পদব্রজে ভারতের ২৭টি রাজ্য ভ্রমণ শেষে ১৬ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা রোহান আগারওয়াল এখন ঝালকাঠিতে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৪৯টি জেলাও তিনি হেঁটে ভ্রমণ করেছেন।
ভারতের ২১ বছর বয়সী এই তরুণ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠিতে পৌঁছেন। প্লাস্টিকের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে নিরন্তর হেঁটে চলেছেন তিনি।
২০২০ সালের ২৪ আগস্ট ভারতের উত্তরপ্রদেশে বারাণসীর গঙ্গার তীর থেকে হাঁটা শুরু করেছিলেন রোহান। প্লাস্টিকের ব্যবহার বেশি এমন ১৫ দেশ হেঁটে ভ্রমণের পরিকল্পনা তার। সব শেষে তিনি যাবেন সাইবেরিয়ায়।
রোহান এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৪৯টি জেলায় গেছেন। যেখানেই যাচ্ছেন সেখানকার স্কুল-কলেজে গিয়ে হাজির হচ্ছেন। শিক্ষার্থী ছাড়াও প্লাস্টিকের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে।
রোহানের বক্তব্য- এই পৃথিবী শুধু মানুষের বসবাসের জন্য নয়। পৃথিবীতে আরও অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে। পরিবেশ-প্রকৃতির দূষণ কেবল মানুষ নয়, তাদেরও অস্তিত্বের জন্য হুমকি। আর দূষণ যেহেতু মানবসৃষ্ট তাই মানুষকেই পরিবেশের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে। এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।
রোহান আগারওয়ালের আগমনের বিষয়ে ঝালকাঠির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুরন্ত ফাউন্ডেশনের পরিচালক তাসিন অনিক বলেন, ‘গত ডিসেম্বর মাসে আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি যে, রোহান বাংলাদেশে আসবেন। পরিবেশ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছেন এই তরুণ। তার উদ্দেশ্য খুবই ভালো এবং সময়োপযোগী। তাই ঝালকাঠিতে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
বিডি ক্লিন ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাকিল হাওলাদার রনি বলেন, ‘রোহানের উদ্দেশ্য অসাধারণ। আমাদের দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এতে পরিবেশের দূষণ বাড়ছে। এই দূষণের বিরুদ্ধে কাজ করায় আমরা তাকে সাধুবাদ জানিয়েছি।’
নিউজবাংলাকে রোহান বলেন, ‘আমার এই যাত্রা শুরুর মূল উদ্দেশ্য হল প্লাস্টিক ও এর বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা এবং বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দেয়া। আমার লক্ষ্য পরবর্তী প্রজন্ম যেন দূষণমুক্ত একটি পৃথিবী পায়, বিশুদ্ধ পরিবেশ পায়। আমি এই যাত্রায় মোট ৯৪০ দিন ধরে আছি। বাংলাদেশে আজ (বুধবার) আমার ১৪০তম দিন। পরিবেশ সম্পর্কে আমার বার্তা দেয়ার জন্য অনেক স্কুল ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি।’
দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন ওট মিল্কের মজাদার স্মুদি। শেফ কুনাল মুথারের ওট মিল্ক স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ১ গ্লাস চিনি ছাড়া ওট মিল্ক
২. ১ টেবিল চামচ চিনাবাদামের মাখন
৩. ১টি কলা
৪. সামান্য বরফ
প্রস্তুত প্রণালি
ওট মিল্ক, কলা, চিনাবাদামের মাখন এবং বরফ একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন আপেল চিয়া সিডের মজাদার স্মুদি। শেফ বৈশালী লুথরা জলির আপেল চিয়া সিডের মজাদার স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ১টি আপেল
২. ১ কাপ দই
৩. ১ চা চামচ পিনাট বাটার (অপশনাল)
৪. ১ চা চামচ চিয়া সিড
প্রস্তুত প্রণালি
কেটে রাখা আপেলের টুকরা, দই, পিনাট বাটার ও চিয়া সিড একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর গ্লাসে ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:বৃষ্টিতে খিচুড়ি পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুব কমই আছেন। তবে রোজায় এ খিচুড়ি হতে পারে খানিকটা ভিন্ন। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার হতে পারে নিরামিষ সবজি খিচুড়ি।
কীভাবে পরিবারের সবার সঙ্গে বৃষ্টির এ মৌসুমে নিরামিষ সবজি খিচুড়ি উপভোগ করবেন তা জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজমা আক্তার।
উপকরণ
