প্রয়াত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রথমবার দেয়া হলো বাংলা একাডেমি পরিচালিত ‘রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কার ২০২২’।
বাংলা একডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয় এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
কথাসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কথাসাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত এবং তরুণ কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমানকে তার উজানবাঁশি উপন্যাসের জন্য এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
পুরস্কৃত কথাসাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্তকে ২ লাখ টাকা এবং স্বকৃত নোমানকে ১ লাখ টাকার চেক এবং সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
অমর একুশে বই মেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেয়ার বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সভাপতিসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুর রহমান। তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
আগামী সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রিট আবেদনে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশনীটিকে স্টল বরাদ্দ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ‘শুধু একটি বইয়ের জন্য মেলায় পুরো প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ সে বইটি ব্যান্ড লিস্টেড বা কালো তালিকাভুক্ত নয়। বাংলা একাডেমি আইন-২০১৩ অনুযায়ী তাদের এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো বৈধতা নেই।
‘একইসঙ্গে প্রতিবছর একাডেমি থেকে যে নীতিমালা করা হয়, তারও ব্যত্যয় ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তাদের এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের বাক-স্বাধীনতার বিরোধী।’
আরও পড়ুন:অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকেলে তার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে মেলার এবার আসর।
উদ্বোধনের পর সংক্ষিপ্ত ভাষণ শেষে বইমেলা ঘুরে দেখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
তিন বছর পর সশরীরে হাজির হয়ে বাঙালির বই উৎসব উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাস মহামারির আগে প্রতি বছরই তিনি সশরীরে হাজির হয়ে বইমেলা উদ্বোধন করতেন। তিনি মেলায় ঘুরে বইও কিনতেন।
গত তিন বছর মহামারির কারণে প্রধানমন্ত্রী মেলায় উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি বইমেলা উদ্বোধন করেছেন ডিজিটালি সংযুক্ত হয়ে। এবার তার উপস্থিতি বইমেলায় ভিন্ন মাত্রা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি মাস ভাষা আন্দোলনের মাস। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।
‘আমার ভাই এর রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ বুধবার থেকে রক্তে রাঙ্গানো সেই ফেব্রুয়ারি মাস ভাষা আন্দোলনের মাস শুরু। এ দিন থেকে ধ্বনিত হবে সেই অমর সংগীতের অমিয় বাণী । বাঙ্গালী জাতি পুরো মাসজুড়ে ভালোবাসা জানাবে ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন এবং একাত্তরে নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাবহ হলেও অন্যদিকে আছে এর গৌরবোজ্জ্বল দিক। কারণ এ মাসে পৃথিবীতে একমাত্র জাতি হিসেবে বাঙালিরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন।
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর শুরু হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আবার হয়ে উঠবে জমজমাট।
বুধবার থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ মাসব্যাপী বইমেলা শুরু হচ্ছে। বাংলা একাডেমিতে বিকাল তিনটায় এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
এ ছাড়াও জাতীয় কবিতা উৎসবও শুরু হবে বুধবার থেকে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে ১৯৮৭ সালে শুরু হয় এ উৎসবের। বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজন করেছে এ পথ নাট্য উৎসবের। বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ মাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন:অমর একুশে বইমেলায় আসছে এশরার লতিফের ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস ‘নক্ষত্র-নূপুর’-এর প্রথম খণ্ড।
রুশ ও বাঙালি বিপ্লবীদের জীবনকাহিনি উঠে এসেছে এ উপন্যাসে।
পাঠক বইটিতে কী পাবেন, তা নিয়ে লেখক বলেন, ‘এই উপন্যাসে একই সঙ্গে ধারণ করা হয়েছে রাশিয়ার বিপ্লবী এবং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া বাঙালি বিপ্লবীদের প্রেম এবং বিপ্লবের কাহিনী এবং এসব ভূখণ্ডের বিপ্লবীদের আন্তঃসম্পর্ক। মূলত ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং প্রথম রুশ বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে লেখা বিপ্লব, রক্ত, ক্ষয় আর তীব্র প্রেমের রোমাঞ্চকর ঐতিহাসিক উপন্যাস নক্ষত্র-নূপুর।’
