বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ার ১০ বছরে ৫৫ লাখ যাত্রীকে সেবা দিয়েছে। এয়ারলাইন্সটি এই সময়কালে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে এক লাখেরও বেশি।
নভোএয়ারের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান বলেন, ‘যাত্রীদের বিশ্বমানের সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু। ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা ও নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিত করাই আমাদের ব্যবসায়িক দর্শনের প্রাধিকার। নিরাপত্তা ও সেবা- এই দুই মূল মন্ত্রকে আমরা সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।’
তিনি বলেন, ‘নানাবিধ চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতা জয় করে নভোএয়ার সবার কাছে বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ও আস্থার এয়ারলাইন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
‘নতুন বছরে পদার্পণে আমাদের অঙ্গীকার- আমাদের যাত্রীদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্য সম্প্রসারণ, বহরে আরও উড়োজাহাজ সংযোজনের মাধ্যমে উন্নত যাত্রী সেবা নিশ্চিত করা।’
নভোএয়ার ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন শুরু করে। এয়ারলাইন্সটি বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও আন্তর্জাতিক রুট কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
এছাড়া যশোর থেকে কক্সবাজার রুটে ও রাজশাহী থেকে কক্সবাজার রুটে সরাসরি যাত্রী পরিবহন করছে নভোএয়ার।
নভোএয়ার ভ্রমণ বিষয়ক পাক্ষিক ম্যাগাজিন দি বাংলাদেশ মনিটরের ২০১৪ সালে বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন্স, ২০১৯ সালে বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন্স, ২০২১ সালে বেস্ট অনটাইম পারফরমেন্স এয়ারলাইন্স হিসেবে পুরস্কার লাভ করে।
কক্সবাজারে আনন্দ ভ্রমণ করেছে ইস্টার্ন হাউজিং যুব কল্যাণ সমিতি।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারে গিয়ে গত ২৬ থেকে ২৯ জানুয়ারি এ ভ্রমণ করেন সমিতির সদস্যরা।
আনন্দ ভ্রমণের আহ্বায়ক ছিলেন জহির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (জেডএসআরএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলহাজ মো. হুমায়ুন কবির।
আনন্দ ভ্রমণের সদস্য সচিব ছিলেন ইস্টার্ন হাউজিং যুব কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল সরকার।
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হলো বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব।
জেনেভার বাংলা পাঠশালায় রোববার সেখানে বসবাসরত বাঙালি পরিবারগুলোর অংশগ্রহণে উৎসবমুখর এ আয়োজনে হরেকরকম পিঠার পাশাপাশি ছিল চমৎকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পুনর্গঠিত বাংলা সুইস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএসসিএ)-এর আয়োজনে, সভাপতি রিয়াজুল হক ফরহাদের নেতৃত্বে, সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হকের সঞ্চালনায় এবং আরিনুল হক ও ফারানা হকের সার্বিক সহায়তায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে বাংলা পাঠশালার শিক্ষার্থী মাদিহা, নিতু, আফসার, দিলারা, সুনিষ্কা, বিভোর, রোদেলা এবং অতিথি শিল্পীরা।
জেনেভা বাংলা পাঠশালা ২০১৩ সাল থেকে প্রবাসী বাঙালি পরিবারের শিশুদের বাংলা ভাষার পাঠদানসহ নিয়মিত সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও কার্যক্রমের আয়োজন করে আসছে। বাংলা পাঠশালার ১০ বছর পূর্তিতে মূল সংগঠন বাংলা সুইস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলাভাষীদের সমন্বয়ে নতুন রূপে পুনর্গঠিত হয়ে বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
বাংলা পাঠশালার পরবর্তী আয়োজন ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন।
আরও পড়ুন:সরকার চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সাকারমাউথ ক্যাটফিশ নিষিদ্ধ করেছে। স্থানীয়ভাবে এই মাছ সাকার মাছ হিসেবে পরিচিত।
