বেশ কিছুদিন ধরেই অনলাইন শপিং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। যেহেতু আমরা আমাদের কিছু মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য ইন্টারনেটের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তাই সতর্ক থাকা এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
ঈদ মৌসুমে অনলাইনে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে নিরাপদ রাখার টিপসগুলো হলো:
একটি নিরাপদ কম্পিউটার থেকে কেনাকাটা করুন
অনলাইনে নিজের সুরক্ষা বাড়িতেই, বিশেষ করে আপনার বাড়ির কম্পিউটার থেকেই শুরু হয়। যদি আপনার কম্পিউটার বা ফোন কম্প্রোমাইজড হয়ে থাকে, তবে এর সব তথ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। ম্যালওয়্যার, ভাইরাস এবং কি-লগারগুলো থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য সোফোস হোমের একটি দ্রুত এবং সহজ ডাউনলোডই যথেষ্ট- কম্প্রোমাইজড ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করা, গোপনীয়তা ও সুরক্ষা প্রদান করা এবং আপনার ওয়েবক্যামে অননুমোদিত অ্যাক্সেস বন্ধ করাসহ বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করে থাকে সফোসের এই ফিচারটি।
সফোস হোম সাইবার নিরাপত্তা বাজারে সবচেয়ে বিস্তৃত, কার্যকর সুরক্ষা দিয়ে থাকে। নিজেকে আরও সুরক্ষিত রাখার জন্য যেকোনো সার্বজনীন কম্পিউটার ব্যবহার করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন।
স্ক্যাম ইমেল খুঁজে বের করুন
সবচেয়ে বড় সাইবার নিরাপত্তা হুমকিগুলো শপিং উত্সবের দিনই ঘটে না, ঘটে সাধারণত পরের দিন- স্ক্যামাররা নিজেদের আপনার প্রিয় অনলাইন খুচরা বিক্রেতা হিসেবে দাবি করে জাল ইমেল পাঠাতে শুরু করে।
ইমেলগুলো নিজেদের ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে এসেছে বলে দাবি করতে পারে। তারা অসম্ভব লোভনীয় ছাড় অফার করতে পারে, বা দাবি করতে পারে যে আপনার অর্ডারটি বিলম্বিত হয়েছে, বা এমনকি আপনাকে একটি জাল ট্র্যাকিং লিঙ্কও দিতে পারে যা আপনাকে একটি বৈধ প্যাকেজ ট্র্যাকিং পৃষ্ঠার পরিবর্তে ভাইরাস-বোঝাই সাইটে নিয়ে যাবে।
কখনও কখনও আপনি বানান ভুল চিহ্নিত করে বা প্রেরকের ইমেল ঠিকানাটি সূক্ষ্মভাবে দেখে এই ইমেল সনাক্ত করতে পারেন। আপনি যদি নিজেকে খুচরা বিক্রেতা হিসেবে দাবি করে এমন একটি ইমেল পান এবং এটি কিছুটা সন্দেহজনক বলে মনে হয় তবে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করবেন না এবং অবশ্যই কোনো অ্যাটাচ ফাইল খুলবেন না। সেখানে থাকতে পারে .zip বা .exe ফাইল। এর পরিবর্তে বরং সরাসরি স্টোরের ওয়েবসাইটে যান এবং সেখানে আপনার অর্ডারের স্থিতি পরীক্ষা করুন।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এবং মাল্টি ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ ব্যবহার
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড অনলাইন নিরাপত্তার জন্য, বিশেষ করে অর্থ ব্যয়কারী সাইটগুলোর জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কিছু পাসওয়ার্ড নির্দেশিকা:
প্রতিটি সাইটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। প্রতিটি সাইটের জন্য বিভিন্ন পাসওয়ার্ড চুরি বা পাসওয়ার্ড ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে।
