× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Nakshatra Nupur of Eshra Latif is coming to book fair
google_news print-icon

এশরার লতিফের ‘নক্ষত্র-নূপুর’ আসছে বইমেলায়

এশরার-লতিফের-নক্ষত্র-নূপুর-আসছে-বইমেলায়
‘নক্ষত্র-নূপুর’ প্রথম খণ্ডের প্রচ্ছদ ও লেখক এশরার লতিফ। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
পাঠক বইটিতে কী পাবেন, তা নিয়ে লেখক বলেন, ‘এই উপন্যাসে একই সঙ্গে ধারণ করা হয়েছে রাশিয়ার বিপ্লবী এবং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া বাঙালি বিপ্লবীদের প্রেম এবং বিপ্লবের কাহিনী এবং এসব ভূখণ্ডের বিপ্লবীদের আন্তঃসম্পর্ক। মূলত ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং প্রথম রুশ বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে লেখা বিপ্লব, রক্ত, ক্ষয় আর তীব্র প্রেমের রোমাঞ্চকর ঐতিহাসিক উপন্যাস নক্ষত্র-নূপুর।’

অমর একুশে বইমেলায় আসছে এশরার লতিফের ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস ‘নক্ষত্র-নূপুর’-এর প্রথম খণ্ড।

রুশ ও বাঙালি বিপ্লবীদের জীবনকাহিনি উঠে এসেছে এ উপন্যাসে।

পাঠক বইটিতে কী পাবেন, তা নিয়ে লেখক বলেন, ‘এই উপন্যাসে একই সঙ্গে ধারণ করা হয়েছে রাশিয়ার বিপ্লবী এবং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া বাঙালি বিপ্লবীদের প্রেম এবং বিপ্লবের কাহিনী এবং এসব ভূখণ্ডের বিপ্লবীদের আন্তঃসম্পর্ক। মূলত ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং প্রথম রুশ বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে লেখা বিপ্লব, রক্ত, ক্ষয় আর তীব্র প্রেমের রোমাঞ্চকর ঐতিহাসিক উপন্যাস নক্ষত্র-নূপুর।’

বইটির প্রচ্ছদ করেছেন লেখক নিজেই, যেটি প্রকাশ করেছে ‘অন্যপ্রকাশ’।

প্রথম খণ্ডের মুদ্রিত দাম ৮০০ টাকা। রকমারি ডটকমে বইয়ের প্রি অর্ডার চলছে, যাতে বইটির মূল্য ৬০০ টাকা।

ড. এশরার লতিফ যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতক। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ ও উপকরণ সংক্রান্ত গবেষণা পত্রিকাগুলোতে তার গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ হয়েছে।

এশরার লতিফ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কিছু অ্যাকাডেমিক জার্নালের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। তিনি প্রথম বাংলাদেশি সার্টিফায়েড প্যাসিভ হাউজ ডিজাইনার।

বইয়ের প্রতি লেখকের আগ্রহ, ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই। তিনি মূলত গোয়েন্দা-কাহিনি, উপন্যাস, ছোট গল্প, ছড়া ও কবিতা লেখেন। তার প্রথম গল্প সংকলন ‘স্ফটিক বাড়ি ও অন্যান্য গল্প’ ২০১৮ সালের শুরুতে ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশ হয়।

এ ছাড়া তার ইংরেজি ছোটগল্প ‘মীরা’ ২০১৯ সালের বার্লিন রাইটিং প্রাইজ প্রতিযোগিতায় লং-লিস্টেড হয়েছিল। তার উপন্যাস ‘গোধূলি রিসোর্ট’ ২০১৯ সালে, ‘অলাতচক্র’ ২০২০ সালে, ‘বর্ণ-পরমাণু’, ‘প্রপঞ্চভুজ’, ‘জেসমিন এবং একগুচ্ছ অন্ধকার’, ‘ত্র্যহস্পর্শ’ ২০২১ সালে, ‘ঝুমঝুমি কি বেঁচে আছে’, ‘ইতি, তোমার রূপা’ ২০২২ সালে প্রকাশ হয়।

