সকাল থেকে একটানা ঝরে চলেছে রিমঝিম বৃষ্টি। এমন আবহাওয়ায় বাইরে বেরোতে কার ইচ্ছা করে বলুন। মন চায় ঘরে বসে সময় কাটাতে। কিন্তু বুঝতে পারছেন না কীভাবে কাটবে সময়! চিন্তার কিছু নেই। বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে সময় কাটানোর দুর্দান্ত কিছু আইডিয়া দেখে নিন।
বসে পড়ুন কবিতার বই নিয়ে
বৃষ্টির দিনে রোমান্টিক পরিবেশে কবিতার বই হতে পারে আদর্শ সঙ্গী। জানালার পাশে চেয়ার নিয়ে বসে যান। বৃষ্টির টুপটাপ শব্দকে সঙ্গী করে কবিতা পড়তে থাকুন। সময়টা দারুণ কাটবে, সন্দেহ নেই।
মুভিতে ডুবে যান
বৃষ্টির দিনে মুভি দেখার মজাই আলাদা। নেটফ্লিক্সে কিংবা টিভি চ্যানেলে ঢুঁ মারতে পারেন। কিংবা আগে থেকে পেনড্রাইভে থাকা মুভি, যেটা দেখার সময়ই পাচ্ছেন না, চালিয়ে দিতে পারেন সেটাও।
লিখতে পারেন চিঠি
এসএমএস আর ই-মেইলের যুগে চিঠি লেখা ভুলে গেছেন অনেক আগেই। বৃষ্টির দিনের সুযোগে আগের সেই অভ্যাসটা জাগিয়ে তুলতে পারেন। প্রিয়জনের কাছে লিখতে পারেন চিঠি। হতে পারে সেটা মায়ের কাছে, বোনের কাছে কিংবা প্রিয় মানুষটার কাছে।
সময় দিন প্রিয়জনকে
দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততায় অনেকের পক্ষেই প্রিয়জনকে সময় দেয়া হয়ে ওঠে না। বৃষ্টির দিনের এই সুযোগে প্রিয়জনকে সময় দিতে পারেন। আড্ডা দিতে পারেন মা-বাবার সঙ্গে। প্রিয়জনের সঙ্গেও জমতে পারে আড্ডাটা। সামনা-সামনি তাদের না পেলে অন্তত ফোনেও আড্ডাটা জমতে পারে।
ফলো করতে পারেন নতুন কোনো রেসিপি
নতুন কোনো রেসিপি ফলো করে রান্নার মোক্ষম সময় হলো বৃষ্টির দিন। তাতে যেমন সুন্দর সময় কাটবে, তেমনি প্রিয়জনরা পাবে নতুন খাবার ট্রাই করার সুযোগ। আপনার স্মার্ট ফোনে সার্চ দিয়েই দেশি-বিদেশি খাবারের রেসিপি পেয়ে যাবেন।
খেলতে পারেন ইনডোর গেম
দাবা, লুডু, কেরাম কিংবা কাটাকাটি গেম খেলে খুব সুন্দর সময় কাটানো যায়। এতে যেমন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আন্তরিকতা বাড়ে, তেমনি ছোটবেলার স্মৃতিও নতুন করে তাজা হয়।
হতে পারে চা পার্টি
বৃষ্টির এই দিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে হতে পারে চা পার্টি। চায়ের সঙ্গে থাকতে পারে পেঁয়াজি, পাকোড়া কিংবা ঝালমুড়ি। পার্টির লোকেশন হতে পারে বারান্দা। কারণ বারান্দায় গেলেই পাওয়া যাবে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ। আর এই শব্দই পার্টির পরিবেশ জমিয়ে দেবে।
পছন্দের গান শুনুন
বিছানায় কাঁথা চাপিয়ে শুয়ে পড়ুন। স্মার্ট ফোনে চালিয়ে দিন আপনার পছন্দের গান। গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়াটাও খারাপ নয়। আর যদি ঘুম না আসে, তাহলেও চিন্তার কিছু নেই। পছন্দের গানগুলো তো চলছেই।
যত্ন নিতে পারেন নিজের
বৃষ্টির দিনে নিজেকে সময় দেয়া খারাপ কিছু নয়। এ সময় চুলে শ্যাম্পু করতে পারেন। ফেসপ্যাক লাগিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। কিংবা ব্যায়াম করে বাড়িয়ে নিতে পারেন নিজের আয়ু।
ভিজুন বৃষ্টিতে
শেষ কবে বৃষ্টিতে ভিজেছেন মনে আছে? হয়তো ছেলেবেলায়। ছেলেবেলার সেই স্মৃতিকে জাগিয়ে তুলতে চাইলে বৃষ্টিতে ভিজুন। তবে যাদের ঠান্ডার সমস্যা আছে কিংবা বৃষ্টির পানি সহ্য করতে পারেন না, তারা বৃষ্টিতে নামবেন না।
আরও পড়ুন:বর্তমানে দূষণ যে হারে বাড়ছে, তাতে মানুষের অ্যালার্জির প্রবণতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে শীতের সময় ডাস্ট অ্যালার্জিতে আক্রান্তের হার অন্য সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশিই দেখা যায়। মূলত শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়া, বাড়ি-রাস্তাঘাটের ধুলা অনেক সময় এই অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। জেনে নেয়া যাক ডাস্ট অ্যালাৰ্জির লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে।
