হজের উদ্দেশে সাইকেল চালিয়ে থাইল্যান্ড থেকে সৌদি আরব যাচ্ছেন থাইল্যান্ডের নাগরিক আব্দুস সালাম। ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি শনিবার রাতে পৌঁছেছেন মাগুরা শহরে। সেখানকার পারনান্দুয়ালী জামে মসজিদে থাকছেন তিনি।
আব্দুস সালাম নিউজবাংলাকে জানান, স্কুল শিক্ষকতা থেকে গত বছর অবসরের পর তার হজে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। সাইকেল চালানোর শখ থেকেই এ বাহনটিতে চড়ে সৌদি যেতে চান তিনি।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের শহর চেঙ্গাইর বাসিন্দা সালাম জানান, গত ১৫ জানুয়ারি দেশ ছেড়েছেন তিনি, কিন্তু মিয়ানমারে আইনি জটিলতার কারণে দেশটিতে যেতে পারেননি। পরে উড়োজাহাজ দিয়ে ১৬ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন তিনি। সেখানে থেকে ছয় দিন সাইকেল চালিয়ে শনিবার মাগুরায় আসেন।
সালাম বলেন, ‘যশোরের বেনাপোল সীমান্ত পার হয়ে ভারত যাব। এরপর পাকিস্তান ও ইরান হয়ে সৌদিতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। এজন্য আমি গুগল ম্যাপের সহায়তা নিচ্ছি।’
এই থাই বৃদ্ধ জানান, সন্তান না থাকায় স্ত্রীকে নিয়ে থাইল্যান্ডে নিজের মতোই জীবন যাপন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সত্য ও সুন্দরের অভিসারী। তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন ভিশন ২০২১ থেকে রূপকল্প ২০৪১-এর দিকে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল মাঠে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যার যার জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে আমরা সহযোগিতা করি, তার হাতকে শক্তিশালী করি। অসুরের বিরুদ্ধে সুরের ঝঙ্কার তুলি, অশান্তির বিরুদ্ধে শান্তির পতাকা উড্ডীন করি। শান্তির পায়রা উড়িয়ে আমরা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তর ঘটাই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অস্ত্রের ঝনঝনানি একটা সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। সেই ক্যাম্পাস এখন শান্তিপূর্ণ। এখানে সাম্প্রদায়িকতার আগ্রাসন আমরা চাই না, জঙ্গিবাদের আগ্রাসন চাই না। এদেশের রাজনীতিতে আমরা সেতুবন্ধন রচনা করব।’
স্মৃতিচারণ করে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জগন্নাথ হল আমার জীবনের এক স্মৃতিময় অধ্যায় হয়ে আছে। ’৭৫-এর পর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের সব কর্মকাণ্ড এই হল থেকে পরিচালিত হয়েছে। আমরা একঝাঁক তরুণ সেদিন প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলাম।
‘এই জগন্নাথ হল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিলাম। এরপর বটতলা থেকে ৪ নভেম্বর আমরা গণমিছিল, শোক শোভাযাত্রা করেছিলাম; যার গন্তব্য ছিল বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাসভবন। ’৭৫-এর পর জিয়াউর রহমানের সময়ে আড়াই বছর জেল খেটেছিলাম। ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল।’
ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার ধমনিতে ছাত্রলীগের রক্ত প্রবাহিত। আমার চেতনায়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনায় এই সংগঠন প্রবাহিত। আমি ছাত্রলীগের গৌরবময় ইতিহাসের উত্তরাধিকারী। শেখ হাসিনা সরকারের ১৬ বছর মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছি। কাজেই ছাত্রলীগ করলে কেউ হারিয়ে যায় না। কমিটমেন্ট থাকলে, লেগে থাকলে, জীবনে অনেক অসাধ্য সাধন করা যায়। অনেক কৃতিত্ব অর্জন করা যায়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকের এই দিনে বিদ্যা দেবীকে স্যালুট জানাই। আমাদের সবার অভিন্ন শত্রু সাম্প্রদায়িকতা। সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে বলব- আমাদের প্রধানতম এনিমি সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ। সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হবে, জঙ্গিবাদ রুখতে হবে।’
এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহা।
উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।
আরও পড়ুন:বিদ্যার দেবী সরস্বতীর অর্চনায় মুখর হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মন্দির ও মাঠ এলাকা।
দীর্ঘ দুই বছর পর সেখানে বাধাহীনভাবে দেবীর আরাধনা করতে পারছেন ভক্তরা।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২০২১ সালে জগন্নাথ হলের মাঠে একেবারেই উদযাপন করা যায়নি সরস্বতী পূজা। পরের বছর সীমিত পরিসরে উদযাপন হলেও ছিল না চিরচেনা আমেজ। এবার আবারও পুরোনো আবহ ফিরেছে জগন্নাথ হলের সরস্বতী পূজায়।
বিদ্যা ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর কৃপার আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ হল মাঠে আলাদা মণ্ডপ বানিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সকাল থেকেই মন্দিরে ভক্ত আর দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
বাংলাদেশে এককভাবে সবচেয়ে বেশি পূজা মণ্ডপ হয়ে থাকে এ হলের আঙিনায়। নানা আয়োজনে হল প্রাঙ্গণে এ বছর ৭৩টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়।
