সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উদযাপন করা হচ্ছে ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানি দিয়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
চট্টগ্রাম
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, পটিয়া, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীর শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
চন্দনাইশ এলাহাবাদ জাঁহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা এক দিন আগে শনিবার ঈদ উদযাপন করছেন।
ঈদের প্রধান নামাজের জামাত হয় মমতাজিয়া দরবার শরিফ প্রাঙ্গণে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করেন দরবারের পির মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী শাহ।
মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী লোহাগড়া উপজেলার মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল ছিল পবিত্র হজ। আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে হজের পরের দিন কোরবানি দিয়ে থাকি।
‘এটা আমাদের পূর্বপুরুষরা ২০০ বছর আগে থেকে পালন করে আসছেন। আশপাশের চার-পাঁচ উপজেলার অনেক মানুষ আজ কোরবানি দিচ্ছেন।’
মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মতি মিয়া মনছুর বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলেই আমরা দিন গণনা শুরু করি। সেই হিসেবে আজ ১০ জিলহজ। অর্থাৎ হজের পরের দিন। তাই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা হজের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করি।’
বরিশাল
বরিশালের ছয়টি উপজেলায় ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ শাহ সুফি দরবার শরিফ, সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরিফ এবং আহমাদিয়া জামাত অনুসারীরা এক দিন আগে শনিবার ঈদ উদযাপন করছেন।
ছয় উপজেলার ২০ হাজারের বেশি মানুষ সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঈদের জামাতে অংশ নেন।
সিটি করপোরেশন এলাকায় তিনটি, বন্দর থানা সাহেবের হাটে দুটি, বাবুগঞ্জ উপজেলায় চারটি, হিজলায় দুটি, মেহেন্দিগঞ্জে দুটি এবং বাকেরগঞ্জে একটি জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে তারা পশু কোরবানি করেছেন।
বরিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়া চৌধুরীবাড়ী শাহ মমতাজিয়া জামে মসজিদের সভাপতি মমিনউদ্দিন কালু বলেন, ‘প্রতি বছরই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা ঈদ উদযাপন করে থাকি। বরিশাল বিভাগে লক্ষাধিক মানুষ আগাম ঈদ উদযাপন করছে।’
লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার বশিকপুর, রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর এবং রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১ গ্রামের হাজারও মানুষ শনিবার ঈদ উদযাপন করছেন।
ঈদের প্রধান নামাজ শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসা মাঠে। এতে ইমামতি করেন মাওলানা রুহুল আমিন।
এ ছাড়া নোয়াগাঁও বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন ছোট-বড় মসজিদে ঈদের নামাজ হয়েছে।
মাওলানা ইসহাক (রা.)-এর অনুসারী হিসেবে লক্ষ্মীপুরের এসব এলাকার মানুষ মক্কা-মদিনার সঙ্গে মিল রেখে সব ধরনের ধর্মীয় উৎসব পালন করেন। ৪০ বছর ধরে তারা এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করছেন।
চাঁদপুর
চাঁদপুরের ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
সাদরা দরবার শরিফে শনিবার সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন দরবারের পির জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি। সাড়ে ৯টায় সাদরা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আরেকটি জামাত হয়। এতে ইমামতি করেন সাদরা দরবার শরিফের আরেক পির মাওলানা আরিফ চৌধুরী।
স্থানীয়রা জানান, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদরা গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য গ্রামেও এই চল শুরু হয়। এখন ৪০ গ্রামের মানুষ এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করছেন।
সাদরা সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার যেহেতু সৌদি আরবে ঈদ হচ্ছে, তাই চাঁদপুরের ৪০ গ্রামেও আজ ঈদ।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে স্থানীয় বেলাল হোসেন বলেন, ‘জন্মের পর থেকে সাদরা দরবার শরিফে ঈদের নামাজ আদায় করে যাচ্ছি। আমাদের বাপ-দাদারাও সৌদির সঙ্গে মিল রেখে নামাজ পড়েছেন। ইনশাআল্লাহ আমরা এভাবেই আদায় করে যাব।’
পির আরিফ বলেন, ‘আনন্দঘন পরিবেশে ঈদের নামাজ হয়েছে। নিজেদের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে আমরা নামাজ আদায় করেছি।’
এ ছাড়া দিনাজপুর সদরসহ জেলার পাঁচ উপজেলায়, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডের ১০ গ্রামে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ২০ গ্রামে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের দুই গ্রামে, শেরপুর সদর উপজেলার ১০ গ্রামে, বাগেরহাটের মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামে, ভোলার পাঁচ উপজেলার ১০ গ্রামে, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকায়, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ২৫টি গ্রামে সুরেশ্বর দরবার শরিফের অনুসারীরা, পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামে ও রাঙ্গাবালী উপজেলার দায়রা বাড়ি গ্রামে এবং বরগুনার বেতাগী উপজেলার ১০ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ।
