× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
A cry for daycare centers
google_news print-icon

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার

ডে-কেয়ার-সেন্টারের-জন্য-হাহাকার
রাজধানীর একটি ডে কেয়ার সেন্টারে শিশুরা। ছবি: নিউজবাংলা
আড়াই কোটি মানুষের এই নগরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে চাহিদার তুলনায় সংখ্যাটি একেবারেই অপ্রতুল। আবার যেগুলো আছে, সেগুলোর মান নিয়েও আছে প্রশ্ন।

সাংবাদিক শারমিন নিরা। বাসা মগবাজারের দিলু রোডে। সকাল থেকে অ্যাসাইনমেন্ট, রিপোর্ট তৈরির কাজে ব্যস্ত। জীবনসঙ্গী সাইফুর রাসেল সরকারি চাকুরে। সন্তানের দেখাশোনার কেউ নেই, তাই দিতে হয়েছে ডে কেয়ার সেন্টারে।

কিন্তু এটি খুঁজে পাওয়া সহজ কাজ ছিল না। কিলোমিটার ছয়েক দূরে নিকেতন এলাকায় একটি সেন্টারের খোঁজ পান এক সহকর্মীর কাছ থেকে। সেখানেই প্রায় পাঁচ বছর ধরে রাখছেন সন্তান অতল আনন্দকে।

নিরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেন্টারটিতে ছুটি হয় সন্ধ্যার আগে। কোনো কোনো দিন সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তখন বাচ্চাকে আনার বিষয়টা কঠিন হয়ে যায়। রাসেলকে বলি, সে নিজে যায়, অথবা ব্যবস্থা করে।’

‘বাসার আশপাশে কোনো সেন্টার থাকলে অনেক ভালো হতো। বেইলি রোডে মহিলা সমিতিতে একটি খুঁজেও পেয়েছিলাম। কিন্তু সেটার পরিবেশ দেখে আর দেয়া হয়নি।’

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার
রাজধানীর একটি ডে কেয়ার সেন্টারে শিশুদের সঙ্গে দুজন কর্মী। ছবি: নিউজবাংলা

মিতা পাল ইংলিশ মিডিয়ামের একটি কোচিং সেন্টারে ক্লাস করাতেন। সন্তান জন্ম নেয়ার পর বাধ্য হন চাকরি ছাড়তে। পরে এক বন্ধুর পরামর্শে অনলাইনে পেজ খুলে মেয়েদের ফ্যাশন আইটেম বিক্রি করে আয় করতে থাকেন।

মিতার মতো কর্মজীবী নারীদের সন্তান লালনপালনে চাকরি ছাড়তে হতো না যদি না দিনের বেলায় শিশু লালনপালনের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার সহজলভ্য হতো।

সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসে ডে কেয়ার সেন্টার করার তাগাদা এসেছে একাধিকবার। তবু এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। এমনকি এ নিয়ে কর্মকর্তারা কিছু বলতেও চাইছেন না।

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার

মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত মহাখালী ডে কেয়ার সেন্টারের কার্যালয়। ছবি: নিউজবাংলা

আড়াই কোটি মানুষের এই নগরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে চাহিদার তুলনায় সংখ্যাটি একেবারেই অপ্রতুল।

কেন মানসম্মত কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা যাচ্ছে না, আর যেগুলো আছে, সেগুলোতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা কেন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না- এই প্রশ্নে ডে কেয়ার সেন্টারের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কোনো কথাই বলতে চাইলেন না।

সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ফাতেমা ফেরদৌসীর কাছে প্রশ্ন রাখলে তিনি পাঠান অফিসের প্ল্যানিং শাখায়।

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার

সম্প্রতি চালু করা দ্য ডেইলি স্টার-এর ডে কেয়ার সেন্টার। ছবি: নিউজবাংলা

সেই শাখায় যাওয়ার পর বেনুআরা নামের এক কর্মকর্তা কথাই বলতে চাইলেন না। ডে কেয়ার সেন্টার নিয়ে কী পরিকল্পনা, সে বিষয়ে কথা বলতে হলে তাদের মহাপরিচালক বরাবর দরখাস্ত দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বললেন, দরখাস্ত মঞ্জুর হলেই কেবল তিনি কথা বলবেন।

যে কয়টি ডে কেয়ার সেন্টার আছে, সেগুলোর মধ্যে যে যে সমস্যা আছে, তা হলো শিশুদের যত্নের মতো পর্যাপ্ত লোকবল ও সুযোগ-সুবিধা নেই। উন্নত বিশ্বে ডে কেয়ার সেন্টারে প্রাক-প্রাথমিকে পড়াশোনাও করা হয়। কিন্তু দেশে হাতে গোনা এক-দুটিতে আছে এই সুবিধা। আবার সেন্টারগুলো এমন সময়ে বন্ধ হয়, যে সময়ে বাবা-মায়ের পক্ষে সন্তানকে নিয়ে যাওয়া কঠিন, আবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে দুদিন, কিন্তু সব অফিসে ছুটি দুদিন নেই।

