ছোটবেলা থেকেই আমরা পছন্দের রং বেছে নিতে চাই। তবে আশ্চর্যজনকভাবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পছন্দ প্রায়ই বদলে যায়। আর এ বিষয়টি আসলে আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
রং-পেনসিল (ক্রেয়ন) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্রেওলা ১৯৯৩ সালে বিষয়টি জানতে ভীষণ আগ্রহী হয়ে ওঠে। কৌতূহলী হয়ে তারা সে সময় একটি অবৈজ্ঞানিক জরিপ চালায়।
তারা যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের কাছে তাদের প্রিয় রং কোনটা জানতে চেয়েছিল। বেশির ভাগই উত্তর দিয়েছিল- নীল। উত্তরের শীর্ষ ১০ রঙের মধ্যে তিনটি ছিল নীলঘেঁষা রং।
সাত বছর পর প্রতিষ্ঠানটি আবার জরিপ চালায়। ২০০০ সালের ওই জরিপেও পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিল নীল রং। এবার শীর্ষ ১০ রঙের তালিকায় ছয়টিই নীলঘেঁষা। এই তালিকায় ছিল গোলাপি, বেগুনি এবং সবুজ রংও।
পছন্দের রঙের তালিকায় নীলের আধিপত্যে অবাক নন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ রোড আইল্যান্ডের সহযোগী অধ্যাপক লরেন ল্যাব্রেক। বিপণনে রঙের প্রভাব নিয়ে কাজ করেন তিনি। প্রায়ই তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তাদের পছন্দের রং জানতে চান।
লরেন ল্যাব্রেক বলেন, ‘৮০ শতাংশই নীল বলে। কারণ প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সবাই নীল পছন্দ করতে শুরু করি। আমার মনে হয় এটি ক্রস কালচার। বড় কোনো পার্থক্য নেই। মানুষ এমনিই নীল পছন্দ করে।’
পছন্দের রঙের নির্বাচনের বিষয়টি শৈশবে উদ্ভাসিত হতে থাকে। গবেষণা বলছে, শিশুরা গাঢ় এবং মোটামুটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ রং পছন্দ করে। সময়ের সঙ্গে শিশুরা নির্দিষ্ট রঙের সঙ্গে মজবুত সখ্য গড়ে তুলতে শুরু করে। তারা উজ্জ্বল রং যেমন কমলা, হলুদ, বেগুনি কিংবা গোলাপি (ইতিবাচক আবেগের সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনা বেশি) পছন্দ করে থাকে।
৪-১১ বছর বয়সী ৩৩০ জন শিশুর ওপর চালানো এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, তারা একটি ‘সুন্দর’ অক্ষর আঁকার সময় পছন্দের রং ব্যবহার করে। অন্যদিকে, ‘দুষ্ট’ চরিত্র আঁকায় কালো রং ব্যবহারের প্রবণতা দেখায়। যদিও অন্য গবেষণাগুলো এ ধরনের সংযোগ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
সামাজিক চাপও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মেয়েদের পোশাক এবং খেলনা কেনার ক্ষেত্রে রংটি গোলাপি হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া শিশুর বয়স বাড়ার বিষয়টি রং বাছাইয়ে শক্তিশালী প্রভাব ফেলে।
বলা হয়ে থাকে, কৈশোরে এসে শিশুরা গাঢ় বা উজ্জ্বল রঙের দিকে বেশি ঝোঁকে। তবে এ বিষয়ে খুব বেশি অ্যাকাডেমিক গবেষণা নেই।
যুক্তরাজ্যের কিশোরীদের বেগুনি এবং লাল রঙের প্রতি আকৃষ্ট হতে দেখা গেছে; যেখানে ছেলেরা সবুজ এবং হলুদ-সবুজ পছন্দ করে।
ব্রিটিশ কিশোরদের বেডরুমের রঙের পছন্দের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের সাদা বেছে নেয়ার প্রবণতা বেশি, যেখানে লাল এবং নীল তাদের পছন্দের রং। বেশির ভাগ প্রাপ্তবয়স্করা নীলকে তাদের প্রিয় রং দাবি করে থাকে; অন্যদিকে উজ্জ্বল হলুদ বাদামি রং তাদের অপছন্দের তালিকায় শীর্ষে।
পছন্দের রং নির্বাচিত হয় কীভাবে?
