× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Book fair distribution of touch Braille lights to the visually impaired
google_news print-icon

বইমেলা: দৃষ্টিহীনে স্পর্শ ব্রেইলের আলো বিতরণ

বইমেলা-দৃষ্টিহীনে-স্পর্শ-ব্রেইলের-আলো-বিতরণ
একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমি অংশে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনার স্টলে সোমবার বই পড়ায় ব্যস্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কয়েকজন। ছবি: নিউজবাংলা
অমর একুশে বইমেলার বাংলা একডেমি অংশে সবার নজর কাড়ছে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বই পড়ার দৃশ্য। কেউ বই দেখছেন, কেউ দাঁড়িয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের পড়া শুনছেন। আবার কেউ কৌতূহলী মন নিয়ে ব্রেইল পদ্ধতি সম্পর্ক জানতে চাইছেন। সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন স্পৰ্শ ব্রেইল প্রকাশনীর স্টলের সহযোগীরা।

অমর একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দৃষ্টিহীন মানুষের জন্য আলো বিতরণ করছে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা। প্রকৃতির নিষ্ঠুর নিয়মে আটকে পড়া দৃষ্টিবঞ্চিতদের নিয়ে স্পর্শ ফাউন্ডেশনের এই আয়োজন।

বাংলা একডেমি অংশে সবার নজর কাড়ছে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বই পড়ার দৃশ্য। কেউ বই দেখছেন, কেউ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের পড়া শুনছেন। আবার কেউ কৌতূহলী মন নিয়ে ব্রেইল পদ্ধতি সম্পর্ক জানতে চাইছেন। সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন স্পৰ্শ ব্রেইল প্রকাশনীর স্টলের সহযোগীরা।

কথা বলে জানা গেল- বই বিক্রি নয়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা যেন পড়তে পারে সে তথ্য জানাতেই মেলায় স্টল নিয়েছে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনী। ২০১১ সাল থেকে প্রকাশনা সংস্থাটি ব্রেইল আকারে বই প্রকাশ করে আসছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি তারা নতুন ৩০টি ব্রেইল বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করবে। সর্বমোট তারা ১৩১টি বই প্রকাশ করেছে।

স্পৰ্শ ব্রেইল প্রকাশনীর স্টলের স্বেচ্ছাসেবক ঊষা বলেন, ‘দৃষ্টিহীনদের মাঝে সাহিত্যের রস পৌঁছানোই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। বইমেলায় শুধু আমাদের এই প্রকাশনীতেই দৃষ্টিহীনদের ব্রেইল বই পাওয়া যায়। আমরা চাই, যারা দৃষ্টিহীন তারাও যেন সাহিত্যের রস থেকে বঞ্চিত না হয়।

‘তারা কেন বঞ্চিত হবে? তাদেরও তো ইচ্ছে থাকে যে তারা বিভিন্ন লেখকের গল্প-উপন্যাসের বই পড়বে। তারা জাফর ইকবাল স্যার, হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে পড়তে চায়। কিন্তু এসব বই তো আর ব্রেইলে পাওয়া যায় না। বইমেলার প্রতিটি স্টলে যেন ব্রেইল বই থাকে সেটাই আমাদের সামাজিক আন্দোলনের লক্ষ্য।’

ঊষা বলেন, ‘আমরা এখানে কোনো ব্রেইল বই বিক্রি করি না। এখানে দৃষ্টিহীনরা আসে আর বসে বই পড়ে। আর আমাদের যখন প্রকাশনা উৎসব হয় তখন যেসব দৃষ্টিজয়ী রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের মাঝে ব্রেইল বই ফ্রিতে বিতরণ করা হয়।

‘গত বছর পর্যন্ত আমাদের মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছিল ১০১টি। আর এ বছর সুলতানাস ড্রিম, চাঁদের পাহাড়, বাবা যখন ছোট, আমার দেশের মাটির গন্ধে, একাত্তরের চিঠিসহ মোট ত্রিশটি বই আমরা প্রকাশ করছি। ২৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের প্রকাশনা উৎসবে এসব বই ফ্রিতে বিতরণ করা হবে।’

