পবিত্র রমজান মাস নিয়ে আসে পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতি ও আনন্দ ভাগাভাগির বার্তা। সেহেরি থেকে শুরু করে ইফতার পর্যন্ত, প্রতিটি দিন একটি উত্সবের মতো মনে হয়। মাসটির ভাবগাম্ভীর্যকে মাথায় রেখেই এক ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছে টিকটক।
ক্যাম্পেইনে টিকটক নিয়ে এসেছে এক নতুন প্রাণবন্ত বিজ্ঞাপন যাতে রয়েছেন জাতীয় ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, প্রখ্যাত মেকআপ আর্টিস্ট সুমাইয়া মীম এবং টিকটকের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর শাহাত বিন সেলিম ও সুনেহরা তাসনিম।
ছন্দময় বিজ্ঞাপনটি শুরু হয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মাধ্যমে, যেখানে তিনি কিছু মানুষের কথা তুলে ধরার জন্য বলেন যারা নিঃস্বার্থভাবে অন্যের জন্য নিজেরদের সময় এবং শ্রম কে উৎসর্গ করেন।
এ পর্যায়ে মাহমুদুল্লাহর ভিডিওটি স্টিইচ (টিকটক অ্যাপে ভিডিও জোড়া লাগানোর ফিচার) করে মেকআপ আর্টিস্ট সুমাইয়া মীম। তিনি তার ভিডিওতে তার মায়ের প্রশংসা করেছেন বৃদ্ধাশ্রমে রান্না খাবার পাঠানোর জন্য।
@bdtiktokofficial Know someone always spreading joy with their acts of kindness? This #MaheRamadan 🌙 let's #StitchKindness ♬ original sound - TikTok Bangladesh
তারপরে জনপ্রিয় টিকটক কনটেন্ট নির্মাতা শাহাত বিন সেলিম তার কঠোর পরিশ্রমী দারওয়ান চাচার প্রশংসা করেন কেননা তার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে এতিমখানার ফ্যান কেনার জন্য। এই প্রশংসা ছিল হাজার হাজার দারোয়ান চাচাদের জন্য, যারা রমজানের সময় মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
টিকটকের কনটেন্ট নির্মাতা সুনেহরা তাসনিম তারপর ইন-অ্যাপ ফিচারটি ব্যবহার করে তার ভিডিও স্টিইচ করে। তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পোশাক কেনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য আনিকার প্রশংসা করেন।
বিজ্ঞাপনটির শেষে, মাহমুদুল্লাহ প্রতিটি টিকটক ব্যবহারকারীকে রমজানের সময় তাদের চারপাশের এই অজানা মহানুভব মানুষদের ব্যাপারে তুলে ধরার জন্য #StitchKindness হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে স্টিইচ নামক ইন-অ্যাপ ফিচারটি ব্যবহার করার আহ্বান জানান এই রমজানে।
টিকটক পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতি ও আনন্দ ভাগাভাগির এই নতুন উদ্যোগ নিয়ছে তা ইতিমধ্যে অনেক তরুণকে সহানুভূতি বার্তা ছড়িয়ে দিতে অনুপ্রাণিত করে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের টুইটার হ্যান্ডেলে ফলোয়ার ২ কোটি ৩০ লাখ। তবে এসব ফলোয়ারের অর্ধেকের বেশি নাকি ভুয়া!
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান- স্পার্কটোরোর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য। বুধবার খবরটি প্রকাশ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমে।
টেসলার মালিক ইলন মাস্ক টুইটার কেনার বিষয়টি স্থগিতের সিদ্ধান্তের মধ্যেই এ প্রতিবেদন প্রকাশ হলো। ৪৪ বিলিয়ন ডলারে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি কেনার প্রস্তাব করেছিলেন মাস্ক। এতে রাজিও হয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ। তবে শেষমেশ কেনার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন ইলন মাস্ক।
টুইটারে ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে উদ্বেগের কারণে মাস্ক এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভুয়া এসব অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রপাগান্ডা ছড়ানোয় ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই তো টুইটার কেনার প্রস্তাবের আগে মাধ্যমটির সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছিলেন মাস্ক।
স্পার্কটোরোর বিশ্লেষণ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল @POTUS-এর প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ফলোয়ারের অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয়। এটি হোয়াইট হাউসে (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয়) বাইডেনের মোট ফলোয়ারের ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ!
