× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

ঈদে রাতের খাবারদাবার

ঈদে-রাতের-খাবারদাবার
ঈদের রাতে খাবার তো আর অন্য দিনের মতো হলে চলবে না। থাকতে হবে বিশেষ কিছু। তেমনই বিশেষ কিছু খাবারের রেসিপি দিয়েছেন মনিরা মোস্তাফা রিতা

চিকেন চাপলি কাবাব

ঈদে রাতের খাবারদাবার

উপকরণ: আদা-রসুনের পেস্ট আধা চা চামচ, আনার দানা পাউডার আধা চা চামচ, হাফ গুঁড়া করা জিরা আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২টা, টম্যাটো কুচি ১টা, ধনেপাতা কুচি ২ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, স্বাদ অনুযায়ী লবণ, বেসন ২ চা চামচ, পরিমাণমতো গোল করে কাটা টম্যাটোর রিং ও পরিমাণমতো ভাজার জন্য তেল।

প্রণালি: প্রথমে বোনলেস চিকেন পেস্ট করে নিতে হবে। একটা বাটিতে চিকেনের পেস্টটা ঢেলে এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, টম্যাটো কুচি, গরম মসলা, আদা-রসুনের পেস্ট, লবণ, আনার দানা পাউডার, হাফ গুঁড়া করা জিরা, ভাজা বেসন, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। সবকিছু ভালো করে মাখা হয়ে গেলে চিকেনের মিশ্রণটা নিয়ে বলের মতো করে চ্যাপ্টা করে ওপরে একটা টম্যাটো দিয়ে একটু চেপে দিতে হবে। এবার প্যানে তেল গরম করে দুই পিঠ ভালো করে ভেজে নিলেই রেডি হয়ে যাবে চিকেন চাপলি কাবাব।

-

মাটন লেগ রোস্ট

ঈদে রাতের খাবারদাবার

উপকরণ: খাসির রান ১ কেজি, ঘি ১ কাপ, দই আধা কাপ, পেঁপের চামড়াসহ বাটা ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চিমটি, লবণ ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, দুধ ভালো করে জ্বাল দেয়া আধা কাপ, কাঠবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেয়াজ কুঁচি ১ কাপ, পোস্ত বাটা ১ টেবিল চামচ, আলু বোখারা ৪টি, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, কেওড়ার জল ১ টেবিল চামচ ও গোলাপজল ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: একটি প্যান গরম করে সব মসলা দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। মসলা গরম অবস্থাতেই মিকচারে নিয়ে একসঙ্গে গ্রাইন্ড করে নিতে হবে।

এবার খাসির রানটি নিয়ে ছুরি দিয়ে রানের মাঝে মাঝে খুব গভীরভাবে চিরে দিতে হবে। একটি বাটিতে টক দই, পেঁপে বাটা, আদা-রসুন বাটা, হলুদ বাটা, লাল মরিচ গুঁড়া, লবণ ও যে মসলাটা করা হয়েছে তা থেকে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ মসলা নিয়ে সব একসঙ্গে মাখিয়ে দিতে হবে। এবার মিকচারটি ভালোভাবে মাংসের গায়ে লাগাতে হবে। এটিকে একটি প্লাস্টিক র‍্যাপ শিট দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে দিতে হবে। তারপর রেখে দিতে হবে ফ্রিজে।

একটি প্যানে এক কাপ ঘি খুব ভালো করে গরম করে তাতে পেয়াজ কুঁচি ঢেলে দিতে হবে। পেঁয়াজটা বেরেস্তা না করে অল্পসোনালী কালার না হওয়া পর্যন্ত অনবরত নাড়তে হবে। মাংস বের করে গা থেকে মশলার মিক্সারটি ছাড়িয়ে দিতে হবে। মশলা ফেলা যাবে না কারণ পরে ওটা রোস্টে দিতে হবে। এবার রানটি নিয়ে প্যানে দিয়ে পুরো আঁচে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

ঢাকনা নামিয়ে মাংস উলটিয়ে দিতে হবে। আবার ঢাকনা দিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এতে পস্ত বাটা, বাদাম বাটা, ম্যারিনেশনের যে মশলাটা ছিল তা দিতে হবে। অল্প কিছু টমেটো কুঁচি দিয়ে ভালোমত সব মি· করে করতে হবে। এবার এতে গরম দুধটুকু ও আলু বখোরা দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে অপে¶া করতে হবে পাঁচ মিনিট। সময় শেষে ঢাকনা নামিয়ে মাংস আবার উলটিয়ে দিতে হবে। গ্রেভিটা কিন্তু বার বার তুলে মাংসের উপর লাগিয়ে দিতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি ততক্ষণ রিপিট করতে হবে যতক্ষণ না মাংস নরম হয়ে আসছে।