বুধবার এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মৃণাল কান্তি দে ১১ জানুয়ারি এই মাছ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনটি জারি করেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে কেউ সাকার মাছ আমদানি, চাষ, পরিবহন, বিক্রি, সরবরাহ ও সংরক্ষণ করতে পারবে না।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় সাকার মাছ নিষিদ্ধ করতে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অফ ফিশ অ্যাক্ট, ১৯০৫ এর ১৮ নম্বর ধারা সংশোধন প্রস্তাব প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে।
এ ব্যাপারে কারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে দুই মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কাছে তা পেশ করতে বলা হয়।
ভেজাল শিশুখাদ্য, নকল প্রসাধনী ও বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রির অভিযোগে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার ঢাকার সাভার ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় দিনভর অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দপ্তরে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম। আদালতকে সহায়তা করে র্যাব-১০ ও বিএসটিআই-এর প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার বিকেলে র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এনায়েত কবীর সোয়েব গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এনায়েত কবীর জানান, অভিযান পরিচালনার সময় ভেজাল শিশু খাদ্য, নকল প্রসাধনী ও বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রির প্রমাণ পায় আদালত। এসব অপরাধে ম্যাডাম কসমেটিক্স লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স এলিগেন্সি ক্যাবল ফ্যাক্টরিকে ৫ লাখ টাকা, এএমএস ফুড প্রোডক্টসকে ১ লাখ টাকা, এবিটিং ফ্লেভারড ড্রিকংস পাউডারকে ৫০ হাজার টাকা, রমজান ফুড প্রডাক্টাসকে ২০ হাজার টাকা, ইমন কসমেটিক্সকে ১ লাখ টাকা, লিপি ইঞ্জিনিয়ারিংকে ৫ লাখ টাকা, অলিভ বাংলাদেশ লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা, মোজাম্মেল দই ঘরকে ১ লাখ টাকা, আল আলাক লিভিরাইজকে ১ লাখ টাকা, আলমগীর কসমেটিক্সকে ১ লাখ টাকা এবং এনআরজি ক্যাবলসকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বেশকিছু নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল শিশুখাদ্য ও প্রসাধনী ধ্বংস করা হয়।
পৃথিবীর সেরা লাক্সারি হোটেলগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা-কে পৃথিবীর সেরা বিচ সাইড লাক্সারি রিসোর্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে গ্লোবাল অর্গানাইজেশন। সে সুবাদে দ্য ওয়ার্ল্ড লাক্সারি হোটেল অ্যাওয়ার্ডস জিতে নিয়েছে সি পার্ল।
সেরা বিচ সাইড লাক্সারি হোটেল অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি সেরা লাক্সারি স্পা অ্যাওয়ার্ডও জিতেছে সি পার্ল। এছাড়া সেরা জেনারেল ম্যানেজার অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা-এর গ্রুপ জিএম আজিম শাহ।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে কোম্পানির জিএম আজিম শাহ, সেক্রেটারি আজহার মামুনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন ফাইভ স্টার হোটেল ও রিসোর্ট পরিচালনার অভিজ্ঞতা নিয়ে সি পার্লের দায়িত্ব নেয়া আজিম শাহ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সি পার্ল পরিবার অত্যন্ত সম্মানিত এবং আনন্দিত। এই স্বীকৃতি শুধু সি পার্ল-এর নয়; পুরো বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য এটি একটি অনন্য স্বীকৃতি। এমন অর্জন লাক্সারি রিসোর্ট হিসেবে নয় আগত অতিথিদের সেবা প্রদান নিশ্চিতের দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে তোলে।’
