হার্ট যখন অপর্যাপ্ত ও অনিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করে, তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক চাপসহ নানা কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ। চলুন দেখে নেই।
-
বুকে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাক হলে সাধারণত বুকের মাঝখানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। আস্তে আস্তে সেই ব্যথা চোয়ালে, বাম কাঁধ ও হাতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
-
শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া
যদি আপনার শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনো সমস্যা না থাকে এবং হঠাৎ করে শ্বাস নেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটা খারাপ লক্ষণ। মূলত হৃদরোগ থেকে ফুসফুসে পানি জমাসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা না থাকার পরও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
-
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড়, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
-
কাশি
আপনার যদি দীর্ঘদিন কাশির সমস্যা থাকে, এবং তার সঙ্গে সাদা বা কিছুটা ঘোলাটে কফ বের হয়, তবে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ঠিকমতো কাজ করছে না। ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে হ্যাঁ, কাশি সব সময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নাও হতে পারে। কফের সঙ্গে নিয়মিত রক্ত বের হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
-
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
যদি কাজ করার মধ্যে আপনি প্রায়ই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান, তাহলে বুঝবেন হার্টের সমস্যা রয়েছে।
-
তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া
আপনি কি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? কিছুক্ষণ কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে? তবে আপনি এখনই কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার প্রধান লক্ষণ এটি।
-
মাথাব্যথা
যখনই প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়, আমরা ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কি, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হলো প্রতিদিনের প্রচণ্ড মাথাব্যথা?
-
অনিয়মিত পালস রেট
আপনি যদি অনেক বেশি নার্ভাস থাকেন বা কোথাও থেকে দৌড়ে আসেন আপনার পালস রেট ওঠা-নামা করতে পারে। তবে এটি যখন কোনো কারণ ছাড়াই হয়, তবে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের আগে এমনটি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন:কান শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কোনো কিছু শোনার জন্য শরীরের এই অঙ্গটি আমাদের সাহায্য করে। অসাবধানতায় কিংবা কান চুলকাতে গিয়ে কাঠি ভেঙে কানের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। আবার পোকামাকড়, মশা-মাছি প্রভৃতি কানের মধ্যে ঢুকে পড়ে নানা সময়ে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন?
-
কানে কিছু ঢুকলে খোঁচাখুঁচি করা যাবে না। কারণ খোঁচাখুঁচি করলে কানে ঢুকে যাওয়া বস্তুটি আরও ভেতরে চলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সমস্যা কমার বদলে বেড়ে যাবে। খোঁচাখুঁচির ফলে কানের পর্দা ফুটো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সে রকম হলে কানে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি হবে।
কানে যেসব বস্তু ঢোকে তার মধ্যে আছে কটনবাডের অংশ, দিয়াশলাইয়ের কাঠি, পাখি বা মুরগির পালক, ধান, ফলের বীজ ও মুড়িজাতীয় বস্তু। তবে জীবন্ত প্রাণী যেমন মশা-মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়েও ঢুকে পড়ে।
