আপনি যার সঙ্গে প্রেম করছেন, তার যদি একই সঙ্গে আরেকটি সঙ্গী থাকে, সেই সঙ্গীকে আপনি শত্রু হিসেবে দেখবেন, এটাই স্বাভাবিক। দুনিয়ার সবাই সেভাবেই দেখে।
তবে সাইকোথেরাপিস্টরা বলছেন, সেই প্রতিদ্বন্দ্বীকে বন্ধু হিসেবে নিতে পারা যায়, নিতে পারাই ভালো। তারা ওই প্রতিদ্বন্দ্বী পুরুষ বা নারীটির (লাভারস লাভার) একটা নাম দিয়েছেন– ‘মেটামোর’। অর্থাৎ, মেটামোর হলো আপনার সঙ্গীর অপর সঙ্গী।
ব্রিটিশ সাইকোথেরাপিস্ট জায়না রাট্টি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রেমিক বা প্রেমিকাকে অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করতে চাই না, সেভাবেই আমাদের সামাজিক প্রশিক্ষণ ঘটেছে । কিন্তু এই মনোভাবকে চ্যালেঞ্জ করলে দেখা যাবে, আমরা রোমাঞ্চ এবং সম্ভাব্য আনন্দ দুটোই পাচ্ছি।’
দুই পক্ষের সম্মতিতে হওয়া প্রতিটা বহুগামী প্রেমের সম্পর্কের ধরন আলাদা। তাই সঙ্গীর সঙ্গী (লাভারস লাভার) লোকটির সঙ্গে আপনার সম্পর্কটাও ভিন্ন হতে পারে। তবে কেন কেউ তার সঙ্গীর সঙ্গীকে বন্ধু হিসেবে নিতে চাইবে?
ব্রিটিশ মনোবিজ্ঞানী লরি বেথ বিসবে বলেন, যদি আপনার সঙ্গী তাকে পছন্দ করে থাকে, তবে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আপনার বন্ধুত্বের সম্ভাবনা আছে। কারণ আপনাদের মধ্যে অনেক কিছুতেই মিল, নাহলে আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী তাকে বেছে নিত না।
জায়না রাট্টি বলেন, আপনি যদি সম্মতির ভিত্তিতে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকাকে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে রাজি হয়ে থাকেন, যেখানে কার আচরণ কেমন হবে, কে কতদূর যেতে পারবে, সেই সীমারেখা স্পষ্ট করে চিহ্নিত করা থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি কিছু সুবিধাও পেতে পারেন। আপনার সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি হলে তখন আপনার ‘মেটামোর’ বা প্রতিদ্বন্দ্বী আপনাকে সান্ত্বনা বা পরামর্শ দিতে পারে।
কীভাবে আপনার প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতবেন?
বিসবে বলেন, ‘প্রথম যেটা করতে হবে তা হলো মনোগ্যামি হ্যাংওভার কাটানোর চেষ্টা করা। আপনার সঙ্গী অন্য কারও সঙ্গে ডেট করামাত্র সেই ব্যক্তিকে যে আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করেন, সেটাই মনোগ্যামি হ্যাংওভার। আপনার মেটামোর আপনার সঙ্গীকে নিয়ে ভেগে যাচ্ছে, এই ভাবনা ত্যাগ করে তাকে বরং আপনার বন্ধু, আপনার পরিবারের সদস্য, সাপোর্টার বা মিত্র হিসেবে বিবেচনা করতে শিখুন।’
একবার এটা করতে পারলে আপনাকে আর বিশেষ কিছুই করতে হবে না। আপনার মেটামোরের সঙ্গে আপনার স্বাভাবিক বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে দিন। এটা নিয়ে জোরাজুরি করার কোনো দরকার নেই। ভাবার দরকার নেই, যেহেতু আপনার সঙ্গী তাকে পছন্দ করছে, শুধু সে কারণেই তার সঙ্গে আগবাড়িয়ে বন্ধুত্ব পাতাতে হবে।
বিসবে বলেন, ‘এই সম্পর্কটা অন্যসব বন্ধুর থেকে আলাদা হবে না। আপনার মধ্যে যদি ঈর্ষা এবং নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে তবে তা-ই করুক।’
সাইকোথেরাপিস্ট জায়না রাট্টি বলেন, ‘আপনার যদি স্কুলে একাধিক বেস্টফ্রেন্ড থাকে, তবে আপনার সঙ্গীর সঙ্গীদের সঙ্গে বন্ধু হওয়ার জন্য আপনার কাছে ইতোমধ্যে মডেল রয়েছে। আপনাকে পারস্পরিক প্রেমের ধারণা থেকে সরে আসতে হবে। সম্পর্কের জটিল মানসিক জাল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
আপনার সঙ্গীর বন্ধু সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট করুন। ঠিক করুন আপনি কী চান? জানার চেষ্টা করুন তারা কী চায়?
