মাঠে মাঠে সোনালী ধান দোল খাচ্ছে মৃদুমন্দ বাতাসে। চারদিকে নতুন আমন ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণ। চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম। ফলন যেমনই হোক, নওগাঁর কৃষকের মুখে ধানকাটার গানে নবান্নের আমেজ।
কৃষকদের এই আনন্দ উদযাপন করতে প্রতি বছরের মতো এবারও পহেলা অগ্রহায়ণে (বুধবার) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নওগাঁয় দিনব্যাপী হয়ে গেল নবান্ন উৎসব।
এদিন সকাল থেকেই সমবায় চত্বরে সংস্কৃতিকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ জড়ো হন। নেচে-গেয়ে ফসলকেন্দ্রিক জীবনযাত্রা ফুটিয়ে তোলেন শিল্পীরা। অতিথিদের জন্য ছিল পিঠাপুলির আয়োজনও।
শহরের সমবায় চত্বরে বুধবার সকালে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। এর আয়োজনে ছিল জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মেলন পরিষদ।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি জাতি-ধর্ম-বর্ণকে উপেক্ষা করে নবান্নকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে ওঠে। এ যেন সত্যি হৃদয়ের বন্ধনকে আরও গাঢ় করার উৎসব।
‘আমরা প্রতিবছর পহেলা অগ্রহায়ণে এই নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে থাকি। আগামীতেও এ ধারা অব্যহত থাকবে।’
বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করেছে কক্সবাজারের পাঁচ তারকা হোটেল ‘সায়মন বিচ রিসোর্ট’।
কেক কাটার পাশাপাশি জেলার সবচেয়ে বড় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয় এ হোটেলে।
সায়মন বিচ রিসোর্টে শুক্রবার দুপুরে কেক কেটে উদযাপন করা হয় বিশ্ব পর্যটন দিবস।
ওই সময় আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস (সাটা) ২০২৪-এ পুরস্কৃত হওয়ায় সায়মন বিচ রিসোর্টের ক্লাস্টার জেনারেল ম্যানেজার পুবুদু ফার্নান্দোকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নেতারা।
একই সঙ্গে প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারীকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
দেশের পর্যটনে বড় অবদান রাখা সায়মন বিচ রিসোর্ট ও সায়মন হেরিটেজ আন্তর্জাতিকভাবে বড় সাফল্য অর্জন করায় শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিক নেতারা।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন সায়মন বিচ রিসোর্টের ফুড ম্যানেজার ইমরান হোসাইন, সায়মন হেরিটেজের অপারেশন ম্যানেজার হাসান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি জিএম আশেক উল্লাহ, কলাতলী-মেরিনড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খানসহ সাংবাদিক ও চিকিৎসকরা।
এদিকে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জেলার সবচেয়ে বড় রক্তদান কর্মসূচি হাতে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
ওই দিন হোটেলটির একটি সম্মেলনকক্ষে তিন শতাধিক ব্যাগ রক্তদান করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন:রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অফ হযরত মোহাম্মদ (সা.) মাসব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআনের তাফসির আলোচনা, মিলাদ মাহফিল, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা।
ইনস্টিটিউট ২০০৪ সাল থেকে জাকাত তহবিলের মাধ্যমে বিনা মূল্যে শারীরিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ব্রেইল ও ইন্টারনেট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। প্রতি বছর পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
ইনস্টিটিউট এবার দ্বিতীয়বারের মতো সমাজের অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে কোরআন ও সুন্নাহর আলোয় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় যুক্ত করে। সাতটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত এবারের প্রতিযোগিতায় ২১ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে সোমবার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।
বিশেষ অথিথিদেরর মধ্যে ছিলেন ঢাকায় ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসমান, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকিউল ইসলাম, জাকাত ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম, ইনস্টিটিউট অফ হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রধান উপদেষ্টা শেখ আবদুল লতিফ আল কাদি আল মাদানী, রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বয়সভেদে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাতে রাসুল (সা.), কম্পিউটার ট্রেনিং, আইটি এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