এবার এতে কেওড়ার জল, কিশমিশ, এক চা চামচ পরিমান গোলাপ জল, ৮-১০ টি আস্ত কাঁচা মরিচ দিতে হবে। মরিচ দেয়াতে খুব সুন্দর একটি ফ্লেভার আসবে। এবার ঢাকনা দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে পাঁচ মিনিট। আগের একই প্রক্রিয়া বার বাররিপিট করতে হবে। গ্রেভি মাংসের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে। সব শেষে এর উপর পেঁয়াজ বেরেস্তা, সিদ্ধ ডিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

-

আস্ত মুরগির মুসাল্লাম

ঈদে রাতের খাবারদাবার

উপকরণ: আস্ত মুরগি ১টি, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা দেড় টেবিল চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা চামচের একটু কম, ধনিয়া গুঁড়া সামান্য, লবণ পরিমাণমতো, লাল মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, চিনি স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, জায়ফল ও জয়ত্রি বাটা ১ চা চামচ, এলাচ, তেজপাতা, দারুচিনি প্রতিটি ২-৩টা করে, আস্ত কাঁচা মরিচ ১-২টি, কাজুবাদাম বাটা/চিনাবাদাম বাটা আধা কাপ, টক দই এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ, লেবুর রস আধা চা চামচ, তরল দুধ আধা কাপ এবং ফুড কালার ১-২ ফোঁটা।

প্রণালি: মুরগি ভালো করে ধুয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে কেচে বা দাগ কেটে নিতে হবে। সুতা দিয়ে ভালো করে বেঁধে নিতে হবে মুরগির পা দুটো।

আদা, রসুন, পেঁয়াজ, জিরা, ধনিয়া, মরিচ গুঁড়া, লবণ ও লেবুর রস অল্প অল্প করে দিয়ে চিকেন ম্যারিনেট করতে হবে ৩০- ৪০ মিনিট। ডুবোতেলে হালকা বাদামি করে ভেজে তুলতে হবে। এবার অন্য একটি প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ মচমচা করে ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজ অবশ্যই ডুবোতেলে ভাজতে হবে। পেঁয়াজ হালকা লাল হয়ে আসলেই নামাতে হবে। নামানোর পরে বাদামি কালার হয়ে যাবে। এবার প্যানে বাকি ঘি, সামান্য তেল, এলাচ, তেজপাতা, দারুচিনি দিতে হবে। সঙ্গে সব মসলা পরিমাণমতো দিয়ে ভাজা মুরগি দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। মসলা সাধারণত ১ চা চামচ করে দিলেই হয়, তবে আপনি বেশি অথবা কম করে নিতে পারেন।

হালকা কষিয়ে নেয়া হয়ে গেলে কাজু বাটা, টক দই, লিকুইড দুধ অথবা পরিমাণমতো পানি দিতে হবে। পানি সামান্য পরিমাণে লাগে। পানি ফুটে উঠলে ঢেকে দিতে হবে। মুরগি সেদ্ধ হয়ে এলে ঢাকনা খুলে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ, চিনি, সামান্য ঘি ও ভাজা পেঁয়াজের অর্ধেক দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিতে হবে। ঝোল মাখামাখা করে নামিয়ে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

-

কাচ্চি বিরিয়ানি

ঈদে রাতের খাবারদাবার

উপকরণ: খাসির মাংস ২ কেজি, পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, ঘি ২৫০ গ্রাম, আলু আধা কেজি, পেঁয়াজের বেরেস্তা এক কাপ, দারুচিনি ৮-১০ টুকরা, এলাচ ১০-১২টি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া (দারুচিনি, এলাচ, জায়ফল, জয়ত্রি, শাহ জিরা ও গোলমরিচ) ১ টেবিল চামচ, জিরা আধা চা চামচ, দই দেড় কাপ, দুধ ২ কাপ, আলুবোখারা ১৪-১৫টা, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ এবং লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। হাঁড়িতে মাংসের সঙ্গে আদা-রসুন বাটা, লবণ, চিনি, টক দই, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ দিয়ে মাখিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এবার গরম মসলার গুঁড়া, অর্ধেক ঘি ও জাফরান দিয়ে ভালোভাবে মাংস মেখে ১০ মিনিট রাখতে হবে। এবার দুই কাপ দুধ মাংসের ওপর ঢেলে দিতে হবে। আলু লবণ মাখিয়ে তেলে ভেজে মাংসের ওপর দিতে হবে।