এশরার লতিফের গল্পগ্রন্থ ‘গল্পদ্রুম’ ২০২১ সালে এবং ‘গল্পবৃষ্টি’ ২০২২ সালে প্রকাশ হয়। তার কাব্যগ্রন্থ ‘শেয়ের-এ-এশরার’ ২০২২ সালে প্রকাশ হয়।

আরও পড়ুন:
কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা ২ ডিসেম্বর
কাগজের আগুন দামে বই প্রকাশকদের চোখ আঁধার
পর্দা নামল বইমেলার
বইমেলা শেষ হচ্ছে আজ
বইমেলায় সাংবাদিক সবুজ ইউনুসের ‘১৯৭১: মার্চ এবং ডিসেম্বর’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Bangabandhu was awarded the FOSWAL Literary Award

এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু

এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২’- এই তিনটি বইয়ের জন্য বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার দিয়েছে ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার।

বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ দিয়েছে ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (এফওএসডব্লিউএএল)। বঙ্গবন্ধুর লিখিত তিনটি বইয়ের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

সার্ক সাহিত্য পুরস্কার হলো ২০০১ সাল থেকে এফওএসডব্লিউএএল প্রদত্ত একটি বার্ষিক পুরস্কার।

বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই হলো- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২’।

ভারতের পাঞ্জাবের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক এবং এফওএসডব্লিউএএল-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজিত কৌর রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের আঞ্চলিক সম্মেলনে সফররত বাংলাদেশী লেখক ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার এবং মফিদুল হকের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। সূত্র: বাসস

নয়াদিল্লিতে রোববার সকালে শুরু হয়েছে এফওএসডব্লিউএএল-এর তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিক অংশ নিচ্ছেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে সম্মেলনের উদ্বোধনের তাৎপর্য বর্ণনা করে অজিত কাউর এর আগে এক বার্তায় লিখেছিলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় কোনো ছোট ঘটনা ছিল না।

‘বাংলা জাতির পিতার দৃঢ় প্রত্যয়ের সবচেয়ে অনন্য সাহসিকতার মাধ্যমে এটি একটি অনন্য কৃতিত্ব ছিল- যাকে ভালবাসায় ‘বঙ্গবন্ধু’ বলা হয়। যিনি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষার জন্য সিংহের মতো লড়াই করেছিলেন। যে কোনো মানুষের জীবনের চেয়েও একটি দেশের মর্যাদা সংরক্ষণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!’

মিসেস কাউর লিখেন, ‘বিশ্বজুড়ে মানুষ ভূমি ও অঞ্চলের জন্য, বিদেশি নিপীড়ক বা রাজা ও স্বৈরশাসকদের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভিন্ন ও অনন্য। কারণ এটি ছিল ‘মানুষের প্রাণবন্ত আত্মা’ সংরক্ষণ, যা শুধু তার নিজস্ব সংস্কৃতি ও নিজস্ব ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে!’

বার্তায় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি আমাদের জন্য তিনটি মূল্যবান ও চিন্তাশীল বই রেখে গেছেন। তাই এই মহান মানবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাকে (বঙ্গবন্ধু) এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য উৎসব-২০২৩ এর সম্মাননা দেয়া হচ্ছে।’

বাংলাদেশ থেকে এফওএসডব্লিউএএল আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বিশিষ্ট লেখক সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, মহিদুল হক ও মোহিত কামাল।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ ও হাইকমিশনের পক্ষে কনস্যুলার (রাজনৈতিক) সফিউল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আজ
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ঢাকায় ‘হাফ ম্যারাথন’
বঙ্গবন্ধু টানেলে যান চলাচল শিগগিরই
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৫৮ ভাগ কাজ শেষ

