চিকেন চাপলি কাবাব
উপকরণ: আদা-রসুনের পেস্ট আধা চা চামচ, আনার দানা পাউডার আধা চা চামচ, হাফ গুঁড়া করা জিরা আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২টা, টম্যাটো কুচি ১টা, ধনেপাতা কুচি ২ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, স্বাদ অনুযায়ী লবণ, বেসন ২ চা চামচ, পরিমাণমতো গোল করে কাটা টম্যাটোর রিং ও পরিমাণমতো ভাজার জন্য তেল।
প্রণালি: প্রথমে বোনলেস চিকেন পেস্ট করে নিতে হবে। একটা বাটিতে চিকেনের পেস্টটা ঢেলে এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, টম্যাটো কুচি, গরম মসলা, আদা-রসুনের পেস্ট, লবণ, আনার দানা পাউডার, হাফ গুঁড়া করা জিরা, ভাজা বেসন, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। সবকিছু ভালো করে মাখা হয়ে গেলে চিকেনের মিশ্রণটা নিয়ে বলের মতো করে চ্যাপ্টা করে ওপরে একটা টম্যাটো দিয়ে একটু চেপে দিতে হবে। এবার প্যানে তেল গরম করে দুই পিঠ ভালো করে ভেজে নিলেই রেডি হয়ে যাবে চিকেন চাপলি কাবাব।
-
মাটন লেগ রোস্ট
উপকরণ: খাসির রান ১ কেজি, ঘি ১ কাপ, দই আধা কাপ, পেঁপের চামড়াসহ বাটা ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চিমটি, লবণ ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, দুধ ভালো করে জ্বাল দেয়া আধা কাপ, কাঠবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেয়াজ কুঁচি ১ কাপ, পোস্ত বাটা ১ টেবিল চামচ, আলু বোখারা ৪টি, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, কেওড়ার জল ১ টেবিল চামচ ও গোলাপজল ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: একটি প্যান গরম করে সব মসলা দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। মসলা গরম অবস্থাতেই মিকচারে নিয়ে একসঙ্গে গ্রাইন্ড করে নিতে হবে।
এবার খাসির রানটি নিয়ে ছুরি দিয়ে রানের মাঝে মাঝে খুব গভীরভাবে চিরে দিতে হবে। একটি বাটিতে টক দই, পেঁপে বাটা, আদা-রসুন বাটা, হলুদ বাটা, লাল মরিচ গুঁড়া, লবণ ও যে মসলাটা করা হয়েছে তা থেকে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ মসলা নিয়ে সব একসঙ্গে মাখিয়ে দিতে হবে। এবার মিকচারটি ভালোভাবে মাংসের গায়ে লাগাতে হবে। এটিকে একটি প্লাস্টিক র্যাপ শিট দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে দিতে হবে। তারপর রেখে দিতে হবে ফ্রিজে।
একটি প্যানে এক কাপ ঘি খুব ভালো করে গরম করে তাতে পেয়াজ কুঁচি ঢেলে দিতে হবে। পেঁয়াজটা বেরেস্তা না করে অল্পসোনালী কালার না হওয়া পর্যন্ত অনবরত নাড়তে হবে। মাংস বের করে গা থেকে মশলার মিক্সারটি ছাড়িয়ে দিতে হবে। মশলা ফেলা যাবে না কারণ পরে ওটা রোস্টে দিতে হবে। এবার রানটি নিয়ে প্যানে দিয়ে পুরো আঁচে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
ঢাকনা নামিয়ে মাংস উলটিয়ে দিতে হবে। আবার ঢাকনা দিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এতে পস্ত বাটা, বাদাম বাটা, ম্যারিনেশনের যে মশলাটা ছিল তা দিতে হবে। অল্প কিছু টমেটো কুঁচি দিয়ে ভালোমত সব মি· করে করতে হবে। এবার এতে গরম দুধটুকু ও আলু বখোরা দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে অপে¶া করতে হবে পাঁচ মিনিট। সময় শেষে ঢাকনা নামিয়ে মাংস আবার উলটিয়ে দিতে হবে। গ্রেভিটা কিন্তু বার বার তুলে মাংসের উপর লাগিয়ে দিতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি ততক্ষণ রিপিট করতে হবে যতক্ষণ না মাংস নরম হয়ে আসছে।