চাল ধুয়ে আধা সেদ্ধ করে মাংসের ওপর দিতে হবে। বাকি অর্ধেক ঘি, পেঁয়াজের বেরেস্তা, কিশমিশ, আলুবোখারা, বাদাম, গোলাপজল ছড়িয়ে দিয়ে অল্প আঁচে এক ঘণ্টার মতো চুলায় রাখতে হবে। চুলায় উঠানোর আগে আটা গুলিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। এক ঘণ্টা পর আঁচ আরও কমিয়ে দমে রাখতে হবে। গ্যাসের চুলার ক্ষেত্রে তাওয়ার ওপর হাঁড়ি বসিয়ে অল্প আঁচে দমে রাখতে হবে।

-

চিলি মিটবল

ঈদে রাতের খাবারদাবার

উপকরণ: মিটবল ১ প্যাকেট, টম্যাটো পিউরি আধা কাপ, চিলি ফ্লেভার অনুযায়ী, পেঁয়াজ ২ টুকরা, তেল ৪ টেবিল চামচ, চিলি সস ১ টেবিল চামচ এবং মরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ।

প্রণালি: মিটবলগুলো ডুবোতেলে হালকা লাল করে ভেজে নিতে হবে। আলাদা তেল দিয়ে পেঁয়াজ ভাজতে হবে একটু সোনালি করে। তারপর সোনালি হয়ে গেলে টম্যাটো পিউরি, চিলি সস এবং মরিচের গুঁড়া এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিতে হবে। এই মিশ্রণে ভাজা বলগুলো দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট রান্না করতে হবে। চিলিফ্লে· দিয়ে আরও ১ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে।

-

শাহি ফ্রুটি জর্দা

ঈদে রাতের খাবারদাবার

উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ২৫০ গ্রাম, এলাচ ৩-৪টি, দারুচিনি ১ টুকরা, লবঙ্গ ২টি, চিনি স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল সিকি কাপ, কিশমিশ একমুঠ, জর্দা রং/অরেঞ্জ ফুড কালার ১-২ চা চামচ, মোরব্বা কুচি পরিমাণমতো, বাদাম কুচি পরিমাণমতো এবং বেবি সুইটস ১২-১৫টি।

প্রণালি: প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে ঝরিয়ে রেখে দিতে হবে। এরপর পরিমাণমতো পানি, তেজপাতা, সামান্য লবণ, ১ চা চামচ তেল ও জর্দার রং মিশিয়ে পানি ফুটলে চালগুলো দিয়ে ৫-৬ মিনিট সেদ্ধ করে নিতে হবে। চালগুলো ছেঁকে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।

এবার একটি প্যানে মিডিয়াম আঁচে ঘি গরম করে তাতে আস্ত গরম মসলাগুলো দিয়ে একটু ভাজা ভাজা করতে হবে। এরপর চিনি এবং পানি দিয়ে একসঙ্গে নাড়তে হবে। পানি বলক এলে সেদ্ধ চাল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার চাল ঢেকে দিয়ে চুলা মিডিয়াম আঁচ থেকে কমিয়ে ১০-১৫ মিনিট রান্না করতে হবে। ১৫ মিনিট পর ১ চা চামচ ঘি দিয়ে হালকা নেড়ে দিতে হবে। এবার ১০-১৫ মিনিট ঢেকে দমে রেখে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সেদ্ধ ভাতটা যাতে বেশি ফুটে না যায়। এখন জর্দাটা নামিয়ে বাদাম কুচি এবং বেবি সুইটস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

-

গ্রিল্ড লবস্টার

ঈদে রাতের খাবারদাবার

উপকরণ: লবস্টার ৩টি, বারবিকিউ সস ১ টেবিল চামচ, টম্যাটোর সস ২ টেবিল চামচ, ভিনেগার ২ টেবিল চামচ, জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ, পাপরিকা ১ চা চামচ, রোজমেরি আধা চা চামচ, ভাজা মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: লবস্টার পানিতে ৩-৪ মিনিট ফুটিয়ে মাঝামাঝি ২ ভাগ করে কেটে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে ম্যারিনেট করে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। গ্রিলারের ওপর দুই সাইডই দুইবার করে উল্টে দিয়ে মসলা ব্রাশ করতে হবে। ৬-৭ মিনিট গ্রিল করে গ্রিলার থেকে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

আরও পড়ুন:
ঈদের দুপুরে জম্পেশ খাবার
ঈদ শুরু হোক মজাদার নাশতায়
গরমে প্রশান্তির ম্যাংগো মিল্কশেক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Hotel resorts in Ruma and Thanchi are empty due to lack of tourists

