× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Twenty three ways to be better in 2023
google_news print-icon

২০২৩-এ ভালো থাকার ‘তেইশ’ উপায়

২০২৩-এ-ভালো-থাকার-তেইশ-উপায়
ছবি: ভাইস
অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মধ্যে পার্থক্য করে সময়। তাই সময়কে রাতারাতি বদলানোর কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। পুরোনো বছর থেকে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগিয়ে সুন্দর একটা বছর কাটাতে পারেন আপনিও।

দেখতে দেখতে কেটে গেল আরও একটি বছর। নতুন বছর আসলে জীবনকে নতুনভাবে শুরু করার দারুণ এক সুযোগ এনে দেয়। তাই শুরু থেকে যদি পরিকল্পনা সাজানো যায়, তবে মনে রাখার মতো আরেকটি বছরে পা রাখতে যাচ্ছেন আপনি!

২০২৩ সালকে আরও উপভোগ্য করতে নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য কিছু টিপস দেয়া হলো। লেখক রোমানো স্যান্টোসের দেয়া এসব টিপস আপনার জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে-

১. বদলাবেন না

নতুন বছরের আগমন আপনাকে মনে করিয়ে দিতে পারে যে জীবনে কিছু বড় পরিবর্তন করতে হবে। তবে বর্তমান জীবনকে আপনি যদি উপভোগ করেন, তবে বদলানোর প্রয়োজন নেই... অন্তত এই মুহূর্তে।

ছুটির দিনে যদি আপনি বাড়িতে ঘুমিয়ে কাটাতে পছন্দ করেন, তবে তাই করুন। এমনটা করে যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে, তাহলে সমস্যা কী!

২. পরিবারকে ফোন করুন

হ্যাঁ, পরিবারের সঙ্গে আপনার আরও বেশি সময় কাটানো উচিত। তবে এতে যদি পরিবার বিরক্ত হয়, তবে বাদ দিন। পরিবারের বাইরের মানুষেরা কিন্তু সব সময় খারাপ হয় না। তাদের সঙ্গে প্রাণ খুলে আড্ডা দিন। পরিচিত কেউ অসুস্থ হলে তার কাছে ছুটে যান। তবে এতে যদি দীর্ঘ মেয়াদে আপনার মন খারাপ থাকে, তাহলে না গেলেই ভালো। ফোনে খোঁজখবর নিতে পারেন।

৩. অফিসের সব ছুটি কাজে লাগান

অসুস্থ হলে কাজ করবেন না। অফিসকে জানান, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আপনার একটা ব্রেক দরকার। ছুটির ক্যালেন্ডারের সঙ্গে পরিকল্পনা সাজিয়ে নিন এবং এটি অনুসরণ করুন।

৪. অফিস থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিন

অফিসে আপনার পাওয়া ছুটিগুলো বুঝে নিন। এ কাজ করে আপনি কী কী সুবিধা পাচ্ছেন তার তালিকা করুন। বসকে আরও বেশি বেশি প্রশ্ন করুন। হয়তো দেখা যাবে, নতুন বছরে আপনার ইন্টারনেট খরচ আপনার অফিস বহন করতে পারে অথবা নতুন কিছু একটা কেনার জন্য টাকা দিতে পারে। মনে রাখবেন, এমন আবদারের জন্য বস আপনাকে ছাঁটাই করবেন না।

৫. পরিস্থিতি তৈরি করুন

নিজেকে খুশি রাখার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই। আপনিই আপনার দুনিয়া। তাই সব সময় চারপাশে হাসিখুশি আবহ তৈরির চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, জীবন অল্প দিনের। দেখতে দেখতে কেটে যায়। তাই যতটা সম্ভব জীবনকে উপভোগ করুন।

৬. ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লাইক দেয়া বন্ধ করুন

অন্যদের আনন্দ-কষ্ট নিজের মধ্যে ধারণ করা বিরাট ব্যাপার। আপনার বন্ধুদের স্টোরিতে অন্তত একটি ইমোজির সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহস জোগাড় করুন।

৭. সুখের সন্ধান করুন

দূষিত আনন্দ (গিলটি প্লেজার) বলে কিছু নেই। কারণ ভালো বোধ করলে আপনার খারাপ বোধ হবে না। ফৌজদারি অপরাধ কিংবা কাউকে আঘাত করা বাদে যে জিনিসগুলো আপনি উপভোগ করেন সেগুলোর জন্য লজ্জিত হওয়ার দরকার নেই। সেগুলো উপভোগ করতে থাকুন।

