আগামী ২৪ মার্চ প্রথম রোজা ধরে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।
ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রোজার প্রথম দিন নির্ধারণ হবে।
২৪ মার্চ, শুক্রবার ১৪৪৪ হিজরির প্রথম রমজান হলে ঢাকায় সেহরির শেষ সময় হবে ৪টা ৩৯ মিনিটে। ওই দিন ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ৪টা ৪৫ মিনিটে। ইফতারের সময় শুরু হবে ৬টা ১৪ মিনিটে।
বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী ২৪ মার্চ প্রথম রোজা হলে ২২ এপ্রিল হবে ৩০ রমজান। ওই দিন সেহরির শেষ সময় ৪টা ৭ মিনিট। ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ৪টা ১৩ মিনিটে। আর ইফতার শুরু হবে ৬টা ২৭ মিনিটে।
ইফার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেহরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট আগে ধরা হয়েছে। ফজরের ওয়াক্ত শুরু সুবহে সাদিকের তিন মিনিট পর ধরা হয়েছে। এ কারণে সেহরির সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আজান দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলকভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইফা জানায়, ঢাকার সঙ্গে একই সময়ে সেহরি করবেন নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, ভোলা, শেরপুর ও কুড়িগ্রামের মুসলিমরা। অন্যদিকে ঢাকার সঙ্গে একই সময়ে ইফতার করবেন গাজীপুর, মাদারীপুর, ময়মনসিংহ, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির লোকজন।
বাকি জেলাগুলোর ক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে সেহরি ও ইফতারের সময়ে ১ থেকে ৯ মিনিট পর্যন্ত পার্থক্য থাকবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্ভয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, এই উৎসবে নিরাপত্তা বিধানে সেনাবাহিনী মাঠে আছে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার দুর্গাপূজা উদযাপনে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এসব কথা বলেন সেনাবাহিনী প্রধান। তিনি সেখানে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
সেনাপ্রধান এ সময় উপস্থিত মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন থেকে পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রত্যেক বাংলাদেশি অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করবেন। পাশাপাশি তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা ইজতেমার মাঠ প্রস্তুত হয়েছে। ইজতেমাকে ঘিরে এরই মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন এসে ইজতেমার মাঠে মিলিত হচ্ছেন।
জেলার গোবিন্দনগরে ঠাকুরগাঁও-রুহিয়া সড়কের পাশে প্রয়াত আনোয়ার হোসেন লাল মিয়ার পুরাতন ইটভাটা মাঠে বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। শনিবার জোহরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ইজতেমার অনুমতিপত্র পেয়েছি। ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুকিম মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ ১২ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হবেন।
‘এ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া থেকে তাবলিগের ৮ জনের একটি প্রতিনিধি দল ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হয়েছে। আগামীকাল ফজরের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ইজতেমাকে ঘিরে মুসল্লিদের মাঝে উদ্দীপনা রয়েছে। সবার সহযোগিতায় মাঠ ও ইজতেমার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’
এ সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘ইজতেমা চলাকালীন প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তের পরে বয়ান করা হবে। মুসল্লিদের যাতে ইজতেমা মাঠে কোনো অসুবিধা না হয়, এর জন্য পানিসহ প্রয়োজনীয় সকল বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
‘শুক্রবার জুমার নামাজে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি দল ইজতেমায় অংশগ্রহণ করার কথা আছে। এ ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দলের রাজনীতিক নেতারাও উপস্থিত হবেন। ইজতেমা মাঠর সার্বিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে ঠাকুরগাঁও প্রশাসন সহযোগিতা করবে।’
আরও পড়ুন:সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা চার দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে বেনাপোল শুল্ক ভবন ও বন্দরে পণ্য উঠানামা, খালাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘শারদীয় দূর্গাপূজার সরকারি ছুটির কারণে ৯ অক্টোবর বুধবার থেকে ১২ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তাই এ সময় বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে ইলিশের চালান গ্রহণ করা হবে। ১৩ অক্টোবর রোববার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ‘দুর্গাপূজার ছুটির কারণে চারদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন পত্র দিয়ে আমাদেরকে অবহিত করেছে।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজীব নাজির বলেন, ‘দুর্গাপূজার ছুটির বিষয়টি ওপারের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এপারের বন্দরে পণ্য উঠানামা, খালাস ও পণ্যের শুল্কায়ন কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের পর ভারতীয় ট্রাক দেশে ফিরে যেতে পারবে।’