আরও পড়ুন:ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮-এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে মাত্র ২৯ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে। অর্থাৎ প্রায় ৭১ শতাংশ নারী এখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে না। পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহার করার ফলে সার্ভিক্যাল ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহারের ফলে পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব এমনকি ক্যান্সার-এরও ঝুঁকি থাকে। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।
এ লক্ষ্যে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন’ দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। ‘এক্সিলেন্স বাংলাদেশ’-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। ক্যাম্পেইন-এর অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ওয়ার্কশপ ও সেশন। এর বাইরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের নারীদের জন্য সহজে ও সুলভ মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহরে সুবধর্িাথরে জন্য ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করছে ফ্রেশ অনন্যা।
ফ্রেশ অনন্যা-ই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র স্যানিটারি ন্যাপকিন, যাতে রয়েছে ডাবল লেয়ারড অ্যাডভান্সড অ্যাবজর্পশন টেকনোলজি। সুবিধা ও উপযোগিতার কথা বিবেচনায় রেখে, ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এ ব্যবহার করা হয়েছে এয়ারলেইড পেপার এবং এডিএল লেয়ার। যা নিশ্চিত করে আরও দ্রুত শোষণ এবং সুরক্ষা। তাই পিরিয়ডের দিনগুলো কাটে আরও বেশি স্বস্তিতে।
ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মাঝে পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন ইত্যাদি।
৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি সকাল ৬টা ১১ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ওই সময় তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কয়েক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। ওই সময়ে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
পরে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এ ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএম শাহাবুদ্দিন।
প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা থেকে এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাত বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫’ তুলে দিয়েছেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক এ পুরস্কার প্রদান করেন তিনি।
এবার স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। তিনি পুরস্কার বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫ তুলে দেবেন।
ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেসব ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরুস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
আরও পড়ুন:ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান রবিবার যে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন, তাতে বলা হয়, ‘সরকার আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করল। ছুটিকালীন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
‘তবে জরুরি পরিষেবা, যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।’
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতা-বহির্ভূত থাকবে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।
‘জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে সবার আগে পরিবার থেকে নারীকে সাহস দিতে হবে। যেকোনো সংকটে নারীর পাশে ঢাল হয়ে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবার পাশে না থাকলে রাষ্ট্রের পক্ষে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। পরিবার নারীকে সাহস দিলে রাষ্ট্রও নারীর পাশে থেকে সাহস জোগাতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নারীর প্রতিবন্ধকতা কখনও শেষ হয় না। সমাজে একটা গোষ্ঠী আছে, যারা নারীকে ক্ষমতায়িত করতে চায় না। দুর্বল নারীকে যত পছন্দ করে, সবলচিত্তের নারীকে তারা পছন্দ করে না। এটাই বাস্তবতা।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে (৮ মার্চ) সামনে রেখে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন নারীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা হলে সে দেশের কাজে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও পরিবারের পাশাপাশি সমাজেরও দায় রয়েছে। নারীর চলার পথ পুরুষের পাশাপাশি নির্বিঘ্ন ও নির্ভরতার হতে হবে।’
তিনি বলেন, “নারী এখন যে অবস্থানে রয়েছে, সে অবস্থানে থেকে নারী বলে বিতর্কিত নয়, কাজে সে বিতর্কিত হোক, অদক্ষ বলে বিতর্কিত হোক, শুধু নারী বলেই ভূল, নারী বলেই অদক্ষ, এ কথাটা বলা যাবে না। আমি বলব ‘স্কাই ইজ দ্য লিমিট।
“তাই তার চিন্তার গন্ডিটাকে তার পারিপার্শ্বিকতার নেতিবাচক মনোভাবে আটকে না রেখে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তাদের পাশে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অভিভাবককে বুঝতে হবে, ছেলে ও মেয়ে দুজনই পরিবারের সম্পদ। পরিবারের উচিত নারীকে ক্ষমতায়িত করা।”
আরও পড়ুন:
মন্তব্য