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন লেখক নিজেই, যেটি প্রকাশ করেছে ‘অন্যপ্রকাশ’।
প্রথম খণ্ডের মুদ্রিত দাম ৮০০ টাকা। রকমারি ডটকমে বইয়ের প্রি অর্ডার চলছে, যাতে বইটির মূল্য ৬০০ টাকা।
ড. এশরার লতিফ যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতক। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ ও উপকরণ সংক্রান্ত গবেষণা পত্রিকাগুলোতে তার গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ হয়েছে।
এশরার লতিফ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কিছু অ্যাকাডেমিক জার্নালের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। তিনি প্রথম বাংলাদেশি সার্টিফায়েড প্যাসিভ হাউজ ডিজাইনার।
বইয়ের প্রতি লেখকের আগ্রহ, ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই। তিনি মূলত গোয়েন্দা-কাহিনি, উপন্যাস, ছোট গল্প, ছড়া ও কবিতা লেখেন। তার প্রথম গল্প সংকলন ‘স্ফটিক বাড়ি ও অন্যান্য গল্প’ ২০১৮ সালের শুরুতে ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশ হয়।
এ ছাড়া তার ইংরেজি ছোটগল্প ‘মীরা’ ২০১৯ সালের বার্লিন রাইটিং প্রাইজ প্রতিযোগিতায় লং-লিস্টেড হয়েছিল। তার উপন্যাস ‘গোধূলি রিসোর্ট’ ২০১৯ সালে, ‘অলাতচক্র’ ২০২০ সালে, ‘বর্ণ-পরমাণু’, ‘প্রপঞ্চভুজ’, ‘জেসমিন এবং একগুচ্ছ অন্ধকার’, ‘ত্র্যহস্পর্শ’ ২০২১ সালে, ‘ঝুমঝুমি কি বেঁচে আছে’, ‘ইতি, তোমার রূপা’ ২০২২ সালে প্রকাশ হয়।
এশরার লতিফের গল্পগ্রন্থ ‘গল্পদ্রুম’ ২০২১ সালে এবং ‘গল্পবৃষ্টি’ ২০২২ সালে প্রকাশ হয়। তার কাব্যগ্রন্থ ‘শেয়ের-এ-এশরার’ ২০২২ সালে প্রকাশ হয়।
আরও পড়ুন:‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার: দেশ নির্মাণের মৌলিক রূপরেখা’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বইটি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের শুরুতে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বইটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের প্রশাসন ব্যবস্থা, মন্ত্রিসভা, বাজেট, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, পরিকল্পনা, প্রতিরক্ষা, অবকাঠামো ও যোগাযোগ, নারী উন্নয়ন, বাণিজ্যনীতি, আইন প্রণয়ন, সিভিল সার্ভিস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ ইত্যাদিসহ সরকার পরিচালনা-সংশ্লিষ্ট মোট ৪৭টি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।
বৃহৎ পরিসরে গবেষণার আলোকে বইটি রচনায় লেখক তৎকালীন সরকারি রিপোর্ট, জাতীয় আর্কাইভ, দেশি-বিদেশি পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদন, সাক্ষাৎকার, শতাধিক গ্রন্থ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রতিবেদন ইত্যাদি পর্যালোচনা করেছেন। যেসব উৎস/সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলোর তথ্যসূত্র গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে।
মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া নিরবচ্ছিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিপুল তথ্যভাণ্ডার সুবিন্যস্তভাবে গ্রন্থটিতে তুলে ধরেছেন। এর মধ্য দিয়ে এতে তৎকালীন সরকারের একটি মৌলিক রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে উঠে এসেছে।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে যেভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তার একটি প্রতিচ্ছবি এ গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে। এই পরম্পরায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান ও আগামী দিনের গবেষক, চিন্ত্যক, অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক এবং রাজনৈতিক কমীদের জন্য এ গবেষণা দলিলটি দিকদর্শন হিসেবে কাজ করবে।
মোট ৪৯২ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে পাঠক সমাবেশ; মূল্য ১৪৯৫ টাকা। গ্রন্থটি পাঠক সমাবেশ, শাহবাগ ও কাঁটাবন-এ পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:আর মাত্র ১০দিন। এরপরই শুরু হবে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বই মেলা।
এবারের বইমেলায় ৫৭৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। আর মোট স্টল থাকছে ৮৫৭টি। এসবের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে ৪৭২টি প্রতিষ্ঠান ও ৭১০টি ইউনিট। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠান থাকবে ১০৩টি আর ইউনিট থাকবে ১৪৭টি।
সব মিলে মেলায় এবার প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৪টি।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ শনিবার বইমেলার সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখন পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনামাফিকই এগিয়ে যাচ্ছে। যথা সময়ে যেন মেলা শুরু করা যায় সেজন্য আমরা এটা সার্বক্ষণিক মনিটরে রাখব।’