ব্রেইল বই লেখা আর পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ঊষা বলেন, ‘ব্রেইল বই পড়ার জন্য ছয় ডটের একটি কোড নম্বর থাকে। বাংলার প্রতিটি বর্ণ এই ছয় ডট দিয়ে লেখা। ব্রেইল বই পড়তে হলে তাদের এই ছয় ডটের কোড শিখতে হয়। এরপর তারা পৃষ্ঠাকয় থাকা ছাপ হাত দিয়ে স্পর্শ করে বুঝতে পারে কোন বর্ণ দিয়ে কী শব্দ লেখা হয়েছে।’

ব্রেইল বই তৈরির খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্টলে থাকা সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র তরিকুল ইসলাম নাজিম বলেন, ব্রেইল বই করার আলাদা পদ্ধতি আছে। এগুলো একটু কস্টলি। এই প্রিন্টারগুলো ভারতে পাওয়া যায়। যেসব পাতা দিয়ে এই বইগুলো তৈরি করা হয় এগুলো পানপাতা, ১৫০ গ্রাম। প্রতিটি পৃষ্ঠা কিনতে ৪-৫ টাকা পড়ে যায়। আর প্রিন্টিং কস্ট, যে মুদ্রণ করবে তাদের বিল আছে। প্রকাশনী সংস্থার ব্যবসা তো আছেই। ওভারঅল এটা এক্সপেনসিভ একটি বিষয়।’

স্টলে এসে ব্রেইল বই পড়ছিলেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর দৃষ্টিজয়ী শিক্ষার্থী মহিনি আক্তার তামিম। তিনি বলেন, ‘এই ব্রেইল পদ্ধতি শিখতে আমার এক মাস সময় লেগেছে। ছয় বছর বয়সে আমি প্রথম স্কুলে ভর্তি হই। তখনই আমার ব্রেইল পদ্ধতি শেখা।

‘আমার হুমায়ুন আহমেদ স্যারের হিমু সমগ্র, মিসির আলী; বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালি বইগুলো পড়ার অনেক ইচ্ছে। কিন্তু এই বইগুলোর ব্রেইল না থাকায় সেই ইচ্ছে পূরণ করতে পারছি না। এই বইগুলো ছাড়াও আমি রবীন্দ্রনাথকে জানতে চাই। নজরুলকে পড়তে চাই। আমি চাই যেন বড় বড় কবিদের বইগুলো কয়েকটি হলেও ব্রেইল করা হয়।’

তামিম বলেন, ‘আমি এখানে এসে চাঁদের পাহাড়, সূর্যের দিন, একাত্তরের চিঠি, আমার বন্ধু রাশেদসহ আরও কয়েকটি বই শেষ করেছি। একমাত্র স্পর্শই আমাদের জন্য ব্রেইল বই সরবরাহ করে। তাই আমরা স্পর্শের কাছে কৃতজ্ঞ।’

মেলার ২০তম দিনে নতুন ১০০ বই

সোমবার ছিল অমর একুশে বইমেলার ২০তম দিন। এদিন নতুন বই এসেছে ১০০টি। বিকেল ৪টায় মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশের বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নূরুননবী শান্ত। আলোচনায় অংশ নেন বেলাল হোসেন ও হোসেন আল মামুন। সভাপতিত্ব করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মোহাম্মদ সাদিক, জয়দীপ দে, স. ম. শামসুল আলম ও আলী ছায়েদ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন আনিসুল হক, দীলতাজ রহমান, সাহেদ মন্তাজ, ফারহান ইশরাক, নাসরীন নঈম, জাহাঙ্গীর হোসাইন, রুহুল মাহবুব, বোরহান মাসুদ, নাদির খানম এবং লুনা রাহনুমা।

আবৃত্তি পরিবেশন করেন মাহমুদা আখতার, দেওয়ান সাইদুল হাসান, নাজমুল আহসান, জি. এম. মোর্শেদ এবং তিতাস রোজারিও। পুঁথিপাঠ করেন জালাল খান ইউসুফী।

