× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Book fair Young people less interested in non fiction
google_news print-icon

বইমেলা: নন-ফিকশনে আগ্রহ কম তরুণদের

বইমেলা-নন-ফিকশনে-আগ্রহ-কম-তরুণদের
অমর একুশে বইমেলায় রোববার একটি স্টলে পছন্দের বই বাছাইয়ে ব্যস্ত কয়েক তরুণী। ছবি: নিউজবাংলা
অমর একুশে বইমেলার ১৯তম দিনে রোববার বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীরা জানান, কিশোর-তরুণরা ফিকশন বই বেশি কিনছেন। আর যারা নন-ফিকশন বই কিনছেন তাদের অধিকাংশই পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব বয়সের।

পৃথিবীব্যাপী পাঠকের কাছে বরাবর ফিকশনের কদর বেশি। কিন্তু হাল আমলে ফিকশনের চেয়ে নন-ফিকশন বইয়ের পাঠক বাড়লেও অমর একুশে বই মেলায় তেমনটা দেখা যাচ্ছে না।

বইমেলায় বিভিন্ন প্রকাশনীতে থাকা বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেলায় এমনিতেই ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি। তার ওপর যেসব পাঠক বই কিনছেন তাদের অধিকাংশের আগ্রহ ফিকশন বইয়ে।

বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, কিশোর-তরুণরা ফিকশন বই বেশি কিনছেন। আর যারা নন-ফিকশন বই কিনছেন তাদের অধিকাংশই পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব বয়সের।

সময় প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী রিজওয়ান বলেন, “নন-ফিকশনের চেয়ে ফিকশন বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। পুরো মেলায় একই চিত্র। ফিকশন বইয়ের মধ্যে আমাদের প্রকাশনীতে কয়েকটি বই এসেছে। আনিসুল হক স্যারের ‘যখনই জাগিবে তুমি’ আর সুভাস সিংহের ‘বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব ও বাকশাল’ ভালো সাড়া পাচ্ছে।

“আর কিশোর-তরুণরা নন-ফিকশন বই বেশি কিনছেন না। বয়স্ক ব্যক্তি আর গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এসব বইয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।”

শব্দশৈলী প্রকাশনীর এক বিক্রয়কর্মী বলেন, “নন-ফিকশন বই বেশি বিক্রি হচ্ছে না। তারপরও কমের মধ্যে বলতে গেলে রমা চৌধুরীর ‘একাত্তরের জননী’ বইটি ভালো যাচ্ছে। এছাড়া সাইফুল রাজীবের ‘প্রবাসের সাত কাহন’ আর নাফিজ ফুয়াদের ‘পজেটিভ সাইকোলজি অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ’ বইটি কিছু বিক্রি হচ্ছে।”

অনন্যা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী ফারুক বলেন, “নন ফিকশনের মধ্যে ভালো বিক্রি হচ্ছে এরকম বই খুব কম। তবে ইমদাদুল হক মিলনের ‘যে জীবন আমার ছিল’ বইটি মোটামুটি সাড়া পাচ্ছে। বইটির দ্বিতীয় মুদ্রণও চলে এসেছে। আসলে নন-ফিকশন বই কেনার পাঠক খুব কম। যা কিনছে তাদের মধ্যে মধ্যবয়সীই বেশি।”

কথাপ্রকাশ প্রকাশনীর ইনচার্জ জাফিউল ইসলাম বলেন, “এ বছর নতুন কিছু নন-ফিকশন বই এসেছে। এগুলোর মধ্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের ‘মুক্তি কত দূরে’, বদিউদ্দীন নাজিরের ‘বই প্রকাশে লেখকের প্রস্তুতি’ সাড়া পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের থেকে শুরু করে মধ্যবয়সীরাই এসব বই কিনছে।”

প্রথমা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মুশফিক বলেন, “আমাদের প্রকাশনীতে নন-ফিকশন বই সবচেয়ে বেশি। ফিকশন নেই বললেই চলে। তাই নন-ফিকশন বই আমাদের এখানে ভালো বিক্রি হচ্ছে।

“এ বছর নতুন আসা নন-ফিকশন বইয়ের মধ্যে মহিউদ্দিন আহমেদের ‘একাত্তরের মুজিব’, ‘ইতিহাসের বাঁকবদল একাত্তর ও পঁচাত্তর’ আর আনিসুল হকের ‘লেখক সঙ্গ’ ভালো বিক্রি হচ্ছে। আর পুরনো বইয়ের মধ্যে আকবর আলি খানের ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’ ভালো বিক্রি হচ্ছে। এই বইগুলো ওল্ড এইজ এবং মিড এইজের পাঠকরা বেশি কিনছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমসংখ্যকই এই বইগুলোর ক্রেতা।”

