালা, যার হাতে উঠবে ‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার (ডাব্লিউসিপি), ২০২৩’।
সুইডেনভিত্তিক এই পুরস্কারটিকে বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে ‘ছোটদের নোবেল প্রাইজ’ আখ্যা দেয়া হয়।
এ পর্যন্ত যারা এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন তারা গত প্রায় ১০০ বছর ধরে বিশ্বের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশের স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ান তাদেরই একজন। গত সিকি শতাব্দী ধরে তিনি বাংলাদেশে জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে ক্রমবর্ধমান বন্যা ও দারিদ্র্য সত্ত্বেও সব শিশু, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত কন্যাশিশুদের স্কুলে পড়ালেখা শেখার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন।
রেজোয়ান ও তার প্রতিষ্ঠান ‘সিধুলাই স্ব-নির্ভর সংস্থা’ শিশুদের জন্য ২৬টি ভাসমান স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেগুলো দেশ-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছে রেজোয়ানের নৌকা স্কুল নামে। বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত নৌকায় ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি রয়েছে ভাসমান লাইব্রেরি ও স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক। কিশোরী-তরুণীদের জন্য রয়েছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। রেজোয়ানের উদ্ভাবিত ভাসমান স্কুলের এই ধারণাটি বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে পৃথিবীর আরও কয়েকটি দেশে বাস্তবায়ন হয়েছে।
সিনডি গত ৩০ বছর ধরে আদিবাসী শিশুদের সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, ঘরে নিরাপদে বেড়ে ওঠা এবং নিজের ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব করার অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছেন।
আর বৌদ্ধ নান থিচ নু এতিম ও অসহায় পরিবারের শিশুদের রক্ষায় প্রায় ৪০ বছর ধরে সংগ্রাম করে চলেছেন।
২০০০ সাল থেকে এই পুরস্কারের মাধ্যমে বিশ্বের ৪ কোটি ৬০ লাখ শিশু জেনে আসছে ‘শিশু অধিকার নায়ক’রা কীভাবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। পরে এই শিশুরাই বৈশ্বিক ভোটাভুটিতে অংশ নিয়ে তিনজন শিশু অধিকার নায়কের মধ্য থেকে একজনকে বিশ্ব শিশু পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করে।
আগামী ৪ অক্টোবর সুইডেনের মেরিফ্রেডে গ্রিপশোলম প্রাসাদে এবারের ২০তম বিশ্ব শিশু পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মোহাম্মদ রেজোয়ানসহ তিনজন শিশু অধিকার নায়ককে সম্মাননা দেয়া হবে। অনুষ্ঠানের হোস্ট হিসেবে থাকবে ১২টি দেশের শিশুরা। পুরস্কার প্রদান করার কাজে সেখানে উপস্থিত থেকে শিশুদের সহযোগিতা করবেন সুইডেনের রানী সিলভিয়া।
এই পুরস্কারের অর্থমূল্য সুইডিশ মুদ্রায় ৫ লাখ ক্রোনা, যা প্রায় ৫০ লাখ টাকার বেশি। এই অর্থ তিনজন শিশু অধিকার নায়ককে ভাগ করে দেয়া হবে, যা তাদের কাজে সহায়তা করবে। এভাবে এই অর্থ সেই ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের লাখ লাখ অসহায় শিশুর জীবনমান উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে।
মর্যাদাশীল এই পুরস্কারের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে রয়েছেন মালালা ইউসুফজাই, প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলা ও ডেসমন্ড টুটু, রানী সিলভিয়াসহ সুইডেনের বেশ কয়েকজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী। তাছাড়া এই ‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’ প্রোগ্রামে ১২০টি দেশের ৭৬ হাজার স্কুল ও ৮৪৯টি সংগঠনের সহযোগিতা রয়েছে।
নয় লাখ টাকা কমে মিলবে হুন্দাইয়ের এসইউভি- ক্রেটা। যা গাড়ি প্রেমিদের জন্য সুখবরই বটে।
এসইউভির পূর্ণ অর্থ হচ্ছে- স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল। সহজ ভাষায়, উঁচু-নিচু রাস্তা দিয়ে সহজে যেতে পারবে গাড়িটি।
হুন্দাই এসইউভি ক্রেটার হচ্ছে ১৫০০ সিসির গাড়ি, যেটিতে চালকসহ পাঁচজন বসতে পারবেন।
এর আগে আমদানি করা এ গাড়িটির দাম ছিল ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কিন্তু দেশে উৎপাদন হওয়ায় এটি এখন ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনা যাবে।