লক্ষণসমূহ
অনবরত হাঁচি ও নাক থেকে পানি ঝরতে থাকে।
চোখ চুলকায়, লাল হয়ে যায়, চোখ থেকে ক্রমাগত পানি ঝরতে থাকে। চোখের নিচে ফুলে যেতে পারে।
নাক বন্ধ হয়ে যায়। নাক, মুখ, গলা চুলকাতে পারে। মুখের ভেতর তালু এবং গলার ভেতরেও চুলকাতে পারে। খুশখুশে কাশি হয়।
ডাস্ট অ্যালার্জি যে যে কারণে হতে পারে
পরিবারের কারও আগে থেকে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে বাকি সদস্যদেরও হতে পারে, তবে মনে রাখতে হবে এটি ছোঁয়াচে নয়।
অল্পবয়স্ক শিশু, হাঁপানি রোগী এবং গর্ভবতী মহিলাদের এ ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে।
ডাস্ট মাইটস বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধুলার কণা বা পোকা বাতাসে ভেসে চলাচলের সময় নাকে ঢুকে জ্বালা সৃষ্টি করে। যার ফলে চুলকানি, হাঁচি, কাশি হতে পারে।
ঘাস বা ফুলের রেণু নাকে প্রবেশ করলে তা থেকেও অ্যালার্জিক রি-অ্যাকশন হয়।
আর্দ্র পরিবেশে ডাস্ট মাইটস বেশি থাকে। তাই বাসাবাড়ির পরিবেশ ভ্যাপসা হয়ে থাকলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে বারবার নাক ওপরের দিকে ঘষার প্রবণতা দেখা যায়।
চিকিৎসা ও প্রতিকার
অ্যালার্জির জন্য দায়ী ফ্যাক্টর কোনটি, তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন। যেমন স্কিন অ্যালার্জি টেস্ট, ব্লাড টেস্ট ইত্যাদি।
চুলকানি, অনবরত হাঁচি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখ থেকে পানি ঝরতে থাকলে অ্যান্টি হিস্টামিনজাতীয় ওষুধ খেলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। রিল্যাক্সড থাকুন, চোখ বন্ধ করে একটু রেস্ট নিন।
স্টেরয়েডজাতীয় স্প্রে ব্যবহার করে নাকের ভেতরের ফোলাভাব কমানো যায়।
নাক বন্ধ হয়ে থাকলে স্যালাইন সল্যুশন দিয়ে নাক পরিষ্কার করা যায়।
যেকোনো অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিলে ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অ্যালার্জিজাতীয় খাবার যেমন- গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি, পুঁইশাক, বেগুন ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। এতে অ্যালার্জির সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
বেশি করে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। সবুজ শাকসবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে অ্যালার্জির প্রবণতা কমাতেও সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজের (মিনারেল) জোগান দেয়।
ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় গ্রিন টি বেশ ভালো কাজ করে। গ্রিন টির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। চোখে লাল ভাব, র্যাশ বেরোনো ইত্যাদি রুখতে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
মধু ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণা অনুযায়ী মধু পরিবেশে উপস্থিত অ্যালার্জেনের সঙ্গে শরীরকে খাপ খাওয়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া মধুতে থাকা প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য অ্যালার্জি র্যাশ কমায়।
ডাস্ট অ্যালার্জির প্রভাব কাটাতে নেয়া যেতে পারে স্টিম বা গরম পানির ভাপ। এ জন্য একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিয়ে তা থেকে নির্গত বাষ্প নাক ও মুখের সাহায্যে গ্রহণ করুন। অ্যালার্জির প্রভাব কমাতে কমপক্ষে ১০ মিনিট স্টিম বা ভাপ নিন। এতে নাকের বন্ধভাব দূর হবে।
মেনে চলুন
প্রতিদিনের ব্যবহার্য কাপড়চোপড়, চাদর, বালিশ ইত্যাদি মাঝে মাঝে কয়েক ঘণ্টা কড়া রোদে দিন।
সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর, বালিশের কভার পরিবর্তন করুন।
ডাস্ট অ্যালার্জি থাকলে বাসায় কার্পেট না রাখাই ভালো।
ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, অ্যালার্জির চিকিৎসা করেও এ সমস্যা থেকে একেবারে পরিত্রাণের উপায় নেই। তবে নিয়ম মেনে চললে এবং চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্ভব। তাই ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা থেকে বাঁচতে বাইরে মাস্ক ব্যবহার করুন, হাইজিন মেনটেইন করুন ও সুস্থ থাকুন।
লেখক: লিভার, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, এম এইচ শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ
আরও পড়ুন:নিজের বাহ্যিক বা শারীরিক সৌন্দর্যের প্রতি প্রায় সবারই রয়েছে চিরন্তন আকর্ষণ। সবাই চায় অন্যদের সামনে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে। আর এই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে জিমে যাওয়া, নানা ধরনের ডায়েট মেনে চলাসহ কত কিছুই না করি আমরা। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায়, শরীরের ঊর্ধ্বাংশের প্রতি মন দিতে গিয়ে অবহেলিত হয় পা দুটি। অনেকেরই দেহের ওপরের অংশ ও হাতের পেশি সুঠাম হলেও তুলনামূলক পা দুটি সরু মনে হয়। বাহ্যিক বা শারীরিক সৌন্দর্যচর্চার উদ্দেশ্য যা-ই হোক, এই অসম দৈহিক গড়ন কখনোই কাম্য নয়। তাই সপ্তাহে কমপক্ষে এক দিন আলাদা করে মন দিয়ে পায়ের ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
স্কোয়াটস
ওয়ার্ম-আপ করে নিন ওঠবস করে। এবার স্কোয়াট, হাফ স্কোয়াট ও সুমো স্কোয়াট দিয়ে শুরু করুন। প্রথম প্রথম ওজন ছাড়াই শুরু করুন। একটু অ্যাডভান্সড লেভেলে হাতে ওজন নিয়ে স্কোয়াট করতে পারেন। পায়ের শেপ ঠিক করার পাশাপাশি গ্লুটস, ইনার থাই মাসলসের জোর বাড়ায় এই ব্যায়াম। পা ও পশ্চাদ্দেশের গঠন ও বডি-ব্যালান্স ঠিক করতে স্কোয়াটের জুড়ি নেই।
লাঞ্জেস
লোয়ার বডি পার্টের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম। কোর স্ট্রেংথ বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। পায়ের মাসল ডেভেলপমেন্টের প্রাথমিক পর্যায়ে লাঞ্জেস শুরু করা দরকার। প্রথমে ওজন ছাড়া এবং পরবর্তীকালে হাতে ওজন নিয়ে করা দরকার। হাঁটুর জোর বাড়াতেও কাজে লাগে লাঞ্জেস।
লেগ প্রেস
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মাসল লস স্বাভাবিক। তা আরও কিছুটা দেরি করিয়ে দিতে লেগ প্রেসের মতো ব্যায়ামের জুড়ি নেই। আধা শোয়া হয়ে পা দিয়ে ওজন ঠেলে তোলা ও নামানোর এই এক্সারসাইজ পায়ের মাসল শক্ত করে।
কাফ রেইজ
কাফ মাসল তৈরির জন্য এই এক্সারসাইজ গুরুত্বপূর্ণ। হাতে ওজন নিয়েও করা যায়। একটি প্ল্যাটফর্মের ধারে দাঁড়িয়ে পায়ে ভর দিয়ে গোড়ালি ওঠাতে ও নামাতে হবে।
লেগ এক্সটেনশন এবং হ্যামস্ট্রিং কার্ল
মেশিনের সাহায্যে এই দুটি বিপরীতমুখী এক্সারসাইজ করা হয়ে থাকে। সিটে বসে লোয়ার লেগের ওপরে বা নিচে ওয়েটেড প্যাড বসিয়ে তা তুলে বা নামিয়ে এই ব্যায়াম করা হয়। আপার লেগের কোয়াড্রিসেপসের স্ট্রেংথ বাড়াতে এই ব্যায়াম কার্যকর।
আরও পড়ুন:দেখতে দেখতে কেটে গেল আরও একটি বছর। নতুন বছর আসলে জীবনকে নতুনভাবে শুরু করার দারুণ এক সুযোগ এনে দেয়। তাই শুরু থেকে যদি পরিকল্পনা সাজানো যায়, তবে মনে রাখার মতো আরেকটি বছরে পা রাখতে যাচ্ছেন আপনি!
২০২৩ সালকে আরও উপভোগ্য করতে নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য কিছু টিপস দেয়া হলো। লেখক রোমানো স্যান্টোসের দেয়া এসব টিপস আপনার জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে-
১. বদলাবেন না
নতুন বছরের আগমন আপনাকে মনে করিয়ে দিতে পারে যে জীবনে কিছু বড় পরিবর্তন করতে হবে। তবে বর্তমান জীবনকে আপনি যদি উপভোগ করেন, তবে বদলানোর প্রয়োজন নেই... অন্তত এই মুহূর্তে।
ছুটির দিনে যদি আপনি বাড়িতে ঘুমিয়ে কাটাতে পছন্দ করেন, তবে তাই করুন। এমনটা করে যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে, তাহলে সমস্যা কী!
