অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শনিবার অকাল প্রয়াত তরুণ কবি শাহরিয়ার হোসেন সাব্বিরের ‘টিপবতীর নীল টিপ’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
চৈতন্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটি অতি সম্প্রতি মেলায় আসে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে গ্রন্থ উন্মোচন মঞ্চে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান।
বইটির লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র সাব্বিরের শরীরে ২০১৫ সালে ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসায় সাময়িকভাবে সুস্থ হলেও ২০২১ সালে রোগটি আবার তার শরীরে ফিরে আসে। এরপর ভারতে নিয়ে দীর্ঘ এক বছর ধরে তার চিকিৎসা করা হয়।
অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করে সাব্বিরকে নতুন জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকায় মৃত্যু হয় তার।
মোড়ক উন্মোচনের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অতিথিরা প্রয়াত কবি সাব্বিরের জীবন ও কাব্যপ্রতিভার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তাদের ভাষ্য, সাব্বির তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় নাম। শৈশব থেকেই সততা, মানুষের প্রতি দরদ, প্রকৃতিপ্রেম, শিশুদের জন্য গভীর মমতা, সাহিত্য ও খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা ছিল তার মধ্যে।
অতিথিরা সাব্বিরের জীবনাদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
সাব্বিরের বড় ভাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহাদত হোসেন কবিরের সঞ্চালনায় মোড়ক উন্মোচনের এ আয়োজনে কবির পরিবারের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর লেখা ‘কিডনিবান্ধব পথ্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বইটির প্রকাশনা উৎসব হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য শবনম জাহান, এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিসিন সার্ভিস) আরিফ মাহমুদ ও আক্তারুজ্জামান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে চিকিৎসক, শিক্ষক, পুষ্টিবিদ, রন্ধনশিল্পী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী জানান, তার দুই দশকের কর্মজীবনে খুব কাছ থেকে হাজারো কিডনি রোগীর জীবন সংগ্রাম দেখেছেন। এ অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি কিডনি রোগীদের সঠিক পথ্য সংক্রান্ত দিক-নির্দেশনাগুলো দিয়ে সাজিয়েছেন বইটি।
এটি কিডনি রোগীদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকা তৈরিতে সাহায্য করবে।
পেশাদার দায়িত্বের বাইরেও মানবিক সেবার ব্রত নিয়ে তার লেখা বই কিডনির সঠিক যত্ন ও পরিচর্যায় অনবদ্য অবদান রাখবে বলে তিনি আশা করেন।
বইটি প্রকাশ করেছে ক্রিয়েটিভ ঢাকা পাবলিকেশনস।
আরও পড়ুন:মনিরুল ইসলামের ‘পথভোলা পথিকেরা’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আহমেদ শাহরিয়ার একজন পুলিশ কর্মকর্তা। প্রথম পরিচ্ছেদেই দেখা মেলে নেকড়ের মতো হিংস্র, নিরোর মতো নিষ্ঠুর আবু মোস্তাকিমের মুখোমুখি দৃঢ় ব্যক্তিত্বের পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদ শাহরিয়ার।
উপন্যাসের গল্প এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে আবু দুজানার সাথে আবু মোস্তাকিমের ব্যক্তিত্বের সংঘাত; হাফেজ আবু দুজানার চারিত্রিক দৃঢ়তার বিপরীতে আবু মোস্তাকিমের চরিত্রের নীতিবর্জিত কঙ্কাল। আবু মোস্তাকিমের সমকামিতাও আবু দুজানার নজর এড়ায় না।
উপন্যাসের কাহিনী বর্ণনার সঙ্গে সঙ্গে কাগজের ক্যানভাসে শব্দের রংতুলিতে লেখক নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বিভিন্ন চরিত্রের মনোজগতের নানা টানাপোড়েন। তিনি কেবল ঘটনার ধারা বর্ণনা করে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখেননি; বরং প্রতিটি চরিত্রের পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থার সাথে ব্যক্তিমনের সংঘাত ও অভিযোজনের চিরকালীন দ্বন্দ্বের দিকটিও তুলে ধরেছেন।
উপন্যাসে বর্ণিত ‘পিওর হার্ট বেকারি’ রেস্তোঁরায় চূড়ান্ত হামলায় অংশ নেয়া পাঁচ তরুণের ব্যক্তি-জীবনের হতাশা, বেদনাও চোখ এড়িয়ে যায় না।
শহীদি মৃত্যুর স্বপ্নে বিভোর কৈশোর উত্তীর্ণ পাঁচ তরুণকে সঙ্গে নিয়ে নেকড়ের পালের মত পায়ে পায়ে রাজধানী ঢাকার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে তাদের দীক্ষাগুরু। লক্ষ্য, বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় করা ঘটনা ঘটিয়ে দেশে এক নতুন জিহাদের সূচনা করা। তাদের এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা রুখে দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রস্তুতি নেন আহমেদ শাহরিয়ার ও তার সহকর্মীরা।