এবার এতে কেওড়ার জল, কিশমিশ, এক চা চামচ পরিমান গোলাপ জল, ৮-১০ টি আস্ত কাঁচা মরিচ দিতে হবে। মরিচ দেয়াতে খুব সুন্দর একটি ফ্লেভার আসবে। এবার ঢাকনা দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে পাঁচ মিনিট। আগের একই প্রক্রিয়া বার বাররিপিট করতে হবে। গ্রেভি মাংসের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে। সব শেষে এর উপর পেঁয়াজ বেরেস্তা, সিদ্ধ ডিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
-
আস্ত মুরগির মুসাল্লাম
উপকরণ: আস্ত মুরগি ১টি, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা দেড় টেবিল চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা চামচের একটু কম, ধনিয়া গুঁড়া সামান্য, লবণ পরিমাণমতো, লাল মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, চিনি স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, জায়ফল ও জয়ত্রি বাটা ১ চা চামচ, এলাচ, তেজপাতা, দারুচিনি প্রতিটি ২-৩টা করে, আস্ত কাঁচা মরিচ ১-২টি, কাজুবাদাম বাটা/চিনাবাদাম বাটা আধা কাপ, টক দই এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ, লেবুর রস আধা চা চামচ, তরল দুধ আধা কাপ এবং ফুড কালার ১-২ ফোঁটা।
প্রণালি: মুরগি ভালো করে ধুয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে কেচে বা দাগ কেটে নিতে হবে। সুতা দিয়ে ভালো করে বেঁধে নিতে হবে মুরগির পা দুটো।
আদা, রসুন, পেঁয়াজ, জিরা, ধনিয়া, মরিচ গুঁড়া, লবণ ও লেবুর রস অল্প অল্প করে দিয়ে চিকেন ম্যারিনেট করতে হবে ৩০- ৪০ মিনিট। ডুবোতেলে হালকা বাদামি করে ভেজে তুলতে হবে। এবার অন্য একটি প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ মচমচা করে ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজ অবশ্যই ডুবোতেলে ভাজতে হবে। পেঁয়াজ হালকা লাল হয়ে আসলেই নামাতে হবে। নামানোর পরে বাদামি কালার হয়ে যাবে। এবার প্যানে বাকি ঘি, সামান্য তেল, এলাচ, তেজপাতা, দারুচিনি দিতে হবে। সঙ্গে সব মসলা পরিমাণমতো দিয়ে ভাজা মুরগি দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। মসলা সাধারণত ১ চা চামচ করে দিলেই হয়, তবে আপনি বেশি অথবা কম করে নিতে পারেন।
হালকা কষিয়ে নেয়া হয়ে গেলে কাজু বাটা, টক দই, লিকুইড দুধ অথবা পরিমাণমতো পানি দিতে হবে। পানি সামান্য পরিমাণে লাগে। পানি ফুটে উঠলে ঢেকে দিতে হবে। মুরগি সেদ্ধ হয়ে এলে ঢাকনা খুলে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ, চিনি, সামান্য ঘি ও ভাজা পেঁয়াজের অর্ধেক দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিতে হবে। ঝোল মাখামাখা করে নামিয়ে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
-
কাচ্চি বিরিয়ানি
উপকরণ: খাসির মাংস ২ কেজি, পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, ঘি ২৫০ গ্রাম, আলু আধা কেজি, পেঁয়াজের বেরেস্তা এক কাপ, দারুচিনি ৮-১০ টুকরা, এলাচ ১০-১২টি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া (দারুচিনি, এলাচ, জায়ফল, জয়ত্রি, শাহ জিরা ও গোলমরিচ) ১ টেবিল চামচ, জিরা আধা চা চামচ, দই দেড় কাপ, দুধ ২ কাপ, আলুবোখারা ১৪-১৫টা, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ এবং লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। হাঁড়িতে মাংসের সঙ্গে আদা-রসুন বাটা, লবণ, চিনি, টক দই, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ দিয়ে মাখিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এবার গরম মসলার গুঁড়া, অর্ধেক ঘি ও জাফরান দিয়ে ভালোভাবে মাংস মেখে ১০ মিনিট রাখতে হবে। এবার দুই কাপ দুধ মাংসের ওপর ঢেলে দিতে হবে। আলু লবণ মাখিয়ে তেলে ভেজে মাংসের ওপর দিতে হবে।