কক্সবাজারের ইনানী বিচে ২৫ একর জমির ওপর স্থাপিত পাঁচ তারকা হোটেল সি পার্ল। ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর চালু হওয়া এই হোটেলে ৪৯৩টি কক্ষ ও স্যুট রয়েছে। পাশাপাশি ৯টি রেস্টুরেন্ট, ৩টি বার, ৬টি মিটিং ও কনভেনশন ভেন্যু, ২টি সুইমিংপুল, টেনিস ও ব্যাডমিন্টন কোর্টসহ নানা সুবিধা সি পার্ল কক্সবাজারকে দেশের লাক্সারি রিসোর্টের কাতারে শীর্ষ স্থান এনে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:এশিয়া ও ইউরোপে বিস্তৃত তুরস্ককে বলা হয় পূর্বের সংস্কৃতি ও পশ্চিমের জীবনধারার মিলনস্থল। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন তুর্কি সংস্কৃতি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শনের দিক থেকেও দেশটির নেই জুড়ি। একদিকে ফিরোজা নীল পানির সৈকত, অন্যদিকে গ্রিক, পারসিয়ান, লিসিয়ান, উসমানীয় সম্রাজ্যের ঐতিহ্য। এসব কারণে ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম আকর্ষণ তুরস্ক।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলে ২০২২ সালে পর্যটকের বেশ আনাগোনা দেখা যায় তুরস্কে। দেশটির সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ডেটা অনুযায়ী, ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে তুরস্ক ভ্রমণ করা বিদেশির সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬৪ লাখ। পর্যটকের সংখ্যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় বাড়ে ১৮৫.৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ থেকে তুরস্কগামী পর্যটকের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। তুরস্কে যাওয়ার খরচ একটু বেশি হলেও দেশটি একবার ঘুরলে সিদ্ধান্তটা হয়তো অযৌক্তিক মনে হবে না।
তুরস্কে কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন এবং কী কী করবেন, তার বিস্তারিত আজ জানাব আপনাদের।
তুরস্ক যেতে প্রথমেই প্রয়োজন ভিসার। দেশটির জন্য এখন অনলাইনে আবেদন করে ই-ভিসা পাওয়া সম্ভব। ভিসা পেতে ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদি পাসপোর্ট, হোটেল বুকিং, ব্যাংক স্টেটমেন্টের মতো কাগজপত্রের দরকার পড়ে। ঘুরতে যাওয়ার অন্তত কয়েক মাস আগে থেকে ভিসার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করা দরকার।
ভিসা নিশ্চিত হওয়ার পরই ঠিক করতে হবে ফ্লাইট বুকিং। ফ্লাইটটি সাধারণত বেশ লম্বা হয়ে থাকে। তা ছাড়া সঙ্গে থাকতে পারে ভিন্ন কোন দেশে যাত্রাবিরতিও। সরাসরি ফ্লাইটের ক্ষেত্রে সফরটি প্রায় ৯ ঘণ্টার হয়ে থাকে। তাই তুরস্কে যেতে লম্বা বিমানপথে ভ্রমণের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিমানপথে তুরস্ক যাওয়া ব্যয়বহুল হলেও একটু সচেতনভাবে বুকিং করলে কিছু খরচ বাঁচানো সম্ভব। প্রথমতই কয়েক মাস আগে বুকিং করলে ফ্লাইটের দাম সাধারণের তুলনায় কম পাওয়া যায়। বিভিন্ন এয়ারলাইনসের দামের মাঝে তারতম্য করে আপনার জন্য সেরা ফ্লাইট বেছে নিতে দেখে নিতে পারেন গোযায়ান।
এ প্ল্যাটফর্মে মুহূর্তের মধ্যে দেখে নেয়া যায় ফ্লাইটের সময়, দাম, যাত্রাবিরতির সময়, ব্যাগেজ সীমার মতে বিষয়। তাদের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের যেকোনো জায়গা থেকে আপনি বুক করে ফেলতে পারবেন ফ্লাইট। তাই তুরস্কের ফ্লাইট বুক করাও হতে পারে একেবারেই ঝামেলামুক্ত।
তুরস্কের মূল আকর্ষণ গোটা ইস্তাম্বুল শহর। আয়া সোফিয়া, টপকাপি প্যালেস, ব্লু মস্ক ঘুরলে দেখতে পারবেন অসাধারণ কিছু স্থাপত্যশৈলী। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যকর্মগুলোর একটি আয়া সোফিয়া। অন্যদিকে টপকাপি প্যালেস ছিল উসমানীয় সম্রাজ্যের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু। সূক্ষ্ম কাজ করা টাইলস দিয়ে তৈরি গোটা প্রাসাদ। এখান থেকে দিগন্ত বিস্তৃত ইস্তাম্বুলকে একনজরে দেখে নেয়া যায়। এর বাইরে ইস্তাম্বুলের গ্র্যান্ড বাজার, রুস্তম পাশা মসজিদ, বসফরাস প্রণালির মতো গন্তব্যগুলো পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয়।
ইস্তাম্বুলের পর তুরস্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় শহর ক্যাপাডোসিয়া। শহরটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ রং-বেরঙের হট এয়ার বেলুন। প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ মানুষ ক্যাপাডোসিয়া ঘুরতে যান শুধু হট এয়ার বেলুনে চড়তে। শহরটি ইট, পাথর, বালুর ভবনের পরিবর্তে গড়ে তোলা হয়েছে প্রাকৃতিক পাথর দিয়ে। খোদাই করা এসব পাহাড়ে ভবন আছে আট তলা পর্যন্ত।
