× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Cremation Fair Bagar has been taken over by Katal Bighead
google_news print-icon

পোড়াদহ মেলা: বাগাড়ের দখল নিয়েছে কাতল, বিগহেড

পোড়াদহ-মেলা-বাগাড়ের-দখল-নিয়েছে-কাতল-বিগহেড
পোড়াদহ মেলায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বড় বড় মাছ আমদানি হয়। ছবি: নিউজবাংলা
চারশ’ বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলা এই মেলা প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ বুধবার ইছামতীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়। এটি জামাই মেলা হিসেবেও পরিচিত। পোড়াদহ মেলার মূল আকর্ষণ মাছ। মেলাকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা প্রজাতির মাছ আমদানি হয়। তবে মাছ ছাড়াও মেলায় মিষ্টি, খেলনা থেকে শুরু করে সাংসারিক প্রায় সব ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি হয়ে থাকে।

‘পোড়াদহ মেলাত মানুষ আসেই বাগাড় মাছের জন্য। গত বছর থেকে সে মাছ বিক্রি হচ্ছে না। তাই অন্য মাছের ওপর চাপ পড়ছে। বিগহেড, সিলভারের দাম এবার বেশি। বাগাড় থাকলে এগলা মাছের দাম পেতাম না আমরা।’

কথাগুলো বলছিলেন বগুড়ার গাবতলীর রানীরপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মো. মুছা। উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নে বুধবার সকালে পোড়াদহ মেলায় গিয়ে এই তরুণ মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়।

চারশ’ বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলা এই মেলা প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ বুধবার ইছামতীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলা জামাই মেলা হিসেবেও পরিচিত। এলাকার মেয়ে জামাইরা এই মেলা উপলক্ষে শ্বশুরালয়ে আসেন। তারাই এ মেলার মূল ক্রেতা।

পোড়াদহ মেলার মূল আকর্ষণ মাছ। মেলাকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা প্রজাতির মাছ আমদানি হয়। তবে মাছ ছাড়াও মেলায় মিষ্টি, খেলনা থেকে শুরু করে সাংসারিক প্রায় সব ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি হয়ে থাকে।

পোড়াদহ মেলা: বাগাড়ের দখল নিয়েছে কাতল, বিগহেড
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নে প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ বুধবার বসে ঐহিত্যবাহী পোড়াদহ মেলা। ছবি: নিউজবাংলা

মুছা জানালেন, এবার মেলায় মাছের দাম বেশি। এ জন্য বড় মাছের ক্রেতা কম। তবে বাগাড় মাছ থাকলে কার্প জাতীয় মাছের দাম কম পেতো ক্রেতারা। বড় আকারের বিগহেড, কাতল, রুই- এগুলো এক হাজার টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

মেলা ঘুরে এবার ৪০ কেজি ওজনের গ্রাসকার্প মাছ পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, এটিই এবারের মেলার সবচেয়ে বড় মাছ।

মাছটি মেলায় এনেছেন বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘নাটোরের বিল থেকে আনা হয়েছে গ্রাসকার্প মাছটি। এর ওজন ৪০ কেজি। দাম চেয়েছি প্রতি কেজি ২ হাজার টাকা।

অন্য মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, মেলায় আইড় মাছ দুই হাজার টাকা, চিতল ও বোয়াল ১৫শ’ টাকা করে দাম চাওয়া হচ্ছে। ছোট সাইজের সিলভার কার্প ৪০০, গ্রাসকার্প ২৫০, বিগহেড ৮৫০ দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।

২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের এক বিজ্ঞপ্তিতে বাগাড় মাছকে মহাবিপন্ন ঘোষণা করা হয়। ক্রয়-বিক্রয়ে বিধিনিষেধের কারণে এরপর থেকে পোড়াদহ মেলায় ব্যবসায়ীরা বাগাড় মাছ আনছেন না।

তবে এর মধ্যে এক ব্যবসায়ী কয়েকটি বাগাড় মাছ মেলায় নিয়ে আসেন। পরে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের অভিযানে মাছগুলো জব্দ করা হয়। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আফতাবুজ্জামান আল ইমরান।

গাবতলী থানার ওসি সনাতন দাস বলেন, ‘আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৬০ হাজার টাকা মূল্যের চারটি বাগাড় মাছ জব্দ করেন। এই মাছ বিক্রির চেষ্টার জন্য শুক্রা সাকিদার নামে এক ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মাছগুলো মহিষাবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের হেফাজতে রয়েছে।’

পোড়াদহ মেলা: বাগাড়ের দখল নিয়েছে কাতল, বিগহেড
পোড়াদহ মেলার আরেক বড় আকর্ষণ একেকটি বিশাল আকারের মাছ মিষ্টি। ছবি: নিউজবাংলা

পোড়াদহ এলাকায় সূর্য ওঠার পর থেকেই মানুষের ভিড় জমে ওঠে। বেলা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভিড় বাড়তে থাকে। পোড়াদহ মেলার আরেক নাম জামাই মেলা। সঙ্গত কারণে মেলার প্রধান ক্রেতা হলেন এলাকার জামাই।