৮. রহস্যময় কিছুর চেষ্টা করুন

এর জন্য আপনাকে খুব বেশি ভাবতে হবে না। জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করুন। আপনার যে বন্ধু এ বিষয়ে পারদর্শী তার সঙ্গে কথা বলুন। এটা ভালো না লাগলে সামাজিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঘুরে আসুন। এখানে অন্য এক আপনাকে খুঁজে পাবেন হয়তো।

৯. ব্যবহারিক কিছু শিখুন

আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি যেখানে একটি স্ক্রিনে কয়েকটি বোতাম টিপে বেশির ভাগ কাজ করা যায়। মনে রাখবেন, আপনার মন ও শরীর এর চেয়ে অনেক বেশি কিছু করতে সক্ষম। মিউজিক বাজান, খাবার রান্না করেন কিংবা গাড়ি চালান- এগুলো আপনাকে ব্যবহারিক কাজের আনন্দ দেবে।

১০. সামর্থ্যের সবটুকু ব্যবহার করুন

বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তার বাইরে কখন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং কখন এটিকে সহজভাবে নিতে হবে তা পুরোপুরি আপনার ওপর নির্ভর করে।

যে বিষয়গুলো মনকে ক্লান্ত করে এগুলো এড়ানো উচিত। আপনি যদি আপনার চাকরিকে সত্যিই উপভোগ করেন এবং এটি যদি আপনার জীবনে গতি আনে তবে সেখানে সর্বোচ্চটা ঢেলে দিন।

১১. আরও ভালো ছবি এবং ভিডিও করুন

আপনি যা মনে রাখতে চান তা মনে রাখার আরও উপায় আছে। আপনি কীভাবে আরও ভালো ছবি এবং ভিডিও তুলতে পারেন সে সম্পর্কে হাজার হাজার নিবন্ধ এবং ভিডিও রয়েছে৷ ঘেঁটে দেখুন।

১২. স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হোন

এই বিষয়গুলো আমরা সবাই কমবেশি জানি। তারপরও নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে যে- আরও পানি খেতে হবে, ভালো ঘুম প্রয়োজন, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, সূর্য থেকে কিছু ভিটামিন গ্রহণ করুন। সবশেষ, অবশ্যই মাঝেমধ্যে শারীরিক পরীক্ষা করুন৷

১৩. সামাজিক প্ল্যাটফর্মের কিছু বিষয় সম্পর্কে বই পড়ুন

টিকটক বা পডকাস্টে শুনেছেন এমন কোনো বিষয় যদি আপনার মনকে আন্দোলিত করে তবে আরও তথ্যের জন্য আপনি এ বিষয়ের ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে এতে মন আরও প্রফুল্ল হয়।

১৪. খারাপ মেজাজকে জড়িয়ে ধরুন

কেউই সব সময় খুশি থাকে না। আর কেউ থাকেলও তার মানে এই নয় যে, আপনাকে তা হতে হবে। আপনার অনুভূতি অনুভব করুন। নেতিবাচক আবেগ থেকে বেরোতে আপনার যতটা সময় প্রয়োজন, তা নিন। এসব আবেগ যত পুষে রাখবেন, আপনি ততই অসুখী হবেন।

১৫. এড়িয়ে যাওয়া শিখুন

চারপাশের কিছু মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত আপনাকে বিরক্ত, অপমান কিংবা আঘাত করার চেষ্টায় থাকে। এগুলো হয়তো সব সময় এড়িয়ে যাওয়া যায় না। নতুন বছরে আপনাকে এগুলোকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলা শিখতে হবে। তাদের সম্পর্কে চিন্তা করাও যাবে না।

১৬. কিছু মানুষকে ক্ষমা করুন

আমাদের রেগে যাওয়া কিংবা হতাশ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। এর পাশাপাশি ক্ষমা করারও অনেক কারণ থাকে। হতে পারে ব্রেকআপ হয়ে গেছে কিংবা বন্ধুত্বের সম্পর্কটা খারাপ হয়ে গেছে। চেষ্টা করুন, সম্পর্কটাকে সুন্দর করা যায় কি না। যাদের অপর রেগে আছেন তাদের ক্ষমা করে দিন। যদিও বিষয়টা এতটা সহজ না। তবে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আপনার ভালো স্মৃতিগুলো এ ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে নিশ্চিতভাবে।

