যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের ব্যক্তিগত একটি ই-মেইল ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। চার বছর আগে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওই মেইলে হান্টার তার ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী হ্যালি বাইডেনকে দ্রুত এইচআইভি পরীক্ষার তাগিদ দিয়েছিলেন।
অন্য নারীর গর্ভে হান্টারের ঔরসজাত সন্তান জন্মের প্রায় এক মাস পর মেইলটি পাঠানো হয়।
‘হ্যালি আপনার এইচআইভি পরীক্ষা করা প্রয়োজন’ টাইটেলের ই-মেইলটি হাতে পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ফক্স নিউজ ডিজিটাল। তাতে দ্রুত এইচআইভি পরীক্ষা করে ওইদিনই ফল জানানোর তাগিদ দেন হান্টার।
‘তোমাকে আজই ফলাফল জানাতে হবে। আজ আমার পরীক্ষা হচ্ছে। ভয়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আর তুমি আমাকে ঝুলিয়ে রেখেছ। তুমি যে ভালোবাসা দিয়েছ তা খুবই বিরক্তিকর। ‘তুমি নিষ্ঠুর হলেও আমি তোমাকে (হ্যালি) ভালোবাসি। পরীক্ষা করো এবং আজই আমাকে ফলাফল জানাও।’
ওই মাসেই আরেকটি মেইলে হ্যালিকে সংযমী হওয়ার পরামর্শ দেন হান্টার। ১৫ জুলাই হ্যালিকে পাঠানো ই-মেইলে হান্টার বলেন, ‘আমি মনে করি আমার ভাইদের বাড়িতে বিছানায় যাওয়ার জন্য তোমার কেউ আছে। সেই ভালবাসার কাজটি তার বা তাদের জন্য হতে পারে। তুমি কখনোই এটা মনে করো না যে তুমি দুজন সেরা মানুষকে হারিয়েছ, যাদের তুমি বা অন্য কেউ কেবল স্বপ্নেই ভাবতে পারে।’
হ্যালির সঙ্গে সম্পর্কের বিস্তারিত ২০২১ সালে ‘বিউটিফুল থিংস’ নামে এক স্মৃতিচারণে বর্ণনা করেছিলেন হান্টার বাইডেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তার ভাই বিউ বাইডেন ক্যান্সারে মারা যাওয়ার প্রায় এক বছর পর ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী হ্যালির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। আর সেই সম্পর্কটা হ্যালিই শুরু করেছিলেন।
হান্টারের বাবা জো বাইডেনও (যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট) বিষয়টি জানতেন। এই সম্পর্ক নিয়ে জো বাইডেন একটি বিবৃতিও দিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়, ‘আমরা সবাই ভাগ্যবান। এই দুঃখের মধ্যে হান্টার ও হ্যালি একে অপরকে খুঁজে পেয়েছে। এই সম্পর্কে আমি ও আমার স্ত্রীর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
হান্টার ১৯৯৩ সালে বিয়ে করেছিলেন ক্যাথলিন বুহেলকে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে তাদের বিচ্ছেদ হয়। সাবেক স্ট্রিপার লুন্ডেন রবার্টস নামে এক তরুণী জানান, হ্যালির সঙ্গে সম্পর্ক চলাকালেই হ্যালির বড় বোন এলিজাবেথ সেকেন্ডির সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্কে জড়ান হান্টার।
‘ল্যাপটপ ফ্রম হেল’ বইয়ে আমেরিকান কলামিস্ট মিরান্ডা ডিভাইন লেখেন, ‘হান্টার যে মাসে হ্যালিকে এইচআইভি পরীক্ষার তাগিদ দিয়েছিলেন, সে সময় তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হোটেলে পাঁচ মাস ধরে অবস্থান করছিলেন। এই সময়টায় মাদক সেবনের কারণে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন হান্টার। এক মাস পর ২০১৮ সালের আগস্টে হান্টারের ছেলে রবার্টসের জন্ম হয়। ওই বছরের শেষ দিকে হান্টার-হ্যালি আলাদা হয়ে গেলেও বিষয়টি জানাজানি হয় পরের বছর।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হ্যালিকে পাঠানো একটি ই-মেইলে হান্টার তাকে ‘অজ্ঞাত, মধ্যবয়সী, পরাজিত’ বলে অভিহিত করেছিলেন। একদিন পর হ্যালি তার প্রতিক্রিয়া বলেন, ‘দয়া করে বাজে ই-মেইল ও রাগ বন্ধ কর। আমি তোমার বিরুদ্ধে নই।’
শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা ‘বিউ বাইডেন ফাউন্ডেশন’-এর চিফ অপারেটিং অফিসার জোশ অ্যালকর্নের বেতন নিয়ে হ্যালি ও জো বাইডেনের ছোট বোন ভ্যালেরি বাইডেনের একটি ই-মেইলের প্রতিক্রিয়ায় হান্টার এমন আচরণ করেন বলে ধারণা করা হয়।
হান্টার শুরুর দিকে রবার্টসের সন্তানের বাবা হতে অস্বীকার করেছিলেন। স্মৃতিকথায় তিনি দাবি করেছিলেন, রবার্টসের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরকানসাসের এক বিচারক রায় দেন, রবার্টসের ‘জৈবিক ও আইনি পিতা’ হান্টার। সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব হান্টারকেই বহন করতে হবে।
পরের মাসে বাইডেনের আর্থিক বিষয়ে বিচার বিভাগের তদন্তে জারি করা সমনের প্রতিক্রিয়ায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য সর্বশেষতম হয়ে ওঠে রবার্টস।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, হান্টারের সাবেক বান্ধবী জো কেস্তানও সম্প্রতি ডেলাওয়ারের গ্র্যান্ড জুরির সামনে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় হোটেলে হান্টারের বিলাসবহুল খরচের অভ্যাস সম্পর্কেও গ্র্যান্ড জুরিকে জানিয়েছিলেন।
হান্টারের বর্তমান স্ত্রী সাউথ আফ্রিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা মেলিসা কোহেন। ২০২০ সালে শুল্ক সম্পর্কিত একটি ফেডারেল তদন্তের সময় তাদের বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ পায়। ডেলাওয়ারের অ্যাটর্নি ডেভিড ওয়েইস এই তদন্তের তত্ত্বাবধান করছেন।
সিনেট হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটি এবং সিনেট ফিনান্স কমিটি ২০২০ সালে হান্টারের বিদেশি ব্যবসায়িক লেনদেনের বিষয়ে একটি তদন্ত পরিচালনা করে। সেই তদন্তে তথ্য পাওয়া যায় যে হান্টারের অন্তত চারটি বড় লেনদেন ছিল, যেগুলোকে অর্থ মন্ত্রাণালয়ের ক্রাইমস এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক ‘সম্ভাব্য অপরাধমূলক কার্যকলাপ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ফক্স নিউজের এই অনুসন্ধান হান্টার ও হ্যালির আইনজীবীদের কাছে পাঠানো হলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
