× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
A cry for daycare centers
google_news print-icon

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার

ডে-কেয়ার-সেন্টারের-জন্য-হাহাকার
রাজধানীর একটি ডে কেয়ার সেন্টারে শিশুরা। ছবি: নিউজবাংলা
আড়াই কোটি মানুষের এই নগরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে চাহিদার তুলনায় সংখ্যাটি একেবারেই অপ্রতুল। আবার যেগুলো আছে, সেগুলোর মান নিয়েও আছে প্রশ্ন।

সাংবাদিক শারমিন নিরা। বাসা মগবাজারের দিলু রোডে। সকাল থেকে অ্যাসাইনমেন্ট, রিপোর্ট তৈরির কাজে ব্যস্ত। জীবনসঙ্গী সাইফুর রাসেল সরকারি চাকুরে। সন্তানের দেখাশোনার কেউ নেই, তাই দিতে হয়েছে ডে কেয়ার সেন্টারে।

কিন্তু এটি খুঁজে পাওয়া সহজ কাজ ছিল না। কিলোমিটার ছয়েক দূরে নিকেতন এলাকায় একটি সেন্টারের খোঁজ পান এক সহকর্মীর কাছ থেকে। সেখানেই প্রায় পাঁচ বছর ধরে রাখছেন সন্তান অতল আনন্দকে।

নিরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেন্টারটিতে ছুটি হয় সন্ধ্যার আগে। কোনো কোনো দিন সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তখন বাচ্চাকে আনার বিষয়টা কঠিন হয়ে যায়। রাসেলকে বলি, সে নিজে যায়, অথবা ব্যবস্থা করে।’

‘বাসার আশপাশে কোনো সেন্টার থাকলে অনেক ভালো হতো। বেইলি রোডে মহিলা সমিতিতে একটি খুঁজেও পেয়েছিলাম। কিন্তু সেটার পরিবেশ দেখে আর দেয়া হয়নি।’

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার
রাজধানীর একটি ডে কেয়ার সেন্টারে শিশুদের সঙ্গে দুজন কর্মী। ছবি: নিউজবাংলা

মিতা পাল ইংলিশ মিডিয়ামের একটি কোচিং সেন্টারে ক্লাস করাতেন। সন্তান জন্ম নেয়ার পর বাধ্য হন চাকরি ছাড়তে। পরে এক বন্ধুর পরামর্শে অনলাইনে পেজ খুলে মেয়েদের ফ্যাশন আইটেম বিক্রি করে আয় করতে থাকেন।

মিতার মতো কর্মজীবী নারীদের সন্তান লালনপালনে চাকরি ছাড়তে হতো না যদি না দিনের বেলায় শিশু লালনপালনের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার সহজলভ্য হতো।

সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসে ডে কেয়ার সেন্টার করার তাগাদা এসেছে একাধিকবার। তবু এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। এমনকি এ নিয়ে কর্মকর্তারা কিছু বলতেও চাইছেন না।

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার

মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত মহাখালী ডে কেয়ার সেন্টারের কার্যালয়। ছবি: নিউজবাংলা

আড়াই কোটি মানুষের এই নগরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে চাহিদার তুলনায় সংখ্যাটি একেবারেই অপ্রতুল।

কেন মানসম্মত কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা যাচ্ছে না, আর যেগুলো আছে, সেগুলোতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা কেন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না- এই প্রশ্নে ডে কেয়ার সেন্টারের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কোনো কথাই বলতে চাইলেন না।

সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ফাতেমা ফেরদৌসীর কাছে প্রশ্ন রাখলে তিনি পাঠান অফিসের প্ল্যানিং শাখায়।

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার

সম্প্রতি চালু করা দ্য ডেইলি স্টার-এর ডে কেয়ার সেন্টার। ছবি: নিউজবাংলা

সেই শাখায় যাওয়ার পর বেনুআরা নামের এক কর্মকর্তা কথাই বলতে চাইলেন না। ডে কেয়ার সেন্টার নিয়ে কী পরিকল্পনা, সে বিষয়ে কথা বলতে হলে তাদের মহাপরিচালক বরাবর দরখাস্ত দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বললেন, দরখাস্ত মঞ্জুর হলেই কেবল তিনি কথা বলবেন।