১৭. নির্ভার হোন

অনেকে আছেন যারা নিজের বা অন্যের প্রত্যাশার ভার বহন করেন। কাঁধ থেকে এই ভার নামিয়ে ফেলুন। কারণ যখন থেকে এটা আপনার কাছে বোঝা মনে হবে, সেদিন থেকে আপনি পিছিয়ে পড়তে শুরু করবেন। এভাবে কখনোই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আপনার কাছে ধরা দেবে না। তাই নির্ভার থাকুন, জীবনটাকে উপভোগ করুন।

১৮. কিছু নতুন যৌনকৌশল শিখুন

হতে পারে আপনি যৌন সম্পর্কে দারুণ। তবে এর অর্থ এই নয় যে অভিনব নতুন কৌশল বা আপনি শিখবেন না। এগুলো আপনার জীবনে বৈচিত্র্য আনবে। মনকে সতেজ রাখবে।

১৯. কিছু সম্পর্কে যত্ন নেয়া শুরু করুন

পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটছে। অনেক কিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। কিছু বিষয় ৫ বা ১০ বছরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে, অন্যগুলো কেবল সময়ের অপচয়। আপনার কাজে আসবে সে বিষয়গুলো বাছাই করুন। তারপর সেসবের ওপর বেশি গুরুত্ব দিন। এতে সময়ের অপচয় কমার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আপনি লাভবানও হতে পারেন।

২০. কিছু বিষয় নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখুন

সবকিছু সবার সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। কিছু বিষয় আছে যেগুলো গোপন রাখার মতো আনন্দ আর কোথাও পাবেন না। ধরেন, কারও সঙ্গে আপনি ডেটে গেছেন, চমৎকার একটা সন্ধ্যা উপভোগ করলেন। অথবা বন্ধুমহলে আলোচিত একটি বারে ঢুকে দু-পেগ পান করেছেন। এ বিষয়গুলো নিজের মধ্যেই রাখা ভালো।

২১. বই পড়ুন, গান শুনুন, সিনেমা দেখুন

দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় বিনোদনের জন্য বরাদ্দ রাখুন। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে বাড়ি ফিরে পছন্দের বইটি নিয়ে নড়াচড়া করুন। ভালো না লাগলে, সিনেমা দেখুন। গান তো সব সময় আপনার চারপাশে থাকেই।

২২. অনলাইনে খুঁতখুঁতে হওয়া ভালো

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই আপনার পছন্দ হয় না। তাই বলে এসব নিয়ে ভেবে সময়ের অপচয় করবেন না। যে চ্যানেল বা প্রোফাইল আপনার ভালো লাগে, তাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটান। আর যেগুলো আপনাকে বিরক্ত করে সেগুলোকে আনফলো করতে দ্বিতীয়বার ভাববেন না।

২৩. হাসুন এবং হাসান

মনে রাখবেন, আপনি ছাড়া কিন্তু চারপাশের অস্তিত্ব একেবারেই মূল্যহীন। নিজেকে সব সময় প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি অন্যকেও আনন্দ দেয়ার উপায় খুঁজুন। দেখবেন, জীবনটা মন্দ না।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে নববর্ষের আয়োজনে মুখোশ-বাঁশি নিষিদ্ধ
নববর্ষে শোভাযাত্রা করবে আ. লীগ
টমটম-টেপা পুতুলের মন খারাপ
জঙ্গি তৎপরতার তথ্যে রমনায় বাড়তি নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার
দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে নববর্ষের অনুষ্ঠান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
7 days jail to the young woman who was caught giving BCS proxy

বিসিএসে ছেলেবন্ধুর প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা, কারাগারে তরুণী

বিসিএসে ছেলেবন্ধুর প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা, কারাগারে তরুণী ফাইল ছবি
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই ছাত্রী তার এক ছেলে বন্ধুর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তিনি যেহেতু মেয়ে, তাই নিজের ছবি দিয়ে ভুয়া প্রবেশপত্রও তৈরি করেছিলেন। তবে হল পরিদর্শক স্বাক্ষর নেয়ার সময় দেখেন মেয়েটি ছেলের নামে স্বাক্ষর করেছেন। এতেই ধরা পড়েন তিনি।’

চট্টগ্রামে ছেলেবন্ধুর হয়ে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক তরুণী। তৎক্ষণাৎ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

