বাঙালি নারীর অন্যতম প্রিয় পোশাক শাড়ি। বর্তমান আবহাওয়ায় সুতির শাড়িই সবচেয়ে আরামদায়ক। এই সুতির শাড়ির কিন্তু যত্নের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। শাড়ি কীভাবে কাচবেন, কীভাবে শুকিয়ে নেবেন, তারপর কীভাবে আলমারিতে রাখবেন- সবকিছুর জন্যই রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পুরো বিষয়টি। চলুন দেখে নেই।
-
সুতি শাড়ি, বিশেষ করে লিনেন জাতীয় শাড়ি হলে ধোয়ার সময় বিশেষ নজর দিতে হবে।
গুঁড়া সাবান বা বার সাবান দিয়ে না কেচে বরং লিকুইড সাবান দিয়ে কাচলে শাড়ি ভালো থাকবে।
সব সময় ছায়াঘেরা জায়গায় শাড়ি শুকাতে দিন। নাহলে রোদের তাপে রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সুতির শাড়ি কোনোমতে ভাঁজ করে আলমারিতে গুঁজে দেবেন না। বরং ভালো করে ভাঁজ করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন। একটা হ্যাঙ্গারে একটাই শাড়ি রাখবেন।
প্লাস্টিকের হ্যাঙ্গার ব্যবহার করুন। ধাতব কিছু ব্যবহার করলে শাড়িতে দাগ পড়ে যেতে পারে।
সুতির শাড়ি আয়রন করার প্রয়োজন হয়। শাড়ির ওপর একটা কাপড় পেঁচিয়ে তারপর সঠিক তাপমাত্রায় আয়রন করে নিন।
আলমারিতে শাড়ি ভাঁজ করে রাখার পরিবর্তে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখলে শাড়ি ভালো থাকবে।
কর্পূর বা ন্যাপথালিন দিয়ে শাড়ি রাখলে অবশ্যই ওই সব উপকরণ কাপড়ে প্যাঁচিয়ে তারপর রাখুন। নাহলে শাড়িতে দাগ পড়ে যেতে পারে।
শাড়িতে সরাসরি কখনই বডি-স্প্রে বা পারফিউম লাগাবেন না। এর ফলেও শাড়িতে দাগ পড়ে।
আরও পড়ুন:নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে হঠাৎ করেই। সেই তুলনায় আয় বাড়েনি। এ রকম পরিস্থিতিতে খরচের লাগাম টেনে ধরা খুবই জরুরি। কিন্তু কীভাবে কমানো যাবে খরচ? সিএনইটি ডটকমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি। চলুন দেখে নেই।
অপচয় বন্ধ করে বেশ ভালো অঙ্কের অর্থ সেভ করা যায়। ভোজ্যতেলের দাম অনেক বেশি। তাই তেলের পরমিত ব্যবহার করে খরচ কমানো সম্ভব।
গবেষকদের মতে, রান্নার সময় ৪০ শতাংশ খাদ্যদ্রব্য অপচয় হয়। অপচয়ের এই পরিমাণকেও কমিয়ে আনতে হবে। কমাতে হবে মসলার ব্যবহারও। সবকিছু মিলে এখান থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ বাঁচানো যায়।
মাছ ও মাংস আমাদের দৈনন্দিন পুষ্টির উৎস। অন্যান্য পণ্যের মতো এগুলো দামও এখন বেশ চড়া। এই খাত থেকে অর্থ বাঁচাতে হলে সব সময় বাজারের খোঁজ রাখতে হবে। কখনও দাম পড়ে গেলে একসঙ্গে বেশি করে কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে।
সুপার শপ ও অনলাইন সুপার শপগুলো প্রায়ই নানা ধরনের অফার দেয়। তখন কাঁচাবাজার থেকে সুপার শপগুলোতে কম দামে পণ্য পাওয়া যায়। খরচ বাঁচাতে সেই অফারগুলো গ্রহণ করতে হবে।
মাঝেমধ্যে সুপার শপগুলো পণ্যের সঙ্গে গিফট কার্ড, স্ক্রাচ কার্ড অফার করে। সেখান থেকেও প্রয়োজনীয় পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ মেলে। তাই এই সুযোগগুলোকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যাবে না।
মেম্বারশিপ কার্ড থাকলে সুপার শপগুলো কিছুটা ডিসকাউন্ট দেয়। বেশির ভাগ সুপারশপে এর পরিমাণ ৫ থেকে ১০ শতাংশ। আবার কোনো কোনো সুপারশপে মেম্বারশিপ কার্ডধারীদের কেনাকাটায় পয়েন্ট যোগ হয়। পরবর্তী সময়ে সেই পয়েন্ট দিয়ে কেনাকাটা করা যায়। তাই আপনি যে সুপারশপে নিয়মিত যাচ্ছেন, সেখানে মেম্বারশিপ গ্রহণ করে এই ডিসকাউন্টের সুযোগ নিন।