যে কয়টি ডে কেয়ার সেন্টার আছে, সেগুলোর মধ্যে যে যে সমস্যা আছে, তা হলো শিশুদের যত্নের মতো পর্যাপ্ত লোকবল ও সুযোগ-সুবিধা নেই। উন্নত বিশ্বে ডে কেয়ার সেন্টারে প্রাক-প্রাথমিকে পড়াশোনাও করা হয়। কিন্তু দেশে হাতে গোনা এক-দুটিতে আছে এই সুবিধা। আবার সেন্টারগুলো এমন সময়ে বন্ধ হয়, যে সময়ে বাবা-মায়ের পক্ষে সন্তানকে নিয়ে যাওয়া কঠিন, আবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে দুদিন, কিন্তু সব অফিসে ছুটি দুদিন নেই।

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার

গুলশানের একটি ডে কেয়ার সেন্টার ‘এবিসি ডে কেয়ার’ এ শিশুরা। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল বাবা-মায়ের স্বস্তি দিতে নয়, একসঙ্গে অনেক শিশুর বেড়ে ওঠা তাদের সামাজিকীকরণের জন্যও জরুরি। এতে অর্থ খরচ হলেও বিকল্প হিসেবে ঘরে সহকারী রাখার যে খরচ, সে তুলনায় কম।

যা কিছু আছে তার মান নিয়েও আপত্তি

ডে কেয়ার সেন্টার পাওয়া সহজ নয়। আবার পাওয়া গেলেও মান নিয়ে আছে প্রশ্ন।

যেমন: শারমিন নিরা তার বাসা থেকে খানিক দূরে বেইলি রোডে মহিলা সমিতির একটি ডে কেয়ার সেন্টার খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার পরিবেশ দেখে আর দেয়া হয়নি।

এই সেন্টারটিতে মূলত নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানদের রাখা হয়। এমন একটি সেন্টারে অতলকে রাখা হলে তার মানসিক বিকাশের কী হবে, এ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন এই সংবাদকর্মী।

পরে নিকেতনেরটা কীভাবে খুঁজে পেলেন?

নিরা বলেন, ‘যখন কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তখন এক কলিগকে বললাম। দিদিই খোঁজ দিলেন এটির। তার বাচ্চাও এখানে থাকত।’

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার

গুলশানে ‘এবিসি ডে কেয়ার’ এ একটি শিশু কাগজ দিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা কার্ড বানাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

নিরার পরিবারের একটি প্রাইভেট কার আছে, যে কারণে বাচ্চাকে আনা-নেয়া করা খুব একটা কঠিন হয় না। যদি না থাকত- এই প্রশ্নে নিরা হেসে বলেন, ‘জানি না, খুব কঠিন হতো।’

আরেক কর্মজীবী নারী উর্মি দে। সরকারি কর্মকর্তা। বাড়ির পাশে ডে কেয়ার সেন্টার খুঁজে না পেয়ে বাড়ি থেকে আনিয়েছেন সহকারী।

তিনিও বললেন, মানসম্পন্ন ডে কেয়ার সেন্টার থাকলে তার এবং সন্তান রূপকথার জীবনটা আরও সহজ হতো।

উর্মি বলেন, ‘আমি হাতিরঝিলের পাশে মহানগর এলাকায় থাকি। সেখানে তো নেইই, অফিসের আশপাশেও ভালো কোনো ডে কেয়ার নেই। একটা ছিল, সেখানে পরিবেশ ভালো লাগেনি। বাচ্চার দেখাশোনার ব্যাপারে যত্নশীলতা কম মনে হয়েছে।

‘গুলশানে যেগুলো আছে সেগুলোর খরচ আকাশছোঁয়া। তাই বাধ্য হয়ে এভাবে বাসায় রাখতে হয়।’

বাসায় সহকারী রেখে মানসিক যাতনা

বাসায় সহকারী রেখে দূর থেকে সব পর্যবেক্ষণ করা সহজ নয়। শিশুর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্য পুরো বাসা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনেছেন উর্মি। কিন্তু এর ঝক্কি ঝামেলা কম নয়।