মন্তব্য

জীবনযাপন
47 crores of books sold in the fair

মেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি

মেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি অমর একুশে বইমেলায় উপচে পড়া ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
বইমেলার তথ্যকেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী এবার মেলায় ৩ হাজার ৭৫০টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। এর বাইরেও নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে, যার তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলার বিক্রির এই হিসাব জানিয়েছেন মেলা আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব মুজাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি ২৭ দিনে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে। আর পুরো বইমেলার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। তবে, এটা প্রকৃত চিত্র বলা যাবে না। কারণ অনেক প্রকাশনী এখনো বিক্রির তথ্য দেয়নি। আবার অনেক প্রকাশনীর বই বিক্রির তথ্য গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।

মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বইমেলার তথ্যকেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী এবার মেলায় ৩ হাজার ৭৫০টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। এর বাইরেও নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে, যার তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। গতবার নতুন বই প্রকাশ হয়েছিল ৩ হাজার ৪১৬টি। আর্চওয়ে হিসাব অনুযায়ী এবারের বইমেলায় ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দর্শনার্থী এসেছেন ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৬ জন।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Unveiling of Linguist Syed Abdul Hannan Memorial Book

ভাষাসৈনিক সৈয়দ আব্দুল হান্নান স্মৃতি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

ভাষাসৈনিক সৈয়দ আব্দুল হান্নান স্মৃতি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শনিবার ধানমণ্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচনের পর স্মৃতি স্মারক গ্রন্থ হাতে অতিথিরা। ছবি: নিউজবাংলা
শেরপুর জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অধ্যক্ষ সৈয়দ আব্দুল হান্নানের স্মৃতি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার পঞ্চাশের অধিক লেখকের স্মৃতি চারণমূলক লেখা নিয়ে গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়েছে।

ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ সৈয়দ আব্দুল হান্নান স্মৃতি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার ধানমণ্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শেরপুর জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অধ্যক্ষ সৈয়দ আব্দুল হান্নানের স্মৃতি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার পঞ্চাশের অধিক লেখকের স্মৃতি চারণমূলক লেখা নিয়ে গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়েছে।

বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক। সভাপতিত্ব করেন দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক এবং সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। ‌

অনুষ্ঠানে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং মরহুমের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
হাতে লেখা ‘মিছিল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
‘বঙ্গবন্ধু সরকার: দেশ নির্মাণের মৌলিক রূপরেখা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

মন্তব্য

জীবনযাপন
Handsome Syed Waliullah is on Facebook

ফেসবুকে ঘুরছেন হ্যান্ডসাম সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

ফেসবুকে ঘুরছেন হ্যান্ডসাম সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে।
‘সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, চল্লিশ দশকের লেখক। লালসালু, বহ্নিপীর, চাঁদের অমাবস্যা, কাঁদো নদী কাঁদো-এর জনক। ওয়ালীউল্লাহকে আপনি এমনিতে না চিনলেও পাঠ্যপুস্তকে লালসালুর নাম শোনেননি এমন হবে না। বিসিএস দিতে যান, তার লেখা প্রতিটা রচনা বিসিএসের পাঠ্য।’

ফেসবুকে ঘুরছেন কথাসাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম নক্ষত্র সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। সঙ্গে আছেন তার স্ত্রীও। আধুনিক ও রুচিশীল পোশাকে যেন এক তারুণ্য ধরা দিয়েছে এই দম্পতির চোখে-মুখে।

গত কয়েকদিন ধরে ওয়ালীউল্লাহ ও তার স্ত্রী আন মারির তিনটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ছবি শেয়ার করে লেখকের প্রতি ভালোলাগা ও পোশাক নিয়ে তার আধুনিকতার প্রশংসা করছেন অনেকে।

তিনটি ছবি কোলাজ করে বানানো হয়েছে একটি ছবি। এর একটিতে চেয়ারে বসে আছেন লেখক। শার্ট-প্যান্টে ইন, পায়ে জুতা, বাঁম হাতে ঘড়ি আর পকেটে সানগ্লাস তার; চুল আঁচড়ানো পরিপাটি করে।

আরেক ছবিতে সাদা শার্ট আর প্যান্ট পরে ইন করে পায়ের ওপর পা তুলে বসে আছেন হ্যান্ডসাম ওয়ালীউল্লাহ। অন্য ছবিটাতে তাকে টাই পরে মাথায় ছাতা ধরে স্ত্রীকে এক হাতে জড়িয়ে ধরতে দেখা যাচ্ছে।