এর সহজ উত্তর হলো, আমাদের পছন্দের জিনিস আছে বলেই পছন্দের রং আছে। এটাই ইকোলজিক্যাল ভ্যালেন্স থিওরির সারাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক কারেন শ্লোস এবং তার সহকর্মীরা এ ধারণাটি তুলে ধরেছেন। বিভিন্ন পরীক্ষায় তারা দেখিয়েছেন, পছন্দের রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিশেষে কিছু কারণ আছে। বেশির ভাগই অতীতের কোনো ছবিকে নিজের জীবনের সঙ্গে জুড়ে একটা অবস্থান তৈরি করে থাকেন পছন্দের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে।
কারেন শ্লোস বলেন, ‘কেন আপনার পছন্দ সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে। আসলে আমাদের চারপাশে ঘটা প্রতিদিনের ঘটনাগুলো এর জন্য দায়ী।’
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া-বার্কলেসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানেও বেশকিছু নিরীক্ষা চালিয়েছেন শ্লোস ও তার দল। একটি বোর্ডে কতগুলো রঙের স্কয়ার দেখিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের পছন্দেরটা বেছে নিতে বলা হয়।
কিছুপর সেই স্বেচ্ছাসেবকদের নতুন কিছু রঙিন ছবি দেখানো হয়। এখানে হলুদ, উজ্জ্বল নীল, লাল এবং সবুজ রং প্রাধান্য পায়।
হলুদ এবং নীল ছবিগুলো স্ট্যাপলার বা স্ক্রু ড্রাইভারের। অন্যদিকে লাল এবং সবুজ রঙের ছবিগুলো ইচ্ছা করেই এলোমেলো করে রাখা ছিল।
অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকই লাল ছবির দিকে তাকিয়ে ছিল। এটা তাদের মধুর অভিজ্ঞতাকে (ভালোবাসা দিবস, রসালো স্ট্রবেরি বা গোলাপ) জাগিয়ে তোলে। অন্যদিকে, সবুজ ছবিগুলো তৈরি করা হয়েছিল ঘৃণা বা অস্বস্তি তৈরির জন্য (পুকুরের ময়লা)।
বাকি অর্ধেক অংশগ্রহণকারী এই ধারণাগুলোর বিপরীত মত দিয়েছেন। তারা লাল রংকে ‘কাঁচা ক্ষত’ আর সবুজকে ঘূর্ণায়মান পাহাড় বা কিউই ফলের সঙ্গে কল্পনা করেছেন।
এবার একটি পরিবর্তন খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। স্বেচ্ছাসেবীরা ইতিবাচক রঙের দিকে বেশি ঝুঁকেছে। নেতিবাচক রংগুলো তারা এড়িয়ে গেছেন।
পরদিন এই স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর আবারও পরীক্ষা চালান গবেষক দল। এবার তারা দেখতে চেয়েছেন, তাদের পছন্দ রাতারাতি বদলে যায় কি না।
শ্লোসের বলেন, ‘অভিজ্ঞতাগুলোকে ক্রমাগতভাবে আমরা যেভাবে দেখি এবং ব্যাখ্যা করি তার ওপর প্রভাব ফেলছে। রঙের সঙ্গে আপনার অভিজ্ঞতার সারাংশ হিসেবে পছন্দগুলোকে ভাবুন, দেখবেন আপনার নিয়মিত দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা মতামতকে প্রভাবিত করে।’
রঙের পছন্দের ওপর শ্লোসের কাজটিও অসাবধানতাবশত নীলের অবস্থানকে প্রিয় হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। ১৮০০-এর দশকে প্রথম রেকর্ড হওয়া রঙের গবেষণার পর থেকে নীলের রাজত্ব নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া রঙের সঙ্গে আমাদের বেশির ভাগ অভিজ্ঞতা ইতিবাচক হতে পারে। যেমন সুন্দর সমুদ্র বা পরিষ্কার আকাশ। একইভাবে কর্দমাক্ত বাদামি রংটিকে মানুষ অপছন্দ করেছেন। কারণ, এটিকে জৈবিক বর্জ্য বা পচা খাবারের সঙ্গে তুলনা করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
তারপরও রং পছন্দের ক্ষেত্রে ব্যক্তির পরিচয়ের কোনো ভূমিকা আছে কি না তা জানার জন্য নিউ ইংল্যান্ডের স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর পরীক্ষা চালান শ্লোস এবং তার দল। অংশগ্রহণকারীদের বলা হয়েছিল, বছরের চারটি ঋতুতে সাপ্তাহিকভাবে তাদের রঙের পছন্দ এবং অপছন্দগুলোকে চিহ্নিত করতে।