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার
মহাখালীতে মরকারি ডে কেয়ার সেন্টারের বাইরের দৃশ্য। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘অফিস থেকে এভাবে সিসি ক্যামেরায় বাচ্চাকে দেখাও অনেক চাপের। সব সময় অন রাখা সম্ভব হয় না। এই ফাঁকে বাসার মেয়েটি আমার বাচ্চাকে দারোয়ানের কাছে রেখে বাসায় চলে গিয়েছিল। দারোয়ান ফোন করায় দৌড়ে বাসায় যেতে হয়েছে অফিস থেকে।

‘আমার ওয়াশরুমেও সিসি ক্যামেরা রাখতে হয়েছে। এটা একটা মায়ের জন্য অনেক দুঃখজনক। কারণ ওয়াশরুমে নিয়ে আমার বাচ্চাকে মারধর করেছিল মেয়েটি। একটাই বাচ্চা আমার। সেই ট্রমা থেকে আমি আর বাচ্চা নেয়ার সাহস পাইনি।’

নানা সময় ঘরে একা থাকা গৃহকর্মীর হাতে শিশুর নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে নির্মম পিটুনির বিষয়টি ধরা পড়ার পর একাধিক গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে যেসব বাসায় এই পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা নেই, সেসব বাসায় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক কষ্টের বিষয়টি জানাও যায় না।

অভিজাত এলাকায় মানে ভালো, কিন্তু অর্থের চাপ

গুলশানের একটি ডে কেয়ার সেন্টার এবিসি ডে কেয়ার। সেখানে নিজের দুই সন্তানকে রাখেন কর্মজীবী মা তানজিদা ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘সার্ভিস খুব ভালো। প্রি-স্কুল রয়েছে। তবে খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি। তবু কোনো উপায় তো নেই আর।

‘সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাচ্চাকে রাখি। বাসার কাছে হওয়ায় এবং অফিসের দূরত্বও কম হওয়ায় আমার অসুবিধা হয় না। কিন্তু যাদের বাসা দূরে এবং এ রকম বেসরকারি ডে কেয়ারের খরচ বহন করাও অনেকের জন্য কঠিন। আমি মনে করি, প্রতিটি অফিসেই ডে কেয়ার থাকা উচিত। ডে কেয়ারের সংখ্যা বাড়লে মেয়েরা আরও কর্মমূখী হবে।

‘সরকারিভাবে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার। কারণ বাসায় যখন অপরিচিত কারও কাছে সন্তানকে রেখে আসা হয়, সে ক্ষেত্রে মা অনেক অনিরাপত্তায় ভোগেন। সেখানে সুযোগ সুবিধাসহ এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ডে কেয়ারে রাখতে পারলে মায়েরা নিশ্চিন্তে কাজে যেতে পারবেন। কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের সংখ্যা আরও বাড়বে।

‘শুধু বাচ্চাকে নিরাপদে রাখতে না পারার অনিশ্চয়তার জন্য চাকরি ছাড়ার কথা ভাবতে হবে না।’

এবিসি ডে কেয়ারের স্বত্বাধিকারী সোনিয়া আকরাম জানান, ঢাকায় তাদের পাঁচটি শাখা আছে, যার তিনটিই গুলশানে। বাকি দুটির একটি ধানমন্ডি ও একটি তেজগাঁও এলাকায়।

চাহিদা থাকলেও আর বাড়াচ্ছে না কেন- এমন প্রশ্নে এবিসির কো-অর্ডিনেটর লীনা ইসলাম বলেন, ‘এটা একদমই আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা বাইরে প্রকাশ করতে চাই না।’

সময়সীমা ও সপ্তাহে দুই দিন ছুটিও এক সমস্যা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত মহাখালী ডে কেয়ারে গিয়ে দেখা গেল, শিশুরা খেলা করছে। সেখানকার শিক্ষক সাথী বৈদ্য জানান, ৪ মাস বয়সী থেকে শুরু করে ৬ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের তারা রাখেন।

