দুই দশক আগেও সারা দেশে দুর্গা প্রতিমার মুখের গড়ন বা সাজসজ্জা ছিল অনেকটা আটপৌড়ে। সময় যত গড়িয়েছে সেই গড়নে এসেছে পরিবর্তন। প্রতিমার সাজসজ্জাও হচ্ছে বর্ণাঢ্য। এর পেছনে ইন্টারনেটের মতো প্রযুক্তির বড় ধরনের ভূমিকা দেখছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
তাদের বক্তব্য, আগে সব প্রতিমাই তৈরি হতো শিল্পীর নিজস্ব ভাবনা থেকে, তবে এখন অনেকে সার্চ ইঞ্জিন গুগল থেকে পছন্দের প্রতিমার ছবি বাছাই করে সে অনুযায়ী দুর্গা গড়তে বলেন। ফলে প্রতি বছর বদলে যাচ্ছে প্রতিমার মুখের গড়ন ও সাজসজ্জা।
শিল্পীরা বলছেন, ১৫ বছর আগেও দেবী দুর্গাসহ লক্ষ্মী, সরস্বতীর মুখের গড়ন ছিল এক। মাটি দিয়ে বানানো ছাঁচে গড়া হতো এই তিন প্রতিমা, এ ছাঁচকে বলা হতো একচালা। এ ছাড়া গণেশ, কার্তিক ও অসুরের জন্য ছিল আলাদা ছাঁচ।
তবে এখন ছাঁচে ফেলে প্রতিমা গড়ার রীতি অনেকটাই বদলে গেছে। ফলে প্রতি বছর আলাদা গড়নে ও রূপে তৈরি হচ্ছে দেবী দুর্গার প্রতিমা।
দুর্গা প্রতিমার গড়ন দুই দশকে কতটা এবং কেন বদলেছে তা জানতে নিউজবাংলা কথা বলেছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শাঁখারীবাজার, বাংলাবাজার, তাঁতীবাজার এলাকার প্রতিমা শিল্পী ও পূজার আয়োজকদের সঙ্গে।
বদলে যাচ্ছে দেবীর গড়ন, মণ্ডপের নকশা
বাংলাবাজারের জমিদার বাড়িতে দুর্গাপূজা হচ্ছে ৪৫ বছর ধরে। নব্বইয়ের দশকেও মন্দিরে পূজার সাজ ছিল ছিমছাম। তবে এখন মণ্ডপ সাজানো হয় বড় আয়োজনে।
এবার মণ্ডপজুড়ে সাদা রঙের ছড়াছড়ি। দেবী দুর্গাসহ সব প্রতিমার রংও সাদা।
আয়োজকেরা বলছেন, এবার তারা শান্তির প্রতীক হিসেবে সাদা রং বেছে নিয়েছেন। আর প্রতিমা বানানোর ক্ষেত্রে সহায়তা নেয়া হয়েছে ইন্টারনেট প্রযুক্তির।
জমিদার বাড়ির প্রতিমা তৈরি করেছেন বলাই পাল। ৩৪ বছর ধরে প্রতিমা শিল্পীর কাজ করছেন তিনি। এবারের পূজায় সব মিলিয়ে ১২টি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন এই শিল্পী। এর মধ্যে ঢাকায় ১১টি এবং ঢাকার বাইরে একটি প্রতিমা গড়েছেন তিনি।
বলাই পাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের আগে একচালা বা পাঁচচালা দিয়ে প্রতিমা তৈরি করতে হতো। তখন সব প্রতিমার চেহারা একই রকম থাকত। তবে এখন আর সে ধরনের কাজ হয় না। আমাদের এখন প্রতি বছর আলাদা আলাদা চেহারার প্রতিমা বানাতে হয়।’
এখন অনেকেই গুগল থেকে ছবি ডাউনলোড করে সে অনুযায়ী প্রতিমা করতে বলেন জানিয়ে বলাই পাল বলেন, ‘আমাদের কাছে ছবি দিলে আমরা তেমন করে তৈরি করে দিই। তবে দেবীর যে রূপ তাতে বড় কোনো পরিবর্তন আসে না। দেখা যায় অনেকেই গোলাকার বা লম্বাকৃতির মুখ বানাতে বললে আমরাও তেমন বানিয়ে দিই।
‘আমাদের মনের মধ্যে নিজস্ব যে চেহারা থাকে সেটাও প্রতিমার রূপে প্রতিফলিত হয়। আমি যে ১২টি প্রতিমা তৈরি করেছি সেগুলো ১২ রকমের হয়েছে। এর মধ্যে অনেকে আমাকে বিভিন্ন ছবির ক্যাটালগ দিয়েছে। আমি সেটাও অনুসরণ করেছি।
শাঁখারীবাজারের সঙ্ঘমিত্র পূজা কমিটির প্রতিমা তৈরি করেছেন মানিকগঞ্জের প্রতিমা শিল্পী সুকুমার পাল। ২৮ বছর ধরে প্রতিমা শিল্পের সঙ্গে জড়িত সুকুমার ১০ বছর ধরে এই কমিটির প্রতিমা তৈরি করছেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিবারই মায়ের চেহারায় পরিবর্তন আসে। এটা আমাদের মাথার মধ্যে থাকে। আমরা একটা পরিকল্পনা করে থাকি। একেক বছর একেক রকম হয়। তবে এখন অনেকেই ছবি দিয়ে দেয়, আর সেটির সঙ্গে আমি একটা রূপ চিন্তা করে প্রতিমা তৈরি করি।’
পাশের দেশ ভারতে বিভিন্ন থিম ও ব্যক্তির চেহারার সঙ্গে মিল রেখে প্রতিমা তৈরির চল রয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকদের দাবি, নিজস্ব স্বকীয়তাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
বাংলাবাজারের জমিদার বাড়ি পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস শংকর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের মতো করেই প্রতিমা তৈরি করে থাকি। আমি নিজে ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ছবি দেখে একটা নিজস্ব ছবি বানিয়ে তা নিয়ে প্রতিমা শিল্পীর সঙ্গে আলোচনা করি। এভাবে মায়ের রূপ নির্ধারণ করা হয়।’
নব্বইয়ের দশকের মণ্ডপে তেমন সাজসজ্জা থাকত না জানিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘এখন আমরা মন্দিরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নকশা করে থাকি।’