পর্যটক-শূন্যতায় রুমা ও থানচির হোটেল রিসোর্ট ফাঁকা

পর্যটক-শূন্যতায় রুমা ও থানচির হোটেল রিসোর্ট ফাঁকা বান্দরবানের থানচি উপজেলার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট তমা তুঙ্গী। ফাইল ছবি
বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর পার্বত্য জেলা বান্দরবানে পর্যটন খাতে কালো ছায়া পড়েছে। ভয়ে-আতঙ্কে পর্যটকরা বুকিং বাতিল করছেন। ফলে ভরা মৌসুমেও লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসা-সংশ্লিষ্টরা।

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে প্রতি বছর ঈদ, পহেলা বৈশাখ ও সাংগ্রাই উৎসব ঘিরে ব্যাপক পর্যটকের সমাগম হয়। বছর ঘুরে এসব উৎসব এলেও এবারের পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। বিশেষত জেলার রুমা ও থানচিতে পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে। হোটেল-রিসোট পড়ে থাকছে ফাঁকা। দেখা মিলছে না দেশি-বিদেশি পর্যটকের।

সম্প্রতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর পর্যটন খাতে কালো ছায়া পড়েছে। ভয়ে ও আতঙ্কে পর্যটকরা আগে থেকে করে রাখা বুকিং বাতিল করছেন। ফলে ভরা মৌসুমেও লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসা-সংশ্লিষ্টরা।

পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থানকারী জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম বান্দরবান। জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচির অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ। ইতোমধ্যে এসব স্পটের খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে থানচির অবস্থান। আর রোয়াংছড়ি ২০ কিলোমিটার ও রুমার দূরত্ব ৬৯ কিলোমিটার।

বান্দরবান-থানচি সড়কের মাঝামাঝি জীবননগর নামক স্থানে রয়েছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট নীলগিরি। নীল দিগন্ত বিস্তৃত এলাকাটি ম্রো অধ্যুষিত।

থানচি-আলিকদম সংযোগ সড়কে থানচি সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ক্রাউডং (মারমা) ডিম পাহাড় (বাংলা)। নৌপথে সাংগু নদী বেয়ে তিন্দু ইউনিয়নে রয়েছে রাজা পাথর (বাংলা)।

এরপর রয়েছে রেমাক্রী খাল। জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের রোয়াংছড়ি উপজেলার শীলবাঁধা পাড়ায় দেবতাখুমের অবস্থান। এছাড়াও রয়েছে অনেক পর্যটন স্পট।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত প্রাকৃতিক হ্রদ হলো বগা লেক। রুমা উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে তিন হাজার সাতশ’ ফুট উচুঁতে এর অবস্থান। লেকটি পাহাড় চূড়ায় ১৫ হাজার একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত।

বগা লেক নিয়ে নানা কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হল বিজয় (তাজিং ডং)। সমতল থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ৫শ’ ফুট। রুমা উপজেলার রেমাক্রী পাংশা ইউনিয়নে এর অবস্থান।

রুমা উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। শীত মৌসুমে এই পর্বত দেখতে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে।

এছাড়াও রয়েছে কেওকারাডং, জলপ্রপাতের পানি ঝিরসহ অনেক পর্যটন স্পট। আবার জেলার থানচিতে পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে নাফাখুম ঝরনা, আমিয়াখুং ঝরনা, ভেলাখুং ঝরনা, সাত ভাই খুং ঝরনা, লাংলুক ঝরনা, লৈক্ষ্যং ঝরনা, চিংড়িৎ ঝরনা।

প্রকৃতি এতোসব সম্ভার সাজিয়ে বসে আছে। কিন্তু তা দেখার জন্য পর্যটকের আগমন ঘটছে না। সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ভয় আর আতঙ্কে তারা পার্বত্য এসব পর্যটন স্পট এড়িয়ে চলছেন।

পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা জানান, বান্দরবান জেলায় পর্যটকদের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানগুলো হচ্ছে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায়। বিরাজমান পরিস্থিতিতে এই তিন উপজেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। ফলে এসব দর্শনীয় স্থানে যাতায়াত করাটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন পর্যটকরা। অধিকাংশ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ। যানবাহন চলাচলও সীমিত। সন্ধ্যার আগেই লোকজন ঘরবন্দি হয়ে পড়ছে।

রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচির হোটেল-রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখ চলে গেল। এসব উৎসবের ছুটিতে এখানে হোটেল-মোটেলের শতভাগ রুম বুকিং হওয়ার কথা। কিন্তু এবার সেসবের কিছুই হয়নি।