আরও পড়ুন:ইলিশ মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন পুষ্টিকরও। ইলিশ মাছ খেলে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়ার পাশাপাশি শরীরের নানা উপকার হয়। হেলথ অ্যান্ড হেলদিয়ার ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পুরো বিষয়টি। চলুন দেখে নেই।
প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে ইলিশ মাছের জুড়ি নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে ১৮ থেকে ২০ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এ ছাড়া এতে যথেষ্ট পরিমাণে লাইসিন ও সালফারসমৃদ্ধ অ্যামাইনো এসিড, যেমন—মিথিওনিন ও সিস্টিন থাকে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ইলিশ মাছের জুড়ি নেই। এর তেলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড, ডিএইচএ ও ইপিএ থাকে যা হৃৎপিণ্ডের যত্ন নেয়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমাণে অরজিনিন আছে। এই উপাদানটি হতাশা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ইলিশ মাছ খেলে পাকস্থলীর আলসার ও কোলিটিসের ঝুঁকি কমে।
ইলিশ মাছে আছে কোলাজেন। এই উপাদানটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রেখে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে প্রয়োজন জিংক। ইলিশ মাছ জিংকের ভালো উৎস। তাই নিয়মিত ইলিশ মাছ খেলে শরীর রোগ প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে।
ইলিশ মাছ চোখের যত্ন নেয়। এতে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং রাতকানাজনিত সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ইলিশ মাছে থাকা লবণ শরীরে পানি এবং অন্যান্য পদার্থের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
আরও পড়ুন:কান শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কোনো কিছু শোনার জন্য শরীরের এই অঙ্গটি আমাদের সাহায্য করে। অসাবধানতায় কিংবা কান চুলকাতে গিয়ে কাঠি ভেঙে কানের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। আবার পোকামাকড়, মশা-মাছি প্রভৃতি কানের মধ্যে ঢুকে পড়ে নানা সময়ে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন?
-
কানে কিছু ঢুকলে খোঁচাখুঁচি করা যাবে না। কারণ খোঁচাখুঁচি করলে কানে ঢুকে যাওয়া বস্তুটি আরও ভেতরে চলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সমস্যা কমার বদলে বেড়ে যাবে। খোঁচাখুঁচির ফলে কানের পর্দা ফুটো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সে রকম হলে কানে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি হবে।
কানে যেসব বস্তু ঢোকে তার মধ্যে আছে কটনবাডের অংশ, দিয়াশলাইয়ের কাঠি, পাখি বা মুরগির পালক, ধান, ফলের বীজ ও মুড়িজাতীয় বস্তু। তবে জীবন্ত প্রাণী যেমন মশা-মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়েও ঢুকে পড়ে।
কানে কোনো বস্তু ঢুকলে দেরি করে ডাক্তারের কাছে গেলে সমস্যা নেই, তবে প্রাণী ঢুকলে দেরি করা যাবে না। দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসা নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কানে মশা, মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়া বা অন্য কোনো জীব ঢুকলে প্রথমেই কানের ভেতরে টর্চলাইটের আলো ফেলতে হবে। জীবন্ত পোকামাকড় আলোর প্রতি সংবেদনশীল হওয়ায় ওরা বেরিয়ে আসতে পারে।
এ ছাড়া এমন কানের মধ্যে মশা কিংবা মাছি ঢুকে গেলে এক হাত দিয়ে নাক চেপে ধরুন। অন্য হাত দিয়ে অন্য কানটি চেপে ধরুন। তাতে ভেতরে থাকা পোকা অনেক সময়ই বেরিয়ে আসে।