ফেসবুকে ঘুরছেন হ্যান্ডসাম সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

একাধিক ওয়েবসাইটে এ ছবিগুলোর খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে ঠিক এগুলো কোন সময়ের তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি।

খোঁজ করে দেখা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি জান্নাতুল ফেরদৌস নামে একজন এই ছবি শেয়ার করেন বইপড়া সংক্রান্ত এক ফেসবুক গ্রুপে। ওই ছবির সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, চল্লিশ দশকের লেখক। লালসালু, বহ্নিপীর, চাঁদের অমাবস্যা, কাঁদো নদী কাঁদো-এর জনক। ওয়ালীউল্লাহকে আপনি এমনিতে না চিনলেও পাঠ্যপুস্তকে লালসালুর নাম শোনেননি এমন হবে না। বিসিএস দিতে যান, তার লেখা প্রতিটা রচনা বিসিএসের পাঠ্য।’

ফেসবুকে ঘুরছেন হ্যান্ডসাম সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘কি অসম্ভব রকম স্মার্ট ছিলেন এই মানুষটি দেখুন একটু। ওনার বেশিরভাগ উপন্যাস গ্রাম্য পটভূমিতে নাহয় মনস্তাত্ত্বিক। বিয়েও করেছিলেন একজন বিদেশিনীকে। সৃষ্টিকর্ম নিয়েই যার একগাদা কথা বলা যায়, সৃষ্টিকর্ম বাদেও সেই যুগে এমন হ্যান্ডসাম, স্মার্ট আর স্বাধীনচেতা মন মানসিকতার লেখক কল্পনা করা যায়?’

এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে ওয়ালীউল্লাহ ও তার স্ত্রীর ওই ছবি ও তাদের নিয়ে লেখাটি। অনেকেই সঙ্গে দু-এক লাইন যোগ করে নিজের ওয়ালে শেয়ার করছেন এই পোস্ট।লিখছেন তাদের ভালো লাগার কথা।

ফেসবুকে ঘুরছেন হ্যান্ডসাম সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

চিত্রনায়িকা জাহার মিতু পোস্টটি শেয়ার করে লিখেছেন, “প্রেমে পড়ে গেলাম।” সাংবাদিক ফারাহ জাবিন শাম্মী লিখেছেন, ‘ভাইরে আগে যদি জানতাম এই লেখক এমন হ্যান্ডসাম তাহলে আরও একটু মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সারাজীবন ভেবে এসছি লাল সালুর লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পাঞ্জাবি পরা পাকা দাড়ির একজন বয়স্ক মানুষ।’

ব্যাংক কর্মকর্তা তাশফিয়া তাসনিম তিশা পোস্টটি শেয়ার করে লিখেছেন,‘সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ।’ আরেকজন ভাইরাল পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ভাবা যায়? উনি বিখ্যাত লালসালু উপন্যাসের লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ! সারা জীবন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহেবের খোঁচা খোঁচা কাঁচা পাকা দাড়িগোঁফ!!খাদি পান্জাবি পরা কি চেহেরা মনে মনে ভাবলাম! আর আজ কি দেখলাম!’

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ জন্মেছিলেন চট্টগ্রামের ষোলশহরে, ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট। বাবা সৈয়দ আহমাদুল্লাহ ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা, মা নাসিম আরা খাতুনও ছিলেন সমতুল্য উচ্চশিক্ষিত ও রুচিশীল পরিবার থেকে উঠে আসা।

পূর্ববাংলা ও বাংলাদেশের সাহিত্যে পথ দেখিয়েছেন এই লেখক, গড়ে তুলেছেন স্বতন্ত্র এক ভাষারীতি। ধর্মীয় গোঁড়ামি, ভন্ডামি, কুসংস্কারকে ব্যবচ্ছেদ করেছেন তিনি তার লেখায়। তার হাতে জন্ম নিয়েছে লালসালু, কাঁদো নদী কাঁদো, চাঁদের অমাবস্যার মতো উপন্যাস, নয়নচারা, দুই তীর ও অন্যান্য গল্প এর মতো গল্পগ্রন্থ কিংবা বহিপীর-এর মতো নাটকের।