প্রতিয়োগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল মানবাধিকারের বিষয়ে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ তুলে ধরা।
আরও পড়ুন:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতেন বলে বুধবার মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু গবেষক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মো. আফিজুর রহমান।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্ট (ইসিটি) এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকার আসাদ গেটে অবস্থিত সিবিসিবি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারটির শিরোনাম ছিল ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ: আস্থার নেতৃত্ব’।
এতে বঙ্গবন্ধু গবেষক আফিজুর রহমান বলেন, ‘একজন বঙ্গবন্ধু গবেষক হিসেবে আমি বলতে চাই, কোনো জায়গাতে কোনোখানে বঙ্গবন্ধুর কোনো রকম ঘাটতি পাই না আমি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতেন।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মিল্টন বিশ্বাস।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার সময় এ দেশের সব ধর্মের মানুষ সম্পূর্ণ সম্প্রীতির বন্ধনে তাদের স্ব-স্ব ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারছেন।’
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ এর ফাদার লুক কাকন কোড়াইয়া।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির দিকে যেতে পারে সে লক্ষ্যেই তার সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও খ্রিষ্ট ধর্মতত্ত্বের গবেষক এস এম তানভীর আহমদ বলেন, ‘আমরা যদি বাংলার ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখব যে, গত ৫০০ বছরে এ অঞ্চলের ইতিহাস চর্চায় অন্যান্য ধর্ম যেভাবে চর্চিত হয়েছে, খ্র্রিষ্টান ধর্ম সেভাবে আলোচিত হয়নি।’
সেমিনারে বক্তারা শান্তি, সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ কীভাবে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তার নানা দিক তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ফাদার তপন ডি রোজারিও, ইসিটির চেয়ারম্যান রেভারেন্ড ইমানুয়েল মল্লিক, ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের ট্রেজারার জন সুশান্ত বিশ্বাসসহ অনেকে।
অনুষ্ঠান শেষে ইসিটির চেয়ারম্যান ইমানুয়েল মল্লিক স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন:প্রতি মাসে দুইদিন সাইকেল চালানোর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় রাস্তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে গুলশান-২ গোলচত্বর পর্যন্ত সাইকেল র্যালি পেডাল ফর প্ল্যানেটে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানাভাবে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ বিভিন্ন যানবাহনের কারণে কার্বন নিঃসরণ বাড়ছে। কিন্তু সাইকেল এমন একটি পরিবেশবান্ধব যান যেটি কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। তাই সাইকেল চালানোকে উৎসাহিত করছি। মাসে দুই দিন সাইকেল চালানোর জন্য আমরা নির্দিষ্ট সাইকেল লেন করে দেব।
‘যদিও সাইকেল লেন করে দিলেও দেখা যায় দখলদাররা সেখানে দখল করে ফেলে। স্বেচ্ছাসেবক ও যুবসমাজকে নিয়ে এ ধরনের দখলদারদের প্রতিহত করব।’
তিনি বলেন, ‘মাদকমুক্ত সুস্থ সমাজ গঠনে শরীরচর্চা, খেলাধুলা আবশ্যক। সাইক্লিং অতি উত্তম শরীরচর্চা। সুস্থতার জন্য খেলাধুলা করতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে। যুবসমাজকে ঘরে বসে অলস সময় পার না করে মাঠে আসতে হবে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘পার্ক ও মাঠগুলো আমাদের রক্ষা করতে হবে। ফার্মগেটের আনোয়ারা পার্কে শপিংমল করতে দেয়া হবে না। সেখানে পার্কই থাকবে। মানুষ এই পার্কে হাঁটবে, শরীরচর্চা করবে।’
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে সকাল ৮টার দিকে র্যালিটি শুরু হয়ে বিজয় সরণি, মহাখালী ও বনানী হয়ে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর গিয়ে শেষ হয়। ৩৫০ জন সাইক্লিস্ট এতে অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারী সাইক্লিস্টদের উৎসাহ দিতে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজে র্যালিতে অংশ নেন। তিনিও সাইকেল চালিয়ে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে গুলশান-২ গোলচত্বর পর্যন্ত যান।
আরও পড়ুন:জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কুড়িগ্রামে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দিলে উপহার হিসেবে মিলছে গাছ ও বই।