ভুয়া বা নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলো কোন জায়গা থেকে খোলা হয়েছে, সেগুলোর প্রোফাইল ছবি, তার মধ্যে কতগুলো নতুন বা পুরোনো এসবের মাপকাঠির ভিত্তিতে সমীক্ষাটি চালিয়েছে স্পার্কটোরো।
যেসব অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বা যেগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার হচ্ছে না, রোবটচালিত বা স্প্যাম, সেগুলোকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাইডেনের পূর্বসূরি বারাক ওবামা প্রথমবারের মতো অনলাইনে লাখ লাখ আমেরিকানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য @POTUS অ্যাকাউন্ট চালু করেছিলেন। ক্ষমতা ছাড়ার আগে ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অ্যাকাউন্টটি হস্তান্তর করেছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের @POTUS45- অ্যাকাউন্টটি নিরীক্ষা করে দেখা যায়, তার অনুসারীর ৪২ দশমিক ৪ শতাংশই ভুয়া।
তবে বাইডেনের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টটি প্রেসিডেন্টের হ্যান্ডেলের চেয়ে যে খুব স্বচ্ছ, তা কিন্তু নয়। @JoeBiden-এ ৩ কোটি ২০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে বাইডেনের; যেগুলোর ৪৩ শতাংশই ভুয়া। @POTUS- অ্যাকাউন্ট থেকে এখানে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ বেশি ভুয়া অনুসারী রয়েছে।
টুইটার বলছে, তাদের দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা অন্তত ২২৯ ব্যবহারকারী। কর্তৃপক্ষ বলছে, ৫ শতাংশের কিছু বেশি ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ভুয়া।
টেসলার মালিক মঙ্গলবার এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই ধনকুবের দাবি করেছেন, ২০ শতাংশ টুইটার অ্যাকাউন্ট ভুয়া। টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগারওয়াল তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
টুইটে মাস্ক লেখেন, ‘আমার অফারটি টুইটারের এসইসি ফাইলিং সঠিক হওয়ার ওপর ভিত্তি করে ছিল। তবে টুইটারের সিইও প্রকাশ্যে ৫ শতাংশের প্রমাণ দেখাতে অস্বীকার করেছেন।
‘যতক্ষণ তারা এর প্রমাণ দেখাতে পারবে না, ততক্ষণ কোনো চুক্তি হবে না।’
কদিন আগে স্পার্কটোরোর সমীক্ষায় উঠে আসে, টেসলার মালিক ইলন মাস্কের টুইটার ফলোয়ারদের মধ্যে ২৩ শতাংশের বেশি অ্যাকাউন্টই ভুয়া।
আরও পড়ুন:ছোট ভিডিও-শেয়ারিংয়ের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটক সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের #StitchKindness শীর্ষক রমজান ক্যাম্পেইন শেষ ঘোষণা দিয়েছে।
ক্যাম্পেইনটি রমজানের চেতনাকে ধারণ এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে দয়া ও দানের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে। রোজা ও ঈদ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রচারিত পাঁচটি হ্যাসট্যাগের ক্যাম্পেইনটি এরইমধ্যে ১৭০ কোটির বেশিবার দেখা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনটিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, প্রখ্যাত মেকআপ শিল্পী সুমাইয়া মীম, জনপ্রিয় টিকটক কনটেন্ট নির্মাতা শাহাত বিন সেলিম এবং সুনেহরা তাসনিম।
টিকটকের বিজ্ঞাপনটি প্রতীকী হলেও ব্যাপকভাবে প্রসংশিত হয়। বিনোদনের একটি মাধ্যম হলেও এর মাধ্যমে টিকটকের কমিউনিটির উন্নতি এবং বাংলাদেশিদের একত্রিত করার মনোভাব ফুটে উঠেছিল।