ফেসবুকে ঘুরছেন হ্যান্ডসাম সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

বলা হয়ে থাকে, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পাঠককে প্রভাবিত করেছিলেন তো বটেই, তার সাহিত্য দিয়েই প্রভাবিত করেছেন অসংখ্য সাহিত্যিককেও। অনেকে তাকে বলে থাকেন বাংলাদেশের সাহিত্য চর্চার ইন্সটিটিউট।

ছাত্র অবস্থাতেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর কর্মজীবন শুরু হয় স্টেটসম্যান পত্রিকায়। সরকারি চাকরি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বদলি হন ১৯৫২-র শেষের দিকে। সিডনিতেই পরিচয় হয় ফরাসি আন্-মারি লুই রোজিতা মার্সেল তিবোর সঙ্গে। দেড়-দু বছরের সখ্যতা ও ঘনিষ্ঠতার পর ১৯৫৫ সালের ৩ অক্টোবর বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পর মারির নতুন নাম হয় আজজা মোসাম্মত নাসরিন।

আরও পড়ুন:
প্রথমবার দেয়া হলো রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কার
ডিএসইসি লেখক সম্মাননা পেলেন নিউজবাংলার সুজন
উজান বইযাত্রা ও বইমেলা ঢাকায়

মন্তব্য

জীবনযাপন
The Prime Minister unveiled the cover of the Durant Biplab book

দুরন্ত বিপ্লবের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

দুরন্ত বিপ্লবের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার গণভবনে দুরন্ত বিপ্লবের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। ছবি: পিএমও
গণভবনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লেখক প্রয়াত দুরন্ত বিপ্লবের মা রোকেয়া আক্তার খাতুন, ভাই দুর্জয় বিপ্লব ও বোন শাশ্বতী বিপ্লব উপস্থিত ছিলেন।

প্রয়াত ছাত্রলীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লব রচিত ‘বঙ্গবন্ধু ভালোবাসার অপর নাম’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে রোববার বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম. এম. ইমরুল কায়েস জানান, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লেখক প্রয়াত দুরন্ত বিপ্লবের মা রোকেয়া আক্তার খাতুন, তার ভাই দুর্জয় বিপ্লব ও বোন শাশ্বতী বিপ্লব উপস্থিত ছিলেন।

অমর একুশে বইমেলায় ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নম্বর শ্রাবণ প্রকাশনীর বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দুরন্ত বিপ্লব আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটিরও সাবেক সদস্য ছিলেন।

কিছুদিন আগে কেরানীগঞ্জে নিজের কৃষি খামার থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন দুরন্ত বিপ্লব। পরবর্তীতে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে দায়ীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আসছে দুরন্ত বিপ্লবের পরিবার। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছে।

আরও পড়ুন:
দুরন্ত বিপ্লব হত্যা মামলার তদন্তভার পিবিআইতে
দুরন্ত বিপ্লবের নৌকাকে ধাক্কা দেয়া লঞ্চের চালকসহ গ্রেপ্তার ৬
দুরন্ত বিপ্লব খুন হননি, বুড়িগঙ্গায় ডুবে মৃত্যু
দুরন্ত বিপ্লব নিখোঁজের দিন ‘নৌকা থেকে পড়ে যান’ একজন
জাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দুরন্ত বিপ্লবকে খুনের সন্দেহ

মন্তব্য

জীবনযাপন
Late Sabbirs Tipbatis Nil Tip poetry book unveiled at the book fair

বইমেলায় প্রয়াত সাব্বিরের ‘টিপবতীর নীল টিপ’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

বইমেলায় প্রয়াত সাব্বিরের ‘টিপবতীর নীল টিপ’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে গ্রন্থ উন্মোচন মঞ্চে প্রয়াত তরুণ কবি শাহরিয়ার হোসেন সাব্বিরের ‘টিপবতীর নীল টিপ’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে গ্রন্থ উন্মোচন মঞ্চে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান।