পাসওয়ার্ডটি দীর্ঘ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অনেক পাসওয়ার্ড ভয়ানক আক্রমণের শিকার হয়, যেখানে একটি প্রোগ্রাম প্রতিটি সম্ভাব্য পাসওয়ার্ড অনুমান করে যতক্ষণ না তারা এটি ক্র্যাক করে। আপনার পাসওয়ার্ডটি যত দীর্ঘ হবে, এই আক্রমণগুলো কাজ করার সম্ভাবনা তত কম।
এটা গোপন রাখুন। আপনার পাসওয়ার্ডগুলো বা এমন কিছু যা তাদের দিকে ইঙ্গিত করতে পারে তা কারও সাথে শেয়ার করবেন না। আপনার যদি পাসওয়ার্ডটি কোথাও সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয় তবে এটি আপনার বাড়িতে লুকানো কাগজের টুকরোতে রাখুন। একটি গুগল ড্রাইভ ডকুমেন্ট বা একটি ইমেলে আপনার পাসওয়ার্ডগুলো রাখা তাদের দুর্বল করে দেয়, তবে কাগজ কেউ হ্যাক করতে পারবেন না।
সম্ভব হলে মাল্টি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ ব্যবহার করুন। মাল্টি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ (এমএফএ) একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার পরিচয় যাচাই করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করেন, তখন আপনি প্রবেশ করার জন্য স্বল্প-সময়ের পাসকোডসহ আপনার ফোনে একটি মেসেজও পেতে পারেন।
এর মানে হল যে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে আপনার পাসওয়ার্ড এবং আপনার ফোনের প্রয়োজন হবে। এটি নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ এডভান্স স্তর।
ম্যালভার্টিজিং- এটা কী এবং কীভাবে এড়াতে হবে
‘ম্যালভার্টিজিং’ বৈধ ওয়েবসাইটগুলোতে জাল বিজ্ঞাপনের জন্য একটি শব্দ। ম্যালভার্টিজিংয়ের শিকার হওয়ার জন্য আপনাকে কোনো সন্দেহজনক ওয়েবসাইটে যেতে হবে না। এই ম্যালওয়্যারসম্পন্ন বিজ্ঞাপন যে কোনো জায়গায় দেখানো হতে পারে। সার্চ ইঞ্জিনগুলোও এর ব্যতিক্রম নয় এবং এমনকি অনুসন্ধানের ফলের বিজ্ঞাপন ম্যালভার্টিজিংয়ের পরিবেশনে ম্যানিপুলেট করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপনগুলো স্বাভাবিক মনে হতে পারে। একবার আপনি সেখানে ক্লিক করলে, তারা আপনাকে এমন সাইটে নিয়ে যাবে যা আপনার কম্পিউটারে ক্ষতিকর কোড সরবরাহ করে। আপনি এটি বোঝার আগেই কম্পিউটারটি ভাইরাসগুলোর সাথে বা স্পাইওয়্যারের সাথে আপোস করতে পারে। যা আপনার গতিবিধি ট্র্যাক করে বা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে।
নিরাপদ থাকার জন্য ব্যানার বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করবেন না এবং অতিরঞ্জিত ডিল থেকে সতর্ক থাকুন। সুরক্ষিত থাকতে, আপনি একটি বিজ্ঞাপন-ব্লকার ইনস্টল করতে পারেন।
আপনার ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টের উপর নজর রাখুন
অনেক লোক ছুটির দিনগুলোর তাদের ব্যয়ের উপর নজর রাখার চেষ্টা করে, তবে আপনি অন্য কোনো কারণে আপনার ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টগুলো দেখতে চাইতে পারেন, জালিয়াতির সন্ধান করতে।
সৌভাগ্যবশত, বেশিরভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আপনাকে মাসিক বিবৃতির জন্য অপেক্ষা না করেই যখনই আপনি চান তখন অনলাইনে আপনার অ্যাকাউন্ট চেক করতে দেয়। আপনি যদি এমন কোনো লেনদেন দেখতে পান যা আপনার অজানা, আপনি এটি রিপোর্ট করার জন্য আপনার ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড প্রতিষ্ঠানগুলোতে কল করতে পারেন।
নিরাপদ ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করুন