দেশি-বিদেশি দোসরদের মদদে ঘৃণা আর জিঘাংসার আগুনে ঝলসে যাওয়া ইসলামি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে কি মোকাবেলা করতে পারবেন আহমেদ শাহরিয়ার? বইয়ের শুরুতেই এই রোমাঞ্চ পাঠকের মনে সঞ্চারিত হয় যা তাকে টেনে নিয়ে যাবে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা অবধি।
‘পথ ভোলা পথিকেরা’ উপন্যাসে দানবের বিরুদ্ধে মানবের চিরন্তন সেই লড়াইয়ের গল্পই লেখক বলেছেন সুনিপুণ মুন্সিয়ানায়।
বাংলা ভাষার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণ মেনে নিতে পারছে না বাংলার সাহিত্য জগৎ। লেখকের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত এবং তার সৃষ্টির কথাই বার বার মনে পড়ছে সাহিত্যপথের সহযাত্রীদের।
সোমবার বিকেলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে সমরেশের মৃত্যুর পর আনন্দবাজার পত্রিকার কাছে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, শংকর ও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
সমরেশ মজুমদারের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের। ‘লোটাকম্বল’-এর লেখক বলেছেন, ‘আমার কাছে এই খবরটা যেন একটা বজ্রাঘাত! কারণ সমরেশের সঙ্গে আমার লেখক জীবনের শুরু থেকেই অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল।’
এই প্রসঙ্গেই প্রয়াত বন্ধুর স্মৃতিচারণ করলেন সঞ্জীব। বললেন, একমাত্র ও আমাকে ‘সঞ্জু’ বলে ডাকত। ওর ওই সঞ্জু ডাকটি বড়ই মধুর ছিল। ভাবতেই পারছি না, ওর মতো এর স্বাস্থ্যবান একজন যুবক কী করে এত তাড়াতাড়ি চলে গেল।
সত্যসন্ধানী ‘অর্জুন’-এর স্রষ্টার প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না সাহিত্যিক শংকর। তিনি বললেন, ‘লেখক হিসেবে ও জনপ্রিয় হওয়ার আগে থেকেই আমি ওকে চিনতাম। কারণ, স্কটিশ চার্চ কলেজে আমার ভাইয়ের সহপাঠী ছিল সমরেশ।’
এ প্রসঙ্গেই তিনি আরও বললেন, ‘নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আমাদের। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখাও হতো। একটাই কথা বলতে চাই, ওর মতো ছেলে আমি খুব কমই দেখেছি। ওর চলে যাওয়াটা আমার কাছে ব্যক্তিগত শোক।’
সমরেশ মজুদারের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তার প্রশ্ন, ‘সমরেশ চলে যাওয়ার মানে এখন বাংলা সাহিত্যে আর কে রইল?’ এই প্রসঙ্গেই বর্ষীয়ান সাহিত্যিক বললেন, ‘লেখক হওয়ার আগে থেকেই আমি সমরেশকে চিনতাম।’
উত্তর কলকাতার বোর্ডিং হাউজ়ে থাকার সময় লেখকের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন সমরেশ মজুদার। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং সমরেশ মজুমদার দু’জনেই উত্তরবঙ্গের মানুষ।
শীর্ষেন্দু বলেন, ‘তাই ওর প্রতি আমার একটা বিশেষ আকর্ষণ ছিল।’
সমরেশ মজুমদারকে ‘বাবলু’ নামে ডাকতেন শীর্ষেন্দু। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রবীণ সাহিত্যিক বলেন, ‘এক সঙ্গে আমরা দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছি। ইদানিং ও আমাকে বলত যে, বাবলু বলে ওকে ডাকার আর কেউ নেই।’
আরও পড়ুন:বাংলা ভাষার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার মারা গেছেন।
সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ভারতের কলকাতায় একটি হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত ২৫ এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল সমরেশ মজুমদারকে । এরপর শ্বাসনালীর সমস্যা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও (স্লিপ অ্যাপনিয়া) বাড়তে থাকে।
উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষের মতো একের পর এক কালজয়ী উপন্যাস উপহার দিয়েছেন তিনি।
১৯৪২ সালে পশ্চিমবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম গ্রহণ করেন সমরেশ। প্রাথমিক শিক্ষা জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে। ষাটের দশকের শুরুতে তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে। এর পর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
সততা, স্বচ্ছতা, সহানুভূতিশীল ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি। এই গুণাবলী গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শেয়ারহোল্ডারসহ সামগ্রিকভাবে কর্মক্ষেত্রের টেকসই উন্নয়ন ও সঠিক মূল্যায়নে কাজ করে।