কিছু মানুষ তাদের প্রেমিকার প্রেমিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়। কিন্তু তাদের সঙ্গে অন্য সম্পর্কে জড়াতে চায় না। সঙ্গীর সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক চলাকালে কোনো জরুরি অবস্থায় সঙ্গীর বন্ধুকে ডাকা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার মেটামোর আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
সঙ্গীর বন্ধু যদি বন্ধু হতে না চায়!
আপনার মেটামোর যদি আপনাকে বন্ধু হিসেবে নিতে রাজি না থাকেন, তবে তা মেনে নিন। কিছু মানুষ আছে যারা তাদের জীবনে একাধিক মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে একেবারেই আগ্রহী না।
বিসবে বলেন, ‘সম্মতি নিয়ে বহুগামী সম্পর্কের কিছু মানুষ একা সময় কাটাতে উপভোগ করে। এর মানে তারা তাদের সঙ্গীকে অন্য কারও সঙ্গে মেশাকে সহজভাবে নিয়েছেন। অন্যদিকে অন্যরা তাদের সঙ্গীর বন্ধুর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ হতে পারে; কিন্তু ঠিক বন্ধু হতে চায় না। এ ক্ষেত্রেও জোর করা উচিত না।’
সঙ্গীর বন্ধু যদি আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়তে প্রস্তুত না হন কী করবেন?
আপনি যদি বন্ধুত্বের জন্য প্রস্তুত না হন, তবে সেটা খারাপ কিছু না।
বিসবে বলেন, ‘আপনার অনুভূতিগুলোকে ভালো করে বোঝান। ভবিষ্যতে কোনো সম্পর্কের সম্ভাবনা বন্ধ করবেন না। বিষয়গুলো এমনভাবে বলার চেষ্টা করুন, যেন সঙ্গীর বন্ধুর তা খারাপ না লাগে।
‘মন খোলা রাখুন। এমন না যে সঙ্গীর ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। এই মুহূর্তে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না-ও হতে পারে। তবে কোনো না কোনো দিন হতেও পারে। এ সবই বহুগামী এবং সম্মতিমূলক বহুগামী প্রেমের অংশ।’
আরও পড়ুন:সাংবাদিকতায় ‘মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেয়েছেন গ্লোবাল টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শাহরিয়ার বাঁধন। ভারত-বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি এই সম্মাননা প্রদান করে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচা মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি উৎসবে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফট্যান্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ বীরপ্রতীক।
শাহরিয়ার হাসান সাংবাদিকতার পাশাপাশি পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেইসঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বেকারত্ব দূরীকরণে উদ্যোক্তাদের নিয়ে ‘উদ্যোক্তা-এন্টারপ্রেনার’ নামে একটি সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।
শাহরিয়ার ছাড়াও এ সম্মাননা পেয়েছেন একুশে টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ফারজানা শোভা, এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক বাতেন বিপ্লব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাহমুদুল হক সুজন এবং বাংলাদেশ পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন।
চট্টগ্রামে ছেলেবন্ধুর হয়ে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক তরুণী। তৎক্ষণাৎ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডিত ওই ছাত্রীর নাম প্রিয়তি জান্নাত। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর পর স্বাক্ষরপত্রে গরমিল দেখে দায়িত্বরত হল পরিদর্শকের সন্দেহ হয়। পরে ওই ছাত্রীকে আটক করে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি ও পরিদর্শকের সাক্ষ্য নেন। পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২৩-এর (১০) ধারা অনুযায়ী তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই ছাত্রী তার এক ছেলেবন্ধুর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তিনি যেহেতু মেয়ে, তাই নিজের ছবি দিয়ে ভুয়া প্রবেশপত্রও তৈরি করেছিলেন। তবে হল পরিদর্শক স্বাক্ষর নেয়ার সময় দেখেন মেয়েটি ছেলের নামে স্বাক্ষর করেছেন। এতেই ধরা পড়েন তিনি।’
জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী সব স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা।
বৃহস্পতিবার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রয়ক আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হল, আসন ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি যার আবেদন চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে ১০ ডিসেম্বর থেকে ৪৬তম বিসিএসের আবেদন শুরু হয়।
পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে।
সাজিদ হক। ৪৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের বোনের ছেলে। ক্যাম্পাস ক্যারিয়ারে সাফল্যের গল্পে মা ডালিয়া চৌধুরী ডনি এবং বাবা এ. এস. এম সিরাজুল হকের সঙ্গে ছিলেন সাজিদ হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এমি জান্নাত।
নিউজবাংলা: আপনি তো বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। সেখান থেকে প্রশাসন ক্যাডারে আসার জার্নিটা কেমন ছিল?