স্থানীয়রা জানান, মেলা উপলক্ষে পোড়াদহের আশপাশের সব গ্রামে উৎসবের ধুম লেগে যায়। প্রত্যেক বাড়ির জামাইদের দাওয়াত করা হয়। এছাড়াও অন্য আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করে আপ্যায়ন করেন স্থানীয়রা।

মেলায় ঘুরতে আসা এমন এক ব্যক্তি রেজাউল ইসলাম। তিনি বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। পোড়াদহের পাশে মহিষাবান গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি।

রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দশ বছর হয়েছে বিয়ে করেছি। প্রতি বছরই মেলায় দাওয়াত পাই। যত কাজ থাকুক, আমাদের আসতে হয় মেলায়। মেলা উপলক্ষে আমরা মাছ-মাংস ও মিষ্টি কিনি। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরে বেড়াই।’

এ দাওয়াত ধনী-গরিব সব বাড়ির লোকজনেরাই করে থাকেন বলে জানান রেজাউল।

গাজীপুর থেকে মেলায় বেড়াতে এসেছেন মাসুদ রানা। এর আগে কখনও এত বড় মেলা দেখেননি তিনি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এই চাকুরে বলেন, ‘আমার শ্বশুরবাড়ি পাশের সারিয়াকান্দি উপজেলায়। এই মেলার কথা অনেক শুনেছি। এবারই প্রথম এলাম। এখনও কিছু কিনিনি। ঘুরে দেখছি।’

পোড়াদহ মেলার মিষ্টিরও সুনাম আছে। এ মেলায় হরেক রকমের মিষ্টি নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। এসব মিষ্টির নামও থাকে বাহারি।

মিষ্টির দোকানি আব্দুল হাকিম বলেন, ‘পোড়াদহের মেলায় মাছ মিষ্টির চাহিদা বেশি। একেকটি ১০ কেজি ওজনের এই মিষ্টির দাম ধরা হয়েছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা। এ ছাড়া বালিশ মিষ্টি, চমচম, রসগোল্লাও আছে। এগুলো ১৮০ থেকে ৪০০ টাকা দরের।’

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, প্রায় ৪০০ বছর আগে মেলার স্থানটিতে একটি বিশাল বটবৃক্ষ ছিল। সেখানে একদিন হঠাৎ এক সন্ন্যাসীর আবির্ভাব ঘটে। পরে সেখানে আশ্রম তৈরি করেন সন্ন্যাসীরা। একপর্যায়ে স্থানটি পুণ্যস্থানে পরিণত হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে।

প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবার ওই স্থানে সন্ন্যাসী পূজার আয়োজন করে হিন্দু সম্প্রদায়। ছুটে আসেন দূর-দূরান্তের ভক্তরা। দিন যত যায়, স্থানটিতে লোকজনের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। এভাবেই গোড়াপত্তন ঘটে পোড়াদহ মেলার।

মেলাটি এক দিনের জন্য হলেও পরদিনই একই স্থানে বউ মেলা বসে। এ সময় সাধারণত নারীরা তাদের নানারকম পণ্য কিনে থাকেন।

পোড়াদহ মেলার সভাপতি ও মহিষাবান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘চার শ বছর ধরে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মেলায় অন্তত ২ হাজার দোকান বসছে, যার মধ্যে অন্তত ৪০০টি মাছের দোকান। মেলায় আলাদা করে কোনো ডাক হয় না।

‘মেলার স্থানের অন্তত ৫০ জন জমির মালিক বা জোতদার আছেন। তারাই মেলার দোকানগুলো বসাতে দেন ব্যবসায়ীদের। মেলাটি মূলত মাছের জন্য এবং প্রচুর মাছও বিক্রি হয় এখানে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারও কোটি টাকার মাছ বিক্রি হবে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Ex students of Narandia School at Ananda Mela in Milan

মিলনের আনন্দমেলায় নারান্দিয়া স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা

মিলনের আনন্দমেলায় নারান্দিয়া স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা শুক্রবার ধানমণ্ডির স্টার কাবাব হোটেলের সম্মেলন কক্ষে মিলিত হন নারান্দিয়া টিআরকেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানের পুরোটা জুড়ে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে ২০০৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলনে এক লম্বা পরিসরের জীবন্ত হয়ে ওঠা চিত্র প্রদর্শনী যেন চলল কক্ষটিতে। সাদাকালো থেকে ক্রমেই বর্ণিল হয়ে ওঠা অপূর্ব এক চলচ্চিত্র চলল যেন। আর তা তৃতীয় নয়ন দিয়ে প্রাণভরে উপভোগ করলেন উপস্থিত সাবেক দর্শকেরা।

