× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Different types of allergies and their home remedies
google_news print-icon

অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় যা জানা জরুরী

অ্যালার্জি-দূর-করার-ঘরোয়া-উপায়-যা-জানা-জরুরী
একেক জনের কাছে অ্যালার্জির লক্ষণ একেক রকম। তবে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে চোখ ও ত্বক চুলকানো, হাঁচি, ভরাট নাক, গলা শক্ত হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বমি হওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা এমনকি মূর্ছা যাওয়া।

আমাদের শরীর রোগ-জীবাণু প্রতিরোধ করে। শরীরের এই প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার ত্রুটি হলো অ্যালার্জি। যার অ্যালার্জি আছে, তার শরীর রোগ-জীবাণুর পাশাপাশি ক্ষতিকর নয় এমন বস্তুকেও ক্ষতিকর মনে করে, তার বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ক্ষতিকর নয় এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের এই অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে অ্যালার্জি বলা হয়।

এ কারণে অন্যদের জন্য ক্ষতিকর না হলেও অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তির কাছে ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ কিংবা গরুর গোস্ত ক্ষতিকর।

অ্যালার্জির লক্ষণ

একেকজনের কাছে অ্যালার্জির লক্ষণ একেক রকম। তবে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে চোখ ও ত্বক চুলকানো, হাঁচি, ভরাট নাক, গলা শক্ত হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বমি হওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা এমনকি মূর্ছা যাওয়া।

অ্যালার্জি থেকে বাঁচবেন যেভাবে

অ্যালার্জি কখনও পুরোপুরি দূর করা যায় না। তবে এর প্রকোপ কমানো যায়। যে বস্তুতে অ্যালার্জি আছে তার থেকে ১০০ হাত দূরে থাকলেই অ্যালার্জিমুক্ত থাকা সম্ভব।

রোগীভেদে একেকজনের একেক বস্তুতে অ্যালার্জি থাকতে পারে। ধরুন, কারও রেশমি কাপড়ে অ্যালার্জি, তিনি রেশমি কাপড় পরবেন না। যার চিংড়ি মাছে অ্যালার্জি তিনি চিংড়ি মাছ খাবেন না।

কোন কোন বস্তুতে অ্যালার্জি, সেটা রোগীকে মনে রাখতে হবে এবং সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। তবেই অ্যালার্জির হাত থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব।

-

ত্বকের অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

টি-ট্রি অয়েল

ত্বকের অ্যালার্জিতে টি-ট্রি অয়েল দারুণ কাজ করে। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-আইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অনেক ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দেয়।

আপেল সিডার ভিনিগার

অ্যাপল সিডার ভিনিগারে আছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড। ত্বকের চুলকানি কমিয়ে অ্যালার্জির প্রকোপ দূর করতে কাজ করে এই উপাদানটি। তবে ব্যবহারের আগে দেখে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনিগারে অ্যালার্জি আছে কি না। থাকলে ব্যবহার করা যাবে না।

অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় যা জানা জরুরী

নারকেল তেল

নারকেল তেলে থাকা ময়েশ্চারাইজিং অ্যালার্জির ক্ষেত্রে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। শুধু তা-ই নয়, নারকেল তেল অ্যালার্জিজনিত চুলকানি কমায়। একটি বাটিতে সামান্য নারকেল তেল নিয়ে কুসুম গরম করুন। যেখানে অ্যালার্জির লক্ষণ রয়েছে, সেখানে লাগান। এক ঘণ্টা রেখে দিন। উপকার পেলে দিনে দুই বার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা জেল

ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা উপায় অ্যালোভেরা জেল। এটি ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দেয়। সতেজ অ্যালোভেরা সরাসরি ত্বকে লাগালেই উপকার পাওয়া যায়।

-

চোখের অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

গোলাপজল

গোলাপজল চোখের অ্যালার্জির প্রিভেন্টিভ হিসেবে কাজ করে। চোখ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে ২ থেকে ৩ ফোঁটা গোলাপজল দিয়ে দিন। এতে যে ইনফেকশনের কারণে চোখ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়েছে সেটি কেটে যায়। গোলাপজল দেয়ার পর চোখ কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখুন। খোলা রাখলে তরলটি বেরিয়ে যাবে। তখন পুরোপুরি কাজ হবে না।