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার

গুলশানের একটি ডে কেয়ার সেন্টার ‘এবিসি ডে কেয়ার’ এ শিশুরা। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল বাবা-মায়ের স্বস্তি দিতে নয়, একসঙ্গে অনেক শিশুর বেড়ে ওঠা তাদের সামাজিকীকরণের জন্যও জরুরি। এতে অর্থ খরচ হলেও বিকল্প হিসেবে ঘরে সহকারী রাখার যে খরচ, সে তুলনায় কম।

যা কিছু আছে তার মান নিয়েও আপত্তি

ডে কেয়ার সেন্টার পাওয়া সহজ নয়। আবার পাওয়া গেলেও মান নিয়ে আছে প্রশ্ন।

যেমন: শারমিন নিরা তার বাসা থেকে খানিক দূরে বেইলি রোডে মহিলা সমিতির একটি ডে কেয়ার সেন্টার খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার পরিবেশ দেখে আর দেয়া হয়নি।

এই সেন্টারটিতে মূলত নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানদের রাখা হয়। এমন একটি সেন্টারে অতলকে রাখা হলে তার মানসিক বিকাশের কী হবে, এ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন এই সংবাদকর্মী।

পরে নিকেতনেরটা কীভাবে খুঁজে পেলেন?

নিরা বলেন, ‘যখন কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তখন এক কলিগকে বললাম। দিদিই খোঁজ দিলেন এটির। তার বাচ্চাও এখানে থাকত।’

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার

গুলশানে ‘এবিসি ডে কেয়ার’ এ একটি শিশু কাগজ দিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা কার্ড বানাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

নিরার পরিবারের একটি প্রাইভেট কার আছে, যে কারণে বাচ্চাকে আনা-নেয়া করা খুব একটা কঠিন হয় না। যদি না থাকত- এই প্রশ্নে নিরা হেসে বলেন, ‘জানি না, খুব কঠিন হতো।’

আরেক কর্মজীবী নারী উর্মি দে। সরকারি কর্মকর্তা। বাড়ির পাশে ডে কেয়ার সেন্টার খুঁজে না পেয়ে বাড়ি থেকে আনিয়েছেন সহকারী।

তিনিও বললেন, মানসম্পন্ন ডে কেয়ার সেন্টার থাকলে তার এবং সন্তান রূপকথার জীবনটা আরও সহজ হতো।

উর্মি বলেন, ‘আমি হাতিরঝিলের পাশে মহানগর এলাকায় থাকি। সেখানে তো নেইই, অফিসের আশপাশেও ভালো কোনো ডে কেয়ার নেই। একটা ছিল, সেখানে পরিবেশ ভালো লাগেনি। বাচ্চার দেখাশোনার ব্যাপারে যত্নশীলতা কম মনে হয়েছে।

‘গুলশানে যেগুলো আছে সেগুলোর খরচ আকাশছোঁয়া। তাই বাধ্য হয়ে এভাবে বাসায় রাখতে হয়।’

বাসায় সহকারী রেখে মানসিক যাতনা

বাসায় সহকারী রেখে দূর থেকে সব পর্যবেক্ষণ করা সহজ নয়। শিশুর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্য পুরো বাসা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনেছেন উর্মি। কিন্তু এর ঝক্কি ঝামেলা কম নয়।

ডে কেয়ার সেন্টারের জন্য হাহাকার
মহাখালীতে মরকারি ডে কেয়ার সেন্টারের বাইরের দৃশ্য। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘অফিস থেকে এভাবে সিসি ক্যামেরায় বাচ্চাকে দেখাও অনেক চাপের। সব সময় অন রাখা সম্ভব হয় না। এই ফাঁকে বাসার মেয়েটি আমার বাচ্চাকে দারোয়ানের কাছে রেখে বাসায় চলে গিয়েছিল। দারোয়ান ফোন করায় দৌড়ে বাসায় যেতে হয়েছে অফিস থেকে।

‘আমার ওয়াশরুমেও সিসি ক্যামেরা রাখতে হয়েছে। এটা একটা মায়ের জন্য অনেক দুঃখজনক। কারণ ওয়াশরুমে নিয়ে আমার বাচ্চাকে মারধর করেছিল মেয়েটি। একটাই বাচ্চা আমার। সেই ট্রমা থেকে আমি আর বাচ্চা নেয়ার সাহস পাইনি।’

নানা সময় ঘরে একা থাকা গৃহকর্মীর হাতে শিশুর নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে নির্মম পিটুনির বিষয়টি ধরা পড়ার পর একাধিক গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে যেসব বাসায় এই পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা নেই, সেসব বাসায় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক কষ্টের বিষয়টি জানাও যায় না।

অভিজাত এলাকায় মানে ভালো, কিন্তু অর্থের চাপ

গুলশানের একটি ডে কেয়ার সেন্টার এবিসি ডে কেয়ার। সেখানে নিজের দুই সন্তানকে রাখেন কর্মজীবী মা তানজিদা ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘সার্ভিস খুব ভালো। প্রি-স্কুল রয়েছে। তবে খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি। তবু কোনো উপায় তো নেই আর।