#StitchKindness হ্যাশট্যাগটি প্রায় ১০০ কোটিবার দেখা হয়েছে। ভিডিওগুলোতে তুলে ধরা হয়েছে নিঃস্বার্থ ও পরিশ্রমী মানুষদের, যারা রোজার সময় অন্যদের সাহায্য করেছেন এবং কঠিন পরিস্থিতিতেও তাদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
সারা দেশের কনটেন্ট নির্মাতারা এই ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে টিকটক বিজ্ঞাপনের সাথে তাদের ভিডিওগুলো স্টিচ করে একটি চেইন অব কাইন্ডনেস তৈরি করেছেন। ক্যাম্পেইনটি রমজান মাসে ‘আনসান হিরোদের’ প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করেছে।
আরেকটি হ্যাশট্যাগ, #MaheRamadan যা ৩ কোটি ১৯ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। টিকটক কমিউনিটির মধ্যে রজমান মাসের সারমর্ম ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে ক্যাম্পেইনটি কাজ করেছে। এ ছাড়া #RojarDin উদ্যোগ টিকটক ব্যবহারকারীদের সেহরি এবং ইফতারের সময় স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিজের যত্ন সম্পর্কে জানান দিয়েছে। প্ল্যাটফর্মটিতে এটি ৩১৯.৯ মিলিয়নবার দেখা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা #RamadanRecipe হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে রমজানের প্রিয় খাবারের ভিডিওগুলোও শেয়ার করেছেন, যা ৮৫.৮ মিলিয়নেরও বেশি দেখা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনটি শেষ হয়েছে দেশের অন্যতম বড় উৎসব- ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের মধ্য দিয়ে। আনন্দময় এই উৎসবকে উদযাপন করতে টিকটক কমিউনিটি #KhushirEid হ্যাসট্যাগটি ব্যবহার করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে। হ্যাসট্যাগটি ও প্রায় ১৮৭.৩ মিলিয়নবার দেখা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে এক্সক্লুসিভ কিছু ফিল্টার ও ইন অ্যাপ ইফেক্ট চালু করেছিল টিকটক।
রমজান মাস সবসময়ই আত্মিক উন্নয়ন, উদযাপন ও জমায়েতের মাস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে, তা অনলাইনে হোক বা অফলাইনে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টিকটক পবিত্র রমজান মাসের চেতনা সারাবিশ্বের সকল কমিউনিটির সাথে উদযাপন করেছে। এ ছাড়া এর লক্ষ্য ছিল সৃজনশীলতাকে অনুপ্রাণিত করা এবং বিশ্বব্যাপী টিকটকের ক্রমবর্ধমান কমিউনিটির জন্য আনন্দ বয়ে আনা।
আরও পড়ুন:ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে নুর দাবি করেছেন, যে পেজ থেকে ওই স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে, সেটি তিনি চালান না। তার নামে ফেইক পেজ খোলা হয়েছে।
রোববার বিকেলে ঢাকা আইন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এম সাচ্ছু আহমেদ শাহবাগ থানায় এই অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল, শনিবার রাত ১০টার সময় তিনি বাসায় বসে নুরের ফেসবুক পেজ থেকে স্ট্যাটাসটি দেখতে পান।
স্ট্যাটাসটি ছিল এ রকম, ‘শ্রীলঙ্কার সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রীর বাবার মূর্তির কী অবস্থা করেছেন সেই দেশের জনগণ। সুতরাং আমার দেশের শেখ মুজিব যেন শেষ মুজিব না হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা আছে কিন্তু তাকে নিয়ে এত কিছু করার কিছু নাই।’
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এরূপ বাজে মন্তব্য রাষ্ট্রের জন্য চরম মানহানিকর উল্লেখ করে নুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানানো হয়।
তবে অভিযোগের বিষয়ে নুর বলেন, ‘যে পেজ থেকে স্ট্যাটাস দেয়ার কথা বলা হচ্ছে সেটি ফেইক। আমার অরজিনাল পেইজে ১৩ লাখের ওপর ফলোয়ার। আর সেই ফেইক পেজের ফলোয়ার ১ লাখ ৭৫ হাজারের মতো।