২. পরিবারকে ফোন করুন
হ্যাঁ, পরিবারের সঙ্গে আপনার আরও বেশি সময় কাটানো উচিত। তবে এতে যদি পরিবার বিরক্ত হয়, তবে বাদ দিন। পরিবারের বাইরের মানুষেরা কিন্তু সব সময় খারাপ হয় না। তাদের সঙ্গে প্রাণ খুলে আড্ডা দিন। পরিচিত কেউ অসুস্থ হলে তার কাছে ছুটে যান। তবে এতে যদি দীর্ঘ মেয়াদে আপনার মন খারাপ থাকে, তাহলে না গেলেই ভালো। ফোনে খোঁজখবর নিতে পারেন।
৩. অফিসের সব ছুটি কাজে লাগান
অসুস্থ হলে কাজ করবেন না। অফিসকে জানান, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আপনার একটা ব্রেক দরকার। ছুটির ক্যালেন্ডারের সঙ্গে পরিকল্পনা সাজিয়ে নিন এবং এটি অনুসরণ করুন।
৪. অফিস থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিন
অফিসে আপনার পাওয়া ছুটিগুলো বুঝে নিন। এ কাজ করে আপনি কী কী সুবিধা পাচ্ছেন তার তালিকা করুন। বসকে আরও বেশি বেশি প্রশ্ন করুন। হয়তো দেখা যাবে, নতুন বছরে আপনার ইন্টারনেট খরচ আপনার অফিস বহন করতে পারে অথবা নতুন কিছু একটা কেনার জন্য টাকা দিতে পারে। মনে রাখবেন, এমন আবদারের জন্য বস আপনাকে ছাঁটাই করবেন না।
৫. পরিস্থিতি তৈরি করুন
নিজেকে খুশি রাখার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই। আপনিই আপনার দুনিয়া। তাই সব সময় চারপাশে হাসিখুশি আবহ তৈরির চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, জীবন অল্প দিনের। দেখতে দেখতে কেটে যায়। তাই যতটা সম্ভব জীবনকে উপভোগ করুন।
৬. ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লাইক দেয়া বন্ধ করুন
অন্যদের আনন্দ-কষ্ট নিজের মধ্যে ধারণ করা বিরাট ব্যাপার। আপনার বন্ধুদের স্টোরিতে অন্তত একটি ইমোজির সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহস জোগাড় করুন।
৭. সুখের সন্ধান করুন
দূষিত আনন্দ (গিলটি প্লেজার) বলে কিছু নেই। কারণ ভালো বোধ করলে আপনার খারাপ বোধ হবে না। ফৌজদারি অপরাধ কিংবা কাউকে আঘাত করা বাদে যে জিনিসগুলো আপনি উপভোগ করেন সেগুলোর জন্য লজ্জিত হওয়ার দরকার নেই। সেগুলো উপভোগ করতে থাকুন।
৮. রহস্যময় কিছুর চেষ্টা করুন
এর জন্য আপনাকে খুব বেশি ভাবতে হবে না। জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করুন। আপনার যে বন্ধু এ বিষয়ে পারদর্শী তার সঙ্গে কথা বলুন। এটা ভালো না লাগলে সামাজিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঘুরে আসুন। এখানে অন্য এক আপনাকে খুঁজে পাবেন হয়তো।
৯. ব্যবহারিক কিছু শিখুন
আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি যেখানে একটি স্ক্রিনে কয়েকটি বোতাম টিপে বেশির ভাগ কাজ করা যায়। মনে রাখবেন, আপনার মন ও শরীর এর চেয়ে অনেক বেশি কিছু করতে সক্ষম। মিউজিক বাজান, খাবার রান্না করেন কিংবা গাড়ি চালান- এগুলো আপনাকে ব্যবহারিক কাজের আনন্দ দেবে।
১০. সামর্থ্যের সবটুকু ব্যবহার করুন
বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তার বাইরে কখন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং কখন এটিকে সহজভাবে নিতে হবে তা পুরোপুরি আপনার ওপর নির্ভর করে।
যে বিষয়গুলো মনকে ক্লান্ত করে এগুলো এড়ানো উচিত। আপনি যদি আপনার চাকরিকে সত্যিই উপভোগ করেন এবং এটি যদি আপনার জীবনে গতি আনে তবে সেখানে সর্বোচ্চটা ঢেলে দিন।
১১. আরও ভালো ছবি এবং ভিডিও করুন
আপনি যা মনে রাখতে চান তা মনে রাখার আরও উপায় আছে। আপনি কীভাবে আরও ভালো ছবি এবং ভিডিও তুলতে পারেন সে সম্পর্কে হাজার হাজার নিবন্ধ এবং ভিডিও রয়েছে৷ ঘেঁটে দেখুন।
১২. স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হোন
এই বিষয়গুলো আমরা সবাই কমবেশি জানি। তারপরও নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে যে- আরও পানি খেতে হবে, ভালো ঘুম প্রয়োজন, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, সূর্য থেকে কিছু ভিটামিন গ্রহণ করুন। সবশেষ, অবশ্যই মাঝেমধ্যে শারীরিক পরীক্ষা করুন৷
১৩. সামাজিক প্ল্যাটফর্মের কিছু বিষয় সম্পর্কে বই পড়ুন
টিকটক বা পডকাস্টে শুনেছেন এমন কোনো বিষয় যদি আপনার মনকে আন্দোলিত করে তবে আরও তথ্যের জন্য আপনি এ বিষয়ের ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে এতে মন আরও প্রফুল্ল হয়।
১৪. খারাপ মেজাজকে জড়িয়ে ধরুন
কেউই সব সময় খুশি থাকে না। আর কেউ থাকেলও তার মানে এই নয় যে, আপনাকে তা হতে হবে। আপনার অনুভূতি অনুভব করুন। নেতিবাচক আবেগ থেকে বেরোতে আপনার যতটা সময় প্রয়োজন, তা নিন। এসব আবেগ যত পুষে রাখবেন, আপনি ততই অসুখী হবেন।
১৫. এড়িয়ে যাওয়া শিখুন