প্রতি বছরই সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয় চারুকলা অনুষদের পূজা মণ্ডপ। অনুষদের শিক্ষার্থীরা এবার হলের পুকুরে সাদা হাঁসের ওপর বসিয়েছেন দেবী সরস্বতীকে। ভক্তরা পুকুরের চারপাশ ঘিরে আরাধনা করছেন দেবীর।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জগন্নাথ হলের মন্দিরে আরতি ও ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলিতে সিক্ত হন শ্বেত পদ্মে আসীন বীণাপাণি।
জগন্নাথ হলের পাশাপাশি ঢাবির ছাত্রী হলগুলোতেও চলছে বিদ্যার দেবীর আরাধনা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। দেবীর এক হাতে পুস্তক, আরেকটিতে বীণা। এ জন্য তাকে বীণাপাণিও বলা হয়, যার বাহন শুভ্র রাজহাঁস।
প্রতিমা স্থাপনের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে পূজার কার্যক্রম শুরু হয়। সাড়ে ৭টায় বাণী বন্দনা, ৮টা ১০ মিনিটে পুষ্পাঞ্জলি, সাড়ে ১১টায় প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে পূজার কার্যক্রম শেষ হয়। বেলা ১১টা ১০ মিনিট থেকে শুরু হয় হাতেকড়ি।
বাবা-মা সন্তান নিয়ে এসেছেন হাতেখড়ি দিতে। কেউ কেউ সঙ্গে করে বই নিয়ে এসেছেন দেবীর চরণ স্পর্শের জন্য।
বাবা-মায়ের সঙ্গে পূজা করতে এসেছে ছোট্ট পায়েল প্রামাণিক। তার হাতেখড়ি হয়েছে আজ। পুরোহিতের হাতে পাটখড়ি দিয়ে বেল পাতায় লিখেছে সে।
হাতেকড়ি শেষে বিকেল ৪টায় অতিথি আপ্যায়ন হবে।
দীর্ঘ দুই বছর পর ধুমধামে বিদ্যা দেবীর আরাধনা করতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা।
তাদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র রাজ কুমার বলেন, ‘অসাধারণ। বিদ্যা দেবীর আরাধনা করতে সারা বছর আমরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। দুই বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই আরাধনা করতে পারছে। কারও মুখে বা চোখে কোনো শঙ্কা নেই।
‘মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, যেন জগতের সকলে সুখী হয়। আর আমার সামনে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা, সেটি যেন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়।’
পূজা দেখতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আবিদ হাসান বলেন, ‘আমার হিন্দু বন্ধুদের আমন্ত্রণে তাদের পূজা দেখতে এসেছি। আমাদের ঈদের মতোই আনন্দ তাদের সবার মাঝে। তাদের সঙ্গে মিশে আমারও আনন্দ লাগছে।’
মেয়ে চন্দ্রিমাকে নিয়ে হাজারীবাগ থেকে পূজা দিতে আসা নিপু তন্বীর প্রার্থনা, তার মেয়ে যেন বিদ্যা-বুদ্ধিতে আলোকিত মানুষ হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অনু সরকার বলেন, ‘মায়ের কাছে আমার অনেক প্রার্থনা। উল্লেখযোগ্য প্রার্থনা ছিল, সামনে আমার ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা, সেটি যেন ভালো হয়। যে আশা নিয়ে গ্রাম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছি, সেটি যেন পূর্ণ হয়।’
আরও পড়ুন:হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা বৃহস্পতিবার।
এই ধর্মীয় উৎসবে পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন অগণিত ভক্ত। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর চরণে প্রণতি জানাবেন তারা।
সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে, দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী।
‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে/ বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোহ তুতে’ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই মন্ত্র উচ্চারণ করে বিদ্যা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য দেবী সরস্বতীর অর্চনা করবেন।
বাসস জানিয়েছে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্য আরো সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। তিনি দেবী সরস্বতীর পূজা অর্চণা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে জ্ঞানার্জনে ব্রতী হয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা বাণী অর্চনাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূজা ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানমালায় আছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি।
প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলে মহাসাড়ম্বরে বিদ্যা ও আরাধনার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টায় শুরু হবে পূজার্চনা এবং ১০ টা থেকে শুরু হবে অঞ্জলি প্রদান। সন্ধ্যা আরতি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:দেশের আকাশে রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এ হিসেবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।
বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সোমবার বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে রজব মাস গণনা শুরু হবে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিনগত রাতে শবে মেরাজ পালিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে সোমবার ১৪৪৪ হিজরি সালের রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। এ হিসেবে আগামী ২৬ রজব ১৪৪৪ হিজরি, ১৮ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপিত হবে।
