রাজধানীর ধানমন্ডিতে সফিউদ্দীন শিল্পালয়ে ‘আদ্যোপান্ত’ শিল্পীদলের ১১ শিল্পীর চিত্রকর্ম নিয়ে শুরু হয়েছে প্রদর্শনী ‘নকশী’।
৪৪টি চিত্রকর্ম নিয়ে শুক্রবার বিকেলে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী আবুল বারক আলভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী শেখ আফজাল হোসেন।
প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া চিত্রকর্মগুলো গত বছর শেরপুরের ঝিনাইগাতির নকশী গ্রামে তিন দিনের এক আর্ট ক্যাম্পে এঁকেছিলেন শিল্পীরা।
এই আর্ট ক্যাম্পের আয়োজক ছিলেন লেখক, পাখি বিশেষজ্ঞ ও আলোকচিত্রী ইনাম আল হক। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বও করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইনাম আল হক বলেন, "নকশী গ্রামের আর্ট ক্যাম্পে শিল্পীরা প্রাণ-প্রকৃতির নিগূঢ়তম যে সৌন্দর্য তাদের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছেন, তারই প্রতিবিম্ব ‘নকশী’ শিরোনামের এই প্রদর্শনী।"
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শনী ও শিল্পীদের সফলতা কামনা করেন অতিথিরা।
প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া ১১ শিল্পী হলেন ঢালী তমাল, ফারজানা ববি, ইশরাত জাহান, কনক আদিত্য, মামুন হোসাইন, নার্গিস পুনম, নাজমুল হক, শক্তি নোমান, তানিয়া হক, উপমা দাশ ও জেমরিনা হক।
প্রদর্শনীটি ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ধানমন্ডির ৪ নম্বরে সড়কে ২১এ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত সফিউদ্দীন শিল্পালয় অবস্থিত।
আরও পড়ুন:পেশায় শিক্ষক হলেও লেখক হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন রচনা পারভীন। এরই মধ্যে প্রকাশ হয়েছে তার তিনটি কাব্যগ্রন্থ।
অন্তর্জীবনের গল্প ২০২১- এর বইমেলায়, পরের বছর সুখের মতো উদযাপিত দুঃখগুলি আর এবার এসেছে তার ‘ঋষি শূন্যতায় সমর্পণ’। বইটি পাওয়া যাচ্ছে শব্দশিল্পের স্টলে। স্টল নম্বর ১৮৮/১৮৯/১৯০
এরই মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে বইটি। কবি রচনা পারভীনের লেখা একটা পত্রকাব্য এটি। একদম আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইয়ের প্রতিটি কবিতা।
একজন কল্পিত মানুষ যার নামকরণ করা হয়েছে ঋষি, যাকে উদ্যেশ্য করে ভীষণ ভালোবাসা জড়িয়ে মান অভিমান, অভিযোগ, অনুযোগ করে লেখা সবকটি কবিতা।
কবি রচনা বলেন, সত্যিই ভালোবাসলে মানুষের মাঝে যে পাগলামিগুলো থাকে তা এই কবিতাগুলোতে পাওয়া যায়। যা,পাঠক হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
কর্মঠ, চটপটে, আবৃত্তিকার এবং দারুণ আঁকিয়ে, এমন গুনের অধিকারী রচনা পারভীনের জন্ম সংস্কৃতির রাজধানীখ্যাত কুষ্টিয়ার কুমারখালি থানার বানিয়াখড়ি গ্রামে।
পেশাগত কারণে তিনি দীর্ঘদিন অবস্থান করছেন গাজীপুরে। সেখানে তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
দেশের নাট্যচর্চায় যুক্ত হচ্ছে আরও একটি নাম। মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নাট্যসংগঠন অ্যাক্টোম্যানিয়া।
দলটির প্রথম নাটক ‘হ্যামলেট মেশিন’ মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে ১১ জানুয়ারি। শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটির মঞ্চায়ন হবে সেদিন সন্ধ্যায়।
উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব সারা যাকের। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় নাট্যসংগঠন অ্যাক্টোম্যানিয়া।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাইনার মুলারের উত্তরাধুনিক নাটক ‘হ্যামলেট মেশিন’ নির্দেশনা দিয়েছেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যাডিজ বিভাগের প্রভাষক নওরীন সাজ্জাদ।
নাটকটি সম্পর্কে নির্দেশক নওরীন সাজ্জাদ বলেন, ‘এটিই সম্ভবত মুলারের দূরহতম নাটক। জটিল প্রতীকাবলি, বিচিত্র উপমা, স্থান কালের সংকলন-প্রসারণসহ বহুমাত্রিক বিষয়াদির স্বাতন্ত্র উপস্থিতি এই নাটকটির সময়ের কাঠামো ভেঙে একে সমসাময়িক করে তোলে।
‘সমাজের অস্থিরতা, ব্যক্তিগত হতাশা, আন্তঃসম্পর্কের টানাপোড়েন এই সবকিছু মিলিয়ে নাটকটি আসলে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। হ্যামলেট মেশিন মঞ্চে আনার জন্য সত্যিই সাহসের প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাক্টোম্যানিয়ার সদস্যরা এই সাহস করেছেন এবং আমি তাদের এই দুঃসাহসিক যাত্রায় সহযাত্রী হিসেবে থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি মূল পান্ডুলিপির নির্যাস অপরিবর্তিত রেখে যেন এই আপাত-দুর্বোধ্য নাটকের সহজ উপস্থাপন করতে পারি। আশা করছি দর্শকরা নিরাশ হবেন না।’
দলটির আহ্বায়ক তালহা জুবায়ের বলেন, ‘গত ১৫ অক্টোবর থেকে অ্যাক্টোম্যানিয়া নাটকটির মহড়া শুরু করেছে। ১০ জানুয়ারি কারিগরি ও পরদিন উদ্বোধনী মঞ্চায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
জার্মান লেখক হাইনার মুলারের এই নাটকে দেখা যাবে, উইলিয়াম শেক্সপিয়রের হ্যামলেট ও ওফেলিয়াকে। সমকালীন যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউরোপ, নারী নির্যাতন, বাণিজ্যিক সভ্যতা, সমাজের আরও নানা স্খলনের চিত্র উপস্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে চরিত্রগুলোর অভিব্যক্তি, অন্তর্নিহিত দহন এবং জটিল প্রতীকাবলীর সংমিশ্রণে নির্মিত এই নাটকটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরী।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন সায়েম সিজান, আমির হামজা আকাশ, তালহা জুবায়ের, সাগর বড়ুয়া, জয়ব্রত বিশ্বাস, পারিশা মেহজাবিন, মাঈশা কাশপিয়া অদ্রি, সানজিদা সাফরিন, ফাতেমা কানিজ শশী, সুমাইয়া ঝরা, রাসেল মাহমুদ, এম এইচ এস লাবন, গাজী রিয়াদ হোসেন, তানজিদ প্রিতম।
আরও পড়ুন:করোনা মহামারির কারণে দুই বছর স্থগিত থাকার পর রাজধানীতে ফের শুরু হচ্ছে ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আগামী ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।
এবারই প্রথম ঢাকা লিট ফেস্টে যোগ দিতে দর্শকদের কাটতে হবে টিকিট। আর এটি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক আয়োজনে দর্শকের জন্য টিকিটের সমালোচনা করছেন অনেকে।
তবে উৎসবের আয়োজকরা বলছেন, বিপুল ব্যয়ের উৎসবটির জন্য সরকারের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি করপোরেট স্পনসরশিপনির্ভরতা কমিয়ে একটি টেকসই আয়োজনের লক্ষ্যে দর্শকদের জন্য এবার টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল ঢাকার সহায়তায় ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথম এই সাহিত্য উৎসব আয়োজিত হয়। তখন এর নাম ছিল হে লিটেরারি ফেস্টিভ্যাল, তবে ২০১৫ সালে নাম পরিবর্তন করে ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’ রাখা হয়। এই উৎসবের তিন পরিচালক হলেন কাজী আনিস আহমেদ, সাদাফ সায্ ও আহসান আকবর।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে আয়োজনটি স্থগিত ছিল। এবার দশমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে উৎসব।