লবণপানি

এক গ্লাস পানি নিন। এতে ৩ চা-চামচ পরিমাণ লবণ গুলে পানি ভালোমতো ফোটান। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই পানিতে এক টুকরা পরিষ্কার তুলা ভিজিয়ে চোখগুলো ধীরে ধীরে মুছে দিন। এতে চোখে থাকা ময়লা বেরিয়ে যাবে এবং জ্বালাপোড়া বা চুলকানি থেকেও আরাম মিলবে।

ঠান্ডা পানি

কথায় আছে পানির অপর নাম জীবন। চোখের অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও ঠান্ডা পানি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জির কারণে চোখ ফুলে গেলে, লাল হলে বা চুলকালে বারবার ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। এতে যন্ত্রণার উপশম হবে।

আমলকী ও মধু

আমলকী পাউডার করে নিন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীর অ্যালার্জেনমুক্ত থাকবে।

সায়েনি

সায়েনি এক ধরনের হার্ব। এটি অনেকটা মরিচের মতো দেখতে। সায়েনি শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করার পাশাপাশি টক্সিন রিলিজ করতেও সহায়তা করে। চোখের ময়লা দূর করতে এর ভূমিকা রয়েছে।

সানগ্লাস

যদি আপনার অতিরিক্ত অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে, তবে অবশ্যই কোথাও বের হওয়ার আগে সানগ্লাস পরে বের হবেন। বিশেষ করে যেখানে বাস করেন সেটি যদি ধুলাবালিপূর্ণ এলাকা হয়, তাহলে চোখকে ডাস্ট অ্যালার্জিমুক্ত রাখতে সানগ্লাসের জুড়ি নেই।

পরিচ্ছন্নতা

ঘর এবং বিছানা সব সময় পরিষ্কার রাখবেন। যাতে ধুলাবালি না ওড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। টিভি, মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের সামনে টানা বসে থাকবেন না। আর চোখ চুলকালে আঙুল দিয়ে রগড়ানো থেকে বিরত থাকুন।

-

ঠান্ডা অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

পেয়ারা খান

পেয়ারায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ঠান্ডাজনিত অ্যালার্জি দূর করতে এই উপাদানটি দারুণ কাজ করে। পেয়ারার পাশাপাশি লেবুর শরবত অথবা লেবু চা খেলেও উপকার পাবেন।

ঘিতে উপকার

ঠান্ডাজনিত অ্যালার্জি দূর করতে খাবারের সঙ্গে ঘি খেতে পারেন। বিশুদ্ধ ঘি সংগ্রহ করে একবার এক চা-চামচ ঘি খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে গ্রহণ করলে ঠান্ডার সমস্যা কেটে যাবে।

কালিজিরা একটি মহৌষধ

কালিজিরা খেয়ে ঠান্ডাজনিত অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। রাতের খাবার কালিজিরা ভর্তা অথবা ঘুমানোর আছে কালিজিরার বড়ি খান। উপকার পেলে নিয়মিত খেতে পারেন।

ঠান্ডার সমস্যায় মধু

গ্রামে এখনও ঠান্ডার চিকিৎসায় মধু ব্যবহার করা হয়। যাদের অ্যালার্জিজনিত ঠান্ডার সমস্যার কষ্ট দিচ্ছে, তারা দিনে দুই চা-চামচ মধু খেয়ে দেখুন, ঠান্ডার সমস্যা চলে যাবে।

আরও পড়ুন:
গর্ভধারণে সহায়তা করে যে খাবারগুলো
অন্যদের থেকে বেশি শীত লাগার কারণ
শীতকালে বাতের ব্যথার ঘরোয়া সমাধান
শীতকালে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন
শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে যে খাবারগুলো

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Baikal healthcare started in government hospitals in the form of piloting