নারান্দিয়া টিআরকেএন উচ্চ বিদ্যালয়। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু ১৯৫৮ সালের প্রথম দিনটিতে। দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে স্কুল ঘর। পূর্বদিকে বাজার ও লোকালয়। মাঝে বিশাল খেলার মাঠ। উত্তর পাশ ঘেঁষে জনচলাচলের পথ।

স্কুল ভবন থেকে উত্তরে দৃষ্টি দিলেই সামনে বিস্তীর্ণ নিচু জলাভূমি আর সবুজে ঘেরা ফসলের মাঠ। তারই একপাশে ভীত-সন্ত্রস্ত শিশুর মতো হাত গুটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বিদ্যালয়টির অবস্থা আর আগের মতো নেই। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে চারপাশের অনেক কিছুই বদলে গেছে; বদলেছে বিদ্যালয়ের চেহারাও। কালের আবর্তে নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘অ্যান্ড কলেজ’।

মহাকালের অমোঘ ডাকে সাড়া দিয়ে হারিয়ে গেছে বিদ্যালয়টির পুরনো অনেক ঐতিহ্য। দিন বদলের পরিক্রমায় ভোল পাল্টে হয়েছে আধুনিক। উত্তরের দিগন্ত বিস্তৃত সেই মাঠ, জলাভূমি হারিয়েছে নতুন ভবনের আড়ালে। আগের সেইসব মানুষের অনেকে হারিয়ে গেছেন কালের গর্ভে।

জীবনের তাগিদে এলাকা ছেড়ে অনেকেই হয়েছেন বিস্মৃত। তাদেরই অনেকেই জীবন-জীবিকাকে কেন্দ্র করে হয়েছেন রাজধানী ঢাকা বাসিন্দা। পুনর্মিলনীর ব্যানারে সেই মানুষগুলো একসঙ্গে হয়ে আবেগে ভাসলেন।

হ্যাঁ, মুছে যাওয়া দিনগুলির পিছুডাক উপেক্ষা করতে না পেরে স্মৃতির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ঢাকায় বসবাসরত নারান্দিয়া স্কুলের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা।

মিলনের আনন্দমেলায় নারান্দিয়া স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকেই ধানমণ্ডির স্টার কাবাব হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষ পরিণত হয়েছিল স্মৃতির অতল গহ্বর থেকে উঠে আসা বিশাল ব্যাপ্তির এক প্যানোরামায়।

পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানের পুরোটা জুড়ে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে ২০০৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলনে এক লম্বা পরিসরের জীবন্ত হয়ে ওঠা চিত্র প্রদর্শনী যেন চলল কক্ষটিতে। সাদাকালো থেকে ক্রমেই বর্ণিল হয়ে ওঠা অপূর্ব এক চলচ্চিত্র চলল যেন। আর তা তৃতীয় নয়ন দিয়ে প্রাণভরে উপভোগ করলেন উপস্থিত সাবেকরা।

মিলনের আনন্দমেলায় নারান্দিয়া স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।

শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই সপরিবারে স্টার কাবাবে উপস্থিত হতে থাকেন বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে বিকেল ৪টায় শুরু হয় অনুষ্ঠান।

প্রায় ৮০টি পরিবারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের শুরুটা হয় নারান্দিয়া টিআরকেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সে সময়ের শিক্ষকদের স্মরণের মধ্য দিয়ে। শ্রদ্ধেয় সেসব শিক্ষকের অধিকাংশই আজ আর বেঁচে নেই।

বরেণ্য সেই শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক, সহকারী প্রধান শিক্ষক সেকান্দার আলী ও মো. আব্দুল হামিদ, মোজাফ্‌ফর হোসেন তালুকদার, প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল খালেক, সহকারী শিক্ষক বিশ্বেশ্বর তালুকদার, মো. মকবুল হোসেন, মো. মফিজুর রহমান, মো. ফজলুল হক, রামেন্দ্রনাথ মজুমদার, মো. মোজাম্মেল হক, অধ্যক্ষ ফজলুল হক, সহকারী শিক্ষক মনোয়ার হোসেন, মৌলভী মো. জামসেদ আলী, মুজিবর রহমান, মৌলভী ওয়ারেছ হোসেন আনসারী, প্রাণগোপাল বিএসসি।

তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে দোয়া-মোনাজাত করা হয়। একইসঙ্গে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের মাঝে যারা আজও বেঁচে আছেন তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।

মিলনের আনন্দমেলায় নারান্দিয়া স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা
নারান্দিয়া টিআরকেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এর পর শিক্ষকদের নিয়ে জ্যেষ্ঠ সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করেন। সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে সবাই যোগ দেন হালকা চা-নাশতার টেবিলে।

মাঝে নামাজের বিরতি দিয়ে এরপর শুরু হয় পরিচিতি পর্ব। এই পর্বে এসে জানা যায়, নারান্দিয়া টিআরকেএন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা একেকজন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। বিচারক, সেনা কর্মকর্তা, বিসিএস ক্যাডার, চিকিৎসক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, ব্যাংকার, প্রকৌশলী- একে একে উঠে আসে একেকজনের বর্ণিল কর্মজীবনের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা আর সাফল্যের চিত্র।