রোববার ছিল অমর একুশে বইমেলার ১৯তম দিন। এদিন নতুন বই এসেছে ৭৫টি। বিকেল সাড়ে ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘গোবিন্দ চন্দ্র দেব এবং ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গাজী আজিজুর রহমান এবং আমিনুর রহমান সুলতান। আলোচনায় অংশ নেন খান মাহবুব, হাসান অরিন্দম, শিহাব শাহরিয়ার, পাপড়ি রহমান ও রাজীব কুমার সরকার। সভাপতিত্ব করেন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।

এদিন লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কামরান হাসান, ফজলুর রহমান, জেবউননেছা ও শিবুকান্তি দাশ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন নূরুন্নাহার শিরীন, সরকার মাসুদ, কাজী আসাদুজ্জামান, কাজী আনারকলি, হাসান শরীফ এবং আসাদ কাজল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন রাশেদ হাসান, রূপশ্রী চক্রবর্তী, দেবাশিস কর ও ঝর্ণা পারুল।

সোমবারের সময়সূচি

সোমবার অমর একুশে বইমেলার ২০তম দিন। এদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নুরুননবী শান্ত। আলোচনায় অংশ নেবেন মিহির মুসাকী, বেলাল হোসেন ও হোসেন আল মামুন। সভাপতিত্ব করবেন লুবনা মারিয়াম।

আরও পড়ুন:
৩ বই না রাখার শর্তে আদর্শকে মেলায় স্টল বরাদ্দের নির্দেশ
বইমেলায় রচনা পারভীনের ‘ঋষি শূন্যতায় সমর্পণ’
বইমেলায় কবি আজিম হিয়ার ‘নিরন্ন আললা’
প্রথম ছুটির দিনেই জমজমাট বইমেলা
বই মেলায় স্টল বরাদ্দ চেয়ে রিট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Protest mass iftar in Jabi

জাবিতে প্রতিবাদী গণ-ইফতার

জাবিতে প্রতিবাদী গণ-ইফতার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বুধবারের গণ-ইফতারে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন। ছবি: নিউজবাংলা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টি আয়োজন নিষেধের বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই গণ-ইফতারের আয়োজন করা হয়।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টি আয়োজন নিষেধের বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়ে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ৪৯তম আবর্তনের (২০১৯-২০২০ সেশন) শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।

গণ-ইফতার কর্মসূচি আয়োজকদের একজন গণিত বিভাগের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাফায়েত মীর বলেন, ‘দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় আবেগ ইফতার মাহফিল নিষিদ্ধ করার যে দুঃসাহস দেখিয়েছে তারই প্রতিবাদে আজকের এই আয়োজন। যারা অসাম্প্রদায়িক দেশে এমন সাম্প্রদায়িক আচরণ করেছে তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।’

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে যুগ যুগ ধরে ইফতার পার্টি হয়ে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় সে রেওয়াজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা তারই প্রতিবাদ জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতারের আয়োজন করেছি।

‘বিভিন্ন বিভাগের শত শত শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ইফতার আয়োজনে অংশ নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে ধর্মীয় আবেগের ওপর হস্তক্ষেপ এদেশের মানুষ কখনোই পরোয়া করে না।’

আরও পড়ুন:
প্রক্টরের অপসারণসহ ৫ দফা দাবি জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
শ্রুতি লেখক পরিবর্তনের অভিযোগে জাবিতে ছয়জনের উত্তরপত্র বাতিল, গ্রেপ্তার ১
জাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু
জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার
যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত জাবি শিক্ষক জনি বরখাস্ত

মন্তব্য

জীবনযাপন
Who won the Oscar

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

যাদের হাতে উঠলো অস্কার লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অস্কার পুরস্কার হাতে সেরা অভিনেতা কিলিয়ান মার্ফি। ছবি: সংগৃহীত
আলোচিত সিনেমা ‘ওপেনহেইমার-এর জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান। একই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন কিলিয়ান মার্ফি। আর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পেয়েছেন ‘পুওর থিংস’ সিনেমার এমা স্টোন।

বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে বসেছে ৯৬তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের আসর। এই আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চলতি বছরে অস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।

সেরা ছবি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ‘ওপেনহাইমার’। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পেয়েছেন ‘পুওর থিংস’ সিনেমার এমা স্টোন।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে সম্মানজনক অস্কার জয় করেছেন ‘ওপেনহাইমার’ ছবির কিলিয়ান মার্ফি।