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার শুরু

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার শুরু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের ১২ টি জেলা ও ৩৯ টি উপজেলায় মোট ৫১ টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: নিউজবাংলা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন ‘প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছি। তাই আজ আপাতত পাইলটিং আকারে ৫১ টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের শুরু করা হলো। এই কার্যক্রম মানুষের ভালো লাগলে আমরা এ বছরেই দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ১২ জেলা ও ৩৯ টি উপজেলার মোট ৫১ টি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারের মাধ্যমে রোগী দেখার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চিকিৎসকরা এযাবৎ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের বিকেলে চিকিৎসা সেবা নিতে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যেতে হতো। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছি। তাই আজ আপাতত পাইলটিং আকারে দেশের ১২ জেলা ও ৩৯ টি উপজেলার মোট ৫১ টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের শুরু করা হলো। এই কার্যক্রম মানুষের ভালো লাগলে আমরা এ বছরেই দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

সরকারি হাসপাতালগুলো কিসের ভিত্তিতে কাজ করবে- এই প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আমরা একটি নীতিমালা প্রনয়ণ করেছি। সেই নীতিমালা অনুযায়ী সব কাজ পরিচালিত হবে। নীতিমালায় একজন চিকিৎসক বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী কতদিন দায়িত্ব পালন করবেন, কীভাবে করবেন তা বিস্তারিত লেখা আছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়াসহ জুম অনলাইনে ৫১ টি জেলা ও উপজেলা সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।

আরও পড়ুন:
শুক্রবারে অসুস্থ হতে ‘মানা’
তুরস্কের সহায়তায় চট্টগ্রামে নতুন হাসপাতাল গড়তে চান মেয়র
আড়াই বছরেও চালু হয়নি রংপুর শিশু হাসপাতাল
হাসপাতালে বিজয় দিবসের সজ্জায় কনডম-কাণ্ড তদন্তে কমিটি
শিশু মাইশার মৃত্যু: ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হলো দেহ
জীবনযাপন
Institutional practice of government doctors started on March 30

সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু ৩০ মার্চ

সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু ৩০ মার্চ  সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য অপেক্ষমান ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস আগামী ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু করা হবে।’

সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস আগামী ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু করা হবে।

‘প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলা হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু হবে। কার্যক্রমের আওতায় বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা দিবেন চিকিৎসকরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা সপ্তাহে দুইদিন করে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আওতায় রোগী দেখবেন। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আওতায় রোগী দেখাতে অধ্যাপককে ৫০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপককে ৪০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপককে ৩০০ টাকা এবং অন্য চিকিৎসককে ২০০ টাকা করে ফি দিতে হবে।

‘এসব ফি থেকে অধ্যাপকরা ৪০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপক ৩০০ টাকা সহকারী অধ্যাপক ২০০ টাকা এবং অন্যান্য চিকিৎসকরা ১৫০ টাকা করে পাবেন। বাকি টাকা সার্ভিস চার্জ বাবদ কাটা হবে এবং চিকিৎসকদের সহায়তাকারীরা পাবেন।’

আরও পড়ুন:
বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসার সঙ্গে যাতায়াতের খরচও পাবে ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিপাহ ভাইরাসের চিকিৎসা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যতদিন, উন্নয়নও ততদিন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক কিনলে শাস্তি

মন্তব্য

জীবনযাপন
Drink these 5 drinks to stay healthy during Ramadan

রমজানে চাঙা থাকতে পান করুন এই ৫ পানীয়

রমজানে চাঙা থাকতে পান করুন এই ৫ পানীয় প্রতীকী ছবি
পানি আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সবাই জানি। তাই সেহরি এবং ইফতারের সময় সঠিক পরিমাণে তরল পানীয় গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমাদের শরীরে পানির সুষ্ঠু পরিমাণ বজায় থাকে।

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাতে সেহরি খেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন মুসলিমরা। এ সময়ে পানি ছাড়া প্রায় পুরো দিন কাটানো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। পানি আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সবাই জানি। তাই সেহরি এবং ইফতারের সময় সঠিক পরিমাণে তরল পানীয় গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমাদের শরীরে পানির সুষ্ঠু পরিমাণ বজায় থাকে।

এ রমজানে চাঙা থাকতে নিচের ৫টি পানীয় আপনার সেহরি এবং ইফতারের তালিকায় থাকতে পারে।

ডাবের পানি

রমজান মাসে হাইড্রেটেড থাকার একটি সতেজ এবং প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে ডাবের পানি। এটি প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইটস, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ যা আপনাকে আপনার শরীরের তরলের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।