কানে কোনো বস্তু ঢুকলে দেরি করে ডাক্তারের কাছে গেলে সমস্যা নেই, তবে প্রাণী ঢুকলে দেরি করা যাবে না। দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসা নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কানে মশা, মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়া বা অন্য কোনো জীব ঢুকলে প্রথমেই কানের ভেতরে টর্চলাইটের আলো ফেলতে হবে। জীবন্ত পোকামাকড় আলোর প্রতি সংবেদনশীল হওয়ায় ওরা বেরিয়ে আসতে পারে।
এ ছাড়া এমন কানের মধ্যে মশা কিংবা মাছি ঢুকে গেলে এক হাত দিয়ে নাক চেপে ধরুন। অন্য হাত দিয়ে অন্য কানটি চেপে ধরুন। তাতে ভেতরে থাকা পোকা অনেক সময়ই বেরিয়ে আসে।
তবে যদি না বের হয়, তাহলে প্রথমেই কানের মধ্যে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেল দিন। পিঁপড়ে বা পোকামাকড় মরে যাবে, ফলে ব্যথা বা অস্বস্তি কমে যাবে।
এরপর নাক কান গলার চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কানের ভেতরে ঢুকে যাওয়া বস্তু এবং তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসক বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে সেই বস্তুটিকে বাইরে বের করে আনবেন।
আরও পড়ুন:প্রতি দিনের খাবারে কমবেশি তেল থাকেই। সচরাচর আমরা সয়াবিন তেল খাই। তবে কেউ কেউ সরিষার তেল, রাইস ব্রান তেল কিংবা ঘি খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব তেলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অলিভ অয়েল। চলুন দেখে নেই অলিভ অয়েলের উপকারিতা।
-
প্রাচীনকালে অলিভ অয়েলকে তরল সোনা হিসেবে গণ্য করা হতো৷ অলিভ অয়েল হলো আসলে জলপাই ফল থেকে তৈরি এক ধরনের তেল, যা মূলত রান্নায় ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই ৷
শরীর সম্পর্কে যারা সচেতন, তাদের রান্না ঘরে সরিষা এবং সয়াবিন তেলের বদলে জায়গা করে নিয়েছে এই অলিভ অয়েল ৷
হার্ট অ্য়াটাক, আর্থারাইটিস, স্তন ক্য়ানসার, কোলোরেক্টাল ক্যানসার, জরায়ু ক্য়ানসার থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য়, গলব্লাডারে সমস্যা, মাইগ্রেনের সমস্যা প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে অলিভ অয়েলের ভূমিকা অনেকটাই।
অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ই।
অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও মুক্তি দেয়।
এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রক্তের কোলেস্টেরল কম করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
অলিভ অয়েল স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। অলিভ অয়েলে থাকা মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগ থেকে বাঁচায় অলিভ অয়েলে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন:বাড়িতে এয়ার কন্ডিশনার বা এসির ইলেকট্রিকের বিল নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। পাহাড়সম ইলেকট্রিক বিলের চাপে অনেকেই এসি থাকার পরও চালাতে চান না। তবে চাইলে সহজ কিছু নিয়ম মেনে এসির বিল কমানো সম্ভব। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পুরো বিষয়টি। চলুন দেখে নেই।
-
এসির সার্ভিসিং
যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসেরই নির্দিষ্ট সময় পর পর দেখভাল হওয়া প্রয়োজন। এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাই অনেক দিন এসি বন্ধ থাকার পর অবশ্যই চালু করার আগে একবার দক্ষ টেকনিশিয়ান দিয়ে এয়ার কন্ডিশনার মেশিনের সার্ভিসিং করিয়ে নিন। এতে ইলেকট্রিক বিল কমে আসে।
-
টাইমার সেট করুন
এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের সময় টাইমার অন করুন। এর ফলে নির্দিষ্ট সময় পরে এসি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে অতিরিক্ত ব্যবহার হবে না এবং ইলেকট্রিসিটি বিলও কম হবে।
-
সঠিক তাপমাত্রা
এয়ার কন্ডিশনারে সঠিক তাপমাত্রা সেট করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ইলেকট্রিক বিল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব ব্যুরো অফ এনার্জি এফিশিয়েন্সির মতে মানুষের শরীরের জন্য ২৪ ডিগ্রি এসির টেম্পারেচার আদর্শ। তাই এসি চালানোর সময় কত টেম্পারেচার সেট করছেন সেদিকে অবশ্যই নজর দিন।
-
সঠিক পদ্ধতিতে মেশিন বন্ধ করুন
এসি ব্যবহার না করলে অবশ্যই পাওয়ার বাটন বন্ধ করুন। অনেকেই শুধু রিমোট দিয়ে এসি বন্ধ করে ছেড়ে দেন। এভাবে এসি অফ করে লাভ নেই। পাওয়ার বাটন অফ করলে তবেই ইলেকট্রিসিটি বিল কমানো সম্ভব। তাই এসি বন্ধ করার সময় খেয়াল রাখুন।
-
দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন
এসি চালানোর সময় খেয়াল রাখুন যাতে ভালোভাবে সেই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকে। নাহলে ঘর ঠাণ্ডা হতে অনেক সময় লাগবে। তার ফলে বেশিক্ষণ এসি চলবে এবং ইলেকট্রিকের বিলও বেশি আসবে।
আরও পড়ুন:মাছে ভাতে বাঙালি। তিন বেলা ভাত না খেলে আমাদের পেট যেন ভরেই না। এত ভাত খাওয়া কি শরীরের জন্য ভালো? এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পুরো ব্যাপারটা। চলুন দেখে নেই।
-
আর্সেনিক
গবেষকদের মতে, বেশি ভাত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ চাষ করার সময়ই মাটি ও পানি থেকে ধানের মধ্যে আর্সেনিক প্রবেশ করে। পরবর্তীকালে ধান থেকে চাল এবং ভাত হওয়ার সময়ও সেই আর্সেনিক থেকে যায়। এই বিষাক্ত পদার্থটি শরীরে নিয়মিত প্রবেশ করতে থাকলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
-
শর্করা
ভাত আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ভাত খাওয়া উচিত।
-
ওজন বাড়ায়
ভাতে থাকা বিপুল পরিমাণ ক্যালোরি আমাদের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই অবশ্যই পরিমাণ বুঝে ভাত খাওয়া দরকার।
-
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিদ্ধ চালে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রনে ভরপুর। এটা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। রয়েছে উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও।
লাল চালের উপকারিতাও অনেক। প্রথমত, লাল চালে প্রচুর পরিমাণে বি ভিটামিন রয়েছে, যা শরীরে প্রয়োজনীয় লোহিত কণিকা এবং সেরোটোনিন উৎপাদন করে। এতে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকায় খেতে সুস্বাদু নয়, কিন্তু রক্তাল্পতায় ভোগা মানুষের জন্য ওষুধের মতো কাজ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে লাল চাল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। তাই স্বাদ অগ্রাহ্য করে খেতেই পারেন লাল চালের ভাত।
আরও পড়ুন:বর্ষাকাল চলছে। বছরের এই সময়ে এডিস মশার প্রকোপ বেড়ে যায়। দেখা দেয় ডেঙ্গু। যারা মশার কয়েল কিংবা স্প্রে ব্যবহার করতে চান না, তাদের জন্য থাকছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মশার হাত থেকে বাঁচার কিছু টিপস।
নিমের তেলকে মশা ভালোভাবে নিতে পারে না। এর গন্ধ ওদের একেবারেই অপছন্দ। তাই নিমের তেল এবং নারকেল তেলের মিশ্রণ শরীরে মেখে নিলে মশার হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
লেবু তেল ও ইউক্যালিপটাস তেলের মিশ্রণও মশার যম। এর থেকে দূরে থাকে মশা। এই তেলে অ্যান্টিসেপটিক গুণ আছে। এটা মশা তাড়ানোর কাজ তো করেই, সঙ্গে অন্য জীবাণুর বিরুদ্ধেও কাজ করে।
মশা তাড়াতে তুলসীগাছের সহায়তাও নিতে পারেন। ঘরের জানালার বাইরে তুলসীগাছ লাগান। মশা এটা এড়িয়ে চলে। তাই জানালার সামনে তুলসীগাছ থাকলে তবে অবশ্যই জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকবে না মশা।
