ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ সৈয়দ আব্দুল হান্নান স্মৃতি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার ধানমণ্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেরপুর জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অধ্যক্ষ সৈয়দ আব্দুল হান্নানের স্মৃতি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার পঞ্চাশের অধিক লেখকের স্মৃতি চারণমূলক লেখা নিয়ে গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক। সভাপতিত্ব করেন দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক এবং সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান।
অনুষ্ঠানে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং মরহুমের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিউনিটির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আবারও ‘আইএসডি ফেয়ার’ আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)। শুক্রবার স্কুল প্রাঙ্গণে এই ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেলায় বিনোদনমূলক খেলার আয়োজন, লাইভ মিউজিক, সার্কাস ও পাপেট-শো ছাড়াও ছিল উপভোগ্য নানা পরিবেশনা। এছাড়াও এতে ছিল দেশীয় কারুশিল্প, পোশাকের ব্র্যান্ড, বই ও কনফেকশনারির প্রায় ৬০টি স্টল।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল জনপ্রিয় ব্যান্ড ইনডালো’র ভোকালিস্ট ও গিটারিস্ট জন কবিরের লাইভ পারফরমেন্স। মেলায় আগত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কমিউনিটি সদস্যরা নাগরদোলা, পাপেট-শো, ম্যাজিক-শো, আর্কেড ও ভিআর গেমসসহ বিভিন্ন শো ও খেলা উপভোগ করেন।
দিনব্যাপী এ আয়োজনের কো-স্পন্সর ছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ও স্টেপ মিডিয়া লিমিটেড। এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার হিসেবে ছিল ওয়ান্ডারল্যান্ড ও টগি ফান ওয়ার্ল্ড এবং আইসক্রিম পার্টনার ছিল সেভয় আইসক্রিম।
এশিয়া মার্কেটিং ডে-২০২৩ এবং আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলারের ৯২তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে শনিবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৭টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এশিয়ান মার্কেটিং ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশে এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে মার্কেটিং সোসাইটি অফ বাংলাদেশ।
মহতী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ছিল কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)।
বাংলাদেশের তরুণদের আরও ক্ষমতায়িত করা এবং স্মার্ট নাগরিকের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল উপজীব্য ছিল ‘স্মার্ট জাতি ও স্মার্ট নাগরিক সৃষ্টিতে মার্কেটিংয়ের ভূমিকা’।
সেমিনারের লাইভ প্যানেলে প্রধান বক্তা হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলার। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে মার্কেটিং দুনিয়ার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
সিইউবি অংশে অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক প্রফেসর মুহাম্মদ রিদওয়ানুল হক।
লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে সিইউবি’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অফ বিজনেসের ডিন ড. জহুরুল আলম ও স্কুল অফ বিজনেসের প্রধান এস এম আরিফুজ্জামান।
সেমিনারে লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অফ মার্কেটিংয়ের অনারারি সেক্রেটারি হাসলিনা বিন্তি আযলান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-এর মহাপরিচালক ও চিফ ইনোভেশন অফিসার ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন।
আরও পড়ুন:‘বিইউপি ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশন কনফারেন্স-২০২৩’ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ৪০টি দেশি ও বিদেশি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৭৪ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
এই সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর ফ্যাকাল্টি অফ সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ। বিইউপির বিজয় অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন পরিচালনায় ছিল বিইউপি অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিইউপি’র উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এবারের কনফারেন্সের উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বব্যাপী নাগরিকদের জন্য এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা যার মাধ্যমে তারা আত্মবিশ্বাস, সহানুভূতি এবং কূটনীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে পারবে।
কনফারেন্সটি ১১ মে শুরু হয়ে শেষ হয় ১৩ মে। কনফারেন্সের মূল প্রতিপাদ্য ছিল- ‘Encouraging safe and ethical technological usages through global cooperation to reduce violence, civil and geopolitical conflicts.’
সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে ৯টি স্টিয়ারিং কমিটিতে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় ও তার প্রাসঙ্গিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিইউপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বিইউপি’র শিক্ষক, কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে নানা অনুষ্ঠানে লাখো মানুষের সমাগম হবে। নববর্ষের দিনে যানবাহন চলাচল নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক রমনা বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিএমপি ট্রাফিকের পক্ষ থেকে এ লক্ষ্যে বেশকিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী রাজধানীর বেশকিছু সড়কে যানবাহন চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিকল্প সড়ক ও রোড ব্লকের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
যেসব রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- বাংলামোটর-হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর; হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল–কাকরাইল-মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা; মৎস্য ভবন-শাহবাগ-কাঁটাবন; কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-টিএসসি এবং নীলক্ষেত-টিএসসি।
ডাইভারশন ও রোড ব্লক
বাংলামোটর ক্রসিং, পরীবাগ ক্রসিং, নৌবাহিনী ভর্তি তথ্য কেন্দ্র, শাহবাগ ক্রসিং, মগবাজার ক্রসিং, মিণ্টো রোড ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, দুদক গলি, শিল্পকলা একাডেমি গলি, কার্পেট গলি, মৎস্য ভবন ক্রসিং, সেগুনবাগিচা, কদম ফোয়ারা ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, শিববাড়ি ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল ক্রসিং, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং, কাঁটাবন ক্রসিং, আজিজ সুপার মার্কেট গলি, বিসিএস প্রশাসন গ্যাপ, সাকুরা গলি, সবজি বাগান ক্রসিং, পুলিশ ভবন ক্রসিং, সুগন্ধা ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল ক্রসিং ও শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে পার্কিংয়ের স্থান
নৌ-বাহিনী ভর্তি তথ্য কেন্দ্র থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত; জিরো পয়েন্ট থেকে ইউবিএল আব্দুল গণি রোড; মৎস্য ভবন থেকে সেগুনবাগিচা (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি); শিল্পকলা একাডেমি গলি (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি); সুগন্ধা থেকে অফিসার্স ক্লাব (ভিআইপি গাড়ি ও মিডিয়ার গাড়ি); কাঁটাবন থেকে নীলক্ষেত হয়ে পলাশী এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহীদুল্লাহ হল পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশ-বিদেশে বসবাসরত সব বাংলা ভাষাভাষীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলা নববর্ষবরণকে বাঙালির সার্বজনীন উৎসব হিসেবে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘পৃথিবীর সব ভাষাভিত্তিক জাতির নিজস্ব সর্বজনীন উৎসব-পার্বণ রয়েছে। চীনাদের ‘চীনা নববর্ষ’, ইরান থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত ‘নওরোজ’, ইংরেজি ভাষাভাষীদের ‘ইংরেজি নববর্ষ’; তেমনই পয়লা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব।’
সরকারি কাজে ইউরোপ সফররত ড. হাছান শুভেচ্ছা বার্তায় আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাভাইরাস মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধে পীড়িত বিশ্বেও বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধির সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ থাকাই হোক আমাদের নতুন বাংলা বছরের অঙ্গীকার।’
হজ নিবন্ধনের জন্য ছয় দফা সময় বাড়ালেও কোটা পূরণ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বছর হজের খরচ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। যদিও হজের কয়েকমাস আগে সবার সঙ্গে আলোচনা করে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও সৌদি আরবের হারাম শরিফের নিকটবর্তী বিভিন্ন হোটেল ভেঙে ফেলায় এ বছর হোটেল ভাড়া নেয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে অধিক পরিমাণ অর্থে হোটেল ভাড়া করা হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন কারণে এ বছরের হজ প্যাকেজকে হ্রাসকৃত প্যাকেজ হিসেবে ধরা যায়। সেই বিবেচনায় বলা যায় যে, আগামী বছরগুলোতেও হজ প্যাকেজের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ ভেঙ্গে ফেলা বাড়ি ও হোটেল আবার গড়ে তুলতে আরও ২/৩ বছর লাগবে। এমতাবস্থায়, এ বছরের ঘোষিত হজ প্যাকেজই সর্বনিম্ন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। সেই বিবেচনায় হজযাত্রীদের এ বারের হজ প্যাকেজে নিবন্ধিত হওয়ার অনুরোধ করা হলো।