চাল ধুয়ে আধা সেদ্ধ করে মাংসের ওপর দিতে হবে। বাকি অর্ধেক ঘি, পেঁয়াজের বেরেস্তা, কিশমিশ, আলুবোখারা, বাদাম, গোলাপজল ছড়িয়ে দিয়ে অল্প আঁচে এক ঘণ্টার মতো চুলায় রাখতে হবে। চুলায় উঠানোর আগে আটা গুলিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। এক ঘণ্টা পর আঁচ আরও কমিয়ে দমে রাখতে হবে। গ্যাসের চুলার ক্ষেত্রে তাওয়ার ওপর হাঁড়ি বসিয়ে অল্প আঁচে দমে রাখতে হবে।
-
চিলি মিটবল
উপকরণ: মিটবল ১ প্যাকেট, টম্যাটো পিউরি আধা কাপ, চিলি ফ্লেভার অনুযায়ী, পেঁয়াজ ২ টুকরা, তেল ৪ টেবিল চামচ, চিলি সস ১ টেবিল চামচ এবং মরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ।
প্রণালি: মিটবলগুলো ডুবোতেলে হালকা লাল করে ভেজে নিতে হবে। আলাদা তেল দিয়ে পেঁয়াজ ভাজতে হবে একটু সোনালি করে। তারপর সোনালি হয়ে গেলে টম্যাটো পিউরি, চিলি সস এবং মরিচের গুঁড়া এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিতে হবে। এই মিশ্রণে ভাজা বলগুলো দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট রান্না করতে হবে। চিলিফ্লে· দিয়ে আরও ১ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
-
শাহি ফ্রুটি জর্দা
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ২৫০ গ্রাম, এলাচ ৩-৪টি, দারুচিনি ১ টুকরা, লবঙ্গ ২টি, চিনি স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল সিকি কাপ, কিশমিশ একমুঠ, জর্দা রং/অরেঞ্জ ফুড কালার ১-২ চা চামচ, মোরব্বা কুচি পরিমাণমতো, বাদাম কুচি পরিমাণমতো এবং বেবি সুইটস ১২-১৫টি।
প্রণালি: প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে ঝরিয়ে রেখে দিতে হবে। এরপর পরিমাণমতো পানি, তেজপাতা, সামান্য লবণ, ১ চা চামচ তেল ও জর্দার রং মিশিয়ে পানি ফুটলে চালগুলো দিয়ে ৫-৬ মিনিট সেদ্ধ করে নিতে হবে। চালগুলো ছেঁকে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।
এবার একটি প্যানে মিডিয়াম আঁচে ঘি গরম করে তাতে আস্ত গরম মসলাগুলো দিয়ে একটু ভাজা ভাজা করতে হবে। এরপর চিনি এবং পানি দিয়ে একসঙ্গে নাড়তে হবে। পানি বলক এলে সেদ্ধ চাল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার চাল ঢেকে দিয়ে চুলা মিডিয়াম আঁচ থেকে কমিয়ে ১০-১৫ মিনিট রান্না করতে হবে। ১৫ মিনিট পর ১ চা চামচ ঘি দিয়ে হালকা নেড়ে দিতে হবে। এবার ১০-১৫ মিনিট ঢেকে দমে রেখে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সেদ্ধ ভাতটা যাতে বেশি ফুটে না যায়। এখন জর্দাটা নামিয়ে বাদাম কুচি এবং বেবি সুইটস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
-
গ্রিল্ড লবস্টার
উপকরণ: লবস্টার ৩টি, বারবিকিউ সস ১ টেবিল চামচ, টম্যাটোর সস ২ টেবিল চামচ, ভিনেগার ২ টেবিল চামচ, জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ, পাপরিকা ১ চা চামচ, রোজমেরি আধা চা চামচ, ভাজা মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: লবস্টার পানিতে ৩-৪ মিনিট ফুটিয়ে মাঝামাঝি ২ ভাগ করে কেটে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে ম্যারিনেট করে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। গ্রিলারের ওপর দুই সাইডই দুইবার করে উল্টে দিয়ে মসলা ব্রাশ করতে হবে। ৬-৭ মিনিট গ্রিল করে গ্রিলার থেকে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন:প্রথমবারের মতো আভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের জন্য অনলাইনে ‘চেক-ইন’ সেবা চালু করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
আগামী ১ জুন থেকে সেবাটি চালু করা হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়েব চেক-ইনের মাধ্যমে যাত্রীরা নিজেরাই তাদের পছন্দের আসন নির্ধারণ করতে পারবেন। পাশাপাশি, বের করতে পারবেন ডিজিটাল বোর্ডিং পাশ। এতে বিমানবন্দরে বোর্ডিং পাশ সংগ্রহের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার সময় কমে আসবে।
