উহ্! তোমার চেহারার সঙ্গে কী অদ্ভুত মিল লোকটার, ঠিক যেন মায়ের পেটের আপন ভাই বা বোন। জীবনে এমন কথা অনেকেই অনেকবার শুনে থাকেন। তবে বেশির ভাগ সময়েই এসব শুধু কথার কথা। একজনের চেহারার সঙ্গে আরেকজনের পুরোপুরি মিল খুঁজে পাওয়া সহজ কোনো ঘটনা নয়।
তবে তাই বলে এমন ঘটনা একেবারেই যে ঘটে না, তা কিন্তু বলা যাবে না। নিজের মতো দেখতে কাউকে খুঁজে পেলে আপনি হয়তো ভিরমি খাবেন, কিন্তু মেনে নিতে শিখুন ওই মিল থাকা ব্যক্তিটি আসলে আপনার ‘ডপলগ্যাঙার’।
সোজা কথায় ডপলগ্যাঙার হলো দুজন একই রকম দেখতে মানুষ, যাদের মধ্যে জন্মসূত্রে কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি খুব বিরল হওয়ায় অনেকে এটি অতিপ্রাকৃত ঘটনাও মনে করেন।
২৩ বছর ধরে বিশ্বের নানা প্রান্তে এই ডপলগ্যাঙার জুটি খুঁজে বেড়াচ্ছেন কানাডিয়ান ফটোগ্রাফার ফ্র্যাঙ্কোস ব্রুনেল। তার প্রধান শখ বা লক্ষ্য হলো, যত বেশি সম্ভব ডপলগ্যাঙারদের ছবি তোলা।
আই অ্যাম নট অ্যা লুক অ্যালাইক নামের একটি প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন ব্রুনেল। এর আওতায় ডপলগ্যাঙারদের পরিচয়, সম্পর্ক এবং অনুভূতিগুলো চমৎকারভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।
ব্রুনেলের সাদাকালো ছবিগুলো সবই বলতে গেলে খুব সাধারণ। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড, সাদাকালো নেগেটিভ ফিল্মে তিনি তুলে এনেছেন গোটা দুনিয়া চষে খুঁজে পাওয়া ডপলগ্যাঙারদের ছবি। ছবির জুটিগুলো আশ্চর্যরকমভাবে দেখতে এক।
দুই দশকের বেশি সময়ের চেষ্টায় ব্রুনেল বিশ্বের ৩০টি শহরে আড়াই শ ডপলগ্যাঙারকে পেয়েছেন।
এবার এসব ছবি দিয়ে একটি বই প্রকাশের কাজ করছেন ব্রুনেল। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে তার।
ফ্র্যাঙ্কোস ব্রুনেলের বাড়ি কানাডার মন্ট্রিলে। আই অ্যাম নট অ্যা লুক অ্যালাইক প্রকল্পের পাশাপাশি দ্য সেভেন এসেনশিয়াল টুলস ফর দ্য ক্রিয়েটিভ ফটোগ্রাফি শিরোনামে তার একটি বইও আছে।
আরও পড়ুন:ইন্দোনেশিয়ায় মদ প্রচারে বিতর্কিত পন্থা অবলম্বন করায় ৬ জন ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
মালয়েশিয়ার দ্য স্টার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার হলিউইংস বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রতি বৃহস্পতিবার মুহাম্মদ নামের পুরুষ ও মারিয়া নামের নারীদের বিনামূল্যে জিনের বোতল দেয়া হবে বলে জানায়। সেক্ষেত্রে গ্রাহককে তার আইডিকার্ড দেখাতে হবে।
এই পোস্টের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় ওঠে। কারণ ইন্দোনেশিয়ার অধিকাংশ প্রদেশ রক্ষণশীল ইসলামিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত। হলিউইংস কর্তৃপক্ষ দ্রুতই পোস্টটি তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলে।
ইসলামিক আইনের অধীনে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ। যদিও ইন্দোনেশিয়া কোনো শরীয়াহ শাসিত দেশ নয় এবং দেশটিতে অ্যালকোহল নিষিদ্ধও নয়। কিন্তু মুহাম্মদ নামের ব্যক্তিদের বিনামূল্যে মদের বোতল দেয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি দেশটির ধর্মপ্রাণ নেটিজেনরা।
বেশ কয়েকটি যুব সংগঠন পুলিশকে ব্লাসফেমি অপরাধ করায় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানায়, এমনকি অনেক যুব সংগঠন নিজেরাই মদের দোকানে অভিযান চালানোর হুমকি দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ হলিউইংসের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং এই বারের প্রচারমূলক দলের প্রধানসহ ৬ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেছে।