কিন্তু সেখানে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাখার সুযোগ, যেটি কর্মজীবী নারীর জন্য সংকট তৈরি করেছে। কারণ, অফিস সময় কারও ৫টা, কারও ছয়টা পর্যন্ত। ছুটি শেষে এখানে আসতে আসতেই ডে কেয়ার সেন্টার বন্ধ হয়ে যায়।

এখানে মূলত যাদের আয় কম, তাদের বাচ্চাদেরই দেখা গেল। সাথী বৈদ্য জানান, বাবা-মার আয় এবং বাচ্চার বয়সের ওপর নির্ভর করে সরকার ভর্তুকিও দেয়। বাবা-মা মায়ের সম্মিলিত আয় ৫০ হাজার টাকার কম হলে এই সুবিধা পাওয়া যায়।

তবে শুক্র ও শনিবার এর সঙ্গে সরকারি সব বন্ধের দিন সেন্টারটি বন্ধ থাকে। কিন্তু বেসরকারি বেশির ভাগ অফিসেই সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন। ফলে বাকি এক দিনের দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

শনিবার মায়েরা বাচ্চাকে কোথায় রাখবে- এই প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারলেন না সাথী।

আধুনিক জীবনে ডে কেয়ার কেন জরুরি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডে কেয়ার পাশ্চাত্য সমাজের একটি ধারণা। যেন মায়েরা নিশ্চিন্তে তাদের সন্তানকে সেখানে রেখে কাজে যেতে পারে। আমাদের সরকারি নীতিমালায় অনুযায়ী প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই ডে কেয়ার রাখার নির্দেশনার কথা বলা হয়েছিল। তবে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। সেক্ষেত্রে মনিটরিং করা হচ্ছে কি না বা কেন হচ্ছে না তার কোনো ব্যাখ্যা সরকার দিয়েছে বলে আমরা জানি না।’

তিনি বলেন, ‘একজন মা তার কর্মক্ষেত্রে বা আশপাশে ভালো ডে কেয়ার পেলে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন। পাশাপাশি অফিসে ডে কেয়ার থাকলে কাজের সময়টুকুতে সন্তানকে দেখাশোনার ব্যাপারটাও সহজ হবে।’

কেবল কর্মজীবী মায়েদের কথা ভেবেই নয়, শিশুদের সামাজিকীকরণের জন্যও এসব ডে কেয়ার সেন্টার জরুরি বলে মনে করেন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘সব শিশুই যেন বাইরের জগতের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, অন্য শিশুদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার মানসিকতা যাতে তৈরি হয়, সে জন্যও দিবাযত্ন কেন্দ্র জরুরি।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Raksu Chaksu elections will be held well and beautifully Home Advisor

রাকসু-চাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাকসু-চাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে রাকসু ও চাকসু নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক সভা শেষে ব্রিফিং করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: বাসস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, এসব নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই, ভালোভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। এজন্য আপনাদের (সাংবাদিক) সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে রাকসু ও চাকসু নির্বাচন-২০২৫ উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি রাকসু ও চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা দেশের সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, শুধু দেশেই না বিদেশেও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত । যারা ভোট দেবে তারাও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত।

তিনি বলেন, ‘তাদের অভিজ্ঞতা আজ শেয়ার করলাম। যেহেতু আমাদের একটা জাতীয় নির্বাচন আছে ফেব্রুয়ারিতে, এই নির্বাচনগুলো দেখে আমাদের কিছু অভিজ্ঞতা হচ্ছে। সেটা আমরা জাতীয় নির্বাচনে কীভাবে প্রয়োগ করতে পারবো সেজন্য আজকে বসেছিলাম।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা আজ ভালো ভালো সাজেশন দিয়ে গেছে। সেই সাজেশন আমরা ভবিষ্যতে কাজে লাগাবো। একইসঙ্গে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় তাদেরও উপকার হয়েছে। যেহেতু দুইটা নির্বাচন হয়েছে। সেখানে নির্বাচনে কী করতে হবে, ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি থাকলে সেগুলো কীভাবে সমাধান করা হবে, এসব নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সভায় তারা কোনো ধরনের শঙ্কার কথা জানায়নি।