হঠাৎ করে ২ এপ্রিল রাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে। পরদিন দুপুরে থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে অস্থির হয়ে পড়েছে বান্দরবান।

কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শুরু হয় যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান। আর এই খবর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে ভয়-আতঙ্কে মুখ ফিরিয়ে নেয় পর্যটকরা। অথচ এই সময়টাতে থানচি রেমাক্রীতে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম হওয়ার কথা ছিল।

পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটক না আসার কারণে এই ঈদ মৌসুমে তাদেরকে লাখ লাখ টাকার লোকসান গুনতে হবে।

নৌকার এক মাঝি জানান, থানচিতে পর্যটকের ছুটে চলার একমাত্র মাধ্যম হলো নৌকা। এখানে নৌকার সংখ্যা রয়েছে পাঁচ শতাধিক। আর এসব নৌকা চালানোর জন্য সমসংখ্যক মাঝি রয়েছেন। তাদের প্রধান আয়ের উৎস পর্যটক। নৌকা চালাতে পারলে সংসারের চাকা ঘুরবে, অন্যথায় উপোস থাকতে হবে। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তারা দিনশেষে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন বলেন, ‘সরকারিভাবে পর্যটকদের এই এলাকা ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। তবে এমন পরিস্থিতি শোনার পর আর কেউ এখানে ঘুরতে আসবে বলে মনেও হয় না। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিটরা অনেক কষ্ট ও লোকসানে পড়বে বোঝা যাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ-এর শতাধিক অস্ত্রধারী ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমা উপজেলার ইউএনও অফিস সংলগ্ন মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে। তারা সোনালী ব্যাংকের টাকাসহ ডিউটিরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেও অপহরণ করে। পরদিন থানচি উপজেলা শহরের সোনালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি হয়।

যৌথ অভিযান চালিয়ে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে র‌্যাব ও সেনাবাহিনী। এরপর কেএনএফের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা দেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এসব ঘটনায় আটটি মামলা করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই জড়িতদের ধরতে এবং সন্ত্রাসীদের নির্মূলে ৬ এপ্রিল যৌথ বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। দুদিনের অভিযানে ১৮ নারীসহ ৫৬ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী। বাকি সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন:
পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কম্বিং অপারেশন চলবে: সেনাপ্রধান
বান্দরবানের ঘটনার প্রভাব পড়বে না পর্যটনে: টুরিস্ট পুলিশ
ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় বিদেশি মদদ নেই: কাদের
বান্দরবানে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
‘কেএনএফের হুমকি’: বান্দরবানের দুই উপজেলায় বন্ধ গণপরিবহন

মন্তব্য

জীবনযাপন
Changa Sylhets tourism sector on the occasion of Eid

ঈদ উপলক্ষে চাঙা সিলেটের পর্যটন খাত

ঈদ উপলক্ষে চাঙা সিলেটের পর্যটন খাত
সিলেটে আগামী কয়েক দিন পর্যটনে চাঙাভাব অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। ছবি: নিউজবাংলা
জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে জাফলংয়ে অনেক পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও ভালো হয়েছে। এখানকার কোনো হোটেল-রিসোর্টেই এখন কক্ষ খালি নেই। আগামী কয়েক দিন পর্যটক সমাগম বেশি থাকবে বলে আশা করছি।’

কিছুদিন মন্দাবস্থার পর ঈদ উপলক্ষে চাঙা হয়ে উঠেছে সিলেটের পর্যটন খাত। ঈদের ছুটিতে ব্যাপকসংখ্যক পর্যটক এসেছেন সিলেটে। এতে খুশি পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা।

আগামী কয়েক দিন এই চাঙাভাব অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দুটি গন্তব্য গোয়াইনঘাটের জাফলং ও কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর। এ দুই জায়গাতেই ঈদের দিন থেকে পর্যটকদের ঢল নেমেছে, তবে ঈদের দিনের চেয়ে তার পরের দিন পর্যটক সমাগম আরও বাড়ে।

জাফলংয়ের পর্যটন খাতের উদ্যেক্তারা জানান, ঈদ মৌসুমে জাফলংয়ে আট থেকে ১০ লাখ পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন তারা।

জাফলং, সাদাপাথর ছাড়াও বিছনাকান্দি, রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট, পানতুমাই ঝরনা, লালাখাল ও সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানে বৃহস্পতিবার থেকেই পর্যটকদের ঢল নামে। সিলেটের বেশির ভাগ হোটেল-রিসোর্ট এখন অতিথিতে পূর্ণ।