প্রথমে সংস্থাটি তাদের ফেসবুক পেজে ১৯ ফেব্রুয়ারি শবে মেরাজ উদযাপিত হবে বলে জানায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আবার জানায়, ১৮ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে উদযাপিত হবে শবে মেরাজ।
রজব হিজরি সনের বিশেষ ও মহিমান্বিত একটি মাস। রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে আসা রজব আল্লাহ প্রদত্ত চারটি সম্মানিত মাসের একটি। এ মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন মুসলিমরা।
সুইডেনের রাজধানীতে শনিবার তুরস্কবিরোধী বিক্ষোভে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভিন্ন দেশ।
স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাস ভবনের সামনে এক কপি কোরআন পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান কট্টর ডানপন্থি রাজনীতিক রাসমুস প্যালুডেন। এর আগেও বিভিন্ন বিক্ষোভে কোরআন পোড়ানোর নজির আছে তার।
তুরস্ক, পাকিস্তান, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বলে টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তুরস্ক
কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের ওপর জঘন্য হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই…মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর পাশাপাশি আমাদের পবিত্র মূল্যবোধকে অপমানকারী এ ধরনের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুমোদন দেয়াটা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।’
পাকিস্তান
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক ইসলামভীতিকর কর্মকাণ্ড বিশ্বের দেড় শ কোটির বেশি মুসলিমের ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে আঘাত করেছে।’
কুয়েত
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সালেম আবদুল্লাহ আল জাবের আল সাবাহকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেইউএনএর বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনা বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত হানার পাশাপাশি মারাত্মক উসকানির সৃষ্টি করেছে।
সৌদি আরব
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সৌদি আরব সংলাপ, সহিষ্ণুতা ও সহাবস্থানের মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ঘৃণা ও চরমপন্থাকে প্রত্যাখ্যান করে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশটি মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ এবং নীতির বিপরীতে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে।
কাতার
মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রটি বলেছে, কোরআন পোড়াতে সুইডেনের কর্তৃপক্ষ যে অনুমোদন দিয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা।
দেশটি ঘৃণা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইরান
কোরআন পোড়ানোকে ঘৃণা ও সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা আখ্যা দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, বাকস্বাধীনতায় সমর্থনের ভুয়া অজুহাতে ইউরোপের কিছু দেশ চরমপন্থি ও উগ্রবাদীদের ইসলামের পবিত্রতা ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর সুযোগ করে দেয়।
আরও পড়ুন:তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সড়কে টঙ্গীমুখী অনেক মুসল্লি দেখা গেছে।
রোববার দুপুর ১২টায় শুরু হতে যাওয়া মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকে রাজধানী, সাভার, নরসিংদী, গাজীপুর ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানের দিকে আসা শুরু করেন।
মুসল্লিদের এ ঢলে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় ধর্মীয় উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পূর্ব পাশে বিশেষভাবে স্থাপিত মোনাজাত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘সকালে মুরব্বি ও আয়োজক কমিটির ফয়সালা মোতাবেক দুপুর ১২টায় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু হবে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি দিল্লির মাওলানা সা’দ কান্ধলভির বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভি। এর আগে তিনিই মুসল্লিদের উদ্দেশে হেদায়েতি বয়ান করবেন।’
ইজতেমা এলাকায় পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকলেও যাত্রী ও কাঁচামালবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে, তবে প্রথম পর্বে অনেকেই আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়ায় এবারের পর্বের মোনাজাতে মুসল্লির সংখ্যা কিছুটা কম।
প্রথম পর্বের মোনাজাত উপলক্ষে অধিকাংশ শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এবার তেমনটা রাখা হয়নি। তাই মুসল্লিদের সংখ্যা কিছুটা কম হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, রোববার ফজরের নামাজের পর ভারতের দিল্লির মোরসালিন নিজামুদ্দিনের বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার তৃতীয় দিন শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আশরাফুল।
তিনি আরও জানান, বয়ানের পর নাস্তার বিরতি দিয়ে ৯টা থেকে মাওলানা মোশাররফ তালিম শুরু করেন। এরপর শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য