বৃষ্টির দিনে স্যাঁতসেঁতে, আর্দ্র বাতাসে সাধের চামড়ার জুতা আর ব্যাগের অবস্থা খুবই খারাপ হয়। বিশেষ করে ভিজে যাওয়ার পর৷ ড্রায়ার দিয়ে বা রোদে স্যাঁতসেঁতে চামড়া শুকিয়ে নিলে তা খুব কড়া হয়ে যায়। আবার না শুকনো হলে বিচ্ছিরি গন্ধ বের হয়। ফাঙ্গাস ধরে যায়৷ এই পরিস্থিতিতে সেগুলোর যত্ন নেওয়ার আদর্শ পদ্ধতি কী হতে পারে?
ফেমিনা ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। চলুন দেখে নেই।
-
কড়া রোদে বা ড্রায়ার দিয়ে চামড়ার পণ্য শুকাবেন না
বাইরে থেকে তাপ দিলে চামড়ার নিজস্ব তেলের আস্তর শুকাতে আরম্ভ করবে৷ ফলে ব্যাগ অথবা জুতা শক্ত হয়ে যাবে। বাইরের স্তরে ফাটলও দেখা দিতে পারে৷ তার চেয়ে সারা রাত ফ্যানের নিচে রেখে দিন৷ খবরের কাগজ বা টিস্যু পেপার পুরে দিন ব্যাগ-জুতার মধ্যে। সেগুলো বাড়তি পানি শুষে নেবে৷ বৃষ্টির পানিতে না ভিজলেও আর্দ্রতায় আমাদের পা ঘামে, সেই ঘামেও জুতার মধ্যে স্যাঁতসেঁতে ভাব দেখা দেয়। কখনও কখনও বাজে গন্ধ হয়৷ ফলে নিয়মিত খবরের কাগজ বা টিস্যু পেপার দিয়ে জুতার বাড়তি আর্দ্রতা শুষে না নিলেও ফাঙ্গাস ধরতে পারে৷ সম্ভব হলে একই জুতা-ব্যাগ প্রতিদিন ব্যবহার করবেন না৷ খবরের কাগজ অথবা টিস্যু পেপার দিয়ে শুকনো করে নেয়ার পরে সামান্য ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিলে সেটির মধ্যকার সব আর্দ্রতা চলে যাবে৷ আজকাল নানা ধরনের ফুট স্প্রে বেরিয়েছে, সেগুলো পায়ে লাগালে দুর্গন্ধ হয় না বলে দাবি করা হয়৷ তেমন কিছুও ট্রাই করতে পারেন৷
-
পরিষ্কার রাখুন চামড়ার পণ্য
বাড়ি ফিরেই জুতা ও ব্যাগ ক্যাবিনেটে তুলে দেবেন না৷ খুটিয়ে দেখে নিন কোনো ময়লা লেগে আছে কি না৷ পুরোনো টুথব্রাশ আর সামান্য সাবান পানি দিয়ে সেটা পরিষ্কার করুন আগে৷ তারপর শুকিয়ে তবেই ক্যাবিনেটে তুলুন৷ নিয়মিত পালিশ করে নিলে চামড়ার জিনিস বেশিদিন ভালো থাকে৷ তা আর্দ্রতা থেকে বাঁচাবে, চামড়ার তেলের ব্যালেন্স বজায় রাখবে এবং জিনিসটি দীর্ঘদিন ঝকঝকে, উজ্জ্বল থাকবে৷ যেদিন ময়লা হবে, সেদিনই পরিষ্কার করে নেয়াটাও খুব জরুরি। তা না হলে পরে পরিষ্কার করা মুশকিল হতে পারে৷ শুকনো ব্রাশ দিয়ে মাঝে মাঝে ঝেড়ে নিলেও ধুলো চেপে বসতে পারে না৷
-
শুকনো কাপড়ে মুড়ে রাখুন
আপনার জুতা ও ব্যাগের স্টোরেজ স্পেসটা কি কাঠের তৈরি? তা হলে কিন্তু এই দিনে ফাঙ্গাস বা পোকামাকড়ের আক্রমণ হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ তাই সেগুলোকে সুতির কাপড় কিংবা শাড়িতে মুড়িয়ে স্টোর করুন৷
আরও পড়ুন:কোরবানির ঈদে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে মাংস বাসায় চলে আসে। অনেক সময় ফ্রিজেও জায়গার অভাব দেখা দেয়। সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায় মাংস। এ রকম পরিস্থিতিতে ফ্রিজ ছাড়াই মাংস সংরক্ষণের উপায় জেনে নিন।
১. মাংস ভালোভাবে ধুয়ে নিন। পরিমাণমতো হলুদ ও লবণ মাখিয়ে পানি দিয়ে জ্বাল দিন। সিদ্ধ হলে জ্বাল বন্ধ করুন। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে এ রকম স্থানে মাংসের হাঁড়িটা রাখুন। অবশ্যই ঢাকনা দিয়ে রাখবেন। এই মাংস দিনে অন্তত দুবার জ্বাল দিলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে।