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

সেরা অভিনেত্রীর অস্কার পুরস্কার জয়ী এমা স্টোনের প্রাপ্তির কান্না। ছবি: সংগৃহীত

একই ছবিতে অভিনয় করে সহ-অভিনেতা হিসেবে অস্কার পেয়েছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। এছাড়া সহ-অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন ‘দ্য হোল্ডওভারস’ ছবির দা’ভাইন জয় র‌্যান্ডল্ফ।

সেরা পরিচালক হিসেবে এ বছরের অস্কার পেয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহাইমার)।

লাইভ অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে ‘দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগারে’।

ধ্বনি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে ‘দ্য জোন অফ ইন্টারেস্ট’-এর টার্ন উইলার্স ও জনি বার্ন।

অরিজিনাল স্কোর ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন ‘ওপেনহাইমার,’-এর লুডভিগ গোরানসন।

এছাড়া মৌলিক সংগীত ক্যাটাগরিতে ‘হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর?’-এর ‘বার্বি’; ভিজ্যুয়াল এফেক্টস ক্যাটাগরিতে ‘গডজিলা মাইনাস ওয়ান’; চলচ্চিত্র সম্পাদনা ক্যাটাগরিতে ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার জেনিফার ল্যাম; প্রামাণ্যচিত্র স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ‘দ্য লাস্ট রিপেয়ার শপ’; ডকুমেন্টারি ফিচার ক্যাটাগরিতে ‘২০ ডে ইন মারিউপোল’; সিনেমাটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে ‘ওপেনহাইমার’-এর হোয়েট ভ্যান হোয়েতেমা পুরস্কার জিতেছেন।

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘ওয়ার ইজ ওভার! ইনসপায়ারড বাই দ্য মিউজিক অব জন ও ইয়োকো’; অ্যানিমেটেড ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন’; মূল চিত্রনাট্য ক্যাটাগরিতে ‘অ্যানাটমি অব আ ফল’-এর জন্য জাস্টিন ট্রিয়েট ও আর্থার হারারি; অভিযোজিত চিত্রনাট্য ক্যাটাগরিতে ‘আমেরিকান ফিকশন’-এর জন্য কর্ড জেফারসন এবার অস্কার জয় করেছেন।

অন্যান্য ক্যাটাগরির মধ্যে মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলিং-এ ‘পুওর থিংস’-এর নাদিয়া স্টেসি, মার্ক কুলিয়ার ও জশ ওয়েস্টন; প্রোডাকশন ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ‘পুওর থিংস’-এর জেমস প্রাইস, শোনা হিথ ও জুসা মিহালেক; কস্টিউম ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ‘পুওর থিংকস’-এর হলি ওয়াডিংটন পুরস্কার পেয়েছেন।

আর আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ‘দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট’ (যুক্তরাজ্য) অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছে।

আরও পড়ুন:
অস্কারে প্রতিযোগিতা করার জন্য সিনেমা আহ্বান
অস্কার কমিটিতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন কাজল-সুরিয়া
যার জন্য চড়কাণ্ড সেই স্ত্রীর সঙ্গেই স্মিথের বিচ্ছেদ!
অস্কারে ১০ বছর নিষিদ্ধ উইল স্মিথ
থাপ্পড়কাণ্ড: অ্যাকাডেমি থেকে পদত্যাগ ‍উইল স্মিথের

মন্তব্য

জীবনযাপন
Science Festival begins at St Gregorys School

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু সেন্ট গ্রেগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে বৃহস্পতিবার বেলুন উড়িয়ে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
মেলার ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে অলিম্পিয়াড, সায়েন্স প্রজেক্ট ডিসপ্লে, বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়াল ম্যাগাজিন কম্পিটিশন ও প্রোজেক্ট আইডিয়া প্রেজেন্টেশন। প্রতিটি ইভেন্টের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট গ্রেগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক বিজ্ঞান উৎসব। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে এই মেলা।

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের গ্রেগরিয়ান সায়েন্স ক্লাব এই আয়োজন করেছে।

বিজ্ঞান মেলায় সেন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস হাই স্কুল, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার্স, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

মেলার ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে অলিম্পিয়াড, সায়েন্স প্রজেক্ট ডিসপ্লে, বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়াল ম্যাগাজিন কম্পিটিশন ও প্রোজেক্ট আইডিয়া প্রেজেন্টেশন। প্রতিটি ইভেন্টের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

বিজ্ঞানমেলায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ৫টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির জন্য কিডস গ্রুপ, পঞ্চম-ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য জুনিয়র গ্রুপ, সপ্তম-অষ্টম শ্রেণির জন্য ইন্টারমিডিয়েট গ্রুপ, নবম-দশম শ্রেণির জন্য সিনিয়র গ্রুপ এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য কলেজ গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ব্রাদার উজ্জ্বল প্লাসিড পেরেরা সি. এস. সি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. শাহজাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোতোয়ালি থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারহানা শাহীন লিপি।