অনুষ্ঠানসূচি

মঙ্গলবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাত সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে।

মেলা চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

সকাল ৮টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। এতে সভাপতিত্ব করবেন কবি জাহিদুল হক।

বিকাল চারটায় অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বক্তৃতা-২০২৩। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অমর একুশে বক্তৃতা-২০২৩ শীর্ষক একুশে বক্তৃতা দেবেন রামেন্দু মজুমদার। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন:
বইমেলা: নন-ফিকশনে আগ্রহ কম তরুণদের
বইমেলায় আদর্শকে স্টল দেয়ার আদেশ স্থগিত
বইমেলায় শাশ্বতী মাথিনের ‘নির্বাচিত ১০টি রবীন্দ্রসংগীতে বিরহ’
‘বাসর রাতের বিড়াল’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন
প্রেমের কবিতা-উপন্যাসে ঝোঁক তরুণীদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
ISD fair in solidarity

একাত্মবোধের প্রত্যয়ে ‘আইএসডি ফেয়ার’

একাত্মবোধের প্রত্যয়ে ‘আইএসডি ফেয়ার’ আইএসডি প্রাঙ্গণে শুক্রবার আয়োজিত ফেয়ারে নৃত্য পরিবেশনা। ছবি: নিউজবাংলা
ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-আইএসডি প্রাঙ্গণে শুক্রবার অনুষ্ঠিত ফেয়ারে বিনোদনমূলক খেলা, লাইভ মিউজিক, সার্কাস, পাপেট-শো ছাড়াও ছিল নানা পরিবেশনা। এছাড়াও ছিল দেশীয় কারুশিল্প, পোশাকের ব্র্যান্ড, বই ও কনফেকশনারির প্রায় ৬০টি স্টল।

কমিউনিটির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আবারও ‘আইএসডি ফেয়ার’ আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)। শুক্রবার স্কুল প্রাঙ্গণে এই ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেলায় বিনোদনমূলক খেলার আয়োজন, লাইভ মিউজিক, সার্কাস ও পাপেট-শো ছাড়াও ছিল উপভোগ্য নানা পরিবেশনা। এছাড়াও এতে ছিল দেশীয় কারুশিল্প, পোশাকের ব্র্যান্ড, বই ও কনফেকশনারির প্রায় ৬০টি স্টল।

একাত্মবোধের প্রত্যয়ে ‘আইএসডি ফেয়ার’
আইএসডি ফেয়ারে লাইভ পারফরম করেন ব্যান্ড ইনডালো’র ভোকালিস্ট জন কবির। ছবি: নিউজবাংলা

মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল জনপ্রিয় ব্যান্ড ইনডালো’র ভোকালিস্ট ও গিটারিস্ট জন কবিরের লাইভ পারফরমেন্স। মেলায় আগত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কমিউনিটি সদস্যরা নাগরদোলা, পাপেট-শো, ম্যাজিক-শো, আর্কেড ও ভিআর গেমসসহ বিভিন্ন শো ও খেলা উপভোগ করেন।

দিনব্যাপী এ আয়োজনের কো-স্পন্সর ছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ও স্টেপ মিডিয়া লিমিটেড। এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার হিসেবে ছিল ওয়ান্ডারল্যান্ড ও টগি ফান ওয়ার্ল্ড এবং আইসক্রিম পার্টনার ছিল সেভয় আইসক্রিম।

মন্তব্য

জীবনযাপন
CUB celebrates Cutlers birthday

কটলারের জন্মদিন উদযাপনে সিইউবি

কটলারের জন্মদিন উদযাপনে সিইউবি ফিলিপ কটলারের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অংশের আলোচকবৃন্দ।
এশিয়া মার্কেটিং ডে-২০২৩ এবং আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলারের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে ১৭টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এশিয়ান মার্কেটিং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই আয়োজনে সহায়তা করে মার্কেটিং সোসাইটি অফ বাংলাদেশ। আর এতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিল কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)।