‘এটি আমার নামে একটি ফেইক পেজ। এটা নিয়ে আমি একাধিকবার পোস্টও দিয়েছি।’
সেই পোস্টের ভাষা আপত্তিকর বলছেন নুর নিজেও। বলেন, ‘আমিও চাই, সেই পেজটি যারা চালায় এবং এই পোস্ট যারা দিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।’
নুর কট্টর সরকারবিরোধী অবস্থানে আছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ দিয়ে। তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজি মুহম্মদ মুহসীন হল কমিটির নেতা ছিলেন। তবে পরে ছাত্রলীগের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয় সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে।
৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে যে আন্দোলন গড়ে ওঠে, তাতে অংশ নেন নুরও। আর নানা সময় ছাত্রলীগ তার ওপর হামলা করেছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা উঠিয়ে দেয়ার পর পরিষদের ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নুর ভিপি নির্বাচিত হন।
সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক বছরের মাথায় নুর গঠন করেছেন রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ। তিনি নিজে হয়েছেন সদস্যসচিব। আহ্বায়ক পদ দেয়া হয়েছে গণফোরাম থেকে বাদ পড়া রেজা কিবরিয়াকে, যিনি আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী আ স ম কিবরিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন:আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের হত্যার ঘটনায় পশ্চিমা মিডিয়ার কড়া সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ব্যবহারকারীরা বলছে, মিডিয়া আউটলেটগুলো শিরিন হত্যায় ইসরায়েলের ভূমিকা উপেক্ষা করেছে।
৫১ বছরের শিরিন ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সাংবাদিক, কাজ করতেন আল জাজিরার আরবি টেলিভিশনের হয়ে। বুধবার সকালে ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত হন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে একটি ইসরায়েলি সামরিক অভিযান কভার করার সময় গুলিবিদ্ধ হন শিরিন।
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে নিয়মিত তাকে দেখা যেত আল জাজিরা টেলিভিশনের পর্দায়। শিরিনের এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে শোকে কাতর ফিলিস্তিনবাসী। শিরিনের কর্মজীবনের প্রতি সম্মান জানানোর পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, অনেক মিডিয়া এই হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলকে না জড়ানোর বিষয়ে সতর্ক ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই বিষয়ে চটেছেন পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর। টুইটে একজন লেখেন, “ওদের গল্প ‘অবিশ্বাস্য”।
ইহুদি ভয়েস ফর পিস-এর রাজনৈতিক পরিচালক বেথ মিলার এ ঘটনায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি শিরোনামের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম ছিল, ‘৫১ বছর বয়সে মারা গেছেন’। সেখানে মৃত্যুর কারণ তারা উল্লেখ করেনি।
টুইটে মিলার লেখেন, ‘শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের রিপোর্ট করার সময় একজন ইসরায়েলি স্নাইপার শিরিন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করেছিল।
‘৫১ বছর বয়সে মারা যায়’। অবিশ্বাস্য, এনওয়াইটি।’
Shireen Abu Akleh was shot and killed by an Israeli sniper while reporting on an Israeli military raid of a refugee camp.