চারপাশের কিছু মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত আপনাকে বিরক্ত, অপমান কিংবা আঘাত করার চেষ্টায় থাকে। এগুলো হয়তো সব সময় এড়িয়ে যাওয়া যায় না। নতুন বছরে আপনাকে এগুলোকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলা শিখতে হবে। তাদের সম্পর্কে চিন্তা করাও যাবে না।
১৬. কিছু মানুষকে ক্ষমা করুন
আমাদের রেগে যাওয়া কিংবা হতাশ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। এর পাশাপাশি ক্ষমা করারও অনেক কারণ থাকে। হতে পারে ব্রেকআপ হয়ে গেছে কিংবা বন্ধুত্বের সম্পর্কটা খারাপ হয়ে গেছে। চেষ্টা করুন, সম্পর্কটাকে সুন্দর করা যায় কি না। যাদের অপর রেগে আছেন তাদের ক্ষমা করে দিন। যদিও বিষয়টা এতটা সহজ না। তবে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আপনার ভালো স্মৃতিগুলো এ ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে নিশ্চিতভাবে।
১৭. নির্ভার হোন
অনেকে আছেন যারা নিজের বা অন্যের প্রত্যাশার ভার বহন করেন। কাঁধ থেকে এই ভার নামিয়ে ফেলুন। কারণ যখন থেকে এটা আপনার কাছে বোঝা মনে হবে, সেদিন থেকে আপনি পিছিয়ে পড়তে শুরু করবেন। এভাবে কখনোই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আপনার কাছে ধরা দেবে না। তাই নির্ভার থাকুন, জীবনটাকে উপভোগ করুন।
১৮. কিছু নতুন যৌনকৌশল শিখুন
হতে পারে আপনি যৌন সম্পর্কে দারুণ। তবে এর অর্থ এই নয় যে অভিনব নতুন কৌশল বা আপনি শিখবেন না। এগুলো আপনার জীবনে বৈচিত্র্য আনবে। মনকে সতেজ রাখবে।
১৯. কিছু সম্পর্কে যত্ন নেয়া শুরু করুন
পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটছে। অনেক কিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। কিছু বিষয় ৫ বা ১০ বছরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে, অন্যগুলো কেবল সময়ের অপচয়। আপনার কাজে আসবে সে বিষয়গুলো বাছাই করুন। তারপর সেসবের ওপর বেশি গুরুত্ব দিন। এতে সময়ের অপচয় কমার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আপনি লাভবানও হতে পারেন।
২০. কিছু বিষয় নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখুন
সবকিছু সবার সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। কিছু বিষয় আছে যেগুলো গোপন রাখার মতো আনন্দ আর কোথাও পাবেন না। ধরেন, কারও সঙ্গে আপনি ডেটে গেছেন, চমৎকার একটা সন্ধ্যা উপভোগ করলেন। অথবা বন্ধুমহলে আলোচিত একটি বারে ঢুকে দু-পেগ পান করেছেন। এ বিষয়গুলো নিজের মধ্যেই রাখা ভালো।
২১. বই পড়ুন, গান শুনুন, সিনেমা দেখুন
দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় বিনোদনের জন্য বরাদ্দ রাখুন। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে বাড়ি ফিরে পছন্দের বইটি নিয়ে নড়াচড়া করুন। ভালো না লাগলে, সিনেমা দেখুন। গান তো সব সময় আপনার চারপাশে থাকেই।
২২. অনলাইনে খুঁতখুঁতে হওয়া ভালো
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই আপনার পছন্দ হয় না। তাই বলে এসব নিয়ে ভেবে সময়ের অপচয় করবেন না। যে চ্যানেল বা প্রোফাইল আপনার ভালো লাগে, তাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটান। আর যেগুলো আপনাকে বিরক্ত করে সেগুলোকে আনফলো করতে দ্বিতীয়বার ভাববেন না।
২৩. হাসুন এবং হাসান
মনে রাখবেন, আপনি ছাড়া কিন্তু চারপাশের অস্তিত্ব একেবারেই মূল্যহীন। নিজেকে সব সময় প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি অন্যকেও আনন্দ দেয়ার উপায় খুঁজুন। দেখবেন, জীবনটা মন্দ না।
আরও পড়ুন:যেকোনো কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে যেতে পারে। সে রকম হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। খুব সহজেই এটা তোলা যায়।
প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্র হারানোর ঘটনায় নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। জিডির কপি অনলাইনে আপলোড করে পুনরায় মুদ্রণের (রিইস্যু) জন্য করতে হবে আবেদন।
আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ডের কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
হারানো আইডি কার্ড পেতে ফি দিতে হয়। প্রথমবার হারানোর ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে পেতে চাইলে ২০০ টাকা ফি দিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে পেতে চাইলে (সাত দিনের মধ্যে) দিতে হবে ৩০০ টাকা।
দ্বিতীয়বারের ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে পেতে চাইলে ৩০০ টাকা ফি দিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে পেতে চাইলে দিতে হবে ৫০০ টাকা।