এশিয়া মার্কেটিং ডে-২০২৩ এবং আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলারের ৯২তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে শনিবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৭টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এশিয়ান মার্কেটিং ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশে এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে মার্কেটিং সোসাইটি অফ বাংলাদেশ।

মহতী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ছিল কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)।

কটলারের জন্মদিন উদযাপনে সিইউবি
অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ। ছবি: নিউজবাংলা

বাংলাদেশের তরুণদের আরও ক্ষমতায়িত করা এবং স্মার্ট নাগরিকের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল উপজীব্য ছিল ‘স্মার্ট জাতি ও স্মার্ট নাগরিক সৃষ্টিতে মার্কেটিংয়ের ভূমিকা’।

সেমিনারের লাইভ প্যানেলে প্রধান বক্তা হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলার। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে মার্কেটিং দুনিয়ার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

সিইউবি অংশে অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক প্রফেসর মুহাম্মদ রিদওয়ানুল হক।

লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে সিইউবি’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অফ বিজনেসের ডিন ড. জহুরুল আলম ও স্কুল অফ বিজনেসের প্রধান এস এম আরিফুজ্জামান।

কটলারের জন্মদিন উদযাপনে সিইউবি
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিইউবি-র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক। ছবি: নিউজবাংলা

সেমিনারে লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অফ মার্কেটিংয়ের অনারারি সেক্রেটারি হাসলিনা বিন্তি আযলান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-এর মহাপরিচালক ও চিফ ইনোভেশন অফিসার ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন।

আরও পড়ুন:
সিইউবি-এনএসইউ সমঝোতা চুক্তি সই
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশন সেন্টার
সিইউবি-তে মঞ্চনাটকে নায়ক রিয়াজ
গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিচ্ছে সিইউবি
সিইউবিতে সামার সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম শুরু

মন্তব্য

জীবনযাপন
BUP International Model United Nations Conference held at the conclusion

বিইউপি ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশন কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত

বিইউপি ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশন কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত বিইউপির বিজয় অডিটরিয়ামে শনিবার কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম। ছবি: নিউজবাংলা
কনফারেন্সের উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বব্যাপী নাগরিকদের জন্য এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা যার মাধ্যমে তারা আত্মবিশ্বাস, সহানুভূতি এবং কূটনীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে পারবে।

‘বিইউপি ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশন কনফারেন্স-২০২৩’ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ৪০টি দেশি ও বিদেশি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৭৪ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

এই সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর ফ্যাকাল্টি অফ সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ। বিইউপির বিজয় অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন পরিচালনায় ছিল বিইউপি অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিইউপি’র উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

বিইউপি ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশন কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য, শিক্ষক ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা

এবারের কনফারেন্সের উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বব্যাপী নাগরিকদের জন্য এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা যার মাধ্যমে তারা আত্মবিশ্বাস, সহানুভূতি এবং কূটনীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে পারবে।

কনফারেন্সটি ১১ মে শুরু হয়ে শেষ হয় ১৩ মে। কনফারেন্সের মূল প্রতিপাদ্য ছিল- ‘Encouraging safe and ethical technological usages through global cooperation to reduce violence, civil and geopolitical conflicts.’

সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে ৯টি স্টিয়ারিং কমিটিতে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় ও তার প্রাসঙ্গিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিইউপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বিইউপি’র শিক্ষক, কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জীবনযাপন
The roads of Dhaka will be closed on Pahela Boishakh

পহেলা বৈশাখে বন্ধ থাকবে ঢাকার যেসব সড়ক

পহেলা বৈশাখে বন্ধ থাকবে ঢাকার যেসব সড়ক
পহেলা বৈশাখে শুক্রবার রাজধানীতে রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন্দ্রিক যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। সে অনুযায়ী রাজধানীর বেশকিছু সড়কে যানবাহন চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিকল্প সড়ক ও রোড ব্লকের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে নানা অনুষ্ঠানে লাখো মানুষের সমাগম হবে। নববর্ষের দিনে যানবাহন চলাচল নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক রমনা বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ডিএমপি ট্রাফিকের পক্ষ থেকে এ লক্ষ্যে বেশকিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী রাজধানীর বেশকিছু সড়কে যানবাহন চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিকল্প সড়ক ও রোড ব্লকের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