শ্লোস বলেন, ‘তাদের মতামত সরাসরি প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত বলে মনে হয়। পছন্দ বা অপছন্দের বৃদ্ধি এবং পতন প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
‘পরিবেশের রং পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পছন্দগুলোও বাড়ছে। সবচেয়ে বড় উত্থান এসেছিল শরত্কালে, যখন উষ্ণ রং- গাঢ় লাল ও কমলাপাতার মতো রংগুলোতে বেশি আকর্ষিত হয়েছিল অংশগ্রহণকারীরা।’
শরতে এমন উচ্ছ্বাসের বিষয়ে শ্লোস জানান, তিনি যে অঞ্চলে গবেষণাটি পরিচালনা করেছিলেন সে অঞ্চলটি শরৎকালীন প্রদর্শনের জন্য বিখ্যাত। তাই স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে সে সময়টা পছন্দের হতে পারে।
‘সম্ভবত এটি পরিবেশে একধরনের দ্রুত ও নাটকীয় পরিবর্তন। অন্যদিকে শীতকাল অনেক সাদা এবং বাদামি। তবে এটি দেখতে সাধারণত আমরা খুব একটা বাইরে যাই না।’
আমরা যে পরিবেশে বাস করি তা অন্যান্য উপায়েও আমাদের রঙের পছন্দের বিষয়টিকে প্রভাবিত করে। ক্যালিফোর্নিয়া-বার্কলে এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ওপর শ্লোস পরিচালিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, কলেজে রঙের ভিন্নতা পছন্দেরটিকে বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা স্কুলের মূল্যবোধ এবং চেতনাকে গোলাপের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
এটা অনুমান করা সহজ যে ইকোলজিক্যাল ভ্যালেন্স থিওরিকে ধরে রাখতে সময় লাগবে। তবে পরীক্ষামূলক মনোবিজ্ঞানী ডোমিসেল জোনাউসকাইট বলেছেন, এটি ভুল।
তিনি সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ লুসানে রঙের জ্ঞানীয় এবং আবেগপূর্ণ অর্থ নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন, কীভাবে ছেলে এবং মেয়ে নীল এবং গোলাপি রংকে দেখে।
মেয়েদের গোলাপির প্রতি ভালোবাসা স্কুলজীবনের শুরু থেকে কৈশোরে পৌঁছানর আগ পর্যন্ত। তবে ছেলেরা ছোটবেলা থেকেই গোলাপি এড়িয়ে চলে। তারা মনে করে ‘আমি যেকোনো রং পছন্দ করতে পারি- শুধু গোলাপি নয়।’
জোনাউসকাইট বলেন, ‘একজন ছেলের জন্য গোলাপি পছন্দ করা সত্যিই বিদ্রোহী। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের মধ্যে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন যিনি বলবেন, “গোলাপি আমার প্রিয়”।’
অতীতে কিছু গবেষক প্রস্তাব করেছেন যে এই বিশেষ রঙের পছন্দ, লিঙ্গ অনুসারে নির্ধারিত হয়। জোনাউসকাইট বলেন, ‘পেরুভিয়ান আমাজনের গ্রামগুলো এবং কঙ্গোর উত্তরাঞ্চলে একটি চরা গোষ্ঠীর কোনো মেয়েশিশুই গোলাপি রং পছন্দ করেনি।
‘আসলে ১৯২০-এর দশকের আগে গোলাপিকে স্টিরিওটাইপিকভাবে পুরুষের রং হিসেবে দেখা হতো। ২০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এটি মেয়েদের সঙ্গে যুক্ত হয়।’
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ সাসেক্স কালার গ্রুপ ও বেবি ল্যাব সহকারী অ্যালিস স্কেলটন দীর্ঘদিন শিশুদের মনস্তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা করেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, কীভাবে রঙের প্রাথমিক পছন্দগুলো পরবর্তী জীবনে নান্দনিক পছন্দগুলোয় রূপান্তরিত হয়।