প্রতিবার এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও এ বছর ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ছাড়া সবার জন্য তিন ক্যাটাগরিতে টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছেন আয়োজকরা।
এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন ২০০ টাকা, নিয়মিত দর্শকদের ৫০০ টাকা এবং ভিআইপি ক্যাটাগরিতে ৩ হাজার টাকার টিকিট রাখা হয়েছে। তবে চার দিনের প্যাকেজে টিকিট কাটলে খরচ কিছুটা কমবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের চার দিনে দিতে হবে ৫০০ টাকা, নিয়মিত দর্শকদের ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ভিআইপি ক্যাটাগরিতে ১০ হাজার টাকার টিকিট কাটতে হবে।
বাংলা একাডেমির মতো ভেন্যুতে টিকিটের বিনিময়ে সাহিত্য উৎসব আয়োজনের সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকে। টিকিটের বিভিন্ন ক্যাটাগরি নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
তবে আয়োজকরা বলছেন, ভেন্যু হিসেবে বাংলা একাডেমি ব্যবহারের জন্য তাদের বড় অঙ্কের অর্থ দিতে হচ্ছে। প্রতিবার সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া গেলেও এবার তা মেলেনি।
আয়োজকদের দাবি, লিট ফেস্টের ভেন্যু, দেশ-বিদেশের অতিথিদের যাওয়া-আসা, পারিশ্রমিক, আনুষঙ্গিক খরচসহ কয়েক কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এ জন্য দর্শকদের টিকিটের ব্যবস্থা রাখতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
উৎসব আয়োজনের ভেন্যু ব্যবহার করতে দেয়ার বিনিময়ে ঢাকা লিট ফেস্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান নিউজবাংলাকে জানান, এই উৎসব শুরু থেকেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ভেন্যু ভাড়া দেয়া ছাড়া উৎসবের সঙ্গে একাডেমির কোনো সম্পর্ক নেই।
এ এইচ এম লোকমান বলেন, ‘তাদের এই আয়োজনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা শুধু ভেন্যুটা ভাড়া দিয়েছি, এবারও তাই হয়েছে। তারা (ঢাকা লিট ফেস্টের আয়োজকেরা) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন নিয়ে গিয়েছিলেন, যাতে ভেন্যুটি ফ্রি পাওয়া যায় বা কনসিডার করা হয়। একই সঙ্গে অনুদানের বিষয়ও ছিল। তবে মন্ত্রণালয় তাদের জানিয়েছে বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই হবে। ভাড়া নেয়া বা না নেয়ার বিষয়টিও একাডেমির নির্বাহী পরিষদেরই সিদ্ধান্ত।
‘তবে বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদ ভেন্যু ভাড়া না নেয়া বা কমানোর সিদ্ধান্ত দেয়নি।’
বিগত বছরগুলোর ভেন্যু ভাড়া কত ছিল, সেটি জানাতে না পারলেও এ এইচ এম লোকমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার ২১ লাখ টাকায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ তাদের দেয়া হয়েছে। তারা আমাদের অগ্রিম ১০ লাখ টাকার চেকও দিয়েছেন।’
বাংলা একাডেমির সচিব বলেন, ‘অনুদানের বিষয়ে আমরা জেনেছি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তাদের আবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে, সেটা ওই অবস্থাতেই আছে।’