দক্ষিণ জাকার্তার পুলিশ প্রধান বুফহি হার্দি সুসিয়ানতো বলেছেন, ‘আটক সন্দেহভাজন ৬ হলিউইংসের জন্য কাজ করে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা ৬ জনের সবাই কমলা রংয়ের শার্ট পড়া ছিল, যা সাধারণত ইন্দোনেশিয়ায় অপরাধীদের পড়ানো হয়।
এই দলটির বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি ও ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানোসহ একাধিক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ বলছে, দোষী প্রমাণিত হলে তাদের ১০ বছরের জেলও হতে পারে।
এদিকে সাধারণ ইন্দোনেশীয়দের ক্ষোভের মুখে হলিউইংস এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং জানিয়েছে বারটির ব্যবস্থাপনা বিভাগ এই প্রচারনার বিষয়টি জানতো না।
আরও পড়ুন:যৌনকর্মীর বিল পরিশোধের জন্য বাবার দেয়া টাকাই ব্যবহার করতেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন। তবে জো বাইডেন বিষয়টি জানতেন কি না তা স্পষ্ট নয়।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন এক্সামিনার সোমবার এক রিপোর্টে দাবি করেছে, হান্টার বাইডেন কিয়েভ ও মস্কোতে একটি মডেল এজেন্সিকে এসকর্টের (যৌনকর্মীর) বিল বাবদ ৩০ হাজার ডলার (২৭ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।
ওয়াশিংটন এক্সামিনারের প্রতিবেদন অনুসারে, এই ৩০ হাজার ডলারের বিল তিনি শোধ করেন ২০১৮-এর নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত। এই সময়ে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিজেকে তৈরি করছিলেন। এই সময়জুড়ে জো বাইডেন তার ছেলেকে ১ লাখ ডলার দিয়েছিলেন বিল পরিশোধের জন্য। হান্টার বাইডেন কীভাবে এই অর্থ ব্যয় করছেন তা জো বাইডেন জানতেন কি না, স্পষ্ট নয়।
হান্টার বাইডেনের ফাঁস হওয়া মেইলে দেখা যায়, তিনি ‘উবারজিএফই’ নামের একটি এক্সক্লুসিভ মডেল এজেন্সির কর্মচারী ইভার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময়ে তাদের মধ্যে অর্থ পরিশোধসংক্রান্তও অনেক বিষয়ে কথাবার্তা হয়।
উবারজিএফই যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, প্যারিস ও দুবাইতে এসকর্ট সার্ভিস দিয়ে থাকে।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে যখন হান্টার বাইডেনের ল্যাপটপের বিষয়বস্তু নিয়ে নিউ ইয়র্ক পোস্ট প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তখন বাইডেন টিম বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণার অংশ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, এর সঙ্গে জড়িত রাশিয়া।
পরে তার মেইলের সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়েছে এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টও বলছে হান্টার বাইডেনের মেইলগুলো আসল।
হান্টার বাইডেনও যৌনকর্মী ভাড়া নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেননি। বরং তিনি সংবাদপত্রে বার্তা পাঠান, ‘আপনার কী সমস্যা?’
আরও পড়ুন:ভালো ঘুমের জন্য ভালো বালিশের বিকল্প নেই। অনেকেরই রাতে ঘুম হয় না। একটু ভালো বালিশের জন্য বাড়তি কিছু টাকা খরচ করা তাদের কাছে কোনো ব্যাপারই নয়। কিন্তু সেই বাড়তি অঙ্কটা ঠিক কত?
