বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। প্রতিদিন একমুঠ বাদাম খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই উপকারের কথা। চলুন দেখে নেই।
-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা উপকারী উপাদান স্বাস্থ্যের নানা ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। ওজন কমানো থেকে স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ থেকে নানা অসুখ প্রতিরোধ সমস্তই করতে পারে বাদাম।
-
২. প্রতিদিন যদি একমুঠ করে বাদাম খাওয়া যায়, তাহলে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কম হয়। এতে থাকা উপকারী উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
-
৩. ক্যানসারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকিও কম করতে সাহায্য করে বাদাম। এতে থাকা ফলিক অ্যাসিড ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে বাদামের জুড়ি মেলা ভার।
-
৪. যাদের স্নায়ুর রোগ রয়েছে, তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী বাদাম। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত বাদাম খেলে তাতে থাকা ভিটামিন বি, বি৩ উপাদান মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে।
-
৫. স্মৃতিভ্রংশ বা অ্যালজাইমার্স রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বাদাম। তাই ছোট থেকে বড় সবাইকে প্রতিদিন অন্তত একমুঠ বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানাচ্ছেন, স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা দূর করে স্মৃতিশক্তি আরও প্রখর করে তোলে।
-
৬. ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ দূর করতে সাহায্য করে বাদাম।
আরও পড়ুন:নানা কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে। তার মধ্যে একটি কারণ হলো, দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অনিয়ম। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি। চলুন দেখে নিই।
-
১ . মাথাব্যথা অনেকটাই খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। কোন খাবার খাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে স্বাস্থ্য। যদি কোনো খাবার সঠিকভাবে হজম না হয় কিংবা গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে, তাহলে মাথা ব্যথা হতে পারে। চিজ, প্যান কেক কিংবা প্যাকেটজাত খাবার থেকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
-
২. বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট এবং সঠিক সময় থাকা দরকার। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলেও মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
-
৩. পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি সুস্থ থাকার জন্য। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। সেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলেও মাথাব্যথা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
-
৪. অত্যধিক মদ ও ধূমপানের কারণেও হতে পারে মাথাব্যথা। তাই মাথাব্যথা এড়াতে মদ ও ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুন:বয়স ৪৫ পার হলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেগুলো আগে কখনও হয়নি। তাই এসব সমস্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে আগেই। এই বয়সে নিয়মিত কিছু চেকআপ করতে হবে। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি। চলুন দেখে নিই।
-
রক্তচাপ পরীক্ষা
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই বয়সে যেহেতু হৃদরোগের প্রবণতা অনেক বেশি থাকে, তাই রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করানোটা অত্যন্ত জরুরি। রক্তচাপ সঠিক থাকলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা এবং আরও নানা সমস্যা প্রতিরোধ করা যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
-
প্রস্টেট পরীক্ষা
চিকিৎসকদের মতে, এই বয়সে পুরুষদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে। প্রতি বছর বহু মানুষ প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাই বয়স ৪৫ পেরোলেই প্রস্টেট পরীক্ষা করা জরুরি।
-
থাইরয়েড পরীক্ষা
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যে অবশ্যই থাইরয়েড পরীক্ষা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি কখনও আচমকা অনেকটা ওজন কমে যায়, মাথা ঘোরা, বমিভাব, আচমকা ওজন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
-
ডায়াবেটিস
এ রোগটি সম্পর্কে সচেতন করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ডায়াবেটিস একবার শরীরে বাসা বাঁধলে তা চিরস্থায়ী। তবে নিয়মিত ওষুধ খেলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানোটা অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন:বর্তমান যুগের আধুনিক রান্নাঘরে নানা রকম যন্ত্রপাতি থাকে। এই যন্ত্রগুলো আমাদের দৈনন্দিন কাজ সহজ করে দেয়। তবে এসব যন্ত্রপাতি থেকেই হতে পারে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই বিষয়টি। চলুন দেখে নেই।
-
ফ্রিজ
সব ধরনের ফ্রিজ থেকে ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন নামের গ্যাস নির্গত হয়। এই গ্যাস শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে এই গ্যাসের প্রভাবে তীব্র মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে।
-
মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ থেকে নির্গত রশ্মি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া ওভেনে ব্যবহার করা বাসনপত্র ওভেন প্রুফ না হলে খাবারে ক্ষতিকর পদার্থ মিশতে পারে। তাই ওভেন প্রুফ বাসনপত্র ব্যবহার করুন।
-
অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র
অ্যালুমিনিয়ামের বাসনে রান্না করলে সেখান থেকে ক্যাডমিয়াম নামের এক পদার্থ নির্গত হয়। এটা শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতিকর।
-
এয়ার ফ্রায়ার
এয়ার ফ্রায়ারে উচ্চ তাপে খাবার রান্না করলে সেখান থেকে অ্যাক্রিলামাইড নামের ক্ষতিকর পদার্থ তৈরি হতে পারে। এই পদার্থটি ক্যানসার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন:শীত-গ্রীষ্মের মতো বর্ষাকালেও চুলের নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে চুলের বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন। এবিপি আনন্দ সাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বর্ষাকালে চুলের যত্ন নেয়ার জন্য কী কী করতে হবে। চলুন দেখে নেই।