দণ্ডিত ওই ছাত্রীর নাম প্রিয়তি জান্নাত। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর পর স্বাক্ষরপত্রে গরমিল দেখে দায়িত্বরত হল পরিদর্শকের সন্দেহ হয়। পরে ওই ছাত্রীকে আটক করে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি ও পরিদর্শকের সাক্ষ্য নেন। পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২৩-এর (১০) ধারা অনুযায়ী তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই ছাত্রী তার এক ছেলেবন্ধুর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তিনি যেহেতু মেয়ে, তাই নিজের ছবি দিয়ে ভুয়া প্রবেশপত্রও তৈরি করেছিলেন। তবে হল পরিদর্শক স্বাক্ষর নেয়ার সময় দেখেন মেয়েটি ছেলের নামে স্বাক্ষর করেছেন। এতেই ধরা পড়েন তিনি।’

জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী সব স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

জীবনযাপন
46th BCS preliminaries on March 9

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ৯ মার্চ

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ৯ মার্চ ফাইল ছবি
পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে।

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা।

বৃহস্পতিবার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রয়ক আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হল, আসন ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি যার আবেদন চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে ১০ ডিসেম্বর থেকে ৪৬তম বিসিএসের আবেদন শুরু হয়।

পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে।

আরও পড়ুন:
নিজের কাজের মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অবদান রাখতে চাই
সাফল্যের গল্প শোনালেন ৪৩তম বিসিএসে ডাক ক্যাডারে প্রথম রিয়াজুল

মন্তব্য

জীবনযাপন
I want to contribute to the country and the people of the country through my work
৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত সাজিদ হক

নিজের কাজের মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অবদান রাখতে চাই

নিজের কাজের মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অবদান রাখতে চাই ৪৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত সাজিদ হক। ছবি: নিউজবাংলা
৪৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন সাজিদ হক। তিনি সিইউবির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের বোনের ছেলে।

সাজিদ হক। ৪৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের বোনের ছেলে। ক্যাম্পাস ক্যারিয়ারে সাফল্যের গল্পে মা ডালিয়া চৌধুরী ডনি এবং বাবা এ. এস. এম সিরাজুল হকের সঙ্গে ছিলেন সাজিদ হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এমি জান্নাত।

নিউজবাংলা: আপনি তো বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। সেখান থেকে প্রশাসন ক্যাডারে আসার জার্নিটা কেমন ছিল?

সাজিদ হক: বিসিএস জার্নিটাই অনেক লম্বা। আমি যখন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জয়েন করি, তার ঠিক দুই মাস পরই বিসিএস পরীক্ষা শুরু হয়। এরমধ্যেই পড়াশোনা চালিয়ে যাই। প্রিলিমিনারি পাস করার পরই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে কঠিন সময় যাচ্ছিল। নদী ভাঙন হয় সে সময়। তার পাশাপাশি পড়াশোনা করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই।

নিউজবাংলা: চাকরির পাশাপাশি আরেকটি সরকারি চাকরির জন্য আবার পড়াশোনা কতটা সংগ্রামের ছিল?

সাজিদ হক: যে সময়টা আমার পরীক্ষা হয়েছে সে সময় কাজের চাপ অনেক বেশি ছিল। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হতো। এর মাঝে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া আসলেই অনেক কঠিন ছিল। তবে সে সময় আমার সহকর্মীরা এবং সিনিয়র ভাইয়েরা অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। তারা সবসময় পাশে থেকেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। ঢাকার বাইরে পোস্টিং হওয়ায় মা-বাবা দূরে থাকলেও তাদের সাপোর্ট সবসময় ছিল বলেই কঠিন হলেও সম্ভব হয়েছে।

নিউজবাংলা: ফলাফলের দিন অনুভূতি কেমন ছিল?

সাজিদ হক: পরীক্ষা ভালো হওয়ায় আশাবাদী ছিলাম যে ভালো কিছুই হবে। মা-বাবা তো অপেক্ষায় ছিলেন রেজাল্ট কবে দেবে। রেজাল্ট দেয়ার দিন অফিসের কাজে বেশি ব্যস্ত ছিলাম যেন টেনশন কম হয়। অপেক্ষার পালা শেষ হলো প্রশাসন ক্যাডারে নিজের রোল দেখার পর। সেই অনুভূতিটা আসলে অন্যরকম!

নিউজবাংলা: ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পরও প্রশাসনের প্রতি আগ্রহ কেন?