আপনি যখন অনলাইনে কেনাকাটা করেন, তখন কেবল এমন ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন যা আপনার ডেটা হ্যাকারদের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখবে।
আরও পড়ুন:ফ্রিজের দরজা খুললে নাকে এসে ধাক্কা দেয় দুর্গন্ধ। একসঙ্গে অনেক খাবার রাখলে কিংবা দীর্ঘদিন খাবার ফ্রিজ রেখে দিলে এ রকম হতে পারে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কী করলে এরকম দুর্গন্ধ সৃষ্টি হবে না। চলুন দেখে নেই।
-
এয়ারটাইট কনটেইনার ব্যবহার করুন
অনেক সময় খাবার থেকেই গন্ধ ছড়িয়ে ফ্রিজকে দুর্গন্ধযুক্ত করে ফেলে। এই জটিলতা এড়াতে সব ধরনের খাবার ফ্রিজে রাখার আগে এয়ারটাইট বক্সে রাখুন। এ ধরনের বক্সের ভেতর থেকে গন্ধ বাইরে আসতে পারে না বিধায় ফ্রিজ দুর্গন্ধমুক্ত থাকে।
-
সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখুন
বেশির ভাগ সময় ফ্রিজের তাপমাত্রা সঠিকমাত্রায় না থাকার কারণে খাবারে জীবাণু বৃদ্ধি পায়। সেখান থেকে সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ। সাধারণত ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখলে এই সমস্যা এড়ানো যায়।
-
ফ্রিজে বেকিং সোডা রাখুন
কুসুম গরম পানির সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে পরিষ্কার করলে ফ্রিজ দুর্গন্ধমুক্ত থাকে। তবে এত পরিশ্রম করতে না চাইলে এক বাটি বেকিং সোডা ফ্রিজে রেখে দিন। সব দুর্গন্ধ এটি শুষে নিবে।
-
নিয়মিত চেক করুন
নিয়মিত চেক করুন যেন কোনো পচা খাবার কিংবা সবজি ফ্রিজে না থাকে। সে রকম কিছু পেলে সেগুলো আলাদা করে ফেলুন। ফ্রিজ থাকবে দুর্গন্ধমুক্ত।
-
ভ্যানিলা এসেন্স ব্যবহার করুন
তুলার বলে কয়েক ফোটা ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। বেকিং সোডার মতো এটিও দুর্গন্ধ শুষে নিয়ে ফ্রিজকে সতেজ রাখবে।
আরও পড়ুন:চলছে গরমকাল। দিনে-রাতে সমানভাবে গরম পড়ছে। ঘরের মধ্যে গরমটা আরও বেশি অনুভূত হয়। তবে চাইলে আমরা সহজেই ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা বেশ কয়েক ডিগ্রি কমিয়ে ফেলতে পারি। চলুন দেখে নেই কীভাবে।
-
দিনের বেলা সূর্যের আলো এসে ঘর গরম করে ফেলে। তাই সূর্যের আলো ঠেকাতে জানালা এবং দরজার পর্দা টেনে রাখুন। তবে পুরোটা না টেনে বাতাস চলাচলের জন্য কিছুটা ফাঁকা রাখতে হবে। নইলে ঘর গুমোট হয়ে থাকবে।
-
বাসায় টেবিল ফ্যান থাকলে তা চালিয়ে রাখুন। ফ্যানের সামনে এক বাটি বরফ রাখতে পারলে ভালো। তাতে ঠান্ডা বাতাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়বে।
-
বাসার পাশে বৃক্ষ রোপণ করুন। বৃক্ষের ছায়া ঘরের চালে কিংবা ছাদে পড়লে ঘর ঠান্ডা থাকবে। তবে আপাতত বৃক্ষ না থাকলে ঘর ঠান্ডা করার জন্য টিনের চালে পানি ছিটিয়ে দিতে পারেন। চাইলে বাঁশের চাটাই চালের ওপরে রাখতে পারেন। তাতে ঘরের চালে সরাসরি রোদ পড়বে না। ঘর ঠান্ডা থাকবে।
-
রান্নাঘরের এগজস্ট ফ্যান লাগিয়ে নিন। রান্নার সময় সেটা চালিয়ে রাখুন। ফলে রান্নার গ্যান ও গরম বাতাস ঘরে ছড়িয়ে পড়ার বদলে বাইরে বেরিয়ে যাবে। ঘর থাকবে ঠান্ডা।
আরও পড়ুন:তেল আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। তবে তেলের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই খাবারে তেল যত কম দেয়া যায় ততই ভালো। চলুন দেখে নেই, কীভাবে কম তেলে রান্না করা যায়।