বদরাম, আনাতোলিয়া, পামুক্কালে, ইজমিরের মতো শহরগুলো ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। পামুক্কালে শব্দের অর্থ ‘তুলার প্রাসাদ’। এমন নামের পেছনে রয়েছে প্রাকৃতিক ঘটনা। পামুক্কালেতে প্রাকৃতিকভাবে গরম পানির জলাধার পাওয়া যায়। সাদা পাথরের মাঝে হালকা নীল পানি দেখতে তুলার মতো বলেই এমন নামকরণ করা হয়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, তুরস্কের একটা শহর ঘোরার চেয়ে একেবারে বেশ কয়েকটি শহরের তালিকা নিয়ে ঘুরতে বের হলেই বেশি ভালো হয়। আর কোন কোন শহর ঘুরবেন, তা বাক্সবন্দি ট্যুরের মাঝে আটকানো যায় না। এ সমস্যার সমাধান করতেও দেখে নিতে পারেন গোযায়ান। প্রতিটি শহরে থাকার জায়গা ও অ্যাকটিভিটি পছন্দ করে নিতে পারবেন একেবারে নিজের মতো করে।
মধ্যপ্রাচ্যের কাবাবের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। সেই কাবাবের স্বাদ নিতে তুরস্কের তুলনা হয় না। মানটি, কোফতা, শিশ কাবাব, ইস্কেন্দের কাবাব, পিডে ইত্যাদি তুরস্কের জনপ্রিয় খাবার। এগুলোর সবই গরু বা ভেড়ার মাংস দিয়ে তৈরি। খাবারগুলো তুরস্কের মোটামুটি সব জায়গাতেই পাওয়া যায়।
শুধু মাংস আর কাবাবেই আটকে নেই তুরস্কের খ্যাতি। দেশটিতে আছে বেশ কিছু জনপ্রিয় নিরামিষ খাবারও। লতা দিয়ে মোড়ানো চাল, পেঁয়াজ, পুদিনা দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী একটি খাবারের নাম ইয়াপ্রাক সারমা। দোলমা নামের একটি খাবারও দেশটিতে জনপ্রিয়, যাতে বেগুনের বা ক্যাপসিক্যামের খোসার মাঝে চাল ও পেঁয়াজের একটা সংমিশ্রণ রান্না করা হয়। তা ছাড়া হামাস, মেজেও জনপ্রিয় খাবার।
পর্যটকদের কাছে তুরস্কের স্ট্রিট ফুডের কদর আছে। সড়কের পাশে বসানো দোকানগুলোর সবচেয়ে আলোচিত খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে দুরুম নামের রোল, সিমিত নামের বিশেষ রুটি এবং বোরেক।
মিষ্টির মধ্যে তুরস্কে জনপ্রিয় হলো টার্কিশ ডিলাইট, যাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় লোকাম। পনির দিয়ে তৈরি কুনাফাও তুরস্কের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। আমাদের দেশের জনপ্রিয় হালুয়ার মতো তুরস্কেও এক ধরনের হালুয়া পাওয়া যায়। তবে দেশটিতে হালুয়া তাহিনি বা তিল দিয়ে তৈরি হয়।
চেখে দেখতে পারেন তুরস্কের চা ও কফি। বিশেষ পদ্ধতিতে বানানো হয় চা ও কফি। গরম বালির ওপর বানানো এই পানীয়গুলোর স্বাদ একেবারেই অন্যরকম বলে দাবি করেন পর্যটকরা। তুরস্কের কফি বেশ ঘন ও তিক্ত স্বাদের হয়ে থাকে। অন্যদিকে তুরস্কের চা সুগন্ধি ও হালকা হয়।
ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সুস্বাদু খাবার—সব দিক দিয়েই অনন্য তুরস্ক। তুরস্ক যাওয়ার সেরা সময় এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। তাই এখনই পরিকল্পনা করে ফেলুন ভ্রমণের বিষয়টি।
আরও পড়ুন:বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলার বহরে যোগ হচ্ছে ৩৩০ মডেলের নতুন দুটি এয়ারবাস।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের মে মাসে দুটি ৩৩০ এয়ারবাস যোগ হচ্ছে। নতুন যোগ হতে যাওয়া এয়ারক্রাফটে মোট আসন সংখ্যা হবে ৪৩৬ টি।
ইউএস-বাংলা জানায়, নতুন যোগ হতে যাওয়া ৩৩০ এয়ারক্রাফট দিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ ও দাম্মাম রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
যাত্রীরা থার্ড ক্যারিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া ও ট্রানজিটের জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে সৌদি আরবের বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণ করে থাকে। দেশীয় যাত্রীদের এই ভোগান্তি থেকে রক্ষা করতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আগামী জুন মাস থেকে জেদ্দা, রিয়াদ ও দাম্মামে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে।
বর্তমানে ইউএস-বাংলার বহরে মোট ১৭টি এয়ারক্রাফট আছে। যার মধ্যে ৭টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৭টি এটিআর ৭২-৬০০ এবং ৩টি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট। ইউএস-বাংলা বিমান বহরকে আরো শক্তিশালী করতে চলতি মাসে একটি এটিআর ৭২-৬০০ এবং একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট যোগ করতে যাচ্ছে।
বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল সহ আন্তর্জাতিক গন্তব্য কলকাতা, চেন্নাই, মালে, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, মাস্কাট, দোহা, শারজাহ ও দুবাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য