আলোচনা আর পরিচিতি পর্বে সাবেকরা বার বার হারিয়ে যাচ্ছিলেন তাদের প্রিয় বিদ্যালয়ের স্মৃতিঘেরা অতীতে। আবেগে কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসছিল কারও কারও। নিঃশব্দে কারও কারও চোখের ধার বেয়ে আসে নোনা জলের স্রোত। শিরা-উপশিরায় বিদ্যুৎগতিতে বয়ে যাচ্ছিল রুধির ধারা। আবেগের এই বিচ্ছুরণে পরিবারের এই প্রজন্মের নবীন সদস্যদের চোখে ছিল অবাক দৃষ্টি। অনুভূতি আর বিহ্বলতার মিশেলে সে এক দেখার মতো পরিবেশ।

মিলনের আনন্দমেলায় নারান্দিয়া স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা

অনুষ্ঠানের শেষে ছিল র‌্যাফেল ড্র। পুরস্কার হিসেবে তুলে দেয়া জিনিসটির দাম ছাপিয়ে একেকটি নগণ্য উপহারও পঞ্চাশ/ষাটোর্ধ্ব মানুষগুলোর আনন্দ-উচ্ছ্বাসে হয়ে উঠছিল অমূল্য। নিজেদের সন্তান, এমনকি নাতি-নাতনিদেরও অবাক করে দিয়ে তাদের সামনেই যেন চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর বয়স কমে একেকটি শিশু-কিশোরে পরিণত হচ্ছিলেন তারা।

জীবনের রঙ্গমঞ্চে কর্মব্যস্ততা আর গম্ভীর অভিভাবকের ভূমিকা পালন করা মানুষগুলো যে এতটা আমোদপিয়াসী, তাদের শিশুসুলভ হাসি আর প্রাণবন্ততা দেখে নতুন প্রজন্মের চোখ বড় বড় হয়ে যাচ্ছিল বার বার।

পুরো আয়োজনে সবটুকু সময়েই তারা বার বার ফিরে যাচ্ছিলেন স্কুল জীবনের সেই উদ্দাম-উচ্ছল শৈশবে। গভীর অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন যেকোনো মানুষই দেখতে পারত, তাদের চোখের সামনে ভাসতে থাকে স্কুলের সেই দিনগুলোর স্মৃতিময় নানা ঘটনা- উত্তরের দিগন্ত বিস্তৃত সেই মাঠ, জলাভূমি আর হাওয়ায় দোল খাওয়া কচি ধানপাতার দৃশ্য। সাবেক শিক্ষার্থীরা সেসব দিনের স্মৃতি আজও বুকে লালন করেন। তাদের আলাপচারিতায় উঠে আসে তা বার বার।

মিলনের আনন্দমেলায় নারান্দিয়া স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা
র‌্যাফেল ড্রয়ের পর বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনার কেন্দ্রে ছিলেন জ্যেষ্ঠ জেলা জজ ইসমাইল হোসেন। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা সবুর হোসেন চৌধুরী ও সহ-আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন। ৮০’র ব্যাচের এই সাবেকদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।

অনুষ্ঠানটি সফলভাবে আয়োজন ও তা সর্বাঙ্গীন সুন্দররূপে সমাধা হওয়ার পেছনে আরও অনেকের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তাদের নাম লিখতে গেলে তালিকাটা বেশ দীর্ঘই হবে।

সব মিলিয়ে ১৯৭২ ব্যাচের শিক্ষার্থী থেকে ২০০৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী- সবাই যার যার অবস্থান থেকে এই আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

মিলনের আনন্দমেলায় নারান্দিয়া স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা

এই ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতে আরও হওয়া উচিৎ বলে অনুষ্ঠানে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ডিসেম্বরে বৃহত্তর কলেবরে ফ্যামিলি-ডে করার পরিকল্পনাও নেয়া মৌখিকভাবে।

সবশেষে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন।

ঢাকায় এ অনুষ্ঠানে আসতে চেয়েও যাদের হতাশ হতে হয়েছে, তাদের কথা বিবেচনা করেই আরও বড় পরিসরে আনন্দ ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন নারান্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অতীত ধারণ করে ভবিষ্যৎকে হাতে ধরে গড়ে তোলা তারুণ্যে ভরপুর একদল সাবেক শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন:
৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কলতানে মুখর জনতা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়

মন্তব্য

জীবনযাপন
ATS Expo the first single industry fair in the country has come down

পর্দা নামল এটিএস এক্সপোর

পর্দা নামল এটিএস এক্সপোর আইসিসিবি-তে শনিবার এটিএস এক্সপো’র সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী ‌এবং অন্যান্য অতিথি ও কর্মকর্তাবৃন্দ। ছবি: সংগৃহীত
সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এটিএস এক্সপোতে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশও ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্ট ও টেকনোলজি পণ্য তৈরির সক্ষমতা দেখিয়েছে। ওয়ালটনের সামনে এগিয়ে যাওয়ার বিশাল ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।’