২. মাংস লম্বা ফালি করে কেটে নিন। চর্বি বাদ দিন। লবণ ও হলুদ মাখিয়ে কড়া রোদে শুকান। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে এয়ারটাইট বক্সে ভরে রেখে দিন। ব্যবহার করার আগ পর্যন্ত বাটি খুলবেন না। মাঝে মাঝে বাটিটা রোদে দিতে পারেন। এভাবে মাংস অনেক দিন ভালো থাকবে। রান্নার আগে মাংস কুসুম গরম পানিতে আধাঘণ্টা ভিজিয়ে তারপর রাঁধুন।
৩. মাংসের বড় টুকরা নিন। পানি ঝরিয়ে ফেলুন। চর্বিজাতীয় অংশ বাদ দিন। এবার সেটা লবণ ও লেবুর রস মাখিয়ে কয়েক ঘণ্টা রাখুন। মাংসের মধ্যে লেবুর রস ভালোভাবে ঢুকেছে কি না, খেয়াল করুন। মাংসগুলো এয়ারটাইট বক্সে ভরে সংরক্ষণ করুন। এভাবে বেশ কয়েক দিন ভালো থাকবে।
৪. চর্বিতে মাংস সংরক্ষণ করা যায়। মাংস মাঝারি সাইজে কেটে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি পাত্রে বেশি পরিমাণে চর্বি দিয়ে তাতে মাংস দিন। চর্বি দেওয়ার সময় মনে রাখবেন মাংস যেন চর্বির অন্তত আধা ইঞ্চি নিচে ডুবে থাকে।
৫. ফালি করে মাংস কেটে নিন। আদা, রসুন ও পেঁয়াজ বাটা দিয়ে মাংসগুলো ম্যারিনেট করে রাখুন। ডুবো তেলে মাংসগুলো ভেজে ফেলুন। ভাজা মাংস থেকে তেল সরিয়ে নিন। ঢাকনা যুক্ত বাটিতে ভরে মাংস সংরক্ষণ করুন। এই মাংস এক দিন পর পর গরম করতে হবে। এভাবে মাংস ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
আরও পড়ুন:গরু দেখতে মোটাতাজা হলেই সেগুলো সুস্থ হবে ব্যাপারটা এমন নয়। অনেক অসাধু বিক্রেতা অল্প পরিশ্রমে বেশি মুনাফার লোভে পশুর শরীরে ক্ষতিকর নানা ধরনের হরমোন প্রয়োগ করে থাকেন। এতে ওই গরু অল্প সময়ের মধ্যে ফুলে-ফেঁপে মোটাতাজা হয়ে ওঠে। এই ধরনের মাংস মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
আসুন জেনে নেই ভালো ও খারাপ গরু চেনার প্রাথমিক কিছু লক্ষণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক খাদ্যে বেড়ে ওঠা গরুর বাহ্যিক ধরন দেখেই চেনা যায়। এ ধরনের গরুর সব সময় তেজি ভাব থাকে। এর শারীরিক আকার ও গঠন যত মোটা এবং ওজন যতই হোক না কেন, সেটি কখনোই হেলে বা ঢলে পড়বে না। বাঁধা অবস্থায় প্রায়ই যেনতেনভাবে ছুটতে চাইবে। ঘন ঘন লেজ নাড়বে। হাঁকডাকে জোরালো হবে। এ দুরন্তপনার মধ্যেও পরক্ষণেই আবার সামনে রাখা খাদ্যে মুখ ডোবাবে। সামলাতে একাধিক লোকের দরকার হবে। এ ছাড়া সুস্থ গরুর নাকের ডগায় বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে থাকবে। মুখে জাবরও কাটবে।
সুস্থ গরু চেনার আরেকটি উপায় হচ্ছে শরীর টিপে টিপে দেখা। এর তুলতুলে শরীরের যেকোনো স্থানে জোরে টিপ দিয়ে আঙুল উঠিয়ে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপরিভাগের চামড়া এবং ভেতরের মাংসপেশি সতেজ ও টান টান হয়ে উঠবে।
অন্যদিকে ক্ষতিকর রাসায়নিক বা স্টেরয়েড হরমোন ব্যবহারের মাধ্যমে মোটাতাজাকৃত গরুর শরীর টিপে দিলে চামড়া ও ভেতরের মাংসপেশি সতেজ ও টান টান হতে কিছু সময় লাগবে। এ ছাড়া এ ধরনের গরুর শরীর বেশ থলথলে দেখাবে। সহজে নড়াচড়া করবে না। স্থির ও ঝিমানো ভাব থাকবে। খাবারে মুখ ডোবাবে কম।