‘সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাচ্চাকে রাখি। বাসার কাছে হওয়ায় এবং অফিসের দূরত্বও কম হওয়ায় আমার অসুবিধা হয় না। কিন্তু যাদের বাসা দূরে এবং এ রকম বেসরকারি ডে কেয়ারের খরচ বহন করাও অনেকের জন্য কঠিন। আমি মনে করি, প্রতিটি অফিসেই ডে কেয়ার থাকা উচিত। ডে কেয়ারের সংখ্যা বাড়লে মেয়েরা আরও কর্মমূখী হবে।

‘সরকারিভাবে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার। কারণ বাসায় যখন অপরিচিত কারও কাছে সন্তানকে রেখে আসা হয়, সে ক্ষেত্রে মা অনেক অনিরাপত্তায় ভোগেন। সেখানে সুযোগ সুবিধাসহ এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ডে কেয়ারে রাখতে পারলে মায়েরা নিশ্চিন্তে কাজে যেতে পারবেন। কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের সংখ্যা আরও বাড়বে।

‘শুধু বাচ্চাকে নিরাপদে রাখতে না পারার অনিশ্চয়তার জন্য চাকরি ছাড়ার কথা ভাবতে হবে না।’

এবিসি ডে কেয়ারের স্বত্বাধিকারী সোনিয়া আকরাম জানান, ঢাকায় তাদের পাঁচটি শাখা আছে, যার তিনটিই গুলশানে। বাকি দুটির একটি ধানমন্ডি ও একটি তেজগাঁও এলাকায়।

চাহিদা থাকলেও আর বাড়াচ্ছে না কেন- এমন প্রশ্নে এবিসির কো-অর্ডিনেটর লীনা ইসলাম বলেন, ‘এটা একদমই আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা বাইরে প্রকাশ করতে চাই না।’

সময়সীমা ও সপ্তাহে দুই দিন ছুটিও এক সমস্যা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত মহাখালী ডে কেয়ারে গিয়ে দেখা গেল, শিশুরা খেলা করছে। সেখানকার শিক্ষক সাথী বৈদ্য জানান, ৪ মাস বয়সী থেকে শুরু করে ৬ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের তারা রাখেন।

কিন্তু সেখানে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাখার সুযোগ, যেটি কর্মজীবী নারীর জন্য সংকট তৈরি করেছে। কারণ, অফিস সময় কারও ৫টা, কারও ছয়টা পর্যন্ত। ছুটি শেষে এখানে আসতে আসতেই ডে কেয়ার সেন্টার বন্ধ হয়ে যায়।

এখানে মূলত যাদের আয় কম, তাদের বাচ্চাদেরই দেখা গেল। সাথী বৈদ্য জানান, বাবা-মার আয় এবং বাচ্চার বয়সের ওপর নির্ভর করে সরকার ভর্তুকিও দেয়। বাবা-মা মায়ের সম্মিলিত আয় ৫০ হাজার টাকার কম হলে এই সুবিধা পাওয়া যায়।

তবে শুক্র ও শনিবার এর সঙ্গে সরকারি সব বন্ধের দিন সেন্টারটি বন্ধ থাকে। কিন্তু বেসরকারি বেশির ভাগ অফিসেই সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন। ফলে বাকি এক দিনের দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

শনিবার মায়েরা বাচ্চাকে কোথায় রাখবে- এই প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারলেন না সাথী।

আধুনিক জীবনে ডে কেয়ার কেন জরুরি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডে কেয়ার পাশ্চাত্য সমাজের একটি ধারণা। যেন মায়েরা নিশ্চিন্তে তাদের সন্তানকে সেখানে রেখে কাজে যেতে পারে। আমাদের সরকারি নীতিমালায় অনুযায়ী প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই ডে কেয়ার রাখার নির্দেশনার কথা বলা হয়েছিল। তবে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। সেক্ষেত্রে মনিটরিং করা হচ্ছে কি না বা কেন হচ্ছে না তার কোনো ব্যাখ্যা সরকার দিয়েছে বলে আমরা জানি না।’

তিনি বলেন, ‘একজন মা তার কর্মক্ষেত্রে বা আশপাশে ভালো ডে কেয়ার পেলে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন। পাশাপাশি অফিসে ডে কেয়ার থাকলে কাজের সময়টুকুতে সন্তানকে দেখাশোনার ব্যাপারটাও সহজ হবে।’

কেবল কর্মজীবী মায়েদের কথা ভেবেই নয়, শিশুদের সামাজিকীকরণের জন্যও এসব ডে কেয়ার সেন্টার জরুরি বলে মনে করেন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘সব শিশুই যেন বাইরের জগতের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, অন্য শিশুদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার মানসিকতা যাতে তৈরি হয়, সে জন্যও দিবাযত্ন কেন্দ্র জরুরি।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Trust us we are ready to help

‘আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত’

‘আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত’ তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। ছবি: পিআইডি
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা দেখে উচ্ছ্বসিত। অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। ব্যাংকিং, কর, শুল্ক, ভ্যাট, ডিজিটাইজেশন, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপে সংস্কার প্রয়াসে সহায়তা করতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত।

আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের সফররত ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেছেন, বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের মূল অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হতে প্রস্তুত।

বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের এই কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ মন্তব্য করেন।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতির সমস্যা কাটিয়ে ওঠা, দুর্নীতি দূর করা এবং বিচার ব্যবস্থার মতো ক্ষেত্রগুলোতে মৌলিক সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়াসে ব্যাপকতর সহায়তার আহ্বান জানান। প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাইসার বলেন, ‘আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত।’

রাইসার বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক সরকারের সংস্কার এজেন্ডা দেখে উচ্ছ্বসিত। আমি মনে করি এখন বাংলাদেশ সফর করা মূল্যবান। অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।’

সফররত বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ব্যাংকিং, কর, শুল্ক, ভ্যাট, ডিজিটাইজেশন, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপে সংস্কার প্রয়াসে সহায়তা করতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাংকের সহায়তাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি নতুন যাত্রার সূচনা করতে জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক ম্যান্ডেট পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এটি সংস্কারের মৌসুম। আমরা এখনই শুরু করতে চাই। জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান বিদ্যমান ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কারের জন্য মাঠ প্রস্তুত করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পেছনে ফিরে যেতে চাই না। এই আন্দোলন অতীতকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন এটি একটি পরিচ্ছন্ন স্লেট।’

অধ্যাপক ইউনূস তার সরকার এখন পর্যন্ত যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তার রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পদক্ষেপগুলোর মধ্যে দুর্নীতি, শ্রম সংস্কার এবং যুব সমাজের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

‘সরকার শ্রম সংস্কারে আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়ন করবে, যা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং স্থানীয় উৎপাদনকারীদের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থান পেতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এ কাজটি সম্পন্ন করতে চাই। বৈশ্বিক খাতে তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য খাতেও বাংলাদেশের ভূমিকা রাখা উচিত।’

সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পদক্ষেপের প্রশংসা করে রাইসার বলেন, ‘বাংলাদেশে বার্ষিক এফডিআই দেশের জিডিপির প্রায় অর্ধ শতাংশ এবং এই অঞ্চলে এটি সর্বনিম্ন।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গা মানবিক সংকট এবং কক্সবাজারের স্বাগতিক জনগোষ্ঠীর জন্য ৭০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর জন্য সহায়তা লাভের বিষয়ে আমরা আগ্রহী। আমাদের এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
ব্যাংকিং খাত সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: অর্থ উপদেষ্টা
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেয়া প্রকল্প সংশোধন হবে: প্রধান উপদেষ্টা 
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভায় চার প্রকল্প অনুমোদন
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঢাকায়
বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের

মন্তব্য

জীবনযাপন
The reform commission started its work in October and reported in December

সংস্কার কমিশনের কাজ শুরু অক্টোবরে, রিপোর্ট ডিসেম্বরে

সংস্কার কমিশনের কাজ শুরু অক্টোবরে, রিপোর্ট ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রধানগণ বৈঠক করেন। ছবি: পিআইডি
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হবে। যারা গণহত্যা চালিয়েছে, হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে, যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে না।’

রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনগুলো আগামী অক্টোবরে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, এসব কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কারের প্রতিবেদন জমা দেবে।

আইন উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রধানগণ বৈঠক করেন।

আসিফ নজরুল জানান, সংস্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট দিলে সেগুলো প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় পর্যালোচনার পর অনলাইনে উন্মুক্ত করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হবে। যারা গণহত্যা চালিয়েছে, হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে, যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে না। এটা আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য।’

মব জাস্টিস বা গণপিটুনিতে হত্যার মতো ঘটনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। এ ধরনের প্রতিটি ঘটনার বিচার করা হবে। আমরা এটা নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছি।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ
রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইসি গঠন হওয়া উচিত: বদিউল আলম
অল্প সময়ে সংবিধান সংস্কার সম্ভব নয়: হাসান আরিফ
ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারে সার্চ কমিটি গঠন
একই ব্যক্তিকে সরকার ও দলীয় প্রধান না করার প্রস্তাব টিআইবির

মন্তব্য

জীবনযাপন
Dhaka Wasas new MD Fazlur Rahman

ঢাকা ওয়াসার নতুন এমডি ফজলুর রহমান

ঢাকা ওয়াসার নতুন এমডি ফজলুর রহমান মো. ফজলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কয়েক দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি তাকসিম এ খানের চুক্তি বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।  তার স্থলে ডেপুটি এমডি ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুর রহমান।

বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন ১৯৯৬-এর ২৮(২) ধারা অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসার দৈনন্দিন কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনা এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে সাময়িকভাবে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হলো।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিধি মোতাবেক দায়িত্ব ভাতা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কয়েক দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি তাকসিম এ খানের চুক্তি বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তার স্থলে ডেপুটি এমডি ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আরও পড়ুন:
ঢাকা ওয়াসা এমডির দায়িত্ব পালন করবেন সহিদ উদ্দিন
তাকসিমের দুর্নীতি তদন্তে নির্দেশ হাইকোর্টের
ওয়াসায় তাকসিমের নিয়োগ বৈধ কি না, আদেশ মঙ্গলবার
ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট

মন্তব্য

জীবনযাপন
Bhola has two trillion cubic feet of gas reserves Energy Advisor

ভোলায় গ্যাসের মজুত দুই ট্রিলিয়ন ঘনফুট: জ্বালানি উপদেষ্টা

ভোলায় গ্যাসের মজুত দুই ট্রিলিয়ন ঘনফুট: জ্বালানি উপদেষ্টা ভোলার ইলিশা-১ গ্যাস কূপ এলাকা। ফাইল ছবি
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই তথ্যটা যদি সঠিক হতো, তাহলে আজ আমরা উৎসব করতাম। তাহলে আমাদের গ্যাসের কোনো সংকট থাকত না; আমদানির প্রয়োজন হতো না। ‘তাই যারা গ্যাস সেক্টর সম্পর্কে এবং গ্যাসের মজুত সম্পর্কে ভালো জানেন তাদের সঙ্গে আমরা আজ বসেছি।’

ভোলায় গ্যাসের প্রকৃত মজুত দুই ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই তথ্যটা যদি সঠিক হতো, তাহলে আজ আমরা উৎসব করতাম। তাহলে আমাদের গ্যাসের কোনো সংকট থাকত না; আমদানির প্রয়োজন হতো না। ‘তাই যারা গ্যাস সেক্টর সম্পর্কে এবং গ্যাসের মজুত সম্পর্কে ভালো জানেন তাদের সঙ্গে আমরা আজ বসেছি।

‘জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম, কানাডায় গ্যাসের মজুত বিশেষজ্ঞ হোসনে আরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমামসহ কয়েকজনকে নিয়ে বসেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনায় এই তথ্যের সত্যতা মেলেনি।’

ব্রিফিংয়ে তিনি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) লিমিটেডের কর্মকর্তাকে ভোলায় গ্যাসের মজুতের বিষয়ে তথ্য তুলে ধরার অনুরোধ জানান।

বাপেক্স কর্মকর্তার বরাতে তিনি বলেন, ‘ভোলার চরফ্যাশনে আমাদের কোনো সিসমিক সার্ভের ডাটা নেই। শাহবাজপুর, ভোলা এবং ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে ২ দশমিক ০৪৭ টিসিএফ (উত্তোলনযোগ্য ১.৪৩২ টিসিএফ) প্রমাণিত গ্যাস রিজার্ভ রয়েছে। ভোলা জেলার অন্তর্গত তিনটি (শাহবাজপুর, ভোলা ও ইলিশা) গ্যাসক্ষেত্রে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
রাজধানীতে শুক্রবার ৯ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
রাজধানীর যেসব এলাকায় মঙ্গলবার ৮ ঘণ্টা থাকবে না গ্যাস
গ্যাস সংকট কখন কাটবে তা জানাল জ্বালানি মন্ত্রণালয়
‘সারা দেশে ১৫ জুলাই থেকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ’
২২ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ নেত্রকোনায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক

মন্তব্য

জীবনযাপন
Farooq Wasif is the new DG of PIB

পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ

পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ পিআইবির মহাপরিচালক লেখক ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ। ছবি: বাসস
উপসচিব এ টি এম শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন, ২০১৮-এর ধারা ৯ (২) অনুযায়ী ফারুক ওয়াসিফকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর মেয়াদে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হলো।’

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) হয়েছেন লেখক ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

উপসচিব এ টি এম শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন, ২০১৮-এর ধারা ৯ (২) অনুযায়ী ফারুক ওয়াসিফকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর মেয়াদে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হলো।

‘এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।’

আরও পড়ুন:
পাপনের পদত্যাগ, বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক
স্ট্রোক করে আইসিইউতে নির্মাতা ফারুকী
‘অসভ্যতার শেষ হোক’ বলা ফারুকী দিলেন ‘সাজেশন’
প্রেমে প্রতারণায় হত্যা: দুই বছর পর গ্রেপ্তার
কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধের আহ্বান ফারুকীর

মন্তব্য

জীবনযাপন
Obaidul Karim is the leader of irregularities in the countrys financial sector

দেশের আর্থিক খাতে অনিয়মের শিরোমণি ওবায়দুল করিম

দেশের আর্থিক খাতে অনিয়মের শিরোমণি ওবায়দুল করিম ওরিয়ন গ্রুপের কর্ণধার বিতর্কিত ব্যবসায়ী ওবায়দুল করিম। ছবি: সংগৃহীত
ওরিয়ন গ্রুপের কর্ণধার ওবায়দুল করিম বিধি ভেঙে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে শীর্ষ দুর্নীতিবাজের তালিকার দ্বিতীয় নামটি ছিল এই বিতর্কিত ব্যবসায়ীর। ২০২১ সালের শীর্ষ ঋণখেলাপিদের তালিকায়ও দ্বিতীয় নামটি তার। ৪৮ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়েও থেকে গেছেন বহালতবিয়তে। অবশেষে তার ১০৬ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ বুধবার ওবায়দুল করিমসহ তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঋণ জালিয়াতি, প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ, পাচার, অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনসহ নানা অপরাধের অভিযোগে এক ডজনেরও বেশি মামলা কাঁধে নিয়ে বছরের পর বছর বহালতবিয়তে থেকে গেছেন ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও তার পরিবাবের সদস্যরা।