শাঁখারীবাজারের গলিতে সব মিলিয়ে এবার ছয়টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। এর মধ্যে গলির শুরুতে প্রতিদ্বন্দ্বী পূজা কমিটির পূজায় জাঁকজমক সবচেয়ে বেশি।
প্রতিমা তৈরির খরচ বেড়েছে
গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমা তৈরির খরচ বেড়েছে বলে জানান আয়োজক ও শিল্পীরা।
জমিদার বাড়ির প্রতিমা শিল্পী বলাই পাল বলেন, ‘এবার জমিদার বাড়ির প্রতিমা গড়তে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা, যা গতবারের তুলনায় ১০ হাজার টাকা বেশি। আমার সঙ্গে আরও পাঁচজন কাজ করেছেন। তাদের আলাদা বেতন দিতে হয়। সেখানেও গতবারের তুলনায় ১ থেকে ২ হাজার টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে। এর আগের দুই বছর করোনার কারণে প্রতিমা বানানোর খরচ পড়ে গিয়েছিল, এবার তা বেড়ে গেছে।’
পূজার আয়োজকেরা বলছেন, প্রতিমার পাশাপাশি মণ্ডপ সাজানোর খরচও বেড়েছে। এ ছাড়া পূজার উপকরণের দামও বাড়তি।
শাঁখারীবাজার ঘুরে দেখা যায়, পূজায় সবচেয়ে ব্যবহৃত ধূপকাঠির দাম প্যাকেটপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এ ছাড়া দেবীর অলংকারসহ অন্য উপকরণের দামও বেড়েছে।
সুর ঘুড়ি ঘরের বিক্রেতা সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার কারণে গত দুবার বিক্রি তেমন না হলেও এবার চাহিদা অনেক। আমার দোকানে বিভিন্ন ধরনের ধূপকাঠি আছে। এর মধ্যে ভারতীয়গুলো বেশি জনপ্রিয়। আর দাম বেড়েছে প্রতি প্যাকেটে ১০ থেকে ২০ টাকা।’
পূজার অঞ্জলির উপকরণ, ঘট, প্রদীপ, থালাসহ অন্যান্য উপকরণের দোকানেও ভিড় দেখা গেছে। এ ছাড়া পূজারি নারীর সিঁদুর, আলতা, টিপের বিক্রিও বেড়েছে কয়েক গুণ। ভিড় রয়েছে শাঁখার দোকানেও।
৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে শেষ হবে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব।
আরও পড়ুন:নওগাঁ শহরে রমজানে দুই টাকার বিনিময়ে ইফতারের প্যাকেট বিক্রি করছে ‘ফুড প্যালেস’ নামের রেস্তোরাঁ।
শহরের কাজীর মোড় এলাকায় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে রেস্তোরাঁটির পক্ষ থেকে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যায়।
প্রতিদিন নওগাঁ শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করা হয়। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন কম আয়ের মানুষের মধ্যে এ ইফতার বিতরণ করা হয়।
কম আয়ের মানুষের জন্য দুই টাকায় ইফতারসামগ্রীর একটি প্যাকেটে থাকে খিচুড়ি, একটি ডিম, বেগুনি, পিঁয়াজু, ছোলা, শসা ও খেজুর। প্যাকেটগুলো দুই টাকায় বিক্রি হলেও এগুলোতে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ টাকার ইফতারসামগ্রী দেয়া হয়।
রিকশাচালক আতিক বলেন, ‘নওগাঁ শহরে আমি রিকশা চালাই। হঠাৎ দেখি এখানে ইফতার দেয়া হচ্ছে মাত্র দুই টাকার বিনিময়ে। তাই দুই টাকা দিয়ে ইফতারের প্যাকেটটি নিলাম। এত কম টাকায় পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’
ভ্যানচালক জাফর বলেন, ‘আমি তো প্রথমে অবাক হয়েছি। মাত্র দুই টাকায় ইফতার এখানে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই ভালো করে শুনে তারপর দুই টাকার বিনিময়ে ইফতার নিলাম।
‘আমাদের মতো মানুষের প্রতিদিন বেশি টাকায় ইফতার কিনে খাওয়া সম্ভব না। এ ধরনের উদ্যোগ নিলে আমরা সাধারণ মানুষরা কিনে খেতে পারব।’
৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আলম হোসেন বলেন, ‘ভ্যান গাড়ি দেখে পাশে দাঁড়িয়ে শুনি মাত্র দুই টাকার বিনিময়ে ইফতার দেয়া হবে। তাই লাইনে দাঁড়িয়ে আমিও নিলাম।
‘খুব ভালো লাগছে। এত অল্প টাকায় এত সুন্দর আয়োজনের জন্য।’
ফুড প্যালেস রেস্টুরেন্টের মালিক মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আমার সাধ্যের মধ্যে কম আয়ের মানুষের পাশে সবসময় থাকার চেষ্টা করি। তার ধারাবাহিকতায় নামমাত্র দুই টাকা নিয়ে ইফতার বিতরণ করছি শহরের বিভিন্ন স্থানে পুরো মাস ধরে।’
দুই টাকা কেন নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি এমনিতে ইফতার দিই, তাহলে অনেকে লজ্জা পেতে পারে। তাই দুই টাকা দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিই।
‘এতে করে সাধারণ মানুষরা নিজের টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে ভেবে আমাদের কার্যক্রমকে সহজে গ্রহণ করবে আর নিতে আগ্রহী হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে দেয়া ইফতার মাহফিলে তিনি এই আহ্বান জানান।
রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এই ইফতার মাহফিলে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন অংশ নেন।
এছাড়াও ইফতার অনুষ্ঠানে চীন, ভারত, পাকিস্তান, নরওয়ে, সুইডেন, নেপাল, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইফতারে কূটনীতিকদের স্বাগত জানান এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এ সময় ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। ফিলিস্তিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ‘টু স্টেট পলিসি’ বাস্তবায়নেরও দাবি জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট পড়েছে। দেশে একটা ফ্যাসিস্ট রেজিমের শাসন চলছে। তারা ৭ জানুয়ারি একটি নির্বাচন করেছে যেটা কোনো নির্বাচন হয়নি।’
নির্বাচন সামনে রেখে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ হাজার হাজার নেতা কর্মী গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা দায়েরের কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, দেশের জনগণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এই ফ্যাসিস্ট রেজিম সরকারের পদত্য্যাগ এবং নতুন নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করছে। বর্তমান সংকট সমাধানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, মীর নাসির হোসেন, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন ফজলে এলাহী আকবর, আবদুল কাইয়ুম, ফরহাদ হালিম ডোনার, সুজা উদ্দিন, ইসমাইল জবিউল্লাহ, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জহির উদ্দিন স্বপন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কায়সার কামাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, মীর হেলাল, মওদুদ হোসেন আলমগীর, শাহ নেসারুল হক, ইশরাক হোসেন ও আতিকুর রহমান রুমন।
এছাড়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক শহীদুজ্জামান, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক ব্যাংকার বখতিয়ার নাসের বখতিয়ার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব তাজুল ইসলাম, সাবেক এমপি গোলাম মওলা রনি ইফতারে অংশ নেন। ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে কূটনীতিকরা নৈশভোজেও অংশ নেন।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে থ্রি জেড ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার পক্ষ থেকে একজন চিকিৎসকের উদ্যোগে অপেক্ষাকৃত কম দামে গরুর মাংস, তরমুজ ও আনারস বিক্রি করা হচ্ছে।
ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার সকালে এ চিকিৎসকের উদ্যোগে তরমুজ ও আনারস বিক্রি শুরু হয়।
এর আগে তার উদ্যোগে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় গরুর মাংস।
ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পাঁচ থেকে ছয় কেজি ওজনের বড় তরমুজ বিক্রি হয় ২০০ টাকায়। আর ছোট থেকে বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকায়। অন্যদিকে প্রতিটি আনারস বিক্রি হয় ৩০ টাকায়।
জেলায় রমজানে মাংস ও ফল কম দামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন ডা. নাহিদ-উল-হক। পেশায় তিনি হরমোন ও অ্যান্ড্রক্রোলজিস্ট চিকিৎসক।
এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, ‘এবারের রোজার এই ১১ দিনে এসে এই প্রথম পরিবারের জন্য একটি তরমুজ কিনছি। কম আয়ের মানুষ এতে ইফতারে পরিবারের মানুষের মুখে একটু তরমুজ তুলে দেয়ার সুযোগ পেল।’
এর আগে এ চিকিৎসক রমজান উপলক্ষে ৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করেন। এক সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি এখনও চলছে।
শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার ঈদগাহে শুক্রবার পাঁচটি দেশি গরু জবাই করে সেগুলোর মাংস ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন। এর পাশাপাশি শুক্রবার থেকে তিনি কম দামে তরমুজ ও আনারস বিক্রি শুরু করেন।
জানতে চাইলে ডা. নাহিদ-উল- হক বলেন, ‘ফরিদপুরের সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার আগ্রহ থেকেই থ্রি জেড ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। সাধারণ মানুষ কম দামে এভাবে গরু কিনতে পেরে অনেক খুশি।
‘তাদের দাবি, এ উদ্যোগ যেন আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। প্রয়োজনে সামর্থবানরা এ কাজে যেন এগিয়ে আসে।’