বিমানের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ওয়েব চেক-ইনের জন্য নির্ধারিত অপশন থেকে ফ্লাইট ছাড়ার সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা আগে এবং সর্বনিম্ন ৩ ঘণ্টার মধ্যে ওয়েব চেক-ইন করা যাবে।
কোনো যাত্রী যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিটার্ন ফ্লাইটে ভ্রমণ করেন সে ক্ষেত্রে প্রথম যাত্রা শেষের পর রিটার্ন যাত্রার জন্য পুনরায় ওয়েব চেক-ইন করতে হবে।
ওয়েবসাইট থেকে ওয়েব চেক-ইন শেষ করার পর সেখান থেকে পাওয়া ডিজিটাল বোর্ডিং পাশ বিমানবন্দরের ওয়েব চেক-ইন কাউন্টারে দেখিয়ে অথবা প্রিন্ট করে জমা দিয়ে বোর্ডিং কার্ডের হার্ডকপি সংগ্রহ করতে হবে।
ফ্লাইট ছাড়ার সর্বনিম্ন এক ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরের ওয়েব চেক-ইন কাউন্টারে ব্যাগেজ জমা দিতে হবে এবং বোর্ডিং কার্ডের হার্ডকপি নিতে হবে।
ওয়েবের পাশাপাশি সাধারণ প্রক্রিয়াতেও চেক-ইন ব্যবস্থা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে বিমানের বিজ্ঞপ্তিতে।
অভ্যন্তরীণ রুটের পাশাপাশি আগামী ১ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে আন্তর্জাতিক রুটেও ওয়েব চেক-ইন ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
আরও পড়ুন:সব ক্যাটাগরিতে অন অ্যারাইভাল ভিসা চালুর নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. শাহরিয়াজের সই করা এক পরিপত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সুরক্ষা সেবা বিভাগের ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর জারি করা পরিপত্র বাতিল করে ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জারি করা পরিপত্র মোতাবেক আগমনী ভিসা পুনরায় চালু করা হলো।
অন অ্যারাইভাল ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে পরিপত্রে।
দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ অন অ্যরাইভাল ভিসা বন্ধ করা হয়। এর দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে শুধু বাংলাদেশি বংশদ্ভূত বিদেশি নাগরিক, কূটনৈতিক এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে অন অ্যারাইভাল ভিসা চালু করা হয়।
নতুন করে পরিপত্র জারির ফলে অনুমোদিত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীরাও এই সুবিধা পাবেন।
আরও পড়ুন:সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি এবার অধস্তন আদালতের বিচারকদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণের আবেদন না করতে নির্দেশনা এসেছে।
ভ্রমণে বিদেশি মুদ্রার খরচজনিত কারণে জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিচারপ্রার্থী জনগণের দ্রুত বিচারিকসেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব এড়াতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করতে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অবস্থায় অতীব প্রয়োজন ব্যতীত অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিদেশ ভ্রমণের আবেদন না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। আগের চেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হওয়ায় দেশে রিজার্ভে টান পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিলাসদ্রব্যের আমদানি কমাতে চাইছে সরকার। আমদানিনির্ভর কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা। ইউক্রেনের পক্ষ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা। দুই পরাশক্তির এই লড়াইয়ে বিশ্বে খাদ্য ও জ্বালানির দাম নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গত ১২ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের আদেশ জারি করা হয়।