মেলায় প্রায় ২৫০-৩০০টি প্রজেক্ট প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি আয়োজক কমিটি প্রায় ৩৩৫টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছে। প্রজেক্টগুলো মূল্যায়ন করবেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৫ জন শিক্ষক।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

৯ই মার্চ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘটবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. শৌকত আকবর।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক গ্রেগরিয়ান ড. মো. শহিদুল ইসলাম এবং সিএসআরএম-এর পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Bangladesh is showing the way to the world to deal with the climate crisis

‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ’

‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ’ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বুধবার আলোচনা অনুষ্ঠানের ফাঁকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফটোসেশনে ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট। ছবি: নিউজবাংলা
ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট বলেন, ‘জলবায়ু সংকট থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা আগামী দিনে গোটা বিশ্বের সামনে কার্যকর সমাধান হিসেবে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’

‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ যে সমস্যায় ভুগছে এবং তা থেকে উত্তরণে যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা আগামী দিনে গোটা বিশ্বের সামনে কার্যকর সমাধান হিসেবে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’

বুধবার রাজধানীতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট এসব কথা বলেন।

‘টক উইথ স্টুডেন্টস: জেরম ওবেরিয়েট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে লেকচার সেশনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকতারা অংশ নেন।

জেরম ওবেরিয়েট এই আলোচনায় বিশ্বের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্র্যাকের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। সে সঙ্গে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পৃথিবীর উন্নয়নের জন্য এখন থেকেই তৈরি হওয়ার পরামর্শ দেন।

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য কৌশল নিয়ে কাজ করার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে জেরোম ওবেরিয়েটের। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য কৌশলের উন্নয়ন, সম্পদের ব্যবহার এবং কর্মের উৎকর্ষ সাধনে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন তিনি।

লেকচার অনুষ্ঠানে ‘এক্সপ্লোরিং ব্র্যাকস ডিসটিংটিভ অ্যাপ্রোচ টু ডেভেলপমেন্ট, হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড গ্লোবাল সলিডারিটি’ শীর্ষক বক্তব্যে ব্র্যাকের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কার্যক্রমসহ বিভিন্ন দিক শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন জেরম ওবেরিয়েট।

তিনি বলেন, ‘ব্র্যাক এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের ১৬টি দেশে কাজ করছে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ এবং মানবিক ক্ষেত্রে একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে ব্র্যাক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অঞ্চলভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তৈরির মাধ্যমে ব্র্যাক বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করেছে।’

জেরম ওবেরিয়েট তার বক্তব্যে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় অভিযোজন এবং প্রশমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠান শেষে জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

আলোচনা অনুষ্ঠানের পর জেরম ওবেরিয়েট ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারপাসন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি গ্রুপ ফটোসেশনেও অংশ নেন।

মন্তব্য

জীবনযাপন
7 point recommendations to protect nature and natural resources
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় ৭ দফা সুপারিশ

প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় ৭ দফা সুপারিশ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ ও ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ‘টাইম ফর ন্যাচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ছবি: নিউজবাংলা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পোল্যান্ড, ইতালি, জার্মানি থেকে ২৪৫ জন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী সশরীরে এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় ৭ দফা সুপারিশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ-বিজ্ঞানীরা। সুপারিশমালার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ‘টাইম ফর ন্যাচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন পরিবেশের ওপর দুদিনব্যাপী সম্মেলনের আয়োজন করে।

২ ও ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মেলনে গৃহীত সুপারিশমালার তথ্য জানানো হয়েছে।

সুপারিশগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি ইকোসিস্টেম পরিষেবা, সামাজিক সুবিধা এবং জৈবিক সম্পদ সংরক্ষণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পোল্যান্ড, ইতালি, জার্মানি থেকে ২৪৫ জন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী সশরীরে এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। এতে ১২৮টি ওরাল প্রেজেন্টেশন, ৪৮টি পোস্টার প্রেজেন্টেশন, ৬টি কি-নোট পেপারসহ ১৮৩টি গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

সম্মেলনে টেকনিক্যাল সেশনের বেস্ট স্পিকার অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট পোস্টার অ্যাওয়ার্ড এবং আউটস্ট্যান্ডিং রেজাল্টস-এর পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

অংশগ্রহণকারী গবেষক-বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেন।

সম্মেলনে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন প্রধান ও সম্মেলন আয়োজক কমিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী ৭ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।