দেশের প্রথম একক শিল্পমেলা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি (এটিএস) এক্সপো-২০২৩’ শেষ হয়েছে।

তিন দিনব্যাপী এই শিল্পমেলার আয়োজনে ছিল ওয়ালটন। দেশি-বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই আয়োজন। সার্বিকভাবে সফলতা পেয়েছে এটিএস এক্সপো।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর কুড়িলে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) হল-১ এ আয়োজিত ‘এটিএস এক্সপো-২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

এটিএস এক্সপো’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ালটন লাসভেগাসের ফেয়ারে অংশগ্রহণ করেছে, জার্মানিতে পণ্য রপ্তানি করেছে। এসব সংবাদ যখন শুনি তখন খুব গর্ববোধ করি। আগে ভাবতাম জাপান, চীন এসব দেশ টেকনোলজি পণ্য ও কম্পোনেন্টস তৈরি করতে পারবে; আমরা পারবো না।

‘কিন্তু এটিএস এক্সপোতে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশও ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্ট ও টেকনোলজি পণ্য তৈরির সক্ষমতা দেখিয়েছে। ওয়ালটনের সামনে এগিয়ে যাওয়ার বিশাল ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ওয়ালটন এই এক্সপোতে সেই ক্ষমতা দেখালো। জাপান, জার্মানি, আমেরিকা, ভারত- সব দেশের সঙ্গে সমানতালে বাংলাদেশকে সম্মানের সঙ্গে এগিয়ে নেয়ার অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ওয়ালটন।’

এটিএস এক্সপোতে চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ২১টি স্টলে ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও টেস্টিং ফ্যাসিলিটিস প্রদর্শন করা হয়।

এসবের অধিকাংশই প্রায় সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধাপে প্রধান কাঁচামাল ও কম্পোনেন্টস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আমদানি বিকল্প গুণগতমানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস ও টেস্টিং সলিউশনস প্রদানের মাধ্যমে আমদানিনির্ভরতা হ্রাসের মাধ্যমে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও দেশীয় শিল্পের ক্ষমতায়নে অবদান রাখবে ওয়ালটন।

আরও পড়ুন:
সাউথ কোরিয়ায় টিভি রপ্তানি শুরু ওয়ালটনের
ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা এটিএস এক্সপো শুরু ১০ আগস্ট
ঈদের কেনাকাটার তালিকায় ওয়ালটনের ফ্রিজ
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে উপহার পেলেন নতুন গাড়ি
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন

মন্তব্য

জীবনযাপন
Walton is the icon of Bangladesh
দেশের প্রথম একক শিল্পমেলা এটিএস এক্সপো উদ্বোধন

‘ওয়ালটন বাংলাদেশের আইকন’

‘ওয়ালটন বাংলাদেশের আইকন’ আইসিসিবি-তে বৃহস্পতিবার ‘এটিএস এক্সপো-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেলুন উড়াচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী ও অন্য অতিথিবৃন্দ। ছবি: নিউজবাংলা
আইসিসিবি-তে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এটিএস এক্সপোতে ২১টি স্টলে ওয়ালটনের তৈরি ৫০ হাজারের বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও টেস্টিং ফ্যাসিলিটিস প্রদর্শন করা হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, ‘ওয়ালটন বাংলাদেশের আইকন। আমাদের কাছে একটা বিষ্ময় ও আলোকবর্তিতা। এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক পণ্য নেই যা ওয়ালটন তৈরি করছে না। ওয়ালটনের জন্য দেশের বিলিয়ন ডলারের আমদানি ব্যয় সাশ্রয় হয়েছে। ব্যাপকসংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের রপ্তানি আয় ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ওয়ালটন আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি এক্সপো (এটিএস) ২০২৩’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশি-বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটন উৎপাদিত ৫০ হাজারের বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, টেস্টিং ল্যাব ও ফ্যাসিলিটি তুলে ধরার লক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী এই আয়োজন চলবে শনিবার পর্যন্ত।

এটিএস এক্সপোতে চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ২১টি স্টলে ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারের বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও টেস্টিং ফ্যাসিলিটিস প্রদর্শন করা হচ্ছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এটিএস এক্সপো’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম ও নিশাত তাসনিম শুচী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার, ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল. আউসান জেআর, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রমুখ।

এটিএস এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ালটনের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ওয়ালটনের উচ্চ প্রশিক্ষিত দক্ষ প্রকৌশলীরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজে ৫০ হাজারের বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস তৈরি করছেন। এসব কম্পোনেন্টস দেশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানও যেন কাজে লাগাতে পারে সেজন্য এটিএস এক্সপো আয়োজনের এই উদ্যোগ।