উৎসব আয়োজনে এবার সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি করছেন ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালকের একজন কাজী আনিস আহমেদ।
তিনি মঙ্গলবার বিকেলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সঠিক পরিমাণ বলাটা কঠিন, শুধু এটুকু বলি কয়েক কোটি টাকার আয়োজন।’
খরচের খাতগুলো ব্যাখ্যা করে আনিস আহমেদ বলেন, ‘শুধু ভেন্যু ভাড়া বাবদই আমাদের ২১ লাখ টাকা লাগছে। আমাদের সবচেয়ে বেশি খরচ হয় বিদেশ থেকে লেখকদের আনতে। যারা আসেন তাদের জন্য আমাদের কোটি খানিক টাকা খরচ হয়ে যায়। এর বাইরেও অনেক রকম আয়োজন আছে, সব মিলিয়ে কিন্তু কয়েক কোটি টাকার উৎসব।’
কোনোবারই এই উৎসব থেকে আয়োজকরা খরচের পুরো টাকা তুলতে পারেনি জানিয়ে কাজী আনিস বলেন, ‘আমরা তিন পরিচালক কিন্তু বছরের পর বছর ব্যক্তিগতভাবে এখানে ডোনেট করেছি। গত তিন-চারবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে একটা অনুদান পেতাম, এবার সেটা পাইনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাকচুয়ালি একটা (টিকিট) প্রয়োজন ছিল।
‘তবে টিকিট ধার্য করার কারণ শুধু এই আর্থিক প্রয়োজনটা নয়, এটাই আসলে আন্তর্জাতিক ফেস্টিভ্যালের রীতি। বড় বড় সব ফেস্টিভ্যালে গেলে এটা দেখবেন। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা মনে করি যে আমাদের এত পাঠক আছেন, এত দর্শক আছেন, যারা এত বছর ধরে ঢাকা লিট ফেস্টে এসেছেন; তারা অনুষ্ঠান পছন্দ করেন, সাহিত্য ভালোবাসেন। তারা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের জন্য আমাদের এত চেষ্টা, এত তোড়জোড়।’
বিগত সময়ের আয়োজনে করপোরেট স্পনসরশিপ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় অনেকে বলেছেন এখানে করপোরেট স্পনসরশিপ এত কেন? করপোরেট স্পনসরশিপের নির্ভরতা কমাতে চাইলে এবং অনুষ্ঠানটাকে টেকসই করতে চাইলে, যে দর্শক-শ্রোতা-পাঠকের জন্য এই অনুষ্ঠান তাদেরই এক ধরনের স্টেকহোল্ডিং ক্রিয়েট করতে গেলে এটাই (টিকিট রাখা) হচ্ছে সবচেয়ে চমৎকার উপায়।
‘এটার মধ্যে দিয়ে তারা কিন্তু আসলে সাহিত্যকে এবং সাহিত্যিক-লেখক-চিন্তকদের একটা সম্মান দেখাবেন। তাদের কিন্তু আমাদের অনেক পারিশ্রমিক দিতে হয়। সেখানে দর্শক এখন সরাসরি পার্টিসিপেট করতে পারছেন। এ রকম একটা সার্বিক বিবেচনা থেকে আমাদের এই ব্যবস্থা।’
ঢাকা লিট ফেস্ট (ডিএলএফ) একটি অলাভজনক ট্রাস্ট বলেও জানান কাজী আনিস আহমেদ।
এবার সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার একটি ব্যয় সংকোচনের মধ্যে আছে। এ কারণে এ বছর এখন পর্যন্ত তারা দিতে পারেনি। তারপরও বিবেচনায় আছে, কিন্তু এই মুহূর্তে তো সেই সাপোর্টটা আমাদের কাছে নেই। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সদয়, কিন্তু টাকা তো ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে আসতে হবে।’
ডিএলএফের ওয়েবসাইটে ঢাকা লিট ফেস্ট সম্পর্কে বলা হয়েছে, ঢাকা ও বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার অঙ্গীকার নিয়ে ২০১১ সালে এই উৎসবের সূচনা হয়।
‘উৎসবটি মূলত সাহিত্যের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখলেও ইতিহাস, রাজনীতি ও সমাজকেন্দ্রিক ফিকশন এবং সাহিত্যিক নন-ফিকশন; কবিতা ও অনুবাদ; বিজ্ঞান ও গণিত; দর্শন এবং ধর্ম-সংক্রান্ত সংস্কৃতি এবং ধারণাগুলোকে বিস্তৃত পরিসরে অঙ্গীভূত করে ও বিষয়গুলোর ওপর আলোচনার জন্ম দেয়।