যেসব রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- বাংলামোটর-হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর; হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল–কাকরাইল-মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা; মৎস্য ভবন-শাহবাগ-কাঁটাবন; কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-টিএসসি এবং নীলক্ষেত-টিএসসি।

ডাইভারশন ও রোড ব্লক

বাংলামোটর ক্রসিং, পরীবাগ ক্রসিং, নৌবাহিনী ভর্তি তথ্য কেন্দ্র, শাহবাগ ক্রসিং, মগবাজার ক্রসিং, মিণ্টো রোড ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, দুদক গলি, শিল্পকলা একাডেমি গলি, কার্পেট গলি, মৎস্য ভবন ক্রসিং, সেগুনবাগিচা, কদম ফোয়ারা ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, শিববাড়ি ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল ক্রসিং, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং, কাঁটাবন ক্রসিং, আজিজ সুপার মার্কেট গলি, বিসিএস প্রশাসন গ্যাপ, সাকুরা গলি, সবজি বাগান ক্রসিং, পুলিশ ভবন ক্রসিং, সুগন্ধা ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল ক্রসিং ও শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে পার্কিংয়ের স্থান

নৌ-বাহিনী ভর্তি তথ্য কেন্দ্র থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত; জিরো পয়েন্ট থেকে ইউবিএল আব্দুল গণি রোড; মৎস্য ভবন থেকে সেগুনবাগিচা (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি); শিল্পকলা একাডেমি গলি (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি); সুগন্ধা থেকে অফিসার্স ক্লাব (ভিআইপি গাড়ি ও মিডিয়ার গাড়ি); কাঁটাবন থেকে নীলক্ষেত হয়ে পলাশী এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহীদুল্লাহ হল পর্যন্ত।

আরও পড়ুন:
ডিএমপিতে ২ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বদলি

মন্তব্য

জীবনযাপন
Happy Bangla New Year greetings from Information Minister

শুভ বাংলা নববর্ষে তথ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

শুভ বাংলা নববর্ষে তথ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
শুভেচ্ছা বার্তায় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাভাইরাস মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধে পীড়িত বিশ্বেও বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধির সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ থাকাই হোক আমাদের নতুন বাংলা বছরের অঙ্গীকার।’

বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশ-বিদেশে বসবাসরত সব বাংলা ভাষাভাষীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বাংলা নববর্ষবরণকে বাঙালির সার্বজনীন উৎসব হিসেবে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘পৃথিবীর সব ভাষাভিত্তিক জাতির নিজস্ব সর্বজনীন উৎসব-পার্বণ রয়েছে। চীনাদের ‘চীনা নববর্ষ’, ইরান থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত ‘নওরোজ’, ইংরেজি ভাষাভাষীদের ‘ইংরেজি নববর্ষ’; তেমনই পয়লা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব।’

সরকারি কাজে ইউরোপ সফররত ড. হাছান শুভেচ্ছা বার্তায় আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাভাইরাস মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধে পীড়িত বিশ্বেও বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধির সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ থাকাই হোক আমাদের নতুন বাংলা বছরের অঙ্গীকার।’

আরও পড়ুন:
নববর্ষ উদযাপনে দেশব্যাপী শোভাযাত্রা, ব্যাপক আয়োজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
মঙ্গল শোভাযাত্রায় অমঙ্গলের চিহ্ন থাকবে না
সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ‘নব আনন্দে জাগো’
বোশেখি উৎসব ও সামাজিক দায়

মন্তব্য

জীবনযাপন
The cost of Hajj will increase further in the future Ministry of Religion

