ভারতের তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমকান্ত। বাংলাদেশে থাকেন ‘প্রেমিকা’। তার টানে জুলাইয়ের শেষ দিকে তামিলনাড়ু থেকে বরিশালে আসেন প্রেমকান্ত। তবে ‘প্রেমের টানে’ বাংলাদেশে ছুটে আসা আর সব বিদেশির মতো তার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। বরিশাল শহরে উল্টো পিটুনি খেয়েছেন এই তামিল যুবক।
বাংলাদেশি তরুণীর প্রেমে পড়া প্রেমকান্ত একজন নৃত্যশিল্পী। বরিশালে প্রেমিকার সঙ্গে দেখাও হয়েছিল। তবে প্রেমকান্তের বুক ভেঙে দেন বরিশালের এক যুবক। চয়ন হালদার নামে ওই যুবকের দাবি, তিনিই মেয়েটির ‘আসল প্রেমিক’। চয়নের হাতে পিটুনিও খেয়েছেন প্রেমকান্ত, থানায় থেকেছেন তিন রাত।
প্রেমকান্ত নিউজবাংলাকে জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার নাচ দেখে প্রেমে পড়েন সরকারি বরিশাল মহিলা কলেজের এক ছাত্রী। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার তালতলী উপজেলায়। ওই তরুণী প্রেমকান্তের ভিডিওতে নিয়মিত লাইক ও কমেন্ট করতেন।
প্রেমকান্তের দাবি, ফেসবুকে পরিচয়ের পর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। টানা তিন বছর ধরে চলছে প্রেম। মেয়েটির পরিবারের সঙ্গেও তৈরি হয়েছে সুসম্পর্ক।
প্রেমকান্ত শেষমেশ মনস্থির করেন, দূর থেকে আর নয়, সরাসরি দেখবেন কাছের মানুষটিকে।
নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা প্রেমকান্ত নিউজবাংলাকে জানান, করোনার বাধা কাটিয়ে তিনি বরিশালে আসেন ২৪ জুলাই। পরদিন দুপুর ১২টায় বরিশালের সরকারি মহিলা কলেজে দুজনের দেখা হয়। দুপুরে শহরের হান্ডি কড়াইয়ে একসঙ্গে খাবার খান। সর্বশেষ দেখা হয় বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে।
এর পরই আকাশ ভেঙে পড়ে প্রেমকান্তর মাথায়। পরদিন চয়ন হালদার নামে এক যুবক দাবি করেন, তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে ওই তরুণীর। চয়ন ২৭ জুলাই নগরীর কাশিপুর চৌমাথা এলাকায় পিটুনি দেন প্রেমকান্তকে।
প্রেমকান্তের অভিযোগ, শুধু পিটুনি নয়, তার কাছ থেকে টাকা-পয়সাও ছিনিয়ে নেয়া হয়। আর এ ঘটনার পর প্রেমিকা ও তার পরিবারের সঙ্গেও তিনি যোগাযোগ করতে পারেননি।
ভাঙা হৃদয় নিয়ে তামিল যুবক প্রেমকান্ত অভিযোগ দিতে গিয়েছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানায়। সেখানে উল্টো তিন দিন তাকে পুলিশের হেফাজতে থাকতে হয়েছে। তার অভিযোগ, সিসিটিভি ফুটেজ থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, বরং তাকেই হয়রানি করা হচ্ছে।
প্রেমকান্ত মনে করেন, কোথাও কোনো ‘গণ্ডগোল’ হয়েছে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, `আমার প্রেমিকা আমাকেই ভালোবাসে। তা না হলে ও আমাকে বরিশালে আসতে বলত না। প্রিয়তমার সঙ্গে দেখা হলে ও আমার জীবনে ফিরে আসবেই। তাই তামিলনাড়ুতে ফিরে যাওয়ার আগে একবার ওর দেখা পেতে চাই।’
এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রেমকান্ত বৈধভাবেই বাংলাদেশে এসেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় আনা হলে তিনি পুরো ঘটনা খুলে বলেন। পরে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১ আগস্ট সকালে তাকে ঢাকার গাড়িতে তুলে দেয়া হয়। সেখান থেকে নিজ দায়িত্বে বিমানে তার ভারতে চলে যাওয়ার কথা।’