স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা পশু বিশেষ করে গরু-ছাগল দেখতে সুঠাম হবে। এদের যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রাণবন্ত দেখাবে। লোম খুব মসৃণ হবে। কঠিনভাবে বেঁধে রাখা হলেও চাইবে ছোটাছুটি করতে। আর বয়স অনুযায়ী শরীরের চামড়ার পুরুত্ব স্বাভাবিক থাকবে। চোখ থাকবে স্বচ্ছ।
অন্যদিকে অস্বাভাবিক উপায়ে দ্রুত মোটাতাজা করা গরু দেখতে দুর্বল মনে হবে। শরীর হবে থলথলে। সাধারণত এসব গরুর চামড়ার নিচে পানি জমে থাকবে। গরুর শরীরে চাপ দিলে গর্তের মতো দেখাবে। এদের শরীরের মেদের তুলনায় চামড়া পাতলা হবে।
অসুস্থ গরুর শরীরে ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপর তাপমাত্রা থাকবে। দেখা যাবে পাতলা পায়খানা হচ্ছে। মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। সামনে খাবার থাকলেও খাচ্ছে না, এমনকি জাবরও কাটছে না।
আরও পড়ুন:আলুভর্তা আমাদের সবারই পছন্দ। দেশের সব পরিবারেই কমবেশি আলুভর্তা খাওয়া হয়। তবে সুস্বাদু আলুভর্তা খেতে চাইলে মানতে হবে কিছু নিয়ম। চলুন দেখে নেই।
-
আলু ঠিকমতো কাটা
সিদ্ধ করার জন্য আলু খুব বেশি ছোট টুকরা করে কাটা যাবে না। আলুর টুকরা ছোট হলে তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে ঠিকই, কিন্তু অনেক বেশি পানি শোষণ করবে। পাশাপাশি আলুর টুকরাগুলো সমান আকারে কাটার চেষ্টা করতে হবে। আলুর টুকরাগুলো সমান হলে সব টুকরা একসঙ্গে সিদ্ধ হবে। নইলে কিছু আলু টুকরা বেশি সিদ্ধ হবে, কিছু সিদ্ধ হবে কম।
-
ফুটন্ত পানিতে আলু সিদ্ধ নয়
সিদ্ধ করার জন্য ফুটন্ত গরম পানিতে আলু দেয়া যাবে না। এতে দেখা যায়, আলু সিদ্ধ না হয়ে জমাট বেঁধে থাকে। কারণ ফুটন্ত পানিতে দেয়ার কারণে আলুর বাইরের অংশ সিদ্ধ হয় দ্রুত, কিন্তু ভেতরের অংশ শক্ত রয়ে যায়। তাই আলু সিদ্ধ করার সময়, একটা পাত্রে আলু নিয়ে তাতে সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিন। তারপর তাপ প্রয়োগ করা শুরু করুন।
-
পানিতে লবণ দেয়া
আলু সিদ্ধ করার পর তাতে লবণ দিলে অথবা ভর্তা করার পর লবণ দিলে কিছু সমস্যা তৈরি হয়। সমস্যা হচ্ছে, তাতে সর্বত্র সমানভাবে লবণ প্রবেশ করে না। তাই সিদ্ধ করার সময় পানি ঠাণ্ডা থাকা অবস্থায়ই লবণ দিতে হবে। এতে লবণাক্ত পানি আলুর ভেতরে প্রবেশ করবে এবং আলু তা শোষণ করবে।
-
মাখন এবং ক্রিম যোগ করা
আলুভর্তার স্বাদ বাড়াতে অনেকেই মাখন, ক্রিম অথবা ঘি যোগ করেন। সাধারণত এগুলো ফ্রিজে রাখা হয়, তাই ঠান্ডা থাকে। ঠান্ডা অবস্থায় ব্যবহার করার ফলে আলুতে তা ঠিকভাবে শোষিত হয় না। তাই আলুতে মাখন বা ক্রিম মেশাতে চাইলে গরম করে মেশান।
-
অতিরিক্ত মাখানো
আলু অতিরিক্ত মাখানো হলে তা থেকে বাড়তি শ্বেতসার বের হয়। ফলে আলু অনেক বেশি আঠালো, শক্ত ও স্বাদহীন মনে হয়। তাই আলু নিজের হাতে মাখানোর চেষ্টা করুন এবং প্রয়োজনমতো মেখে নিন।