আগামীতে হজের খরচ আরও বাড়বে: ধর্ম মন্ত্রণালয়

আগামীতে হজের খরচ আরও বাড়বে: ধর্ম মন্ত্রণালয় ফাইল ছবি
ধর্ম মন্ত্রণালয় রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও সৌদি আরবের হারাম শরিফের নিকটবর্তী বিভিন্ন হোটেল ভেঙে ফেলায় এ বছর হোটেল ভাড়া নেয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

হজ নিবন্ধনের জন্য ছয় দফা সময় বাড়ালেও কোটা পূরণ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বছর হজের খরচ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। যদিও হজের কয়েকমাস আগে সবার সঙ্গে আলোচনা করে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও সৌদি আরবের হারাম শরিফের নিকটবর্তী বিভিন্ন হোটেল ভেঙে ফেলায় এ বছর হোটেল ভাড়া নেয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে অধিক পরিমাণ অর্থে হোটেল ভাড়া করা হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন কারণে এ বছরের হজ প্যাকেজকে হ্রাসকৃত প্যাকেজ হিসেবে ধরা যায়। সেই বিবেচনায় বলা যায় যে, আগামী বছরগুলোতেও হজ প্যাকেজের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ ভেঙ্গে ফেলা বাড়ি ও হোটেল আবার গড়ে তুলতে আরও ২/৩ বছর লাগবে। এমতাবস্থায়, এ বছরের ঘোষিত হজ প্যাকেজই সর্বনিম্ন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। সেই বিবেচনায় হজযাত্রীদের এ বারের হজ প্যাকেজে নিবন্ধিত হওয়ার অনুরোধ করা হলো।

রোববার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯ হাজার ৯৩৯ জন এবং বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজে যেতে এক লাখ ৮ হাজার ৪১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।

এদিকে রোববার বিকেলে সেগুন বাগিচার একটি হোটেলে ‘হজ প্যাকেজ-২০২৩ ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, গতবারের তুলনায় এবার রিয়ালের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ায় হজ প্যাকেজে ৬০-৬৩ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে। তবে হজ ব্যবস্থাপনায় যাতে ত্রুটি না হয় সরকার সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ওই অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গত বছর সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়ালের দাম ছিল ২১ টাকা। এবার রিয়ালের দাম বেড়ে হয়েছে ২৯ টাকা। যা গতবারের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। এবার হজ প্যাকেজে ৬০-৬৩ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে শুধু রিয়ালের দাম ‍বৃদ্ধির কারণে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একটা বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি যে হজ যাত্রীদের পরিবহনের ক্ষেত্রে ডেডিকেটেড ফ্লাইট রাখা হয়। ওই বিমানে অন্য কোনো যাত্রী নিতে পারে না। ফলে ভাড়া অনেক বেশি পড়ে যায়। তবে আগামী বছর হজের আগে বিমান ভাড়া কীভাবে কমানো যায় সেটা নিয়ে সরকার চিন্তা ভাবনা করছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, হজের কোটা পূরণ করতেই কৌশলগতভাবে আগামী বছর হজের খরচ কেমন হতে পারে সেই বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়েছে। হারাম শরীফের কাছে পুরনো বহু হোটেল ভেঙে ফেলায় এবার খরচ বেড়েছে। আগামীতে খরচ আরও বাড়বে।

আরও পড়ুন:
হজ পালনে বয়সসীমার বাধা কাটল
হজ প্যাকেজে ভাড়া কমাবে না বিমান
বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু ২১ মে
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আবার বাড়ল
হজ প্যাকেজের দাম বাড়ার কারণ জানাল ধর্ম মন্ত্রণালয়