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শনিবার অকাল প্রয়াত তরুণ কবি শাহরিয়ার হোসেন সাব্বিরের ‘টিপবতীর নীল টিপ’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

চৈতন্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটি অতি সম্প্রতি মেলায় আসে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে গ্রন্থ উন্মোচন মঞ্চে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান।

বইটির লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র সাব্বিরের শরীরে ২০১৫ সালে ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসায় সাময়িকভাবে সুস্থ হলেও ২০২১ সালে রোগটি আবার তার শরীরে ফিরে আসে। এরপর ভারতে নিয়ে দীর্ঘ এক বছর ধরে তার চিকিৎসা করা হয়।

অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করে সাব্বিরকে নতুন জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকায় মৃত্যু হয় তার।

মোড়ক উন্মোচনের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অতিথিরা প্রয়াত কবি সাব্বিরের জীবন ও কাব্যপ্রতিভার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তাদের ভাষ্য, সাব্বির তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় নাম। শৈশব থেকেই সততা, মানুষের প্রতি দরদ, প্রকৃতিপ্রেম, শিশুদের জন্য গভীর মমতা, সাহিত্য ও খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা ছিল তার মধ্যে।

অতিথিরা সাব্বিরের জীবনাদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।

সাব্বিরের বড় ভাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহাদত হোসেন কবিরের সঞ্চালনায় মোড়ক উন্মোচনের এ আয়োজনে কবির পরিবারের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
ভাষা দিবসে মুখর বইমেলা
নাটোরে দিনব্যাপী ব্যতিক্রমী পথ বইমেলা
বইমেলা: দৃষ্টিহীনে স্পর্শ ব্রেইলের আলো বিতরণ
বইমেলা: নন-ফিকশনে আগ্রহ কম তরুণদের
বইমেলায় আদর্শকে স্টল দেয়ার আদেশ স্থগিত

মন্তব্য

জীবনযাপন
The visit of the two ministers to the book fair was suddenly postponed

দুই মন্ত্রীর বইমেলায় যাওয়া আকস্মিক স্থগিত

দুই মন্ত্রীর বইমেলায় যাওয়া আকস্মিক স্থগিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক বরাবর বৃহস্পতিবার একটি উড়ো চিঠি আসে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নামে আসা চিঠিতে পুলিশ সদর দপ্তর ও অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়। এই হুমকির পরদিন হঠাৎ করেই দুই মন্ত্রীর মেলায় যাওয়ার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের অমর একুশে বইমেলায় যাওয়ার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি আকস্মিক স্থগিত করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে বইমেলায় ‘সংবাদপত্র স্মারক গ্রন্থ’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ওবায়দুল কাদেরের। বইটি তিনি সম্পাদনা করেছেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে সেতুমন্ত্রীর আজকের (শুক্রবার) বইমেলায় গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন কর্মসূচিটি স্থগিত করা হয়েছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

একই দিনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনেরও বইমেলায় যাওয়ার কথা ছিল। তার সেই কর্মসূচিও একই কারণ উল্লেখ করে স্থগিত করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা দীপংকর এক বার্তায় জানান, অনিবার্য কারণে মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের শুক্রবার বিকেল ৫টায় একুশে বইমেলায় গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বরাবর একটি উড়ো চিঠি আসে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নামে আসা চিঠিতে পুলিশ সদর দপ্তর ও অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়।

এই জঙ্গি হামলার হুমকির পরদিন দুই মন্ত্রী বইমেলায় যাওয়ার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি আকস্মিক স্থগিত করলেন।

আরও পড়ুন:
হামলার হুমকি, বইমেলার সব প্রবেশপথে নিরাপত্তা জোরদার
বিদ্যানন্দের জীর্ণ পাঠাগার থেকে বার্তা
আট আনায় জীবনের আলো
ভাষা দিবসে মুখর বইমেলা
বইমেলা: দৃষ্টিহীনে স্পর্শ ব্রেইলের আলো বিতরণ

মন্তব্য

p
উপরে