তিনি বলেন, ‘কম বয়সী শিশুরাও রং বুঝতে পারে। তুলনা করতে পারে।
‘এটি ভুল ধারণা যে শিশুরা জন্ম থেকেই রং দেখতে পারে না, তারা দেখতে পারে। যে রিসেপ্টরগুলো সবুজ এবং লাল অনুধাবন করে, তারা জন্মের সময় বেশি পরিপক্ব হয়। তাই তীব্র লাল রঙে নবজাতকরা সহজে আকৃষ্ট হয়।
‘আমরা পৃথিবীতে যে বস্তুগুলোর মুখোমুখি হই, সেখান থেকে আমরা রঙের অর্থ যোগ করি, সেটা ছোটদের ক্ষেত্রেও সত্য। শিশুরা কেবল তখনই রঙের দিকে মনোযোগ দেবে, যখন এটির সঙ্গে একটি ফাংশন যুক্ত থাকে। তারা এমন রঙের দিকে মনোযোগ দেবে না, যতক্ষণ না তারা সেটি থেকে কিছু শিখতে পারছে।
‘কল্পনা করুন আপনার কাছে দুটি বোতল আছে। একটি সবুজ, অন্যটি গোলাপি। সবুজ রঙের বোতলটিতে সুস্বাদু তরল, গোলাপিটিতে টক মিশ্রণ। শিশুরা সেই রংগুলো লক্ষ করবে এবং মনে রাখবে। কারণ রঙের এই পার্থক্য থেকে দুটি বস্তুর পার্থক্য নির্ণয় করতে পারছে তারা। বিষয়টা অনেকটা পাকা কলার মতো, যার রংই প্রয়োজনীয় সংকেত।’
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় পবিত্র সরায়ু নদীতে গোসল করার সময় স্ত্রীকে চুম্বন করায় এক ব্যক্তিকে মারধর করে ক্ষিপ্ত জনতা। নিপীড়নের এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিন্দার ঝড় ওঠে। ভিডিও হাতে পেয়েই তদন্তে নামে অযোধ্যা পুলিশ।
গঙ্গার সাতটি উপনদীর একটি সরায়ু। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি পবিত্র নদী বলে বিবেচিত হয়। বলা হয়ে থাকে, ভগবান রামের জন্মস্থান এই সরায়ু নদীর তীরে।
গত বুধবার সরায়ু নদীর ‘রাম কি পায়দি’ ঘাটে এই ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, ঘাটের কাছে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গোসল করছে এক যুবক। পানিতে ডুব দিয়ে ওঠার পর খানিকটা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন স্ত্রী। তিনি স্বামীকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেন। ওই সময় স্ত্রীর ঠোঁটে চুমু খান যুবক। এতে মুহূর্তেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গোসলরত অনেকে। প্রথমে এক ব্যক্তি এগিয়ে যুবককে আঘাত করেন এবং হুঁশিয়ারি দেন, ‘এটা অযোধ্যা, এখানে এমন অসভ্যতামি, অশ্লীলতা চলবে না।’
अयोध्या: सरयू में स्नान के दौरान एक आदमी ने अपनी पत्नी को किस कर लिया. फिर आज के रामभक्तों ने क्या किया, देखें: pic.twitter.com/hG0Y4X3wvO
— Suneet Singh (@Suneet30singh) June 22, 2022
এ কথা বলতে না বলতে যুবককে মারতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। স্ত্রী তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আরও কয়েকজন এগিয়ে এসে মারতে থাকেন যুবককে। চলতে থাকে একের পর এক চড়, ঘুষি আর লাথি।
ভিডিওতে দেখা যায় প্রাণপণে তাদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন তরুণী। ততক্ষণে অনেকে ঘিরে ফেলে যুবককে। শেষ পর্যন্ত ওইভাবে মারতে মারতেই তাকে পানি থেকে টেনে-হিঁচড়ে ঘাটে তুলে দেয়া হয়। ওই দম্পতিকে ঘাট এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন ওই দলে থাকা ১০-১২ জন পুরুষ।
নিপীড়নের এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই অনেকে প্রশ্ন তোলেন, ‘অযোধ্যা হোক বা অন্য কোনো পবিত্র স্থানই হোক, স্ত্রীকে চুমু খেয়েছেন বলে স্বামীকে মারধর করা হবে? কিসের ভিত্তিতে এই কাজকে অপরাধ বলা হচ্ছে?