আজকের সভায় কি ধরনের সাজেশন এসেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে তারা বলেছে- কতগুলো সেন্টার হওয়া দরকার, ভোট গণনা কীভাবে হবে, কালি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, এসব নিয়ে কথা হয়েছে। দ্রুত ফল ঘোষণার জন্যও কি ব্যবস্থা নেয়া যায়, আলোচনা হয়েছে। ভোটারদের ছবিযুক্ত আইডি কার্ড ও ভোটার তালিকা যেন স্বচ্ছ থাকে এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, রাকসু ও চাকসু নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ দুটি নির্বাচন থেকে অনেক কিছু শনাক্ত হয়েছে। এসব নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো কাজ করেছে বা কোন বিষয়গুলো কাজ করেনি, তার একটি ধারণা পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে আমরা এখানে এসেছি। আজকের সভায় ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এ দুটি নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আছে। ভালো নির্বাচন হবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি পেশ

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি পেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৭ তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম।

বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ জবানবন্দি পেশ শেষ করেন নাহিদ। তিনি গতকাল জবানবন্দি পেশ শুরু করেন।

আজ বিকেলে তাকে জেরা করবেন এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

এ মামলায় প্রসিকিউসন পক্ষে আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করেন। সেই সাথে অপর প্রসিকিউটররা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

একপর্যায়ে এ মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরবর্তীকালে এ মামলার ৩৬ তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে

মন্তব্য

জীবনযাপন
Female fishermen should also have cards with men in the family Fisheries and Livestock Advisor

পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের দেওয়া জেলে কার্ডে পুরুষ জেলেদের নামই আসে, মাত্র ৪ শতাংশ সেখানে নারী। পরিবারে একজন চাকরি করলে তিনিই চাকরিজীবী হোন কিন্তু যারা মাছ ধরে তার পুরো পরিবার এ কাজে যুক্ত। এ প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ সময় নারীদের বেশি কাজ করতে হয়। তাই পুরুষ জেলেদের সঙ্গে নারীদেরও কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ বুধবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বেসরকারি গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) আয়োজিত “টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় নীতি সংলাপ”-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এ সেমিনার এসে দায়িত্ব বেড়ে গেছে। আমাদের জেলেদের বিশেষ করে নারী জেলেদের নিয়ে আরো বেশি কাজ করতে হবে। এখন পর্যন্ত নারীদেরকে কৃষকের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। আর নারী জেলেদের কথা তো বলাই বাহুল্য। অথচ নারী জেলেরা তার পরিবার পরিজনের জন্য নদীতে মাছ ধরে। স্বামীর অবর্তমানে সংসার চালায়।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, "এ পেশায় পুরো পরিবারকে নিয়ে কাজ করতে হয়। মান্তা সম্প্রদায়ের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনে খুব কষ্ট পেলাম।" জেলে সম্প্রদায়ের আইনগত সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড় তুফানে অনেক জেলে মারা যায়, কেউ হারিয়ে যায়, সেসব পুরুষের হদিস না থাকায় ব্যাংকের টাকাও তুলতে পারে না তাদের স্ত্রীরা। তা ছাড়া নারীকে বিধবা ভাতাও দেওয়া যায় না। এসব আইনি জটিলতা দূর করতে হবে।

তিনি বলেন, "আমাদের আইনগুলো পুরুষদের কথা চিন্তা করে করা। সেখানে নারীদের স্থান খুব কম। আর আগের মৎস্য আইনও একই ধরনের। তাই মৎস্য আইনের খসড়া ২০২৫ -এ আমরা এসকল সমস্যার সমাধানে দৃষ্টি দিয়েছি। আর নারীদের স্বীকৃতি দিলে হলে সংখ্যার স্বীকৃতি দিতে হবে। অথচ আমাদের তালিকায় নারীজেলের সংখ্যা খুবই নগন্য, মাত্র ৪ শতাংশ। কিন্তু সমাজে অসংখ্য নারী জেলে রয়েছে। এসব ঘাটতি পূরণে আমরা কাজ করছি। "

অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আগের তালিকা অনুসন্ধান করে দেখেছি অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে। এখন সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। আমরা চাই যেন প্রকৃত জেলেরা কার্ড পেতে পারে। সেইসঙ্গে যে পরিবারে পুরুষ জেলের কার্ড থাকবে সেখানে নারীদেরও থাকতে হবে।