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ ভুইয়া বলেন, ‘পূজার ছুটিতে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময় দুদেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জানাজায় অংশ নেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেসক্লাব, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজে’র নেতা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রধান ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের গণমাধ্যম কর্মীরা জানাজায় শরিক হন।
জানাজার আগে রহুল আমিন গাজীর ছেলে আদনান আবরার বলেন, ‘তিনি সবসময় সত্য কথা বলার চেষ্টা করতেন। তিনি দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন- সবসময় এ কথা বলতেন। আর কোনোদিন আমার বাবা আমাকে ডাকবেন না। আপনারা আমার বাবাকে ক্ষমা করবেন।’
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রয়াত রুহুল আমিন গাজী গণতন্ত্র এবং মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। তার মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি এবং তার পরিবার ও সতীর্থদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের উন্নয়নে রুহুল আমিন গাজীর পরামর্শ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা তার পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হলাম।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য রুহুল আমিন গাজী যে লড়াই করে গেছেন আমরা সে পথ অনুসরণ করব। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। গণমাধ্যমকেও ফ্যাসিবাদমুক্ত রাখব।’
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. জাহিদ বলেন, ‘ভালো লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। মহান রাব্বুল আলামিন রুহুল আমিন গাজী ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক। আমিন।’
কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
জানাজা শেষে রুহুল আমিন গাজীর মরদেহ চাঁদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক হিসেবে মঙ্গলবার সকালে যোগদান করেছেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম।
ইফার সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যোগদানের পর সকাল ১০টায় নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ইফার প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। ওই সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও উপপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
‘সাইফুল ইসলাম সফলভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।’
এর আগে সোমবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলামকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বায়তুল মুকাররমের খতিব রুহুল আমিন তার দায়িত্বে অনুপস্থিত থাকেন। তার অনুপস্থিতিতে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেয়া হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কয়েকজন আলেমকে।
গত শুক্রবার হঠাৎ করে জুমার নামাজ পড়ানোর জন্য মসজিদে আসেন মুফতি মো. রুহুল আমিন। পরে মুসল্লিরা তার পেছনে নামাজ পড়তে না চাইলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন মুসল্লি ও সদ্য সাবেক খতিবের সমর্থকরা। এই সংঘর্ষের সময় মসজিদের ভেতরের দরজার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বেশকিছু মুসল্লি মসজিদ থেকে বের হতে গিয়ে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত হন।
জুমার নামাজের আগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বর্তমান খতিব ওয়ালিউর রহমান ও সাবেক খতিব রুহুল আমিনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খতিব ওয়ালিউর রহমান মুসল্লিদের উদ্দেশে খুতবা (বক্তব্য) দেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ শুরুর আগে খতিব ওয়ালিউর রহমান খান বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন তার অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মুকাররম মসজিদে প্রবেশ করে খতিবের মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে মিম্বরের কাছে বসে থাকা মুসল্লি ও খাদেমের ওপর হামলা চালান। হামলা-সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।
নামাজ পড়তে আসা আবদুল হামিদ বলেন, ‘সাবেক এই ইমাম যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বসে সমস্যার সমাধান করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে লোক এনে হামলা চালান। এটা সত্যিই লজ্জাজনক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি বড় কোনো ঘটনা নয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
তিনি জানান, বায়তুল মুকাররম উত্তর গেট ও পল্টন মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ইউএনবির প্রতিবেদক।
মন্তব্য