পোলাও চালের সঙ্গে দুই কাপ মুগ ডাল, এক কাপ আলু কিউব, হাফ কাপ গাজর কিউব, হাফ কাপ ফুলকপি কিউব, হাফ কাপ হলুদ গুড়া, এক চা চামচ লবণ। এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক চা চামচ আস্ত জিরা, এক চা চামচ দারচিনি, দুটি এলাচ, ৪টি লবঙ্গ, ৩/৪টা গোটা শুকনো মরিচ, ৩টি তেজপাতা, তেল পরিমাণ মতো, হাফ কাপ ঘি, ৩ টেবিল চামচ ভাজা জিরা গুড়া, এক চা চামচ কাঁচা মরিচ, সামান্য চিনি, গরম পানি।
প্রস্তুত প্রণালি
হাঁড়িতে তেল ও দুই টেবিল চামচ ঘি গরম করে তাতে গোটা গরম মসলা, গোটা জিরে, শুকনো মরিচ, তেজপাতা ফোরন দিয়ে কেটে রাখা সবজি দিয়ে নেড়ে আদা বাটা, হলুদ গুড়া, লবণ, সামান্য চিনি দিয়ে নেড়ে একটু ভেজে আগে থেকে ধুয়ে রাখা পানি ঝড়ানো চাল-ডাল দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে হালকা পানি থাকতে বাকি ঘি ছড়িয়ে তারপর ভাজা জিরা গুড়া, আস্ত কাঁচা মরিচ কয়েকটা দিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখতে হবে। তাহলেই হয়ে যাবে দারুণ মজার নিরামিষ সবজি খিচুড়ি। কেউ চাইলে মটরশুঁটি দিতে পারেন।’
আরও পড়ুন:ইফতার সামগ্রী তৈরিতে পোড়া তেল, বিষাক্ত নন-ফুড গ্রেড কালার ও কেমিক্যাল ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আসন্ন রমজানে খাবারে হাইড্রোজসহ কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার, পরিবেশনের ক্ষেত্রে নন-ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার, রান্নার জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ডাস্টবিন ও খাবার তৈরির উপাদান/রান্না করা খাবার পাশাপাশি রাখা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও চকবাজার ইফতার সামগ্রী বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক এই সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এই আহ্বান জানান।
সভায় খাবার খোলা অবস্থায় বিক্রির জন্য সংরক্ষণ, বিক্রয়কারী ও পরিবেশনকারীদের হ্যান্ড গ্লাভস ও ক্যাপ না থাকা, খাবার পরিবেশনের কাজে খবরের কাগজ ব্যবহার, খাবার তৈরিতে নন-ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার, পোড়া তেল ব্যবহার, বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তার বক্তব্যে নানামুখী অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ না করার আহ্বান জানান। তিনি অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধান করার আহ্বান জানান।
চকবাজারে ফুটপাতে ও ইফতারসামগ্রী বিক্রির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে চকবাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা বলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
বক্তব্য দেন পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বিভিন্ন হোটেল-রেঁস্তোরা সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, চকবাজারের বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী বিক্রেতাসহ অন্য ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির মহাসচিব আলোচনায় বিভিন্ন রেস্তোঁরার মালিক ও কর্মচারীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া ও সচেতন করার কথা বলেন।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত সোমবার বিশেষ ইফতার বুফে ডিনারের আয়োজন করে প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেক্।
জাঁকজমকপূর্ণ এ আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন দেশের নামী সাংবাদিক, ফুড ব্লগার ও কয়েকজন বিশেষ অতিথি।
রমজান উপলক্ষে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ড ও প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সে পাওয়া যাবে দক্ষ শেফদের তৈরি মধ্যপ্রাচ্যের মুখরোচক আইটেম (যেমন: হায়দরাবাদি মাটন হালিম, চিকেন নেহারি, দাজাজ আল ফাহাম, কাবসা)। সেই সঙ্গে মিলবে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ইফতার আইটেমও। আরও পাচ্ছেন মহলাবিয়া, উম্মে আলী, পেস্ট্রি, আনলিমিটেড আইসক্রিম, সফট ড্রিংকস ও জুস।
প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে এই ইফতার ও ডিনার বুফেটি পেয়ে যাবেন B1G2 অফারে ৩৬৫০ টাকায় (৩১ মার্চ পর্যন্ত)। B1G1 অফারে সেটি ৩ হাজার ৩০০ টাকা।
প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের ক্ষেত্রে B1G2 অফার ২ হাজার ৯৯৯ টাকা (৩১ মার্চ পর্যন্ত) এবং B1G1 অফারে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সেই সঙ্গে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে প্রতিদিন থাকছে দেশীয় এবং কন্টিনেন্টাল আইটেমের সেহরি বুফের আয়োজন, যার জনপ্রতি মূল্য ১ হাজার ৯৯৬ টাকা।