এরই মধ্যে ঘটনার ভিডিও পৌঁছায় পুলিশের কাছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
অযোধ্যার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি) শাইলেস পান্ডে বলেন, ‘ভিডিওটি এক সপ্তাহ আগের, তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অযোধ্যা কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ করলে নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:মানুষের জীবনে ভালোবাসার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। অনেকে বলেন, ভালোবাসাই সবকিছু। ভালোবাসাকে ঘিরেই জীবনের বাকি সব উপাদান টিকে আছে। কিন্তু সত্যিকার ভালোবাসা কয়জনের কপালেই বা জোটে। এবার ক্যাথলিক ধর্মগুরু ও ভ্যাটিক্যান সিটির পোপ ফ্রান্সিস সত্যিকার ভালোবাসার নতুন এক পথ বাতলে দিলেন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, সতীত্ব থেকেই সত্যিকার ভালোবাসা আসে।
দম্পতিদের সঙ্গে কাজ করতে নিযুক্ত পুরোহিত ও ডায়োসিসের জন্য নতুন নথির মুখবন্ধে পোপ ফ্রান্সিস লিখেছেন, সত্য, সূক্ষ্ম ও উদার প্রেমের উপযুক্ত সময় ও উপায় শেখায় সতীত্ব।
তিনি দাবি করেন, এখনকার দাম্পত্য সম্পর্কগুলো দ্রুত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, কিন্তু সতী দম্পতিরা যৌন সম্পর্কের চাপ ছাড়াই কীভাবে একসঙ্গে থাকতে হয় তা শিখতে সক্ষম হয়। যখন তাদের বয়স হয়ে যায়, যৌন চাহিদা আর থাকে না। তখনও এই শিক্ষা তাদের সাহায্য করে। তারা সুখে বসবাস করতে থাকে।
সদ্য ভ্যাটিকান থেকে প্রকাশিত ৯৭ পৃষ্ঠার নথিতে পোপ যেই বক্তব্য দিয়েছে, এর আগে তালাকপ্রাপ্ত ও সমকামী দম্পতিদের প্রতি পোপের খোলামেলা পূর্বের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত। এর আগে পোপ সমকামীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনারা যেমন, সেভাবেই ঈশ্বর আপনাকে ভালোবাসেন। এমন কি তালাক হয়ে যাওয়া নারীদের বিষয়েও তার চিন্তাভাবনা ছিল প্রগতিশীল।
অথচ নতুন নথিতে বলা হয়েছে, চার্চ কখনই সতীত্বের মূল্যবান গুণের প্রকাশ করতে সাহস দেখানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থ হবে না, যদিও এটি এখন সাধারণ মানসিকতার সরাসরি বিপরীত। সতীত্বকে অবশ্যই খাঁটি প্রেমের মিত্র হিসেবে তুলে ধরতে হবে। প্রেমে অস্বীকারকারী হিসেবে নয়।
যদিও ধর্মতত্ত্ববিদরা যৌনতার বিষয়ে ক্যাথলিক চার্চের অবস্থানের বিষয়ে একমত নন। তাদের মতে, বিয়ের বিষয়ে চার্চের ধারণা সেকেলে।
ইতালীয় ধর্মতত্ত্ববিদ ভিটো মানকুসো বলেন, ‘ক্যাথলিকরা সব সময় যৌনতাকে বাদ দিয়ে এসেছে। এটি একটি গুরুতর নৈতিক ত্রুটি।’
আরও পড়ুন:ডেটিং অ্যাপে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইন্দোনেশিয়ার এক নারীর জীবনে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।
টাইমস নাউ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার এক নারী দাবি করেছেন, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ৩ মাস প্রেমের পর ভালোবেসে বিয়ে করা তার স্বামী আসলে পুরুষই নন, একজন নারী।
অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো তার স্বামী যে পুরুষ নন, এই বিষয়টি তিনি ধরতে পারেন বিয়ের ১০ মাস পর।
অভিযোগকারী নারী যার ছদ্মনাম এনএ, তার আইনি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এক ডেটিং অ্যাপে তার সঙ্গীর সঙ্গে পরিচয় হয়। যার ছদ্মনাম এএ। তখন তিনি জানতে পারেন এএ একজন সার্জন ও একই সঙ্গে কয়লা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরেন।
পরে এক গোপন অনুষ্ঠানে বিয়ে করেন এই জুটি। এরপরে নতুন বাড়িতে বসবাস করতে পরিবার থেকে তারা দূরে চলে যায়।
কিন্তু দম্পতি দক্ষিণ সুমাত্রায় চলে যাওয়ার পরই বর কনের পরিবারকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।
মিররের একটি প্রতিবেদন অনুসারে এনএ দাবি করেছে, তার পরিবার থেকে ১৬ হাজারের বেশি পাউন্ড নিয়েছে এএ।
একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সার্জনের এমন টাকা নেয়ার ঘটনায় সন্দেহ হয় এনআইয়ের। একই সঙ্গে বুঝতে পারেন যে আসলে তার স্বামী পুরুষই নন।
ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি জেলা কোর্টে হাজির হয়ে এএ দাবি করেন যে তার সঙ্গী আইনি বিয়ের কোনো নথি উপস্থাপন করতে পারেনি।