বাংলাদেশে হুন্দাইয়ের পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ফেয়ার টেকনোলজি লিমিটেডের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ফেয়ার টেকনোলজি পরিচালক মুতাসসিম দায়ান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এতদিন ফেয়ার গ্রুপ ইন্দোনেশিয়া থেকে এনে ‘হুন্দাই ক্রেটা’ বিক্রি করত, যা কিনতে গুণতে হতো প্রায় ৪৩ লাখ টাকা। এখন বাংলাদেশে সংযোজিত একই মডেলের গাড়ি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনা যাবে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে স্থাপিত কারখানায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে হুন্দাই গাড়ি উৎপাদন শুরু করছে ফেয়ার গ্রুপ।
ফেয়ার গ্রুপের হেড অফ মার্কেটিং জে এম তসলীম কবির বলেন,‘ আমাদের সব আউটলেটে আজ থেকেই এই গাড়ি পাওয়া যাবে। রেডি স্টক আছে। আমরা ১৯ জানুয়ারি কারখানা উদ্বোধন করলাম। তারপর থেকে প্রতিদিন ৮টি করে গাড়ি তৈরি হচ্ছে। এখন ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিলে আমরা গাড়ি দিয়ে দিতে পারব,তবে রেজিস্ট্রেশন খরচ আলাদা।’
দেশের বাজারে অন্যান্য গাড়ির তুলনায় হুন্দাইর এসইউভির দামের পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফেয়ার গ্রুপের হেড অফ মার্কেটিং বলেন,‘আমি কালকে খোঁজ নিলাম রিকন্ডিশন শোরুমে টয়োটা এস প্রিমিও গাড়ির দাম চাচ্ছে ৩২ লাখ টাকা। এটা কিন্তু পুরানো গাড়ি। টয়োটা ইয়ারিস বিক্রি হচ্ছে ৪২ লাখ টাকায়। আর চাইনিজ ব্র্যান্ডগুলো আমাদের প্রতিযোগী না।’
তিনি আরও বলেন,‘ ভারতে গাড়িটি এখনো মুক্তি পায়নি। এর আগেই বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে।’
ফেয়ার টেকনোলজির হেড অফ বিজনেস অরিন্দম চক্রবর্তী, হেড অফ কমিউনিকেশন অ্যান্ড কর্পোরেট ফিলানথ্রপি হাসনাইন খুরশিদ, এবং ফেয়ার টেকনোলজির হেড অফ সেলস আবু নাসের মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য নিয়ে দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরে মেলার আয়োজন করেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রথম এসএমই মেলা শুরু হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই মেলা চলবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়রের কার্যালয়ের গ্রিন প্লাজা চত্বরে সকালে মেলার উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল বাতেন, বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল ও রাজশাহী চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসন মো. মাসুদুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান।
রাজশাহী বিভাগের এসএমই মেলায় ৬০টি স্টলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি হবে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এরপর ১ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে, ৫-১১ ফেব্রুয়ারি সিলেটে ও ১২-১৮ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরে (রংপুর বিভাগের) বিভাগীয় এমএমই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া আগামী মার্চে ময়মনসিংহ ও খুলনায় বিভাগীয় এসএমই পণ্য মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রয় ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে এসব মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে একদিকে উদ্যোক্তারা নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও যোগাযোগ বাড়াতে পারবেন; অন্যদিকে উদ্যোক্তা ও ভোক্তাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হবে।
আরও পড়ুন:প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নানা আয়োজনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জিতিয়ে আনতে কাজ করতে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, এটি তাদের কর্তব্য, দেশপ্রেমের অংশ।
বুধবার নানা আয়োজনে ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে সরকারের ভার্তৃপ্রতীম সংগঠনটি। এদিন আয়োজনের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শীতার্তদের মাঝে দুই হাজারেরও বেশি কম্বলও বিতরণ করা হয়।
সকাল ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় দিনটি। এরপর সকাল ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবাষির্কী পালন করেন ছাত্রলীগ।
বিকেল ৩ টায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে হয় আলোচনা সভা।
সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ মনে করে বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে পুনর্নির্বাচিত করা হচ্ছে দেশপ্রেমের অংশ, আমাদের নৈতিক কর্তব্য।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্র সমাজের প্রতি আমাদের আহ্বান, আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা লাখো শহীদের উত্তরাধিকার। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা বাস্তবায়ন করব।