ওয়ালটনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো বাংলাদেশী ব্র্যান্ড তার টেকনোলজি ও সলিউশন দিয়ে সক্ষমতা প্রদর্শনের আয়োজন করেছে। এটিএস এক্সপোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প খাত, দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা তুলে ধরা হচ্ছে।’

বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলাদেশের যে উত্থান তার পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে ওয়ালটন। তারা দেশে হাজার হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কারিগরি ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের জন্য এখন দেশের ভেতরেই কর্মসংস্থান তৈরি করেছে ওয়ালটন। উদ্ভাবন ও গবেষণায় ওয়ালটন আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।’

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অনেকদূর এগিয়ে গেছে। দেশে ব্যবসা-বান্ধব পলিসি এবং শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ওয়ালটন। সরকারের ব্যবসা-বান্ধব পলিসির কারণেই ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠান এই পর্যায়ে আসতে পেরেছে। ওয়ালটন দেশের চাহিদা মিটিয়ে অনেক দেশে তাদের পণ্য রপ্তানি করছে। এটা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়।’

ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, “ওয়ালটন এখন দেশের শীর্ষ ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড। তারা দেশেই ইলেকট্রনিক্স পণ্য, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস ও সলিউশনস উৎপাদন করছে। তারা দেশের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প খাতেও সার্ভিস দিচ্ছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়ালটনের প্রবৃদ্ধি গর্ব করার মতো। বিশ্ববাজারে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত পণ্যের পরিচিতিতে বিশেষ অবদান রাখছে ওয়ালটন।”

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ওয়ালটন ৫০ হাজারের বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস তৈরি করছে তা সত্যিকার অর্থে এক বিশাল ব্যাপার। বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি ওয়ালটনের হাত ধরে আর‌ো বহুদূর এগিয়ে যাবে।’

ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল. আউসান জেআর বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে ওয়ালটন।

ফিলিপাইনের বাজারেও ওয়ালটনের ব্যবসা সম্প্রসারণের আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

আরও পড়ুন:
দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক শিল্পমেলা ‘এটিএস এক্সপো’ আয়োজন করছে ওয়ালটন
সাউথ কোরিয়ায় টিভি রপ্তানি শুরু ওয়ালটনের
ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছাতে নেতৃত্ব দেবেন ব্যবসায়ীরা: গোলাম মুর্শেদ
শ্যামলীতে ওয়ালটন মোবাইলের ব্র্যান্ড শপ ‘এ জে টেলিকম’
ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা এটিএস এক্সপো শুরু ১০ আগস্ট

মন্তব্য

জীবনযাপন
Atlabs second international conference is in July

অ্যাটলেবের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন জুলাইয়ে

অ্যাটলেবের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন জুলাইয়ে প্রফেসর ইমেরিটাস ড. এ. এফ. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে অ্যাটলেব সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
‘টিচিং, থিংকিং লিটারেচার্স’ প্রতিপাদ্য ও ইংরেজিতে সাহিত্যের তৃতীয় স্তরের শিক্ষকদের মধ্যে স্থায়ী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে অ্যাটলেব। ২৮ ও ২৯ জুলাই অনুষ্ঠেয় সংগঠনটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে।

অ্যাসোসিয়েশন অফ টিচার্স অফ লিটারেচার ইন ইংলিশ বাংলাদেশ (অ্যাটলেব) একটি সাহিত্য সংগঠন। স্বেচ্ছাসেবী, অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংগঠনটি বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে নতুন। এর সদস্যরা শিক্ষক হিসেবে বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে তৃতীয় স্তরে ইংরেজিতে সাহিত্য পড়াচ্ছেন।

করোনা মহামারির সময়ে ২০২১ সালের জুলাই মাসে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অ্যাটলেব গঠিত হয়। আর ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ‘টিচিং, থিংকিং লিটারেচার্স’ প্রতিপাদ্য ও ইংরেজিতে সাহিত্যের তৃতীয় স্তরের শিক্ষকদের মধ্যে স্থায়ী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।

অ্যাটলেব-এর লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে- ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ এবং উৎসাহ সৃষ্টি করা এবং বাংলাদেশে ইংরেজি সাহিত্য অধ্যয়নকে অনুপ্রাণিত করা; ইংরেজিতে বাংলাদেশি লেখা এবং বাংলাদেশের কম প্রতিনিধিত্বশীল সম্প্রদায়ের সাহিত্যের ওপর গবেষণার প্রচার করা; সাহিত্যকর্মের ইংরেজি থেকে এবং অনুবাদে উৎসাহিত করা এবং এই দক্ষতাগুলো বিকাশের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করা।

লক্ষ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের জন্য অ্যাটলেব সাহিত্য সমাবেশ, সম্মেলন (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক), প্রশিক্ষণ/ওয়ার্কশপ, অনুবাদ, জার্নাল প্রকাশনা এবং সহযোগিতামূলক গবেষণার ব্যবস্থা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পেশাদার নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অ্যাটলেব প্রায় দুই বছর ধরে কাজ করছে। আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাহমিনা আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য রয়েছেন।