সাজিদ হক: বিসিএস জার্নিটাই অনেক লম্বা। আমি যখন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জয়েন করি, তার ঠিক দুই মাস পরই বিসিএস পরীক্ষা শুরু হয়। এরমধ্যেই পড়াশোনা চালিয়ে যাই। প্রিলিমিনারি পাস করার পরই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে কঠিন সময় যাচ্ছিল। নদী ভাঙন হয় সে সময়। তার পাশাপাশি পড়াশোনা করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই।
নিউজবাংলা: চাকরির পাশাপাশি আরেকটি সরকারি চাকরির জন্য আবার পড়াশোনা কতটা সংগ্রামের ছিল?
সাজিদ হক: যে সময়টা আমার পরীক্ষা হয়েছে সে সময় কাজের চাপ অনেক বেশি ছিল। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হতো। এর মাঝে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া আসলেই অনেক কঠিন ছিল। তবে সে সময় আমার সহকর্মীরা এবং সিনিয়র ভাইয়েরা অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। তারা সবসময় পাশে থেকেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। ঢাকার বাইরে পোস্টিং হওয়ায় মা-বাবা দূরে থাকলেও তাদের সাপোর্ট সবসময় ছিল বলেই কঠিন হলেও সম্ভব হয়েছে।
নিউজবাংলা: ফলাফলের দিন অনুভূতি কেমন ছিল?
সাজিদ হক: পরীক্ষা ভালো হওয়ায় আশাবাদী ছিলাম যে ভালো কিছুই হবে। মা-বাবা তো অপেক্ষায় ছিলেন রেজাল্ট কবে দেবে। রেজাল্ট দেয়ার দিন অফিসের কাজে বেশি ব্যস্ত ছিলাম যেন টেনশন কম হয়। অপেক্ষার পালা শেষ হলো প্রশাসন ক্যাডারে নিজের রোল দেখার পর। সেই অনুভূতিটা আসলে অন্যরকম!
নিউজবাংলা: ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পরও প্রশাসনের প্রতি আগ্রহ কেন?
সাজিদ হক: বুয়েট থেকে পাস করার পর অনেকের ড্রিম জব থাকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জব করার। সেখানে থাকার পরও আমি দেখলাম, প্রশাসনে যারা আছেন তারা প্রতিটা চাকরির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কো-অর্ডিনেশন থেকে শুরু করে মনিটরিং- প্রতিটা কাজে তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। এই বৈচিত্র্যময় ক্যারিয়ারটাই আমাকে আকর্ষণ করত।
নিউজবাংলা: আপনার এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশি?
সাজিদ হক: সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। এরপর আমার মা-বাবা তো সবসময় পাশে ছিলেন। এরকম একটা সংগ্রামে সবার সাপোর্ট দরকার হয়। সেক্ষেত্রে আমার মামা, চাচা, সহকর্মী, বন্ধু এবং সিনিয়র ভাইরা সব সময় আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
নিউজবাংলা: প্রশাসনের ব্যক্তি হিসেবে দেশের জন্য কী অবদান রাখতে চান?
সাজিদ হক: বুয়েট থেকে পাস করার পর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরকারি চাকরি পেলেও আমার সবকিছু ঘিরে থাকত প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার স্বপ্ন। আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ফিল করেছি যে, এখানে গেলে আমি দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে পারব। যেহেতু এখানে ডাইনামিক কাজ করার সুযোগ বেশি এবং আমি চাই দেশের জন্য, মানুষের জন্য নিজের কাজের মাধ্যমে অবদান রাখতে।
নিউজবাংলা: যারা ক্যারিয়ারে সফল হতে চায়, তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
সাজিদ হক: প্রথমত, লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। কনফিউজড হওয়া যাবে না। অনেকেই দেখা যায়, সকালে সরকারি চাকরির জন্য পড়ছেন। আবার বিকেলে বিদেশে যাওয়ার জন্য জিআরই পড়ছেন। আবার এর মাঝে প্রাইভেট জব করছেন। একেকটা তো একেক রকম ক্যারিয়ার। যার যেটা লক্ষ্য থাকবে, সেটাকেই ঠিক রেখে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম কখনও বৃথা যায় না। তাই লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ করে যেতে হবে।
ছেলের সাফল্যে মা ডালিয়া হক এবং বাবা এ.এস.এম সিরাজুল হকের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো।
নিউজবাংলা: ছেলেকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন?
ডালিয়া হক: ছেলের ওপর যেন আল্লাহর রহমত থাকে। সে যেন একজন ভালো মানুষ হিসেবে সমাজের জন্য যা যা করণীয়, সবটা সততার সঙ্গে করে।
নিউজবাংলা: সন্তানের সাফল্যে অনুভূতিটা কেমন?