আরও পড়ুন:পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলিম কাবা প্রান্তরে ছুটে আসেন। তবে আধুনিক যুগে ইবাদত ও ওমরাহ পালনের পাশাপাশি ছবি তোলারও হিড়িক পড়ে যায় সেখানে।
উদ্ভূত বাস্তবতায় তাওয়াফ করার সময় ছবি তোলার মতো কাজ না করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবের পবিত্র কাবা শরিফ ও মসজিদে নববি তত্ত্বাবধানের জেনারেল অথরিটি।
ওমরাহ পালনকারীদের তাওয়াফ (পবিত্র কাবার চারপাশে প্রদক্ষিণ) করার সময় ছবি না তুলে ইবাদতে পূর্ণ মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সূত্র: সৌদি গেজেট।
তাওয়াফ করার সময় ওমরাহ পালনকারীদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘তীর্থযাত্রীদের চিৎকার-শোরগোল না করে নীরবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা উচিত। পবিত্র কাবার পবিত্রতা ও মর্যাদাকে সম্মান করতে হবে।
‘তাওয়াফ করার সময় হারাম শরিফের শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। তাদের পক্ষ থেকে কোনো অনুপযুক্ত আচরণ করা উচিত নয়, যেমন- ভিড় করা, ধাক্কাধাক্কি বা ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত থাকা।’
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওমরাহ পালনকারীরা ভিড় না থাকলে হাজরে আসওয়াদে চুম্বন করতে পারেন এবং তাওয়াফের পর দুই রাকাত নামাজও আদায় করতে পারেন।
কর্তৃপক্ষ কাবায় যাওয়া মুসলিমদের এমন কাজগুলো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছে যেগুলো অন্যদের বিপদে ফেলতে পারে।
এ ছাড়া মাতাফের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও ওমরাহ সঠিক পদ্ধতিতে পালন করতে আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:টাকা ভাঙতি করার কথা বলে সিরাজগঞ্জের এক কালী মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হলে মাহমুদুল ইসলাম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার শিয়ালকোলে অবস্থিত শ্রী শ্রী কালীমাতা মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।
১৯ বছর বয়সী মাহমুদুল ইসলাম সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই যুবক মন্দিরের পাশে অবস্থিত এক দোকানে এক হাজার টাকার নোট ভাঙানোর কথা বলে দোকানের ভেতর ঢুকে পড়েন। পরে মন্দিরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেই ইট ও দা দিয়ে কালী প্রতিমার মুখমণ্ডল ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন।
তারা জানান, প্রতিমা ভাঙার সময় তিনি বলতে থাকেন, ‘এসব মূর্তি দেশের জন্য ভালো না।’ পরে অন্যান্য প্রতিমা ভাঙার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মন্দিরের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ সাহা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. হাসিবুল্লাহ হাসিব বলেন, ‘শিয়ালকোলে কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙার ঘটনায় ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবককে আটক করি। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতিমা ভাঙার কাজে ব্যবহৃত একটি দা ও ভাঙ্গা ইট জব্দ করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
জামালপুরে দেড় শতাধিক এতিম শিশুকে নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল করেছে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাব।
বুধবার জামালপুর প্রেসক্লাবের ছাদে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ইফতারের আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
এ ছাড়াও পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন, জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ আকাশসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুভ্র মেহেদী।
এ সময় বক্তারা বলেন, এতিমদের নিয়ে এই ধরনের ইফতার আয়োজন সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক। পবিত্র রমজানে সমাজের বিত্তবানদের সামর্থ্য অনুযায়ী এতিম, দরিদ্র ও অসহায়দের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান বক্তারা।
দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ শহরের বেশ কয়েকটি মাদ্রাসার দেড় শতাধিক এতিম শিশু ও আলেমগণ অংশগ্রহণ করেন।