পরিবেশ দূষণ রোধ ও পরিবেশের সৌন্দর্য রক্ষায় এ উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামের একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শুক্রবার সকাল থেকে তিনদিন ব্যাপী প্লাস্টিকের বিনিময়ে শহরের কলেজ মোড় এলাকায় গাছের চারা বিতরণ করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ‘পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের সামগ্রী জমা দিন গাছ ও বই উপহার নিন’ নামের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদের।
ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দিয়ে উপহার পাওয়া নুর ইসলাম বলেন, ‘প্লাস্টিকের বোতল যেখানে সেখানে পাওয়া যায়। এর বিনিময়ে যে বই ও গাছ উপহার পাব তা কখনও ভাবিনি। অনেক ভালো লাগছে। এর মাধ্যমে আমরা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরিতে উৎসাহিত হচ্ছি। ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য ভালো হবে।’
সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘রাস্তাঘাটে প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ফেলা হয়। এতে পরিবেশের সৌন্দর্য হানি ঘটছে। এসব বর্জ্য পরিষ্কারের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দিলেই সবার হাতে বই ও গাছ উপহার তুলে দেয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আমাদের পরিবেশবান্ধব মন-মানসিকতার সৃষ্টি হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম সনাক সভাপতি আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মী আহসান হাবিব নীলু বলেন, ‘পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে গাছ উপহার পাওয়া যেটি খুবই চমৎকার উদ্যোগ। এজন্য সংগঠনকে ধন্যবাদ জানাই।’
প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন:রক্তদান কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির খুলনা বিভাগীয় সম্মেলন।
কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গত ৩১ মে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই দিন সকাল ১০টার দিকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক জিয়াউল হাসান আমিন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন আকুল উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘যে সকল মানুষ এমন মহৎ কাজে যুক্ত থাকে, তাদের আমি শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির সকল বীরকে জানাই স্যালুট।
‘ইনশাল্লাহ বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে একদিন।’
ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আনিসুজ্জামান নাহিদ এবং সাবেক প্রধান সমন্বয়কসহ বিভিন্ন বিভাগীয় সমন্বয়করা।
সম্মেলনের দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী।
আরও পড়ুন:মা আমাদের সবার কাছেই বিশেষ এক মানুষ। বিশেষ মানুষের জন্য বিশেষ দিন মা দিবসও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
মায়ের জন্য স্মরণীয় কিছু করে তাকে চমকে দিতে সবারই নানা পরিকল্পনা থাকে। সেই পরিকল্পনার একটি অংশ হতে পারে মাকে নিয়ে কোথাও ঘুরে আসা। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনাকে সাহায্য করতে পারে উবারের মতো রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলো।
যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে রাইড বুক করা যায় বলে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলো সুবিধাজনক বিবেচিত হতে পারে। একই সঙ্গে এ সার্ভিস অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ীও।
মাকে নিয়ে শপিং, সিনেমা হল বা পছন্দের কোনো রেস্তোরাঁয় যাওয়ার জন্য বেছে নিতে পারেন এক্স বা প্রিমিয়ারের মতো সার্ভিস। আরেকটু কম খরচে ঘুরতে চাইলে আছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা সার্ভিস।
যদি আপনার একই দিনে একাধিক জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে রেন্টালস সার্ভিস হবে আপনার জন্য যথার্থ। এ সার্ভিসের আওতায় ১০ ঘণ্টার জন্য রাইড শেয়ারিংয়ের গাড়িটি আপনার সঙ্গে রাখার সুযোগ পাবেন। আর শহরের বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য ইন্টারসিটি সার্ভিস চমৎকার।
ব্যস্ততার কারণে আপনি হয়তো মায়ের কাছাকাছি থাকতে পারেন না, কিন্তু বিশেষ দিনে উপহার দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা তো জানাতেই পারেন। নিজে উপস্থিত না থাকতে পারলেও উবারের ডেলিভারি সার্ভিস উবার কানেক্ট আপনার উপহার ঠিকই মায়ের কাছে পৌঁছে দেবে।
তা ছাড়া রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে নিজের ও মায়ের নিরাপত্তা নিয়েও আপনি থাকতে পারেন নিশ্চিন্ত।
ব্যস্ততা আমাদের অবসর দেয় না। তারপরও যতটা সম্ভব, বিশেষ দিনটি মায়ের সঙ্গে কাটাতে চান অনেকে। এমন দিনে নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে পাশে থাকবে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলো।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য