‘ডিএলএফ শুধু আমাদের শ্রোতাদের বিশ্বের কাছাকাছি নিয়ে যেতে চায় না বরং জোরাল বিতর্ক ও নতুন অভিব্যক্তির মাধ্যমে সেই বিশ্বকেও সমৃদ্ধ করতে চায়।’
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্ম নিয়ে ‘সংগ্রাম’ নামে একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে গ্যালারি চিত্রক।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করা হবে। প্রদর্শনীটি কিউরেট করেছেন শিল্পী সুমন ওয়াহিদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি মুহাম্মদ আজিজ খান। সভাপতিত্ব করবেন দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
১৯৩৯-১৯৭৬ পর্যন্ত প্রায় তিন দশকের বেশি সময়ে জয়নুলের আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
দুর্ভিক্ষ চিত্রমালা, মনপুরা, ৭০, প্যালেস্টাইনি মুক্তি-সংগ্রামসহ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবনের মানবিক সংগ্রাম উঠে এসেছে এসব শিল্পকর্মে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বিষয়ে জয়নুলের আঁকা উল্লেখযোগ্য কিছু চিত্রকর্ম প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হবে এখানে। প্রদর্শনীতে শিল্পাচার্যের ১০০টিরও অধিক শিল্পকর্ম, অঙ্কন সামগ্রী ও প্রাসঙ্গিক নথিপত্র স্থান পাবে।
প্রদর্শনী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশসহ ১১৪টি দেশের ৩৪৪ জন শিল্পীর ৪৯৩টি শিল্পকর্ম নিয়ে ‘১৯তম এশীয় দ্বিবার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২২’-এর পর্দা উঠছে বৃহস্পতিবার।
এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলন বিস্তারিত তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিগত ৪০ বছর ধরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিল্পযজ্ঞ এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল আয়োজন করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে একাডেমির মহাপরিচালক জানান, মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ ১১৪টি দেশের খ্যাতনামা শিল্পীরা তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ১৪৯ জন এবং বিদেশি শিল্পী রয়েছেন ৩৪৪ জন।
প্রদর্শনীতে চিত্রকলা, ছাপচিত্র, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, স্থাপনাশিল্প ও নতুন মাধ্যমের শিল্পকর্মসহ মোট ৪৯৩টি বাছাইকৃত শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে।
এই কর্মযজ্ঞের জুরি বোর্ডের সদস্যরা হলেন, জগথ ভিরাসিংহে (শ্রীলঙ্কা), নারসেরিন টর (তুরস্ক), ইয়োনা ব্লাজউইক (যুক্তরাজ্য) ও জেরুস ল সুহান (পোল্যান্ড)। জুরি বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী।
এতে মোট পুরস্কার রয়েছে ৯ টি। এর মধ্যে গ্র্যান্ড পুরস্কার ৩টি। যেগুলো প্রতিটির পুরস্কার মান ৫ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হবে।
সম্মানসূচক পুরস্কার রয়েছে ৬টি। প্রতিটির পুরস্কার মান ৩ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ভার্চুয়ালি এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীটি চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:কাগজ, ক্যানভাসের বাইরে দেয়াল, কাঠ, পাথরের মতো বস্তুর ওপর বিখ্যাতদের ছবি এঁকেছেন শিল্পীরা, তবে স্ক্রু দিয়ে কারও প্রতিকৃতি তুলে ধরার ঘটনা বিরল। তেমনটিই করেছেন শিল্পী জোনায়েদ মোস্তফা।