যদিও এনএ বলেছিলেন, তার সঙ্গী এএ ‘গোপন বিয়ের’ আয়োজন করেছিল। এসব অনিবন্ধিত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিয়ের গল্প শেয়ার করার পর এনএ নেটিজেনদের থেকে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন।
ইন্দোনেশিয়ায় এরই মধ্যে খবরটি জাতীয় খবরে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঘোড়াটির নাম সুগার। ভীষণ অলস। কাজ দেখলেই অলসতা বেড়ে যায় তার। ধরে ঘুমের ভান। জিম রোজ নামের এক ব্যক্তি টুইটারে সম্প্রতি ঘাসে তার পাশে থাকা সুগারের একটি ছবি শেয়ার করেছেন। মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘সুগারের সঙ্গে দেখা করুন। সে চড়াতে পছন্দ করে না। যদি সুগারের কাছে জিন নিয়ে যাই, সে শুয়ে পড়ে। ঘুমের ভান করে। রাইডাররা চলে না যাওয়া পর্যন্ত সে চোখ খুলে না।’
পোস্টটি ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছে। এরই মধ্যে এটিতে চার লাখ ৭৬ হাজার বারের বেশি লাইক পড়েছে। ৪১ হাজারের বেশি রিটুইট হয়েছে।
নেটিজেনরা স্পষ্টতই সুগারকে তাদের ‘আত্মার প্রাণী’ হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন।
একজন ব্যবহারকারী লেখেন, ‘সুগার আমার প্রাণের পশু।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘সত্যি বলতে ও একটা স্মার্ট ঘোড়া।
আরেকজন লিখেছেন, ‘ভালো ঘোড়া। আমি চাই ও আমার অফিসে কাজ করুক। আমি চড়তেও পছন্দ করি না।’
Meet Sugar, she doesn't like to be ridden. If Sugar is approached with a saddle she lyes down and pretends to be asleep. Sugar refuses to open her eyes until the riders leave. pic.twitter.com/FWaKYoKlHx
— jim rose circus (@jimrosecircus1) June 12, 2022
একজন উদ্বিগ্ন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি চাই সে উঠুক। ঘোড়াকে শুয়ে থাকতে দেখিনি। আমি ভেবেছিলাম মৃত্যুর আগে ঘোড়ারা কখনও শুয়ে পড়ে না।’
ঘোড়ারা আদতে ঘুমানোর জন্য শুয়ে থাকে। প্রাণী আচরণ বিশেষজ্ঞ সুসান হ্যাজেলকে উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক পোস্ট বলছে, প্রচণ্ড ঘুমের সময় অনেক প্রজাতির মধ্যে এমন প্রবণতা দেখা যায়।
আরও পড়ুন:স্বামী হত্যার দায়ে দণ্ড পাওয়ার ঘটনা মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। এবারও এসেছে এমনই এক খবর; তবে আছে ভিন্ন মাত্রা। আর এই মাত্রা যোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী লেখক।
‘স্বামীকে কীভাবে হত্যা করবেন’ বইয়ের এই লেখক নিজেই কারাগারে গেলেন স্বামী হত্যার দায়ে। ন্যান্সি ক্র্যাম্পটন ব্রফিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে ওরেগন রাজ্যের একটি আদালত। দণ্ড ভোগের ২৫ বছর নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেতে পারন তিনি।
বিবিসি বলছে, আদালতের সোমবারের রায় অনুযায়ী, ৭১ বছর বয়সী রোমান্টিক লেখক ন্যান্সি গুলি করে ৬৩ বছর বয়সী স্বামী ড্যানিয়েল ব্রফিকে হত্যা করেছিলেন। তিনি গত মাসে দোষী সাব্যস্ত হন।
২০১৮ সালে স্বামীর জীবন বীমার দেড় মিলিয়ন ডলার অর্থ পেতে তাকে হত্যা করেন ন্যান্সি। ব্রফি ওরেগন কিউলিনারি ইনস্টিটিউটের একজন শেফ এবং প্রশিক্ষক ছিলেন। তাকে ইনস্টিটিউটের রান্নাঘরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
রোমান্টিক ও রহস্যজনক ধাঁচের উপন্যাসের লেখক ন্যান্সি ‘স্বামীকে হত্যা’ সংক্রান্ত উপন্যাস ছাড়াও লিখেছেন ‘ভুল স্বামী’ ও ‘ভুল প্রেমিক’ নামের দুটি উপন্যাসও।
দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ন্যান্সি এর আগে এক পোস্টে লিখেছিলেন, হত্যা সম্পর্কে আমি যে জিনিসটি জানি তা হলো এই চিন্তাধারা আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে রয়েছে।
২০১১ সালে প্রকাশিত হয় ন্যান্সির ‘স্বামীকে কীভাবে হত্যা করবেন’ বা ‘হাউ টু মার্ডার ইয়োর হাজব্যান্ড’ বইটি। এতে কীভাবে হত্যা করতে হয় তার বিস্তারিত লেখেন তিনি। ওই বইয়ে হত্যার বেশ কিছু পদ্ধতির বর্ণনা দেন তিনি।
ন্যান্সির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা।
আরও পড়ুন:নির্ভরতার কোনো হাত পাচ্ছিলেন না, সংকটে পড়েছিল আস্থায়ও। তাই নিজেকেই নিজে বিয়ের সিদ্ধান্ত। আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয় সে বিয়ে। কিন্তু টেকসই হয়নি; মাত্র তিন মাস নিজে নিজের ঘর করতে পেরেছিলেন তিনি!