পরবর্তী সময়ে যতবার হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তুলতে যাবেন ততবার ৩০ দিনের মধ্যে পেতে চাইলে দিতে হবে ৫০০ টাকা এবং জরুরি ভিত্তিতে পেতে চাইলে দিতে হবে ১,০০০ টাকা।
এই ফি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে অথবা ‘সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়’-এর অনুকূলে পে-অর্ডার অথবা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে (ভ্যাটসহ) পরিশোধ করতে হবে।
হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তোলা ও সংশোধন একই সঙ্গে করা সম্ভব নয়। আগে হারানো কার্ড তুলতে হবে, পরবর্তী সময়ে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।
আরও পড়ুন:আমাদের শরীর রোগ-জীবাণু প্রতিরোধ করে। শরীরের এই প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার ত্রুটি হলো অ্যালার্জি। যার অ্যালার্জি আছে, তার শরীর রোগ-জীবাণুর পাশাপাশি ক্ষতিকর নয় এমন বস্তুকেও ক্ষতিকর মনে করে, তার বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ক্ষতিকর নয় এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের এই অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে অ্যালার্জি বলা হয়।
এ কারণে অন্যদের জন্য ক্ষতিকর না হলেও অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তির কাছে ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ কিংবা গরুর গোস্ত ক্ষতিকর।
অ্যালার্জির লক্ষণ
একেকজনের কাছে অ্যালার্জির লক্ষণ একেক রকম। তবে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে চোখ ও ত্বক চুলকানো, হাঁচি, ভরাট নাক, গলা শক্ত হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বমি হওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা এমনকি মূর্ছা যাওয়া।
অ্যালার্জি থেকে বাঁচবেন যেভাবে
অ্যালার্জি কখনও পুরোপুরি দূর করা যায় না। তবে এর প্রকোপ কমানো যায়। যে বস্তুতে অ্যালার্জি আছে তার থেকে ১০০ হাত দূরে থাকলেই অ্যালার্জিমুক্ত থাকা সম্ভব।
রোগীভেদে একেকজনের একেক বস্তুতে অ্যালার্জি থাকতে পারে। ধরুন, কারও রেশমি কাপড়ে অ্যালার্জি, তিনি রেশমি কাপড় পরবেন না। যার চিংড়ি মাছে অ্যালার্জি তিনি চিংড়ি মাছ খাবেন না।
কোন কোন বস্তুতে অ্যালার্জি, সেটা রোগীকে মনে রাখতে হবে এবং সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। তবেই অ্যালার্জির হাত থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব।
-
ত্বকের অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
টি-ট্রি অয়েল
ত্বকের অ্যালার্জিতে টি-ট্রি অয়েল দারুণ কাজ করে। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-আইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অনেক ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দেয়।
আপেল সিডার ভিনিগার
অ্যাপল সিডার ভিনিগারে আছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড। ত্বকের চুলকানি কমিয়ে অ্যালার্জির প্রকোপ দূর করতে কাজ করে এই উপাদানটি। তবে ব্যবহারের আগে দেখে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনিগারে অ্যালার্জি আছে কি না। থাকলে ব্যবহার করা যাবে না।
নারকেল তেল
নারকেল তেলে থাকা ময়েশ্চারাইজিং অ্যালার্জির ক্ষেত্রে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। শুধু তা-ই নয়, নারকেল তেল অ্যালার্জিজনিত চুলকানি কমায়। একটি বাটিতে সামান্য নারকেল তেল নিয়ে কুসুম গরম করুন। যেখানে অ্যালার্জির লক্ষণ রয়েছে, সেখানে লাগান। এক ঘণ্টা রেখে দিন। উপকার পেলে দিনে দুই বার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেল
ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা উপায় অ্যালোভেরা জেল। এটি ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দেয়। সতেজ অ্যালোভেরা সরাসরি ত্বকে লাগালেই উপকার পাওয়া যায়।
-
চোখের অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
গোলাপজল
গোলাপজল চোখের অ্যালার্জির প্রিভেন্টিভ হিসেবে কাজ করে। চোখ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে ২ থেকে ৩ ফোঁটা গোলাপজল দিয়ে দিন। এতে যে ইনফেকশনের কারণে চোখ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়েছে সেটি কেটে যায়। গোলাপজল দেয়ার পর চোখ কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখুন। খোলা রাখলে তরলটি বেরিয়ে যাবে। তখন পুরোপুরি কাজ হবে না।
লবণপানি