লিবিয়া থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করা আরও ১২৩ অনিবন্ধিত বাংলাদেশি নাগরিককে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব বাংলাদেশির সবাই বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে (ইউজেড ০২২২) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
উল্লেখ্য, প্রত্যাগতদের অধিকাংশই মানবপাচারের শিকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সমন্বিত উদ্যোগে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হয়েছে।
দেশে ফেরার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম-এর প্রতিনিধিরা তাদের স্বাগত জানান ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধিকাংশ বাংলাদেশি সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর উদ্দেশে অনিবন্ধিতভাবে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। লিবিয়ায় অবস্থানকালে তাদের অনেকেই মানব পাচারকারীদের দ্বারা অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।
সরকারি কর্মকর্তারা এসব অভিবাসীকে পরামর্শ দেন, যেন তারা অন্যদের এই ধরনের বিপজ্জনক ও অবৈধ পথে বিদেশ গমনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করেন এবং ভবিষ্যতে এমন যাত্রা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।
পুনর্বাসন সহায়তার অংশ হিসেবে আইওএম প্রত্যেককে নগদ ৬ হাজার টাকা, জরুরি খাদ্য সহায়তা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে লিবিয়ার বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আটক থাকা অন্যান্য বাংলাদেশির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের কাজ চলছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম যৌথভাবে এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
ইউক্রেনে তিন বছর ধরে চলা সংঘাত বন্ধে সৌদি আরবে সোমবার অনুষ্ঠেয় আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন রাশিয়ার একজন আলোচক।
তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এ বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র পৃথকভাবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার উভয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
মস্কো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রস্তাবিত পূর্ণ ও নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। এর পরিবর্তে রাশিয়া শুধু জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর বিমান হামলা বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে।
সেই প্রস্তাব সত্ত্বেও উভয় পক্ষই আলোচনার আগে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া শহরে রাশিয়ার হামলায় একটি পরিবারের তিনজন নিহত হয়, যা ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা রবিবার ভোরে জানায়, রাশিয়া কিয়েভে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এগুলো ভবনগুলোতে আঘাত করেছে এবং আগুন লেগে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, শত্রুদের বিশাল আক্রমণে শহরের বেশ কয়েকটি জেলায় ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে এবং সাতজন আহত হয়েছেন।
সৌদি আরবে সোমবার ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকান আলোচকরা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কিথ কেলগ হোটেলকক্ষের মধ্যে ’শাটল কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন রাশিয়ার সিনেটর গ্রেগরি কারাসিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তত কিছুটা অগ্রগতি আশা করছি।"
আরও পড়ুন:ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত করার কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ঘিরে রোনেন বারের ব্যর্থতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, তাকে আর বিশ্বাস করা যায় না।
জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইসরায়েল সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইএসএ পরিচালক রোনেন বারকে বরখাস্তে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রোনেন বারের উত্তরসূরি নিযুক্ত হওয়ার পর অথবা ১০ এপ্রিলের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করবেন।
এর আগে গত রবিবার নেতানিয়াহু বলেন, তার ওপর আস্থার অভাব রয়েছে। তাকে এ পদে রাখা যাবে না। তাই বারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বার ১৯৯৩ সালে শিন বেতে যোগ দিয়েছিলেন।
বারের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরে পূর্ববর্তী ইসরায়েলি সরকার শিন বেতের প্রধান হিসেবে তাকে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার এক বছর আগেই তাকে পদ থেকে বরখাস্ত করল।
ইসরায়েলে হামাসের হামলা চালানোর আগে থেকেই রোনেন বারের সঙ্গে নেতানিয়াহুর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। গত ৪ মার্চ হামাসের হামলার ওপর শিন বেতের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন প্রকাশের পর সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে।