মন্তব্য

জীবনযাপন
Gathering at the tea garden during the Fagua festival

‘ফাগুয়া’ উৎসবে চা বাগানে মিলনমেলা

‘ফাগুয়া’ উৎসবে চা বাগানে মিলনমেলা শ্রীমঙ্গলের ফুলছড়া চা বাগান মাঠে ফাগুয়া উৎসবে নৃত্যগীতে মেতে ওঠে কিশোরী-তরুণীরা। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশের চা বাগানগুলোতে নানা জাতি-গোষ্ঠীর বাস। চা শ্রমিকদের যেমন আছে নিজেদের পৃথক ভাষা, তেমনই আছে পৃথক সংস্কৃতিও। ভাষা ও সংস্কৃতিতে একেকটি চা বাগান যেন একেকটি দেশ। তবে ফাল্গুনের ‘ফাগুয়া’ উৎসবে এসে সবাই এক হয়ে মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে।

চা শ্রমিকদের অবহেলিত জীবনে অন্যতম উৎসব রং পরব বা ফাগুয়া উৎসব। এই আয়োজনের আবেদন সীমানা ভেঙে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে কাছে টেনে নিয়েছে। সময় পরিক্রমায় এটি হয়ে উঠেছে এক মিলনমেলায়।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফুলছড়া চা বাগান মাঠে শনিবার নানা বয়সি হাজারও নারী-পুরুষ আবির নিয়ে মেতে ওঠে রঙের খেলায়। বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশের চা বাগানগুলোতে নানা জাতি-গোষ্ঠীর বাস। চা শ্রমিকদের যেমন আছে নিজেদের পৃথক ভাষা, তেমনই আছে পৃথক সংস্কৃতিও। ভাষা ও সংস্কৃতিতে একেকটি চা বাগান যেন একেকটি দেশ। তবে ফাল্গুনের ‘ফাগুয়া’ উৎসবে এসে সবাই এক হয়ে মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে।

উৎসবে কেবল রঙের হোলিই নয়, ছিল ভিন্ন সংস্কৃতির অন্তত ৩০টি পরিবেশনা। পত্রসওরা, নৃত্যযোগী, চড়াইয়া নৃত্য, ঝুমর নৃত্য, লাঠিনৃত্য, হাঁড়িনৃত্য, পালা নৃত্য, ডং ও নাগরে, ভজনা, মঙ্গলা নৃত্য, হোলিগীত, নিরহা ও করমগীত একসঙ্গে উপভোগ করতে পেরে যেমন আনন্দে ভেসেছেন চা শ্রমিকরা তেমনই অভিভূত হয়েছেন উৎসবে আসা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও।

ফাগুয়া উৎসবটি ঘন্টা বাজিয়ে উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রীমঙ্গল্ উপজলা চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব।

গেস্ট অফ অনার হিসেবে বক্তব্য দেন ভারতীয় সহকারী কমিশনার নীরাজ কুমার জায়সওয়াল। দেউন্ডি চা বাগান থেকে আসা প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনিল বিশ্বাস বলেন, ‘শত দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটনের মাঝেও উৎসবের কয়েকটি দিন চা শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে কাটানোর চেষ্টা করেন। আনন্দ ভাগাভাগি করেন প্রতিবেশীদের সঙ্গে। দূর-দূরান্তের চা বাগান থেকে মেয়েরা বাবার বাড়িতে নাইওর আসে জামাইসহ।

আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব কালিগাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা বলেন, ‘তৃতীয় বারের মতো এই আয়োজন হলেও আয়োজনটি জাতির জনককে উৎসর্গ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে চা শ্রমিকদের এটি একটি বিশেষ আয়োজন। আশা করি পরবর্তী বছর আরও বড় পরিসরে ফাগুয়া উৎসব করা হবে।’

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘চা বাগানের কৃষ্টি-সংস্কৃতি যেন কোনোভাবে বিলুপ্ত না হয় সেজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ফাগুয়া উৎসব যেন বন্ধ না হয় সেজন্য আমরা কিছু সহযোগিতাও করেছি। এই সুন্দর সংস্কৃতি রক্ষার দায়িত্ব সবার। এটি যেন প্রতি বছর করা যায় সেজন্য আমরা কিছু পরিকল্পনা নিচ্ছি।’

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন চা শ্রমিক সন্তান প্রকাশ ভর ও পিংকি বর্মা।

মন্তব্য

p
উপরে