সিলেট শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে সাদাপাথর। সাদা পাথুরে নদীর শীতল জল আর পাশেই দিগন্ত বিস্তৃত মেঘালয় পাহাড়। প্রকৃতির এ অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। ঈদ মৌসুমে পর্যটক সমাগম আরও বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

ঈদুল ফিতরের পরের দিন শুক্রবার সাদাপাথরে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের কারণে নদীতে পা ফেলার অবস্থা নেই। ভিড়ের কারণে অনেকে নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ছিলেন; নামতে পারছিলেন না পানিতে।

সাদাপাথর ঘুরতে আসা কুমিল্লার শিউলি বেগম বলেন, ‘এই পরিবেশ অপরূপ। যে কেউ আসলে মন ভালো হয়ে যাবে।’

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে আসা রাজেল মিয়া বলেন,‘দুপুরে সাদাপাথরে এসেছি। সাদাপাথরের ধলাই নদীর শীতল স্পর্শ মনকে চাঙা করে দিয়েছে।

‘সত্যিই অসাধারণ জায়গা। অবসর পেলেই চলে আসি।’

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট রিজিয়নের পরিদর্শক আখতার হোসেন বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সাদাপাথরে এই ঈদে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক ঘুরতে আসছেন।

‘আমাদের কয়েকটি টিম সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে। পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন।’

ঈদ উপলক্ষে চাঙা সিলেটের পর্যটন খাত

সিলেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য জাফলং। শনিবার জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে মেঘ-পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা।

জাফলংয়ে সকাল থেকেই দলবেঁধে পর্যটকেরা ঘুরতে আসেন। নদীতে নেমে কেউ কেউ গোসল করতে ব্যস্ত। আর নৌকা পার হয়ে অনেকের গন্তব্য মায়াবী ঝরনা, খাসিয়া পল্লি ও চা বাগানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।

পর্যটক সুজন আহমেদ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যরা মিলে ঘুরতে এসেছি। জাফলং ভীষণ ভালো লেগেছে।

‘পাহাড় আর পাথরের সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছে, তবে বৃষ্টিতে একটু ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।’

এদিকে পর্যটকদের চাপে সিলেটের হোটেল-মোটেলগুলোতে কক্ষ খালি ছিল না। ব্যস্ততা দেখা গেছে রেস্তোরাঁগুলোতেও। পর্যটকের সমাগমে খুশি এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।

জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে জাফলংয়ে অনেক পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও ভালো হয়েছে।

‘এখানকার কোনো হোটেল-রিসোর্টেই এখন কক্ষ খালি নেই। আগামী কয়েক দিন পর্যটক সমাগম বেশি থাকবে বলে আশা করছি।’

পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে টুরিস্ট পুলিশ, থানা-পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ রতন শেখ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে সকাল থেকেই পর্যটকে মুখরিত ছিল জাফলং। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়াও পর্যটকরা বেড়াতে এসে যাতে কোনোভাবেই ভোগান্তিতে না পড়েন, সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
তীব্র লোডশেডিং, পানির সংকটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী
সিলেটে গ্রামের চেয়ে বেশি লোডশেডিং শহরে
সিলেট টেস্টে শোচনীয় হার বাংলাদেশের
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬
উদ্ভাবনী পদমর্যাদায় ‘ইনফেকশাস-ডিজিজ’ বিষয়ে প্রথম স্থান সিকৃবির

মন্তব্য

জীবনযাপন
You can have peanut butter smoothie for iftar

ইফতারে রাখতে পারেন পিনাট বাটার স্মুদি

ইফতারে রাখতে পারেন পিনাট বাটার স্মুদি পিনাট বাটার স্মুদি। ছবি: সংগৃহীত
টুকরো করে রাখা কলা, দুধ, পিনাট বাটার একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে স্মুদি ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

দিনভর রোজা রেখে ইফতারে দরকার হয় পুষ্টিকর কিছু। পিনাট বাটার স্মুদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। তাই ইফতারে রাখতে পারেন পিনাট বাটারের মজাদার স্মুদি। এনডিটিভি ফুডের পিনাট বাটার স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

উপকরণ (এক কাপ পরিমাণ)

১. ১টি কলা

২. ১ কাপ দুধ

৩. ২থেকে ৩ টেবিল চামচ পিনাট বাটার

পিনাট বাটার যদি চিনি ছাড়া হয়,সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত চিনি বা মধু দিতে হবে স্বাদমতো।