রুহ আফজা শরবত

রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি পান করা হয় রুহ আফজা শরবত। এটি একটি রিফ্রেশিং এবং সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ খাবার এবং পানি ছাড়াই তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করবে। এটি পানি বা দুধের সঙ্গে মিশ্রিত করতে পারেন। এ ছাড়া আরও নান্দনিকভাবে আনন্দদায়ক করতে তরমুজের ছোট টুকরা এবং তাজা পুদিনা পাতা দিয়ে সাজাতে পারেন রুহ আফজার শরবত।

ভেষজ উপাদানের পানীয়

পানিতে একটি সাধারণ টুইস্ট দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে সুস্বাদু করে তুলতে স্পিয়ারমিন্ট, পেপারমিন্ট এবং লেমনগ্রাসের মতো ভেষজগুলির তুলনা হয়না। এতে রয়েছে শীতল উপাদান যা পানিতে মিশ্রিত করলে স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরি হবে।

আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, একটি পাত্রে পানি নিয়ে পুদিনা পাতা এবং লেবুর রস যোগ করা। এর সঙ্গে আপনার পছন্দের ফলের টুকরাও যোগ করতে পারেন। ভালোভাবে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন, সঙ্গে সামান্য গোলমরিচ, হালকা লবণ ও বরফ কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন। ইফতারে এটি দিবে দারুণ সতেজতা।

দুধ ও খেজুরের স্মুদি

দুধ এবং খেজুর স্মুদি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি পানীয় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। খেজুর চটজলদি এবং সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙেন। ঘরে বসেই খেজুর থেকে পুষ্টিকর পানীয় তৈরি করতে পারেন।

শুধু খেজুর গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। খেজুর দুধের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিশে গেলেই আপনার শক্তি বৃদ্ধিকারী পানীয় প্রস্তুত হয়ে যাবে।

ফলের জুস

এ রমজানে ফলের রস তৃষ্ণা নিবারণের জন্য একটি অসাধারণ পানীয় হতে পারে। তাজা ফলের রস প্রাকৃতিক উপাদানের পুষ্টিতে ভরপুর। এগুলো সুস্বাদু এবং প্রস্তুত করা সহজ।

আপনার পছন্দমতো যেকোনো ফলের জুস তৈরি করতে পারেন। তরমুজ, কমলা, পেঁপে, আঙ্গুর, লেবু, আনারসের মতো পানিযুক্ত উপাদানের ফল খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সুস্বাদু মিশ্র ফলের জুসও তৈরি করতে পারেন একসঙ্গে।

আরও পড়ুন:
সংকটকালেও ফল আমদানি বেড়েছে সাড়ে ৩ গুণ
স্বর্ণের দামে রেকর্ড, ভরি ৮৭ হাজার টাকা ছাড়াল
‘বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি মার্চে উৎপাদনে যাবে’
ভয়কে জয় করে নাছিমার ড্রাগন বাগান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ফল প্রকাশ, পাস ৬৮.১৯%

মন্তব্য

জীবনযাপন
Shamim Osman Hospital

শামীম ওসমান হাসপাতালে

শামীম ওসমান হাসপাতালে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
শামীম ওসমানের সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি ফেসবুকে লিখেন, ‘সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গতকাল (বুধবার) রাত থেকে অসুস্থ। তিনি বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপনারা সবাই ওনার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।’

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সাংসদের সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি ও ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শামীম ওসমানের সুস্থতা কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সবার দোয়া কামনা করা হয়েছে।

অয়ন নিউজবাংলাকে জানান, তার বাবা (শামীম ওসমান) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি সবার কাছে তার বাবার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া চেয়েছেন৷

এর আগে সালমা ওসমান লিপি ফেসবুকে লিখেন, ‘সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গতকাল (বুধবার) রাত থেকে অসুস্থ। তিনি বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপনারা সবাই ওনার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।

শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম নিউজবাংলাকে জানান, ‘খাদ্য গ্রহণে অনিয়ম, ঠিকমতো না ঘুমানোর কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। তিনি এখন অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন।’

নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফেরদৌস জুয়েল জানান, ‘বর্তমানে শামীম ওসমান শারীরিকভাবে অনেকটা ভালো আছেন। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন৷’

আরও পড়ুন:
শামীম ওসমানকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা ‘সোজাসাপটা’ বন্ধ, সম্পাদকের নামে মামলা
শামীম-আইভী পাশাপাশি, খুশি কাদের

মন্তব্য

জীবনযাপন
No vaccination in schools and colleges without permission

অনুমতি ছাড়া স্কুল-কলেজে ভ্যাকসিনেশন নয়

অনুমতি ছাড়া স্কুল-কলেজে ভ্যাকসিনেশন নয় জরায়ু ক্যান্সারের নকল ভ্যাকসিনের অ্যাম্পুল। ছবি: নিউজবাংলা
শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৬ হাজার নারীকে জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন দেয়ার খবর প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। চিঠিতে ঔষধ প্রশাসন বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি ছাড়া এ ধরনের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম স্কুল-কলেজে না চালাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া স্কুল-কলেজে ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম আয়োজন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এক চিঠিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই ‘বিশেষ অনুরোধ’ জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৬ হাজার নারীকে জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন দেয়ার খবর প্রকাশের পর ১৯ মার্চ চিঠিটি দেয়া হয়। এর আগের দিন অভিযান চালিয়ে রাজধানীর দারুসসালামে ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন থেকে নকল ভ্যাকসিনের আলামত উদ্ধার করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে সব জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সব জেলার ঔষধ প্রশাসনকে।

তাতে বলা হয়েছে, সেরাভিক্স ভ্যাকসিন নকল পাওয়া গেছে। আন-রেজিস্টার্ড হেপাটাইটিস-বি’র ভ্যাকসিনের ভায়াল থেকে খালি ভায়ালে আংশিক ভরে সেরাভিক্স ভ্যাকসিনের লেবেল লাগিয়ে একটি চক্র নকল করছে।

গত ১৮ মার্চ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দারুসসালামের ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন থেকে নকল ভ্যাকসিনের আলামত পেয়েছে। গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে নকল ভ্যাকসিনের প্রচারণা করা হয়েছে।

চিঠিতে বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজ ও বেসরকারি পর্যায়ে কোনো ধরনের ভ্যাকসিনেশন করতে হলে এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমোদন থাকা আবশ্যক। ঔষধ প্রশাসন বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি ছাড়া এ ধরনের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম স্কুল-কলেজে না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৮ মার্চ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দারুস সালাামের ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশনে অভিযান চালিয়ে নকল ভ্যাকসিনের আলামত পেয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে অধিদপ্তর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা গত কয়েকদিনে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছি। কিছু সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠান নকল ভ্যাকসিন উদ্ধারের খবর পেয়ে সতর্ক হয়ে গেছে।

‘আমরা এখন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের অভিযান চলাকালেও এ ধরনের মাইকিং শুনতে পেয়ে ধাওয়া করেছিলাম। কিন্তু তারা পালিয়ে যায়।’

গত ১৫ মার্চ নকল ভ্যাকসিন তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম শিপন, ফয়সাল আহম্মেদ, আল আমিন, নুরুজ্জামান সাগর ও আতিকুল ইসলাম নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রত্যেককে দুইদিন করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিন বছর ধরে জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্স বাংলাদেশে আমদানি বন্ধ রয়েছে। আর এটাকে সুযোগ হিসিবে কাজে লাগায় প্রতারক চক্রটি। হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিনের একটি অ্যাম্পুল খুলে অন্তত ১০টি জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন বানিয়ে বিক্রি করছে চক্রটি।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের বরাত দিয়ে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের গোয়েন্দারা জানান, চোরাইপথে ভারত থেকে এই ভ্যাকসিন আনতে অ্যাম্পুল প্রতি খরচ হয় ৩৫০ টাকা। একটি অ্যাম্পুল খুলে ১০টি অ্যাম্পুল বানানো হয়। পরে সেগুলোতে লাগিয়ে দেয়া হয় জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্সের লেবেল।