তবে যদি না বের হয়, তাহলে প্রথমেই কানের মধ্যে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেল দিন। পিঁপড়ে বা পোকামাকড় মরে যাবে, ফলে ব্যথা বা অস্বস্তি কমে যাবে।
এরপর নাক কান গলার চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কানের ভেতরে ঢুকে যাওয়া বস্তু এবং তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসক বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে সেই বস্তুটিকে বাইরে বের করে আনবেন।
আরও পড়ুন:প্রতি দিনের খাবারে কমবেশি তেল থাকেই। সচরাচর আমরা সয়াবিন তেল খাই। তবে কেউ কেউ সরিষার তেল, রাইস ব্রান তেল কিংবা ঘি খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব তেলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অলিভ অয়েল। চলুন দেখে নেই অলিভ অয়েলের উপকারিতা।
-
প্রাচীনকালে অলিভ অয়েলকে তরল সোনা হিসেবে গণ্য করা হতো৷ অলিভ অয়েল হলো আসলে জলপাই ফল থেকে তৈরি এক ধরনের তেল, যা মূলত রান্নায় ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই ৷
শরীর সম্পর্কে যারা সচেতন, তাদের রান্না ঘরে সরিষা এবং সয়াবিন তেলের বদলে জায়গা করে নিয়েছে এই অলিভ অয়েল ৷
হার্ট অ্য়াটাক, আর্থারাইটিস, স্তন ক্য়ানসার, কোলোরেক্টাল ক্যানসার, জরায়ু ক্য়ানসার থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য়, গলব্লাডারে সমস্যা, মাইগ্রেনের সমস্যা প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে অলিভ অয়েলের ভূমিকা অনেকটাই।
অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ই।
অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও মুক্তি দেয়।
এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রক্তের কোলেস্টেরল কম করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
অলিভ অয়েল স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। অলিভ অয়েলে থাকা মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগ থেকে বাঁচায় অলিভ অয়েলে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন:বাড়িতে এয়ার কন্ডিশনার বা এসির ইলেকট্রিকের বিল নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। পাহাড়সম ইলেকট্রিক বিলের চাপে অনেকেই এসি থাকার পরও চালাতে চান না। তবে চাইলে সহজ কিছু নিয়ম মেনে এসির বিল কমানো সম্ভব। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পুরো বিষয়টি। চলুন দেখে নেই।
-
এসির সার্ভিসিং
যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসেরই নির্দিষ্ট সময় পর পর দেখভাল হওয়া প্রয়োজন। এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাই অনেক দিন এসি বন্ধ থাকার পর অবশ্যই চালু করার আগে একবার দক্ষ টেকনিশিয়ান দিয়ে এয়ার কন্ডিশনার মেশিনের সার্ভিসিং করিয়ে নিন। এতে ইলেকট্রিক বিল কমে আসে।
-
টাইমার সেট করুন
এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের সময় টাইমার অন করুন। এর ফলে নির্দিষ্ট সময় পরে এসি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে অতিরিক্ত ব্যবহার হবে না এবং ইলেকট্রিসিটি বিলও কম হবে।
-
সঠিক তাপমাত্রা
এয়ার কন্ডিশনারে সঠিক তাপমাত্রা সেট করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ইলেকট্রিক বিল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব ব্যুরো অফ এনার্জি এফিশিয়েন্সির মতে মানুষের শরীরের জন্য ২৪ ডিগ্রি এসির টেম্পারেচার আদর্শ। তাই এসি চালানোর সময় কত টেম্পারেচার সেট করছেন সেদিকে অবশ্যই নজর দিন।
-
সঠিক পদ্ধতিতে মেশিন বন্ধ করুন