সাজিদ হক: বুয়েট থেকে পাস করার পর অনেকের ড্রিম জব থাকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জব করার। সেখানে থাকার পরও আমি দেখলাম, প্রশাসনে যারা আছেন তারা প্রতিটা চাকরির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কো-অর্ডিনেশন থেকে শুরু করে মনিটরিং- প্রতিটা কাজে তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। এই বৈচিত্র‍্যময় ক্যারিয়ারটাই আমাকে আকর্ষণ করত।

নিউজবাংলা: আপনার এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশি?

সাজিদ হক: সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। এরপর আমার মা-বাবা তো সবসময় পাশে ছিলেন। এরকম একটা সংগ্রামে সবার সাপোর্ট দরকার হয়। সেক্ষেত্রে আমার মামা, চাচা, সহকর্মী, বন্ধু এবং সিনিয়র ভাইরা সব সময় আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।

নিউজবাংলা: প্রশাসনের ব্যক্তি হিসেবে দেশের জন্য কী অবদান রাখতে চান?

সাজিদ হক: বুয়েট থেকে পাস করার পর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরকারি চাকরি পেলেও আমার সবকিছু ঘিরে থাকত প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার স্বপ্ন। আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ফিল করেছি যে, এখানে গেলে আমি দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে পারব। যেহেতু এখানে ডাইনামিক কাজ করার সুযোগ বেশি এবং আমি চাই দেশের জন্য, মানুষের জন্য নিজের কাজের মাধ্যমে অবদান রাখতে।

নিউজবাংলা: যারা ক্যারিয়ারে সফল হতে চায়, তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

সাজিদ হক: প্রথমত, লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। কনফিউজড হওয়া যাবে না। অনেকেই দেখা যায়, সকালে সরকারি চাকরির জন্য পড়ছেন। আবার বিকেলে বিদেশে যাওয়ার জন্য জিআরই পড়ছেন। আবার এর মাঝে প্রাইভেট জব করছেন। একেকটা তো একেক রকম ক্যারিয়ার। যার যেটা লক্ষ্য থাকবে, সেটাকেই ঠিক রেখে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম কখনও বৃথা যায় না। তাই লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ করে যেতে হবে।

ছেলের সাফল্যে মা ডালিয়া হক এবং বাবা এ.এস.এম সিরাজুল হকের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো।

নিউজবাংলা: ছেলেকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন?

ডালিয়া হক: ছেলের ওপর যেন আল্লাহর রহমত থাকে। সে যেন একজন ভালো মানুষ হিসেবে সমাজের জন্য যা যা করণীয়, সবটা সততার সঙ্গে করে।

নিউজবাংলা: সন্তানের সাফল্যে অনুভূতিটা কেমন?

সিরাজুল হক: আমার ছেলে শুধু পড়াশোনা করতে হবে বলে পড়েনি, সে সেটা উপভোগ করে করেছে। ওর বিনোদন ছিল পড়াশোনা। এ পর্যন্ত তার যেটা লক্ষ্য ছিল, সেটাতে সে পৌঁছেছে বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি। আমরা তৃপ্ত। আশা করি, বাকি দিনগুলোতে ওর প্রতি অর্পিত দায়িত্ব ও পালন করতে পারবে।

আরও পড়ুন:
৪১তম বিসিএসে নন ক্যাডারে ৩১৬৪ জনকে সুপারিশ
৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শেষ ৩১ ডিসেম্বর
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত
ঘোষিত সময়েই ৪৫তম বিসিএস, আসনবিন্যাস প্রকাশ
৪৫তম বিসিএসে বাংলার লিখিত পরীক্ষা ৩০০ নম্বরে

মন্তব্য

জীবনযাপন
The fog festival is starting from tomorrow in Jakkanibi

জাককানইবিতে কাল থেকে শুরু হচ্ছে কুয়াশা উৎসব

জাককানইবিতে কাল থেকে শুরু হচ্ছে কুয়াশা উৎসব কুয়াশা উৎসব-১৪৩০-এর ব্যানার।
সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংস্কৃতির প্রাণশক্তিকে আহ্বান জানিয়ে এবারের কুয়াশা উৎসবের স্লোগান- হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়।

বাংলার শীত সংস্কৃতিকে উদযাপনের মাধ্যমে শীতের কুয়াশাকে বরণ করে নিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বরাবরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ উৎসব অনুরাগী বিভিন্ন পেশার মানুষের সার্বিক অংশগ্রহণে আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব-১৪৩০।