চার দিন পর রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ সফরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্বজুড়ে মন্দা ও দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে শঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই পরিস্থিতিতে সরকার জোর দিচ্ছে কৃচ্ছ্রসাধনে। বিলাসপণ্য আমদানিতেও নিরুৎসাহিত করতে হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানিনির্ভর প্রকল্পও বেছে বেছে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতির গতি সচল রাখতে যেসব প্রকল্প অতি প্রয়োজনীয়, সেগুলোই কেবল চালিয়ে যাওয়া হবে। যেসব প্রকল্প এখনই না করলেও চলে, সেগুলো বাস্তবায়নে ধীরে চলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে এই পার্কে। কেউ সন্তান নিয়ে আসেন, কেউ বড় পরিবার নিয়ে, আবার কেউ আসেন বন্ধুদের সঙ্গে। ছবি: নিউজবাংলা
আরও পড়ুন:
জীবন ও জীবিকার তাগিদে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল ওই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের একটি বড় অংশ। তাদের অনেকেই বনের গভীরে গিয়ে মাছ শিকার ও মধু সংগ্রহ করেন।
পর্যটক ও গবেষকরা চাইলে এখন থেকে বনজীবী এসব মানুষের সঙ্গে বনের গভীরে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। মূলত বিস্তৃত এই বনে প্রকৃতিকভাবে যে মধুশিল্প গড়ে ওঠেছে তা সচক্ষে দেখার সুযোগ পাবেন তারা। করতে পারবেন গবেষণাও।
সুন্দরবন প্রেমীদের জন্য পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্চে চালু করা হয়েছে এই হানি ট্যুরিজম। বুধবার বেলা ১২টায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্চ কার্যালয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এমএ হাসান বলেন, ‘এই প্রথমবারের মত পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে হানি ট্যুরিজম চালু করা হয়েছে। বনবিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে মৌমাছি ও মধু বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহীরা এখন থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন। এ ছাড়া মৌয়ালরা কিভাবে মধু সংগ্রহ করেন, তা দেখার জন্যও বনের গভীরে যেতে পারবেন পর্যটকরা।’
তিনি জানান, উদ্বোধনের দিনেই ২০ জনের একটি গবেষক দল হানি ট্যুরিজমের আওতায় দুই দিনের জন্য অনুমতি নিয়ে সুন্দরবন প্রবেশ করেছেন। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, গবেষক ও মধু ব্যবসায়ীও রয়েছেন।
এমএ হাসান বলেন, ‘এবার মধু সংগ্রহ মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই আগামী মৌসুম থেকেই হানি ট্যুরিজমে ব্যাপক সাড়া পাওয়া আশা করছি আমরা।’
হানি ট্যুরিজম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এমএ হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জ কর্মকর্তা আকমুল হোসেন মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রামের মধু গবেষক সৈয়দ মুহাম্মদ মঈনুল আনোয়ারসহ আরও অনেকেই।
আরও পড়ুন:দেশের প্রথম বাজেট এয়ারলাইনস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে এয়ার এশিয়া কনসাল্টিংকে পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে উড়ানের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি এয়ারলাইনস ফ্লাই ঢাকা।
এয়ার এশিয়া কনসাল্টিং মালয়েশিয়াভিত্তিক বিমানসংস্থা এয়ার এশিয়ার সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