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও উন্নত বালিশ তৈরির দাবি করেছেন ডাচ ডিজাইনার ভ্যান ডার হিলস্ট, যিনি একজন সার্ভিক্যাল (কাঁধ ও গলার সমস্যা) বিশেষজ্ঞও। তার তৈরি বালিশ ‘টেইলরমেড পিলো’ আপনাকে দিতে পারে আরামদায়ক ঘুমের নিশ্চয়তা।
তবে এই বালিশে শান্তির ঘুম দিতে চাইলে বাড়তি কিছু খরচ করলেই হবে না, আপনাকে খরচ করতে হবে বেশ বড় অঙ্কের অর্থ।
টেইলরমেড পিলোর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই বালিশের দাম হবে ৫৩ লাখ টাকা (৫৭ হাজার ডলার)।
দামি এই বালিশের ভেতর দেয়া হয়েছে মিসরীয় তুলা, এর কাপড় তুত সিল্কের তৈরি। এতে ২৪ ক্যারেট সোনার আবরণ রয়েছে ও এর জিপারে রয়েছে ২২ ক্যারেটের একটি নীলকান্তমণি ও চারটি হীরা।
তাদের ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়, বালিশে যে ২৪ ক্যারেটের সোনার আবরণ রয়েছে তা ক্ষতিকর ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণকে ঠেকিয়ে দিতে পারে। ফলে এই বালিশে ঘুমানোর অভিজ্ঞতা হবে আরামদায়ক, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর।
এই বালিশের নকশাকার ভ্যান ডার হিলস্ট এটি তৈরিতে গবেষণা করেছেন দীর্ঘ ১৫ বছর।
হিলস্ট দাবি করেছেন, বালিশটি অনিদ্রায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের শান্তিতে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
বালিশটি হবে একেবারেই ব্যক্তিগত বালিশ। একজন ব্যক্তির কাঁধ, মাথা ও ঘাড় থ্রিডি স্ক্যানারের মাধ্যমে সাবধানে হিসাব করে প্রতিটি গ্রাহকের জন্য আলাদাভাবে তৈরি করা হবে। বালিশ তৈরির আগে গ্রাহকের ঘুমানোর ভঙ্গিও পর্যবেক্ষণ করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আপনি ছোট বা বড়, পুরুষ বা নারী। পাশ ফিরে ঘুমান, নাকি পেছন ফিরে ঘুমান। যেভাবেই ঘুমান না কেন? টেইলরমেড বালিশ আপনাকে সবভাবেই আরামদায়ক ঘুমের নিশ্চয়তা দেবে।
আরও পড়ুন:ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় পবিত্র সরায়ু নদীতে গোসল করার সময় স্ত্রীকে চুম্বন করায় এক ব্যক্তিকে মারধর করে ক্ষিপ্ত জনতা। নিপীড়নের এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিন্দার ঝড় ওঠে। ভিডিও হাতে পেয়েই তদন্তে নামে অযোধ্যা পুলিশ।
গঙ্গার সাতটি উপনদীর একটি সরায়ু। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি পবিত্র নদী বলে বিবেচিত হয়। বলা হয়ে থাকে, ভগবান রামের জন্মস্থান এই সরায়ু নদীর তীরে।
গত বুধবার সরায়ু নদীর ‘রাম কি পায়দি’ ঘাটে এই ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, ঘাটের কাছে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গোসল করছে এক যুবক। পানিতে ডুব দিয়ে ওঠার পর খানিকটা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন স্ত্রী। তিনি স্বামীকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেন। ওই সময় স্ত্রীর ঠোঁটে চুমু খান যুবক। এতে মুহূর্তেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গোসলরত অনেকে। প্রথমে এক ব্যক্তি এগিয়ে যুবককে আঘাত করেন এবং হুঁশিয়ারি দেন, ‘এটা অযোধ্যা, এখানে এমন অসভ্যতামি, অশ্লীলতা চলবে না।’
अयोध्या: सरयू में स्नान के दौरान एक आदमी ने अपनी पत्नी को किस कर लिया. फिर आज के रामभक्तों ने क्या किया, देखें: pic.twitter.com/hG0Y4X3wvO
— Suneet Singh (@Suneet30singh) June 22, 2022
এ কথা বলতে না বলতে যুবককে মারতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। স্ত্রী তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আরও কয়েকজন এগিয়ে এসে মারতে থাকেন যুবককে। চলতে থাকে একের পর এক চড়, ঘুষি আর লাথি।
ভিডিওতে দেখা যায় প্রাণপণে তাদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন তরুণী। ততক্ষণে অনেকে ঘিরে ফেলে যুবককে। শেষ পর্যন্ত ওইভাবে মারতে মারতেই তাকে পানি থেকে টেনে-হিঁচড়ে ঘাটে তুলে দেয়া হয়। ওই দম্পতিকে ঘাট এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন ওই দলে থাকা ১০-১২ জন পুরুষ।
নিপীড়নের এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই অনেকে প্রশ্ন তোলেন, ‘অযোধ্যা হোক বা অন্য কোনো পবিত্র স্থানই হোক, স্ত্রীকে চুমু খেয়েছেন বলে স্বামীকে মারধর করা হবে? কিসের ভিত্তিতে এই কাজকে অপরাধ বলা হচ্ছে?