আরও পড়ুন:ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সাধারণত যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তার মধ্যে র্যানসমওয়্যার এখনও সবচেয়ে উদ্বেগজনক এবং হুমকিস্বরূপ।
২০১৩ সালে প্রথম ক্রিপ্টোলকারের আবির্ভাবের পর থেকে আমরা র্যানসমওয়্যারের একটি নতুন যুগ দেখতে পাচ্ছি, যেখানে বিভিন্ন ধরনের স্প্যাম মেসেজ এবং এক্সপ্লয়িট কিটের মাধ্যমে উদ্দেশমূলকভাবে র্যানসমওয়্যার সমৃদ্ধ এনক্রিপ্টেড ফাইল ছড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষ্য হলো, যেকোনো ব্যবহারকারী এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া।
বর্তমানে বড় অথবা ছোট সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই র্যানসমওয়্যারের আক্রমণের হুমকি বেড়ে চলেছে। তাই প্রয়োজনীয় ফাইলগুলোতে অ্যাক্সেস না করতে পারা এবং পরে এর জন্য যে মুক্তিপণ দিতে হয়, তা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতাকে ব্যাহত করে।
বিশ্বব্যাপী, সোফোসের প্রকাশিত ‘দ্য স্টেট অফ র্যানসমওয়্যার রিপোর্ট ২০২২’ এ দেখা যায়, ২০২১ সালে বছর জুড়ে শতকরা ৬৬ ভাগের বেশি সংস্থা র্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার হয়েছিল, যা কিনা ২০২০ সালেও ছিল শতকরা ৩৭ ভাগ।
ফলে এসব প্রতিষ্ঠানকে তাদের এনক্রিপ্টেড ডেটা ফিরে পেতে ৮ লাখ ১২ হাজার ৩৬০ ডলার গড় মুক্তিপণ দিতে হয়েছিল, এর মধ্যে আবার শতকরা ১১ ভাগ ভুক্তভোগীকে ১ মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি মুক্তিপণ দিতে হয়েছিল।
ভারতে সোফোস ‘দ্য স্টেট অফ র্যানসমওয়্যার রিপোর্ট ২০২২’ প্রকাশ করেছে যা গত বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের র্যানসমওয়্যার এর আক্রমণ সম্পর্কে জানান দেয়।
গত বছর ভারতে ৭৮ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান র্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার হয়েছে, যা ২০২০ সালে ছিল ৬৮ শতাংশ। এইজন্য র্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষিত থাকতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বোত্তম ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য এবং তা নিচে দেয়া হলো:
নিয়মিত ব্যাকআপ রাখুন
র্যানসমওয়্যার আক্রমণের ক্ষেত্রে এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান সময় ও আর্থিক সংস্থান বাঁচাতে পারে। এজন্য অফলাইন ও অফসাইটে নিয়মিত ব্যাকআপ এবং আপডেট রাখা জরুরি। এটি আরও নিশ্চিত করবে ডিভাইসটি ভুল হাতে পড়লেও কোনো চিন্তা করতে হবে না।
ফাইল এক্সটেনশন চালু করুন
ডিফল্ট উইন্ডো সেটিংস-এ ফাইল এক্সটেনশন চালু করা থাকে না, ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এটি সনাক্ত করতে থাম্বনেইলের ওপর নির্ভর করতে হয়। এক্সটেনশন চালু করা থাকলে যেকোনো ফাইল সনাক্ত করা আরও সহজ হয়, যেগুলো সাধারণত ব্যবহারকারীকে পাঠানো হয়না, যেমন জাভাস্ক্রিপ্ট।
অযাচিত অ্যাটাচমেন্ট থেকে সতর্ক থাকুন