রোববার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯ হাজার ৯৩৯ জন এবং বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজে যেতে এক লাখ ৮ হাজার ৪১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।
এদিকে রোববার বিকেলে সেগুন বাগিচার একটি হোটেলে ‘হজ প্যাকেজ-২০২৩ ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, গতবারের তুলনায় এবার রিয়ালের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ায় হজ প্যাকেজে ৬০-৬৩ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে। তবে হজ ব্যবস্থাপনায় যাতে ত্রুটি না হয় সরকার সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ওই অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গত বছর সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়ালের দাম ছিল ২১ টাকা। এবার রিয়ালের দাম বেড়ে হয়েছে ২৯ টাকা। যা গতবারের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। এবার হজ প্যাকেজে ৬০-৬৩ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে শুধু রিয়ালের দাম বৃদ্ধির কারণে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একটা বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি যে হজ যাত্রীদের পরিবহনের ক্ষেত্রে ডেডিকেটেড ফ্লাইট রাখা হয়। ওই বিমানে অন্য কোনো যাত্রী নিতে পারে না। ফলে ভাড়া অনেক বেশি পড়ে যায়। তবে আগামী বছর হজের আগে বিমান ভাড়া কীভাবে কমানো যায় সেটা নিয়ে সরকার চিন্তা ভাবনা করছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, হজের কোটা পূরণ করতেই কৌশলগতভাবে আগামী বছর হজের খরচ কেমন হতে পারে সেই বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়েছে। হারাম শরীফের কাছে পুরনো বহু হোটেল ভেঙে ফেলায় এবার খরচ বেড়েছে। আগামীতে খরচ আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন:
চা শ্রমিকদের অবহেলিত জীবনে অন্যতম উৎসব রং পরব বা ফাগুয়া উৎসব। এই আয়োজনের আবেদন সীমানা ভেঙে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে কাছে টেনে নিয়েছে। সময় পরিক্রমায় এটি হয়ে উঠেছে এক মিলনমেলায়।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফুলছড়া চা বাগান মাঠে শনিবার নানা বয়সি হাজারও নারী-পুরুষ আবির নিয়ে মেতে ওঠে রঙের খেলায়। বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশের চা বাগানগুলোতে নানা জাতি-গোষ্ঠীর বাস। চা শ্রমিকদের যেমন আছে নিজেদের পৃথক ভাষা, তেমনই আছে পৃথক সংস্কৃতিও। ভাষা ও সংস্কৃতিতে একেকটি চা বাগান যেন একেকটি দেশ। তবে ফাল্গুনের ‘ফাগুয়া’ উৎসবে এসে সবাই এক হয়ে মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে।
উৎসবে কেবল রঙের হোলিই নয়, ছিল ভিন্ন সংস্কৃতির অন্তত ৩০টি পরিবেশনা। পত্রসওরা, নৃত্যযোগী, চড়াইয়া নৃত্য, ঝুমর নৃত্য, লাঠিনৃত্য, হাঁড়িনৃত্য, পালা নৃত্য, ডং ও নাগরে, ভজনা, মঙ্গলা নৃত্য, হোলিগীত, নিরহা ও করমগীত একসঙ্গে উপভোগ করতে পেরে যেমন আনন্দে ভেসেছেন চা শ্রমিকরা তেমনই অভিভূত হয়েছেন উৎসবে আসা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও।
ফাগুয়া উৎসবটি ঘন্টা বাজিয়ে উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রীমঙ্গল্ উপজলা চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব।
গেস্ট অফ অনার হিসেবে বক্তব্য দেন ভারতীয় সহকারী কমিশনার নীরাজ কুমার জায়সওয়াল। দেউন্ডি চা বাগান থেকে আসা প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনিল বিশ্বাস বলেন, ‘শত দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটনের মাঝেও উৎসবের কয়েকটি দিন চা শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে কাটানোর চেষ্টা করেন। আনন্দ ভাগাভাগি করেন প্রতিবেশীদের সঙ্গে। দূর-দূরান্তের চা বাগান থেকে মেয়েরা বাবার বাড়িতে নাইওর আসে জামাইসহ।
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব কালিগাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা বলেন, ‘তৃতীয় বারের মতো এই আয়োজন হলেও আয়োজনটি জাতির জনককে উৎসর্গ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে চা শ্রমিকদের এটি একটি বিশেষ আয়োজন। আশা করি পরবর্তী বছর আরও বড় পরিসরে ফাগুয়া উৎসব করা হবে।’
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘চা বাগানের কৃষ্টি-সংস্কৃতি যেন কোনোভাবে বিলুপ্ত না হয় সেজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ফাগুয়া উৎসব যেন বন্ধ না হয় সেজন্য আমরা কিছু সহযোগিতাও করেছি। এই সুন্দর সংস্কৃতি রক্ষার দায়িত্ব সবার। এটি যেন প্রতি বছর করা যায় সেজন্য আমরা কিছু পরিকল্পনা নিচ্ছি।’
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন চা শ্রমিক সন্তান প্রকাশ ভর ও পিংকি বর্মা।
মন্তব্য