পুলিশ তাকে ঢাকাগামী বাসে তুলে দিলেও মাঝপথে নেমে গিয়ে আবার বরিশালে ফিরেছেন প্রেমকান্ত। হাল ছাড়তে রাজি না হওয়া এই যুবক বৃহস্পতিবার কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে। তিনি এবার ওই তরুণীর বাড়ি বরগুনায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রেমকান্ত বলেন, ‘পুলিশ আমাকে খুঁজছে। তবে আমাকে প্রেমিকার মুখোমুখি একবার হতেই হবে। বরগুনা গিয়ে ওর পরিবারের সঙ্গে আমি কথা বলতে চাই।’
আরও পড়ুন:একেই বলে ধৈর্য। নয়তো ২০ রুপির জন্য দীর্ঘ ২২ বছর কেউ মামলা চালিয়ে যায়? তাও আবার সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে! অবশেষে গত সপ্তাহে মামলার রায় আসে তার পক্ষে।
সময়টা ১৯৯৯ সাল। উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা তুঙ্গনাথ চতুর্বেদী রেলযাত্রার জন্য দুটি টিকিট কিনেছিলেন। সেদিন তার কাছ থেকে নির্ধারিত টাকার চেয়ে ২০ রুপি বেশি নেয়া হয়েছিল।
ঘটনাটি ঘটে মথুরা সেনানিবাস রেলওয়ে স্টেশনে। পেশায় আইনজীবী চতুর্বেদী বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি।
ভোক্তা আদালত গত সপ্তাহে চতুর্বেদীর পক্ষে রায় দেয়। রেলওয়েকে বলা হয়, সুদসহ অর্থ ফেরত দিতে বাদীকে।
চতুর্বেদী বলেন, ‘এই মামলায় ১০০টিরও বেশি শুনানিতে অংশ নিয়েছি। মামলা লড়তে যে শক্তি এবং সময় হারিয়েছি, তার মূল্য আপনি দিতে পারবেন না।’
ভারতে ভোক্তা আদালত বিশেষভাবে পরিষেবা সম্পর্কিত অভিযোগগুলোর ফয়সালা করে। তবে এসব আদালত থাকে মামলায় ঠাসা। কখনো কখনো সাধারণ মামলাগুলোর সমাধানে কয়েক বছর লেগে যায়।
ঘটনায় সময় চতুর্বেদীর বয়স ছিল ৪২ বছর। মথুরা থেকে মোরাদাবাদে যাচ্ছিলেন তিনি। একজন টিকিট-বুকিং কেরানি তার কেনা দুটি টিকিটের জন্য অতিরিক্ত চার্জ করেছিলেন।
প্রতিটি টিকিটের দাম ৩৫ রুপি ছিল। চতুর্বেদী দুটি টিকিট নিয়ে কেরানিকে ১০০ রুপির একটি নোট দিয়েছিলেন। ৭০ টাকার পরিবর্তে কেরানি তার কাছ থেকে নিয়েছিলেন ৯০ রুপি। ১০ রুপি তাকে ফেরত দেয়া হয়।
চতুর্বেদী সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তারা বিষয়টিকে পাত্তা দেয়নি। তাই উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের (গোরখপুর) বুকিং ক্লার্কের বিরুদ্ধে মথুরার একটি ভোক্তা আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন চতুর্বেদী৷
তিনি জানান, ভারতে বিচারব্যবস্থা যে ধীর গতিতে কাজ করে, তার জন্য এত বছর লেগেছে।
‘রেলওয়ে মামলাটি খারিজ করার চেষ্টা করেছিল। তারা জানিয়েছিল, রেলওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ একটি রেলওয়ে ট্রাইব্যুনালে সুরাহা করা উচিত, ভোক্তা আদালতে নয়। তবে আমি ২০২১ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখিয়ে প্রমাণ করি বিষয়টির শুনানি ভোক্তা আদালতে হতে পারে।’
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর, বিচারক রেলওয়েকে ১৫ হাজার রুপি জরিমানা করেন। অর্থাৎ আদালত রেলওয়েকে ১৯৯৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১২ শতাংশ হারে সুদে ২০ রুপি ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আর যদি ৩০ দিনের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ প্রদান না করা হয়, তবে সুদের হার হবে ১৫ শতাংশ।