— beth miller (@bethavemiller) May 11, 2022
"Dies at 51". Unbelievable, NYT. pic.twitter.com/H8kxCqFubi
একই শিরোনাম উল্লেখ করে নিউ ইয়র্ক টাইমসের আইনি মানবাধিকার ও বেসরকারীকরণ প্রকল্পের সহপরিচালক বাসাম খাজা টুইটে লেখেন, ‘৫১ বছর বয়সে মৃত্যু’ বলা সত্যিই অদ্ভুত। যেখানে একজন সাংবাদিককে মাথায় গুলি করা হয়েছিল।
Hey @NYTimes, "Dies at 51" is a really strange way to say a journalist was shot in the head. pic.twitter.com/YoqzHRoDsS
— Bassam Khawaja (@Bassam_Khawaja) May 11, 2022
শিরিন হত্যার খবরে ভুল তথ্য দেয়ার বিষয়টি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছিল আল জাজিরা। পরে এনওয়াইটি সংশোধন করে খবরটি। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছিল, শিরিন ‘সংঘর্ষে’ নিহত হয়েছেন।
Shireen Abu Akleh, a Palestinian American journalist for Al Jazeera, was shot and killed in the West Bank early Wednesday, the Palestinian Health Ministry said. The circumstances surrounding the shooting were not immediately clear. https://t.co/k45YD1MJRe
— The New York Times (@nytimes) May 11, 2022
ইসরায়েলি ‘আখ্যান’
সমালোচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসও (এপি)। এপির শিরোনাম ছিল, “আইকনিক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ ‘বন্দুকের গুলিতে নিহত হয়েছেন’। টুইটে এক ব্যবহারকারী লেখেন, এপির এ ধরনের আচরণ ‘অনৈতিক সাংবাদিকতা’।
“তিনি এলিয়েনদের (ভিনগ্রহের প্রাণী) হাতে খুন হননি। ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে খুন হয়েছেন। মৌলিক সত্য নিয়ে ‘বিকল্প তথ্য' প্রচারের জন্য প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।”
ফাতিমা সাইদ নামে এক ব্যবহারকারী অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) শব্দ চয়নের নিন্দা করেছেন। বলেছেন, এক বছর আগে গাজায় তাদের কার্যালয় বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী।
টুইটে তিনি লেখেন, “মৃত্যুতেও ফিলিস্তিনিদের জন্য কোনো মর্যাদা বা ন্যায়বিচার নেই। ইসরায়েলের হাতে একজন প্রবীণ সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডকে এলোমেলো ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলে বর্ণনা করেছে একটি মূলধারার সংবাদ আউটলেট।
“এটি সেই একই এপি যার অফিসগুলো গত বছর ইসরায়েলি বোমায় চ্যাপ্টা হয়েছিল।”
গাজা উপত্যকায় গত বছরের মে মাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি টাওয়ার ধ্বংস হয়। এই টাওয়ারে আল জাজিরা এবং দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ব্যুরোসহ অনেক আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট এবং অফিস ছিল।
ইউক্রেন এবং ফিলিস্তিনের সংঘাতে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণে পশ্চিমা মিডিয়া আউটলেটগুলোর সমালোচনা করেছেন আমেরিকান সাংবাদিক কেভিন গোসজটোলা। তিনি বলেছেন, শিরিনের মৃত্যুর খবরটি আরও ভালো কভারেজের দাবি রাখত।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘ইউক্রেনে যদি একজন সাংবাদিককে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া এটিকে একটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রতিবেদন করবে এবং ক্ষোভের সৃষ্টি করবে।