দেশের আর্থিক খাতে অনিয়মের শিরোমণি এই বিতর্কিত ব্যবসায়ী বিধি ভেঙে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে শীর্ষ দুর্নীতিবাজের তালিকার দ্বিতীয় নামটি ছিল এই বিতর্কিত ব্যবসায়ীর। ২০২১ সালের শীর্ষ ঋণখেলাপিদের তালিকায়ও দ্বিতীয় নামটি তার।

অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ পাচার এবং অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের পৃথক তিন মামলায় ৪৮ বছরের কারাদণ্ড কাঁধে নিয়েও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন এই বিতর্কিত ব্যবসায়ী।

অবশেষে তার ১০৬ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ বুধবার ওবায়দুল করিমসহ তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দেশের আর্থিক খাতে অনিয়মের শিরোমণি ওবায়দুল করিম

আর্থিক খাতে নানামুখী অপকর্মে সিদ্ধহস্ত ওবায়দুল করিম সাজা থেকে বাঁচতে মামলার নথি গায়েব ও শুনানি পেছানোর কূটকৌশলে পার করেছেন ১৬ বছর। সাজা ঘোষণার তিনটিসহ তার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ৪৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১টি মামলা হয়। ২০০৭ সালে করা এসব মামলার বিচারকাজে এখন স্থবিরতা বিরাজ করছে। তবে এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ওবায়দুল করিম ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে শীর্ষ দুর্নীতিবাজের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। সে সময় যৌথ বাহিনীর গঠিত দুর্নীতিবিরোধী টাস্কফোর্সের অভিযানের সময় গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তবে দুর্নীতির মামলা ও সাজা থেকে রক্ষা পাননি। তার অনুপস্থিতিতে বিশেষ আদালতে রায় ঘোষণা হয়। একটিতে যাবজ্জীবনসহ তিনটি মামলায় তার অন্তত ৪৮ বছর কারাদণ্ড হয়। এর মধ্যে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদণ্ড দেওয়া হয় ও আত্মসাতের সমপরিমাণ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।

২ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং পাচারের সমপরিমাণ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়। অবৈধ উপায়ে ৫০ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জরিমানা করা হয় ১০ লাখ টাকা। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।

অবৈধ উপায়ে ৫২ কোটি ৯২ লাখ টাকা অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক আবদুল করিম। বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৫ জুন এক রায়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছর এবং তথ্য গোপনের দায়ে ৩ বছরসহ মোট ১৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক খন্দকার কামাল উজ-জামান। রায়ে ৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়। রায়ে বলা হয়, ওবায়দুল করিম পলাতক থাকায় তিনি যেদিন আত্মসমর্পণ করবেন বা গ্রেপ্তার হবেন, সে দিন থেকে সাজার মেয়াদ শুরু হবে। কিন্তু ওবায়দুল করিম রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট শুনানি শেষে রায় স্থগিত করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ওবায়দুল করিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এ মামলায় বিচারিক আদালতে মামলার নথি খুঁজে না পাওয়ায় বিচারকাজে স্থবিরতা বিরাজ করছে।

এর মধ্যে ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি করা শীর্ষ ঋণখেলাপিদের তালিকায় উঠে আসে ওবায়দুল করিমের নাম। সে সময় তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা ঠুকেই বাঁচার চেষ্টা করেন তিনি।

বিধি ভেঙে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ

বিধি লঙ্ঘন করে ওরিয়ন গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন পাওয়ার প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংক অগ্রণী, জনতা ও রূপালী। এ ক্ষেত্রে অন্তত দুটি নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং একটিতে ব্যাংক কোম্পানি আইন শিথিল করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক তিনটির প্রস্তাবিত ওই ঋণের অনুমোদন পায় প্রতিষ্ঠানটি।

সিন্ডিকেট ফাইন্যান্সিং বা অর্থায়নের মাধ্যমে সম্প্রতি ওই ঋণের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সমস্যা জর্জরিত জনতা ব্যাংক এ ঋণের সিংহভাগ অর্থাৎ ৫ হাজার ৭৮ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন দিয়েছে।

রূপালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এ ঋণ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ঋণটি বিতরণের জন্য পাইপলাইনে রয়েছে, কিন্তু ব্যাংকে তারল্য সংকটের কারণে এ ঋণ বিতরণে দেরি হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ওবায়দুল করিমের মালিকানাধীন ওরিয়ন গ্রুপের বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ঋণের পরিমাণ ১৫ হাজার ১৪৫ কোটি ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ অন্তত হাজার কোটি টাকা।