চতুর্বেদী বলেন, ‘যে ক্ষতিপূরণ পেয়েছি তা খুব অল্প। মামলাটি আমাকে যে পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে তা অপূরণীয়। আমার পরিবার বহুবার মামলা তুলে নিতে চাপ দিয়েছিল।
‘এটা আসলে অর্থের বিষয় নয়। এটা ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই। তাই মামলাটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর যেহেতু আমি নিজে একজন আইনজীবী, তাই নিজেই মামলাটি লড়েছি। বাড়তি অর্থ খরচ হয়নি।
‘কোনো ব্যক্তির সরকারি পদমর্যাদা যাই হোক না কেন, তাকে জনগণের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এটাই নিয়ম। আপনি যদি এমন করেন, তবে দুর্নীতি ঠেকানোর জন্য অনেকটাই সহজ হবে।‘
মামলা অন্যদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে বিশ্বাস তুঙ্গনাথ চতুর্বেদীর। তিনি বলেন, ‘লড়াই কঠিন মনে হলেও, হাল ছেড়ে দেবেন না।’
সাবেক সেনাদের গাঁজা কেনা সহজ করতে আরও টাকা ঢালতে যাচ্ছে কানাডা সরকার। বলা হচ্ছে, সরকার এবার এ খাতে প্রায় ১৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার খরচ করবে। এই অঙ্ক গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি। কানাডার ভেটেরান অ্যাফেয়ার্স ২০০৮ সাল থেকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত গাঁজার জন্য এ অর্থ ব্যয় করছে।
বিনোদনমূলক ক্ষেত্রে গাঁজার ব্যবহার ২০১৮ সালের অক্টোবরে বৈধ করে কানাডা। উরুগুয়ের পর কানাডা এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া দ্বিতীয় দেশ। সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ভোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পদক্ষেপ হিসেবে এ ব্যবস্থাটির বৈধতা দেয় জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।
কানাডায় ওষুধ হিসেবে গাঁজা ২০০১ সাল থেকে বৈধ। গবেষণায় দেখা গেছে, উদ্বেগ, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো সমস্যায় যারা ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে গাঁজা ভীষণ কার্যকর।
২০০৮ সালে আইনি নানা বাধা কাটিয়ে ভেটেরান অ্যাফেয়ার্স অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের চিকিৎসায় ঔষধি গাঁজার অনুমোদন দেয়। তিন বছর পর ২০১১ সালে গাঁজাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে নিয়মকানুনগুলো সহজ করে সরকার। এ বছর গাঁজা কেনার জন্য ৩৭ জনকে ৮১ হাজার ডলার দেয়া হয়।
ভেটেরান অ্যাফেয়ার্স বলছে, মেডিক্যাল গাঁজা ‘চিকিৎসা বিজ্ঞানে দারুণ একটি ক্ষেত্র। এ নিয়ে আরও গবেষণা চলবে। বয়স্ক এবং তাদের পরিবারের কল্যাণে প্রয়োজনীয় নীতি সমন্বয় করা হবে।
কানাডিয়ান সিনেট কমিশন ২০১৯ সালে চিকিৎসার উদ্দেশে গাঁজার ইতিবাচক ফলাফলের ওপর জোর দিয়েছিল। বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার বিরুদ্ধে ‘অত্যন্ত আসক্তিযুক্ত’ ওপিওডের বিকল্প ধরা হচ্ছে গাঁজাকে।
সিনেটররা বলেন, ‘গাঁজার দাম নিয়মিত মূল্যায়ন করা দরকার। কারণ কিছু অভিজ্ঞ সেনার সামর্থ্যের চেয়ে বেশি খরচ হতে পারে।’