এক গ্লাস পানি নিন। এতে ৩ চা-চামচ পরিমাণ লবণ গুলে পানি ভালোমতো ফোটান। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই পানিতে এক টুকরা পরিষ্কার তুলা ভিজিয়ে চোখগুলো ধীরে ধীরে মুছে দিন। এতে চোখে থাকা ময়লা বেরিয়ে যাবে এবং জ্বালাপোড়া বা চুলকানি থেকেও আরাম মিলবে।
ঠান্ডা পানি
কথায় আছে পানির অপর নাম জীবন। চোখের অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও ঠান্ডা পানি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জির কারণে চোখ ফুলে গেলে, লাল হলে বা চুলকালে বারবার ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। এতে যন্ত্রণার উপশম হবে।
আমলকী ও মধু
আমলকী পাউডার করে নিন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীর অ্যালার্জেনমুক্ত থাকবে।
সায়েনি
সায়েনি এক ধরনের হার্ব। এটি অনেকটা মরিচের মতো দেখতে। সায়েনি শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করার পাশাপাশি টক্সিন রিলিজ করতেও সহায়তা করে। চোখের ময়লা দূর করতে এর ভূমিকা রয়েছে।
সানগ্লাস
যদি আপনার অতিরিক্ত অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে, তবে অবশ্যই কোথাও বের হওয়ার আগে সানগ্লাস পরে বের হবেন। বিশেষ করে যেখানে বাস করেন সেটি যদি ধুলাবালিপূর্ণ এলাকা হয়, তাহলে চোখকে ডাস্ট অ্যালার্জিমুক্ত রাখতে সানগ্লাসের জুড়ি নেই।
পরিচ্ছন্নতা
ঘর এবং বিছানা সব সময় পরিষ্কার রাখবেন। যাতে ধুলাবালি না ওড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। টিভি, মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের সামনে টানা বসে থাকবেন না। আর চোখ চুলকালে আঙুল দিয়ে রগড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
-
ঠান্ডা অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
পেয়ারা খান
পেয়ারায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ঠান্ডাজনিত অ্যালার্জি দূর করতে এই উপাদানটি দারুণ কাজ করে। পেয়ারার পাশাপাশি লেবুর শরবত অথবা লেবু চা খেলেও উপকার পাবেন।
ঘিতে উপকার
ঠান্ডাজনিত অ্যালার্জি দূর করতে খাবারের সঙ্গে ঘি খেতে পারেন। বিশুদ্ধ ঘি সংগ্রহ করে একবার এক চা-চামচ ঘি খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে গ্রহণ করলে ঠান্ডার সমস্যা কেটে যাবে।
কালিজিরা একটি মহৌষধ
কালিজিরা খেয়ে ঠান্ডাজনিত অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। রাতের খাবার কালিজিরা ভর্তা অথবা ঘুমানোর আছে কালিজিরার বড়ি খান। উপকার পেলে নিয়মিত খেতে পারেন।
ঠান্ডার সমস্যায় মধু
গ্রামে এখনও ঠান্ডার চিকিৎসায় মধু ব্যবহার করা হয়। যাদের অ্যালার্জিজনিত ঠান্ডার সমস্যার কষ্ট দিচ্ছে, তারা দিনে দুই চা-চামচ মধু খেয়ে দেখুন, ঠান্ডার সমস্যা চলে যাবে।
আরও পড়ুন:হৃৎপিণ্ড আমাদের শরীরে রক্ত সরবরাহের কাজ করে। এই কাজ করতে তার প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। হৃৎপিণ্ডের দেয়ালে থাকা রক্তনালীগুলোর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় শক্তি পায় সে। কোনো কারণে এই রক্তনালীগুলোতে ব্লক সৃষ্টি হলে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়। দেখা দেয় হার্ট অ্যাটাক। মায়ো ক্লিনিক ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত। চলুন দেখে নিই।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
হার্ট অ্যাটাকের অনেক ধরনের লক্ষণ আছে। কারও হার্ট অ্যাটাক হলে সবগুলো লক্ষণ একসঙ্গে প্রকাশ না-ও পেতে পারে।
বুকে ব্যথা হতে পারে
হার্ট অ্যাটাক হলে বুক চেপে ধরার মতো ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া রোগীর বুকের মধ্যে কিছু চেপে বসে আছে অথবা কিছু আটকে আসছে এমন অনুভূত হতে পারে।
শরীরের অন্য জায়গায় ব্যথা
বুক থেকে এই ব্যথা হাতে নেমে যেতে পারে। সাধারণত বাম হাতে এমন ব্যথা হয়। তবে এই ব্যথা উভয় হাতেই যেতে পারে। হাতের পাশাপাশি চোয়াল, ঘাড়, পিঠ ও পেটে ব্যথা হতে পারে।
মাথা ঘোরানো অথবা মাথা ঝিমঝিম করা
হার্ট অ্যাটাক হলে রোগীর মাথা ঘোরাতে পারে। করতে পারে মাথা ঝিমঝিম। মাথা ঘুরে রোগী পড়েও যেতে পারে।
বিনা কারণে ঘামতে থাকা
হার্ট অ্যাটাক হলে আক্রান্ত ব্যক্তি বসে বসে ঘামতে পারে। এই ঘামের পরিমাণ অল্প কিংবা বেশি হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট হতে পারে
হার্ট অ্যাটাক হলে মৃদু থেকে তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ সময় রোগীর বমি হওয়া কিংবা বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
আতঙ্কিত হতে পারে
হার্ট অ্যাটাক হলে রোগী তীব্র ভয়ে আচ্ছন্ন হতে পারে। অস্থিরতার পাশাপাশি এমন মনে হতে পারে যে তিনি মারা যাচ্ছেন।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট অবস্থা