সুপারিশ-১: প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার সুবিধাগুলো তিনটি বিস্তৃত বিভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে- ইকোসিস্টেম পরিষেবা (পানিসম্পদ সংরক্ষণ, মৃত্তিকা সংরক্ষণ, পুষ্টির সঞ্চয় এবং সাইকেল চালানো, বাস্তুতন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ, দূষণ, ভাঙন ও শোষণ, জলবায়ু স্থিতিশীলতায় অবদান এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনা থেকে পুনরুদ্ধার), জৈবিক সম্পদ (খাদ্য, ওষুধ, বনজ পণ্য, প্রজনন স্টক, জনসংখ্যার জলাধার ও ভবিষ্যতের সম্পদ) এবং সামাজিক সুবিধা (গবেষণা এবং শিক্ষা, বিনোদন, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয়/দার্শনিক মূল্যবোধ)।

সুপারিশ-২: প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর হুমকি প্রশমিত করতে কিছু প্রাকৃতিক বন, জলাভূমি, পাহাড় ইত্যাদি জীববৈচিত্র্যের আবাসস্থল হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা প্রয়োজন; শ্রেণীবদ্ধ এলাকায় সব ধরনের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা উচিত; প্রকৃতি থেকে অপরিকল্পিত সম্পদ সংগ্রহ আর বাড়ানো উচিত নয়; সব ধরনের দূষণ কমাতে হবে; নেটিভ ইকোসিস্টেমকে অবশ্যই এলিয়েন ইনভেসিভ প্রজাতি থেকে রক্ষা করতে হবে।

সুপারিশ-৩: বিদ্যমান প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার জন্য প্রতিটি দেশকে অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে- জৈবিক বৈচিত্র্যের ওপর কনভেনশন, কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অন অ্যানডেঞ্জার্ড স্পেসিস অফ ওয়াইল্ড ফানা অ্যান্ড ফ্লোরা, কনভেনশন অফ ওয়ার্ল্ড কালচারাল অ্যান্ড ন্যাচারাল হেরিটেজ, বন্যপ্রাণীর পরিযায়ী প্রজাতির সংরক্ষণের কনভেনশন, রামসার কনভেনশন, জাতীয় সংরক্ষণ কৌশল, জাতীয় পরিবেশ সুরক্ষা আইন এবং জাতীয় জীববৈচিত্র্য কৌশল কর্মপরিকল্পনা।

সুপারিশ-৪: পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকার কাছাকাছি কোনো উন্নয়ন প্রকল্প চালু করার আগে যথাযথ পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা অবশ্যই করতে হবে।

সুপারিশ-৫: প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের গুরুত্ব এবং এর আবাসস্থল সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

সুপারিশ-৬: অংশগ্রহণমূলক সম্প্রদায় ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়।

সুপারিশ-৭: প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে সমন্বিত গবেষণা প্রয়োজন।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Book sales of 60 million rupees in the fair of 6 million visitors
পর্দা নামল অমর একুশে বইমেলার

৬০ লাখ দর্শনার্থীর মেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি

৬০ লাখ দর্শনার্থীর মেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি অমর একুশে বইমেলার সমাপনী দিনে শনিবার ছিল কেবলই বই কেনার পালা। ছবি: নিউজবাংলা
অমর একুশে বইমেলার এবারের আয়োজনে নতুন বই প্রকাশ হয়েছে ৩ হাজার ৭৫১টি। ৬০০ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। মেলায় ৯ শতাধিক স্টল ও ৬৭০টি প্রকাশনী ছিল।

শেষ হলো বাঙালির প্রাণের অমর একুশে বইমেলা। বিদায়ের সুরে পর্দা নামল এবারের অধিবর্ষের বইমেলায়। একইসঙ্গে শুরু হলো আগামী বছরের ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রতীক্ষা।

চলতি বছরের আয়োজনে ৬০ কোটি টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে। নতুন বই প্রকাশ হয়েছে ৩ হাজার ৭৫১টি। গত বছর মেলায় বিক্রি হয়েছিল ৪৭ কোটি টাকা মূল্যের বেশি। আর নতুন বইয়ের সংখ্যা ছিলো ৩ হাজার ৭৩০টি৷

এবারের মেলায় শুক্রবার (‌১ মার্চ) পর্যন্ত দর্শনার্থীর সংখ্যা ৬০ লাখের কাছাকাছি। নতুন ৬০০ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। মেলায় ৯ শতাধিক স্টল ও ৬৭০টি প্রকাশনী ছিল।

৬০ লাখ দর্শনার্থীর মেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি

শেষ দিন শনিবার বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা মেলে ভিন্ন চিত্র। অন্তিম দিনে ছিলো না অন্যান্য দিনের মতো ভিড়। অন্য দিনের তুলনায় জমেনি মেলাও। দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। স্টলে স্টলে শুধুই ক্রেতা ও পাঠকের ভিড়। বইপ্রেমীদের ব্যাগ ভর্তি বই কিনতে দেখা যায়। অধিকাংশ পাঠককে হাতে বই নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। বই ছাড়া মেলা প্রাঙ্গণ ছাড়ছিলেন না কেউই।