কাঠের ফ্রেমে স্ক্রু বসিয়ে কুমিল্লার এই শিল্পী ফুটিয়ে তুলেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি। এ কাজে প্রশংসাও পাচ্ছেন বেশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক ছাত্র জোনায়েদ মোস্তফা। তার বাবা কুমিল্লার আলোচিত প্রয়াত সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
স্ক্রু দিয়ে প্রতিকৃতি তৈরির বিষয়ে শিল্পী জোনায়েদ বলেন, “আসলে সবাই বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহু পোর্ট্রেট ছবি এঁকেছে। কেউ কেউ ভাস্কর্য তৈরি করেছে, কিন্তু আমার কাছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ‘আয়রনম্যান’ ও প্রধানমন্ত্রীকে ‘আয়রন লেডি’ মনে হয়েছে। তাই লৌহ দিয়ে কীভাবে তাদের প্রতিকৃতি তৈরি করা যায়, সে চিন্তা থেকে একটি সিদ্ধান্ত নিই।”
উপকরণ সংগ্রহ নিয়ে এ শিল্পী বলেন, ‘ঢাকার নবাবপুরে যাই। সেখান থেকে স্ক্রু সংগ্রহ করি। তারপর শুরু করি কাজ। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি বানাতে দুই মাস করে চার মাস লেগেছে। আসলে মনের খেয়াল থেকে এমন প্রতিকৃতি তৈরি করেছি।
‘পরে এগুলো কয়েকজন শৌখিন লোক কিনে নিয়ে যায়। আসলে শিল্প কেনা যায় না। তারা তো আমাকে পরিশ্রমের মূল্য দিয়েছেন মাত্র।’
এ বিষয়ে লেখক ও গবেষক আহসানুল কবীর বলেন, “জোনায়েদ তরুণ প্রতিভাবান শিল্পী। কুমিল্লা নগরীর ‘ফুসফুস’ খ্যাত ধর্মসাগরপাড়সহ বিভিন্ন জায়গায় তার শিল্পকর্মের ছাপ দেখেছি। লৌহ, ইট ও সিমেন্ট দিয়েও অনেক ভাস্কর্য তৈরি করেছেন শিল্পী জোনায়েদ।”
সংগঠক ও কলামিস্ট মনজুরুল আজিম পলাশ বলেন, ‘এ রকম কঠিন একটি মাধ্যমে সঠিক আকৃতি এবং আবেগ ফুটিয়ে তোলা চাট্টিখানি কথা নয়। সে ক্ষেত্রে বলা যায় শিল্পী জোনায়েদ সফল।’
আরও পড়ুন:চুরি-ডাকাতিসহ নানা কারণে একসময় আতঙ্কের জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা। ঢাকা-ময়মনসিংহ পথে চলাচল করা ট্রেনগুলোতে ঘটত এসব চুরি-ডাকাতির ঘটনা। এ কারণে যাত্রীদের মনে ছিল ভীতি। সেই দিন এখন আর নেই। তবু নেতিবাচক পরিচিতি পেয়েছে এই জনপদ।
নিজেদের এই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী হয়েছেন এলাকাবাসী।
গফরগাঁও নিয়ে মানুষের ভীতি কাটাতে সড়কে আঁকা হচ্ছে নান্দনিক চিত্রশালা। এটির উদ্যোগ নিয়েছেন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী রুহুল আমিন কাজল। আর এই শিল্পকর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল।
গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে কাজটি শুরু হয়।
ইউরোপের নানা দেশে ছবি এঁকে খ্যাতি অর্জন করেছেন রুহুল আমিন কাজল। তিনি ১৯৯৪ সালে সুইডেনে কার্নিভ্যালে ট্রাফিক আর্ট (সড়কচিত্র) করে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নামও লিখিয়েছেন। তার ‘কলোনি’ সিরিজের কাজগুলো সমাদৃত হয়েছে।
‘ডেমোক্রেজি, কিলিজিয়ন, ইভিলাইজেশন’ শিরোনাম ব্যবহার করে নতুন শব্দ তৈরি করেছেন তিনি। ‘ট্রাফিক আর্ট’ অর্থাৎ ‘চলার পথে কলার কথা’- এর মাধ্যমে নিজ জন্মভূমিতে শিল্প, নান্দনিকতা ও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে তিনি উদ্যোগী হন।