ধূপ জ্বালিয়েও মশা তাড়াতে পারবেন। তবে তাতে অবশ্যই একটু কর্পূর মিশিয়ে নিতে হবে। কর্পূর মশা তাড়াতে দারুণ কাজ করে।
মশা তাড়াতে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক কোয়া রসুন পানিতে ফুটিয়ে নিন। সেই পানি ঘরের সবখানে ছিটিয়ে দিলে মশা থাকবে দূরে।
আরও পড়ুন:অনেকের শরীর প্রচুর ঘামে। সেখান থেকে হয় দুর্গন্ধ। তবে চাইলে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে ঘামের দুর্গন্ধ বন্ধ করা যায়। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি। চলুন দেখে নেই।
-
বেশি করে পানি পান করুন
ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পানি পান করলে বর্জ্য পদার্থের ঘনত্ব কমে যায়। ফলে কমে দুর্গন্ধ। তাই বেশি ঘাম হলে তাল মিলিয়ে বাড়াতে হবে পানির পরিমাণও। পানির পাশাপাশি ফলের রস, শরবত, গ্লুকোজও পান করা যেতে পারে। তবে এড়িয়ে চলুন ঠান্ডা পানীয় ও অতিরিক্ত চা-কফি।
-
মাংস কম, শাক-সবজি বেশি
তেল-মসলার পরিমাণ কমিয়ে বেশি খেতে হবে মৌসুমি ফল ও শাক-সবজি। দুর্গন্ধের সমস্যায় কাজে আসতে পারে তাজা টম্যাটোর রসও। টম্যাটোতে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট নামক উপাদান থাকে, যা ঘর্মগ্রন্থিকে সংকুচিত করে। মাংস যদি খেতেই হয়, অল্প মসলায় সিদ্ধ করে খান।
-
আপেল সিডার ভিনিগার
ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে অনেকে সরাসরি ত্বকে এই ভিনিগার ব্যবহার করেন। শুধু ত্বকে লাগানোই নয়, আপেল সিডার ভিনিগার নিয়মিত খেলেও মিলতে পারে উপকার। এতে ত্বকের পিএইচ স্তর বা অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য যথাযথ থাকে, যা কমিয়ে দেয় দুর্গন্ধ তৈরির আশঙ্কা।
আরও পড়ুন:ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ধূমপানকে ‘না’ বলার বিকল্প নেই। চাইলেই এই অভ্যাস ত্যাগ করা যায় না। তবে ধূমপান ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অটল থাকলে এটা করা সম্ভব। চলুন দেখে নেই, ধূমপান ছেড়ে দিতে চাইলে যা করতে হবে।
-
মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন
ধূমপান ত্যাগের জন্য মনে মনে সিদ্ধান্ত নিন এবং একটি তারিখ ঠিক করে ফেলুন। এই তারিখ কোনোভাবেই পেছাবেন না।
-
কেন ছাড়বেন সেটা নিজেকে বোঝান
কেন ধূমপান ত্যাগ করছেন, সেটা নিজেকে বোঝান। স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি, আশপাশের মানুষের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি, আর্থিক অপচয়, পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি কারণগুলো নিজের কাছে তুলে ধরুন। এতে আপনার ধূমপানের প্রতি আগ্রহ কমতে থাকবে।
-
পজিটিভ থাকুন
চেষ্টা করলেও ধূমপান ছাড়তে পারবেন না- এ রকম ধারণা পুষবেন না। পজিটিভ থাকুন। যেকোনো মূল্যে ধূমপান ছেড়ে দিবেন- সেভাবে শপথ নিন।
-
নিজেকে পরিবর্তন করুন
অনেকে আহারের পরে ধূমপান করতে পছন্দ করেন। এ জাতীয় পরিস্থিতি এড়াতে আহারের পরপরই স্থান বা কক্ষে চলে যান, যেখানে ধূমপানের সুযোগ নেই।
-
মদ্যপান ত্যাগ করুন
গবেষণায় দেখা গেছে, মদ্যপানের সময় অনেকেই ধূমপান উপভোগ করেন। এই জুটি ভেঙে ফেলুন। অ্যালকোহলের পরিবর্তে ফলের রস আর পানি পান করুন।
-
ব্যস্ততা বাড়ান
দিনের কোন সময়গুলোতে ধূমপানের ইচ্ছা বেশি জাগে, সেটি শনাক্ত করুন। ওই সময়গুলোতে নিজেকে কোনো কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন। ব্যস্ততা বাড়লে ধূমপানের কথা ভুলে থাকা সহজ হবে।
-
ধূমপায়ীদের এড়িয়ে চলুন
সঙ্গীকে ধূমপান করতে দেখলে আপনারও ধূমপানের ইচ্ছা জাগতে পারে। তাই যতটা সম্ভব ধূমপায়ী বন্ধু এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য