এদিন ব্যস্ত সময় পার করেন বিক্রেতা ও প্রকাশকরা। সঙ্গে ছিলেন লেখকরাও। মেলার শেষ দিন হওয়ায় বই গোছাচ্ছেন কর্মীরা। প্রদর্শনী থেকে বইগুলো প্যাকেজিং করে বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া চলতে থাকে সন্ধ্যার পর থেকেই। তবে বাংলা একাডেমির নির্দেশনায় কোনো প্রকাশনীই এদিন অবশিষ্ট বই মেলা থেকে নিয়ে যেতে পারেনি।

বেশ কয়েকজন বিক্রয়কর্মী জানান, মেলায় শেষ দিন দর্শনার্থী কম হলেও বেচাকেনা ভালো হয়েছে। যারা স্টলে আসছেন তাদের প্রায় সবাই বই কিনেছেন। কেবল ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা খুবই কম।

মেলায় আসা লিমন ইসলাম লিটন বললেন, ‘শেষ দিন মেলায় এসেছি। প্রথম দিকে একবার এসেছিলাম। এখন শুধু তালিকা ধরে বই কিনেছি। এবারের মেলায় এখনও আগের ফিকশনগুলোই চলছে। তবে বইমেলা বেশ ভালো চলেছে বলে মনে হয়েছে।’

শব্দশৈলী প্রকাশনীর প্রকাশক ইফতেখার আমীন বলেন, ‘মেলার সময় বাড়ানোর কারণে বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে। আজ (শনিবার) বই কেনেননি এমন ক্রেতা মেলায় চোখে পড়েনি। প্রবন্ধ, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাস্থ্যবিষয়ক ও বাচ্চাদের নৈতিকতার বই বেশি বেচাকেনা হয়েছে।’

৬০ লাখ দর্শনার্থীর মেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি

অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক মিলন কান্তি নাথ বলেন, ‘বইমেলার সময় বৃদ্ধি করায় বড় বড় প্রকাশনীগুলো লাভবান হয়েছে। আমাদের বেচাকেনা বেশ ভালোই হয়েছে। ক্রেতারা এসেছেন, বই কিনেছেন। এবারের বইমেলা বেশ ভালোভাবেই গেল।’

এদিকে অমর একুশে বইমেলার ৩১তম দিনে শনিবার মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। শেষ দিন মেলায় নতুন বই এসেছে ১৪৯টি।

বিকেল ৫টায় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর সদস্য সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলামের লিখিত প্রতিবেদন পাঠ করেন একাডেমির উপ-পরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম নাহিদ ইজাহার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।

বক্তব্য দেন সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেড-এর সিএমও মীর নওবত আলী।

সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

৬০ লাখ দর্শনার্থীর মেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘এবার ছিল অধিবর্ষের বইমেলা। নির্ধারিত ২৯ দিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অতিরিক্ত দুদিন যুক্ত হয়ে ৩১ দিনের দীর্ঘ বইমেলা শেষ হয়েছে। ২০২৪-এর বইমেলা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ছিল বিস্তৃত, ব্যাপক ও বর্ণাঢ্য।

‘শীতে শুরু হয়ে বইমেলা স্পর্শ করেছে বসন্ত-বাতাস। একুশের রক্তপলাশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্চের চেতনার রং।’

সদস্য সচিব তার প্রতিবেদনে বলেন, ‘মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এবারের বইমেলায় শেষ দিন পর্যন্ত প্রায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। বাংলা একাডেমি বিক্রি করেছে এক কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই।’

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘অমর একুশে বইমেলা বাঙালির ভাষা, শিল্প-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বইমেলার মাধ্যমে প্রতিবছর আমরা আমাদের সৃজনশীলতাকে উদযাপন করি। এই মেলা আমাদের আবেগের, জাতিসত্তার, ভাষা-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসার মেলা।

৬০ লাখ দর্শনার্থীর মেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি

বেগম নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এই মেলা দেখতে দেখতে চার দশক অতিক্রম করে এখন বিশাল আকার ধারণ করেছে। বিশ্ব বাঙালির কাছে যেমন ঠিক তেমনই বিশ্বের জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছেও একুশের বইমেলা এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত।’

মীর নওবত আলী বলেন, ‘বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলার সঙ্গে সহযোগিতায় থাকতে পেরে বিকাশ লিমিটেড আনন্দিত ও গর্বিত।’