ইফতারে রাখতে পারেন পিনাট বাটার স্মুদি
ছবি: সংগৃহীত

প্রস্তুত প্রণালি

টুকরো করে রাখা কলা, দুধ, পিনাট বাটার একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে স্মুদি ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চাইলে বাড়িতেও পিনাট বাটার বানিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন হবে তিন থেকে চারটি উপকরণ। চিনা বাদাম, বাটার অথবা অভিল অয়েল ও মধু ও সামান্য লবণ।

পিনাট বাটার যেভাবে বানাবেন

বাদাম দুই থেকে তিন মিনিট ওভেনে বেক করে নিন অথবা চুলায় হালকা ভেজে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।

আরও পড়ুন:
ঝটপট মজাদার ইরাকি কোফতা কাবাব
ইফতারে হয়ে যাক মজাদার সুইচ রোল
ইফতারে অল্প সময়ে পুষ্টিকর চিড়ার পোলাও
ইফতারের দোয়া

মন্তব্য

জীবনযাপন
7 hotels and restaurants fined in Coxs Bazar for fault in fire fighting system

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি, কক্সবাজারে ৭ হোটেল-রেস্তোরাঁকে জরিমানা

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি, কক্সবাজারে ৭ হোটেল-রেস্তোরাঁকে জরিমানা কক্সবাজারের অভিজাত হোটেল লংবিচসহ বেশকিছু হোটেল-রেস্তোরাঁয় মঙ্গলবার অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: নিউজবাংলা
অভিজাত হোটেল লং বিচকে এক লাখ, হোটেল সী প্যালেসকে ৫০ হাজার, হোটেল কল্লোলকে ৫০ হাজার, হোটেল মিডিয়াকে ১০ হাজার, কাচ্চি ডাইন রেস্তোরাঁকে ২০ হাজার এবং হোটেল মিডিয়ার রেস্তোরাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি এবং ভোক্তা অধিকার আইন অমান্য করার দায়ে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনে অভিযান চালিয়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হোটেল লং-বিচ ও হোটেল সী-প্যালেসের মতো অভিজাত হোটেলও রয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনে এসব অভিযান চালানো হয় বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন।

তিনি জানান, পর্যটন শহর কক্সবাজারকে অগ্নি-দুর্ঘটনা থেকে এবং পর্যটকদের নিরাপদ রাখতে জেলা প্রশাসনের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দুটি দল মঙ্গলবার দুপুর থেকে হোটেল-মোটেল জোনে অভিযান চালায়। এ সময় আবাসিক হোটেলগুলোতে অগ্নি-নির্বাপন ব্যবস্থা যথাযথভাবে অনুসরণ না করা এবং রেস্তোরাঁয় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ নিরাপদ খাদ্য পরিবেশনে ব্যত্যয়ের দায়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি, কক্সবাজারে ৭ হোটেল-রেস্তোরাঁকে জরিমানা
কক্সবাজারে হোটেল-রেস্তোরাঁয় মঙ্গলবার অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: নিউজবাংলা

এডিএম বলেন, ‘জরিমানা আদায় করা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অগ্নি-প্রতিরোধক দরজার বিপরীতে কাঠের দরজা, অকেজো স্মোক ডিটেক্টর, অপর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইশার, হোটেলের আয়তন অনুপাতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চূড়ান্ত সনদ না থাকা এবং রেস্তোরাঁগুলোতে খাবারের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য পরিবেশনে ত্রুটির প্রমাণ মিলেছে।

‘এসব কারণে অভিজাত হোটেল লং বিচকে এক লাখ টাকা, হোটেল সী প্যালেসকে ৫০ হাজার, হোটেল কল্লোলকে ৫০ হাজার, হোটেল মিডিয়াকে ১০ হাজার, কাচ্চি ডাইন রেস্তোরাঁকে ২০ হাজার এবং হোটেল মিডিয়ার রেস্তোরাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া হোটেল মিডিয়ার পাশে অনুমোদনহীন একটি ক্ষুদ্র দোকানকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ইয়ামিন হোসেন আরও জানান, দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ত্রুটিগুলো দ্রুত কাটিয়ে উঠতে নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে। প্রশাসনের এই অভিযান আরও কয়েকদিন চলবে।

আরও পড়ুন:
রেস্তোরাঁ খাত করপোরেটের দখলে নিতে ষড়যন্ত্র চলছে
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় টাঙ্গাইলে চার রেস্তোরাঁকে জরিমানা