-
ননস্টিক প্যান
ননস্টিক প্যানে রান্না করলে তেল কম দিলেও চলে। তেল না দিলে সাধারণ কড়াইতে খাবার যেভাবে লেগে যায়, ননস্টিক প্যানে সেটা হয় না। তাই কম তেল ব্যবহার করতে চাইলে ননস্টিক প্যানের বিকল্প নেই।
-
বোতল থেকে তেল ঢালা বারণ
রান্নার সময় তেলের বোতল থেকে খাবারে সরাসরি তেল ঢালবেন না। এভাবে তেল বেশি পড়ে যায়। তাই টেবিল চামচ দিয়ে তেল মেপে খাবারে দিলে তেলের ব্যবহার কমাতে পারবেন।
-
রান্না হোক ভাপ
সব ধরনের খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে ভাপে রান্না করতে হবে। ভাজার আগে ভাপিয়ে নিলে যেমন রান্না করতে কম সময় লাগে, তেমনি অতিরিক্ত তেলের খরচও কমে।
-
বেক করুন
খাবার বেক করতে তেল মসলার তেমন প্রয়োজন হয় না। তাই অল্প তেল ও মসলা ব্যবহার করে বেক করে নিতে পারেন খাবার।
-
দই দিয়ে ম্যারিনেট
দই দিয়ে মাছ-মাংস আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখুন। রান্নার সময় তাতে সামান্য তেল যোগ করুন। এতে একদিকে খাবার যেমন সুস্বাদু হবে, তেমনি তেলের ওপর চাপও কমবে।
আরও পড়ুন:গুড় আমাদের সবার পছন্দ। সেমাই-পায়েস বানাতে কিংবা শুধু মুড়ির সঙ্গে গুড় খেতে অনেকেই পছন্দ করি। অন্যান্য অনেক খাবারের মতোই বাজারে নকল এবং ভেজাল গুড় পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে খাটি গুড় চেনার কিছু টিপস দিয়েছে। চলুন দেখে নেই।
-
কেনার সময় একটু গুড় ভেঙে নিয়ে চেখে দেখবেন। যদি একটু নোনতা লাগে তবে বুঝতে হবে এতে ভেজাল মেশানো রয়েছে। তা ছাড়া পুরোনো গুড়ও স্বাদে খানিকটা নোনতা হয়। গুড় যত পুরোনো তাতে নুনের মাত্রা তত বেশি।
-
গুড় যদি একটু বেশি চকচক করে ঠিক স্ফটিকের মতো, তবে বুঝবেন গুড়টি যে খেজুর রস দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল তার স্বাদ এতটা মিষ্টি ছিল না। আর সেই কারণে ওই গুড় মিষ্টি করে তুলতে এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশানো হয়েছে।
-
গুড় কেনার সময় আপনি কি তা শুধু চোখে দেখেই কিনে নেন? তবে ভুলেও তেমনটি করবেন না। গুড়ের ধারটা দুই আঙুল দিয়ে চেপে দেখবেন। যদি নরম হয়, তবে বুঝবেন ওই গুড় ভীষণ ভালো। এই গুড়ে ভেজাল মেশানো নেই বললেই চলে।
-
যদি গুড় একটু তেতো স্বাদের হয়, তবে বুঝতে হবে ওই গুড়ে বহুক্ষণ ধরে জ্বাল দেওয়া হয়েছে। এ কারণেই একটু তিতকুটে স্বাদ নিয়েছে, যা ভালো হয়ে ওঠার নিরিখে ডাহা ফেল।
-
গুড় কেনার সময় তার রং অবশ্যই দেখে নেবেন। শুদ্ধ গুড়ের রং গাঢ় বাদামি হয়। রঙের হেরফের হলে বুঝতে হবে গুড়ে ভেজাল আছে। বিশেষ করে হলদে গুড় দেখলেই বুঝবেন তাতে রাসায়নিক মেশানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:রান্নাঘরের টাইলসগুলো অল্প দিনেই তেলচিটে হয়ে যায়। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে টাইলসের তেলে আরও ময়লা আটকে যায়। তখন দেখতেও খারাপ লাগে।
টাইলসের এই তেলচিটে দাগ পরিষ্কার করা খুব একটি কঠিন কাজ নয়। চলুন দেখে নেই, কীভাবে এটা পরিষ্কার করবেন।
-
১. টাইলসের ওপরে লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর সেই জায়গায় বরফ ঘষুন। টাইলস পরিষ্কার হয়ে তেলচিটে ভাব চলে যাবে।
-
২. দুই কাপ পানিতে সমপরিমাণ ভিনেগার নিন। মিশ্রণ একটি বোতলে ভরে সরাসরি টাইলসে স্প্রে করুন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার সাবান পানি দিয়ে টাইলস পরিষ্কার করুন।