কে এম খালিদ বলেন, ‘বইমেলার জন্য একটা নীতিমালা আছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশগ্রহণ করছে তাদের সেই নীতিমালা মানতে হবে। যদি কেউ নীতিমালার বাইরে যায় তাদের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই ফোর্সের জন্য মেলা প্রাঙ্গণে একটা অফিসও আমরা করে দিয়েছি।’
টাস্কফোর্সের কারণে মুক্ত চিন্তার কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যার যার মত সে প্রকাশ করবে। কিন্তু একটা জিনিসি মাথায় রাখতে হবে। কারও বিরুদ্ধে হিংসা-বিদ্বেষ বা অগ্রহণযোগ্য কিছু আমরা চাই না। এটি মুক্ত জায়গা। আমাদের প্রাণের মেলা। এখানে আমরা চাই না কেউ কাউকে নিয়ে কোনো ধরনের কটাক্ষ করুক।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় সশরীরে এসে মেলা উদ্বোধন করবেন। এখন পর্যন্ত তেমন সিদ্ধান্তই রয়েছে। তিনি উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’
আদর্শ প্রকাশনীর স্টল বরাদ্দ নিয়ে কে এম খালিদ বলেন, ‘বইমেলার নিয়ম-নীতির বাইরে আমরা যেতে পারব না। তারা যদি নিয়মনীতির মধ্যে আসে তাহলে তাদের ব্যাপারে আামাদের যে সিদ্ধান্ত সেটি তাদের জানানো হবে।’
বইমেলার নিয়ম-নীতি সংস্কারের জন্য আদর্শ প্রকাশনী যে দাবি তুলেছে সেটির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কার সময়ের ব্যাপার। তাৎক্ষণিক চাইলে তো আর হবে না।’
তিনি বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে কুৎসা বা অপবাদ রটানো মুক্ত চিন্তার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না। সমাজ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জাতীয় পতাকা, জাতির পিতা- এসবের ব্যাপারে কোনো আপোষ করা যাবে না।’
‘এখন মুক্ত চিন্তার দোহাই দিয়ে যদি জাতির পিতাকে কটাক্ষ করে কোনো বই লেখা হয় তাহলে সেই বই....। গত বছর আদর্শের বইতে আপত্তিকর কিছু বিষয় ছিল। সেসব বিষয়ে তাদের আপত্তি জানানো হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানকে মেলার নিয়ম মেনে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন:আগামী দুই বছরের জন্য দেশের অন্যতম শীর্ষ আবৃত্তি সংগঠন আবৃত্তি একাডেমির পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন হিমাদ্রী মোর্শেদ তাহমিনা ও সমন্বয়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বেলায়েত হোসাইন।
বিগত মেয়াদে সংগঠনটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন হিমাদ্রী মোরশেদ তাহমিনা এবং বিদায়ী কমিটির প্রচার অধিকর্তার দায়িত্বে ছিলেন বেলায়েত হোসাইন।
হিমাদ্রী মোর্শেদ তাহমিনা একজন গুণী আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আড়ংয়ের কর্মকর্তা। অন্যদিকে বেলায়েত হোসাইন পেশায় সাংবাদিক। বর্তমানে ‘এখন’ টিভিতে রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার ছিলেন বেলায়েত।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটরিয়ায় দিনব্যাপী আবৃত্তি একাডেমির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সদ্যোবিদায়ী পরিচালক কামরুল ইসলাম জুয়েল।
কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০২২-২৩ সেশনের জন্য নতুন নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করা হয়। নবনির্বাচিত কমিটিতে প্রশিক্ষণ অধিকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সংগঠনের কার্যকরী সদস্য আবদুর রহমান তিতুমীর।
অর্থ অধিকর্তা বেলাল হোসাইন অনিক, দপ্তর অধিকর্তা আব্দুস সালাম এবং প্রচার অধিকর্তা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুর রহমান তারেক। এ ছাড়া নির্বাহী কমিটিতে সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাবেক পরিচালক মৃন্ময় মিজান, মাসুদ আহম্মেদ, দিলসাদ জাহান পিউলী, বিদায়ী কমিটির পরিচালক কামরুল ইসলাম জুয়েল ও বিদায়ী কমিটির অর্থ অধিকর্তা নাজনীন রিমি।
কাউন্সিলে নতুন কার্যকরী পরিষদে নতুন পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করেছেন আবৃত্তিশিল্পী মো. আল-আমিন। সব মিলিয়ে ৩৪ সদস্যের কার্যকরী পরিষদের প্রায় ৩০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলে।
‘উচ্চারিত প্রতিটি কথা হোক শিল্প’- এ স্লোগানকে ধারণ করে আবৃত্তি একাডেমির পথচলা দুই যুগেরও অধিক সময় ধরে। ২৪ বছরের পরিক্রমায় পাঁচ হাজারের মতো শিক্ষার্থীকে প্রমিত উচ্চারণ ও বাচনিক উৎকর্ষের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে সংগঠনটি।
আবৃত্তির ছোট বড় ৬৬টি প্রযোজনা একাডেমিকে করেছে সমৃদ্ধ ও সুপরিচিত। এ ছাড়া দেশের প্রথম সারির প্রায় সব গণমাধ্যমে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন আবৃত্তি একাডেমির সদস্যরা।
আবৃত্তি একাডেমি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরব উপস্থিতি আবৃত্তি একাডেমির।
মন্তব্য