কাঁকড়া ও ঝিনুক মানুষের খাদ্যের অংশ এটিকে বন অধিদপ্তরের সংজ্ঞা থেকে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তা ছাড়া যারা কীটনাশক ব্যবহার করে মাছ ধরছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলমহাল ইজারা সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, জলমহালের কাছের মানুষের নামে অন্যরা জলমহাল ইজারা নেয়। এক্ষেত্রে জৈবভিত্তিক ইজারা দিতে হবে, অর্থাৎ এ পেশার সঙ্গে জড়িত জেলেদের দিতে হবে। বাওড়ে ইজারা জেলেদের দেওয়ার কথা নিশ্চিত হচ্ছে, তবে হাওর নিয়েও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা চলছে। যাতে প্রকৃত জেলেরা তা পায়।

নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা সময়ে যতজনকে ভিজিএফ কার্ডের আওতায় সহযোগিতা দেওয়া দরকার তা দেওয়া সম্ভব হয় না। এর পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে চাই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, নারী শ্রমিকরা পুরুষের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম মজুরি পায়। তা ছাড়া আমাদের জলমহাল ইজারা রাজস্বভিত্তিক দেওয়া হয়। এটি বাতিল করে জাল যার জলা তার নীতিতে নিতে হবে। জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড নিশ্চিত করে জেলে কার্ড দেওয়া হবে। বর্তমানে আমাদের নিবন্ধনে ১৭ লাখ জেলের মধ্যে ৪৪ হাজার রয়েছে নারী। এ সংখ্যা আমরা বৃদ্ধি করতে হবে।

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএনআরএস এর পরিচালক মি. এম. আনিসুল ইসলাম। এমপাওয়ারিং উমেন থ্রু সিভিল সোসাইটি অ্যাক্টর্স ইন বাংলাদেশ (ইডাব্লিউসিএসএ) প্রকল্পের পরিচিতি উপস্থাপন করেন অক্সফাম বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর শাহজাদী বেগম।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএনআরএস-এর পরিচালক ড. এম. আমিনুল ইসলাম এবং জাগো নারী টিম লিডার রিসার্চ আহমেদ আবিদুর রেজা খান।

সংলাপ শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নারী মৎস্যজীবীদের ক্ষমতায়ন ও টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপিত হয়।

সংলাপে সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সিভিল সোসাইটি, শিক্ষাবিদ এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যসম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Government is committed to make worship a peaceful and festive atmosphere Home Advisor

পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বুধবার রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গত বছরের চেয়ে এবার পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে হামলার কোনো হুমকি নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ বুধবার রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় রমনা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি অপর্ণা রায়সহ কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর বলেন, পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানের জন্য ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হবে। সে কারণে একটি নতুন অ্যাপ খোলা হয়েছে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটিকে নজরদারি করার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সে কারণে ধর্মীয় নিয়ম মেনে সবাই এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিগত সরকারের সময় ২ কোটি টাকা পূজা উপলক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হতো। বর্তমান সরকার তা থেকে বাড়িয়ে গত বছর এ লক্ষ্যে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল; এবার সেটি থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পূজা মণ্ডপের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো সহায়তা করা হবে।

মন্তব্য

কিশোর পত্রিকা 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময়

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ শিশুদের স্মৃতি নিয়ে লেখা প্রকাশে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান
কিশোর পত্রিকা 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেছেন, যেসব শিশু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হয়েছে, তাদের লেখা ও স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে 'নবারুণ' পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে উপদেষ্টা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। বুধবার (১৭ই সেপ্টেম্বর) ঢাকার তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত কিশোর মাসিক পত্রিক 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।

'নবারুণ' পত্রিকা নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এই পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের আঁকা ছবি ও লেখা গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করতে হবে। 'নবারুণ' পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের লেখা ও ছবি বেশি পরিমাণে প্রকাশিত হলে তারা অনুপ্রাণিত হবে। এতে তাদের সৃজনশীলতা বিকশিত হবে।