আরও পড়ুন:মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নির্দেশে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ফিলিপাইন সরকার তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, হংকং থেকে দেশে আসার পর আইসিসির নির্দেশে পুলিশ দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করেছে। অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে সাবেক এ প্রেসিডেন্টের চালানো অভিযানে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে।
আইসিসি দুতার্তের শাসনামলে মাদক নির্মূলের নামে চালানো অভিযানে হত্যাকাণ্ডগুলোকে সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছে। এর মধ্যে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণাঞ্চলের শহর দাভাওয়ের মেয়র থাকার সময় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে ২০১৯ সালে ফিলিপাইনকে রোম সংবিধি থেকে প্রত্যাহার করে নেন দুতার্তে।
দুতার্তে প্রশাসন ২০২১ সালের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক আদালতের তদন্ত স্থগিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিল। আইসিসির আদালত হলো সর্বশেষ অবলম্বন।
আইসিসির আর বিচার করার এখতিয়ার নেই—এমন যুক্তি দিয়ে সে সময় তার প্রশাসন বলেছিল, ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে একই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন:স্কটল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরাতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনপন্থি ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন‘ নামের একটি সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে সংগঠনটি।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে জানানো হয়, ট্রাম্পের গাজা নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য ও পরিকল্পনার কারণে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি মানুষ ও তাদের সমর্থকরা। এরই জেরে এ হামলা ঘটিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সংগঠনের সদস্যরা।
টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। রিসোর্টের সবুজ মাঠে লাল রং দিয়ে লেখা হয়েছে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়’।
সংগঠনটির কর্মীরা জানান, ট্রাম্প গাজাকে নিজের সম্পত্তির মতো মনে করে, যা খুশি তাই করতে পারে না। তারই প্রতিবাদ এটা।
তারা বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে চাই, আমাদের প্রতিরোধ থেকে তার নিজের সম্পত্তিও নিরাপদ নয়।’
ফিলিস্তিনিনের এই হামলাকে ট্রাম্প ‘শিশুসুলভ, অপরাধমূলক’ কার্যক্রম হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তার পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আরও পড়ুন:দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ ঢেলে সাজাতে উঠেপড়ে লেগেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ উদ্যোগ পৌঁছেছে ইরানের দ্বারপ্রান্তেও।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আলোচনায় না বসলে সামরিক অভিযানের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের নেতাদের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির উদ্দেশে বলেছি, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন। কারণ, এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।’
একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় তেহরানের কল্যাণে সমঝোতাই যুক্তিসঙ্গত হবে।
যদিও ট্রাম্পের এই দাবি অস্বীকার করেছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন। তারা জানিয়েছে, এমন কোনো চিঠির বিষয়ে অবগত নয় তারা।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ট্রাম্পের চিটি পাঠানোর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
তিনি শুক্রবার এএফপিকে বলেন, শক্তি প্রয়োগ করলে তারা পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না।
আরও পড়ুন:ইরান ও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন।
নতুন টার্মিনাল ও জাহাজ চালু হওয়ায় মার্চ থেকে চীন তেল আমদানি বৃদ্ধি করবে বলে খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি সত্ত্বেও চীন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে ‘অয়েল প্রাইস’ নামের ওয়েবসাইট।
অয়েল প্রাইসের তথ্য অনুযায়ী, ইরান ও রাশিয়া থেকে চীনের তেল আমদানি দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওয়েবসাইটটির উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া শনিবার এ খবর জানায়।
কয়েকজন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানান, চীন তেল ট্যাংকারগুলোতে পরিবর্তন এনেছে যাতে সেগুলো আর নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকে। এর ফলে রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে তেল বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারবে বেইজিং। ফলে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এই দুই দেশ থেকে চীন বেশি পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারবে। এ আমদানি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।
নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকা চীনা তেল ট্যাংকারগুলো এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
ইরান ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য