লেভেল লাগানোর পর জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্সের প্রতিটি অ্যাম্পুল বিক্রি করা হয় আড়াই হাজার টাকা করে। গাজীপুরের প্রায় ৬ হাজার নারীর কাছে জনপ্রতি তিনটি করে ১৮ হাজার অ্যাম্পুল ভ্যাকসিন বিক্রি করে চক্রের সদস্যরা। এর মাধ্যমে তারা হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।

পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা ও আশপাশের প্রায় ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করে নকল টিকা বিক্রির তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী, শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের কাছে নকল ভ্যাকসিনের তিনটি করে ডোজ বিক্রি করেছে ওই প্রতারক চক্র।

নকল ভ্যাকসিন তৈরির কারখানা মালিক গ্রেপ্তার

নকল ভ্যাকসিন তৈরির কারখানা মালিক হিমেলকে রোববার গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগ। তাকে দু’দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। এর আগে নকল ভ্যাকসিন তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. গোলাম সবুর বলেন, ‘কারখানা মালিক হিমেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই নকল ভ্যাকসিন তৈরি ও বিপণনে জড়িত অন্যদের বিষয়ে জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছি।’

আরও পড়ুন:
৬ হাজার নারীর দেহে জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন
জরায়ু ক্যানসার আক্রান্ত ৮৫ ভাগ নারীই স্ক্রিনিংয়ের বাইরে
জরায়ুমুখ ক্যানসার নির্মূলে করণীয় কী

মন্তব্য

জীবনযাপন
Turmeric for sunburned skin care

রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে হলুদ

রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে হলুদ ত্বকে হলুদ ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন অনেকে। ছবি: ইমেডিহেলথ
‘রোদে পোড়া ত্বকের জন্য হলুদ খুবই উপকারী। ত্বকের ধরন অনু্যায়ী হলুদের ব্যবহার একটু ভিন্নভাবে করতে হয়।’

ত্বকে লাবণ্য ফেরানোর পাশাপাশি রোদে পোড়া দেহের যত্নে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদ দিয়ে তৈরি হয় সাবান, যা প্রসাধনী হিসেবে বেশ কার্যকর।

ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করার পাশাপাশি প্রসাধনী হিসেবে হলুদের তৈরি সাবানের উপকারিতা নিয়ে জানিয়েছেন হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার ক্লিনিকের রূপ বিশেষজ্ঞ শাহীনা আফরিন মৌসুমি। পরামর্শগুলোর তার ভাষায় পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হলো।

সুপ্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্ন ও নানা রোগের ওষুধ হিসেবে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। নানা আয়ুর্বেদিক গুণ থাকা কাঁচা হলুদ, শুকনো হলুদ গুঁড়ো বিভিন্ন উপায়ে আমরা ব্যবহার করি দৈনন্দিন জীবনে।

রোদে পোড়া ত্বকের জন্য হলুদ খুবই উপকারী। ত্বকের ধরন অনু্যায়ী হলুদের ব্যবহার একটু ভিন্নভাবে করতে হয়।

শুষ্ক ত্বক

শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে হলুদের রসটাকে বের করে নিতে হবে। তারপর সেটা দুই থেকে তিন মিনিট চুলায় ফুটিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে বেসন ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যায়।

তৈলাক্ত ত্বক

এ ক্ষেত্রেও একইভাবে হলুদের রস ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর মুলতানি মাটি নিয়ে হলুদের রসে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার সঙ্গে এক চামচ পুদিনা পাতা ও এক চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে হাত ও মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মিশ্র ত্বক

মিশ্র ত্বকের যত্নটা একটু ভিন্নভাবে নিতে হয়। কারণ এ ধরনের ত্বক একটু বেশি স্পর্শকাতর হয়। সে জন্য আগের মতোই হলুদের রস নিয়ে তার মধ্যে দেশি সবুজ মুগডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর একে পেস্ট করে তুলসী পাতার রস ও কেওলিন পাওডার মিশিয়ে মুখ ও হাত-পায়ে লাগাতে পারেন। এতে যেমন ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে, তেমনি হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত।

আর সব ধরনের ত্বকেই হলুদের রসের সঙ্গে ব্রাউন সুগার নিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন। এতে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়।