দোয়া ও ইফতার মাহফিলে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সদরঘাট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ছানাউল্লাহ।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, অনুষদের ডিন, ইনস্টিউটের পরিচালক এবং হলের প্রাধ্যক্ষকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সেই চিঠি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
চিঠিটি দেয়া ১৫ মার্চ, শুক্রবার। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে বুধবার থেকে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি আইন বিভাগের কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী পূর্ব অনুমতি না নিয়ে ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শিরোনামে একটি সেমিনার আয়োজনের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু টাওয়ার ভবনে জমায়েত করে।
“সেখানে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে এবং আইন অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেছে।”
চিঠিতে বলা হয়, ‘পরবর্তীতে কিছু রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিবর্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কাজ করছে।’
চিঠিতে সবশেষে বলা হয়েছে, এমতাবস্থায় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি না দেয়ার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’
চিঠির শেষাংশে উল্লেখ করা ‘এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ড’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে সেটি স্পষ্ট না হওয়ার কারণে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
অনেকে বলছেন, এটির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘রমজান’ শীর্ষক কোনো প্রোগ্রাম আয়োজনের অনুমতি না দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।
আবার অনেকে বলছেন, অনুমতি না দেয়া মানেই তো অনুষ্ঠান আয়োজনে এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া। তাই এটা বলা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রমজানকেন্দ্রিক কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর এই শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করলে বৃহস্পতিবার সেসব প্রতিবেদনকে অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রমজানের অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রমজানের আলোচনা সম্পর্কিত অনুষ্ঠান আয়োজনে কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রক্টর অফিস থেকে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। রমজানের অনুষ্ঠান আয়োজনে ‘নিষেধাজ্ঞা’ শব্দটি এই বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও উল্লেখ নেই।
প্রকৃতপক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনও রমজানে শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। বলাবাহুল্য, প্রতিদিনই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে আসছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কতিপয় রাজনৈতিক সংগঠনের অনুসারীরা পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দু-একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত রীতিনীতি লঙ্ঘিত ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিধিবদ্ধ রীতিনীতি ও নির্ধারিত স্থান রয়েছে, যা আমাদের সবারই মেনে চলা উচিত।
বিজ্ঞপ্তি এবং ওই চিঠিতে কোন ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজনে অনুমতি না দেয়ার কথা বলা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আর অনুমতি না দিতে বলার বিষয়টি এক নয়। নিষেধাজ্ঞা মানে হচ্ছে সবকিছু নিষেধ। আর আমাদের চিঠিতে একটি পার্টিকুলার বিষয়েকে উল্লেখ করে বলা হয়েছে শুধু এ ধরনের অনুষ্ঠান...।
‘এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ড’ বলতে কোন ধরনের প্রোগ্রাম বুঝানো হয়েছে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ড বলতে প্রোডাক্টিভ রমাদান নামটি ব্যানারে আনা এবং যে জায়গায় প্রোগ্রাম করা হবে সে জায়গার অনুমতি না নেয়াকে বুঝানো হয়েছে। যাতে আমরা জানতে পারি কে কোন জায়গায় কী প্রোগ্রাম করছে। এছাড়া আর কোনো প্রোগ্রামকে বুঝানো হয়নি। আর বর্তমানেও তো ক্যাম্পাসে প্রতিদিন রমজানের কোনো না কোনো প্রোগ্রাম হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য