ঋণের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ওরিয়ন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেলহাসা একম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওবায়দুল করিম ও তার ছেলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান ওবায়দুল করিম একটি ব্যাংক থেকে ১৬৬ কোটি ৩০ লাখ ২১ হাজার ৫০৮ টাকা ঋণ নেন। কিন্তু কোম্পানি তো দূরের কথা, টিআইএন নম্বরেরও খোঁজ মেলেনি। বেলহাসা একম জেভি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওবায়দুল করিম, এমডি সালমান ওবায়দুল করিম ও স্পন্সর পরিচালক মাজেদ আহম্মেদ সাঈফের নামে ঋণের পরিমাণ ৭৮ কোটি ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪৮ টাকা। ওবায়দুল করিম আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের নামে ৫১ কোটি ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬৮ টাকা ঋণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৭১৭ টাকা পরিশোধ করেননি। এমনকি এই প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বা অংশীদারত্বের কোনো বৈধ কাগজ পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

১০৬ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি করার নির্দেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের কাছ থেকে বারবার সময় নিয়েও ঋণ পরিশোধ করেনি ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ফলে প্রতিষ্ঠানটির ১০৬ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখাতে ব্যাংকটিকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, সোনালী ব্যাংককে ২২ আগস্টের মধ্যে ঋণের যথাযথ শ্রেণিবিভাগ করে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। এতে ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ১০৬ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। কোম্পানিটির বকেয়া ঋণ গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত খারাপ ঋণ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ ছিল। তখন পর্যন্ত কোম্পানিটি চারটি কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি।

জানা গেছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তির মূল অর্থের পরিমাণ ৩০ কোটি টাকা এবং ৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা সুদ বাবদ বকেয়া ছিল। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ অনুমতির ওপর ভিত্তি করে এতদিন এই ঋণ খেলাপি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়নি। সম্প্রতি সোনালী ব্যাংককে দেওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে কিস্তি বাকি থাকায় কোম্পানিটির ঋণ খেলাপি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করতে বলা হয়েছে।

ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে প্রায় দুই দশক আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে টার্গেট করে ওরিয়ন গ্রুপ। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ভেঙে ৪০ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার অপতৎপরতাও চালায় গ্রুপটি। সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ ভাগিয়েও নেয়। গত জুন শেষে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে গ্রুপটির নেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। যার বড় একটি অংশই নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করেনি। প্রতিষ্ঠানের বাইরে গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওবায়দুল করিমের গ্যারান্টার হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণও হাজার কোটি টাকার বেশি। যার একটা অংশ খেলাপির হলেও প্রভাব খাটিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করে তালিকা থেকে নাম কাটিয়ে নেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের মেয়াদও বারবার বাড়ানো হয়।

সম্প্রতি একটি প্রথম সারির জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের প্রায় অর্ধেক রয়েছে ওরিয়ন গ্রুপসহ তিনটি গ্রুপের পকেটে। এতে বলা হয়, ব্যাংকটি থেকে বেক্সিমকো, এস আলম এবং ওরিয়ন গ্রুপের নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখার ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণের বড় অংশ রয়েছে ওরিয়ন গ্রুপের পকেটে।

এ ছাড়া গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষের দিকে (৬ মে) রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকে ১ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার আরেকটি ঋণ প্রস্তাব করা হয় গ্রুপটির ওরিয়ন রিনিউয়েবলস মুন্সীগঞ্জ লিমিটেডের নামে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের জামানত বা সিকিউরিটি মর্টগেজ হিসেবে যে সম্পদ দেখানো হয়েছে তা অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়। সে সময় জামানতের সম্পদমূল্য ৫৪০ কোটি টাকা দেখানো হলেও তা সর্বোচ্চ ১৮০ কোটি টাকা হবে। এভাবে জামানতে ভুল তথ্য দিয়েও ঋণ ভাগিয়ে নেওয়ার আশ্রয় নিয়েছে গ্রুপটি।

গত জুনের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে নেওয়া ব্যবসায়ী গ্রুপ ওরিয়নের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ ৮২০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর বাইরে ননফান্ডেড ঋণ রয়েছে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা। গ্রুপটির মোট ১২৪টি কোম্পানির মধ্যে সচল থাকা ২২টির ব্যাংক হিসাবের লেনদেন পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, গ্রুপের মোহাম্মদ ওবায়দুল করিম এসব প্রতিষ্ঠানের বাইরে নিজের ব্যক্তিগত গ্যারান্টার হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১ হাজার ১২৯ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে ৮ কোটি টাকার ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে ঋণ খেলাপি হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করে দেয়। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপি তালিকা থেকে নাম কাটিয়ে নেন তিনি।

২০২০ সালে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওরিয়ন গ্রুপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ভেঙে টাকা উত্তোলনের অপতৎপরতা চালানোর অভিযোগ তোলা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ভেঙে খাওয়ার টার্গেটে নামে গ্রুপটি। এরপর তারা হাজার হাজার কোটি টাকার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই থেকে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায়। কোম্পানিটি ঋণ হিসাবে ৯০৬ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার নেওয়ার আবেদনও করে। টাকার অঙ্কে হিসাব করলে এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্টভাবে কোনো একটি ব্যাংক থেকে একসঙ্গে এত টাকা ঋণ পাওয়ার নজির বাংলাদেশে নেই।