‘আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে ইসরায়েলি সেনারা হত্যা করেছে। এ খবরটি আরও ভালো কভারেজের দাবি রাখে।’
আল জাজিরাকে হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটির মিডল ইস্ট স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক মার্ক ওয়েন জোনস বলেন, “ইসরায়েলের সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। শিরিনের মৃত্যুকে ঘিরে তারা ‘জল ঘোলা’ করার চেষ্টা করছে।”
জোনস বলেন, ‘ইসরায়েল এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় দারুণ অভ্যস্ত। তারা ফিলিস্তিনি নাগরিক বা সাংবাদিকদের হত্যা করে। সুতরাং তারা যা করেছে তার একটি বর্ণনা ইতোমধ্যেই রয়েছে। আর সেই বর্ণনাটি হলো শিরিনের হত্যার বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে।
‘আমরা জানি এটি অকল্পনীয়। তবে এই বর্ণনাটি খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ করা হয়েছিল। যদি তারা শিরিনের মৃত্যুর চারপাশে জল ঘোলা করতে পারে, তাহলে সম্ভবত তারা এটাও প্রচার করতে পারে যে ফিলিস্তিনিরাই শিরিনকে হত্যা করেছে এবং এতে তারা সফলও হয়েছে৷
‘বাস্তবে এটিই ঘটেছে। যুক্তরাজ্যের দৈনিক গার্ডিয়ান এবং বিবিসি ইতোমধ্যেই তাদের প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সংস্করণের ঘটনাগুলোকে গুরুত্বসহকারে প্রচার করে।’
আরও পড়ুন:ঈদ মোবারক।
সংযম শেষে সব
ভেদাভেদের উর্ধে
বিশ্বমানুষের মনে
সঞ্চারিত হোক
ভারসাম্যময়,
সদাচারময় ও
শান্তিময় ঐক্য।
মানুষ হোক শতভাগ
নান্দনিক ও মানবিক।
জয় সোনার বাংলা,
জয় সোনার পৃথিবী।
ঈদ মোবারক।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা গত সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে এভাবেই ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে এবারের ঈদে তিনি যে শুভেচ্ছা কার্ড ছাপিয়েছেন সেখানেও তিনি ‘ঈদ’ বানানটি ব্যবহার করেছেন। অথচ বাংলা একাডেমির ‘আধুনিক বাংলা অভিধান’ বলছে ‘ঈদ’ বানানটি ‘অসংগত’। এই অভিধানেই বলা হয়েছে ‘ঈদ’-এর সংগততর বানান হলো ‘ইদ’।
নুরুল হুদার এই ‘ঈদকার্ড’ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই সমালোচনা করে বলছেন, বাংলা একাডেমির অভিধানের বানান নির্দেশনা মানছেন না খোদ প্রতিষ্ঠানেরই মহাপরিচালক।
কবি নুরুল হুদাও বলছেন, ঈদ প্রশ্নে জামিল চৌধুরী সম্পাদিত বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান’-এর অবস্থানের সঙ্গে তিনি একমত নন। নিজের একক সিদ্ধান্তেই তাই কার্ডে ‘ইদ’-এর পরিবর্তে ‘ঈদ’ ব্যবহার করেছেন তিনি।
বিষয়টি সুরাহার জন্য শিগগিরই অভিধান সম্পাদনা পরিষদের সঙ্গে বসবেন বলেও জানাচ্ছেন নুরুল হুদা। তবে একাডেমি আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগেই মহাপরিচালক হিসেবে এমন কার্ড ছাপাতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নের তিনি পরিষ্কার কোনো জবাব দেননি।