ব্রাজিলের এক মডেল গত বছর ঘটিয়েছিলেন এমন ঘটনা। ভারতের গুজরাটের এক তরুণীর নিজেকে নিজের বিয়ের পর ব্রাজিলের মডেলের ঘটনা সামনে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই বিয়ে টিকবে নাকি পরিণতি হবে ব্রাজিলের মডেলের মতোই।
নিউজ এইটিন বলছে, সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের চেয়ে ভালো কাউকে পেয়ে নিজেকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে বিয়ে করার কথা জানিয়েছিলেন সাউ পাওলোর ৩৩ বছর বয়সী ক্রিস গ্যালেরা।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ক্রিস। তবে তা টিকেছিল মাত্র তিন মাস। পরে তিনি জানান, একজন পুরুষের প্রেমে পড়েছেন। তাই নিজেকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে বিয়ে করছেন।
সাও পাওলোর গির্জায় বসেছিল মডেল ক্রিসের বিয়ের আসর। একটু খোলামেলা পোশাক পরেই বিয়ে করতে এসেছিলেন। গির্জার সামনে ফুল হাতে ছবিও দেন। যেমন বিয়ের পর নবদম্পতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু সেই একক ‘দাম্পত্যে’ চিড় ধরে।
নিজের সঙ্গে নিজের বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যতদিন সম্পর্কটা ছিল আমি বেশ সুখীই ছিলাম। তবে বিশেষ একজনের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর আমি আবার নতুন করে প্রেমে আস্থা ফিরে পেয়েছি।’
সর্বশেষ বুধবার প্রথাগত রীতি ভেঙে স্ববিবাহ, অর্থাৎ নিজেকেই নিজে বিয়ে করেন ভারতের গুজরাটের এক তরুণী। এই বিয়েতে সম্পন্ন হয়েছে সব আনুষ্ঠানিকতাই। শুধু ছিলেন না বর।
গুজরাটের গত্রি এলাকায় বুধবার নিজের বাড়িতে খুব কাছের কিছু বন্ধুবান্ধব নিয়ে ক্ষমা বিন্দু বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
সলোগামি বা নিজেকে বিয়ের ঘটনা গুজরাটে এটিই প্রথম। একটি মন্দিরে ১১ জুন সন্ধ্যায় ২৪ বছর বয়সী ক্ষমার বিয়ের কথা ছিল। তবে কিছু বিতর্ক এড়াতে এর দুদিন আগেই বিয়ের আয়োজন সারেন তিনি।
অন্যসব বিয়ের মতোই বিয়েতে ব্যবস্থা ছিল হলুদ ও মেহেদির। ৪০ মিনিট ধরে চলে আনুষ্ঠানিকতা। বন্ধুরা ছিটাতে থাকেন ফুল। তরুণীও শপথ নেন নিজেকে ভালোবাসার।
ক্ষমা বিয়ের লাল পোশাকে সজ্জিত হয়েছিলেন, সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে নববধূ হিসেবে পবিত্র আগুনের চারপাশে সাতবার প্রদক্ষিণও করেন। এখন দুই সপ্তাহের হানিমুনে গোয়া যাবেন তিনি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ক্ষমা বিন্দু বলেছেন, তিনি আত্মপ্রেমে জীবন উৎসর্গ করবেন। তার মতে স্ববিবাহ হলো নিজের জন্য এক জীবনধারা, জীবিকা বেছে নেয়ার প্রতিশ্রুতি; যা একজন ব্যক্তিকে সবচেয়ে জীবন্ত, সুন্দর ও গভীরভাবে সুখী ব্যক্তিতে পরিণত করবে।
নিজেকে বিয়ে করার ধারণাটি প্রথম আসে আমেরিকান সিরিজ ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’ থেকে। টেলিভিশন সিরিজের জনপ্রিয় চরিত্র ক্যারি ব্র্যাডশো প্রথম এটি তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু সেটা ছিল নিছক কমেডি সিরিজ।