ওয়ার্কিং কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ফায়েজা হাসানাত (ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা), নেভিন ফরিদা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), জেরিন আলম (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মো. রেজাউল হক (সেন্ট জন ইউনিভার্সিটি), মাসউদ আক্তার (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), মো. সাবিহা হক (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়), ফারহানাজ রব্বানী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অসীম দত্ত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।

আরও রয়েছেন- আবদুল্লাহ আল মামুন (যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), এম সাখাওয়াত হোসেন (নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়), সানজিদা হোসেন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), সাদিয়া আফরিন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি), মাহাবুবা রহমান (শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি), মোহাম্মদ নুরুল হক (ইডেন মহিলা কলেজ), মো. নাদিমুল হক (সরকারি তিতুমীর কলেজ), খাদিজা আক্তার (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়), মো. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আখন্দ (ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি) ও কাজী ফখেরা নওশীন (কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়)।

চারজন সিনিয়র শিক্ষাবিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি উপদেষ্টা বোর্ড সংগঠনের সামগ্রিক কার্যকারিতার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান এবং তত্ত্বাবধান করেন। তারা হলেন- অধ্যাপক নিয়াজ জামান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক কায়সার হামিদুল হক, অধ্যাপক ফকরুল আলম, অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, অধ্যাপক মোহিত উল আলম, অধ্যাপক শফি আহমেদ ও অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম। দেশ-বিদেশের তৃতীয় পর্যায়ের শতাধিক শিক্ষক এর সদস্য।

আগামী ২৮ ও ২৯ জুলাই অ্যাটলেব ‘টিচিং ইংলিশ লিটারেচার অ্যান্ড ইন্টারডিসিপ্লিনারিটি’ (ইংরেজি সাহিত্য এবং আন্তঃবিষয়ক শিক্ষাদান) শীর্ষক দুদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। সম্মেলনটি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলনের মূল বক্তারা হলেন- প্রফেসর ক্লেয়ার চেম্বার্স, ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্ক, যুক্তরাজ্য ও প্রফেসর রাজীব এস পাটকে, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর।

মন্তব্য

জীবনযাপন
96 people did not return

আর কোনোদিনই ফেরা হবে না ৯৬ জন হাজির

আর কোনোদিনই ফেরা হবে না ৯৬ জন হাজির পবিত্র হজব্রত পালন রোববার পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৩ হাজার ৬২৭ জন হাজি। ফাইল ছবি
সৌদি আরবে রোববার পর্যন্ত মোট ৯৬ জন বাংলাদেশি হাজি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৮০, মদিনায় ৫, জেদ্দায় ১, মিনায় ৭, আরাফায় ২ ও মুজদালিফায় একজন মারা যান।

চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন। তাদের মধ্যে রোববার পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৩ হাজার ৬২৭ জন হাজি। তবে তাদের মধ্যে ৯৬ জন হাজির আর কোনোদিনই দেশে ফেরা হবে না।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালে প্রকাশিত বুলেটিন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

বুলেটিনে বলা হয়, রোববার পর্যন্ত মোট ফিরতি ফ্লাইট সংখ্যা ছিল ৮৮টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট ৩৩টি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট ৩৬টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট ১৯টি।

চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এদিন পর্যন্ত ৯৬জন হজযাত্রী ও হাজি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৭২ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী।

৯৬ জনের মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ৮০ জন। এ ছাড়া মদিনায় পাঁচজন, জেদ্দা একজন, মিনায় সাতজন, আরাফায় দুইজন ও মুজদালিফায় একজন বাংলাদেশি মারা যান।

সৌদি আরবে সবশেষ রোববার মারা যান তিনজন বাংলাদেশি হাজি। তারা হলেন- মমতাজ করিম, মো. নাজমুল আহসান ও আক্তার উদ্দিন আহমেদ।২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলাদেশ থেকে ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যান।

হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২ জুলাই শুরু হয়। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।

হজ বুলেটিনে আরও জানানো হয়, মক্কায় বাংলাদেশ হজ অফিসে রোববার রাত ১০টার দিকে ধর্ম সচিব হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ থেকে আসা হাজিদের নির্বিঘ্নে দেশে ফেরা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) এবং প্রশাসনিক দলের দলনেতা মো. মতিউল ইসলাম, কাউন্সিলর (হজ) জহিরুল ইসলাম, হজ প্রশাসনিক দলের সদস্য, হাবের সভাপতি, চিকিৎসক ও আইটি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
৪৭,৩৭৪ জন হজযাত্রী সৌদিতে পৌঁছেছেন
হজযাত্রীদের যেসব নির্দেশনা দিল সৌদি
ফ্লাইট মিস ১৪০ হজযাত্রীর, গুনতে হবে বাড়তি ৬০ লাখ টাকা
৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বিমানের প্রথম ফ্লাইট
হজের ফ্লাইট শুরু রোববার