-
১. বর্ষাকালে চুল শুকাতে অনেক বেশি সময় নেয়। চুল শুকানোর অর্থ, মাথার ত্বক যেন সঠিকভাবে শুষ্ক থাকে। বিশেষ করে যদি বৃষ্টিতে চুল ভেজে, তাহলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে বৃষ্টিতে ভেজার পর বাড়িতে এসে ফের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া দরকার। তারপর তা ভালো করে শুকিয়ে তবে বাঁধতে হবে কিংবা শুতে হবে।
-
২. শ্যাম্পু করার মিনিট পনেরো আগে নারকেল তেল দিয়ে তালুতে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে চুলের ময়েশ্চারাইজার সঠিক থাকে। চুল পড়া রোধ করে এবং চুল কোমল থাকে।
-
৩. চুল সুস্থ রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ডিম, বাদাম, দুগ্ধজাত খাবার, শস্যদানা এবং প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে। এ ছাড়া তালিকায় রাখতে হবে টাটকা ফল, যেমন- বেরি, আঙুর। পালং শাক, মিষ্টি আলু খেতে হবে নিয়মিত।
-
৪. চুল যাতে অহেতুক ছিঁড়ে না যায়, তার জন্য ব্যবহার করতে হবে সঠিক চিরুনি। খুব সরু আলের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে চুল তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোটা আলের চিরুনি দিয়ে ভালো করে রোজ চুল আঁচড়াতে হবে।
-
৫. খুসকির সমস্যা দূর করতে কিংবা চুল পড়া রোধ করতে সপ্তাহে এক দিন হলুদ ও নিমের পেস্ট তৈরি করে তা ব্যবহার করতে হবে। এতে থাকা উপকারী উপাদান চুলের জন্য দারুণ উপকারী।
-
৬. চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা রোধ করতে চুল বেঁধে রাখতে হবে। চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। অহেতুক ক্ষতিকর কেমিক্যাল দেয়া রং ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন:মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সঠিকভাবে দাঁত মাজা এবং মাড়ির যত্ন নেয়া খুবই জরুরি। মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য বজায় না থাকলে তা থেকে হতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা। দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে একসময় মানুষ লবণ দিয়ে দাঁত মাজত। লবণ দিয়ে দাঁত মাজা খারাপ না ভালো, এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই বিষয়টি। চলুন দেখে নেই।
-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লবণ দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত স্বাস্থ্যকর থাকে। এমন অনেক অসুখ দাঁতে এবং মাড়িতে হয়, যা লবণ দিয়ে দাঁত মাজার ফলে সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
-
২. অত্যধিক মাত্রায় শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে দাঁতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লবণ দিয়ে দাঁত মাজলে তাতে থাকা অ্যাসিডজাতীয় উপাদান, শর্করার মাধ্যমে হওয়া ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এর জন্য় বিশেষ করে সি সল্ট ব্যবহার করার পরামর্শ তাঁদের।
-
৩. লবণে একাধিক উপকারী উপাদান পাওয়া যায়। লবণ দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে মাড়ির যন্ত্রণা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, দাঁতে ব্যথা, মাড়ি ফুলে যাওয়ার সমস্যা দূরে থাকে।
-
৪. কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে মুখ ধুলে মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য বজায় থাকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। মুখের দুর্গন্ধের সমস্যাও দূর হয় এর মাধ্যমে।
আরও পড়ুন:বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের ফরমাল পোশাক পরতে হয়। ফরমাল পোশাকের অন্যতম অনুষঙ্গ টাই। টাই পরতে গিয়ে অনেকেই ঝামেলায় পড়েন। উইকিহাউ সাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে উইন্ডসর নট পদ্ধতিতে টাই বাঁধবেন। চলুন দেখে নেই।
রক্তদান একটি মহৎ কাজ। এর মাধ্যমে মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচিয়ে যে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়, অন্য কোনো কাজে সেটা পাওয়া যায় না। আপনজন হোক বা চেনাশোনার মধ্যে কেউ, অথবা মুমূর্ষু কোনো রোগী, রক্তদান করে তাকে নতুন জীবন দান করার চেয়ে ভালো কাজ আর বা কী হতে পারে! কিন্তু শুধু রক্তদান করলেই তো হবে না, নিজের শরীরের যত্ন নেয়াও সমান জরুরি। এবিপি আনন্দ ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে রক্তদানের আগের প্রস্তুতি এবং রক্তদানের পরের সতর্কতার বিষয়গুলো। চলুন দেখে নিই।
-
রক্তদানের আগে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। পাশাপাশি আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এতে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় থাকবে।
রক্তদানের আগে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। রক্তদানের ৭২ ঘণ্টা আগে যাতে কোনোভাবে জ্বর-সর্দি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হলে রক্ত দেয়া যাবে না।
ধূমপান এমনিতেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই ধূমপান বন্ধ করা উচিত। তারপরও দাতা যদি ধূমপায়ী হয়, তাহলে রক্তদানের আগে অন্তত দুই ঘণ্টা ধূমপান না করা ভালো। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে এক দিন আগে মদ না ছোঁয়াই ভালো।
রক্ত দিতে যাওয়ার সময় ব্যাগে নিজের মেডিক্যাল রেকর্ডও রাখতে হবে। কারণ রোগীর স্বার্থে চিকিৎসকরা প্রয়োজন মনে করলে দাতার সবকিছু খুঁটিয়ে দেখতে চাইতে পারেন।
রক্তদানের পর সঙ্গে সঙ্গে শয্যা ছেড়ে ওঠা যাবে না। অন্তত পাঁচ মিনিট একইভাবে শুয়ে থাকতে হবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা সুষম খাবার খাওয়া জরুরি।
রক্তদানের পর অবশ্যই খাবার খেতে হবে। পেট খালি রাখা যাবে না। যে হাত থেকে রক্ত নেয়া হয়েছে, অন্তত পাঁচ ঘণ্টা সেই হাতে ভারী জিনিস তোলা যাবে না।
রক্তদানের পর একটানা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না। চার ঘণ্টা ধূমপান বন্ধ রাখুন। মদ্যপানও বন্ধ রাখুন ২৪ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য