প্রচলিত নেতৃত্বের চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করে লেখা ‘লিডারশিপ উইথ সোল’-এ ইন্টারটেক গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আন্দ্রে লাক্রইরেক্স এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।
আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং, পেপসিকো, বার্গার কিং, ইউরো ডিজনি, ইঞ্চকেপ, রেকিট বেনকিজার ও ইন্টারটেকের মতো বিশ্ব-নেতৃস্থানীয় সংস্থার সঙ্গে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিজ্ঞতার আলোকে লিডারশিপ উইথ সোল বইটিতে ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য একটি মডেল প্রকাশ করেছেন আন্দ্রে।
সম্প্রতি ঢাকার একটি হোটেলে আন্দ্রের লেখা প্রথম এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে এবং প্রাণবন্ত গল্প বলার মধ্য দিয়ে আন্দ্রে তার বইটিতে সফল নেতৃত্বের ১০টি মূল নীতি তুলে ধরেছেন। তিনি সব সময় কর্মীদের বিশ্বাস ও ক্ষমতায়নকে শক্তিশালী করার জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
https://www.leadershipwithsoul.com/ ঠিকানায় ভিজিট করে বইটি সম্পর্কে বিষদ জানার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন:বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী আজ।
১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অনেক কবিতা ও গান ছিল সীমাহীন প্রেরণার উৎস।
রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়। খবর বাসসের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধেই শুধু নয়, আমাদের প্রতিটি সংগ্রামে চিরকালই কবির রচনাসমূহ প্রাণের সঞ্চার করে।
সোমবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করছে তার অগণিত ভক্ত। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষীরা কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করছে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও পরম শ্রদ্ধায়। এবার জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সমাজ সংস্কার ও রবীন্দ্রনাথ।’
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হচ্ছে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত নওগাঁর পতিসরে।
এ ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির চিত্রশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমিও আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
‘আজি হতে শতর্বষ পরে/ কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি/শত কৌতূহল ভরে/ . . . . আজি হতে শতর্বষ পরে/এখন করিছো গান সে কোন নুতন কবি/তোমাদের ঘরে!’
জন্মের দেড় শতাধিক বছর পেরিয়ে এবং মৃত্যুর অনেক বছর পরেও রবীন্দ্রনাথ এখনও কেন প্রাসঙ্গিক-এ ব্যাপারে রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ এবং প্রয়াত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘বাঙালির এই কবি এমন এক সময় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যখন রাষ্ট্র ছিল পরাধীন, চিন্তা ছিল প্রথাগত ও অনগ্রসর, বাংলাভাষা ছিল অপরিণত।
‘রবীন্দ্রনাথ একাধারে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বমানে উন্নীত করার পাশাপাশি জাতির চিন্তা জগতে আধুনিকতার উন্মেষ ঘটিয়েছেন। বাঙালির মানস গঠনে পালন করেছেন অগ্রদূতের ভূমিকা। সত্য, সুন্দর, ন্যায় ও কল্যাণের পথে অভিসারি হয়ে ওঠার প্রেরণা যোগানোর মধ্য দিয়ে বাঙালি মননকে বিশ্বমানে উন্নীত করে জাতিকে আবদ্ধ করে গেছেন চির কৃতজ্ঞতায়। দেড়শত বছর পেরিয়েও কবি আমাদের মাঝে তাই চিরজাগরূক হয়ে আছেন।’
আরও পড়ুন:বাংলা নববর্ষে নামী প্রকাশনা ও বিক্রয় সংস্থা বাতিঘর প্রকাশ করেছে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদের নতুন উপন্যাস ‘বুনো ওল’।
বইটি প্রকাশ উপলক্ষে পয়লা ও দোসরা বৈশাখ (১৪ ও ১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুটি বুক সাইনিং ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।
রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে বাতিঘরের বিক্রয় কেন্দ্রে পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে প্রকাশনা সংস্থাটি।
অনুষ্ঠানে লেখকের অটোগ্রাফসহ বইটি সংগ্রহ করা যাবে বিশেষ কমিশনে। একই সঙ্গে থাকবে আড্ডা ও কথোপকথনের আসর।
‘বুনো ওল’ মাহবুব মোর্শেদের পঞ্চম উপন্যাস। সমকালীন জীবনের বিচিত্র জটিলতা নিয়ে ঘনীভূত হয় এ উপন্যাসের গল্প।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদর্শ থেকে প্রকাশ হয়েছে মাহবুব মোর্শেদের থ্রিলার উপন্যাস ‘মিনোল্টা ম্যাক্সাম ৭০০০’।
মন্তব্য