সিরাজুল হক: আমার ছেলে শুধু পড়াশোনা করতে হবে বলে পড়েনি, সে সেটা উপভোগ করে করেছে। ওর বিনোদন ছিল পড়াশোনা। এ পর্যন্ত তার যেটা লক্ষ্য ছিল, সেটাতে সে পৌঁছেছে বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি। আমরা তৃপ্ত। আশা করি, বাকি দিনগুলোতে ওর প্রতি অর্পিত দায়িত্ব ও পালন করতে পারবে।
আরও পড়ুন:বাংলার শীত সংস্কৃতিকে উদযাপনের মাধ্যমে শীতের কুয়াশাকে বরণ করে নিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বরাবরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ উৎসব অনুরাগী বিভিন্ন পেশার মানুষের সার্বিক অংশগ্রহণে আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব-১৪৩০।
উৎসব-বন্ধু নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবারও উৎসব-বন্ধুদের অর্থায়নে আয়োজন করা হচ্ছে ভিন্নধর্মী এই উৎসব।
মৈমনসিংহ গীতিকার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এবারের কুয়াশা উৎসব-১৪৩০ উৎসর্গ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনুষ্ঠানের আয়োজনে সংশ্লিষ্টরা।
এ আয়োজনের প্রথমদিন থেকেই থাকছে চিত্রকলা, চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী; রাগ সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, আবৃত্তি, সাহিত্য আলোচনা, রম্য বিতর্ক, নাট্য ও নৃত্য পরিবেশনা, রস উৎসব, পিঠা পার্বণ, পালাসহ আরও নানা আয়োজন।
উৎসবের দুই দিন গান পরিবেশন করতে আসছে ব্যান্ড দল সহজিয়া, মাদল, গঞ্জে ফেরেশতা। এছাড়াও গান পরিবেশন করবে মুয়ীয মাহফুজ ও কফিল আহমেদ।
কুয়াশা উৎসব আয়োজকরা যেমন বাংলার লোক সংস্কৃতিতে শীতের প্রভাবকে উদযাপন করে, তেমনি সংস্কৃতির বিবর্তন আর ভিন্নতার সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চান। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংস্কৃতির প্রাণশক্তিকে আহ্বান জানিয়ে এবারের কুয়াশা উৎসবের স্লোগান- হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৬তম বিসিএস নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
পিএসসির ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) যুগ্মসচিব আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আগের কয়েকটি বিসিএসের ধারাবাহিকতায় এবারও ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পিএসসি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করা যাবে আবেদন আর এতে ফি নির্ধারিত হয়েছে ৭০০টাকা। তবে বয়সে কোনো ধরণের ছাড় দেয়া হয়নি।
আগামী বছরের মার্চে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৬তম বিসিএসে ক্যাডার হিসেবে ৩ হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা জানানো হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তিতে। আগের ১০টি বিসিএসের তুলনায় এবার পদ সংখ্যার বিচারে এটি রেকর্ড।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এক হাজার ৬৯৮ জন চিকিৎসক নিয়োগ পাবেন এ বিসিএসে। এরপরই আছে শিক্ষা ক্যাডার। সরকারি কলেজে ৯২০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে এ বিসিএসের মাধ্যমে।
এছাড়া সাধারণ ক্যাডারের মধ্যে বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্ত ৬৫টি পদে নিয়োগ দেয়ার কথা উল্লেখ আছে ৪৬তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তিতে।
রাজধানীর ডেমরার আমিনবাগ গেট বাঁশেরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ। ২৫ বছর বয়সী এ যুবক একজন স্বেচ্ছাসেবী এবং সংগঠক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফোরাম এসডিএ, উইন্টার প্রোজেক্ট, হিমু পরিবহন, আশার আলো সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।
যে বয়সে হোসাইনের পরিবারের হাল ধরার কথা, সেই বয়সে তিনি আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অন্তত ১২ লাখ টাকা, কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
হোসাইন গত ১২ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় তার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিউরোসায়েন্স থেকে ফিরে বর্তমানে বাসায় রয়েছেন হোসাইন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যায় নিউজবাংলা। গিয়ে দেখা যায়, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। এ সময় বাঁতে আকূল হোসাইনের চোখের দুধার বেড়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রু। চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
হোসাইনকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন নিচের মাধ্যমগুলোতে
প্রাইম ব্যাংক শেরপুর, বগুড়া শাখা
ইসলামী ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা
বিকাশ/নগদ (মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট)
বিকাশ/নগদ (হোসাইনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট)
যেকোনো প্রয়োজনে রায়হান (০১৯৫৩৬১৯৪১৯), আশিক (০১৬১০২১৭০৬৪) ও তপুর (০১৫৬৮১০৯৯৫৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য