এসি ব্যবহার না করলে অবশ্যই পাওয়ার বাটন বন্ধ করুন। অনেকেই শুধু রিমোট দিয়ে এসি বন্ধ করে ছেড়ে দেন। এভাবে এসি অফ করে লাভ নেই। পাওয়ার বাটন অফ করলে তবেই ইলেকট্রিসিটি বিল কমানো সম্ভব। তাই এসি বন্ধ করার সময় খেয়াল রাখুন।
-
দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন
এসি চালানোর সময় খেয়াল রাখুন যাতে ভালোভাবে সেই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকে। নাহলে ঘর ঠাণ্ডা হতে অনেক সময় লাগবে। তার ফলে বেশিক্ষণ এসি চলবে এবং ইলেকট্রিকের বিলও বেশি আসবে।
আরও পড়ুন:মাছে ভাতে বাঙালি। তিন বেলা ভাত না খেলে আমাদের পেট যেন ভরেই না। এত ভাত খাওয়া কি শরীরের জন্য ভালো? এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পুরো ব্যাপারটা। চলুন দেখে নেই।
-
আর্সেনিক
গবেষকদের মতে, বেশি ভাত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ চাষ করার সময়ই মাটি ও পানি থেকে ধানের মধ্যে আর্সেনিক প্রবেশ করে। পরবর্তীকালে ধান থেকে চাল এবং ভাত হওয়ার সময়ও সেই আর্সেনিক থেকে যায়। এই বিষাক্ত পদার্থটি শরীরে নিয়মিত প্রবেশ করতে থাকলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
-
শর্করা
ভাত আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ভাত খাওয়া উচিত।
-
ওজন বাড়ায়
ভাতে থাকা বিপুল পরিমাণ ক্যালোরি আমাদের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই অবশ্যই পরিমাণ বুঝে ভাত খাওয়া দরকার।
-
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিদ্ধ চালে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রনে ভরপুর। এটা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। রয়েছে উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও।
লাল চালের উপকারিতাও অনেক। প্রথমত, লাল চালে প্রচুর পরিমাণে বি ভিটামিন রয়েছে, যা শরীরে প্রয়োজনীয় লোহিত কণিকা এবং সেরোটোনিন উৎপাদন করে। এতে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকায় খেতে সুস্বাদু নয়, কিন্তু রক্তাল্পতায় ভোগা মানুষের জন্য ওষুধের মতো কাজ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে লাল চাল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। তাই স্বাদ অগ্রাহ্য করে খেতেই পারেন লাল চালের ভাত।
আরও পড়ুন:বর্ষাকাল চলছে। বছরের এই সময়ে এডিস মশার প্রকোপ বেড়ে যায়। দেখা দেয় ডেঙ্গু। যারা মশার কয়েল কিংবা স্প্রে ব্যবহার করতে চান না, তাদের জন্য থাকছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মশার হাত থেকে বাঁচার কিছু টিপস।
নিমের তেলকে মশা ভালোভাবে নিতে পারে না। এর গন্ধ ওদের একেবারেই অপছন্দ। তাই নিমের তেল এবং নারকেল তেলের মিশ্রণ শরীরে মেখে নিলে মশার হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
লেবু তেল ও ইউক্যালিপটাস তেলের মিশ্রণও মশার যম। এর থেকে দূরে থাকে মশা। এই তেলে অ্যান্টিসেপটিক গুণ আছে। এটা মশা তাড়ানোর কাজ তো করেই, সঙ্গে অন্য জীবাণুর বিরুদ্ধেও কাজ করে।
মশা তাড়াতে তুলসীগাছের সহায়তাও নিতে পারেন। ঘরের জানালার বাইরে তুলসীগাছ লাগান। মশা এটা এড়িয়ে চলে। তাই জানালার সামনে তুলসীগাছ থাকলে তবে অবশ্যই জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকবে না মশা।
ধূপ জ্বালিয়েও মশা তাড়াতে পারবেন। তবে তাতে অবশ্যই একটু কর্পূর মিশিয়ে নিতে হবে। কর্পূর মশা তাড়াতে দারুণ কাজ করে।
মশা তাড়াতে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক কোয়া রসুন পানিতে ফুটিয়ে নিন। সেই পানি ঘরের সবখানে ছিটিয়ে দিলে মশা থাকবে দূরে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য