খলিল আহমদ বলেন, ‘অমর একুশে বইমেলা কেবল বই বিক্রির জায়গা নয়; দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রাণের মেলা। সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় এবারের মেলা সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।’

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় জীবনের এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা। তথ্য-প্রযুক্তির বিপুল বিকাশের পরও মুদ্রিত বইয়ের আবেদন যে কোনোমতেই ফুরিয়ে যায়নি তার প্রমাণ একুশে বইমেলায় ক্রমবর্ধমান জনসমাগম।

৬০ লাখ দর্শনার্থীর মেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি

গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ প্রদান

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশ-কে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ দেয়া হয়।

২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে মনজুর আহমদ রচিত ‘একুশ শতকে বাংলাদেশ: শিক্ষার রূপান্তর’ গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত ‘যাত্রাতিহাস: বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত’ গ্রন্থের জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত ‘কিলো ফ্লাইট’ প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস-কে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ দেয়া হয়। ২০২৩ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ দেয়া হয় ময়ূরপঙ্খি-কে।

৬০ লাখ দর্শনার্থীর মেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি

এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্যপ্রকাশ (প্যাভিলিয়ন), নিমফিয়া পাবলিকেশন (২-৪ ইউনিট) ও বেঙ্গল বুকস (১ ইউনিট)-কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ দেয়া হয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. শাহাদাৎ হোসেন এবং উপ-পরিচালক সায়েরা হাবীব।

আরও পড়ুন:
বইমেলা ২ দিন বাড়ল
ক্যাটালগ দেখে ‘পছন্দের’ বই সংগ্রহে বইপ্রেমীরা
প্রাণের বইমেলায় বিদায়ের সুর
বই নিয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত তরুণ দর্শনার্থীরা, কিনছেন কম
ছাত্রলীগ পুলিশের বিরুদ্ধে ফ্রিতে দোকান নিয়ে বিক্রির অভিযোগ

মন্তব্য

জীবনযাপন
Where royalty also means loss
আম্বানির ছেলের বিয়ে-পূর্ব আয়োজন

রাজসিকতাও হার মানে যেখানে

রাজসিকতাও হার মানে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকাও উড়ে এসেছেন মুকেশ আম্বানির আমন্ত্রণে। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় ছোট শহর জামনগরে এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি অতিথিকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তিন দিনব্যাপী প্রাক-বিয়ে আয়োজনে। তাদের মধ্যে রয়েছেন পপতারকা রিয়ান্না, বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ, সুন্দর পিচাই, ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং বলিউড তারকা শাহরুখ খানও।

এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ছেলের বিয়ে বলে কথা। বিয়ের প্রধান অনুষ্ঠান শুরুর চার মাস আগেই বরের বাবা মুকেশ আম্বানি প্রাক-বিবাহ আনন্দ উদযাপনে রেকর্ড গড়া রাজসিক সব আয়োজন করে চলেছেন। রাজসিক অভিধায়ও এসব আয়োজনের ব্যাপকতা ও ঔজ্জ্বল্য ধারণ করা কঠিন।

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় ছোট শহর জামনগরে শুক্রবার রাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, হলিউড ও বলিউডের তারকাদের মেলা বসে। বিলিয়নিয়ার শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলের বিয়ে উপলক্ষে বিশাল এক আয়োজন উপলক্ষে জড়ো হন তারা।

এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি অতিথিকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই আয়োজনে। তাদের মধ্যে রয়েছেন পপতারকা রিয়ান্না, বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ, সুন্দর পিচাই, ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং বলিউড তারকা শাহরুখ খানও।

সবার চোখ এখন ২৮ বছর বয়সী অনন্ত আম্বানি ও তার দীর্ঘ সময়ের বান্ধবী রাধিকা মার্চেন্টের ওপর। আগামী জুলাইয়ে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তারা। এনকোর হেলথকেয়ার প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী বীরেন মার্চেন্ট ও উদ্যোক্তা শায়লা মার্চেন্টের মেয়ে রাধিকা।

এই উৎসব আম্বানি পরিবারের জমকালো ও আভিজাত্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি অর্থনীতি ও রাজনীতিতে এই ভারতীয় বিলিয়নিয়ারের যে প্রভাব সেটিও প্রদর্শন করে।

আয়োজনে সীমা ছাড়িয়ে যাওয়াটাই যেন আম্বানির বিশেষত্ব। ২০১৮ সালে মেয়ের বিয়ের সময় পশ্চিম ভারতের শহর উদয়পুরে বিবাহ-পূর্ব জমকালো উৎসবে পপ সেনসেশন বিয়ন্সেকে নিয়ে এসে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন আম্বানি। সে সময় ভারতীয় সেলিব্রিটি ও বলিউড তারকাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও জন কেরি।