মন্তব্য

জীবনযাপন
ISD fair in solidarity

একাত্মবোধের প্রত্যয়ে ‘আইএসডি ফেয়ার’

একাত্মবোধের প্রত্যয়ে ‘আইএসডি ফেয়ার’ আইএসডি প্রাঙ্গণে শুক্রবার আয়োজিত ফেয়ারে নৃত্য পরিবেশনা। ছবি: নিউজবাংলা
ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-আইএসডি প্রাঙ্গণে শুক্রবার অনুষ্ঠিত ফেয়ারে বিনোদনমূলক খেলা, লাইভ মিউজিক, সার্কাস, পাপেট-শো ছাড়াও ছিল নানা পরিবেশনা। এছাড়াও ছিল দেশীয় কারুশিল্প, পোশাকের ব্র্যান্ড, বই ও কনফেকশনারির প্রায় ৬০টি স্টল।

কমিউনিটির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আবারও ‘আইএসডি ফেয়ার’ আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)। শুক্রবার স্কুল প্রাঙ্গণে এই ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেলায় বিনোদনমূলক খেলার আয়োজন, লাইভ মিউজিক, সার্কাস ও পাপেট-শো ছাড়াও ছিল উপভোগ্য নানা পরিবেশনা। এছাড়াও এতে ছিল দেশীয় কারুশিল্প, পোশাকের ব্র্যান্ড, বই ও কনফেকশনারির প্রায় ৬০টি স্টল।

একাত্মবোধের প্রত্যয়ে ‘আইএসডি ফেয়ার’
আইএসডি ফেয়ারে লাইভ পারফরম করেন ব্যান্ড ইনডালো’র ভোকালিস্ট জন কবির। ছবি: নিউজবাংলা

মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল জনপ্রিয় ব্যান্ড ইনডালো’র ভোকালিস্ট ও গিটারিস্ট জন কবিরের লাইভ পারফরমেন্স। মেলায় আগত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কমিউনিটি সদস্যরা নাগরদোলা, পাপেট-শো, ম্যাজিক-শো, আর্কেড ও ভিআর গেমসসহ বিভিন্ন শো ও খেলা উপভোগ করেন।

দিনব্যাপী এ আয়োজনের কো-স্পন্সর ছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ও স্টেপ মিডিয়া লিমিটেড। এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার হিসেবে ছিল ওয়ান্ডারল্যান্ড ও টগি ফান ওয়ার্ল্ড এবং আইসক্রিম পার্টনার ছিল সেভয় আইসক্রিম।

মন্তব্য

জীবনযাপন
CUB celebrates Cutlers birthday

কটলারের জন্মদিন উদযাপনে সিইউবি

কটলারের জন্মদিন উদযাপনে সিইউবি ফিলিপ কটলারের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অংশের আলোচকবৃন্দ।
এশিয়া মার্কেটিং ডে-২০২৩ এবং আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলারের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে ১৭টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এশিয়ান মার্কেটিং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই আয়োজনে সহায়তা করে মার্কেটিং সোসাইটি অফ বাংলাদেশ। আর এতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিল কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)।

এশিয়া মার্কেটিং ডে-২০২৩ এবং আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলারের ৯২তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে শনিবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৭টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এশিয়ান মার্কেটিং ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশে এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে মার্কেটিং সোসাইটি অফ বাংলাদেশ।

মহতী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ছিল কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)।

কটলারের জন্মদিন উদযাপনে সিইউবি
অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ। ছবি: নিউজবাংলা

বাংলাদেশের তরুণদের আরও ক্ষমতায়িত করা এবং স্মার্ট নাগরিকের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল উপজীব্য ছিল ‘স্মার্ট জাতি ও স্মার্ট নাগরিক সৃষ্টিতে মার্কেটিংয়ের ভূমিকা’।

সেমিনারের লাইভ প্যানেলে প্রধান বক্তা হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলার। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে মার্কেটিং দুনিয়ার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

সিইউবি অংশে অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক প্রফেসর মুহাম্মদ রিদওয়ানুল হক।

লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে সিইউবি’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অফ বিজনেসের ডিন ড. জহুরুল আলম ও স্কুল অফ বিজনেসের প্রধান এস এম আরিফুজ্জামান।

কটলারের জন্মদিন উদযাপনে সিইউবি
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিইউবি-র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক। ছবি: নিউজবাংলা

সেমিনারে লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অফ মার্কেটিংয়ের অনারারি সেক্রেটারি হাসলিনা বিন্তি আযলান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-এর মহাপরিচালক ও চিফ ইনোভেশন অফিসার ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন।

আরও পড়ুন:
সিইউবি-এনএসইউ সমঝোতা চুক্তি সই
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশন সেন্টার
সিইউবি-তে মঞ্চনাটকে নায়ক রিয়াজ
গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিচ্ছে সিইউবি
সিইউবিতে সামার সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম শুরু

মন্তব্য

p
উপরে