এরই মধ্যে ঘটনার ভিডিও পৌঁছায় পুলিশের কাছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
অযোধ্যার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি) শাইলেস পান্ডে বলেন, ‘ভিডিওটি এক সপ্তাহ আগের, তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অযোধ্যা কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ করলে নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:মানুষের জীবনে ভালোবাসার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। অনেকে বলেন, ভালোবাসাই সবকিছু। ভালোবাসাকে ঘিরেই জীবনের বাকি সব উপাদান টিকে আছে। কিন্তু সত্যিকার ভালোবাসা কয়জনের কপালেই বা জোটে। এবার ক্যাথলিক ধর্মগুরু ও ভ্যাটিক্যান সিটির পোপ ফ্রান্সিস সত্যিকার ভালোবাসার নতুন এক পথ বাতলে দিলেন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, সতীত্ব থেকেই সত্যিকার ভালোবাসা আসে।
দম্পতিদের সঙ্গে কাজ করতে নিযুক্ত পুরোহিত ও ডায়োসিসের জন্য নতুন নথির মুখবন্ধে পোপ ফ্রান্সিস লিখেছেন, সত্য, সূক্ষ্ম ও উদার প্রেমের উপযুক্ত সময় ও উপায় শেখায় সতীত্ব।
তিনি দাবি করেন, এখনকার দাম্পত্য সম্পর্কগুলো দ্রুত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, কিন্তু সতী দম্পতিরা যৌন সম্পর্কের চাপ ছাড়াই কীভাবে একসঙ্গে থাকতে হয় তা শিখতে সক্ষম হয়। যখন তাদের বয়স হয়ে যায়, যৌন চাহিদা আর থাকে না। তখনও এই শিক্ষা তাদের সাহায্য করে। তারা সুখে বসবাস করতে থাকে।
সদ্য ভ্যাটিকান থেকে প্রকাশিত ৯৭ পৃষ্ঠার নথিতে পোপ যেই বক্তব্য দিয়েছে, এর আগে তালাকপ্রাপ্ত ও সমকামী দম্পতিদের প্রতি পোপের খোলামেলা পূর্বের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত। এর আগে পোপ সমকামীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনারা যেমন, সেভাবেই ঈশ্বর আপনাকে ভালোবাসেন। এমন কি তালাক হয়ে যাওয়া নারীদের বিষয়েও তার চিন্তাভাবনা ছিল প্রগতিশীল।
অথচ নতুন নথিতে বলা হয়েছে, চার্চ কখনই সতীত্বের মূল্যবান গুণের প্রকাশ করতে সাহস দেখানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থ হবে না, যদিও এটি এখন সাধারণ মানসিকতার সরাসরি বিপরীত। সতীত্বকে অবশ্যই খাঁটি প্রেমের মিত্র হিসেবে তুলে ধরতে হবে। প্রেমে অস্বীকারকারী হিসেবে নয়।
যদিও ধর্মতত্ত্ববিদরা যৌনতার বিষয়ে ক্যাথলিক চার্চের অবস্থানের বিষয়ে একমত নন। তাদের মতে, বিয়ের বিষয়ে চার্চের ধারণা সেকেলে।
ইতালীয় ধর্মতত্ত্ববিদ ভিটো মানকুসো বলেন, ‘ক্যাথলিকরা সব সময় যৌনতাকে বাদ দিয়ে এসেছে। এটি একটি গুরুতর নৈতিক ত্রুটি।’
আরও পড়ুন:ডেটিং অ্যাপে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইন্দোনেশিয়ার এক নারীর জীবনে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।
টাইমস নাউ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার এক নারী দাবি করেছেন, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ৩ মাস প্রেমের পর ভালোবেসে বিয়ে করা তার স্বামী আসলে পুরুষই নন, একজন নারী।
অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো তার স্বামী যে পুরুষ নন, এই বিষয়টি তিনি ধরতে পারেন বিয়ের ১০ মাস পর।