সে বছরই ইশা আম্বানি ও আনন্দ পিরামল ইতালির লেক কোমোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বাগদান সম্পন্ন করেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মুম্বাইতে আম্বানির বাসভবনে বিয়ে করেন তারা।

বিয়ে-পূর্ব আয়োজনে বিশেষ যা রয়েছে

আগামী জুলাইতে বিয়ের সময় কেমন জমকালো আয়োজন হতে চলেছে তারই আভাস দিচ্ছে তিন দিনব্যাপী এই প্রাক-বিয়ে আয়োজন।

গুজরাটের কাছেই মরুভূমিতে অবস্থিত ৬ লাখ জনসংখ্যার শহর জামনগরে আম্বানিরা এই উৎসবের আসর বসিয়েছে। যেখানে তাদের পারিবারিক নিবাস এবং তাদের ব্যবসার প্রধান তেল শোধনাগারও রয়েছে।

সেখানে জঙ্গল থিমের পোশাক পরে হবু বর অনন্ত পরিচালিত একটি প্রাণী উদ্ধার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন অতিথিরা। নির্যাতিত, আহত ও বিপন্ন প্রাণীদের বিশেষ করে হাতিদের আশ্রয়ের জন্য ৩ হাজার একর জমির ওপর এই কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে, যা ‘ভানতারা’ বা ‘বনের তারকা’ নামে পরিচিত।

আমন্ত্রণপত্র সূত্রে জানা যায়, অতিথিদের জন্য প্রতিদিন ভিন্ন ও নতুন এক ড্রেস কোড থাকবে। এজন্য তাদের সাহায্য করতে হোটেলে মুড বোর্ড, হেয়ার স্টাইলিস্ট, মেকআপ আর্টিস্ট ও পোশাক ডিজাইনাররা থাকবেন।

একটি মন্দির প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানও হবে।

অতিথিদের অনেকেই চার্টার্ড প্লেনে আসবেন। এই আয়োজনে প্রায় ১০০ শেফের তৈরি ৫০০ ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে।

অতিথিদের তালিকায় আরও রয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন জসিম আল থানি; কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার; ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমা।

বুধবার আশপাশের গ্রামে বসবাসকারী ৫১ হাজার লোকের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে আম্বানি পরিবার।

কে এই মুকেশ আম্বানি?

১১৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক ৬৬ বছর বয়সী মুকেশ আম্বানি ফোর্বস-এর তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের দশম এবং এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।

তার মালিকানাধীন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এক বিশাল সাম্রাজ্য, যার বার্ষিক আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। পেট্রোকেমিক্যাল, তেল-গ্যাস থেকে শুরু করে টেলিকমসহ রিটেইল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।

১৯৬৬ সালে তার বাবার প্রতিষ্ঠিত রিলায়েন্স আম্বানির নেতৃত্বে ২০১৬ সালে ৪জি ফোন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা জিও চালু করার সঙ্গে সঙ্গে টেলিকম মূল্য যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল। বর্তমানে এটি ফাইভ জি পরিষেবা দিচ্ছে এবং গ্রাহক সংখ্যা ৪২০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।

ভারতে নিজেদের ব্যবসা আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে একীভূত করতে ডিজনি এ সপ্তাহের শুরুতে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছে। আর এর মাধ্যমে নতুন একটি মিডিয়া জায়ান্টের জন্ম হতে চলেছে।

আম্বানি পরিবারের অন্যান্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে মুম্বাইতে ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অ্যান্টিলা নামে একটি ২৭ তলাবিশিষ্ট ব্যক্তিগত অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং। এটিতে তিনটি হেলিপ্যাড, একসঙ্গে ১৬০টি গাড়ির ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যারেজ, ব্যক্তিগত সিনেমা থিয়েটার, সুইমিং পুল ও ফিটনেস সেন্টার রয়েছে।

মুকেশ আম্বানি বর্তমানে দুই ছেলে ও মেয়েকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে শুরু করেছেন। বড় ছেলে আকাশ আম্বানি রিলায়েন্স জিওর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর মেয়ে ইশা রিটেইল সেক্টর এবং সর্বকনিষ্ঠ অনন্ত নতুন জ্বালানি শক্তির ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, সত্তর-আশির দশকে কংগ্রেস সরকার এবং ২০১৪ সালের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে রাজনৈতিক সম্পর্কের জোরে আম্বানির প্রতিষ্ঠান বিকাশ লাভ করে। ভারতে এই ব্যবসায়ী নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক সম্পর্ক আম্বানির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নতি লাভ করতে সাহায্য করেছে।

মন্তব্য

p
উপরে