মন্তব্য

জীবনযাপন
34 Diplomats at Rangkut Buddhist Monastery

রাংকুট বৌদ্ধ বিহারে ৩৪ কূটনীতিক

রাংকুট বৌদ্ধ বিহারে ৩৪ কূটনীতিক বুধবার রামুর ঐতিহাসিক রাংকুট বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনে ৩৪ কূটনীতিক। ছবি: নিউজবাংলা
বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনকালে কক্সবাজার অঞ্চলের বৌদ্ধ ইতিহাস, স্থাপনা এবং সমুদ্র সৈকত- সব মিলিয়ে অপার পর্যটন সম্ভাবনাকে তোলে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার আশ্বাস দেন কূটনীতিকরা।

কক্সবাজারের রামুর ঐতিহাসিক রাংকুট বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার সফরে আসা ৩৪ কূটনীতিক।

বুধবার সকালে রাংকুট বৌদ্ধ বিহারে এসে পৌঁছালে কূটনীতিকদের স্বাগত জানান বিহারাধক্ষ্য জ্যোতিসেন মহাথেরো।

তিনি জানান, এ সময় দুই হাজার ৩০০ বছরের পুরোনো মহামতি বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থান দেখে মুগ্ধ হন অতিথিরা। সেইসঙ্গে সম্রাট অশোক, চীনা পর্যটক হিউয়েন সাংয়ের আবক্ষ মূর্তিসহ বৌদ্ধ পুরাকীর্তি দেখে অভিভূত হন। অতিথিরা বিহারের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন।

পরিদর্শনকালে কক্সবাজার অঞ্চলের বৌদ্ধ ইতিহাস, স্থাপনা এবং সমুদ্র সৈকত- সব মিলিয়ে অপার পর্যটন সম্ভাবনাকে তোলে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার আশ্বাস দেন কূটনীতিকরা।

কূটনীতিকদের আগমনে বিহারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হয়।

রাংকুট বৌদ্ধ বিহারে ৩৪ কূটনীতিক

পরে তারা সমুদ্র সৈকতের লাবনীর ট্যুরিস্ট মার্কেটে যান। সেখানে ঝিনুকের দোকানসহ অন্যান্য হস্তশিল্প পণ্যের দোকান পরিদর্শন করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে ২৪ দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনীতিক রেলে চড়ে কক্সবাজার যান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘অ্যাম্বাসেডরস আউট রিচ’ প্রোগ্রামের আওতায় যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসোভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্সের মিশন প্রধানসহ এফএও, আইইউটি ও একেডিএন-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনীতিকরা দুদিনের সফরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার যান।

মন্তব্য

জীবনযাপন
The names of two points of Coxs Bazar beach are changing

বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের দুই পয়েন্টের নাম

বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের দুই পয়েন্টের নাম সুগন্ধা পয়েন্টে সূর্যাস্তের দৃশ্য। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
সুগন্ধা পয়েন্টকে ‘বঙ্গবন্ধু বীচ’ এবং সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের মাঝখানের খালি জায়গাটি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বীচ’ নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টকে ‘বঙ্গবন্ধু বীচ’ এবং সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের মাঝখানের খালি জায়গাটি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বীচ’ নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সোমবার বিকেলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. সাহেব উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘মুক্তিযুদ্ধা সংসদ কমান্ডের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বীচকে ‘বঙ্গবন্ধু বীচ’ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সুগন্ধা বীচ ও কলাতলী বিচের মাঝখানের খালি জায়গা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বীচ’ নামকরণ করা হলো। একইসঙ্গে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেয়া হলো।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এখানে জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের এটি বাস্তবায়নে আদেশ দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
কক্সবাজারগামী পর্যটকদের জন্য ‘বিশেষ ট্রেন’
সৈকতে ছিনতাই স্পটের ৫ ঝুপড়ি উচ্ছেদ
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে মাঠে র‍্যাব

মন্তব্য

জীবনযাপন
Travel ban on Saint Martin from Saturday

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে শনিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে শনিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। ফাইল ছবি
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে সেন্টমার্টিনে নৌ-রুটে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।’

মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনার কারণে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে নৌ-রুটে ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ করা যাবে না।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে সেন্টমার্টিনে নৌ-রুটে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।’

এর আগে সকালে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শনকালে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুল জামান সিদ্দিকী ওই রুটে ভ্রমণ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন:
হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে আরও এক বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে
রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের সুযোগ আর নয়: কাদের
সীমান্তে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত বিজিবি: মহাপরিচালক
মিয়ানমার সীমান্তে যাচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক
তুমব্রু সীমান্তে আরও এক বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ

মন্তব্য

p
উপরে