উৎসব-বন্ধু নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবারও উৎসব-বন্ধুদের অর্থায়নে আয়োজন করা হচ্ছে ভিন্নধর্মী এই উৎসব।

মৈমনসিংহ গীতিকার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এবারের কুয়াশা উৎসব-১৪৩০ উৎসর্গ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনুষ্ঠানের আয়োজনে সংশ্লিষ্টরা।

এ আয়োজনের প্রথমদিন থেকেই থাকছে চিত্রকলা, চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী; রাগ সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, আবৃত্তি, সাহিত্য আলোচনা, রম্য বিতর্ক, নাট্য ও নৃত্য পরিবেশনা, রস উৎসব, পিঠা পার্বণ, পালাসহ আরও নানা আয়োজন।

উৎসবের দুই দিন গান পরিবেশন করতে আসছে ব্যান্ড দল সহজিয়া, মাদল, গঞ্জে ফেরেশতা। এছাড়াও গান পরিবেশন করবে মুয়ীয মাহফুজ ও কফিল আহমেদ।

কুয়াশা উৎসব আয়োজকরা যেমন বাংলার লোক সংস্কৃতিতে শীতের প্রভাবকে উদযাপন করে, তেমনি সংস্কৃতির বিবর্তন আর ভিন্নতার সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চান। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংস্কৃতির প্রাণশক্তিকে আহ্বান জানিয়ে এবারের কুয়াশা উৎসবের স্লোগান- হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়।

জাককানইবিতে কাল থেকে শুরু হচ্ছে কুয়াশা উৎসব
উৎসবের প্রথম দিনের সূচি

মন্তব্য

জীবনযাপন
46th BCS notification release application last on December 31

৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শেষ ৩১ ডিসেম্বর

৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শেষ ৩১ ডিসেম্বর ফাইল ছবি
আগামী বছরের মার্চে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৬তম বিসিএস নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

পিএসসির ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) যুগ্মসচিব আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আগের কয়েকটি বিসিএসের ধারাবাহিকতায় এবারও ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পিএসসি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করা যাবে আবেদন আর এতে ফি নির্ধারিত হয়েছে ৭০০টাকা। তবে বয়সে কোনো ধরণের ছাড় দেয়া হয়নি।

আগামী বছরের মার্চে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

৪৬তম বিসিএসে ক্যাডার হিসেবে ৩ হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা জানানো হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তিতে। আগের ১০টি বিসিএসের তুলনায় এবার পদ সংখ্যার বিচারে এটি রেকর্ড।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এক হাজার ৬৯৮ জন চিকিৎসক নিয়োগ পাবেন এ বিসিএসে। এরপরই আছে শিক্ষা ক্যাডার। সরকারি কলেজে ৯২০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে এ বিসিএসের মাধ্যমে।

এছাড়া সাধারণ ক্যাডারের মধ্যে বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্ত ৬৫টি পদে নিয়োগ দেয়ার কথা উল্লেখ আছে ৪৬তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তিতে।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Young volunteer organizer Hossain wants to live

বাঁচতে চান তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সংগঠক হোসাইন

বাঁচতে চান তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সংগঠক হোসাইন হাসপাতালের বিছানায় হোসাইন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা
আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হোসাইন। তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় তার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

রাজধানীর ডেমরার আমিনবাগ গেট বাঁশেরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ। ২৫ বছর বয়সী এ যুবক একজন স্বেচ্ছাসেবী এবং সংগঠক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফোরাম এসডিএ, উইন্টার প্রোজেক্ট, হিমু পরিবহন, আশার আলো সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।

যে বয়সে হোসাইনের পরিবারের হাল ধরার কথা, সেই বয়সে তিনি আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অন্তত ১২ লাখ টাকা, কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

হোসাইন গত ১২ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় তার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

নিউরোসায়েন্স থেকে ফিরে বর্তমানে বাসায় রয়েছেন হোসাইন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যায় নিউজবাংলা। গিয়ে দেখা যায়, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। এ সময় বাঁতে আকূল হোসাইনের চোখের দুধার বেড়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রু। চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।

হোসাইনকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন নিচের মাধ্যমগুলোতে

প্রাইম ব্যাংক শেরপুর, বগুড়া শাখা

  • অ্যাকাউন্টধারীর নাম: কারু (Karu)
  • অ্যাকাউন্ট নম্বর: ২২২৪১৭৯০০৪৭১১
  • সুইফট কোড: PRBLBDDH
  • রাউটিং নম্বর: ১৭০১০২৭৪৬