এরপর এমন স্ববিবাহের ঘটনা বিশ্বে শত শত ঘটেছে। এর বেশির ভাগই ছিলেন অবিবাহিত নারী। নববধূরা আদিম বিবাহের গাউন পরে হেঁটেছেন, একটি ফুলের তোড়া নিয়ে হেঁটেছেন। কখনও কখনও পরিবার ও বন্ধুরাও তাদের উৎসাহ দিয়েছেন।
২০১৮ সালে ৪০ বছর বয়সে নিজেকে নিজে বিয়ে করেন ইতালির এক নারী। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার এক নারী নিজেকে নিজে বিয়ে করে আসেন সংবাদের শিরোনামে।
আরও পড়ুন:প্রথাগত রীতি ভেঙে স্ববিবাহ, অর্থাৎ নিজেকেই নিজে বিয়ে করলেন ভারতের গুজরাটের এক তরুণী। এই বিয়েতে সম্পন্ন হয়েছে সব আনুষ্ঠানিকতাই। শুধু ছিলেন না বর।
গুজরাটের গত্রি এলাকায় বুধবার নিজের বাড়িতে খুব কাছের কিছু বন্ধুবান্ধব নিয়ে ক্ষমা বিন্দু বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
সলোগামি বা নিজেকে বিয়ের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে। তবে গুজরাটে এমন ঘটনা এটিই প্রথম।
একটি মন্দিরে ১১ জুন সন্ধ্যায় ২৪ বছর বয়সী ক্ষমার বিয়ের কথা ছিল। তবে কিছু বিতর্ক এড়াতে এর দুদিন আগেই বিয়ের আয়োজন সারেন তিনি।
অন্যসব বিয়ের মতোই বিয়েতে ব্যবস্থা ছিল হলুদ ও মেহেদির। ৪০ মিনিট ধরে চলে আনুষ্ঠানিকতা। বন্ধুরা ছিটাতে থাকেন ফুল। তরুণীও শপথ নেন নিজেকে ভালোবাসার।
ক্ষমা বিয়ের লাল পোশাকে সজ্জিত হয়েছিলেন, সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে নববধূ হিসেবে পবিত্র আগুনের চারপাশে সাতবার প্রদক্ষিণও করেন। এখন দুই সপ্তাহের হানিমুনে গোয়া যাবেন তিনি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ক্ষমা বিন্দু বলেছেন, তিনি আত্মপ্রেমে জীবন উৎসর্গ করবেন। তার মতে স্ববিবাহ হলো নিজের জন্য এক জীবনধারা, জীবিকা বেছে নেয়ার প্রতিশ্রুতি; যা একজন ব্যক্তিকে সবচেয়ে জীবন্ত, সুন্দর ও গভীরভাবে সুখী ব্যক্তিতে পরিণত করবে।
নিজেকে বিয়ে করার ধারণাটি প্রথম আসে আমেরিকান সিরিজ ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’ থেকে। টেলিভিশন সিরিজের জনপ্রিয় চরিত্র ক্যারি ব্র্যাডশো প্রথম এটি তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু সেটা ছিল নিছক কমেডি সিরিজ।
এরপর এমন স্ববিবাহের ঘটনা বিশ্বে শত শত ঘটেছে। এর বেশির ভাগই ছিলেন অবিবাহিত নারী। নববধূরা আদিম বিবাহের গাউন পরে হেঁটেছেন, একটি ফুলের তোড়া নিয়ে হেঁটেছেন। কখনও কখনও পরিবার ও বন্ধুরাও তাদের উৎসাহ দিয়েছেন।
৩৩ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান মডেল ক্রিস গালেরা নিজেকে বিয়ে করার তিন মাস পরে আবার নিজেকে তালাকও দিয়েছিলেন। কারণ তার থেকেও অসাধারণ কাউকে খুঁজে পেয়েছিলেন। ফলে নিজের সঙ্গে নিজের বিয়ের বিচ্ছেদ তাকে করতেই হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য