সেই সঙ্গে যারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা অফিসের কলিগদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করতে চাইছেন, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের জিজি এবং প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের টেরা বিস্ত্রতে থাকছে ইফতারের বিশেষ ব্যবস্থা। আরও পাওয়া যাবে টেকওয়ে ইফতার বক্স যেখানে পেয়ে জাচ্ছেন হায়দরাবাদি মাটন হালিম, জাফরানি রেশমি জিলাপি, চিকেন ও ফিশ কাবসা এবং দই বড়া। এ ছাড়া প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ দেশের যেকোনো প্রান্তে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার জনের ক্যাটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে।
শুধু তাই নয়, যারা একটু নিরিবিলি পরিবেশে পুল সাইডে বসে ইফতার করতে চান, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের ট্রাইব রুফটপ লাউঞ্জে থাকছে দুটি ফুল কোর্স সেট মেনু।
এই মেন্যুতে থাকছে চিকেন টেন্ডার, মোজারেলা স্টিকস, চিকেন ক্যাশিউনাট সালাদ, পিৎজা, ব্রেডেড প্রন, গ্রিলড চিকেনের সঙ্গে স্প্যাগেটি অ্যালিও ওলিওর মতো সিগনেচার ডিশ। এসব সেট মেন্যু ২০০০ ও ১৬০০ টাকায় B1G1 অফারে পেয়ে যাবেন।
ঢাকার নানান অফিস, রেস্টুরেন্ট ও দোকান থাকা বনানী ১১ নম্বরে প্লাটিনাম গ্র্যান্ডের অবস্থান। এর দূরত্ব হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫ মিনিটের। বিমানবন্দর থেকে উত্তরায় অবস্থিত প্লাটিনাম রেসিডেন্সের দূরত্ব চার কিলোমিটার। দুটি হোটেলের মার্জিত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ যেকোনো বিশ্বমানের হোটেলের সঙ্গে তুলনাযোগ্য, যা ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ জায়গা।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে 01922110976, 01922110975 নম্বর দুটিতে।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন তরমুজের মজাদার স্মুদি। শেফ মরিয়ম নাইসের তরমুজের স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. তরমুজের টুকরা-১৫০ গ্রাম (খোসা ছাড়ানো)
২. কলা-১টি
৩. কোল্ড আপেল জুস- ১০০ মিলিলিটার
প্রস্তুত প্রণালি
কেটে রাখা তরমুজের টুকরা, কলা ও কোল্ড আপেল জুস একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে স্মুদি ঢেলে মনমতো সাজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:রোজাসহ বিভিন্ন উপলক্ষে আমরা জিলাপি খেয়ে থাকি। কেউ কেউ নিয়মিতই খাবারটি খান।
এ জিলাপি দোকান থেকে কিনতে গেলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে সেটি বানানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তবে বাসায় খাবারটি বানানো গেলে এমন শঙ্কা আর থাকে না।
ঘরে বসে কীভাবে জিলাপি বানানো যায়, তা জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজমা আক্তার।
উপকরণ
ডো তৈরির জন্য এক কাপ ময়দা, তিন থেকে চার কাপ পানি, এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ টক দই, এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ বেকিং সোডা।
সিরা তৈরির জন্য দুই কাপ চিনি, এক কাপ পানি, এক টেবিল চামচ ঘি, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও সামান্য অরেঞ্জ ফুড কালার। এর সঙ্গে ভাজার জন্য লাগবে দেড় কাপ তেল।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে পানির সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে ভালো করে ফেটে নিতে হবে। এরপর টক দই দিয়ে খুব ভালো করে পাঁচ মিনিট ফেটে নিতে হবে। তারপর এক ঘণ্টা এভাবে রেখে দিতে হবে।
পরে সিরা করে নিতে হবে। পাত্রে পানি, চিনি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে তার মধ্যে ঘি, লেবুর রস, সামান্য ফুড কালার দিয়ে সিরা করে ঠান্ডা করতে হবে।
এক ঘণ্টা পরে মেখে রাখা ডোর মধ্যে বেকিং সোডা মিশিয়ে আবার দুই মিনিট ফেটে নিতে হবে। পরে কড়াইয়ে তেল গরম করে হালকা আঁচে মুচমুচে করে জিলাপি ভাজতে হবে। চিনির সিরায় এক মিনিটের মতো রেখে তা উঠিয়ে নিতে হবে।
জিলাপি ভাজার জন্য সসের বোতল, ছোট পানির বোতল বা পাইপিং ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য