মাহফুজ আলম বলেন, "যে সরকারই দায়িত্বে আসুক না কেন, শিশু-কিশোরদের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকা উচিত।" তিনি ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-সহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখালিখি করার জন্য লেখকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

'নবারুণ' পত্রিকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, প্রকাশনার শুরু থেকে (১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ) এ পর্যন্ত 'নবারুণ' পত্রিকার সকল সংখ্যা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। এতে পাঠক অনলাইনে পুরাতন সংখ্যা পড়ে সমৃদ্ধ হতে পারবেন।

'নবারুণ' পত্রিকার কলেবর বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'নবারুণ' পত্রিকায় নতুন লেখকদের জন্য আলাদা বিভাগ চালু করা উচিত। পত্রিকার প্রতি সংখ্যায় কমপক্ষে পাঁচ জন নতুন লেখকের লেখা প্রকাশের জন্য তিনি কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। তিনি শিশু-সাহিত্যিকদের নিয়ে দিনব্যাপী একটি কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, যেসব লেখক ৪০-৫০ বছর ধরে লিখছেন, তাঁদের লেখা 'নবারুণ' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে হবে। এতে পত্রিকা আরও সমৃদ্ধ হবে। তিনি 'নবারুণ' পত্রিকার লেখক-সম্মানি বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন।

সভায় 'নবারুণ' পত্রিকার লেখকরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা 'নবারুণ'-কে একটি অসাধারণ ও সাহসী পত্রিকা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা পত্রিকাটির মানোন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম। সভার শুরুতে 'নবারুণ' পত্রিকা বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপনা করেন পত্রিকার সম্পাদক ইসরাত জাহান। মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালন করেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সিনিয়র সম্পাদক শাহিদা সুলতানা।

মন্তব্য

জীবনযাপন
The chief adviser

ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে জানান, ‘আমরা ইতোমধ্যেই নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের ঠিক আগে।’

তিনি উল্লেখ করেন, জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে নির্বাচনী উৎসাহ বাড়ছে, কারণ দীর্ঘদিন পর—কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় পর—ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর।’ তিনি যোগ করেন, কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, তরুণ ভোটাররা এবার রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর অনেকেই প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।

তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে। এটি আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে—জাতির জন্য এক নতুন যাত্রা।’

এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন।

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। একজন আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

একজন ডাচ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ কতিপয় দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ‘ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।’

প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বাড়তি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান।

বিশেষ করে সম্প্রতি অর্থাভাবের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করতে সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কারগুলো তুলে ধরে বলেন, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Participation at the GICC Conference of the Secretary of the Bridge Division

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবে'র অংশগ্রহন

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবে'র অংশগ্রহন

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ওয়েস্টিন পারনাস হোটেলে আজ থেকে ০৩(তিন) দিনব্যাপী (১৬-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কো-অপারেশন কনফারেন্স (জিআইসিসি)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। সম্মেলনে সেতু সচিব সেতু বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সেতু সচিব প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করেন সেতু বিভাগের কয়েকটি প্রকল্পে কোরিয়ান ইডিসিএফ/ইডিপিএফ (EDCF/EDPF) অর্থানয়ের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।

জিআইসিসি-২০২৫ সম্মেলনের লক্ষ্য কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করা এবং বিভিন্ন দেশের প্রকল্প বাস্থবায়নকারীদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করা। এটি মূলত একটি বিজনেস-টু-বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেখানে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বিদেশী সরকার, প্রজেক্ট ডেভেলপার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। সম্মেলনে প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এবং কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা রয়েছেন।

এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো: বিভিন্ন দেশের আসন্ন অবকাঠামো প্রজেক্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, নতুন প্রজেক্টে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কোরিয়ান উন্নত প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট সিটি, হাই-স্পিড রেল, এবং স্মার্ট পোর্ট সিস্টেমের সাথে পরিচিতি করা।

এছাড়াও সম্মেলনের বাকী অংশে বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট ব্রিফিং, ব্যক্তিগত বিজনেস মিটিং, কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো তাদের নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।

মন্তব্য

p
উপরে