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। আজকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। ইতোমধ্যে ৫ কোটি শিক্ষার্থী স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা স্মার্ট ক্যাম্পাস ও স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলছি। শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও সংকটে আমরা পাশে থাকব।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগকে তাদের কর্মের জন্য ভালোবাসি। যখন কৃষকের ধান কাটার লোক থাকে না তখন ছাত্রলীগ তাদের ধান কেটে দেয়, দুর্যোগ দুর্বিপাকে ছাত্রলীগ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। করোনার সময় মানুষের মাঝে অক্সিজেন নিয়ে সেবা দিয়েছে।’
দেশব্যাপী দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ছাত্রলীগকে আরও ৫ হাজার কম্বল অনুদান দেয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
সভায় কম্বল বিতরণের প্রশংসা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আগামী দিনেও ছাত্রলীগকে সকল দুর্যোগ দুর্বিপাকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ একটা সময় অলীক কল্পনা হলেও এখন তা বাস্তব। আর এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান জানান, তারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপীই শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন।
আরও পড়ুন:‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল-ইউরোপীয় ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ)’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইইউ ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। বাংলাদেশের অতিদরিদ্র দুই লক্ষাধিক খানার টেকসই উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি ও ইইউ ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের হেড অফ কো-অপারেশন মাউরিজিও সিয়ান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুদান চুক্তির আওতায় পিকেএসএফ-কে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২২ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেবে ইইউ।
প্রকল্পটির আওতায় দেশের অতি দারিদ্র্যপ্রবণ ১২টি জেলার ১৪৫টি ইউনিয়নে ২ লাখ ১৫ হাজার অতিদরিদ্র খানাভুক্ত ৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে সহায়তা দেয়া হবে। প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, লক্ষিত জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অতিদারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সমৃদ্ধির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নিশ্চিতকরণ।
উত্তর-পশ্চিমের নদী-তীরবর্তী বন্যাপ্রবণ অঞ্চল (রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলা); দক্ষিণ-পশ্চিমের ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্ততাপ্রবণ অঞ্চল (খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলা); উত্তর-পূর্বের হাওরাঞ্চল (কিশোরগঞ্জ জেলা) এবং উত্তরাঞ্চলের কিছু নির্বাচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় অতিদরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রকল্পটি কাজ করবে।
প্রকল্পটির আওতায় রয়েছে জীবিকায়ন ও উদ্যোগ উন্নয়ন; পুষ্টি ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা; কমিউনিটি মোবিলাইজেশনের মাধ্যমে সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ; প্রতিবন্ধিতা একীভূতকরণ; জলবায়ু সহনশীলতা সৃষ্টি এবং নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করবে। প্রকল্পের লক্ষিত খানার মধ্যে রয়েছে নারী-প্রধান খানা; বিধবা ও স্বামী-পরিত্যক্তা, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত খানা এবং শিশুশ্রমে নিয়োজিত খানা।
যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস ও ইইউর যৌথ অর্থায়নে ২০১৯ সালে পিপিইপিপি প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। তবে প্রকল্পের চার বছরের মাথায় এফসিডিও প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে আসার পর প্রকল্পের অপর উন্নয়ন সহযোগী ইইউ বর্ধিত তহবিলের যোগান দিয়ে পিপিইপিপি-ইইউ শীর্ষক প্রকল্পটি আরো তিন বছর অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং পিকেএসএফ-এর সঙ্গে পৃথক দু’টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য