গ্রুপটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওবায়দুল করিম ২০০৭ সালে ব্যাংক থেকে ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের এক মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বেশ আলোচনায় আসে। তবে তিনি সেই মামলার নথি আদালত থেকে গায়েব করে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। নথি হারিয়ে যাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ মামলাটির পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়া থমকে যায়। ফলে অন্যতম আসামি ওবায়দুল করিমসহ দোষীরা বহাল তবিয়তে থেকে যান। রহস্যজনক কারণে দীর্ঘ বছরে মামলাটি নিয়ে দায়িত্বশীলদের কোনো নজরদারিও নেই।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ না করেই ২০০৮ সালে ওই রায় বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। রুল শুনানি শেষে ওই বছরই বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ২০০৯ সালে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আসামি ওয়াবদুল করিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

নিয়মানুসারে মামলার মূল নথিটি উচ্চ আদালত থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়। ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর সেই নথিপত্র গ্রহণ করেন বিচারিক আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এরপর থেকে এ মামলার কার্যক্রম আর অগ্রসর হয়নি। মামলার মূল নথি খুঁজে না পাওয়ায় বর্তমানে ‘মামলা ও আসামিদের সর্বশেষ অবস্থা’ সম্পর্কে কেউই বলতে পারছেন না।

ওবায়দুল করিম পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

আর্থিক খাতে অনিয়মের শিরোমণি এবং জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ব্যাপকভাবে সমালোচিত ওরিয়ন গ্রুপের কর্ণধার ওবায়দুল করিমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জন ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে। সন্ধ্যায় বিএফআইইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়, হিসাব জব্দ করা ব্যক্তিদের নিজস্ব ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব লেনদেন বন্ধ থাক‌বে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবের মাধ্যমে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না তারা। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে। লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। এতে ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রী আরজুদা করিম, ছেলে সালমান ওবায়দুল করিম, মেহেদি হাসান ও মেয়ে জারিন করিমের নামসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রেজাউল করিমের নামসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যও দেওয়া আছে।

এ ছাড়া চিঠিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওপরে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য (পিতা, মাতা, স্বামী/স্ত্রী, পুত্র/কন্যা ও অন্যান্য) এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সকল হিসাবের কেওয়াইসি, হিসাব খোলার ফরম ও শুরু থেকে হালনাগাদ হিসাব বিবরণীসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্য আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।

আর্থিক অনিয়মের বিস্তর অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে ওরিয়ন গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন:
ওরিয়নের ওবায়দুল করিম ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

মন্তব্য

জীবনযাপন
The land port of Teknaf has stopped operations as bullets are coming from Myanmar

মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ

মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ বুধবার মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে টেকনাফ স্থলবন্দরের ভবনের কাচ ভেঙে যায়। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে পর পর তিনটি গুলি এসে পড়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে। একটি গুলি স্থলবন্দরের অফিসে এসে পড়লে অফিসের কাচ ভেঙে যায়। দ্বিতীয় গুলি এসে পড়ে স্থলবন্দরের মালামাল বহনকারী ট্রাকে। অপরটি নারিকেল গাছে এসে লাগে।

সংঘাতপূর্ণ মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়ছে টেকনাফ স্থলবন্দরে। এ অবস্থায় স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি স্থলবন্দরে এসে পড়ে। এতে স্থলবন্দরের অফিস ভবনের জানালা ও বন্দরে অবস্থান করা ট্রাকের কাচ ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় স্থলবন্দরে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।

টেকনাফ স্থলবন্দরের শ্রমিক মো. নাজির বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে মালামাল নিয়ে একটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে পৌঁছায়। এই ট্রলার থেকে মালামাল খালাসের সময় মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়ে। এতে শ্রমিকরা ভয়ে পালিয়ে যান। এখন বন্দরজুড়ে আতঙ্ক।’

মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ
মিয়ানমার থেকে বুধবার দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পড়া দুটি গুলি। ছবি: নিউজবাংলা

টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে পর পর তিনটি গুলি এসে পড়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে। একটি গুলি স্থলবন্দরের অফিসে এসে পড়লে অফিসের কাচ ভেঙে যায়। দ্বিতীয় গুলি এসে পড়ে স্থলবন্দরের মালামাল বহনকারী ট্রাকে। অপরটি নারিকেল গাছে এসে লাগে।

টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি গুলি আমাদের অফিসে এসে পড়ে। এ ঘটনায় বন্দরের শ্রমিকরা কাজ না করে চলে যান। ফলে মিয়ানমার থেকে আসা ২৪ হাজার ব্যাগের একটি বাণিজ্যিক ট্রলারের মালামাল খালাস বন্ধ রয়েছে।’

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্ত থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে তিনটি গুলি এসে পড়েছে। তবে কেউ হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। কারা গুলি করেছে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে দুটি গুলি এসে টেকনাফ বন্দরে পড়ে। গুলিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।’

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের ওপারে তোতারদিয়া দ্বীপে কয়েকদিন ধরে দু’পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফ স্থলবন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় গুলি এসে পড়ছে।

আরও পড়ুন:
রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে জান্তা সরকারের নৌঘাঁটি

মন্তব্য

p
উপরে