সাধারণত এয়ার এশিয়া কনসাল্টিং এয়ারলাইনসগুলোকে কৌশল নির্ধারণ, বহর পরিকল্পনা, নেটওয়ার্ক কৌশল ঠিক করতে সহযোগিতা করে।
এয়ার এশিয়া কনসাল্টিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুবাশিনি সিলভাদাস বলেন, ‘কম খরচের এয়ারলাইনস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে ফ্লাই ঢাকাকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে সহযোগিতা করবে এয়ার এশিয়া। এয়ার এশিয়া এবং ফ্লাই ঢাকা দুই প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়।
‘একইসঙ্গে ফ্লাই ঢাকা এয়ার এশিয়ার নেটওয়ার্ক এবং হাব কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের এই অঞ্চলের অন্যান্য গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার সুযোগও কাজে লাগাতে পারবে।’
ফ্লাই ঢাকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম ফজলে আকবর বলেন, ‘প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সেরা কম খরচের এয়ারলাইনসের মর্যাদায় থাকা এয়ার এশিয়াকে সহযোগী হিসেবে পেয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। এয়ার এশিয়ার পরামর্শ আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে আমরা আশা করি এবং দেশের সেরা কম খরচের এয়ারলাইনস হিসেবে নিজেদের পরিচয় তৈরি করার আমাদের যে লক্ষ্য রয়েছে তা পূরণ হবে।
‘ফ্লাই ঢাকা গত বছরের অক্টোবরে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছে এবং এই মুহূর্তে এয়ার অপারেটরস সার্টিফিকেট (এওসি) পাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে ফ্লাই ঢাকা অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে পরিচালনার জন্য উড়োজাহাজ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও অনেকটা এগিয়েছে। এয়ার এশিয়ার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে সম্ভবত আমরাই দেশে প্রথম এয়ারবাস এ থ্রিটুজিরো উড়োজাহাজ সফলভাবে অপারেট করতে যাচ্ছি।’
দেশে বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ছাড়া দুটো বেসরকারি এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এগুলো হলো- ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস ও নভো এয়ার। গত বছর ফ্লাই ঢাকা ও এয়ার অ্যাসট্রা নামে আরও দুটো বেসরকারি এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন চায়। দুটো এয়ারলাইনসকেই এরই মধ্যে অনুমতি দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
দুই এয়ারলাইনস যাত্রা শুরু করলে দেশে বেসরকারি এয়ারলাইনসের সংখ্যা দাঁড়াবে চারে। এর ফলে এভিয়েশন খাতে অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফ্লাই ঢাকার মূল মালিকানায় রয়েছেন সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিনিয়োগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
আর এয়ার অ্যাসট্রার মালিকানায় রয়েছেন এক জাপান প্রবাসী ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
ফ্লাই ঢাকা কম খরচের এয়ারলাইন হিসেবে নিজেদের কৌশল গোছাচ্ছে, এটি বাস্তবায়ন হলে তারাই হবে দেশের প্রথম বাজেট এয়ারলাইনস।
বেবিচকের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো এয়ারলাইনস ফ্লাইট শুরুর পর প্রথম এক বছর আবশ্যিকভাবে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক বছর পর আন্তর্জাতিক গন্তব্যে উড়ালের অনুমতি চাইতে পারে এয়ারলাইনস।
গত ২৫ বছরে দেশে ১০টি বেসরকারি এয়ারলাইনস যাত্রা শুরু করলেও এখন টিকে আছে মাত্র দুটি। এ সময়ের মধ্যে একে একে পাখা গুটিয়েছে অ্যারো বেঙ্গল, এয়ার পারাবত, রয়্যাল বেঙ্গল, এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইনস, বেস্ট এয়ার ও ইউনাইটেড এয়ার।