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে কমপক্ষে ১৮ হাজার সাবেক সেনাকে ঔষধি গাঁজার জন্য টাকা দিয়েছিল কানাডা সরকার, যা ফেডারেল খরচের (১১ কোটি ৮০ লাখ ডলার) সমান।
বিশেষজ্ঞরা প্রবীণদের জন্য পরিকল্পনাটিকে অনেকাংশেই সমর্থন করেন। তবে তারা বলছেন, এটির সঙ্গে মনোসামাজিক সহায়তা থাকা জরুরি, বিশেষ করে উদ্বেগ এবং পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন:জলবায়ু পরিবর্তনে পুড়ছে বিশ্ব। মানুষ, পশু-পাখি, গাছপালা কিছুই রেহাই পাচ্ছে তীব্র গরম থেকে। কদিন আগেই, ব্রিটেনের একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শূকরদের গরম থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন মাখিয়েছিল খামারিরা।
ইউরোপের হাওয়া লেগেছে পূর্ব এশিয়াতেও। গ্রীষ্মের অসহ্য গরমে শীতল থাকার জন্য কুকুরের গায়ে আটকানো যায় এমন ফ্যান (ওয়ারেবল ফ্যান) কেনায় মেতে উঠেছেন জাপানের কুকুর মালিকরা।
ওয়ানসি নামের ফ্যানটি একটি জালের সাথে সংযুক্ত। এটি পোষা প্রাণীর পশমের নিচের স্তরও ঠান্ডা রাখে।
হিকারু উজাওয়া সুইট মাম্মি নামে একটি মাতৃকালীন পোশাকের দোকানমালিক। তিনি বলেন, ‘আমার কুকুর বাইরে হেঁটে আসার পর হাঁপাত। অসহ্য গরমে সে দুর্বল হয়ে যেত। এ ফ্যান ব্যবহারের পর সে হাঁপানো বন্ধ করে দিয়েছে।’
ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলছে হিকারু উজাওয়ার এই বিশেষ ফ্যান। ১ জুলাই দোকানটি উদ্বোধনের পর অন্তত ১০০টি অর্ডার পেয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া এবং ইতালি থেকেও আসছে চাহিদা।
কেবল কুকুরের শরীর ঠান্ড রাখে, তা কিন্তু নয়। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতাও ঠিকঠাক আপনাকে জানিয়ে দেবে হিকারুর এই বিশেষ ফ্যান।
জুলাইয়ের শুরুতে রাজধানী টোকিওর বেশ কয়েকটি অঞ্চলে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। অবস্থা বেগতিক দেখে দিনের বেলা বাইরে যাওয়া এবং ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকার জন্য জনগণকে অনুরোধ জানায় কর্তৃপক্ষ।
সারা বিশ্বেই এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে ইংল্যান্ডে ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়; যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জারি হয় ‘চরম তাপ সতর্কতা’। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, এই গ্রীষ্ম মৌসুমে তাপজনিত মৃত্যুর কারণে শত শত মানুষ মারা যেতে পারে।
হিকারু বলেন, ‘গরম থেকে বাঁচাতে আমার চিহুয়াহুয়া ও সোয়ানের (কুকুর) জন্য বহনযোগ্য পাখা তৈরি করেছি।’
হিকারুর এ ধরনের ফ্যানের ধারণা আসে তিন বছর আগে, ২০১৯ সালে। তিনি লক্ষ্য করেছিলেন গ্রীষ্মে হাঁটার পর সোয়ান অনেক ক্লান্ত হয়ে যায়।
হিকারু বলেন, ‘কাজের সময়সূচির কারণে আমার জন্য তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা কঠিন ছিল। তাই মধ্যাহ্নের গরমেই ওদের হাঁটাতে নিয়ে যেতাম।
পশু চিকিৎসকদের সাহায্যে এই ফ্যান তৈরি করেন হিকারু। এখন পাঁচটি ভিন্ন আকারের ফ্যান বিক্রি করছেন তিনি। প্রতিটির দাম নিচ্ছেন ৯ হাজার ৯০০ ইয়েন; অর্থাৎ ৭৪ ডলারের কাছাকাছি।