কখন ব্যবহারে বেশি উপকার

হলুদ সবসময় রাতে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদের যেকোনো প্যাক লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে একটা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে ত্বকের সজীবতা বাড়ে। আর হলুদের রস বা গুঁড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।

আরও পড়ুন:
গরমে ত্বকের যত্ন
শীতকালে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন

মন্তব্য

জীবনযাপন
The importance and reputation of nursing profession is increasing in the world Prime Minister

বিশ্বে নার্সিং পেশার গুরুত্ব ও খ্যাতি বাড়ছে: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বে নার্সিং পেশার গুরুত্ব ও খ্যাতি বাড়ছে: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুরে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজ’-এর দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস
গাজীপুরে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজ’-এর দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নার্সিং পেশাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছে এবং প্রায় ৪০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে। অভিজ্ঞতার জন্য চাকরির বয়সসীমা শিথিল করা হয়েছে। দেশ-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে।’

দেশের যুবসমাজকে নার্সিং শিক্ষা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘নার্সের শিক্ষা গ্রহণ করলে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও কর্মসংস্থান হবে। সারাবিশ্বে নার্সিং পেশার গুরুত্ব ও খ্যাতি বাড়ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুরে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজ’-এর দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান-২০২৩ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা গ্রাজুয়েট হলেন, ডিগ্রি পেলেন, তাদেরকে জনগণকে সেবা দেয়ার কথা সব সময় মনে রাখতে হবে। একজন রোগী চিকিৎসা ও ওষুধে যতটা না সুস্থ হবে তার চেয়ে বেশি ও দ্রুত সুস্থ হবে ডাক্তারদের সহানুভূতি এবং নার্সদের সেবা পেয়ে।’

এ সময় খ্যাতনামা নার্স ও মানবসেবী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কলেজের ২১০ জন স্নাতকের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। তিনি ছয়জন স্নাতক শিক্ষার্থীকে তাদের অসামান্য একাডেমিক রেকর্ডের জন্য ‘প্রাইম মিনিস্টার্স অ্যাওয়ার্ড’ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ‘গ্যালাপ’-এর হিসাব অনুযায়ী ২০২১ সালের মতো আবারও ২০২২ সালে নার্সিংকে সবচেয়ে বিশ্বস্ত পেশার খ্যাতি দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নার্সিং পেশাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছে এবং প্রায় ৪০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে। তাছাড়া অভিজ্ঞতার জন্য চাকরির বয়সসীমাও শিথিল করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশ-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, সরকার দেশে প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার পর এখন বিভাগীয় পর্যায়েও মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করছে। পর্যায়ক্রমে সব বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘পুরনো ২৩টি নার্সিং ইনস্টিটিউটকে নার্সিং কলেজে উন্নীত করে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স ও পোস্ট বেসিক কোর্স পরিচালনা করা হচ্ছে। আরও ১৬টি নার্সিং ইনস্টিটিউটকে নার্সিং কলেজে উন্নীতকরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

‘সরকারি পর্যায়ে বর্তমানে ৬৯টি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা, বিএসসি বেসিক ও পোস্ট বেসিক এবং মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। নার্সিং ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড নার্সিং এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (নিয়েনার) প্রতিষ্ঠা করেছি।’

তিনি জানান, বর্তমানে দেশের সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় ৪৪ হাজার ৫৩৪ জন নার্স ও মিডওয়াইফ কর্মরত। ২ হাজার ৩৬৭টি শূন্য পদের বিপরীতে সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়া ১০ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ৫ হাজার মিডওয়াইফের নতুন পদ সৃজন প্রক্রিয়াধীন আছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌফিক বিন ইসমাইল এবং দ্বিতীয় ব্যাচের স্নাতক শিক্ষার্থী আনামুল হক।

স্নাতক বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদের সভাপতি নরহাইজাম বিনতি মোহাম্মদ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
‘করুণা নয়, ন্যায্য অধিকার চাই’
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ববির শ্রদ্ধা রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়: প্রধানমন্ত্রী
সাহাবুদ্দিন কেন রাষ্ট্রপতি, জানালেন প্রধানমন্ত্রী
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা রাজনৈতিক কীভাবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
আদালতে সাজাপ্রাপ্ত কেউ নির্বাচন করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

p
উপরে