সর্বশেষ করোনার মধ্যে গত বছরের মার্চ থেকে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে আরেকটি এয়ারলাইনস রিজেন্ট এয়ার। কয়েক দফা চালুর কথা বললেও আর ফ্লাইটে ফেরেনি এয়ারলাইনসটি।
বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে জিএমজি, রিজেন্ট ও ইউনাইটেড আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও চালাত।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিন্ন স্বাদের পাহাড়ি খাবার খাওয়াতে ছয় দিনব্যাপী ‘পাহাড়ি খাদ্য উৎসব’-এর আয়োজন করেছে টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা হোটেল। এতে সাহায্য করছে ইকো ট্রাভেলার্স ও রাঙামাটি রাজবন বিহার।
হোটেলটির ‘কাসবাহ’ রেস্তোরাঁয় সোমবার রাতে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন চাকমা সার্কেলের উপাধি রাজা দেবাশীষ রায়।
তিনি জানান, এই আয়োজন চলবে আগামী ২১ মে পর্যন্ত। উৎসব চলাকালীন ছয় দিন প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে কাসবাহ রেস্তোরাঁয় দুই হাজার ৪৯৯ টাকায় এ আয়োজনে অংশ নিতে পারবেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সুস্বাদু খাবারে আগ্রহীরা।
দেবাশীষ রায় বলেন, ‘সবাই দূর পাহাড়ের মানুষ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জনপদ তাদের আবাসস্থল। সেখানকার প্রকৃতি, পরিবেশ আর সংস্কৃতি দেশের সমতলভূমি থেকে ভিন্ন। ভিন্নতর তাদের খাবার-দাবারও। পাহাড়ের এসব ভিন্ন খাবারের স্বাদ এখন পাবেন সমুদ্রপাড়ের হোটেলেও।’
উৎসবে শতাধিক খাবারের পসরা বসানো হয়। তার মধ্যে তিন পার্বত্য জেলার জনপ্রিয় খাবারই ছিল অর্ধ-শতাধিক।
এতে আয়োজন হয় বেম্বু চিকেন, পাচন (চিংড়ির সঙ্গে সবজি), বাচ্চুরি (বাঁশের তরকারি), হাঙ্গারা সুগরে (কুমড়া দিয়ে কাঁকড়া), মংশো মরিচ (মুরগি এবং মরিচ ভর্তা), হুরো হুরবো (মুরগি সালাত), মাচ হ্যাবাং (শৈল মাছের ঝোল), বিনি চালের পায়েস, ঝুম লাড্ডু ও কলা পিঠাসহ ৫০ ধরনের খাবারের।
বিখ্যাত রাঁধুনি মিলরয় নানায়াক্কারা ও রাঙ্গামাটির বিনীতা চাকমা অনুষ্ঠানটিতে খাবার প্রদর্শন করেন।
এ ছাড়াও ৬টি স্টলে তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর তৈরি কাপড়, আচারসহ বিভিন্ন প্রসাধনীও তুলে ধরা হয়।
রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্টের এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে দেবাশীষ রায় বলেন, ‘একটি খাবার একটি সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। এটা আমাদের সংবিধানেও রয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে পাহাড়ের প্রথাগত সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চাই। এ আয়োজনের মাধ্যমে দেশের ও দেশের বাইরের লোকজনও পাহাড়ের খাবার সম্পর্কে জানতে পারবেন।’
রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাভিদ আহসান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এ আয়োজনের লক্ষ্য হচ্ছে দেশীয় সংস্কৃতিতে তুলে ধরা। এখন থেকে এই পাহাড়ি খাদ্যের স্বাদ পাবেন আমাদের হোটেলে আসা অতিথিরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলার খাবার সম্পর্কে দেশের অনেক মানুষের অজানা। তাদের জানানোর পাশাপাশি বিদেশিদের কাছেও আমাদের এই দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আজিম শাল, সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাভিদ আহসান চৌধুরীসহ অনেকে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য