ইসলামী ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা

  • অ্যাকাউন্টধারীর নাম: কারু (Karu)
  • অ্যাকাউন্ট নম্বর: ২০৫০৭১৭০১০০০০৯৯০১
  • সুইফট কোড: IBBLBDDHFRD
  • রাউটিং নম্বর: ১২৫২৭৩২২০

বিকাশ/নগদ (মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট)

  • পেমেন্ট নম্বর: ০১৩২২৬৬৩৬৩৬

বিকাশ/নগদ (হোসাইনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট)

  • অ্যাকাউন্ট নম্বর: ০১৯১৪৩৩৪০০৪

যেকোনো প্রয়োজনে রায়হান (০১৯৫৩৬১৯৪১৯), আশিক (০১৬১০২১৭০৬৪) ও তপুর (০১৫৬৮১০৯৯৫৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

জীবনযাপন
BNP Jamaat will not be a party in 10 15 years Jai

১০-১৫ বছরে বিএনপি-জামায়াত বলে দল থাকবে না: জয়

১০-১৫ বছরে বিএনপি-জামায়াত বলে দল থাকবে না: জয় শনিবার সাভারে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘অনেকেই মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের উস্কানি দিচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের আগে অনেক বেশি কথা বলা শুরু করেন। ঠিক তখনই এই সন্ত্রাস, সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়। তার মানে এরাই উস্কাচ্ছে। আর বেশিদিন নেই, মাত্র দেড় মাস। যেদিন নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, তারাও চুপ হয়ে যাবে।’

বিএনপি-জামায়াতকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী সংগঠন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেছেন, ‘আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো দল টিকে থাকবে না। যখন এই জঙ্গিবাদী মৌলবাদী শক্তির চিহ্ন বাংলাদেশ থেকে মুছে যাবে তখন দেশে শান্তি আসবে।’

সাভারে শনিবার শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সপ্তম আসরের চূড়ান্ত পর্বে পুরস্কার বিতরণ শেষে বক্তব্য দেন জয়।

নির্বাচনের সময় নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন সমস্যা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ। এই সমস্যাও কিন্তু দূর করা যায়।

‘আমরা জানি গত তিন নির্বাচন ধরে তাদের এই নির্যাতন। প্রত্যেক নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে তারা এই জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। এটার মোকাবেলা হচ্ছে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেবেন। যারা জ্বালাও-পোড়াও করছে তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের ভোট দেবেন। নৌকায় ভোট দেবেন।’

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, ‘অনেকেই মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের উস্কানি দিচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের আগে অনেক বেশি কথা বলা শুরু করেন। ঠিক তখনই এই সন্ত্রাস, সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়। তার মানে কি? তাদের এরাই উস্কাচ্ছে। আর বেশি দিন নেই, মাত্র দেড় মাস। যেদিন নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, তারাও চুপ হয়ে যাবে।’

সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণরা সমস্যা সমাধানে চিন্তা করতে পারে। গত ১৫ বছরে দেশে যে উন্নতি হয়েছে তা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক সমস্যা আছে। আমি শুরু থেকেই বাংলার তরুণদের বলছি, আমরা দেশ হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশের তরুণরাও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

তরুণরা নিজের উদ্যোগে নিজের কর্মসংস্থান বের করে নিতে পারেন। দুর্নীতি সমস্যার সমাধানও করতে পারেন। শুধু সরকার পারে তা নয়, আমরা সবাই এসব সমস্যা মোকাবেলা করতে পারি।’

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ও শীর্ষ বাছাই হওয়া সব সংগঠনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘সাত শতাধিক সংগঠন আবেদন করেছে। সবাইকে আমরা পুরস্কৃত করতে পারিনি। কিন্তু সবার জয়ই বাংলার জয়। আপনাদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।’

তরুণদের উদ্দেশে জয় বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করছেন, মানুষ ও পরিবেশের জন্য যে চিন্তা করছেন, পরিশ্রম করছেন তা অসাধারণ। আমাদের স্বপ্ন ছিল, তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনারাই হচ্ছেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। শুধু বর্তমান নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও আমরা চিন্তা করি। আপনারা সেটা দেখিয়ে দিচ্ছেন।’

আরও পড়ুন:
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেল ১২ সংগঠন

মন্তব্য

p
উপরে