র্যানসমওয়্যার আক্রমণকারীদের কাছ থেকে সুরক্ষিত থাকতে ব্যবহারকারীদের সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে কোনো অ্যাটাচম্টে ওপেন করা উচিত নয়। কোনো মেইলের নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মেইলটি ওপেন না করা এবং সন্দেহজনক কনটেন্ট হলে সে সম্পর্কে রিপোর্ট করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের অধিকার পর্যবেক্ষণ
আইটি বিভাগের নিশ্চিত করা উচিত যে, তারা ক্রমাগত অ্যাডমিনস্ট্রেটর এবং তাদের অধিকারসমূহ পর্যালোচনা করছে। সেই সঙ্গে কার কাছে সেগুলো রয়েছে এবং যাদের প্রয়োজন নেই তাদের অধিকারগুলো যাতে থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া অ্যাডমিনস্ট্রেটর হিসেবে কেউ যেন প্রয়োজনের বেশি লগইন করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমনকি কেউ অ্যাডমিন হিসেবে থাকা অবস্থায় অযথা ব্রাউজিং, যেকোনো ফাইল খোলা বা অন্য কাজ যাতে না করে সেবিষয়ে ও লক্ষ্য রাখতে হবে।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দেয়া
যদিও এটি তুচ্ছ শোনাচ্ছে, কিন্তু এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো দুর্বল এবং অনুমান করা যায় এমন পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের খুব সহজেই প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করার সুযোগ প্রদান করে। এজন্য সুপারিশ করা হয়, যেকোনো পাসওয়ার্ড যেন কমপক্ষে ১২ অক্ষরের হয়, একই সঙ্গে এটি ক্যাপিটাল, স্মল লেটার, যতিচিহ্ন, সংখ্যা বা কোনো বিশেষ ক্যারেক্টারের মিশ্রণে হওয়া উচিত, যেমন: Ju5t.LiKE#[email protected]। তাহলে যেকেউ সহজে অনুমান করতে পারবে না।
আরও পড়ুন:নানা কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে। তার মধ্যে একটি কারণ হলো, দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অনিয়ম। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি। চলুন দেখে নিই।
-
১ . মাথাব্যথা অনেকটাই খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। কোন খাবার খাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে স্বাস্থ্য। যদি কোনো খাবার সঠিকভাবে হজম না হয় কিংবা গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে, তাহলে মাথা ব্যথা হতে পারে। চিজ, প্যান কেক কিংবা প্যাকেটজাত খাবার থেকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
-
২. বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট এবং সঠিক সময় থাকা দরকার। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলেও মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
-
৩. পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি সুস্থ থাকার জন্য। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। সেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলেও মাথাব্যথা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
-