উপজেলার এশিয়ান হাইওয়ের ঢালীবাড়ী মোড়ে সড়কের পাশে বিভিন্ন চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন রুহুল আমিন কাজল। তার সহযোগী হিসেবে আছেন আরেক চিত্রশিল্পী উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের মহিরখারুয়া গ্রামের জ ই সুমন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং গফরগাঁওয়ের চর এলাকার পাঁচ তরুণও সার্বক্ষণিকভাবে এ কাজে সহযোগিতা করছেন।
চিত্রকর্ম দেখতে আসা আসাদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জামালপুর সদর থেকে গফরগাঁও বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। পরে জানতে পারি রংতুলির আঁচড়ে সড়কে দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এসে বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছি। মনে হচ্ছে সড়কজুড়ে জীবন্ত ছবি।’
মইনুল হাসান নামে আরেকজন বলেন, ‘এসব চিত্রকর্ম মনোমুগ্ধকর। বাচ্চারা খুবই আনন্দ পায়। সে জন্য গফরগাঁও পৌর এলাকা থেকে ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। প্রত্যেকটি সড়কে এমন চিত্র ফুটিয়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।’
কাজলের স্বপ্ন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও দেয়ালজুড়ে আঁকা হবে এমন ছবি।
তিনি বলেন, ‘যারা আগে গফরগাঁও আসার সময় ট্রেনের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিতেন, তারা ছবি দেখতে খুলে দেবেন ট্রেনের জানালা। গফরগাঁও শহরে ঢুকে দেখবেন, দেয়ালে দেয়ালে শিল্পের ছোঁয়া। ক্রমশ ছবির খবর ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশের মানুষের কাছে। গফরগাঁও হয়ে উঠবে দেয়ালচিত্রের শহর।’
তিনি আরও বলেন, ‘লোকজ সুন্দর শিরোনামে গফরগাঁওয়ে সড়কে যে ছবিগুলো আঁকা হচ্ছে, সেগুলো বাতাসে জীবন্ত হয়ে দোল খাবে। মানুষের মনে ছবিগুলো ইতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলবে, এমন স্বপ্ন নিয়েই ছবি আঁকার কাজটি করা হয়েছে। এ ছাড়া গফরগাঁওয়ের নতুন নতুন প্রজন্ম জানবে, তারা ছবির জনপদের মানুষ।’
গফরগাঁওয়ের এই চিত্রকর্ম শেষ করে কাজল চলে যাবেন ডেনমার্কে। ফিরে এসে আবার শুরু করবেন দেয়ালচিত্রের কাজ। তখন মুক্তিযুদ্ধের কিছু ছবি আঁকা হবে। গফরগাঁও ছাড়া দেশের অন্য কোনো স্থানে এমন চিত্রকর্মের কাজ কেউ করতে চাইলে সহযোগিতা করবেন বলেও জানান তিনি।
চিত্রশিল্পী জ ই সুমন কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ড্রয়িং পেইন্টিংয়ে স্নাতকোত্তর করে ঢাকায় বেশ কিছুদিন কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সবাই যদি নিজ জন্মস্থান ছেড়ে বাইরে চলে যায়, তাহলে নিজ এলাকার উন্নয়নের কাজ কে করবে? এসব চিন্তা করেই নিজ এলাকাতে কাজ শুরু করেছি এবং দেশব্যাপী আমরা এই কাজ করব বলে চিন্তা করেছি।’
তিনি বলেন, 'শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন শেখার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এটা কাজলের পছন্দ হয়েছে। তিনি আমাদের সহায়তা করবেন।'
সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চিত্রশিল্পী রুহুল আমিন কাজল সড়কে ছবি আঁকার আগ্রহ প্রকাশ করলে পৃষ্ঠপোষকতা করার কথা জানাই। তার এমন উদ্যোগ আমার ভালো লেগেছে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন ভিড় করছে ওই সড়কের পাশে। আমিও দৃষ্টিনন্দন চিত্রাঙ্কন দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য