হিরোকো মুরায়ামা তার দুটি ইয়র্কশায়ার টেরিয়ার অ্যান এবং ননের জন্য ওয়ানসি কিনেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম যে ফ্যানের ঘূর্ণায়মান শব্দ তারা অপছন্দ করতে পারে। তবে এমনটা হয়নি। প্রতিদিন সকালে হাঁটার সময় তারা এগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকে।’
হিকারু বলেন, ‘চাহিদা থাকায় আরও দুটি পরিধানযোগ্য ফ্যানের মডেল তৈরি হচ্ছে। একটি শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত, অন্যটি পরিধানযোগ্য। এখন কুকুররা উত্সবে গেলেও শান্ত থাকবে।’
আরও পড়ুন:শত শত স্কুল-কলেজের ভিড়ে হয়তো এ নামেও কোনো স্কুল রয়েছে, ভেবেছিলেন রেলওয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ময়মনসিংহের ৭০০ প্রার্থী। পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে তাদের প্রত্যেকের প্রবেশপত্রে লেখা ছিল- ‘ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক্ট স্কুল’!
এ অবস্থায় শনিবার দুপুরে পরীক্ষা দিতে এসে উল্লিখিত স্কুলটির খোঁজে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীকে। কিন্তু কোথাও ডিস্ট্রিক্ট স্কুলের সন্ধান পাননি তারা। পাওয়ার কথাও নয়। কারণ এই নামে ময়মনসিংহ শহরে কোনো স্কুলেরই অস্তিত্ব নেই। তাহলে?
জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ময়মনসিংহ জিলা স্কুল’কেই প্রবেশপত্রে লেখা হয়েছে ‘ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক্ট স্কুল’!
এমন ভুলের কারণে শনিবার পরীক্ষায় অংশ নেয়া অনেকেই ভোগান্তির শিকার হন। দিনভর খোঁজাখুঁজির পর বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় জিলা স্কুল কেন্দ্রে প্রবেশ করেন তারা। এতে সময় অপচয়সহ ভোগান্তির কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেক পরীক্ষার্থী।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ৫৬০টি পদের বিপরীতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ৩১টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেন ২৭ হাজার ১১৯ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে সিট পড়েছে ৭০০ পরীক্ষার্থীর।
ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে সিট পড়া সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘তিন দিন আগে আমার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে দেখি কেন্দ্রের নাম- ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক্ট স্কুল। এ নামে আমি কোনো স্কুল চিনি না। অন্যদের জিজ্ঞেস করলে তারাও বলতে পারেনি। পরে ওয়েবসাইটে দেয়া আসন বিন্যাসে রোল নাম্বার মিলিয়ে নিশ্চিত হই, এটি হবে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন বলেন, ‘আমিও ভোগান্তিতে পড়েছি। এক কেন্দ্র থেকে ছুটে গেছি আরেক কেন্দ্রে। স্কুলের নাম ঠিকঠাক থাকলে খোঁজাখুঁজির প্রয়োজন হয় না।’
ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ও ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম রাজা বলেন, ‘এটি ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সবাই এক নামেই চেনে। কিন্তু অজ্ঞতাবশত নামটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ধরনের ভুল কাম্য নয়।’
ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহছিনা খাতুন এমন ভুলের জন্য যারা প্রবেশপত্রের দায়িত্বে ছিলেন তাদের দোষারোপ করেছেন।
আরও পড়ুন:ভারতে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা চলাকালে র্যাম্পে হাঁটায় বদলি করা হয়েছে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে।
স্থানীয় সময় রোববার তামিলনাড়ুতে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সময় পুলিশের পোশাক পরেই র্যাম্পে হাঁটেন তারা। এদের মধ্যে রয়েছেন দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী সদস্য।
শুক্রবার তাদের বদলির আদেশ পাঠান নাগাপত্তিনাম পুলিশ সুপার জাওয়াগার। আদেশে বলা হয়, ‘পুলিশের পোশাক পরে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বদলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
গত রোববার মায়িলাদুথুরাই জেলার সেম্বানারকোভিল এলাকায় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করে একটি বেসরকারি সংস্থা। অভিনেত্রী ইয়াশিকা আনন্দ বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
ওই অনুষ্ঠানে র্যাম্পে হাঁটেন পাঁচ পুলিশ সদস্য। এ খবরে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর পরই রেণুকা, অশ্বিনী, নিত্যশিলা, শিবানেসান ও স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেক্টর সুব্রহ্মণ্যনিয়ানকে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন নাগাপত্তিনাম জেলা পুলিশ সুপার।
তবে ওই পুলিশ সদস্যরা প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন করে অংশ নিয়েছেন নাকি শুধু র্যাম্পে হেঁটেছেন সেটি স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটক ও কেরালায় জন্মের সময় কোনো শিশু মারা গেলে তার আত্মার প্রতি সম্মান জানাতে চল আছে বিয়ের। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় ‘প্রেথা কল্যাণম’ (মৃতের বিয়ে)।
সে বিয়েতে সাত পাকে বাঁধার মতো রীতি যেমন থাকে, তেমনই থাকে খাবার আয়োজনের মতো আনুষ্ঠানিকতা। থাকে না শুধু জীবিত বর কিংবা কনে। গত বৃহস্পতিবার তেমনই একটি বিয়ের আয়োজন হয় কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই দিন শোভা ও চান্দাপ্পা নামের দুটি শিশুকে বিয়ে দেয়া হয়, যাদের মৃত্যু হয় গাঁটছড়া বাঁধার ৩০ বছর আগে। সেই বিয়ের বিভিন্ন আয়োজনের ধারাবাহিক বিবরণ নিজ টুইটার অ্যাকাউন্টে তুলে ধরেন ইউটিউবার অ্যানি অরুণ।
তিনি টুইটের একটিতে লেখেন, ‘আজ একটি বিয়ের আয়োজনে আছি। কেন এটা টুইটের দাবি রাখে, সে প্রশ্ন হয়তো আপনারা করতে পারেন। আচ্ছা, বর আসলে মৃত এবং কনেও মৃত। তা-ও প্রায় ৩০ বছর আগে। আজ তাদের বিয়ে।’
অ্যানি অরুণ জানান, বিয়েতে মৃত শিশুদ্বয়ের পরিবর্তে রাখা হয়েছিল তাদের দুটি কুশপুতুল।
তিনি জানান, বিয়ের অংশ হিসেবে বর ও কনের পরিবারের লোকজন একে অপরের বাসায় যান। রীতির অংশ হিসেবে প্রতীকী বর ও কনেকে দিয়ে সাত পাক দেয়া হয়।
ওই বিয়ের আয়োজন উপভোগ করতে পারেনি কোনো শিশু কিংবা অবিবাহিত কেউ।
ইউটিউবার অরুণ জানান, বিয়েতে বড় পরিসরে খাবারের আয়োজন করা হয়। খাবারের মধ্যে ছিল মাছ ভাজা, চিকেন সুক্কা, মাটন গ্র্যাভি ও জনপ্রিয় পিঠা ইদলি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য