ফেসবুকে আলোচনার বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের বক্তব্য জানতে চেয়েছে নিউজবাংলা।
কার্ডটির সত্যতা নিশ্চিত করে নুরুল হুদা বলেন, ‘আমি নিজেও ফেসবুকে কার্ডটি পোস্ট করেছি। এ বিষয়ে আলোচনাও দেখছি। আমিও চাচ্ছিলাম এসব কথা হোক। যদি সবাই মিলে বলে যে ‘ঈ’ লিখব, তাহলে ঈদই লিখব। এ রকম আরও অনেক শব্দ আছে, কিন্তু ঈদ শব্দটা মোস্ট পপুলার শব্দের একটা তো।’
ঈদের দুটি বানানের পক্ষেও যুক্তি দেন তিনি। নুরুল হুদা বলেন, “আরেকটা কন্ট্রোভার্সিয়াল ব্যাপার আছে- ইংরেজিতে কিন্তু ‘ঈ’ উচ্চারণ নেই। আবার ইংরেজিতে আমরা ‘আই’ দিয়েও ঈদ লিখি না, ‘ই (E)’ দিয়ে লিখি। অনেকগুলো ব্যাপার আছে এখানে। আমি যেটা বলব, সেটা হলো ঈদ, ইদ দুটোই চালু রাখা যেতে পারে। আর অভিধানে ‘ঈদ’-এর পরে ‘অসংগত’ যেটা লেখা আছে, সেখানে শুধু লিখব প্রচলিত বানান।”
বাংলা একাডেমি ‘ই’ দিয়ে ইদ লিখলেও সেটা সর্বসাধারণের স্বীকৃতি পায়নি বলে স্বীকার করেন নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘বাংলা একাডেমি এ পর্যন্ত যত বানানরীতি করেছে, কোনোটার জন্য কোনো বাইন্ডিংস (বাধ্যবাধকতা) দেয়নি। বাংলা বানানের ভেরিয়েশন প্রচুর। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে আরম্ভ করে রবীন্দ্রনাথ, বুদ্ধদেব বসু আমাদের পর্যন্ত বিভিন্ন শব্দের বানানে পরিবর্তন এসেছে। কিছু শব্দ আছে, এখনও যা আমাদের মধ্যে পপুলার। সেদিক থেকে বাংলা একাডেমি মনে করে, যে সমস্ত বানান বাংলা ভাষায় বিভিন্ন সময়ে প্রচলিত হয়েছে, সেখান থেকে কোনো বানান কেউ ব্যবহার করলে তা ভুল বলার কোনো সুযোগ নাই।’
বাংলা বানানের ‘একেবারে লাস্ট ফর্মুলা’ এখনও তৈরি হয়নি বলেও মনে করছেন নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘আসলে ফাইনাল কখনও হয় না, চলতে চলতে ফাইনাল হয়। যেমন বাড়ি বানান এখন ‘ই’ হয়ে গেছে, বাঙালি ‘ই’ হয়েছে।’
‘ঈদ’ বানানকে বাংলা একাডেমির অভিধানে ‘অসংগত’ বলাকে মোটেই পছন্দ করছেন না নুরুল হুদা।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, “আমি নিজেও দ্বিমত পোষণ করি অনেক বানানের বিষয়ে। কেন অসংগত হবে? অসংগত নয়। আমরা যখন বিদেশি সব শব্দে ‘ই’ ব্যবহারের নিয়ম করেছি, তখন থেকেই ঈদকে ইদ বলছি- এই তো? কিন্তু তাই বলে ‘ঈদ’ অসংগত নয়, বলতে হবে আগের বানান ছিল। আমি মনে করি, এভাবে লেখাটা ঠিক হয়নি।”
ঈদ বানানে বাংলা একাডেমিকে ‘ঈ’ দিতে প্ররোচিত করছেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই’।
‘প্রচলিত যেসব বানান শুদ্ধ আছে, সেটা অশুদ্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সেগুলো কেউ লিখলে ভুল নয়।’
এ বিষয়ে অভিধানের পরবর্তী সংস্করণে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘এসব নিয়ে আমাদের কাজ কিন্তু চলছে। আরেকটা কথা বলি, বাংলা বানানের প্রমিতকরণ ছিল। তবে সেটা কিন্তু আমাদের বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক আবুল মনসুর মুহম্মদ আবু মুসা মানতে চাইতেন না।’