কিছু কিছু ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হলে হৃৎপিণ্ড তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। তেমন হলে রোগীর নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শ্বাস নেয়া বন্ধ হওয়া, ধাক্কা দিলেও সাড়া না দেয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
এ রকম পরিস্থিতিতে রোগীকে সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে তার হৃৎপিণ্ড চালু করতে হবে। সিপিআর দেবার নিয়ম দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
হার্ট অ্যাটাক হয় যে কারণে
হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালীগুলোকে করোনারি আর্টারি বলা হয়। এসব ধমনির ভেতরের দেয়ালে কোলেস্টেরল জমা হলে রক্তনালি সরু হয়ে যায়। ফলে রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। জমাট বাঁধা এসব কোলেস্টেরলকে প্ল্যাক বলা হয়।
হার্ট অ্যাটাকের আগে এমন একটি কোলেস্টেরল প্ল্যাক ফেটে যায়। ফলে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধে। জমাট বাঁধার কারনে ধমনীতে ব্লকের সৃষ্টি হয়। এই ব্লকের পরের অংশে রক্ত যেতে পারে না। ফলে হৃদপিন্ডের সেই অংশ নষ্ট হয়ে যায়। দেখা দেয় হার্ট অ্যাটক।
ধমনীর ভিতরে কোলেস্টেরল জমার কারণ
কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বি। এটি কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল, এইচডিএল এবং টোটাল কোলেস্টরল। এইচডিএল বাদে অন্য কোলেস্টেরলগুলো ক্ষতিকর।
নানা কারণে ধমনীর ভিতরের দেয়ালে কোলেস্টেরল জমে। ধূমপান এর মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া অলস জীবনযাপন, খাবারে চর্বির পরিমাণ বেশি রাখা, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ধমনিতে কোলেস্টেরল জমতে সহায়তা করে। এ ছাড়া বংশগত কারণেও রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিৎসা
হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এ সময় রোগীকে বিশ্রামে রাখতে হবে। সম্ভব হলে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট দিতে হবে। অ্যাসপিরিন রক্ত পাতলা করে এবং হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক এড়ানো সম্ভব। ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিতে হবে। কমিয়ে ফেলতে হবে শরীরের বাড়তি ওজন।
নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের সপ্তাহে কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টা মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করতে হবে।
খাবারে চর্বির পরিমাণ কমিয়ে আঁশযুক্ত খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:ইন্টারনেট সার্ফিং করার জন্য আমরা ব্রাউজার ব্যবহার করি। মাঝে মাঝে এই ব্রাউজারগুলো আমাদের ঝামেলায় ফেলে দেয়। হ্যাং হয়ে যাওয়া, ক্রাশ করা তো আছেই, আশানুরূপ গতি না পাওয়ার ঝামেলায় ভোগেন অনেকেই।
এই সমস্যাগুলো হয় মূলত ব্রাউজারের কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণেই। আপনি যখন সার্ফিং করেন, আপনার ব্রাউজার তখন নানা ধরনের তথ্য-উপাত্ত জমা করতে থাকে। ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড, ব্রাউজিং হিস্টরি, ডাউনলোড করা ডাটাসহ নানা ধরনের তথ্য জমা করতে করতে সে ভারি হয়ে যায়। তারপরই শুরু হয় সমস্যা।
এমন পরিস্থিতিতে ব্রাউজারে থাকা ক্যাশ, কুকিজ ও হিস্ট্রি মুছে দিলেই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি নিয়মিত ব্রাউজার আপডেট করলেও গতি বাড়ে।
-
গুগল ক্রোমে গতি আনবেন যেভাবে
গুগল ক্রোম ওপেন করুন। ওপরে ডানদিকে থাকা থ্রি ডট বাটনে ক্লিক করুন। মোর টুলস অপশনে ক্লিক করে ক্লিয়ার ব্রাউজিং ডেটা অপশন বেছে নিন। ব্রাউজিং হিস্টরি, ডাউনলোড হিস্টরি, কুকিজ এবং অন্য সাইটের ডেটা ও ক্যাশ সিলেক্ট করুন। এরপর ক্লিয়ার ডেটা অপশনে ক্লিক করুন।
ফায়ারফক্সে গতি আনবেন যেভাবে
ফায়ারফক্স ওপেন করুন। ওপরে ডানদিকে থাকা মেনুতে ক্লিক করে সেটিংস অপশন বেছে নিন। নিচের দিকে স্ক্রল করে কুকিজ অ্যান্ড সাইট ডেটা ও হিস্টরি নির্বাচন করুন। ক্লিয়ার ডেটা অপশনে ক্লিক করুন।
-
আইওএস সাফারিতে গতি আনবেন যেভাবে
আইওএস সাফারি ওপেন করুন। ওপরের মেনুতে যান। হিস্টরি অপশন বেছে নিন। যে সময়ের ডেটা মুছে দিতে চান, সেই টাইম ফ্রেম বেছে নিন। ক্লিয়ার হিস্টরি অপশনে ক্লিক করুন।
অনেকটা একই পদ্ধতি অনুসরণ করে অন্য যেকোনো ব্রাইজারের ক্যাশ, কুকিজ ও ব্রাউজিং হিস্টরি মুছে দিয়ে গতি বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য