অভিযোগকারী নারী যার ছদ্মনাম এনএ, তার আইনি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এক ডেটিং অ্যাপে তার সঙ্গীর সঙ্গে পরিচয় হয়। যার ছদ্মনাম এএ। তখন তিনি জানতে পারেন এএ একজন সার্জন ও একই সঙ্গে কয়লা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরেন।
পরে এক গোপন অনুষ্ঠানে বিয়ে করেন এই জুটি। এরপরে নতুন বাড়িতে বসবাস করতে পরিবার থেকে তারা দূরে চলে যায়।
কিন্তু দম্পতি দক্ষিণ সুমাত্রায় চলে যাওয়ার পরই বর কনের পরিবারকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।
মিররের একটি প্রতিবেদন অনুসারে এনএ দাবি করেছে, তার পরিবার থেকে ১৬ হাজারের বেশি পাউন্ড নিয়েছে এএ।
একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সার্জনের এমন টাকা নেয়ার ঘটনায় সন্দেহ হয় এনআইয়ের। একই সঙ্গে বুঝতে পারেন যে আসলে তার স্বামী পুরুষই নন।
ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি জেলা কোর্টে হাজির হয়ে এএ দাবি করেন যে তার সঙ্গী আইনি বিয়ের কোনো নথি উপস্থাপন করতে পারেনি।
যদিও এনএ বলেছিলেন, তার সঙ্গী এএ ‘গোপন বিয়ের’ আয়োজন করেছিল। এসব অনিবন্ধিত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিয়ের গল্প শেয়ার করার পর এনএ নেটিজেনদের থেকে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন।
ইন্দোনেশিয়ায় এরই মধ্যে খবরটি জাতীয় খবরে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঘোড়াটির নাম সুগার। ভীষণ অলস। কাজ দেখলেই অলসতা বেড়ে যায় তার। ধরে ঘুমের ভান। জিম রোজ নামের এক ব্যক্তি টুইটারে সম্প্রতি ঘাসে তার পাশে থাকা সুগারের একটি ছবি শেয়ার করেছেন। মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘সুগারের সঙ্গে দেখা করুন। সে চড়াতে পছন্দ করে না। যদি সুগারের কাছে জিন নিয়ে যাই, সে শুয়ে পড়ে। ঘুমের ভান করে। রাইডাররা চলে না যাওয়া পর্যন্ত সে চোখ খুলে না।’
পোস্টটি ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছে। এরই মধ্যে এটিতে চার লাখ ৭৬ হাজার বারের বেশি লাইক পড়েছে। ৪১ হাজারের বেশি রিটুইট হয়েছে।
নেটিজেনরা স্পষ্টতই সুগারকে তাদের ‘আত্মার প্রাণী’ হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন।
একজন ব্যবহারকারী লেখেন, ‘সুগার আমার প্রাণের পশু।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘সত্যি বলতে ও একটা স্মার্ট ঘোড়া।
আরেকজন লিখেছেন, ‘ভালো ঘোড়া। আমি চাই ও আমার অফিসে কাজ করুক। আমি চড়তেও পছন্দ করি না।’
Meet Sugar, she doesn't like to be ridden. If Sugar is approached with a saddle she lyes down and pretends to be asleep. Sugar refuses to open her eyes until the riders leave. pic.twitter.com/FWaKYoKlHx
— jim rose circus (@jimrosecircus1) June 12, 2022
একজন উদ্বিগ্ন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি চাই সে উঠুক। ঘোড়াকে শুয়ে থাকতে দেখিনি। আমি ভেবেছিলাম মৃত্যুর আগে ঘোড়ারা কখনও শুয়ে পড়ে না।’
ঘোড়ারা আদতে ঘুমানোর জন্য শুয়ে থাকে। প্রাণী আচরণ বিশেষজ্ঞ সুসান হ্যাজেলকে উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক পোস্ট বলছে, প্রচণ্ড ঘুমের সময় অনেক প্রজাতির মধ্যে এমন প্রবণতা দেখা যায়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য