আরও পড়ুন:জেরুজালেমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নামে একটি বার আছে। নাম ‘পুতিন পাব’। এই বারের একটি ছবি সম্প্রতিক ঘোরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বিভিন্ন সময়ে আপলোড হওয়া সেই ছবিতে দেখা যায়, বারের নামে পুতিনের জায়গায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকির নাম বসানো হয়েছে। এটির বর্তমান নাম ‘জেলেনস্কি পাব’।
তবে পাবের এক কর্মী গত ৯ মার্চ এএফপিকে জানায়, নামে পরিবর্তন এসেছে সত্যি। তারা ‘পুতিন’ শব্দটি মুছে ফেলেছেন। এটির নাম হবে ‘জেনারেশন পাব’।
গত ৭ মার্চ ওয়েইবো পোস্টে (টুইটারের চীনা সংস্করণ) বলা হয়, ‘জেরুজালেমের একটি বারের নাম পরিবর্তন করেছে। এটিকে ‘পুতিন পাব’ ডাকা হত। এখন এটি ‘জেলেনস্কি পাব’।
ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর কয়েকদিনে পোস্টটি ব্যাপকহারে শেয়ার হচ্ছিল।
এই অভিযানের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে আছেন পুতিন। রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নানা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো রাশিয়ার গুটিয়ে নিচ্ছে ব্যবসা।
অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাশিয়া বা পুতিনের সঙ্গে যায় এমন আইটেমে বদল আনছে। অনেকে নাম মুছে ফেলছেন, কেউ আবার পুনঃনামকরণ করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টের ছবিতে দেখা যায়, একটি দরজার ওপর লেখা রয়েছে ‘জেলেনস্কি পাব’। ছবিটি ওয়েইবো, টুইটার, ফেসবুক এবং গেটারেও শেয়ার হয় দেদারসে।
তবে গুগল কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জেরুজালেমে ‘পুতিন পাব’ নামে একটি বার রয়েছে। ফেসবুক এবং গুগলের ছবিতে ‘পুতিন পাব’ লেখা সংবলিত একই রকম দরজা দেখা যায়। ছড়িয়ে পড়া ছবিতে যে ভবনের সামনের অংশ দেখা যায়, সেই ভবনের সঙ্গেও হুবহু মিল আছে।
এই অনুসন্ধানে এটাই প্রমাণ হয়, ‘জেলেনস্কি’ নামটি ছবিতে সম্পাদনা করে বসানো হয়েছে।
৭ মার্চ বারের ফেজবুক পেজে নিশ্চিত করা হয়, বারের নাম পরিবর্তন করে জেলেনস্কি রাখার খবর ভুয়া।
রুশ ভাষায় বিবৃতিটির একটি অংশে লেখা হয়, ‘আমরা আপনাদের মিথ্যা সংবাদ উপেক্ষা করতে বলছি। বারটি এখন জেলেনস্কি নাম ধারণ করবে, এটি সত্য নয়। অনভিজ্ঞ ফটোশপাররা এই লুকোচুরি করেছে।’
ইউলিয়া কাপলান নামে বারের এক কর্মী ৯ মার্চ এএফপিকে বলেন, ‘বারের আসল চিহ্নটি মুছে ফেলা হয়েছে। এখনও নতুন নামের সিদ্ধান্ত হয়নি।’
ইসরায়েলি সংবাস সংস্থা-মাইনেট গত ২৬ ফেব্রুয়ারি টুইটে জানায়, একটি বারের নাম থেকে পুতিন ফেলে দেয়া হয়েছে। টুইটে নাম সরানোর আগের ও পরের দুটি ছবি পোস্ট করা হয়।
‘পুতিন’ লেখাটি গত ১৫ বছর ধরে এই বারের ট্রেডমার্ক ছিল। টাইমস অফ ইজরায়েল এই বার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদনে বলেছে, জেরুজালেমের রুশভাষী এবং পর্যটকদের কাছে এটি (বারটি) তুমুল জনপ্রিয় ছিল।
১০ মার্চ সব জল্পনার অবসান ঘটে। ফেসবুক পেইজে তারা জানায়, বারের নতুন নাম ‘জেনারেশন পাব’।
‘পুতিন পাব’ থেকে ‘জেনারেশন পাব’-এ পরিবর্তনটিও ফেসবুক পেইজের ‘পেইজ স্বচ্ছতা’ বিভাগে রেকর্ড করা হয়েছে; গুগল ম্যাপেও এটি আপডেট করা হয়েছে।
মন্তব্য