৪. অত্যধিক মদ ও ধূমপানের কারণেও হতে পারে মাথাব্যথা। তাই মাথাব্যথা এড়াতে মদ ও ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুন:বয়স ৪৫ পার হলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেগুলো আগে কখনও হয়নি। তাই এসব সমস্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে আগেই। এই বয়সে নিয়মিত কিছু চেকআপ করতে হবে। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি। চলুন দেখে নিই।
-
রক্তচাপ পরীক্ষা
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই বয়সে যেহেতু হৃদরোগের প্রবণতা অনেক বেশি থাকে, তাই রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করানোটা অত্যন্ত জরুরি। রক্তচাপ সঠিক থাকলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা এবং আরও নানা সমস্যা প্রতিরোধ করা যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
-
প্রস্টেট পরীক্ষা
চিকিৎসকদের মতে, এই বয়সে পুরুষদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে। প্রতি বছর বহু মানুষ প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাই বয়স ৪৫ পেরোলেই প্রস্টেট পরীক্ষা করা জরুরি।
-
থাইরয়েড পরীক্ষা
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যে অবশ্যই থাইরয়েড পরীক্ষা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি কখনও আচমকা অনেকটা ওজন কমে যায়, মাথা ঘোরা, বমিভাব, আচমকা ওজন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
-
ডায়াবেটিস
এ রোগটি সম্পর্কে সচেতন করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ডায়াবেটিস একবার শরীরে বাসা বাঁধলে তা চিরস্থায়ী। তবে নিয়মিত ওষুধ খেলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানোটা অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন:বর্তমান যুগের আধুনিক রান্নাঘরে নানা রকম যন্ত্রপাতি থাকে। এই যন্ত্রগুলো আমাদের দৈনন্দিন কাজ সহজ করে দেয়। তবে এসব যন্ত্রপাতি থেকেই হতে পারে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই বিষয়টি। চলুন দেখে নেই।
-
ফ্রিজ
সব ধরনের ফ্রিজ থেকে ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন নামের গ্যাস নির্গত হয়। এই গ্যাস শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে এই গ্যাসের প্রভাবে তীব্র মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে।
-
মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ থেকে নির্গত রশ্মি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া ওভেনে ব্যবহার করা বাসনপত্র ওভেন প্রুফ না হলে খাবারে ক্ষতিকর পদার্থ মিশতে পারে। তাই ওভেন প্রুফ বাসনপত্র ব্যবহার করুন।
-
অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র
অ্যালুমিনিয়ামের বাসনে রান্না করলে সেখান থেকে ক্যাডমিয়াম নামের এক পদার্থ নির্গত হয়। এটা শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতিকর।
-
এয়ার ফ্রায়ার
এয়ার ফ্রায়ারে উচ্চ তাপে খাবার রান্না করলে সেখান থেকে অ্যাক্রিলামাইড নামের ক্ষতিকর পদার্থ তৈরি হতে পারে। এই পদার্থটি ক্যানসার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য