-
৩. তেল ময়লা পরিষ্কার করতে ব্লিচের তুলনা নেই। পানির সঙ্গে ব্লিচ মিশিয়ে টাইলসে ঘষলে তেল ময়লা উঠে যাবে। সবশেষে একটি কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।
আরও পড়ুন:লেবুর খোসা অনেক কাজের কাজি। এটাকে ফেলে না দিয়ে অন্য কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। টেস্ট অব হোম ডটকমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে লেবুর খোসা আর কী কী কাজে ব্যবহার করা যায়। চলুন দেখে নেই।
-
একটা কাপে লেবুর খোসা নিয়ে তাতে ভিনিগার দিন। এভাবে রাখুন তুই সপ্তাহ। এবার এই মিশ্রণটা দিয়ে পরিষ্কার করতে পারবেন ঘরোয়া জিনিস। যেমন- হাঁড়ি পাতিল, আয়না, ঘরের মেঝে ইত্যাদি।
-
লেবুর খোসা ও দারুচিনি একটি পাত্রে নিয়ে তাতে পানি ঢালুন। রেখে দিন ঘরের কোণে। দারুণ সুবাস ছড়াবে সে। ঘর থাকবে ফ্রেশ।
-
রান্না ঘরের সিঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ আসছে? চিন্তার কিছু নেই। লেবুর খোসা দিয়ে ঘষে ঘষে সিঙ্কটা পরিষ্কার করুন। গন্ধ চলে যাবে।
-
কফি বা চায়ের কাপে দাগ বসে গেছে? তাহলে লেবুর খোসা, বরফ এবং মোটা লবণ দিয়ে মগের মধ্যে ঘষুন। দাগ চলে যাবে।
-
পোষা বিড়াল অনেক সময় ঘরের টবগুলো নষ্ট করে। গাছ থেকে বিড়ালকে দূরে রাখতে গাছের গোড়ায় লেবুর খোসা রাখুন। লেবুর খোসা বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে ওরা লেবুর গন্ধ সহ্য করতে পারে না।
-
পেঁয়াজ রসুন কাটার পর হাতে গন্ধ থেকে যায়। এটা দূর করতে লেবুর খোসার সাহায্য নিতে পারেন। এক টুকরা লেবুর খোসা ঘষে নিন হাতে। গন্ধ চলে যাবে।
-
লেবুর খোসা কুচি করে পানীয় অথবা তরকারিতে মিশিয়ে নিতে পারেন। এর ফলে খাবারে আলাদা ধরনের স্বাদ পাবেন।
-
ওভেনের ভেতরে থাকা গন্ধ দূর করতে পারে লেবুর খোসা। একটি বাটিতে পানি ও লেবুর খোসা নিয়ে ওভেনে গরম করুন।
আরও পড়ুন:খাবারে কম তেল ব্যবহার করতে চাইলে ননস্টিক পাত্রে রান্নার বিকল্প নেই। এতে তুলনামূলক কম তেল লাগে। তেল না দিলেও তলায় লেগে যাওয়ার ভয় থাকে না।
ননস্টিক প্যান তৈরিতে ব্যবহার করা হয় অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন ও বিশেষ ধরনের লোহার উপাদান। এসবের ওপরে দেয়া হয় পলিটেট্রাফ্লুওরিথাইলিন নামের এক ধরনের পদার্থের আস্তর। ঠিকঠাক যত্ন না নিলে ননস্টিক পাত্রের এই আবরণটি উঠে যেতে পারে।
চলুন দেখে নেই ননস্টিক পাত্র দীর্ঘদিন ভালো রাখতে হলে কী করতে হবে।
-
১. তারজালি মাজুনি দিয়ে ননস্টিক পাত্র পরিষ্কার করা যাবে না। এতে ওপরের আবরণ উঠে যাবে। এই জটিলতা এড়াতে ফোম অথবা কাপড়ের মাজুনি ব্যবহার করতে হবে।
২. ক্ষারযুক্ত সাবান, বালু, ছাই ইত্যাদি দিয়েও ননস্টিক পাত্র পরিষ্কার করা ঝুঁকিপূর্ণ। এ সবের পরিবর্তে রিকুইড সাবান ব্যবহার করতে হবে।
৩. ননস্টিক পাত্রে লোহা, অ্যালুমিনিয়াম কিংবা অন্য কোনো ধাতব চামচ ব্যবহার করা যাবে না। এতে ননস্টিকে দাগ পড়ে যায়। কাঠ অথবা প্লাস্টিকের চামচ ব্যবহার করতে হবে।
৪. দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ননস্টিক পাত্রে দাগ পড়ে যায়। এ দাগ দূর করার জন্য অল্প পানির সঙ্গে সিরকা মিশিয়ে চুলার মৃদু আঁচে কয়েক মিনিট নাড়লে দাগ উঠে যাবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য